ব্লগে ট্রাফিক হচ্ছে না কেন? - ব্লগিং করে আয় করার উপায় সমূহ

আপনি কি জানতে চান ব্লগে ট্রাফিক হচ্ছে না কেন? তারপর সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহন করে ব্লগিং করে আয় করার উপায় সমূহ জেনে খুব দ্রুততম সময়ে স্বল্প পরিশ্রমের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে চান? তাহলে আপনার চিন্তার কোন কারণ নেই। কারণ আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটির মূল আলোচনায় হচ্ছে ব্লগে ট্রাফিক হচ্ছে না কেন? - ব্লগিং করে আয় করার উপায় সমূহসম্পর্কে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যবহুল ও প্রয়োজনীয় আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক!
ব্লগে ট্রাফিক হচ্ছে না কেন? - ব্লগিং করে আয় করার উপায় সমূহ
আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটির মাধ্যমে ব্লগে ট্রাফিক হচ্ছে না কেন? - ব্লগিং করে আয় করার উপায় সমূহ এ বিষয় সম্পর্কে এমন কিছু ইউনিক ও কার্যকরী তথ্য সম্পর্কে জানাবো, যেগুলিকে কাজে লাগিয়ে আপনি খুব সহজেই মোবাইল, কম্পিউটার বা ল্যাপটপ দিয়ে ব্লগিং করে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি কি আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো জানতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্যই। ব্লগে ট্রাফিক হচ্ছে না কেন? - ব্লগিং করে আয় করার উপায় সমূহ এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আশা করি আলোচ্য বিষয়ে বিস্তারিতভাবে নির্ভুল সব তথ্য গুলো জানতে পারবেন। ইনশাআল্লাহ!
পেজ সূচিপত্রঃ
.

ভুমিকা

সারাবিশ্বে বর্তমান সময়ে মানুষ অনলাইন মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে ব্লগিং করে নিজ ঘরে বসে থেকেই একটু বুদ্ধি খাটিয়ে খুব দ্রুততম সময়ে প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে। ব্লগিং ওয়েবসাইট হলো বর্তমান সময়ে একটি ব্যবসাকে দ্রুততম সময়ে প্রতিষ্ঠিত করার ও প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করার সব থেকে জনপ্রিয় ও সহজ মাধ্যম। তাই সারাবিশ্বে বর্তমান সময়ে মানুষ ব্লগিং শিখে অনেক মানুষই এটিকে তাদের পেশা হিসেবে গ্রহন করে আয়ের অন্যতম উৎস বানিয়ে নিয়েছে। 
তাই আপনিও যদি অন্যের গোলামী না করেই নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী মুক্ত পেশাজীবী হিসাবে ব্লগিং শিখে ঘরে বসে থেকেই লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করে নিজেকে স্বাবলম্বী করতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে ব্লগে ট্রাফিক হচ্ছে না কেন? - ব্লগিং করে আয় করার উপায় সমূহ এ বিষয়ে পুরোপুরি ধারণা রাখতে হবে। তাই আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন ব্লগে ট্রাফিক হচ্ছে না কেন? - ব্লগিং করে আয় করার উপায় সমূহ এ বিষয় সম্পর্কে। 

এছাড়াও ব্লগিং কি? ব্লগিং কেন করবেন? ব্লগিং কিভাবে শুরু করবেন? প্রি-প্ল্যানিং, ব্লগে ট্রাফিক পেতে কতদিন লাগে? একজন সফল ব্লগার হতে কতদিন সময় লাগে? আমার ব্লগে ট্রাফিক হচ্ছে না কেন?-কিভাবে ট্রাফিক বাড়াবেন, ব্লগ লিখে কি সত্যিই আয় করা যায়? ব্লগিং করে আয় করার উপায় সমূহ এ বিষয়গুলো সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই আপনি যদি ব্লগে ট্রাফিক হচ্ছে না কেন? - ব্লগিং করে আয় করার উপায় সমূহ জানতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই কার্যকরী।

ব্লগিং কি?

বারজার নামক একজন মার্কিন নাগরিক ১৯৯৭ সালে প্রথম Weblog শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন এবং তা পরবর্তী সময়ে ওয়েবলগ আলাদা করে We এবং Blog দুইটি নামে ভাগ করেন। We Blog এই শব্দটির অর্থ হচ্ছে আমরা ব্লগ করি। এছাড়াও ডায়েরি হলো ব্লগের পারিভাষিক শব্দ। মূলত আমরা একটি ডায়েরি যেভাবে পরিচালিত করি, ঠিক একই ভাবে ব্লগ সেই কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। 
সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে বর্তমান সময়ে এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে ব্লগের সঠিক অর্থ হচ্ছে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কনটেন্ট লিখে পাবলিস্ট করাই হচ্ছে ব্লগ। যারা প্রতিদিন নিয়মিত মানসম্মত তথ্যবহুল কনটেন্ট লিখে তারা তাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত পাবলিস্ট করে তাদেরই মূলত ব্লগার বলা হয়। সাধারণত ব্লগাররা যে পদ্ধতিতে ব্লগ লিখেন তাদেরকে যৌথভাবে ব্লগিং আখ্যায়িত করা হয়। বর্তমান সময়ে ব্লগিং খুবই জনপ্রিয় এবং চাহিদা সম্পন্ন একটি পেশা। 

যারা মূলত ব্লগ লেখে তারা বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন টপিক নিয়ে তথ্যবহুল করে কনটেন্ট লিখে সেটা তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত করে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি ব্লগিং করতে চান, তাহলে আপনাকে প্রথমে ব্লগিং বিষয়ে অভিজ্ঞ হতে হবে। তাহলে আপনার লেখা ব্লগিং করে পড়ে মানুষ উপকৃত হবে। ব্লগের পারিভাষিক শব্দ হচ্ছে ডায়েরী যার মাধ্যমে একজন ব্লগার তার নিজস্ব অভিজ্ঞতা জ্ঞান পরামর্শ ছবি ভিডিও ইত্যাদির মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ মানসম্মত তথ্যবহুল আর্টিকেল নিজের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শেয়ার করে।

ব্লগিং কেন করবেন?

সাধারণত ব্লগিং করার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দুইটি। প্রথমত ব্লগিং করে টাকা আয়ের উদ্দেশ্যে এবং দ্বিতীয়ত নিজের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা সবার সুবিধার্থে উন্মুক্ত করা। বর্তমান সময়ে খুবই জনপ্রিয় এবং চাহিদা সম্পন্ন একটি পেশা হচ্ছে ব্লগিং। অনলাইন থেকে আয় করার সবচেয়ে সহজ এবং জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ব্লগ।

বর্তমান সময়ের অনেক মানুষ অনলাইনে ব্লগিং করে প্রতি মাসে খুবই ভালো পরিমাণে ইনকাম করছেন।
প্রিয় পাঠক আপনি যদি ব্লগ লিখেন, তাহলে সাম্প্রতিক সময়ে জানা-অজানা বিভিন্ন বিষয়ে মানুষকে জানাতে পারবেন, এতে করে মানুষ অনেক উপকৃত হবে পাশাপাশি এখান থেকে টাকা আয় করতে পারবেন। আপনার জ্ঞান, অভিজ্ঞতাআরো বৃদ্ধি পাবে।
  • সাধারণত ব্লগ হচ্ছে একটি উন্মুক্ত জায়গা যেখানে মানুষ তাদের নিজস্ব সকল মতামত প্রকাশ করতে পারে। আপনিও আপনার সকল মতামত ব্লগিংয়ের মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারবেন।
  • ব্লগ হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে আপনি অনলাইন থেকে খুব সহজেই ঘরে বসে টাকা আয় করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে সচ্ছলভাবে জীবন-যাপন করা এবং সমাজে টিকে থাকার জন্য টাকা আয় করা আবশ্যক। ব্লগিং করে অনেক মানুষ এই সেক্টর থেকে প্রতি মাসে খুবই ভালো পরিমাণে টাকা আয় করছেন পাশাপাশি ব্লগিং সেক্টরে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলছেন। প্রিয় পাঠক আপনি যদি ব্লগিং করে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে চান, তাহলে সেক্ষেত্রে আপনাকে নিয়মিত মানসম্মত ও তথ্যবহুল ব্লগ লিখে পাবলিস্ট করতে হবে।
  • ব্লগিং করার মাধ্যমে আপনি যেমন বিভিন্ন জানা-অজানা বিষয় মানুষকে জানাতে পারবেন, ঠিক তেমনি আপনার বিভিন্ন জানা-অজানা বিষয়, আপনি নিজেও জানতে পারবেন। এতে করে আপনার জ্ঞান অনেক বৃদ্ধি পাবে।
  • এছাড়াও আপনি যখন প্রতিদিন নিয়মিত ব্লগ লিখে পাবলিস্ট করবেন, তখন আপনার অনলাইনে একটি পরিচিতি গড়ে উঠবে। দেখবেন একসময় আপনি যদি আপনার নাম দিয়ে গুগলে সার্চ দেন, তাহলে খুব সহজেই আপনার নামটি আগে প্রদর্শিত হবে। তাহলে ইন্টারনেটে আপনার একটি অস্তিত্ব গড়ে উঠবে।

ব্লগিং কিভাবে শুরু করবেন?

ব্লগিং করা আহামরি খুব একটা কঠিন বিষয় না। তাই জন্য ব্লগ শুরু করার আগে আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নির্ধারণ করতে হবে তাহলে আপনি খুব সহজেই কোনরকম ঝামেলা ছাড়াই ব্লগিং করতে পারবেন।
  • আপনাকে প্রথমে নির্বাচন করতে হবে আপনি কোন বিষয়ে ব্লগ লিখে নিয়মিত আপনার ব্লগিং সাইটে পাবলিস্ট করবেন। এটি নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
  • আপনি আপনার ব্লগ গুলো কাদের উদ্দেশ্য করে লিখবেন, আপনাকে ভালোভাবে নির্বাচন করতে হবে।
  • এছাড়াও আপনি কি ব্লগ থেকে আয় করতে চান, সেটিও আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে। আপনি যদি সবকিছু সঠিকভাবে নির্বাচন করতে পারেন, তাহলে সে অনুযায়ী মানসম্মত ও তথ্যবহুল আর্টিকেল লিখে খুব সহজেই আয় করতে পারবেন।

প্রি-প্ল্যানিং

প্রথমে ব্লগের নাম নির্ধারণ করতে হবেঃ আপনি কোন বিষয় নিয়ে ব্লগ লিখতে চান, সেই বিষয়ে সাথে মিল রেখে একটি সুন্দর নাম নির্বাচন করবেন। মূলত এই নামটি পরবর্তী সময়ে আপনার ডোমেনের নাম হবে। তাই খুবই চিন্তা সহকারে ব্লগের নামটি নির্বাচন করবেন।। কেননা এই নাম দিয়েই আপনি ইন্টারনেটে পরিচিতি লাভ করবেন।
  • ডোমেইন হোস্টিং ক্রয় করতে হবেঃ প্রিয় পাঠক আপনি যদি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে যান, তাহলে আপনার যে জিনিসটি প্রথমে প্রয়োজন হবে সেটি হলো ডোমেইন এবং হোস্টিং। মূলত ব্লগ হচ্ছে একটি ওয়েবসাইট, আর এই জন্য ব্লগিং শুরু করার পূর্বে আপনাকে একটি ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করতে হবে। আপনি পূর্বে ব্লগ তৈরি করার জন্য যে ডোমেইন নাম সিলেক্ট করবেন, সেটি দিয়ে ডোমেইন রেজিস্টার করতে হবে। তারপর আপনার কাজ হবে ডোমেইন নেওয়ার পর একটি জনপ্রিয় কোম্পানি থেকে হোস্টিং স্পেস নেওয়া।
  • এবার ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবেঃ প্রিয় পাঠক আপনি দুইভাবে ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করতে পারেন ফ্রি ওয়েবসাইট অথবা পেইড ওয়েবসাইট। আপনি যদি ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান, তাহলে সেক্ষেত্রে গুগলে ব্লগার ডট কম নামে একটি সার্ভিস রয়েছে, সেই সার্ভিসটি মূলত গুগল উন্মুক্ত করে দিয়েছে, এখান থেকেই আপনি আপনার ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। এছাড়াও আপনি চাইলে ডোমেইন পেইড এর মাধ্যমে এখান থেকে শুরু করতে পারবেন কোন সমস্যা নেই। অন্যদিকে আপনি চাইলে ওয়ার্ডপ্রেসে ডোমেন হোস্টিং ব্যবহার করে আপনি আপনার নিজের পছন্দ অনুযায়ী একটি সুন্দর ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। ওয়েব সাইট তৈরি করার জন্য ওয়ার্ডপ্রেস সিএমএস হচ্ছে একটি আদর্শ প্লাটফর্ম।
  • এরপর আপনাকে ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে হবেঃ ব্লগ ওয়েবসাইট মূলত আপনি আপনার নিজের পছন্দমত সাজাতে পারবেন না। কেননা এখানে কিছু নির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে তাই জন্য। কিন্তু আপনাকে অবশ্যই একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে আপনার ওয়েবসাইটটি যেন খুবই সিম্পল হয়, মানুষ যেন পছন্দ করে এরকম ভাবে তৈরি করতে হবে। আপনি যদি হাবি-জাবি করে ওয়েবসাইট তৈরি করেন, তাহলে ভিজিটরের আপনার ওয়েবসাইটের প্রতি আগ্রহ কমে যাবে। তাই জন্য সব দিক বিবেচনা করে আপনার ওয়েবসাইটটি ব্লগার এ সিম্পল ভাবে মানুষের চাহিদা অনুযায়ী তৈরি করবেন। তারপর নিয়মিত আপনার ওয়েবসাইটে ব্লগ পাবলিস্ট করবেন।
  • সার্চ ইঞ্জিন সাবমিট করতে হবেঃ আপনি যখন একটি পূর্ণাঙ্গ ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করে ফেলবেন, তারপর আপনার প্রথম কাজ হবে কিছু সুন্দর সুন্দর মানসম্মত ও তথ্যবহুল আর্টিকেল লিখে আপনার সাইটে পাবলিস্ট করা। তারপর ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে দ্রুত ইনডেক্স করার জন্য সাবমিট করবেন। এতে করে খুব সহজেই ভিজিটরা আপনার আর্টিকেলটি দেখতে পাবে। ফলে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর ও ট্রাফিক পাবেন।
  • নিয়মিত ব্লগ আপডেট করতে হবেঃ অন্যান্য ওয়েবসাইট এবং ব্লগ ওয়েবসাইট এর মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্য হচ্ছে ব্লগ ওয়েবসাইট প্রতিদিন তারা তাদের ওয়েবসাইট আপডেট করেন। তাই আপনাকেও আপনার ব্লগগুলো নিয়মিত আপডেট করে দিতে হবে। নাহলে সেগুলো মানুষ দেখবে না, আপনার কনটেন্ট এর প্রতি মানুষ আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। এছাড়াও আপনার ওয়েবসাইটে নিয়মিত ব্লগ পাবলিশ করবেন, নাহলে ওয়েবসাইটের রেংক কমে যাবে।
  • এসিও করতে হবেঃ এসইও এর পূর্ণরূপ হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটে যদি খুবই ভালোভাবে এসইও এর কাজ করতে পারেন, তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক এবং ভিজিটর দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকবে। আর এজন্যই ব্লগ শুরু করার আগে অবশ্যই আপনাকে এসইও এক্সপার্ট হতে হবে। নাইলে ব্লগিংয়ে সফলতা লাভ করতে পারবেন না। সুন্দরভাবে একটি কন্টেন্ট প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ক্রিয়েট করার জন্য এসইও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্লগিং করার আগে অবশ্যই এসইও ভালোভাবে শিখে নেবেন।
  • মনিটাইজেশন করার জন্য আবেদনঃ বর্তমান সময়ে ব্লগিং করে আয় করার জন্য আপনার ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিটর ও ট্রাফিক আশা অত্যাবশ্যকীয়। আপনার ওয়েবসাইটে যখন নিয়মিত ভিজিটর আসতে থাকবে, তখন আপনি খুব সহজেই এডসেন্সের জন্য গুগলে আবেদন করতে পারবেন। আর আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটে একবার যখন এডসেন্স এপ্রুভাল হয়ে যাবে, তখন আপনি আপনার ব্লগ সাইট থেকে আয় করতে পারবেন।

ব্লগে ট্রাফিক পেতে কতদিন লাগে?

ব্লগে ট্রাফিক হচ্ছে না কেন? - ব্লগিং করে আয় করার উপায় সমূহ
একটি নতুন ব্লগ সাইট শুরু করার পর ট্রাফিক পেতে সময় লাগে। আবার তা বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে পরবর্তী সময়ে পরিবর্তিত হতে পারে। অতি দ্রুত ট্রাফিক পাওয়ার জন্য প্রতিদিন নিয়মিত তথ্যবহুল ও মানসম্পন্ন কনটেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনি যদি নিয়মিত উচ্চমানের তথ্যবহুল এবং আকর্ষক নিবন্ধ পাবলিশ করেন, তাহলে ভিজিটররা আপনার ব্লগ সাইটের লেখার উপর অনুপ্রাণিত হবে। 
ফলে আপনার ব্লগ সাইটে দ্রুত ট্রাফিক বৃদ্ধি পেতে থাকবে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি আপনার ব্লগ সাইটে অর্গানিক উপায়ে ট্রাফিক পেতে চান, তাহলে সেক্ষেত্রে আপনাকে খুবই ভালোভাবে এসইও বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আপনি যদি আপনার কনটেন্টে খুবই ভালোভাবে এসইও এর কাজ করতে পারেন, তাহলে আপনার ব্লগ সাইটে দ্রুত অর্গানিক ট্রাফিক বৃদ্ধি পাবে। 

এছাড়াও মেটা ট্যাগ ব্যবহার করে, প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করে, বিভিন্ন ইউজার ফ্রেন্ডলি অভিজ্ঞতা মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ওয়েবসাইট অপটিমাইজ করে রেজাল্ট পেজে আপনার ব্লগ সাইটটি প্রদর্শিত করতে পারেন। এছাড়াও আপনি আপনার ব্লগ সাইটের প্রচার-প্রচারণা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে করতে পারেন। আবার আপনি অন্যান্য ব্লগে গেস্ট পোস্ট করার মাধ্যমে ট্রাফিক বৃদ্ধি করতে পারবেন। 

প্রিয় পাঠক আপনি যদি প্রতিদিন নিয়মিত মানসম্মত এবং মূল্যবান তথ্যবহুল কনটেন্ট লিখতে পারেন. তাহলে আপনার ব্লগ সাইট চালু হওয়ার ২০-৩০ দিন কিংবা কয়েক মাসের মধ্যেই অর্গানিক ট্রাফিক দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু আপনাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখতে হবে সেটি হলো ধৈর্য ধরে পরিশ্রম করে প্রতিদিন নিয়মিত ভালো ভালো মূল্যবান কনটেন্ট তৈরি করে ব্লগ সাইটে পাবলিস্ট করে যেতে হবে।

একজন সফল ব্লগার হতে কতদিন সময় লাগে?

প্রিয় পাঠক আপনি যদি একজন সফল ব্লগার হতে চান, তাহলে আপনার ২-৩ বছর পর্যন্ত সময় লেগে যাবে। আর যদি আপনি একজন মোটামুটি মানের ব্লগার হতে চান বা প্রথমে শিখেন, তাহলে দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই ব্লগিং শিখে যাবেন। আর আপনি তখন একজন সফর ব্লগার হিসাবে প্রতি মাসে লাখ টাকার অধিক আপনার ব্লগ সাইট থেকে ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। 
আর একজন ভালো মানের সফল ব্লগার হওয়ার জন্য আপনার ব্লগ সাইটে যথেষ্ট পরিমাণে কন্টেন্ট এবং যথেষ্ট সংখ্যক ট্রাফিক থাকা আবশ্যক। শুধু আপনার ব্লগ সাইটে যথেষ্ট পরিমাণে কনটেন্ট থাকলেই হবে না, আপনার কনটেন্ট লেখার চমৎকার দক্ষতা, সৃজনশীলতা, এসইও এর জ্ঞান, সময় ব্যবস্থাপনার দক্ষতা, ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, ওয়েবসাইট ডিজাইন, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং দক্ষতা, 

নতুন প্রবণতার সাথে তালে তাল মিলিয়ে চলার দক্ষতা এবং সর্বশেষ মানসম্পন্ন কনটেন্ট প্রকাশ করার ধারাবাহিকতা থাকা আবশ্যক। তাহলেই আপনি একজন সফল ব্লগার হতে পারবেন। একজন ভালো মানের ব্লগার হওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে বিভিন্ন টপিক নিয়ে জ্ঞান পাশাপাশি বিভিন্ন টপিক নিয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। 

একজন সফল ব্লগার হওয়ার জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হবে পাশাপাশি প্রতিদিন নিয়মিত কোয়ালিটি ফুল আর্টিকেল লিখতে হবে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের টিপস এবং ট্রিকস অবলম্বন করে আর্টিকেল লিখে যেতে হবে। একজন সফল ব্লগার হওয়ার জন্য আপনাকে যে কাজগুলো করতে হবে সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।
  • স্বতঃস্ফূর্ত লেখার ক্ষমতা থাকতে হবে।
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে।
  • এছাড়াও ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে।
  • অথোরিটিশিপ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
  • পাঠকের চাহিদা অনুযায়ী কনটেন্ট লিখে পাঠকের আস্থা অর্জন করতে হবে।
  • লেখার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করতে হবে।
  • আপনি যে ব্লগটি লিখবেন সেটি যেন তথ্যবহুল হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।
  • নিশ নির্বাচন করতে হবে।
  • মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করতে হবে।
  • এরপর আপনার ব্লগ সাইটে যখন ট্রাফিক বেশি পরিমাণে আসবে, তখন অর্থ উপার্জনের জন্য এডসেন্সের আবেদন করবেন।
  • নিয়মিত আর্টিকেল লেখালেখি করবেন।

আমার ব্লগে ট্রাফিক হচ্ছে না কেন?-কিভাবে ট্রাফিক বাড়াবেন?

ব্লগে ট্রাফিক না হওয়ার অন্যতম বড় কারণ হচ্ছে নিম্নমানের সামগ্রী। এসইও আপনার ওয়েবসাইট এবং এর বিষয়বস্তুর অপটিমাইজ পদ্ধতিকে সার্চ ইঞ্জিনে উচ্চতার স্থান পেতে সহযোগিতা করে। আপনি যদি এসইও এর কাজ ভালোভাবে করতে না পারেন, সেক্ষেত্রে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক পাবেন না। আর ট্রাফিক না পাওয়ার মূল কারণ হচ্ছে এসইও ফ্যাক্টর। তাইতো এসইও এর কাজ শিখা ব্লগ সাইটের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ব্লগে কেন ট্রাফিক হচ্ছে না এবং কিভাবে ট্রাফিক বাড়াবেন নিচে উল্লেখ করা হলো।
  • আপনি ব্যবহারকারীর উদ্দেশ্য পূরণ করছেন নাঃ যখন কোন ব্যক্তি ইন্টারনেটে কোনো বিষয় অনুসন্ধান করে, তখন যদি আপনার নিবন্ধটি পাঠকের চাহিদা অনুযায়ী না হয়, তাহলে আপনি পাঠকের অভিপ্রায় পূরণ করছেন না। আপনি যদি পাঠকের চাহিদা অনুযায়ী আপনার ব্লগ সাইটে আর্টিকেল পাবলিশ না করেন, তাহলে গুগল আপনার আর্টিকেলটি Rank করাবে না। আর এর ফলে তখন আপনি ট্রাফিকও পাবেন না।
  • ট্রাফিকের চাহিদা অনুযায়ী কনটেন্ট লেখাঃ যে সকল বিষয়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেশি এবং মানুষ গুগলে সার্চ করে বেশি। সেই সকল বিষয় নিয়ে কনটেন্ট লেখার চেষ্টা করবেন। আর কনটেন্ট লেখার সময় অবশ্যই আপনার কনটেন্টটি মানসম্মত ও তথ্যবহুল করবেন। তাহলে google আপনার আর্টিকেলটি প্রথমে প্রদর্শিত করাবে। আর মানুষের চাহিদা অনুযায়ী লেখার জন্য আপনি ট্রাফিক অনেক পাবেন। এছাড়াও আপনি যে বিষয় নিয়ে লিখবেন সেই বিষয়টিতে এসইও এর কাজ খুবই ভালোভাবে করবেন। কারণ একটি আর্টিকেল সম্পূর্ণ করার জন্য এসইও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়াতে আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করতে হবে, ইমেইল মার্কেটিং করতে হবে, গেস্ট ব্লগিং করতে হবে, অনলাইন কমিউনিটিতে যুক্ত থাকতে হবে, প্রদত্ত বিজ্ঞাপনগুলি চালনা করতে হবে, বিষয়বস্তু সিন্ডিকেশন করতে হবে ইত্যাদি। 
  • এছাড়াও আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক পাওয়ার জন্য এসইও এর কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবেঃ সেগুলো হলো কিওয়ার্ড রিসার্চ, কৌশলগত কিওয়ার্ড বসানো, আকর্ষণক শিরোনাম এবং অপটিমাইজ হেডিং, গুণগতমান গভীরতার বিষয়বস্তু, মোবাইল অপটিমাইজেশন, দ্রুত লোডিং স্পিড, অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক লিংকিং, আপনি যে চিত্রগুলো ব্যবহার করবেন সেগুলোতে Alt ব্যবহার করবেন এবং আপনার পোস্টগুলি নিয়মিত আপডেট করুন পাশাপাশি google এর দক্ষতা অভিজ্ঞতা বিশ্বস্ততার বিষয়গুলি ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করুন।

ব্লগ লিখে কি সত্যিই আয় করা যায়?

ব্লগিংকরে শতভাগ আয় করা সম্ভব। বর্তমান সময়ে ব্লগে এতোটাই চাহিদা সম্পন্ন পেশা হয়েছে যে, শুধু অন্যান্য দেশেই নয়, বরং বাংলাদেশেও এখন প্রচুর মানুষ ব্লগিং করে অর্থ উপার্জন করছেন। অনেকেই তারা তাদের ক্যারিয়ার হিসেবে ব্লগিংকে পছন্দ করছেন এবং তারা তাদের কাজের মাধ্যমে সফল ব্লগারও হচ্ছেন। আপনি যে কাজ করুন না কেন? রাতারাতি কখনোই সফল হতে পারবেন না। 
সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজন ধৈর্য এবং পরিশ্রম আপনি যে কাজটি করবেন সবসময় সেটার পিছনেই লেগে থাকা। তাহলে দেখবেন সফলতা আপনার হাতের মুঠোয় এসে ধরা দিয়েছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ে বিভিন্ন ধরনের সেক্টর রয়েছে, আর সব সেক্টরের মধ্যে ব্লগিং সবচেয়ে সহজ। আর ব্লগিং করার জন্য আপনাকে প্রথমে লেখালেখিতে পারদর্শী হতে হবে। তাহলেই আপনি অতি দ্রুত ব্লগিং করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। 

ব্লগিংটা হচ্ছে এমন যে আপনি যে বিষয়ে অভিজ্ঞ পারদর্শী আপনার জ্ঞান রয়েছে, সেটা বিভিন্ন টপিক নিয়ে হতে পারে, আপনি যদি বিভিন্ন টপিক নিয়ে কন্টেন্ট লিখে আপনার ব্লগ সাইটে নিয়মিত পাবলিস্ট করেন, তাহলে একসময় এখান থেকে আপনি প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ব্লগিংয়ের নির্দিষ্ট কোন বিষয় নাই। আপনি যে কোন টপিক নিয়েই লিখতে পারবেন। 

শুধু আপনার আর্টিকেলটি মানসম্মত এবং তথ্যবহুল হতে হবে। আপনি যদি ব্লগিং করতে চান, তাহলে আপনার প্রথমে যদি প্রয়োজন হবে সেটি হলো একটি সাজানো-গোছানো ব্লগ সাইট যেখানে আপনি বিভিন্ন টপিক নিয়ে প্রতিদিন নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করবেন।

ব্লগিং করে আয় করার উপায় সমূহ

ব্লগিং করে আয় করার উপায় সমূহ
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ বর্তমান সময়ে অনলাইন থেকে ইনকাম করার একটি অন্যতম ইনকাম মাধ্যম হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনি যদি চান, তাহলে আপনি আপনার ব্লগ সাইটের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে খুবই ভালো পরিমাণে আয় করতে পারবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে এমন আপনার কোন নিজস্ব প্রোডাক্ট থাকবে না, আপনি অন্যের প্রোডাক্ট সেল করবেন। আর এই প্রোডাক্টগুলো সেল এর জন্য আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণে কমিশন পাবেন। বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বের সবচেয়ে বড় অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম হচ্ছে অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েট। আপনি যদি আপনার ব্লগ সাইটে আমাজনের যে কোন প্রোডাক্ট সেল করে দেন, তাহলে আপনি সেখান থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে কমিশন পাবেন। এছাড়া আরো একটি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম হচ্ছে আলিবাবা সহ আরো বেশ কিছু মার্কেটপ্লেস রয়েছে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি আপনার ব্লগ সাইটে অ্যাফিলিয়েটের প্রোডাক্ট সম্পর্কে সুন্দর সুন্দর রিভিউ প্রদান করেন, তাহলে সেল আরো বৃদ্ধি পাবে। আপনি যতো বেশি অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্ট সেল করতে পারবেন, আপনার ইনকাম ততো বেশি হবে।
  • স্পন্সর টিউনঃ প্রিয় পাঠক আপনি যখন প্রথমে ব্লগ শুরু করবেন, তখন আপনার জনপ্রিয়তা অতো থাকবে না। কিন্তু আস্তে আস্তে আপনার ব্লগ সাইট যখন বড় হবে তখন আপনার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেতে থাকবে। যখন আপনার ব্লগ সাইট খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করবে, তখন আপনি বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট আপনার ব্লগ সাইটের মাধ্যমে স্পন্সর করে দেন, তাহলে তার বিনিময়ে আপনি সেখান থেকে করতে পারবেন। আপনি আপনার ব্লগ সাইটের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানিকে অন্যের ব্লগকে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট প্রমোট করার মাধ্যমে প্রতি মাসে খুবই ভালো পরিমাণে এখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
  • ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলঃ বর্তমানে ফেসবুকে ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল নামে ব্লগ সাইটের জন্য একটি ফিচার চালু হয়েছে। আর এই ফিচারের মাধ্যমে ব্লগ সাইটে ইনকাম করা সম্ভব। মূলত ফেসবুকে ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল নামক এই ফিচারের মাধ্যমে পোস্ট গুলোতে বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হয়। ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলে আপনি কত ইনকাম করবেন তার সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলে কত ট্রাফিক আসছে তার ওপর। অনেক আর্টিকেল রাইটার রয়েছে, যারা এখান থেকে প্রতি মাসে লাখ টাকার অধিক আয় করছেন।
  • গুগল এডসেন্সঃ সাধারণত গুগল কোম্পানির বিজ্ঞাপনে কার্যক্রম এডসেন্স এবং অ্যাডমব। সাধারণত বিজ্ঞাপন দাতারা গুগল অ্যাডওয়ার্ড সার্ভিস প্রদানের মাধ্যমে তারা তাদের বিভিন্ন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইটে অ্যাড প্রদর্শিত করে দেয়। Google তখন পাবলিশারদের মাধ্যমে মোবাইল অ্যাপ, ইউটিউব ও ওয়েবসাইটে প্রকাশিত করে। আর এটি প্রকাশিত করার মাধ্যমে কস্ট পার ক্লিক এর মাধ্যমে গুগল যে অর্থ পেয়ে থাকে সেটা সকল পাবলিশার্সদের সাথে ভাগ করে নেই। বাংলাদেশ ও সারা বিশ্বের অসংখ্য মানুষ গুগলে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রতি মাসে অনেক টাকা আয় করে থাকে। কারো নিজস্ব ইউটিউব রয়েছে, আবার কারো নিজস্ব মোবাইল অ্যাপ রয়েছে, আবার কারো নিজের ওয়েবসাইট রয়েছে এর মাধ্যমে তারা ইনকাম করে। মূলত এডসেন্সের মাধ্যমে youtube, ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রকাশিত করা এবং মোবাইলে অ্যাডমব সার্ভিসের মাধ্যমে। আপনি যদি আপনার নিজের ব্লগ সাইট থেকে বিজ্ঞাপন প্রকাশিত করেন এডসেন্সের মাধ্যমে, তাহলে আপনিও প্রতি মাসে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।
  • লোকাল অ্যাডঃ অনলাইন থেকে আয় করার আরেকটি অন্যতম সহজ উপায় হচ্ছে লোকাল অ্যাড। আপনি যদি বাংলায় নিয়মিত কনটেন্ট লিখে থাকেন, আর আপনার ব্লগ সাইটে যদি প্রতিদিন অনেক ট্রাফিক থাকে, তাহলে আপনি লোকাল অ্যাড আপনার ব্লগ সাইটে প্রদর্শিত করে খুবই ভালো পরিমাণে অর্থা আয় করতে পারবেন। আর এই কাজটি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কোম্পানির সাথে প্রথমে ডিল করতে হবে। তারপর আপনার ব্লগ সাইটের মাধ্যমে সেই কোম্পানিগুলোকে প্রমোট করতে হবে। আর এর বিনিময়ে এখান থেকে প্রতি মাসে খুবই ভালো পরিমাণে টাকা আর্নিং করতে পারবে।

লেখকের ইতি কথাঃ ব্লগে ট্রাফিক হচ্ছে না কেন? - ব্লগিং করে আয় করার উপায় সমূহ

সম্মানিত পাঠক, আশা করি উপরোক্ত আলোচনা গুলো থেকে ব্লগে ট্রাফিক হচ্ছে না কেন? - ব্লগিং করে আয় করার উপায় সমূহ এ বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। সারাবিশ্বে বর্তমান সময়ে মানুষ ব্লগিং শিখে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল লিখে প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে। ব্লগিং করে খুব দ্রুত সফল হওয়া যায় এবং একটু বুদ্ধি খাটিয়ে গ্রাহক/ট্রাফিক সংখ্যা বহু গুণে বাড়ানো সম্ভব এবং খুব স্বল্প পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। 

তবে এ বিষয়ে আপনাকে স্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে। তাই ব্লগে ট্রাফিক হচ্ছে না কেন? - ব্লগিং করে আয় করার উপায় সমূহ এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ে উল্লেখিত বিষয়গুলো জেনে নিলে আপনি খুব সহজেই দ্রুত সময়ে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি যদি ব্লগিং করে আপনার অবস্থানকে পরিবর্তন করতে চান তাহলে অবশ্যই ব্লগে ট্রাফিক হচ্ছে না কেন? - ব্লগিং করে আয় করার উপায় সমূহ এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে তাহলে আপনি খুব দ্রুতই সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন।

সম্মানিত পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থেকে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগের সাথে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে এ ধরনের তথ্যবহুল কার্যকরী ও উপকারী আর্টিকেল নিয়মিত পোস্ট করে থাকি। তাই আপনি যদি এ ধরনের আরও তথ্যবহুল ও উপকারী সব আর্টিকেল পড়তে চান, তাহলে অবশ্যই এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ফলো করুন। সাথে সাথে এ আর্টিকেলটি পরে ভালো লাগলে আপনার নিকট আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজনদের কাছে তাদের উপকারার্থে শেয়ার করে দিন। 

যেন তারা ব্লগে ট্রাফিক হচ্ছে না কেন? - ব্লগিং করে আয় করার উপায় সমূহ এ বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি ভালোভাবে জেনে নিতে পারে। ব্লগে ট্রাফিক হচ্ছে না কেন? - ব্লগিং করে আয় করার উপায় সমূহ এ বিষয় সম্পর্কে আপনার যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ মতামত বা প্রশ্ন থাকে, তাহলে অবশ্যই নিচে দেওয়া মতামত বক্সে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আবার আপনাদের সাথে কথা হবে নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত নিরাপদ ও সুস্থ থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কনফিডেন্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url