প্রতি মাসে ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়? - ব্লগে ট্রাফিক আনার সেরা ১১টি টিপস
আপনি কি ব্লগার একাউন্ট/ব্লগিং ওয়েবসাইটের কাজ শিখে আপনার নিজের ব্যবসাকে খুব
দ্রুততম সময়ে সফলতার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়ে স্বল্প পরিশ্রমের মাধ্যমে লক্ষ
লক্ষ টাকা ইনকাম করতে চান? তাহলে আপনার চিন্তার কোন কারণ নেই। কারণ আজকে আমাদের
এই আর্টিকেলটির মূল আলোচনায় হচ্ছে প্রতি মাসে ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়? -
ব্লগে ট্রাফিক আনার সেরা ১১টি টিপস সেই সম্পর্কে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যবহুল ও
প্রয়োজনীয় আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক!
আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটির মাধ্যমে প্রতি মাসে ব্লগিং করে কত টাকা আয়
করা যায়? - ব্লগে ট্রাফিক আনার সেরা ১১টি টিপস এ বিষয় সম্পর্কে এমন কিছু ইউনিক
ও কার্যকরী তথ্য সম্পর্কে জানাবো, যেগুলিকে কাজে লাগিয়ে আপনি খুব সহজেই মোবাইল,
কম্পিউটার বা ল্যাপটপ দিয়ে ব্লগিং করে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে
পারবেন। আপনি কি আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো জানতে চান, তাহলে
আজকের এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্যই। প্রতি মাসে ব্লগিং করে কত টাকা আয়
করা যায়? - ব্লগে ট্রাফিক আনার সেরা ১১টি টিপস এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ
সহকারে পড়ুন। তাহলে আশা করি আলোচ্য বিষয়ে বিস্তারিতভাবে নির্ভুল সব তথ্য গুলো
জানতে পারবেন। ইনশাআল্লাহ!
পেজ সূচিপত্রঃ
.
ভুমিকা
সারাবিশ্বে বর্তমান সময়ে মানুষ অনলাইন মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে ব্লগিং করে নিজ ঘরে
বসে থেকেই একটু বুদ্ধি খাটিয়ে খুব দ্রুততম সময়ে নিজের ব্যবসাকে সঠিকভাবে
পরিচালনা করে প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে। ব্লগিং ওয়েবসাইট হলো বর্তমান
সময়ে একটি ব্যবসাকে দ্রুততম সময়ে প্রতিষ্ঠিত করার ও প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা
উপার্জন করার সব থেকে জনপ্রিয় ও সহজ মাধ্যম।
তাই সারাবিশ্বে বর্তমান সময়ে মানুষ ব্লগিং শিখে অনেক মানুষই এটিকে তাদের পেশা
হিসেবে গ্রহন করে আয়ের অন্যতম উৎস বানিয়ে নিয়েছে। তাই আপনিও যদি অন্যের গোলামী
না করেই নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী মুক্ত পেশাজীবী হিসাবে ব্লগিং শিখে ঘরে বসে থেকেই
লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করে নিজেকে স্বাবলম্বী করতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে প্রতি
মাসে ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়? - ব্লগে ট্রাফিক আনার সেরা ১১টি টিপস এ
বিষয়ে পুরোপুরি ধারণা রাখতে হবে।
তাই আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি বিস্তারিতভাবে জানতে
পারবেন প্রতি মাসে ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়? - ব্লগে ট্রাফিক আনার সেরা
১১টি টিপস এ বিষয় সম্পর্কে। এছাড়াও ব্লগার একাউন্ট/ব্লগিং ওয়েবসাইট কি? ব্লগে
ট্রাফিক আনার সেরা ১১টি টিপস/ব্লগে ট্রাফিক পেতে কতদিন লাগে? ব্লগিং করে আয় করতে
কতদিন লাগে?
ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়? মোবাইল দিয়ে কি ব্লগিং করা যায়? ব্লগার নাকি
ওয়ার্ডপ্রেস কোনটা ভালো? এ বিষয়গুলো সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই
আপনি যদি প্রতি মাসে ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়? - ব্লগে ট্রাফিক আনার সেরা
১১টি টিপস সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই
কার্যকরী।
ব্লগার একাউন্ট/ব্লগিং ওয়েবসাইট কি?
ব্লগার একাউন্ট / ব্লগিং ওয়েবসাইট হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের টপিক নিয়ে ব্যক্তিগত
জ্ঞান, বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা এবং নানা ধরনের তথ্য শেয়ারের অন্যতম মাধ্যম।
সাধারণত ব্লগিং ওয়েবসাইট হচ্ছে একটি ওয়েব পেজ যেখানে সবকিছুই নিয়মিত ভাবে
আপডেট করা হয়। যারা ব্লগিং নিয়ে কাজ করে তারা তাদের ব্লগে নিজের মনের ভাব,
জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং বিভিন্ন ধরনের টপিক নিয়ে নানা ধরনের তথ্য নিজস্ব ওয়েবসাইট
বা ব্লগার একাউন্টে শেয়ার করে থাকেন।
প্রিয় পাঠক আপনি যদি মনে করেন অনলাইন থেকে আয় করবেন, তাহলে আপনি ঘরে বসে খুব
সহজে অনলাইনের মাধ্যমে ব্লগিং করে আয় করতে পারেন। ব্লগিং করার জন্য কোনরকম
ডিগ্রী অর্জন করার প্রয়োজন পড়ে না। অনেক মানুষ ব্লগিং করে অনলাইন থেকে খুবই
ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করছে এবং টাকা উপার্জন করার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে অনেক
মানুষ ব্লগিংয়ের কাজ করে অর্থ উপার্জন করছে। বর্তমান সময়ে খুবই জনপ্রিয় হয়ে
উঠেছে ব্লগিং করে ইনকাম।
অনলাইনে যতোগুলো ইনকামের মাধ্যমে রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম ইনকামের জনপ্রিয়
মাধ্যম হচ্ছে ওয়েবসাইট বা ব্লগ। কিন্তু আপনাকে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে
আপনাকে ব্লগিং সাইটে কাজ করার জন্য খুবই ধৈর্য সহকারে কাজ করতে হবে পাশাপাশি
কাজের সাথেই লেগে থাকার দৃঢ় ইচ্ছা শক্তি অবশ্যই থাকতে হবে। তাহলে আপনারা ব্লগিং
সাইটে খুব সহজেই সফলতা অর্জন করতে পারবেন। সাধারণত ব্লগিং করার জন্য দুইটি অপশন
থাকবে সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।
- নিজস্ব ওয়েবসাইটঃ যারা মূলত ডেডিকেটেড ব্লগিং করে টাকা আয় করতে চান, তাদের মূলত ব্লগিং করে আয় করার জন্য প্রথমে একটি নিজস্বও ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করতে হবে। যেখানে মূলত বিভিন্ন ধরনের দক্ষতা যেমন ডিজাইন, বিজ্ঞাপন, কাস্টমাইজেশন এবং লিংক যুক্ত করার দক্ষতা অবশ্যই থাকতে হবে। আর এর জন্য প্রথমে আপনাদের একটি ডোমেনের নাম সিলেক্ট করতে হবে। আর এর জন্য আপনাদের নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা খরচ হবে। ব্লগিং করার জন্য আপনার অবশ্যই টেকনোলজি বিষয়ে জ্ঞান থাকা আবশ্যক, নাহলে নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরির চিন্তা করা বৃথা।
- বিনামূল্যে ব্যবহৃত ব্লগিং প্ল্যাটফর্মঃ অনেক ব্যক্তিবর্গ রয়েছে যারা ব্লগিং করে টাকা আয় করতে চায় না, আপনারা যারা ব্লগিং করে টাকা আয় করতে আগ্রহী নন,তারাই মূলত এই প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে পারবেন।
ব্লগে ট্রাফিক আনার সেরা ১১টি টিপস/ব্লগে ট্রাফিক পেতে কতদিন লাগে?
বর্তমান সময়ে প্রচুর মানুষ ব্লগিং করে অর্থ উপার্জন করছেন। আর তাদের ওয়েবসাইটে
প্রচুর পরিমাণে ট্রাফিক আসে। দৈনিক প্রায় ৩-৪ হাজার ভিজিটর ওয়েবসাইট ভিজিট করে
দেয়। আবার অনেক সময় এর অধিকও হয়। এছাড়াও অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোতে
দৈনিক ২০-৩০ টি মতো ভিজিটর আসে। সাধারণত ব্লগের ইনকাম ভিজিটরের ওপর অনেকাংশে
নির্ভর করে।
তাই জন্য সকলেই চাই যেন নিজের ব্লগে ভালো পরিমাণে ভিজিটর বা ট্রাফিক আসে। যাদের
ভিজিটর বা ট্রাফিক কম তাদের ওয়েবসাইটের ইনকামও অনেক কম। তাই আপনাদের আজকে এই
আর্টিকেলটিতে কিভাবে আপনারা আপনাদের ব্লগ সাইটে ট্রাফিক বা ভিজিটর আনবেন, সেই
সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কার্যকরী টিপস দেব।
- ট্রাফিক আনুন গেস্ট পোস্ট থেকেঃ আপনারা যদি আপনাদের ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বা ভিজিটার বাড়াতে চান, সেক্ষেত্রে গেস্ট পোস্ট বা অতিথি পোস্টের কোন বিকল্প নেই। আপনি যখন অন্য কোন ওয়েবসাইটের জন্য নিজে বিভিন্ন ধরনের টপিক নিয়ে তথ্য প্রদান করে আর্টিকেল লিখে অন্যের ওয়েবসাইটে পাবলিস্ট করেন, তাহলে তখন সেটা গেস্ট পোস্ট হবে। আর গেস্ট পোস্টের মাধ্যমে ব্যাকলিংক আদান প্রদান করা যায়। এতে করে আপনার ডোমেনের অথরিটি স্কোর যেমন বাড়বে ঠিক, তেমনি আপনার ওয়েবসাইটের Rank গুগলের সার্চ করলে সবার প্রথমে প্রদর্শিত হবে। আর তাই জন্য প্রয়োজন লিংক বিল্ডিং। আর মূলত লিংক বিল্ডিং করার জন্য ইউনিক টেকনিক হচ্ছে গেস্ট পোস্ট।
- মিডিয়াম থেকে ট্রাফিক আনুনঃ আপনারা আপনাদের ব্লগিং সাইটে ট্রাফিক বা ভিজিটর বাড়ানোর জন্য মিডিয়াম থেকে রেফার ট্রাফিক আনতে পারেন। আপনারা যদি মিডিয়ামে পোস্ট করে ব্যাকলিংক আদান-প্রদান করেন। তাহলে আপনাদের ব্লগে ট্রাফিক এবং ভিজিটরের সংখ্যা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে। আর এর জন্য আপনাকে মিডিয়াম সাইটে একটি পোস্ট করতে হবে এবং সেখানে লিঙ্ক প্রদান করতে হবে। আর ব্যাকলিংক এর মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে প্রচুর ট্রাফিক পাবেন। কেউ যদি আপনার পোস্টটি পড়ে সেই লিংকে ক্লিক করে, তাহলে সেই ট্রাফিক আপনার ব্লগ সাইটে চলে যাবে।
- কিওয়ার্ড রিসার্চ এ দক্ষ হতে হবেঃ ব্লগে ট্রাফিক বা ভিজিটার বৃদ্ধির জন্য আপনাকে অবশ্যই কিওয়ার্ড রিসার্চ বিষয়ে খুবই ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আপনি যদি একটি হাই ভলিউমের কীওয়ার্ড নির্বাচন করতে পারেন এবং সেই কিওয়ার্ড দিয়ে আপনি যদি বিভিন্ন ধরনের টপিক নিয়ে কনটেন্ট লিখেন, যে সকল কিওয়ার্ড মানুষ অনলাইনে সবচেয়ে বেশি সার্চ করে, তাহলে আপনার কনটেন্ট গুলোই প্রথমে প্রদর্শিত হবে। তখন আপনি আপনার ব্লগে প্রচুর ট্রাফিক এবং ভিজিটর দেখতে পাবেন। তাই জন্য হাবিজাবি বিষয় নিয়ে কনটেন্ট না লিখে, যে সকল কিওয়ার্ডগুলো সবচেয়ে বেশি মানুষ অনলাইনে সার্চ করে সেগুলো নিয়ে কন্টেন্ট লিখুন।
- এসইও (Seo) তে দক্ষতা বাড়াতে হবেঃ আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটকে অনেক দুরে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে এসইও এক্সপার্ট হতে হবে। কেননা ব্লগে ট্রাফিক বাড়াতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসইও। আপনি আপনার কনটেন্টে যতো ভালো এসইও এর কাজগুলো করতে পারবেন, আপনার কনটেন্টগুলো গুগলে ততো ভালো প্রদর্শিত হবে। আর এর জন্য আপনাকে ওয়ান পেজ এসইও এবং অফপেজ এসইও তে এক্সপার্ট হতে হবে। আপনি যদি এসইওতে খুবই ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন, তাহলে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা কিংবা তারও অধিক টাকা ব্লগ সাইট থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
- আপনার ব্লগ সাইটের স্পিড বাড়ানঃ ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীরা যেন আপনার ওয়েবসাইটে অতি দ্রুত প্রবেশ করতে পারে এই জন্য আপনার ওয়েবসাইটের স্পিড বাড়ান। কেননা আপনার ওয়েবসাইটের গতি যদি দুই সেকেন্ড সর্বোচ্চ হয় অর্থাৎ তিন সেকেন্ডের কম হতে হবে, না হলে আপনি ট্রাফিক এবং ভিজিটর হারাবেন। ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীরা আপনার ওয়েবসাইটে যতো দ্রুত প্রবেশ করতে পারবে আপনার ট্রাফিক এবং ভিজিটরের সংখ্যা ততো বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
- হাই কোয়ালিটির কনটেন্ট লিখুনঃ প্রিয় পাঠক আপনাকে একটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে আপনি যে কনটেন্টগুলো লিখছেন সেগুলো যেন ভাল মানের, মানসম্মত কনটেন্ট হয়। নাহলে আপনি ব্লগিং সেক্টরে আপনার ক্যারিয়ার দাঁড় করাতে পারবেন না। বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট বিষয় যেমন মেটা, ডিসক্রিপশন, টাইটেল এন্ড ইমেজ হতে হবে ইউনিক ও আকর্ষণীয়। কেননা আপনার যদি টাইটেল যদি ভালো হয়, তাহলে ফার্স্ট ইম্প্রেশনে ব্যবহারকারীকে আপনার কনটেন্ট পড়ার আগ্রহ বৃদ্ধি করবে। আর তাই জন্য কোয়ালিটি সম্পন্ন কনটেন্ট লেখার চেষ্টা করুন।
- ব্লগে ট্রাফিক আনতে মার্কেটিং এ মনোযোগ দিনঃ আপনি আপনার ব্লগে যে কনটেন্ট গুলো আপলোড করবেন, সেগুলো বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া যেমন facebook, youtube, instagram ইত্যাদি জনপ্রিয় সকল সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দিন। এভাবেও আপনি মার্কেটিং করতে পারেন। আবার পেইড মার্কেটিং করতে পারেন। পেইড মার্কেটিং হচ্ছে মার্কেটিং করানোর পরিবর্তে আপনাকে অর্থ প্রদান করতে হবে।
- কনটেন্ট সম্পর্কিত ভিডিও আপলোড করুনঃ আপনি যে টপিক নিয়ে কনটেন্ট লিখবেন, সেই টপিক নিয়ে শর্টকাট ভিডিও এবং রিলস বানান। আর সেই ভিডিও আপনি আপনার ফেসবুক, ইউটিউব, instagram ইত্যাদিতে ছড়িয়ে দিন। এতে করে আপনার ট্রাফিক এবং ভিজিটরের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। ফলে অডিয়েন্স কে আপনি আপনার ব্লগের ভিজিটর হিসাবে কনভার্ট করতে পারবেন।
- ডোমেইনের অথোরিটি বাড়ানঃ Moz নামক কোম্পানি ডোমেইন অথোরিটি তৈরি করেছে। ১-১০০ পর্যন্ত ডোমেন অথোরিটি স্কোর হয়ে থাকেন। আপনি আপনার ব্লগ সাইটের কন্টেন্টের মানের ওপরে নির্ভর করে, ডোমেনের স্কোর নির্ধারণ করা হয়। এসইও এবং ব্যাকলিংক ডোমেইন অথোরিটি বাড়াতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। Moz এর ফ্রী ডোমেইন অথোরিটি চেকার টুলের মাধ্যমে আপনি আপনার ডোমেন অথরিটি চেক করতে পারেন।
- কনটেন্টের নিয়মিত আপডেট রাখুনঃ আপনি যদি আপনার ব্লগে ট্রাফিক আনতে চান, তাহলে নিয়মিত কনটেন্টের আপডেট করুন। ধরুন যে আপনি একটি কন্টেন্ট লিখেছেন ২০২৪ সালে এখন ২০২৫ সাল চলছে আপনি সেই কনটেন্টটি ২০২৪ সালে লিখেছেন, তাহলে কি ২০২৫ সালে আপনার কন্টেনটি কোন ভিজিটর বা ট্রাফিক পড়বে? তাই জন্য নিয়মিত কন্টেন্টের আপডেট করুন। আপনার ব্লগ সাইটে প্রকাশিত কনটেন্টে কিছু তথ্য বর্তমানে পরিবর্তন করতে হলে, অতি দ্রুত পরিবর্তন করুন এবং নতুন তথ্য যুক্ত করুন। তাহলে ভিজিটরের কাছে আপনার ব্লগের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।
- বিভিন্ন গ্রুপ ও ফোরামে অংশগ্রহণ করুনঃ আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক এবং ভিজিটর এর সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ফোরামে অংশগ্রহণ করতে পারেন। কেননা সেখানে বিভিন্ন ধরনের মানুষ বিভিন্ন টপিক নিয়ে হাজার হাজার প্রশ্ন করে থাকে এবং তার উত্তর ও সেখানে তারা পেয়ে যায়। আর আপনার সেখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হবে কেউ যদি সেখানে কোন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করে আপনি সাথে সাথে আপনার সেই বিষয়ে লিখা কনটেন্ট এর লিংক তাকে দিয়ে দেবেন। তবে আপনাকে একটি বিষয়ে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে বিষয়ে রিলেটেড আপনাকে প্রশ্ন করবে সে বিষয়ে রিলেটেড আপনাকে লিংক প্রদান করতে হবে না হলে ব্লক/ ব্যান হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এছাড়াও আপনি ফেসবুকের বিভিন্ন কমিউনিটি গ্রুপ গুলোতে আপনি আপনার পোস্টের লিঙ্ক প্রদান করতে পারেন।
ব্লগিং করে আয় করতে কতদিন লাগে?
অনলাইন থেকে ব্লগিং করে টাকা আয় করার কোন নির্দিষ্ট পরিমাণ নেই। আপনি ব্লগিং
থেকে কত টাকা আয় করবেন, সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনি কোন উপায়ে অর্থ উপার্জন
করছেন তার ওপর। যেমন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, এডসেন্স, ডিজিটাল মার্কেটিং,
গ্রাফিক্স ডিজাইন বা অন্যান্য কিছু। অনেকেই এই সবগুলো পদ্ধতি ব্যবহার করার
মাধ্যমে অনলাইন থেকে প্রচুর অর্থ উপার্জন করছে। ম্যাক্সিমাম বাংলা ব্লগ সাইট
গুলোতে প্রতিমাসে ১০০-২০০ ডলার পর্যন্ত আয় হয়ে থাকেন।
তবে অনেক ব্লগার রয়েছে যারা প্রতি মাসে ১০০০ ডলারেরও বেশি আয় করে। আয়টা
নিতান্তই নির্ভর করবে আপনি কোন কাজটি করছেন তার ওপর। অনলাইনে ইনকাম করার
নির্দিষ্ট কোন পরিমান হয় না। তবে যারা ইংরেজিতে ব্লগ লিখে তাদের ইনকাম বাংলা
ব্লগারদের চেয়ে আরও বেশি। যারা ইংরেজি ব্লগ লিখে তারা প্রতি মাসে ৩০০-৬০০ ডলার
পর্যন্ত আয় করে থাকেন। আবার অনেক ব্লগার রয়েছে,
যারা তাদের একাধিক ব্লগ সাইট থেকে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করে থাকেন। প্রিয় পাঠক
আপনি যদি বাংলায় ব্লগিং করতে চান, তাহলে আপনি আপনার ব্লগ সাইটে প্রতিদিন নিয়মিত
কনটেন্ট পাবলিস্ট করবেন। তাহলে আপনি ৫-৬ মধ্যে নিজেই রেজাল্ট বুঝতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি বাংলায় ব্লগিং করে কত টাকা ইনকাম করবেন তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে
আপনার দক্ষতা এবং ব্লগের জনপ্রিয়তা পাশাপাশি ব্লগের বিষয়বস্তু এবং ব্লগের
বিজ্ঞাপন দাতার উপর।
একজন ব্লগার প্রতি মাসে ১০০০-১০০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করে থাকেন, আবার অনেক ব্লগার
রয়েছে প্রতি মাসে ব্লগ সাইট থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে থাকেন। বাংলা ব্লগ
সাইট থেকে আরও বেশি আয় করার জন্য নিম্নলিখিত টিপস গুলি ফলো করতে পারেন।
- আপনি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আকর্ষণীয় বিষয়বস্তু নির্বাচন করবেন।
- আপনার ব্লগ টি যেন তথ্যবহুল এবং মানসম্পন্ন হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।
- আপনার ব্লগের অডিয়েন্সদের আগ্রহের সাথে মিল রেখে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করবেন।
- এছাড়াও আপনি আপনার ব্লগে ই-কমার্স স্টোর চালু করতে পারেন।
- আপনি আপনার ব্লগ থেকে টাকা আয় করার জন্য অন্যান্য উপায় যেমন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বা স্পন্সারশিপ বেছে নিতে পারেন।
ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়?
প্রিয় পাঠক আপনি যদি ভেবে থাকেন আপনি আপনার ক্যারিয়ার হিসাবে ওয়েবসাইটে ফুল
টাইম ব্লগিং শুরু করবেন? তাহলে হয়তো এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে ,তাহলে
ব্লগিং করে মাসে কত টাকা আয় করা যায়? ব্লগিং করে মাসে কত টাকা আয় করা যায় এই
সম্পর্কে আপনাদের আজকে বিস্তারিত জানাবো। ব্র্যান্ডের সাথে অংশীদারিত্ব থেকে
ডিজিটাল পণ্য ও সার্ভিস প্রদানের মাধ্যমে ব্লগাররা কিভাবে বিভিন্ন উপায়ে টাকা
আয় করে থাকে, এর সকল বিষয়ে আপনাদের বিস্তারিত জানাবো। নিম্নে সেগুলো উল্লেখ করা
হলো।
- ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রিঃ প্রিয় পাঠক আপনার যদি নিজস্ব কোন প্রোডাক্ট থেকে থাকে, আর আপনার প্রোডাক্ট এর গুণগত মান যদি খুবই ভালো এবং উন্নত হয় পাশাপাশি গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী হয়, তাহলে আপনি আপনার সেই প্রোডাক্ট বিক্রয়ের মাধ্যমে প্রতি মাসে ১০ হাজার থেকে শুরু করে এক লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। আবার এর অধিক আয় করতে পারেন।
- সার্ভিস প্রদানঃ আপনি যদি আপনার ব্লগের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস প্রদান করে থাকেন, তাহলে সেখান থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে কমিশন পাবেন। আর এখান থেকে প্রতি মাসে ২০-৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত অনায়াসে আয় করতে পারবেন।
- বিজ্ঞাপনঃ প্রতি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রতি এক হাজার ভিউ বা ক্লিকের উপর নির্ভর করে গুগল এডসেন্স অর্থ প্রদান করে থাকে। আর এর মাধ্যমে আপনারা প্রতি মাসে ১৫-২০ হাজার টাকা খুব সহজে আর্নিং করতে পারবেন। আর ইনকামটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে ট্রাফিকের উপর, যে আপনার কত ইনকাম হবে ব্লগিং সাইট থেকে।
- স্পন্সারশিপ এবং পেইড পোস্টঃ যে কোন কোম্পানি যদি আপনার ব্লগার পোস্টের মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের প্রচার-প্রচারণা করাই তাহলে সেখান থেকে এর বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তাদের প্রোডাক্টের প্রচার-প্রচারণার জন্য আপনি কত টাকা নিবেন সেটা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করবে। তবে এই কাজ করে আপনারা ১০-২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ আপনি যদি আপনার ব্লগ পোস্টে অন্য কারো প্রোডাক্ট এর লিংক যুক্ত করে থাকেন এবং প্রোডাক্ট এর বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস প্রদান করে থাকেন, তাহলে তাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। আপনি যে অ্যাফিলিয়েট লিংকটি আপনার ব্লগ সাইটে শেয়ার করবেন, সেই লিংকের মাধ্যমে যতগুলো প্রোডাক্ট বিক্রি হবে, তার ওপর নির্ভর করে আপনি সেখান থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে কমিশন পাবেন।
প্রিয় পাঠক এছাড়াও আপনি ব্লগ সাইট থেকে কত টাকা আয় করবেন, নিতান্তই সেটা
নির্ভর করে আপনার ব্লগের উপর পাশাপাশি ট্রাফিক এবং মনিটাইজেশন ও স্ট্র্যাটিজির
ওপর। আপনি যদি ব্লগ সাইট থেকে খুবই ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে চান, তাহলে আপনাকে
মানসম্মত পাশাপাশি তথ্যবহুল কনটেন্ট লিখতে হবে। আপনার কনটেন্ট এর প্রতি পাঠকদের
আগ্রহ বৃদ্ধি করতে হবে। তাহলে আপনি ব্লগ সাইট থেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারেন।
মোবাইল দিয়ে কি ব্লগিং করা যায়?
বর্তমান সময়ে ব্লগিং করে প্রতি মাসে খুবই ভালো পরিমাণে ইনকাম করা যায়। অনেকেই
জানে না মোবাইল দিয়েও ঘরে বসে খুব সহজে ব্লগিং করা আয় করা সম্ভব। মোবাইল যেহেতু
খুবই ছোট একটি ডিভাইস কম্পিউটারের চেয়ে তাই জন্য মোবাইলে ব্লগিং করতে একটু বেশি
সময়ের প্রয়োজন লাগবে। আপনারা এমন কিছু ইউনিক ও কার্যকরী কৌশল অবলম্বন করার
মাধ্যমে খুব সহজে মোবাইল দিয়ে ব্লগিংয়ের সকল কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।
- প্রথম ধাপ,ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবেঃ আপনি আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে খুব সহজেই ব্লগিং শুরু করতে পারবেন। আর ব্লগ সাইট শুরু করার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করতে হবে। কিন্তু মোবাইলে ব্লগ সাইট তৈরি করতে একটু সময় বেশি লাগবে।
- দ্বিতীয় ধাপ,থিম কাস্টমাইজ করতে হবেঃ এরপর একপর্যায়ে আপনাকে একটি ভালো মানের প্রিমিয়াম থিম যেমন ওয়েবসাইট দেখতে কি রকম হবে, ব্লগের বিভিন্ন ধরনের ছবি কিভাবে প্রদর্শিত হবে,পোষ্টের ক্যাটাগরি কোনটা কোথায় অবস্থান করবে, একটি পেজে কয়টি পোস্ট শো করবে, বিজ্ঞাপন কোন কোন জায়গায় বসাবেন ইত্যাদি কাস্টমাইজ করতে হবে। এরপর ব্লগিং ওয়েবসাইটের জন্য একটি লোগো নির্বাচন করতে হবে। লোগোটি এমন হতে হবে যেন আপনার ওয়েবসাইটের ব্লগের ফেবিকন হিসেবে ব্যবহার করবেন পাশাপাশি হেডার সেকশন সুন্দরভাবে লোগো তৈরি করতে হবে পাশাপাশি সেখানে আপনার সাইটের নাম প্রদর্শিত করাবেন। তাহলে আপনার ওয়েবসাইট অনেকটাই প্রফেশনাল ওয়েবসাইটের মতো মনে হবে। আপনার ব্লগ সাইট আপনি যদি সঠিকভাবে কাস্টমাইজ করতে পারেন, তাহলে খুব সহজেই আপনার ওয়েবসাইটকে আপনি দাঁড় করাতে পারবেন। কেননা কথায় আছে আগে দর্শনধারী তারপর গুনবিচারি। তেমনি আগে ওয়েবসাইট সুন্দর করে সাজাতে হবে, তারপর সুন্দর সুন্দর মানসম্মত তথ্যবহুল কনটেন্ট লিখে পাবলিস্ট করতে হবে।
- তৃতীয় ধাপ মানসম্মত আর্টিকেল পাবলিস্ট করতে হবেঃ আপনি যদি আপনার ব্লগিং ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রতিদিন নিয়মিত আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখে পাবলিস্ট করতে হবে। প্রত্যেকটি আর্টিকেল শুরু থেকে ২০০০ ওয়ার্ড এর উপরে লেখার চেষ্টা করবেন এবং আপনার আর্টিকেলটি যেন তথ্যবহুল হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। ওয়েবসাইটের মান ঠিক রাখার জন্য সব সময় মানসম্মত এবং তথ্যবহুল আর্টিকেল লিখবেন। কখনো আপনার ওয়েবসাইটের আর্টিকেলে ভুল তথ্য প্রদান করবেন না। আপনার প্রত্যেকটি আর্টিকেলে ছবি ব্যবহার করবেন এবং প্রত্যেকটি আর্টিকেল পরিশুদ্ধ ভাষায় লেখার চেষ্টা করবেন। এছাড়াও আপনি অন্যের আর্টিকেল কখনোই কপি করে পোস্ট করবেন না। কেননা আপনি যদি অন্যের আর্টিকেল কপি করেন, তাহলে আপনি মনিটাইজেশন দ্রুত পাবেন না। এজন্য মানসম্মত আর্টিকেল লিখতে একটু দেরি হলেও সবকিছু সুন্দরভাবে নিজে লেখার চেষ্টা করবেন। তাহলে আপনি ব্লগ সাইটে দ্রুত সফলতা পাবেন।
- চতুর্থ ধাপ, সার্চ কনসাল ও এনালাইটিক্স সেটআপ করতে হবেঃ আপনাকে কিছু মানসম্মত ও তথ্যবহুল আর্টিকেল লিখে আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিস্ট করতে হবে। এরপর google সার্চ কনসোল পাশাপাশি google এনালাইটিক্স একাউন্ট খোলার পর আপনার ওয়েবসাইটের সঙ্গে সংযুক্ত করবেন। এতে করে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটররা তথ্য দেখতে পাবে। তাহলে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে কতজন ভিজিট করে গেল, কোন জায়গা থেকে আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করছে, কোন দেশ থেকে আপনার ওয়েবসাইট সার্চ করছে, সবকিছুই দেখতে পাবেন। আপনি যদি অডিয়েন্সদের চাহিদা অনুযায়ী আর্টিকেল লিখেন, তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটরের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকবে। আর এই সকল কাজ আপনি আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে খুব সহজে সম্পন্ন করতে সক্ষম হবেন।
- পঞ্চম ধাপ, google নিউজ অ্যাপ্রভাল করতে হবেঃ ব্লগিং করে দ্রুত টাকা আয় করার জন্য আপনার পোস্টগুলো যেন দ্রুত ইনডেক্স হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। দ্রুত পোস্ট ইনডেক্স করার জন্য পাশাপাশি google থেকে ভিজিটর বেশি পাওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি যেটা প্রয়োজন সেটা হলো google নিউজ অ্যাপ্রভাল। আর এটি পাওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে আবেদন করতে হবে। আর এটি আবেদন করার জন্য ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও রয়েছে সেগুলো দেখেই আপনারা আবেদন করতে পারেন। মূলত সার্চ কনসলে গুগল নিউজ নামক একটি অপশন আপনি খুব সহজে পেয়ে যাবেন। আর এটি পেলে আর্টিকেলগুলো দ্রুত ইনডেক্স হবে। ফলে আপনার আর্টিকেলগুলো পাবলিস্ট হওয়ার পরপরই খুবই অল্প সময়ে আপনার আর্টিকেল ইনডেক্স হয়ে যাবে।
- ষষ্ঠ ধাপে, নিয়মিত আর্টিকেল লিখে পাবলিস্ট করতে হবেঃ আপাতত আপনি যে কাজগুলো উপরোক্ত সম্পন্ন করেছেন এগুলো যদি করতে পারেন, তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের কাজ আপাতত শেষ। এখন আপনাকে কিওয়ার্ড রিসার্চ করে পাশাপাশি এসইও সম্পর্কে খুবই ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করে ওয়েবসাইটের এসইওর কাজ খুবই ভালোভাবে সম্পন্ন করে আর্টিকেল লিখে নিয়মিত পাবলিস্ট করতে হবে। আপনি যদি প্রতিদিন নিয়মিত মোট ৫০-৬০টি আর্টিকেল পাবলিস্ট করতে পারেন, বিভিন্ন টপিক নিয়ে পাশাপাশি বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্যাক লিংক এর মাধ্যমে এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে গুগল সার্চ কনসোল এবং গুগল এনালিটিক্স, তাহলে খুবই ভালো পরিমানে ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করবে।
ব্লগার নাকি ওয়ার্ডপ্রেস কোনটা ভালো?
মালিকানা বা (Ownership)
- ওয়ার্ডপ্রেস এর মালিকঃ আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে কাজ করেন, তাহলে আপনি ওয়ার্ডপ্রেসের প্রত্যেকটা জিনিসেরই মালিক। ওয়ার্ডপ্রেসে আপনি যে ডাটাগুলো স্টোর করবেন, তার জন্য আপনাকে আলাদা করে হোস্টিং ক্রয় করতে হবে। আপনি আপনার ওয়েবসাইটে যা খুশি তা সেটআপ করতে পারেন, যেখানে যেভাবে সাজাতে মন চায় আপনি ওয়ার্ডপ্রেসে আপনি সেভাবেই কাস্টমাইজ করতে পারবেন। এছাড়াও আপনাকে নিজের টাকা ব্যয় করে ওয়ার্ডপ্রেসের ডোমেইন ক্রয় করতে হবে। আপনি চাইলে নানা ধরনের প্লাগিন থিম নিজেই নিজের ইচ্ছামত ব্যবহার করতে পারবেন। মোটকথা ওয়ার্ডপ্রেস এর সকল কিছুর মালিকানা আপনি নিজেই করতে পারবেন। আপনি আপনার য়ার্ডপ্রেসের নিজেই মালিক।
- ব্লগারের মালিকঃ সাধারণত গুগল হচ্ছে ব্লগারের সবকিছুর মালিক। ব্লগারের সবকিছুই গুগল নিজে পরিচালিত করে থাকেন। মূলত ব্লগার হচ্ছে গুগলেরই একটি প্রোডাক্ট মাত্র। আপনি যদি ব্লগারে একটি সাইট তৈরি করেন,তাহলে সেখান থেকে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু এখানে একটি বিষয় আপনাকে মাথায় রাখতে হবে আপনি ইনকাম করতে পারবেন, কিন্তু আপনি সেখানকার মালিক নন। google যদি চাই আপনার সাইটকে যে কোন সময় ব্যান্ড করে দিতে পারবে।
কাস্টমাইজেশন (Customization)
- ওয়ার্ডপ্রেস কাস্টমাইজঃ প্রিয় পাঠক আপনি ওয়ার্ডপ্রেসে আপনি আপনার নিজের ইচ্ছা এবং পছন্দ অনুযায়ী নিজেই কাস্টমার করতে পারবেন। কেননা ওয়ার্ডপ্রেসের মালিক আপনি নিজেই। আপনি নিজেই কোডিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন পাশাপাশি বিভিন্ন থিম ব্যবহার করে আপনার ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি চাইলে বিভিন্ন ধরনের প্লাগিন ব্যবহার করতে পারবেন।
- ব্লগার কাস্টমাইজঃ প্রিয় পাঠক আপনি ব্লগারে আপনার পছন্দমত কাস্টমাইজ করতে পারবেন না। কেননা ব্লগারের কাস্টমাইজ করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট দিক মালা রয়েছে। শুধু আপনি চাইলে HTML এবং CSS ব্যবহারের মাধ্যমে কাস্টমাইজ যেটুকু করা যায়, সেটুকুই করতে পারবেন এর বেশি করতে পারবেন না। কেননা আপনি ব্লগার সাইটের মালিক নন। ব্লগার সাইটের কাস্টমাইজেশন অতটাও খারাপ না মোটামুটি মানের ভালো।
কন্ট্রোল প্যানেল (Control Panel)
প্রিয় পাঠক আপনি ব্লগারের কন্ট্রোল নিজে করতে পারবেন না। কেননা ব্লগার হচ্ছে
গুগলের নিজস্ব প্রোডাক্ট, তাই জন্য আপনি ব্লগারকে নিজে পরিচালিত করতে পারবেন না।
কিন্তু আপনি ওয়ার্ডপ্রেস কে নিজে পরিচালিত করতে পারবেন। কেননা ওয়ার্ডপ্রেসের
মালিক আপনি নিজেই। কন্ট্রোলের দিক দিয়ে ওয়ার্ডপ্রেস এগিয়ে।
নিরাপত্তায় ব্লগার নাকি ওয়ার্ডপ্রেস
- প্রিয় পাঠক আপনি যদি একটি ওয়েবসাইট অনলাইনে ক্রিয়েট করেন, তাহলে সেটা সিকিউরিটি অবশ্যই আগে দরকার। কেননা আপনার ওয়েবসাইট যেন কেউ হ্যাক করতে না পারে, সেজন্য সিকিউরিটি আবশ্যক। আবার ব্লগার সিকিউরিটির দিক দিয়ে এগিয়ে। কেননা গুগলের প্রোডাক্ট হচ্ছে ব্লগার, আর তাই জন্যই এর সিকিউরিটি অনেক বেশি। গুগল নিজের সিকিউরিটি প্রধান করবে। শুধু আপনাকে একটি বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে সেটি হচ্ছে আপনার ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড যেন কেউ জানতে না পারে এবং ফরমেট করতে না পারে, সেদিকে আপনাকে বিশেষ ভাবে নজর রাখতে হবে।
- আবার সিকিউরিটির দিক দিয়ে একটি উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস। কেননা সেখানে আপনাকে কেউ সিকিউরিটি প্রদান করবে না। আপনি যদি ব্লগারের মতো সিকিউরিটি আপনার ওয়েবসাইটে দিতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে অর্থ ব্যয় করে সিকিউরিটি কিনে নিতে হবে। অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের প্লাগিন রয়েছে সেগুলোতে যদি আপনি অর্থ প্রদান করেন, তাহলে খুব সহজে সিকিউরিটি কিনে নিয়ে আপনার ওয়ার্ডপ্রেসে যোগ করতে পারবেন। কিন্তু এখানে একটি বিষয় হচ্ছে ব্লগার সাইটে সিকিউরিটি প্রদানের জন্য কোনরকম অর্থ প্রদান করা লাগে না। আর আপনি যখন ওয়ার্ডপ্রেসে সিকিউরিটি নিজে প্রদান করবেন। তখন সেটা প্লাগিনের কাছ থেকে ধাপে ধাপে কিনে অর্থ প্রদান অবশ্যই করা লাগবে। সিকিউরিটি দিক দিয়ে ব্লগার সবচাইতে বেশি এগিয়ে আছে। কেননা ব্লগারের google ফ্রিতে সিকিউরিটি প্রদান করে।
অটো টুল বা বিভিন্ন ধরনের প্লাগিন
প্রিয় পাঠক অটো টুল হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের প্লাগিন, যা আপনার ওয়েবসাইটে আপনার
অনুপস্থিতিতে আপনার ওয়েবসাইটের সকল কাজ পরিচালিত করে যাবে। যেমন এসইও এর কাজ করে
দেবে, ব্যাকলিংক তৈরি করতে সাহায্য করবে ইত্যাদি। ওয়ার্ডপ্রেসে আপনি বিভিন্ন
ধরনের প্লাগিন পেয়ে যাবেন। কিন্তু অর্থের বিনিময়ে ক্রয় করতে হবে। আবার ব্লগার
এ আপনারা কোন ধরনের টুল ব্যবহার করতে পারবেন না। শুধু ডিফল্ট ব্লগার ব্যবহার করতে
পারবেন। এছাড়া কিছুই ব্লগার সাইটে ব্যবহার করতে পারবেন না।
- ফিউচার প্ল্যানঃ অনলাইনে অনেক ব্লগার রয়েছে, যারা প্রথমে ব্লগ সাইট দিয়ে শুরু করে পরবর্তী সময়ে ওয়ার্ডপ্রেসে গিয়ে কাজ করছে। কেননা ওয়ার্ডপ্রেসে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এই কারণে মানুষ ব্লগারের থেকে ওয়ার্ডপ্রেস এ কাজ করতে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে। আপনি যদি মনে করেন, আপনি ব্লগ আরে কাজ করবেন না ওয়ার্ডপ্রেসে কাজ করবেন সেক্ষেত্রে আপনি আপনার সাইটটি ওয়ার্ডপ্রেসে স্থানান্তর করতে পারবেন। ব্লগার এ আপনি আপনার ওয়েবসাইট যেভাবে কাস্টমার করবেন ওয়ার্ডপ্রেসে গিয়ে সেরকম ওয়েবসাইট পাবেন না সবকিছু ওলট-পালট হয়ে যাবে। এছাড়া আপনি যতো ধরনের এসইও এর কাজ করবেন, সবকিছুই নষ্ট হয়ে যাবে আবার আপনাকে নতুন করে সব কাজ শুরু করতে হবে। আপনি চাইলে ব্লগারের কাজ করতে পারেন, আবার আপনি চাইলে ওয়ার্ডপ্রেসে কাজ করতে পারেন সেটা নিতান্তই আপনার উপর নির্ভর করছে। ব্লগার সাইট যে এতো একেবারে খারাপ সেরকম কিছু না, আপনি যদি ভালো ভালো কনটেন্ট ক্রিয়েট করেন, মানসম্মত তথ্যবহুল কনটেন্ট লিখে পাবলিস্ট করেন, তাহলে আপনার যেকোন সাইটে সফলতা লাভ করতে পারবেন। মূলত আপনার কাজের ধরনের উপরেই আপনার সফলতা নির্ভর করছে।
- এডসেন্সঃ অনেক ব্যক্তিবর্গের রয়েছে যারা মনে করে ব্লগার এ অতি দ্রুত এডসেন্স অ্যাপ্রভাল হয়। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। আপনি যদি মানসম্মত এবং তথ্যবহুল কনটেন্ট প্রতিদিন নিয়মিত আপনার ব্লগের সাইটে পাবলিস্ট করেন, তাহলে অতি দ্রুতই এডসেন্স পাবেন। আপনি ব্লগার কিংবা ওয়ার্ডপ্রেস যেটাই করুন না কেন আপনাকে আপনার কনটেন্ট মানসম্মত এবং তথ্যবহুল লিখতে হবে। তাহলে সফল হতে পারবেন।
লেখকের ইতি কথাঃ প্রতি মাসে ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়? - ব্লগে ট্রাফিক আনার সেরা ১১টি টিপস
সম্মানিত পাঠক, আশা করি উপরোক্ত আলোচনা গুলো থেকে প্রতি মাসে ব্লগিং করে কত টাকা
আয় করা যায়? - ব্লগে ট্রাফিক আনার সেরা ১১টি টিপস এ বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি
বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। সারাবিশ্বে বর্তমান সময়ে মানুষ ব্লগিং শিখে একটু
বুদ্ধি খাটিয়ে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসাকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করে প্রতিমাসে লক্ষ
লক্ষ টাকা আয় করছে। ব্লগিং করে খুব দ্রুত সফল হওয়া যায় এবং একটু বুদ্ধি খাটিয়ে
গ্রাহকদের সংখ্যা বহু গুণে বাড়ানো সম্ভব এবং খুব স্বল্প পরিশ্রমের মাধ্যমে
প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। তবে এ বিষয়ে আপনাকে স্পষ্ট ধারণা রাখতে
হবে।
তাই প্রতি মাসে ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়? - ব্লগে ট্রাফিক আনার সেরা ১১টি
টিপস এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ে উল্লেখিত বিষয়গুলো জেনে নিলে আপনি খুব সহজেই
দ্রুত সময়ে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি যদি ব্লগিং করে
আপনার অবস্থানকে পরিবর্তন করতে চান তাহলে অবশ্যই প্রতি মাসে ব্লগিং করে কত টাকা
আয় করা যায়? - ব্লগে ট্রাফিক আনার সেরা ১১টি টিপস এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে
পড়তে হবে তাহলে আপনি খুব দ্রুতই সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন।
সম্মানিত পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থেকে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগের সাথে
পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে এ ধরনের তথ্যবহুল
কার্যকরী ও উপকারী আর্টিকেল নিয়মিত পোস্ট করে থাকি। তাই আপনি যদি এ ধরনের আরও
তথ্যবহুল ও উপকারী সব আর্টিকেল পড়তে চান, তাহলে অবশ্যই এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত
ফলো করুন। সাথে সাথে এ আর্টিকেলটি পরে ভালো লাগলে আপনার নিকট আত্মীয়,
বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজনদের কাছে তাদের উপকারার্থে শেয়ার করে দিন।
যেন তারা প্রতি মাসে ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়? - ব্লগে ট্রাফিক আনার সেরা
১১টি টিপস এ বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি ভালোভাবে জেনে নিতে পারে। প্রতি মাসে ব্লগিং
করে কত টাকা আয় করা যায়? - ব্লগে ট্রাফিক আনার সেরা ১১টি টিপস এ বিষয় সম্পর্কে
আপনার যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ মতামত বা প্রশ্ন থাকে, তাহলে অবশ্যই নিচে দেওয়া
মতামত বক্সে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আবার আপনাদের সাথে কথা হবে নতুন কোন আর্টিকেল
নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত নিরাপদ ও সুস্থ থাকুন।
কনফিডেন্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url