অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায় ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন?
আপনি কি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে নিজের ঘরে বসে থেকে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ
দিয়ে স্বল্প পরিশ্রমের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে চান? তাহলে আপনার
চিন্তার কোন কারণ নেই। কারণ আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটির মূল আলোচনায় হচ্ছে
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায় ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য
কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন? সেই সম্পর্কে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যবহুল ও
প্রয়োজনীয় আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক!
আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটির মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার
উপায় ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন? এ বিষয়
সম্পর্কে এমন কিছু ইউনিক ও কার্যকরী তথ্য সম্পর্কে জানাবো, যেগুলিকে কাজে লাগিয়ে
আপনি খুব সহজেই কম্পিউটার বা ল্যাপটপ দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রতি
মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি কি আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত
তথ্য গুলো জানতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্যই।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায় ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য
কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন? এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে
আশা করি আলোচ্য বিষয়ে বিস্তারিতভাবে নির্ভুল সব তথ্য গুলো জানতে পারবেন।
ইনশাআল্লাহ!
পেজ সূচিপত্রঃ
.
ভুমিকা
সারাবিশ্বে বর্তমান সময়ে মানুষ অনলাইন মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটিং করে নিজ ঘরে বসে থেকেই একটু বুদ্ধি খাটিয়ে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয়
করছে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো বর্তমান সময়ে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করার সব
থেকে জনপ্রিয় ও সহজ মাধ্যম। তাই সারাবিশ্বে বর্তমান সময়ে মানুষ অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটিং শিখে অনেক মানুষই এটিকে তাদের পেশা হিসেবে গ্রহন করে আয়ের অন্যতম উৎস
বানিয়ে নিয়েছে।
তাই আপনিও যদি অন্যের গোলামী না করেই নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী মুক্ত পেশাজীবী হিসাবে
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখে ঘরে বসে থেকেই লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করে নিজেকে
স্বাবলম্বী করতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার
উপায় ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন? এ বিষয়ে
পুরোপুরি ধারণা রাখতে হবে।
তাই আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি বিস্তারিতভাবে জানতে
পারবেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায় ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার
জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন? এ বিষয় সম্পর্কে। এছাড়াও অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটিং কি? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কয় ধরনের? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার
জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করব? অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটিং করে আয় করার উপায়, জনপ্রিয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস,
প্রোডাক্টের অ্যাফিলিয়েট লিংক কোথায় পাবেন? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস থেকে কত
টাকা আয় করা যায়? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কেমন হবে? এ বিষয়গুলো
সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
করার উপায় ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন?
সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই কার্যকরী।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি?
সাধারণত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে একটি বিপণন ব্যবস্থাপনা। মূলত যার মাধ্যমে
অ্যাফিলিয়েটরা প্রত্যেক ভিজিটর বিক্রয় কিংবা সাইনআপ করার জন্য একটি নির্দিষ্ট
পরিমাণে কমিশন পায়। বর্তমান সময়ে এই ডিজিটাল যুগে মার্কেটিং প্রক্রিয়ার
বিভিন্ন জনপ্রিয় মাধ্যম গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
সাধারণত কোন প্রতিষ্ঠান কিংবা কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস
তৃতীয় পক্ষ হয়ে সেই প্রোডাক্ট বা সার্ভিস গুলোকে অন্যের কাছে বিক্রয়ের মাধ্যমে
পৌঁছে দিতে সহায়তা করা এর বিনিময়ে সেখান থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন
নেওয়াকে মূলত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়। সহজ ভাষায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান
কিংবা কোম্পানির অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের মাধ্যমে তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস
বিক্রি করার পদ্ধতিকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলে।
অনেকেই রয়েছে যারা মার্কেটিং এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং দুইটাকে একই ভাবে।
কিন্তু আসলে মার্কেটিং এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পূর্ণ আলাদা। আপনাদের
সুবিধার্থে একটি উদাহরণ দেয়া যাক, ধরুন যে আপনার একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট
রয়েছে, আপনি সেখানে সেল বাড়ানোর জন্য কিংবা মার্কেটিং খরচ কমানোর জন্য কি করা
যায়? এই নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন?
আপনার এই পরিস্থিতিতে একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার আপনার জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনতে
পারে। আপনি শুধু সেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারকে মার্কেটিং এর বিনিময়ে নির্দিষ্ট
পরিমাণ কিছু কমিশন দিতে হবে। আর সেই নির্দিষ্ট কমিশনের উপর নির্ভর করে আপনার
প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এর মার্কেটিং করার মাধ্যমে সেল বৃদ্ধি করে দেবে।
ফলে আপনার মার্কেটিং করার জন্য যে বাড়তি খরচ হতো সেটা বেঁচে যাবে। সাধারণত
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত কোম্পানি যেমন
আলি-এক্সপ্রেস, আমাজন প্রতিবছর বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট ও সার্ভিস বিক্রয়ের
মাধ্যমে প্রচুর মুনাফা অর্জন করছেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কয় ধরনের?
সাধারণত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে তিন ধরনের সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।
- Involved Affiliate Marketing: ইনভল্ভ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে আপনি সরাসরি প্রোডাক্ট এর সাথে সরাসরি যুক্ত থাকতে পারবেন। যেমন ধরুন আপনি প্রোডাক্ট গুলো ব্যবহার করার পর প্রোডাক্ট এর উপকারিতা ও ফলাফল সম্পর্কে জানাতে পারবেন। সাধারণত এই ধরনের মার্কেটিং অডিয়েন্সদের বেশি আকৃষ্ট করে। কেননা প্রোডাক্ট সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানার চাইতে সরাসরি যখন অডিয়েন্সরা ফলাফল দেখে, তখন বেশি প্রোডাক্ট নিতে আগ্রহী হয়। বর্তমান সময়ে এভাবেই বিভিন্ন ব্লগাররা এবং ইনফ্লুয়েন্সাররা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে থাকেন। আর এর মাধ্যমে প্রতি মাসে খুবই ভালো পরিমাণে ইনকাম করেন।
- Unattached Affiliate Marketing: এই পদ্ধতিটি মূলত হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর এডভার্টাইজ বেজড। এখানে মূলত প্রোডাক্ট এর লিংক কপি করে এডভার্টাইজ করা হয়। আর এর বিনিময়ে এখান থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পাওয়া যায়। এখানে মূলত আপনারা প্রোডাক্ট এর ব্যবহার ও উপকারিতা সম্পর্কে কোন কিছুই জানতে পারবেন না। কেননা এখানে কোন অ্যাটাচমেন্ট থাকে না।
- Related Affiliate Marketing: সাধারণত এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে আপনি প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এর সাথে যুক্ত হয়ে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। আপনি যদি চান, তাহলে প্রোডাক্টের সম্পর্কে অডিয়েন্সদের কাছে আপনি ব্যক্তিগতভাবেও প্রচার-প্রচারণা করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি ক্রেতাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করেও প্রোডাক্ট সম্পর্কে ভালো-মন্দ ধারণা প্রদান করতে পারবেন। এভাবে প্রচার-প্রচারণা চালানোর জন্য প্রথমেই আপনাকে খুবই ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করতে হবে যেমন প্রোডাক্ট সম্পর্কে নানা ধরনের তথ্য জানতে হবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন?
প্রিয় পাঠক আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান, তাহলে সেক্ষেত্রে অবশ্যই
আপনাকে পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য যতো
ধরনের ইউনিক ও কার্যকরী পদ্ধতি গুলো রয়েছে, সেগুলো অনুসরণ করে অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটিং বিষয়ে খুবই ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। সাধারণত বর্তমান সময়ে
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে এক ধরনের পারফরম্যান্স ভিত্তিক মার্কেটপ্লেস।
যেমন ক্লিক ডিলার, অ্যামাজন,আরোও অন্যান্য কোম্পানি ইত্যাদি। প্রিয় পাঠক আপনি
যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান, সেক্ষেত্রে যে সকল কোম্পানিতে অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটিং চালু রয়েছে, সেই কোম্পানি গুলোতে আপনাকে প্রথমে যুক্ত হতে হবে। তারপর
সেখান থেকে আপনি আপনার পছন্দমতো বিভিন্ন প্রোডাক্টের লিংক আপনার নিজস্ব কোন
ইউটিউব চ্যানেল, ওয়েবসাইট কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে প্রমোট করার জন্য
যুক্ত করতে পারবেন।
আর আপনার দেওয়া সেই লিংকে যদি কোন ব্যক্তি, যে কেউ হতে পারে, ক্লিক করে এবং সেই
প্রোডাক্ট গুলো ক্রয় করে, তবে আপনি সেখান থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন
প্রাপ্ত হবেন। সফল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে কঠোর
প্রচেষ্টা ও ধৈর্য ধরে কাজ করে যেতে হবে পাশাপাশি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
ক্যাম্পেইন তৈরি করতে হবে। আপনি যদি সঠিক কার্যকরী কৌশল গুলো অবলম্বন করে কাজ
করতে পারেন,
তাহলে এখান থেকে প্রতি মাসে খুবই ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন। আর এর জন্য
একটি সঠিক অনুমোদিত মার্কেটপ্লেস প্রথমে আপনাকে নির্বাচন করতে হবে। এমন
মার্কেটপ্লেস নির্বাচন করতে হবে যেন বাজারে তাদের খ্যাতি থাকে। আপনি তাদের
প্রোডাক্ট গুলো বিক্রয় করে দেওয়ার বিনিময়ে সেখান থেকে যেন ভালো পরিমাণে কমিশন
পান সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।
কেননা আপনি আফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা আয় করবেন? সেটা নিতান্তই এই
নির্ধারণের উপর নির্ভর করে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ
সহকারে পড়েন, কোন অংশ স্কিপ না করে, তাহলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে
বিস্তারিত সকল তথ্য জানতে পারবেন।
- প্রথমে একটি সঠিক নিস সিলেক্ট করুনঃ প্রিয় পাঠক আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান, তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো আপনাকে সঠিক নিস সিলেক্ট করতে হবে। কেননা আপনি যদি সঠিক নিস সিলেক্ট করতে না পারেন, সেক্ষেত্রে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কখনো সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন না। আর তাই জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে সফলতা অর্জনের জন্য প্রথমে সঠিক নিস সিলেক্ট করুন।
- তারপর আপনার নিজস্ব একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করুনঃ প্রিয় পাঠক আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে আগ্রহী হন, তাহলে সেক্ষেত্রে আপনাকে যে কোন একটি নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হবে। যেমন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ব্লগিং, ইউটিউবিং ইত্যাদি। এই প্লাটফর্ম গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি প্ল্যাটফর্ম আপনাকে প্রথমে পাকাপোক্তভাবে দাঁড় করাতে হবে। আর সেই প্ল্যাটফর্মে আপনাকে অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের লিংক গুলো যুক্ত করে প্রমোট করতে হবে।
- সঠিক কিওয়ার্ড রিসার্চ করুনঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য সঠিক নিস নির্বাচন করা যেমন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক তেমনি সঠিক কিওয়ার্ড রিসার্চ করাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি সঠিক কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে না পারেন, সে ক্ষেত্রে কখনোই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ সফলতা অর্জন করতে পারবেন না। আর তাই জন্য আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে সফলতা অর্জন করতে চান, তাহলে সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সঠিক কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে।
- অ্যাফিলিয়েট সাইট নির্বাচন করুনঃ প্রিয় পাঠক আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে অবশ্যই একটি জনপ্রিয় অ্যাফিলিয়েট সাইট নির্বাচন করতে হবে। বর্তমান সময়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য অনেক গুলো জনপ্রিয় সাইট রয়েছে, আপনি সেগুলোর মধ্যে থেকে যেকোনো একটি জনপ্রিয় সাইট নির্বাচন করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন।
- ইউজফুল কনটেন্ট তৈরি করুনঃ বর্তমান সময়ে প্রফেশনাল মানের প্রয়োজনীয় ও মানসম্মত কনটেন্ট গুলো সকলেই পছন্দ করেন। কেননা এই প্রয়োজনীয় ও শিক্ষামূলক কন্টেন্টের মাধ্যমে মানুষ অনেক কিছু জানতে পারে ও শিখতে পারে। আর আপনি যদি প্রফেশনাল মানের সুন্দর ও মানসম্মত এবং শিক্ষামূলক কনটেন্ট গুলো তৈরি করে আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করেন এবং কন্টেন্টের মধ্যে অ্যাফিলিয়েট লিংক যুক্ত করে প্রমোট করতে পারবেন।
- সঠিক প্রোডাক্ট সিলেক্ট করুনঃ বর্তমান সময়ে সঠিক প্রোডাক্ট সিলেক্ট করা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে সফলতা অর্জনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। কেননা আপনি যদি সঠিক প্রোডাক্ট নির্বাচন করতে না পারেন, তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা অনেক কঠিন হয়ে যাবে। তাই জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে সফলতা অর্জনের জন্য অবশ্যই সঠিক প্রোডাক্ট নির্বাচন করা আবশ্যক।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করব?
প্রিয় পাঠক আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে আগ্রহী হন, তাহলে আপনি
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ঘরে বসে খুব সহজেই নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে
পারবেন। বর্তমান সময়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং পদ্ধতি খুবই চাহিদা সম্পন্ন
পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ বটে। বর্তমান সময়ে অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে ইনকাম করার
যতোগুলো মাধ্যম রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে একটি জনপ্রিয় ও অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে
অ্যফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম। প্রিয় পাঠক আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
করার যাবতীয় সকল মাধ্যম গুলো সম্পর্কে খুবই ভালোভাবে জানতে চান,
তাহলে সেক্ষেত্রে কোন অংশ স্কিপ না করে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আপনি যদি মনে মনে ভেবে থাকেন, যে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন, তাহলে আপনার
জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকে আপনি অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটিং সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কিছু ইউনিক ও কার্যকরী উপায় গুলো নিচে উল্লেখ
করা হলো।
- সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারঃ প্রিয় পাঠক আপনার যদি সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে খুবই ভালো পরিমাণে ফলোয়ার থাকে, তাহলে আপনি ঘরে বসে খুব সহজেই সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে কাজ করতে পারবেন। আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম আওতাভুক্ত প্রোডাক্ট সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের পজেটিভ কথাবার্তা শেয়ার করলে, আপনার কথা শুনে আপনার ফ্যান ফলোয়াররা আগ্রহী হয়ে সেই প্রোডাক্টটি ক্রয় করবে। আর আপনার মাধ্যমে যদি কোন অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্ট বিক্রয় হয়, তাহলে আপনি সেখান থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন প্রাপ্ত হবেন।
- ইমেইল মার্কেটিংঃ বর্তমান সময়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য ইমেইল মার্কেটিং খুবই কার্যকরী একটি প্রক্রিয়া। তাই প্রিয় পাঠক আপনি যদি ভেবে থাকেন আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন, তাহলে আপনি ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমেও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন।
- ইউটিউবেংঃ প্রিয় পাঠক আপনার ইউটিউব চ্যানেলে যদি খুবই বেশি পরিমাণে সাবস্ক্রাইবার বিদ্যমান থাকে, তাহলে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। আর এই জন্য আপনাকে অডিয়েন্সদের মাঝে নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট প্রমোট করতে হবে।
- এডভারটাইজিংঃ প্রিয় পাঠক আপনি যদি facebook, instagram, youtube অথবা সার্চ ইঞ্জিনে এডভার্টাইজিং এর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান, তাহলে আপনি সেক্ষেত্রে পেইড অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন।
- ব্লগিংঃ বর্তমান সময়ে ব্লগিংয়ের মাধ্যমে খুব সহজেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা সম্ভব। ব্লগিংয়ের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনার লেখা কনটেন্ট গুলোর মাঝে অ্যাফিলিয়াট লিংক যুক্ত করতে হবে। আর সেই লিংক গুলোতে কেউ ক্লিক করে প্রোডাক্ট ক্রয় করলেই আপনি সেখান থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পাবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায়
প্রিয় পাঠক আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে চান, তাহলে সেক্ষেত্রে
আপনাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার সকল পদ্ধতি সম্পর্কে খুবই ভালোভাবে জানতে
হবে। আর সেই পদ্ধতি গুলোর মধ্য থেকে যেকোনো একটি পদ্ধতি আপনি নির্বাচন করে
এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে সক্ষম হবেন। প্রিয় পাঠক তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক
মার্কেটিং করে আয় করার উপায় সমূহ নিচে উল্লেখ করা হলো।
- পিপিএল সিস্টেমঃ পিপিএল অর্থাৎ পে পার লিড হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেম। ধরুন যে আপনি একটি প্রোডাক্টের প্রচার-প্রচারণা করেছেন, সেই প্রচার-প্রচারণা থেকে যতোগুলো লিড আসবে সবগুলো লিডের উপর নির্ভর করে আপনি সেখান থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণে কমিশন পাবেন। এখান থেকে মূলত আপনি ক্লিক এর জন্য কোনরকম টাকা-পয়সা পাবেন না।
- পিপিএস সিস্টেমঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য যেই সকল পদ্ধতি গুলো রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে আরেকটি অন্যতম পদ্ধতি হলো পিপিএস সিস্টেম। মূলত পিপিএস এর অর্থ হচ্ছে পে পার সেল। আপনি যতোগুলো প্রোডাক্ট সেল করতে পারবেন, প্রোডাক্ট সেল এর উপর নির্ভর করে আপনি সেখান থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণে কমিশন পাবেন।
- পিপিসি সিস্টেমঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য যেই সকল পদ্ধতি রয়েছে সেগুলোর মধ্যে আরেকটি অন্যতম পদ্ধতি হচ্ছে পিপিসি সিস্টেম। মূলত পিপিসি এর অর্থ হচ্ছে পে পার ক্লিক। যতো ক্লিক আসবে আপনার রেফারেল থেকে এর বিনিময়ে আপনি সেখান থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে কমিশন পাবেন।
- প্রোডাক্ট রিভিউঃ ভিডিও কিংবা প্রোডাক্টের রিভিউ পোস্টের মাধ্যমে যদি সেখান থেকে কোন ব্যক্তি প্রোডাক্ট ক্রয় করেন, তাহলে আপনি সেখান থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন প্রাপ্ত হবেন। তবে যে প্রোডাক্ট গুলো তারা কিনবে সেগুলো অবশ্যই আপনার লিংক এর মাধ্যমে ক্রয় করা আবশ্যক। প্রিয় পাঠক আপনি প্রোডাক্টের রিভিউ ভিডিওর মাধ্যমে করতে পারবেন। কিন্তু প্রোডাক্ট এর লিংক গুলো অবশ্যই ডেসক্রিপশন বক্সে বসাতে হবে। এছাড়াও আপনি যদি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান, তাহলে সেক্ষেত্রে পোস্টের মধ্যে অ্যাফিলিয়েট লিংক অবশ্যই যুক্ত করতে হবে।
- রিক্রুটিং কমিশনঃ অনেক বড় বড় কোম্পানি কিংবা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা তাদের প্রোডাক্ট ক্রয় করার ব্যাপারে রিক্রুটিং করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের দিয়ে, আর এর বিনিময়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পায়।
জনপ্রিয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস
বর্তমান সময়ে যে সকল জনপ্রিয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস গুলো রয়েছে সেগুলো
নিচে উল্লেখ করা হলো।
- Amazon Associates: বর্তমান সময়ের জনপ্রিয়তা দিক দিয়ে অ্যামাজন বিশ্বের শীর্ষে অবস্থান করছে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য একটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস খুঁজেন,তাহলে আপনি অ্যামাজনে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। বর্তমান সময়ে অ্যামাজন সাইটে রেজিস্ট্রেশন করার মাধ্যমে যুক্ত হয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রতি মাসে খুবই ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করা যায়। মূলত আপনি অ্যামাজনে বিভিন্ন ধরনের অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্ট রয়েছে, সেগুলো পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে অবস্থান করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিক্রয় করতে পারবেন। আর এর বিনিময়ে আপনি সেখান থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণে কমিশন পাবেন।
- Clickbank: এই অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামটি হচ্ছে মূলত ডিজিটাল সার্ভিস ও লিড জেনারেশন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম। এখানে মূলত আপনাকে কোন ধরনের প্রোডাক্ট বিক্রয় করতে হবে না, শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট টার্গেট অনুযায়ী কোম্পানি গুলোর বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর প্রচার-প্রচারণা করিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে তারা আপনাকে টাকা প্রদান করবে। সাধারণত ধরনের কাজ হচ্ছে যেমন ওয়েবসাইটের প্রমোশন করা, নতুন নতুন অ্যাপস প্রমোশন করা এবং বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল সার্ভিস প্রমোশন করা ইত্যাদি।
- CJ Affiliate: সাধারণত এই প্রোগ্রামটি হচ্ছে আধুনিক সকল প্রোডাক্ট নিয়েই তৈরি। প্রিয় পাঠক আপনি যদি আধুনিক প্রোডাক্ট নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে আগ্রহী হন, সেক্ষেত্রে আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো অপশন হবে CJ Affiliate । আধুনিক প্রোডাক্ট গুলো হলো যেমন হোস্টিং সার্ভিস, ভিপিএস, ওয়েবসাইট থিম, ডোমেইন নেম, সার্ভার ইত্যাদি।
- eBay Partner: এই প্রোগ্রামটি মূলত অ্যামাজনের মতোই অনেকটা, এখানেও প্রচুর বেচাকেনা হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে eBay হচ্ছে বড় বড় কোম্পানি গুলোর মধ্যে একটি। এখানে টাকা লস হওয়ার কোনরকম সম্ভাবনা নেই। প্রিয় পাঠক আপনারা চাইলে eBay এর যে কোন প্রোডাক্টের প্রোগ্রামে আপনি অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
প্রোডাক্টের অ্যাফিলিয়েট লিংক কোথায় পাবেন?
বর্তমান সময়ে অনলাইনে অনেক কোম্পানি রয়েছে সেগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি নির্বাচন
করে আপনারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। যেমন ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি,
বিভিন্ন কোর্স বিক্রয়ের সাইট, অনলাইন কাপড়ের দোকান, ডোমেন কোম্পানি প্রভূতি।
সাধারণত এই সাইট গুলো বর্তমান সময়ে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম গুলো প্রদান করে
থাকেন। প্রিয় পাঠক আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান,
তাহলে সেক্ষেত্রে অনলাইন প্লাটফর্মে কোম্পানি গুলোকে খুজে তারপর আপনি
অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যুক্ত হতে পারবেন। আপনি অনলাইনে যেকোন কোম্পানিতে সাইনআপ
করার মাধ্যমে সেখানে একটি অ্যাফিলিয়েট প্রোফাইল পাবেন ওখানেই মূলত তাদের নিজ নিজ
কোম্পানির অ্যাফিলিয়েট লিংক পাশাপাশি বিভিন্ন প্রোডাক্টের বিবরণ সকল বিষয়
বিস্তারিতভাবে দেওয়া থাকবে সকল তথ্য দেখতেপাবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস থেকে কত টাকা আয় করা যায়?
অনেকেই এই প্রশ্নটি করে থাকেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস থেকে কত টাকায় করা
যায়? আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা ইনকাম করবেন সেটা নিতান্তই আপনার
কাজের উপরে নির্ভর করবে, আপনি যতো বেশি প্রোডাক্ট সেল করতে পারবেন, সেটার উপর
নির্ভর করে আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পাবেন। আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
করার সময় যতো বেশি সময় দিবেন পাশাপাশি বিভিন্ন ইউনিক ও কার্যকরী কৌশল অবলম্বন
করবেন,
ভালো মার্কেটিং এর মাধ্যমে সেল বৃদ্ধি করবেন, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আপনার
আয় ততো বৃদ্ধি পেতে থাকবে। সাধারণত কোন প্রোডাক্ট বিক্রয়ের জন্য খুবই
গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ক্রেতা। আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে খুবই ভালো
পরিমানে ইনকাম করতে চান, তাহলে আপনাকে একটি জনপ্রিয় অডিয়েন্স প্ল্যাটফর্ম তৈরি
করতে হবে। সেখানে যেন প্রচুর ট্রাফিক ও ফলোয়ার বিদ্যমান থাকে।
সেটা হতে পারে ইউটিউব চ্যানেলে, ওয়েব পেজের ব্লগ আপলোডে কিংবা ইউটিউব চ্যানেলে
ইত্যাদি। আবার অনেক সময় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা ইনকাম করা যায় এটা
সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনি গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী প্রোডাক্ট দিতে পারছেন কিনা?
এর উপর। কেননা অনেক বড় বড় কোম্পানি রয়েছে যারা একেক কোম্পানি একেক রকম কমিশন
প্রদান করে থাকেন এফিলিয়েট মার্কেটারদের।
অ্যাফিলিয়েট লিংক প্রমোটের মাধ্যমে আপনি কি রকম প্রোডাক্ট সেল করতে পারছেন? এটার
উপর ও আপনার ইনকাম অনেকটাই নির্ভরশীল। এছাড়াও আপনাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে
বেশি বেশি ইনকাম করার জন্য মার্কেটপ্লেসে কোন প্রোডাক্ট এর চাহিদা সবচেয়ে বেশি
সেটা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। আর গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী প্রোডাক্ট সেল করতে
হবে। তাহলে আপনার সেল বেশি হবে, আর সেল বেশি হলে আপনি কমিশন বেশি পাবেন, আপনার
ইনকাম বেশি হবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কাজটি যেহেতু পুরোটাই অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা, সেহেতু
প্রথম প্রথম আপনার অনেক কঠিন মনে হতে পারে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে যখন আপনি
অডিয়েন্সদের কাছে প্রোডাক্টের চাহিদা এবং বিশ্বস্ততার সহিত প্রোডাক্ট বিক্রয়
করতে শুরু করবেন, তখন অনেক সহজ হয়ে যাবে। প্রিয় পাঠক আশা করি অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটপ্লেস থেকে কত টাকা আয় করা যায় বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কেমন হবে?
বর্তমান সময়ে অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে প্রচুর মানুষ অর্থ উপার্জন করছেন।
আপনিও যদি অনলাইন জগতে কাজ করেন কিংবা কাজ করতে চান,তাহলে আপনার জন্য পুরো বিশ্ব
টাই হচ্ছে একটি মার্কেটপ্লেস। আপনি যদি একজন সফল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হতে চান,
সেক্ষেত্রে আপনাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে একান্ত ভাবে ধৈর্য ধরে লেগে থেকে
নিজেকে একজন সফল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মার্কেটপ্লেসে ২০১৭ সালে ইনকামের পরিমাণ ছিল $ ৫.৫%
বিলিয়ন মার্কিন ডলার। পরবর্তী সময়ে ২০২৩ সালে আয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৭
বিলিয়নেরও অধিক। বর্তমান সময়ে অনেকেই ধারণা করছেন ২০৩০ সাল আস্তে আস্তে আয়ের
পরিমাণ আশা করা যায় $ ৩৬.৯ বিলিয়ন গিয়ে দাঁড়াবে কিংবা আরো বেশি হতে পারে।
বর্তমান সময়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পেয়ে
যাচ্ছে।
আশা করা যায় ২০৩০ সালের মধ্যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি নির্ভরযোগ্য পেশা
হবে। সাধারণত বর্তমানে এই ডিজিটাল যুগে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে একটি লাভজনক
পেশা। প্রিয় পাঠক আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর উপর খুবই ভালোভাবে দক্ষতা
অর্জন করতে পারেন, তাহলে আপনিও প্রতি মাসে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে খুবই ভালো
পরিমানে টাকা আয় করতে পারবেন। তবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আপনি যদি প্রচুর
টাকায় ইনকাম করতে চান,
তাহলে সেক্ষেত্রে আপনাকে ধৈর্য ধরে লেগে থেকে কাজটি করে যেতে হবে, বেশি বেশি সময়
দিতে হবে। এছাড়াও আপনাকে জানতে হবে অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্ট গুলা কিভাবে সিলেক্ট
করতে হয়? মার্কেটপ্লেসে সেল কেমন করে বাড়ানো যায়? ইত্যাদি বিষয় গুলো সম্পর্কে
আপনাকে খুবই ভালোভাবে জানতে হবে। তাহলেই আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে সফলতা
অর্জন করতে পারবেন পাশাপাশি প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ কিংবা তারও অধিক টাকা আয় করতে
পারবেন।
লেখকের ইতি কথাঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায় ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন?
সম্মানিত পাঠক, আশা করি উপরোক্ত আলোচনা গুলো থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
করার উপায় ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন? এ বিষয়
সম্পর্কে পুরোপুরি বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। সারাবিশ্বে বর্তমান সময়ে মানুষ
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখে নিজ ঘরে বসে থেকেই একটু বুদ্ধি খাটিয়ে মাসে লক্ষ
লক্ষ টাকা আয় করছে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে খুব স্বল্প
পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। তবে এ বিষয়ে আপনাকে
স্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে।
তাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায় ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার
জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন? এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ে উল্লেখিত বিষয়গুলো
জেনে নিলে আপনি খুব সহজেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে দ্রুত সময়ে সফলতার
দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে
আপনার অবস্থানকে পরিবর্তন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
করে আয় করার উপায় ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন?
এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে তাহলে আপনি খুব দ্রুতই সফলতা অর্জন করতে
সক্ষম হবেন।
সম্মানিত পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থেকে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগের সাথে
পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে এ ধরনের তথ্যবহুল
কার্যকরী ও উপকারী আর্টিকেল নিয়মিত পোস্ট করে থাকি। তাই আপনি যদি এ ধরনের আরও
তথ্যবহুল ও উপকারী সব আর্টিকেল পড়তে চান, তাহলে অবশ্যই এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত
ফলো করুন। সাথে সাথে এ আর্টিকেলটি পরে ভালো লাগলে আপনার নিকট আত্মীয়,
বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজনদের কাছে তাদের উপকারার্থে শেয়ার করে দিন।
যেন তারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায় ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন? এ বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি ভালোভাবে জেনে
নিতে পারে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায় ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন? এ বিষয় সম্পর্কে আপনার যদি কোন
গুরুত্বপূর্ণ মতামত বা প্রশ্ন থাকে, তাহলে অবশ্যই নিচে দেওয়া মতামত বক্সে কমেন্ট
করতে ভুলবেন না। আবার আপনাদের সাথে কথা হবে নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে ততক্ষণ
পর্যন্ত নিরাপদ ও সুস্থ থাকুন।
কনফিডেন্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url