প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করার নিশ্চত ও কার্যকরী ২০টি উপায়
আপনি কি স্বল্প পরিশ্রমে অল্প মেধা খাটিয়ে খুব সহজেই প্রতিদিন ১০০০ টাকা বা এর
থেকেও বেশি টাকা ইনকাম করতে চান? তাহলে আপনার চিন্তার কোন কারণ নেই। কারণ আজকে
আমাদের এই আর্টিকেলটির মূল আলোচনায় হচ্ছে প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করার নিশ্চত ও
কার্যকরী ২০টি উপায় সেই সম্পর্কে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যবহুল ও প্রয়োজনীয়
আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক!
আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটির মাধ্যমে প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করার নিশ্চত
ও কার্যকরী ২০টি উপায় এ বিষয় সম্পর্কে এমন কিছু ইউনিক ও কার্যকরী তথ্য সম্পর্কে
জানাবো, যেগুলিকে কাজে লাগিয়ে আপনি খুব সহজেই প্রতিদিন ১০০০ টাকা আর এর থেকেও
বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি কি আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো
জানতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্যই। প্রতিদিন ১০০০ টাকা
ইনকাম করার নিশ্চত ও কার্যকরী ২০টি উপায় এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে
পড়ুন। তাহলে আশা করি আলোচ্য বিষয়ে বিস্তারিতভাবে নির্ভুল সব তথ্য গুলো জানতে
পারবেন। ইনশাআল্লাহ!
পেজ সূচিপত্রঃ
.
ভুমিকা
সারাবিশ্বে বর্তমান সময়ে মানুষ অনলাইন মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন উপায়ে নিজ
ঘরে বসে থেকে কিংবা অল্প পরিশ্রম করে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে কিছু কার্য করে উপায়
অবলম্বন করে প্রতিদিন ১০০০ টাকা বা এর থেকেও অনেক বেশি টাকা আয় করছে। অনলাইন
সিস্টেম হলো বর্তমান সময়ে কিছু উপায় ও পদ্ধতি অবলম্বন করে খুব সহজেই টাকা উপার্জন
করার সব থেকে জনপ্রিয় ও সহজ মাধ্যম।
তাই সারাবিশ্বে বর্তমান সময়ে মানুষ কিছু কার্যকরী উপায় শিখে অনেক মানুষই এটিকে
তাদের পেশা হিসেবে গ্রহন করে আয়ের অন্যতম উৎস বানিয়ে নিয়েছে। তাই আপনিও যদি
অন্যের গোলামী না করেই নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী মুক্ত পেশাজীবী হিসাবে কার্যকরী
উপায় শিখে ঘরে বসে থেকে কিংবা ঘরের বাইরে গিয়ে অল্প পরিশ্রম করে লক্ষ লক্ষ টাকা
আয় করে নিজেকে স্বাবলম্বী করতে চান,
তাহলে অবশ্যই আপনাকে প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করার নিশ্চত ও কার্যকরী ২০টি উপায়
এ বিষয়ে পুরোপুরি ধারণা রাখতে হবে। তাই আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ
সহকারে পড়লে আপনি বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করার
নিশ্চত ও কার্যকরী ২০টি উপায় এ বিষয় সম্পর্কে। এছাড়াও ডাটা এন্ট্রি করে ১০০০
টাকা ইনকাম, অনলাইন এডুকেটর বা অনলাইনে শিক্ষকতা করে ইনকাম,
ভার্চুয়াল সহকারী / অ্যাসিস্ট্যান্ট হয়ে ইনকাম, কনটেন্ট রাইটিং করে প্রতিদিন
১০০০ টাকা ইনকাম, সোস্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হয়ে ইনকাম, ট্রান্সক্রিপশনিস্ট করে
ইনকাম, ট্রান্সলেটরস হিসেবে কাজ করে প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম, মাইক্রো জবস করে
প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম, অনলাইন কোর্স বিক্রয় করে প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম,
ভার্চুয়াল বুককিপার করে ইনকাম, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রতিদিন ১০০০ টাকা
ইনকাম, ভ্লগিং করে ইনকাম,
Beta Testing করে ইনকাম, অনলাইন সার্ভে করে ইনকাম, ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতিদিন
১০০০ টাকা ইনকাম, অনলাইন খাদ্য ব্যবসা করে ইনকাম, প্রুফরিডিং করে ইনকাম, ইউটিউবার
বা ইউটিউবিং করে ইনকাম, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে ইনকাম এ বিষয়গুলো সম্পর্কেও
বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই আপনি যদি প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করার নিশ্চত ও
কার্যকরী ২০টি উপায় সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য
খুবই কার্যকরী।
প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করার নিশ্চত ও কার্যকরী ২০টি উপায়
সাধারণত বর্তমান সময়ে এই আধুনিক যুগে প্রায় সকল মানুষের হাতে হাতে স্মার্টফোন।
প্রিয় পাঠক আপনারা কি জানেন আপনাদের হাতে থাকা স্মার্টফোন ব্যবহার করে ঘরে বসে
খুব সহজে স্মার্টফোন ব্যবহার করে বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে অনলাইন প্লাটফর্ম
থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও আপনারা আপনাদের পেমেন্ট বিকাশে কিংবা নগদের
মাধ্যমে খুব সহজেই নিতে পারবেন।
আপনারা যদি ঘরে বসে খুব সহজে প্রতিদিন হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে চান,
সেক্ষেত্রে আপনাদের অবশ্যই অনলাইন সম্পর্কে খুবই ভালোভাবে ধারণা রাখতে হবে।
এছাড়াও আপনারা যদি ঘরে বসে ইনকাম করতে চান, সেক্ষেত্রে একটি স্মার্টফোন কিংবা
কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ অবশ্যই লাগবে। বর্তমান সময়ে দৈনিক ১০০০ টাকা ইনকাম করার
বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে,
তবে মজার বিষয় হচ্ছে আপনি এই কাজ গুলো আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন কিংবা
কম্পিউটারের মাধ্যমে অনলাইন সেক্টরের নানা ধরনের কাজ সম্পন্ন করে টাকা ইনকাম করতে
পারবেন। মূলতো আমরা আজকের এই আর্টিকেলটি এমনভাবে সাজিয়েছি যে এই কাজ গুলো করে
আপনি খুব সহজেই ঘরে বসে অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে খুবই ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন
করতে সক্ষম হবেন। প্রিয় পাঠক তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক প্রতিদিন ১০০০ টাকা
ইনকাম করার ২০টি উপায় সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।
ডাটা এন্ট্রি করে ১০০০ টাকা ইনকাম
বর্তমান সময়ে আজকাল সকল কোম্পানি এক বা অন্য যেকোনো আকারে ডাটা নিয়ে কাজ করছেন।
সাধারণত কোম্পানি গুলো যেহেতু প্রতিদিন ডাটা পাঠায় এবং গ্রহণ করে এজন্য ডাটা
পরিচালনা করতে পারে এরকম ব্যক্তিদের গুরুত্ব খুবই বেশি পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।
বর্তমান সময়ে ডাটা এন্ট্রি অনলাইনের জনপ্রিয় কাজ গুলোর মধ্যে একটি, যা বেশিরভাগ
কোম্পানি আউটসোর্স করে থাকেন।
প্রিয় পাঠক আপনি যদি ডাটা এন্ট্রি করে দৈনিক ১০০০ টাকা ইনকাম করতে চান,
সেক্ষেত্রে আপনার সেরকম কোন দক্ষতার প্রয়োজন নেই। এখানেও অতো খাটাখাটনিও নেই,
আপনাকে শুধু কাজটা ভালোভাবে বুঝে তারপর কিছুটা দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তাহলে আপনি
ডাটা এন্ট্রির কাজ খুবই ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন। ডাটা এন্ট্রি করার জন্য
আপনার একটি স্মার্ট ফোন কিংবা কম্পিউটার প্রয়োজন হবে পাশাপাশি ভালো ইন্টারনেট
সংযোগ ব্যবস্থা থাকতে হবে।
এছাড়াও ডাটা এন্ট্রি করার জন্য কম্পিউটার বিষয়ে বেসিক ধারণা পাশাপাশি টাইপিং
বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। তাহলে আপনি ডাটা এন্ট্রি কাজ করে প্রতিদিন খুব সহজেই ১০০০
টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। অনলাইন প্লাটফর্মে যে সকল কাজ রয়েছে সেগুলোর মধ্যে
ডাটা এন্ট্রি করা অনেক সহজ। সাধারণত ডাটা এন্ট্রি হচ্ছে এমন একটি কাজ, যে কাজ
একজন ব্যক্তি কম্পিউটার সিস্টেম বা ডাটাবেজে টাইপিং করার মাধ্যমে ডাটা ইনপুট করে
এবং আপডেট করে।
প্রিয় পাঠক আপনি যদি ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনার একটি
স্মার্টফোন কিংবা কম্পিউটার বা ল্যাপটপ প্রয়োজন হবে, বেসিক কম্পিউটার স্কিল
লাগবে, ভালো টাইপিং স্পিড থাকতে হবে। এছাড়াও থাকতে হবে ভালো ইন্টারনেট কানেকশন
MS Excel, Google Docs, MS Word ইত্যাদি। আপনারা ঘরে বসে ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিও
দেখার মাধ্যমে কিংবা অনলাইনে কোর্স করে ডাটা এন্ট্রি সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করতে
পারেন।
মূলত ডাটা এন্ট্রি কাজের প্রতিযোগিতা খুবই বেশি পরিমাণে থাকে। কেননা এখানে কাজ
করতে তেমন দক্ষতার প্রয়োজন হয় না। ডাটা এন্ট্রির কাজ গুলো হলো ডাটা প্রসেসিং,
ফরম ফিলাপ প্রজেক্ট, ট্রান্সক্রিপশন, ডাটা কিনজিং, কন্টেন্ট ক্রিয়েশন, ডাটা
মাইনিং, অ্যাপ টেস্টিং, ইমেজ ট্যাগিং, ট্রান্সলেশন, সার্ভে পূরণ করা, ক্যাপচা
পূরণ করা, কপি পেস্ট জব, ওয়েব রিসার্চ, বিটুবি লিড জেনারেশন, কনটেন্ট মডেরেশন
ইত্যাদি।
আপনারা আপনাদের দক্ষতার উপর নির্ভর করে এগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি কাজ নির্বাচন
করে নিতে পারেন। প্রিয় পাঠক আপনার ডাটা এন্ট্রির কাজ গুলো যে ওয়েবসাইট গুলো
করতে পারবেন, সেগুলো হলো আপওয়ার্ক, ফাইভার, গুরু, ফ্রিল্যান্সার, পিপুল পার
আওয়ার ইত্যাদি মার্কেটপ্লেস গুলোতে ডাটা এন্ট্রি রিলেটেড সকল কাজ এখানে খুব সহজে
করতে পারবেন।
অনলাইন এডুকেটর বা অনলাইনে শিক্ষকতা করে ইনকাম
বর্তমান সময়ে এই আধুনিক যুগে প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে মানুষের জীবন
যাত্রার মান অনেক উন্নত হয়েছে। বর্তমানে প্রায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থী অনলাইনে
পড়াশোনা করতে বেশ পছন্দ করে পাশাপাশি অনলাইনে পড়ার জন্য অনেক আগ্রহ প্রকাশ করে।
কেননা অনলাইনের মাধ্যমে পড়াশোনা অনেক সুবিধাজনক এবং বাড়িতে বসেই পড়তে পারে।
এছাড়াও বর্তমান সময়ে অনলাইন প্লাটফর্মে শিক্ষার্থীদের উপকারার্থে বিভিন্ন
অনলাইন কোর্স গুলি শিক্ষার্থীদের পড়ালেখাকে আরো সহজতর করে তুলেছে।
এই আধুনিক যুগে অনলাইনে যেমন শিক্ষার জনপ্রিয়তা অনেক বেড়েছে, ঠিক তেমনি
প্রয়োজনীয়তা অনেক বেড়ে গেছে অনলাইন শিক্ষকদের। প্রিয় পাঠক আপনি যদি বিভিন্ন
বিষয় যেমন গণিত, ইংরেজি, বাংলা, সমাজ, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান
ইত্যাদি বিষয়ে খুবই ভালোভাবে দক্ষ হয়ে থাকেন, তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার জন্য
অনলাইন একটি আশীর্বাদ। কারণ আপনি বিভিন্ন সাবজেক্টের বা বিভিন্ন বিষয়ের কোর্স
তৈরি করে অনলাইনে টিউটরিং এর মাধ্যমে প্রতি মাসে একটি হ্যান্ডসাম অ্যামাউন্ট
আর্নিং করতে পারবেন।
ভার্চুয়াল সহকারী / অ্যাসিস্ট্যান্ট হয়ে ইনকাম
সাধারণত ভার্চুয়াল সহকারীকে অনলাইন প্রশাসনিক সহকারি বা অনলাইন ব্যক্তিগত সহকারি
কিংবা অনলাইন বিক্রয় সহকারী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। সাধারণত একজন ভার্চুয়াল
সহকারি দূরবর্তীভাবে ক্লায়েন্টদের সহায়তা প্রদান করে থাকেন। মূলত ক্লায়েন্ট যে
কোন স্থানে অবস্থান করে একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টকে কাজ প্রদান করবে এবং
সেই কাজ গুলো একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট দূরবর্তী স্থান থেকেই কমপ্লিট করে
ক্লায়েন্টদের প্রদান করবেন।
এছাড়াও একজন ভার্চুয়াল সহকারি প্রযুক্তিগত এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক
আইডিয়া দিয়ে সহায়তা করেন। বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নয়নের ফলে
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এই জবটি দারুন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং এর চাহিদাও
অনেক। এছাড়াও ভার্চুয়াল সহকারী বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারে যেমন উপস্থাপনা
করা, ওয়েবসাইট পরিচালনা করা, ফোন কল নেওয়া, ক্লায়েন্টের হয়ে মিটিং সিডিউল করা
ইত্যাদি।
প্রয়োজন অনুযায়ী ভার্চুয়াল সহকারীর কাজ ক্লাইন্ট থেকে ক্লাইন্ট পরিবর্তিত হতে
পারে, এটা কোন ব্যাপার না। প্রিয় পাঠক আপনার যদি ভালো যোগাযোগ দক্ষতা থাকে,
তাহলে আপনি খুব সহজে ভার্চুয়াল সহকারী হয়ে প্রতি মাসে খুবই ভালো পরিমানে অর্থ
উপার্জন করতে সক্ষম হবেন।
সাধারণত ভার্চুয়াল সহকারীদের কাজের বিনিময়ে প্রতি ঘন্টা হিসেব করে টাকা প্রদান
করা হয়। প্রিয় পাঠক তাই আর দেরি কেন আজই ভার্চুয়াল সহকারী হয়ে কাজ করে প্রচুর
টাকা উপার্জন করুন এবং নিজে নিজে স্বাবলম্বী হয়ে উঠুন। ভার্চুয়াল সহকারীর কাজ
করে আপনারা খুব সহজে প্রতিদিন ১০০০ টাকা অনায়াসে ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।
কনটেন্ট রাইটিং করে প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম
গুগলকে সমৃদ্ধ করার জন্য বর্তমান সময়ে কন্টেন্ট রাইটিং হচ্ছে একটি চাহিদা
সম্পন্ন কাজ। ঘরে বসে খুব সহজে ইনকাম করার জন্য সবচাইতে সেরা একটি মাধ্যম হচ্ছে
কন্টেন্ট রাইটিং করে ইনকাম। সাধারণত কনটেন্ট রাইটিং এর উপর নির্ভর করে গুগল
বিভিন্ন ধরনের ডাটা সংরক্ষণ করে রাখে। আর এজন্যই মূলত বর্তমান সময়ে কন্টেন্ট
রাইটিং এর জনপ্রিয়তা অনেক।
সাধারণত গুগল শুধুমাত্র কনটেন্ট থেকে ডাটা সংরক্ষণ করে রাখে, কোন রকম ভিডিও বা
অডিও থেকে ডাটা কালেক্ট করেনা। প্রিয় পাঠক আপনি চাইলে বিভিন্ন জনপ্রিয়
মার্কেটপ্লেসে কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ করে খুব সহজেই প্রতি মাসে ভালো পরিমাণে
ইনকাম করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং এর মার্কেটপ্লেস গুলোতে বর্তমান সময়ে কন্টেন্ট
রাইটিং এর চাহিদা ব্যাপক। তাই আপনিও চাইলে ফাইবার, ফ্রিল্যান্সার,
কিংবা আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেস গুলোতে ক্লায়েন্টদের কাছে আপনার লেখা সুন্দর ও
মানসম্মত কনটেন্ট গুলো বিক্রয় করতে পারবেন। এছাড়াও বর্তমান কন্টেন্ট রাইটারদেরও
রয়েছে, ব্যাপক চাহিদা। তাই আপনি আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট না করে, আজই একটি সঠিক
নিস সিলেকশন করে কন্টেন্ট রাইটিং শুরু করতে পারেন। আপনিও অন্যান্য মানুষদের মতো
কন্টেন্ট রাইটিং করে প্রতিদিন হাজার টাকা কিংবা তারও অধিক ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।
সোস্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হয়ে ইনকাম
সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হচ্ছে মার্কেটিং বিভাগের একটি স্পেশালাইজড পদ।
সাধারণত একটি ব্যবসার জন্য এবং ইমেজ তৈরির জন্যই সোশ্যাল মিডিয়া দারুন
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্তমান সময়ে ছোট থেকে বড় সকল কোম্পানি গুলো
প্রচারের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়াকে বেছে নিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার
মূল কাজই হচ্ছে একটি ব্যবসাকে সফলভাবে রূপান্তরিত করা।
বিভিন্ন বড় বড় প্রতিষ্ঠান কিংবা কোম্পানি গুলো তারা তাদের সোশ্যাল মিডিয়া গুলো
পরিচালনা করার জন্য পাশাপাশি এটিকে একটি ব্র্যান্ডে রূপান্তরিত করার জন্য একটি
ম্যানেজার নিয়োগ দিয়ে থাকেন। আপনি যদি এমন কেউ হন যে আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার
পোস্ট গুলোতে প্রচুর লাইক ও কমেন্ট পান এবং আপনার যদি মনে হয় যে আপনি সোশ্যাল
মিডিয়া কাজ করার জন্য উপযুক্ত,আপনার ভিতরে সোশ্যাল মিডিয়ায় কাজ করার জন্য অনেক
প্রতিভা রয়েছে,
তাহলে সেক্ষেত্রে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হয়ে প্রতি মাসে খুবই ভালো
পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে যারা সোশ্যাল মিডিয়ার কাজ গুলো করছেন
তারা প্রতি মাসে প্রচুর টাকা ইনকাম করছেন। তাই আপনি আপনার মূল্যবান সময় অযথাই
নষ্ট না করে, আজও এই সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের কাজ শুরু করুন। আর প্রতিদিন
হাজার টাকা কিংবা তারও অধিক আয় করুন।
ট্রান্সক্রিপশনিস্ট করে ইনকাম
সাধারণত ট্রান্সক্রিপশনিস্ট হচ্ছে অডিও বা ভিডিও ফাইলের লিখিত রূপান্তর তৈরি করা।
প্রিয় পাঠক আপনি যদি টাইপিং বিষয়ে খুবই দক্ষ হয়ে থাকেন এবং অডিও বা ভিডিও
রেকর্ডিং এ খুবই মনোযোগী হন, তাহলে সেক্ষেত্রে আপনি ট্রান্সক্রিপশনিস্ট এই কাজটি
করতে পারেন। পাঠক পাঠক এই কাজটি করে আপনি কত টাকা আয় করবেন, সেটা নিতান্তই আপনার
উপর নির্ভর করবে।
কেননা আপনি এই কাজটিতে যতো সময় ব্যয় করবেন, আপনার ইনকামের পরিধি ততো বৃদ্ধি
পেতে থাকবে। কিন্তু আমি আপনাকে এটুকুই বলতে পারি ট্রান্সক্রিপশনেস্ট এর কাজ করে
আপনি প্রতি মাসে খুবই ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তাই অযথাই ঘরে বসে
না থেকে ট্রান্সক্রিপশনিস্ট এর কাজটি আজই শুরু করে দিন এবং নিজে স্বাবলম্বী হন।
অনেকেই এই কাজটি করে প্রতিমাসে ভালো টাকা ইনকাম করছেন।
প্রিয় পাঠক এই কাজটি করার জন্য আপনার থাকতে হবে যেমন বাংলা ভাষায় দক্ষতা, দ্রুত
টাইপিং দক্ষতা, খুবই ভালো শ্রবণ ক্ষমতা, ইংরেজি ভাষায় জ্ঞান থাকা, গোপনীয়তা
বজায় রাখা, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করা, কম্পিউটার পাশাপাশি
ইন্টারনেট ব্যবহারের দক্ষতা, এছাড়াও থাকতে হবে প্রাসঙ্গিক অভিজ্ঞতা, তাহলে আপনি
এই কাজটি করে খুবই ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন।
ট্রান্সলেটরস হিসেবে কাজ করে প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম
মূলত অনেক বড় বড় আন্তর্জাতিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি, লেখক কিংবা
পন্ডিতদের ট্রান্সলেটরস এর প্রয়োজন পড়ে। যেন তারা তাদের কাজ গুলো সারা বিশ্বের
মানুষের নিকট পৌঁছাতে পারে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি ট্রান্সলেটর এর কাজটি করতে চান,
তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার দুই বা ততোধিক ভাষা জানতে হবে। তাহলেই আপনি খুব সহজেই ঘরে
বসে এটি ব্যবহার করে প্রতি মাসে খুবই ভালো পরিমাণে আর্নিং করতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে ট্রান্সলেটরস এর কাজ করে অনেক মানুষ প্রচুর টাকা ইনকাম করছে। আপনি
যদি একজন ট্রান্সলেটরস হিসেবে কাজ করতে চান, তাহলে সেক্ষেত্রে আপনাকে ওয়েবসাইটের
বিভিন্ন কনটেন্ট, বই, চিঠি অথবা অনেক সময় অডিও ক্লিপ গুলো বিদেশী ভাষা থেকে
আপনার ভাষায় নির্ভুলভাবে অনুবাদ করতে হতে পারে। আর এই জন্যই এই কাজটি করার জন্য
আপনাকে খুবই ভালোভাবে আগে দক্ষ হতে হবে, যতো বেশি দক্ষ হবেন আপনার আয়ের পরিধি
ততো বৃদ্ধি পেতে থাকবে। তখন এটি হবে আপনার জন্য একটি দুর্দান্ত উপার্জনের মাধ্যম।
মাইক্রো জবস করে প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম
সাধারণত মাইক্রো জবস হচ্ছে ছোট ছোট কাজ। যেই কাজ গুলো আপনাকে নির্দিষ্ট সময়ের
মধ্যে শেষ করার জন্যই মূলত প্রদান করা হবে। মাইক্রো জবস এখানে আপনি নানা ধরনের
কাজ করতে পারেন, যেমন সমীক্ষা পূরণ করা, ডাটা বের করা, ব্লগ পোস্ট লেখা ইত্যাদি।
এখানে বেতনটা নিতান্তই আপনার উপর নির্ভর করবে, আপনি যতো বেশি কাজ করতে পারবেন
আপনার ইনকাম ততো বেশি হবে। প্রিয় পাঠক আপনার মূল্যবান সময়টিকে কাজে লাগিয়ে আজও
মাইক্রো জবস এর কাজটি শুরু করে দিন এবং দৈনিক ৫০০-১০০০ টাকা পর্যন্ত কিংবা তারও
অধিক আয় করুন।
অনলাইন কোর্স বিক্রয় করে প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম
বর্তমান সময়ে অনলাইনে টিউটারিং কিংবা আরো অন্যান্য ভিডিও তৈরি করে অনেক মানুষ
প্রচুর টাকা ইনকাম করছেন। কিন্তু অনেক ব্যক্তিগত রয়েছে যারা ক্যামেরার সামনে
আসতে পছন্দ করে না। ক্যামেরার সামনে না এসেও, অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে টাকা উপার্জন
করার আরেকটি অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে অনলাইনে কোর্স বিক্রি করে ইনকাম। প্রিয় পাঠক
আপনি যদি কোন বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন যেমন নাচ, গান, রান্না কিংবা অন্যান্য
বিষয়ে সেটা যে কোন সাবজেক্টও হতে পারে।
আপনি যদি কোন বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে সেই বিষয় নিয়ে যদি বিভিন্ন কোর্স
তৈরি করে অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে বিক্রি করেন, তাহলে এখান থেকেও আপনি প্রতি
মাসে খুবই ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি আপনার ভিডিও গুলোকে
রেকর্ডিং করার মাধ্যমে সেগুলো পরবর্তী সময়ে আপনার ফেসবুকে কিংবা ইউটিউব চ্যানেলে
আপলোড করতে পারেন এখান থেকেও আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
এটা যেকোনো ভিডিও হতে পারে রান্নার ভিডিও হতে পারে, নাচের ভিডিও হতে পারে,
পড়াশোনার বিষয়ে ভিডিও হতে পারে, আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী ভিডিও তৈরি করবেন।
আর এই ভিডিও গুলোকে আপনি কোর্স হিসাবে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিক্রি করতে পারবেন। আর
এখান থেকে আপনি প্রতিদিন খুব সহজেই ১০০০ টাকা কিংবা তারও অধিক আয় করতে পারবেন।
ভার্চুয়াল বুককিপার করে ইনকাম
সাধারণত হিসাব রক্ষক হচ্ছে কোম্পানির ভিতরে কিংবা বাইরে কত টাকা আছে এবং যায় তা
আপনাকে ভালোভাবে হিসাব করে রাখতে হবে। এছাড়াও আপনার যদি একাউন্টিং কিংবা
ফাইন্যান্স নিয়ে ডিগ্রী অর্জন করা থাকেন,তাহলে তো সোনাই সোহাগা, সেক্ষেত্রে আপনি
একাধিক কোম্পানিতে তাদের হিসাবরক্ষক হিসাবে কাজ করতে পারবেন। হিসাব রক্ষকের কাজ
করে খুব সহজেই আপনি প্রতি মাসে খুবই ভালো পরিমাণে টাকা আয় করতে পারবেন।
সাধারণত হিসাব বিজ্ঞানের প্রাথমিক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে বুককিপিং বা বুককিপার,
যার মাধ্যমে মূলত লেনদেনের সকল কিছু সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়ে থাকেন। বিভিন্ন
আর্থিক লেনদেন যেমন বিল, মানি রিসিপ্ট, চালান ইত্যাদি। ফাইনান্সিয়াল রিপোর্ট
হচ্ছে বুককিপিং এর নির্ভরযোগ্য পূর্বশর্ত।
নিয়মিত ও নির্ভুল বুককিপার ব্যবসায়িক পরিচালনা ও হিসাব রক্ষকের নানাভাবে
সাহায্য সহযোগিতা করে থাকেন। যেমন দ্রুত ও সহজেই বিশদ আর্থিক বিবরণী প্রস্তুত করা
যায়, যে কোন সময় প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত আর্থিক অবস্থা জানতে পারা যায়, দ্রুত
প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায় ইত্যাদি। আর এই জন্য প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে
নির্দিষ্ট ভার্চুয়াল বুক কিপার থাকা আবশ্যক।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম
প্রিয় পাঠক আপনি যদি চান তাহলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রতিদিন ১০০০ টাকা
কিংবা তারও অধিক টাকা আয় করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ মার্কেটিং করে
প্রচুর টাকা ইনকাম করছেন। প্রতিদিন ভালো পরিমাণে ইনকাম করার জন্য একটি অন্যতম
সেরা মাধ্যম হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম। এটাকে আমরা বেসিক ইনকামের
সেরা মাধ্যম হিসেবেও আখ্যায়িত করতে পারি। এই কাজটি করার জন্য মূলত প্রথমে আপনাকে
কোন প্রতিষ্ঠান কিংবা কোন কোম্পানির অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের সংযুক্ত হতে
হবে।
তাহলে আপনি ঘরে বসে খুব সহজেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা আয় করতে পারবেন।
আপনি যদি কয়েকটি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রামে যুক্ত হতে পারেন, তাহলে আপনি
প্রতি মাসে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত আয় করতে সক্ষম
হবেন। আর এজন্য আপনাকে প্রথমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কিছু বেসিক ধারণা
নিতে হবে, তাহলে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারবেন।
ভ্লগিং করে ইনকাম
প্রিয় পাঠক আপনি ব্লগিং করে ঘরে বসে খুব সহজেই প্রতিদিন এক হাজার টাকা কিংবা
তারও অধিক আয় করতে সক্ষম হবেন। আপনি প্রতিদিন নিয়মিত ব্লগ লিখে আপনার
ওয়েবসাইটে পাবলিশ করতে পারেন। এছাড়াও আপনি মেকআপের ব্লগ করতে পারেন, খাবারের
ব্লগ করতে পারেন, সঙ্গীতের ব্লগ করতে পারেন, শিল্পের ব্লগ করতে পারেন ইত্যাদি
এগুলো আপনি লিখতে পারেন। প্রিয় পাঠক প্রয়োজনীয় যেকোনো টপিক নিয়ে আপনি যদি
লেখালেখির বিষয়ে পারদর্শী হয়ে থাকেন,
সেক্ষেত্রে অনলাইনে ব্লগিং করে খুব সহজেই আপনি খুবই ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে
পারবেন। অল্প সময়ে ব্লগিং করে টাকা ইনকামটা হচ্ছে একটি জনপ্রিয় শর্টকাট মাধ্যম।
বর্তমান সময়ে অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে টাকা ইনকাম করার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হচ্ছে
ব্লগিং করে ইনকাম। এর জন্য আপনাকে প্রথমে একটি ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করতে হবে।
আপনার ব্লগার ওয়েবসাইটে প্রতিদিন নিয়মিত মানসম্মত ও সুন্দর সুন্দর কনটেন্ট
পাবলিশ করতে হবে। আর এর মাধ্যমে আপনি প্রতিদিন খুবই ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে
পারবেন।
Beta Testing করে ইনকাম
দর্শকদের কাছে লাইভ হওয়ার আগে সাধারণত বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং বিভিন্ন
অ্যাপগুলিকে চেক করতে হয়। এ বিষয়গুলো চেক করার জন্য আপনি একজন পরীক্ষক বা চেকার
হিসাবে এই কাজগুলো করতে পারেন। আর এভাবেই খুব সহজে বিশ্বের যে কোন কোম্পানিতে
আপনি একজন চেকার বা পরীক্ষক হিসাবে চাকরির জন্য সহজেই নিয়োগ পেতে পারেন।
সেক্ষেত্রে আপনার কাজ হবে এই অ্যাপটি কে কোম্পানির বেধে দেওয়া সময় অনুযায়ী
একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আপনার যেকোনো ডিভাইসে ব্যবহার করতে হবে। এবং এই
অ্যাপটি ব্যবহার করে এখান থেকে বিভিন্ন ধরনের তথ্য ও সে অনুযায়ী আপনার মতামত
প্রদান করতে হবে তখন তারা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। আর এটিই হবে আপনার কাজ।
অনলাইন সার্ভে করে ইনকাম
আপনি চাইলে খুব সহজেই ওয়েবসাইট বা অ্যাপগুলিতে সার্ভে করতে পারেন। আর এই সার্ভে
করার পর প্রাপ্ত উত্তরগুলি থেকে বিভিন্ন ধরনের তথ্য বা ডাটা ব্যান্ড ব্যবহার করা
হয়। আর এই তথ্যগুলো হতে পারে বিভিন্ন কোম্পানির বা অন্যান্য আরো প্রাসঙ্গিক কোন
বিষয়ের তথ্য। আর এই তথ্য গুলোই কোম্পানি বা প্রাসঙ্গিক পক্ষের সাথে ভাগ করা
হয়।
তবে এক্ষেত্রে আপনার গোপনীয়তা ও পরিচয় বজায় থাকবে কিন্তু সেই তথ্যগুলোর নিয়ে
ব্যবহার করতে তারা আপনার থেকে কোনরকম অনুমতি চাইবে না। তবে এক্ষেত্রে আপনার
পরিশ্রম, আপনার ব্যয় করার সময় এবং সততার বিনিময়ে এই ধরনের অ্যাপস ও
ওয়েবসাইটগুলি আপনাকে অর্থ প্রদান করবে।
ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম
বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে সবথেকে ডিমান্ডেবল বা চাহিদা
সম্পন্ন জনপ্রিয় ও উন্মুক্ত পেশা এবং অল্প সময়ে অনেক টাকা আয় করার অন্যতম
মাধ্যম। বর্তমান সময়ে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে। যদি
আপনি চান তাহলে প্রতি মাসে অন্তত ফ্রীলান্সিং করে প্রাথমিক অবস্থায় ৩০ থেকে ৪০
হাজার ইনকাম করা কোন ব্যাপারই না।
কারণ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর বা মার্কেটপ্লেস এতটাই বড় যে এখানে কোন ধরনের কাজের
অভাব নেই। ফ্রিল্যান্সিংকে কাজের সমুদ্র বলা হয়ে থাকে। সঠিক দিক নির্দেশনা মেনে
দক্ষতা অর্জন করলে এখানে কাজের কোন অভাব হবে না। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থেকে ইনকাম
করতে হলে প্রথমত আপনাকে ফ্রান্সিং বিষয়ে যে কোন একটি স্কিল বা দক্ষতা অর্জন করতে
হবে। তাহলে আপনিও ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর বা মার্কেটপ্লেস থেকে খুব সহজেই টাকা আয়
করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং হলো সম্পূর্ণরূপে নিজের ইচ্ছাধীন উন্মুক্ত পেশা। এখানে আপনি
নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তি বা কোন কোম্পানির আওতায় না থেকে বা কারো অধীনস্থ হওয়া
ছাড়াই আপনার নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন। আপনি আপনার
নিজের সময়সূচি অনুযায়ী আপনার দক্ষতার ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরনের কাজ নিতে পারবেন।
অনলাইন খাদ্য ব্যবসা করে ইনকাম
আপনি চাইলে একটি দোকান খুলে এবং পণ্য বিক্রি করে একটি ভাল মানের অনলাইন খাদ্য
ব্যবসা করে ইনকাম করতে পারেন। তবে এটি করার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন হবে। তাই
আপনি চাইলে একটি খাদ্য লাইসেন্স নিয়ে বাড়ির রান্নাঘর থেকে বিভিন্ন ধরনের সুন্দর
সুন্দর খাবার আইটেম রান্না শুরু করার কথা ভাবতে পারেন। এজন্য আপনি চাইলে ইভেন্ট
ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির সাথে সাইন আপ করে তাদের কেটারিং সার্ভিস দিতে
পারেন।
কিংবা আপনি আপনার আশেপাশের বাড়ি এবং বিভিন্ন কোম্পানিগুলির জন্য একটি টিফিন
সার্ভিস শুরু করতে পারেন। জনপ্রিয় খাবার যেমন খাঁটি বাঙালি খাবার, মোমোস, চাইনিজ
খাবার এবং এই জাতীয় অন্যান্য জিনিস বিক্রি করে আপনি খুব সহজেই প্রতিদিন ১০০০
টাকারও বেশি উপার্জন করতে পারেন। সময়ের সাথে সাথে এবং আপনার ব্যবসার সততার ওপর
নির্ভর করে আপনার ব্যবসার পরিধিও বাড়তে থাকবে এবং আপনার ইনকামও দিন দিন বাড়তে
থাকবে।
প্রুফরিডিং করে ইনকাম
আপনি যদি খুব ভালো মানের কনটেন্ট লিখতে পারা সত্বেও কনটেন্ট লিখতে আগ্রহী না হন।
তবে আপনি বিভিন্ন ধরনের বড় বড় ওয়েবসাইটের সাথে যোগাযোগ করে তাদের লেখা কনটেন্ট
গুলো পড়ে রিভিউ করতে পারেন। কারণ বিভিন্ন প্রকাশনা, ওয়েবসাইটের মালিক,
বিজ্ঞাপনদাতা তাদের লিখিত বিষয়বস্তু জনসাধারণের কাছে যাওয়ার আগে প্রুফরিড করে
ভালভাবে পরীক্ষা করে নেন। যাতে করে কোনো ভুল না থাকে। এক্ষেত্রে যদি আপনার
ব্যাকরণ এবং ভাষাগত দক্ষতা ভালো থাকে তবে আপনি এই কাজ করেই প্রতিদিন ১০০০ টাকা
খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে ইনকাম
আপনি যদি ভালো করে কোডিং এবং একটি ওয়েব ডিজাইন করতে পারেন তাহলে আপনি প্রতিদিন
শুধুমাত্র ১০০০ টাকা নয় বরং ২০০০ টাকা বা তার অনেক বেশি পরিমাণে আয় করতে
পারবেন। বর্তমান সময়ে অনেকেই বিশ্বের বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানীর আউটসোর্স ওয়েব
ডেভেলপমেন্ট ভালোভাবে করে নেওয়ার জন্য অনলাইনে মানুষ খুঁজে।
তাই আপনি যদি একজন ভালো মানের ওয়েব ডেভেলপার হয়ে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর কাজ
ভালোভাবে করতে পারেন তাহলে মাসে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারেন। আপনার সম্ভাব্য
উপার্জনঃ আপনি এই কাজ করে ২০০০০ টাকা থেকে শুরু করে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত বা এর
বেশিও উপার্জন করতে পারবেন।
ইউটিউবার হয়ে বা ইউটিউবিং করে ইনকাম
আপনি যদি একজন ভালো মানের ইউটিউবার হতে পারেন এবং নিয়মিত আপনার youtube চ্যানেলে
আপনার ক্রিয়েটিভিটি গুলো ভিডিও আকারে পাবলিস্ট করতে পারেন তাহলে আপনি প্রতিদিন
গড়ে ১০০০ টাকা সহজেই উপার্জন করতে পারবেন। তাই আপনি চাইলে আপনার প্রতিভা গুলোকে
কাজে লাগিয়ে আপনার ক্রিয়েটিভিটিগুলোকে ভিডিও আকারে প্রকাশ করে ইউটিউবিং করতে
পারেন।
কারণ ইউটিউব হচ্ছে বর্তমান সময়ে সবচাইতে দুর্দান্ত সোশ্যাল মিডিয়া। কারণ সারা
বিশ্বের প্রায় অধিকাংশ মানুষই ইউটিউব এর বিভিন্ন ধরনের ও বিভিন্ন বিষয়ের
আকর্ষণীয় এবং বিনোদনমূলক ভিডিও দেখে অনেক কিছু শিখে। আবার অনেকে রয়েছে যারা
সেগুলো দেখে টাইম পাস করে। এইজন্য আপনি চাইলে একজন ইউটিউবার হয়ে ইউটিউবিং করে
অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
লেখকের ইতি কথাঃ প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করার নিশ্চত ও কার্যকরী ২০টি উপায়
সম্মানিত পাঠক, আশা করি উপরোক্ত আলোচনা গুলো থেকে প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করার
নিশ্চত ও কার্যকরী ২০টি উপায় এ বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি বিস্তারিতভাবে জানতে
পেরেছেন। সারাবিশ্বে বর্তমান সময়ে মানুষ অনলাইন মাধ্যমিকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন
কার্যকরী উপায় শিখে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ সুন্দরভাবে পরিচালনা
করে প্রতিমাসে অনেক টাকা আয় করছে। অনলাইন মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ধরনের
কার্যকরী স্কিল বা দক্ষতা শিখে ও বিভিন্ন উপায়ে খুব দ্রুত সফল হওয়া যায় এবং একটু
বুদ্ধি খাটিয়ে খুব স্বল্প পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করা
সম্ভব।
তবে এ বিষয়ে আপনাকে স্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে। তাই প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করার
নিশ্চত ও কার্যকরী ২০টি উপায় এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ে উল্লেখিত বিষয়গুলো
জেনে নিলে আপনি খুব সহজেই দ্রুত সময়ে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে পারবেন।
এক্ষেত্রে আপনি যদি আপনার অবস্থানকে পরিবর্তন করতে চান তাহলে অবশ্যই প্রতিদিন
১০০০ টাকা ইনকাম করার নিশ্চত ও কার্যকরী ২০টি উপায় এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে
পড়তে হবে তাহলে আপনি খুব দ্রুতই সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন।
সম্মানিত পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থেকে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগের সাথে
পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে এ ধরনের তথ্যবহুল
কার্যকরী ও উপকারী আর্টিকেল নিয়মিত পোস্ট করে থাকি। তাই আপনি যদি এ ধরনের আরও
তথ্যবহুল ও উপকারী সব আর্টিকেল পড়তে চান, তাহলে অবশ্যই এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত
ফলো করুন। সাথে সাথে এ আর্টিকেলটি পরে ভালো লাগলে আপনার নিকট আত্মীয়,
বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজনদের কাছে তাদের উপকারার্থে শেয়ার করে দিন।
যেন তারা প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করার নিশ্চত ও কার্যকরী ২০টি উপায় এ বিষয়
সম্পর্কে পুরোপুরি ভালোভাবে জেনে নিতে পারে। প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করার
নিশ্চত ও কার্যকরী ২০টি উপায় এ বিষয় সম্পর্কে আপনার যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ মতামত
বা প্রশ্ন থাকে, তাহলে অবশ্যই নিচে দেওয়া মতামত বক্সে কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আবার আপনাদের সাথে কথা হবে নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত নিরাপদ ও
সুস্থ থাকুন।
কনফিডেন্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url