ফাইভারে সফলভাবে কাজ করার জন্য ৬টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও ফাইভারে ক্যারিয়ার গড়ার ৪টি উপায়
আপনি কি একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ শিখে ফাইভারে সফলভাবে কম্পিউটার বা
ল্যাপটপ দিয়ে কাজ করে নিজের ঘরে বসে থেকে স্বল্প পরিশ্রমের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ
টাকা ইনকাম করতে চান? তাহলে আপনার চিন্তার কোন কারণ নেই। কারণ আজকে আমাদের এই
আর্টিকেলটির মূল আলোচনায় হচ্ছে ফাইভারে সফলভাবে কাজ করার জন্য ৬টি গুরুত্বপূর্ণ
বিষয় ও ফাইভারে ক্যারিয়ার গড়ার ৪টি উপায় সম্পর্কে। এ বিষয়ে বিস্তারিত
তথ্যবহুল ও প্রয়োজনীয় আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক!
আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটির মাধ্যমে ফাইভারে সফলভাবে কাজ করার জন্য ৬টি
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও ফাইভারে ক্যারিয়ার গড়ার ৪টি উপায় এ বিষয় সম্পর্কে এমন
কিছু ইউনিক ও কার্যকরী তথ্য সম্পর্কে জানাবো, যেগুলিকে কাজে লাগিয়ে আপনি খুব
সহজেই কম্পিউটার বা ল্যাপটপ দিয়ে ফাইভারে সফলভাবে বিভিন্ন কাজ করে প্রতি মাসে
লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি কি আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য
গুলো জানতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্যই। ফাইভারে
সফলভাবে কাজ করার জন্য ৬টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও ফাইভারে ক্যারিয়ার গড়ার ৪টি
উপায় এই আর্টিকেলটির সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আশা করি আলোচ্য বিষয়ে
বিস্তারিতভাবে নির্ভুল সব তথ্য গুলো জানতে পারবেন। ইনশাআল্লাহ!
পেজ সূচিপত্রঃ
.
ভুমিকা
সারাবিশ্বে বর্তমান সময়ে মানুষ অনলাইন মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে সফলভাবে ফাইবারে
বিভিন্ন কাজ করে নিজ ঘরে বসে থেকেই একটু বুদ্ধি খাটিয়ে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয়
করছে। ফাইভার হলো বর্তমান সময়ে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করার সব থেকে জনপ্রিয়
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর ও সহজ মাধ্যম। তাই সারাবিশ্বে বর্তমান সময়ে মানুষ ফাইবারের
বিভিন্ন কাজ শিখে সফলভাবে কাজ করে অনেক মানুষই এটিকে তাদের পেশা হিসেবে গ্রহন করে
আয়ের অন্যতম উৎস বানিয়ে নিয়েছে।
তাই আপনিও যদি অন্যের গোলামী না করেই নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী মুক্ত পেশাজীবী হিসাবে
সফলভাবে ফাইবারে কাজ করে ঘরে বসে থেকেই লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করে নিজেকে স্বাবলম্বী
করতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে ফাইভারে সফলভাবে কাজ করার জন্য ৬টি গুরুত্বপূর্ণ
বিষয় ও ফাইভারে ক্যারিয়ার গড়ার ৪টি উপায় এ বিষয়ে পুরোপুরি ধারণা রাখতে
হবে।
তাই আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি বিস্তারিতভাবে জানতে
পারবেন ফাইভারে সফলভাবে কাজ করার জন্য ৬টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও ফাইভারে
ক্যারিয়ার গড়ার ৪টি উপায় এ বিষয় সম্পর্কে। এছাড়াও ফাইভার কোন ধরনের সাইট?
ফাইভারে সফলভাবে কাজ করার জন্য ৬টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, ফাইভারে ক্যারিয়ার গড়ার
উপায় গুলো কিকি? ফাইভারে কাজ পাওয়ার উপায় সমূহ,
ফাইভারে গিগ তৈরি করার উপায় ৭টি, ফাইভারে বায়ার কে খুশি করার উপায় ও ইউনিক
টেকনিক, ফাইভারে ইম্প্রেশন ক্রিয়েট করার উপায় ও সিম্পল পদ্ধতি, ফাইভার গিগ
র্যাঙ্ক করার উপায় ৪টি এ বিষয়গুলো সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই আপনি
যদি ফাইভারে সফলভাবে কাজ করার জন্য ৬টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও ফাইভারে ক্যারিয়ার
গড়ার ৪টি উপায় সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই
কার্যকরী।
ফাইভার কোন ধরনের সাইট?
অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা ফাইভার কোন ধরনের সাইট তা ভালোভাবেই জানে, কিন্তু আবার
অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা মূলত নতুন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেছে তারা ফাইভার
সম্পর্কে জানেনা। প্রিয় পাঠক আপনি যদি ফাইভার সম্পর্কে না জেনে থাকেন, তাহলে
আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করতে
চান, তাহলে সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ফাইভার সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে।
কেননা ফাইভার হচ্ছে একটি খুবই জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস। আর এই মার্কেটপ্লেসে হাজার
হাজার লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি ফ্রিল্যান্সার ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করে। সাধারণত দেশে
কিংবা দেশের বাইরে বিভিন্ন ধরনের বড় বড় কোম্পানি দক্ষ দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের
দিয়ে নানা ধরনের কাজ করিয়ে নেই। আর এর বিনিময়ে তারা তাদের অর্থ প্রদান
করে।
মূলত ফাইভার হচ্ছে একটি খুবই জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস যেখানে গ্রাফিক্স ডিজাইন থেকে
শুরু করে ডিজিটাল মার্কেটিং সহ আরোও বিভিন্ন ধরনের কাজ করিয়ে নেওয়ার বিনিময়ে
তারা টাকা প্রদান করে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করতে চান এবং একটি
বিশ্বস্ত ও জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে চান, আপনি যদি কোন একটি অনলাইন কাজের
উপরে খুবই ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করে থাকেন, তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার জন্য ফাইভার
মার্কেটপ্লেসটি সবচেয়ে বেস্ট হবে।
সাধারণত ফাইভার হচ্ছে একটি ইসরাইলি মাল্টিন্যাশনাল জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং
মার্কেটপ্লেস। বিশ্বব্যাপী ফাইভার ২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়।
সাধারণত ফাইভারে ১০০ এর উপরে মেইন ক্যাটাগরি বিদ্যমান রয়েছে। এছাড়াও তাদের
অসংখ্য সাব ক্যাটাগরি বিদ্যমান রয়েছে। মূলত ফাইভার মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি
হওয়ায় এখানে ইংলিশ বাদেও স্প্যানিশ, জার্মান, ফ্রান্স, ডাচ, পর্তুগিজ ইত্যাদি
ভাষায় এই ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করা হয়।
ফাইভারে সফলভাবে কাজ করার জন্য ৬টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
সাধারণত বর্তমান সময়ে ফাইভার খুবই জনপ্রিয় একটি মার্কেটপ্লেস। মূলত এই
মার্কেটপ্লেসে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সার সেবা প্রদান করে থাকেন। ফাইভার ব্যবহার করে
কাজ করা খুবই সহজ পাশাপাশি সাশ্রয়ীও বটে। আর এই জন্যই ফাইভার সারা বিশ্বে খুবই
জনপ্রিয়। প্রিয় পাঠক আপনারা যদি ফাইভারে কাজ করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাদের
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে অবগত হওয়া অত্যন্ত জরুরি।
সাধারণত বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস
গুলোর ভিতর অন্যতম হচ্ছে ফাইভার। আর এই ফাইভারে সফলভাবে কাজ করার জন্য অবশ্যই
আপনাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানা অত্যান্ত জরুরী। সাধারণত ফাইভার
মার্কেটপ্লেস প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১০ সালে। আর এই মার্কেটপ্লেসটি মূলত কাজের জন্য
সবচেয়ে ফেমাস। ফাইভার মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করে কাজ করা যেমন সহজ,
ঠিক তেমনি এর পেমেন্ট পদ্ধতিও নিরাপদ ও সুরক্ষিত পাশাপাশি ফাইবার মার্কেটপ্লেসে
কাজ করার নানা সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি ফাইভারে কিছু
গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অনুসরণ করে কাজ করেন, তাহলে খুব সহজেই সফল হতে পারবেন। প্রিয়
পাঠক তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ফাইভারের সফলভাবে কাজ করার জন্য কিছু
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিচে উল্লেখ করা হলো।
- আপনার দক্ষতার উন্নয়ন করুনঃ প্রিয় পাঠক আপনি যদি ফাইভারে সফলভাবে কাজ করতে চান, সেজন্য অবশ্যই আগে আপনি যে বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে চান সেই বিষয়টিতে খুবই ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করুন। আপনি যতো আপনার কাজটি নিয়ে চর্চা করবেন আপনি,সেই বিষয়ে ততো দক্ষ হয়ে উঠবেন। এছাড়াও একটি কাজ শিখে কখনোই বসে থাকবেন না। কেননা সময়ের সাথে সাথে একেক সময় একেক কাজ ট্রেন্ডিংয়ে থাকে, তাই জন্য কনটেন্ট রাইটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি বিষয়ে খুবই ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করুন। তাহলে একটার যদি বাজার ডাউন যায়, তাহলে আপনি আরেকটি কাজ শুরু করে দিতে পারবেন। তাই আপনি যখন একটি নির্দিষ্ট কাজ করবেন সাথে সাথে ওর পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং এর আরেকটি কাজে দক্ষতা অর্জন করবেন। এছাড়াও নতুন নতুন টুলস ও সফটওয়্যার ব্যবহার করা অবশ্যই শিখবেন। কখন কোন ট্রেন্ড চলে, এই সম্পর্কে সবসময় ভালোভাবে আপডেট থাকবেন। আপনি যদি এই নিয়ম গুলো অনুসরণ করে কাজ করেন, তাহলে খুব সহজেই ফাইভারে ফ্রিল্যান্সিং করে সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
- আপনি আপনার প্রোফাইল আকর্ষণীয় করে তৈরি করুনঃ ফাইবারে প্রোফাইল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা সেখানে আপনার ব্যক্তিগত থেকে শুরু করে নানা ধরনের তথ্য থাকবে যেমন ধরুন আপনার ছবি, নাম, ইমেইল, আপনার কাজের রিভিউ ইত্যাদি আরো অনেক কিছু। এই প্রোফাইল আপনার পেশা জীবনে অনেক প্রভাব ফেলবে। তাই জন্য আপনার প্রোফাইলটি পেশাদার এবং বিশ্বাসযোগ্য ভাবে তৈরি করুন, যেন ক্লাইন্টরা আপনার প্রোফাইল দেখে আপনাকে কাজ দেওয়ার আস্থা পায়। যেমন ধরুন আপনার প্রোফাইলে আপনার পেশাদার ছবি ব্যবহার করবেন, আপনার প্রোফাইলে সংক্ষেপে এবং আকর্ষণীয়ভাবে আপনার দক্ষতার কথা উল্লেখ করবেন, এছাড়াও আপনি আপনার কাজের ভালো রিভিউ গুলো আপনার প্রোফাইলে সুন্দরভাবে উল্লেখ করে রাখবেন।
- আপনি আপনার প্রোফাইলে মানসম্মত গিগ তৈরি করুনঃ একটি সুন্দর ও আকর্ষণীয় গিগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা একটি মানসম্মত গিগ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সফলতা পাওয়ার অন্যতম মূল চাবিকাঠি। আর এই জন্য আপনাকে প্রথমে সঠিক ক্যাটাগরি নির্বাচন করতে হবে। এছাড়াও আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে আপনার টাইটেল যেন আকর্ষণীয় হয় পাশাপাশি সংক্ষিপ্ত ও পরিষ্কার টাইটেল ব্যবহার করার চেষ্টা করতে হবে। আপনার কোন বিষয় সম্পর্কে মানুষের বুঝতে সমস্যা হলে আপনি কিভাবে এর সলিউশন প্রদান করবেন সেটি ভালোভাবে উল্লেখ করবেন। এছাড়াও গিগের ক্ষেত্রে টাইটেল এবং ট্যাগে অবশ্যই প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করার চেষ্টা করতে হবে। সাধারণত একেক ক্লায়েন্ট একেক ধরনের হয়, আর এই জন্য বিভিন্ন ক্লায়েন্টদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন বাজেটের প্যাকেজ অফার করুন। এই কাজ গুলো মূলত আপনার ভাইভার মার্কেটপ্লেসে সফল হওয়ার আরেকটি অন্যতম উপায়।
- কাস্টমার সার্ভিস এর ক্ষেত্রে ভালো হতে হবেঃ প্রিয় পাঠক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর সফল হতে হলে অবশ্যই আপনাকে গিগ প্রমোট করতে হবে। এখন আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন কোথায় প্রমোট করবেন? চিন্তার কোন দরকার নাই। বর্তমান সময়ে আপনি খুব সহজেই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে আপনি আপনার গিগ প্রমোট করতে সক্ষম হবেন। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া যেমন ফেসবুক,ইউটিউব,ইনস্টাগ্রাম,লিংকডইনইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে আপনি আপনার গিগ শেয়ার করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক গ্রুপে অংশ নিতে পারেন এবং সেখানে সাহায্য প্রদান করতে পারেন।
- হাল ছাড়লে চলবে না ধৈর্য ধরে নিয়মিত কাজ করে যেতে হবেঃ আপনি যে কাজেই করেন না কেন? কাজ শুরু করার সাথে সাথেই সফল হতে পারবেন না? আপনাকে হাল না ছেড়ে ধৈর্য ধরে কাজ করে যেতে হবে। তাহলে দেখবেন একসময় আপনার হাতের মুঠোয় সফলতা নিজেই ধরা দিয়েছে। আপনি যখন ফাইভার মার্কেটপ্লেসে প্রথম প্রথম কাজ শুরু করবেন, তখন আপনি কম কাজ পেতে পারেন। এতে ভেঙে পড়ার কিছু নেই, প্রথমে এরকম সবারই হয়। পরিশ্রম না করে কেউ কখনোই একবারে সফলতা অর্জন করতে পারে না। আপনি যদি ধৈর্য ধরে ভালো মানের কাজ করে যেতে পারেন পাশাপাশি আপনি আপনার প্রোফাইলে ভালো ভালো রিভিউ পান, এতে করে আপনার কাজের পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
- নতুন নতুন সেবা যোগ করুনঃ ধরুন যে আপনি একটি কাজ শুরু করেছেন, সেই কাজটি একসময় ট্রেন্ডিংয়ে ছিল তখন ভালোই চলেছে। কিন্তু এখন আর চলছে না। আপনি সেখানে কাজ পাচ্ছেন না? তাহলে সেক্ষেত্রে আপনাকে নতুন ট্রেন্ডিং সেবা যুক্ত করতে হবে যেমন ধরুন AI এবং ChatGPT সম্পর্কিত কাজ গুলো যুক্ত করতে হবে। এছাড়াও ভিডিও এডিটিং বা অ্যানিমেশনের কাজ গুলো যুক্ত করতে হবে। এসইও বিষয়ে ভালোভাবে দক্ষ হয়ে এসইও এর ঠিকঠাক ব্যবহার করতে হবে ইত্যাদি।
ফাইভারে ক্যারিয়ার গড়ার উপায় গুলো কিকি?
প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের ফাইভারে ক্যারিয়ার গড়ার উপায়
সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। প্রিয় পাঠক আপনি যদি ফাইভারে আপনার ক্যারিয়ার গড়ে
তুলতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে। তাহলে আপনি ফাইভারে
সফলতা অর্জন করতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ফাইভারে ক্যারিয়ার গড়ার
উপায় গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।
- প্রোফাইল কমপ্লিটঃ প্রিয় পাঠক আপনি যদি ফাইভারে সফলতা অর্জন করতে চান, তাহলে সেক্ষেত্রে আপনাকে আপনার প্রোফাইল ১০০% ফুলফিল করতে হবে। যেমন ধরুন আপনার প্রোফাইল পিকচার প্রফেশনাল মানের ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও আপনার নামের নিচে যে ট্যাগটি বিদ্যমান থাকবে, সেখানে আপনার কাজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে হবে। এতে করে বায়ার আপনার ছবি এবং নাম দেখে আপনার সম্পর্কে পজিটিভ ধারণা পাবে। এছাড়াও আপনাকে আপনার ডেসক্রিপশন বক্সে নিজ সম্পর্কে, আপনি কি কি সার্ভিস প্রোভাইড করতে পারবেন? সেই সম্পর্কে পরিষ্কার ও সুন্দরভাবে গুছিয়ে উল্লেখ করতে হবে। যেন সেগুলো দেখে বায়ার আপনার প্রতি এবং আপনার কাজের প্রতি বিশ্বাস আস্থা এবং ভালো ধারণা পায়।
- গিগ তৈরিঃ প্রিয় পাঠক আপনি যে ফাইভার ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে চান, সেই জন্য আপনার প্রোফাইলটি প্রফেশনাল মানের সার্ভিস প্রদানের জন্য সুন্দর ও আকর্ষণীয় ভাবে গিগ তৈরি করতে হবে। সাধারণত ফাইভারে গিগ শব্দের মানে হচ্ছে কাজের একটি সম্পূর্ণ বিবরণ। সাধারণত একটি গিগের কয়েকটি ধাপ বিদ্যমান রয়েছে। যেমন সার্ভিস, ক্যাটাগরি, ইমেজ, প্রাইস, প্রেসক্রিপশন ইত্যাদি। প্রিয় পাঠক আপনি যতো বেশি সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে গিগ তৈরি করতে পারবেন, ততো আপনার ক্লিক এবং ইম্প্রেশন বৃদ্ধি হতে থাকবে। এছাড়াও প্রোফাইলের টাইটেল সুন্দর ও আকর্ষণীয় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে করে বায়ার আপনার প্রোফাইলের প্রতি আকর্ষণ পোষণ করবে। ফলে আপনি বেশি ফাইভারে বেশি বেশি কাজ পাবেন। আর তাই জন্য টাইটেল হতে হবে সুন্দর ও আকর্ষণীয় এবং সাবলীল ভাষায়। আপনার মনে একটি ধারণা তৈরি করতে হবে যেন আপনি একজন প্রতিযোগী, তাহলে খুবই অল্প সময়ে আপনার গিগ রেঙ্ক করবে পাশাপাশি সেল ও বৃদ্ধি পেতে থাকবে। এছাড়াও আপনাদের গিগে প্রাইস নির্ধারণ করতে হবে ভেবেচিন্তে। আপনি যদি অবাস্তব প্রাইস নির্ধারণ করেন, তাহলে বায়ার আপনাকে অর্ডার দেবে না। এছাড়াও আপনি যদি খুবই কম প্রাইজ নির্বাচন করেন, সেক্ষেত্রে বায়ার আপনাকে দুর্বল ভেবে কাজ দেবে না। তাই জন্য সব সময় স্বাভাবিক প্রাইস নির্ধারণ করার চেষ্টা করবেন। এছাড়াও আপনি আপনার গিগে ক্লিক এবং ইমপ্রেশন বাড়ানোর জন্য থাম্বনেইল হিসাবে ১৫ সেকেন্ডের ভিডিও যুক্ত করতে পারেন।
- স্কিল টেস্টঃ প্রিয় পাঠক আপনার প্রোফাইলটি যখন আপনি সুন্দর ভাবে সাজে গুছিয়ে তৈরি করে নিবেন, তখন আপনার কাজের সেক্টরের উপরে নানা ধরনের টেস্ট বিদ্যমান থাকবে। সেগুলো আপনাকে অবশ্যই কমপ্লিট করতে হবে। আপনি যদি সেই টেস্টগুলো কমপ্লিট নাও করেন তাতেও কোন সমস্যা নেই। কিন্তু আপনি যদি সেই টেস্ট গুলো কমপ্লিট করেন, এতে করে আপনার প্রোফাইলের রেংকিং পাশাপাশি অভিজ্ঞতা বোঝানোর জন্য আপনি সেগুলো আপনার প্রোফাইলে উল্লেখ করতে পারবেন।
- গিগ মার্কেটিংঃ প্রিয় পাঠক আপনি যদি ফাইভারে সফল হতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ফাইভারে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য গিগ মার্কেটিং করতে হবে। কেননা আপনি যতো ভালো মার্কেটিং করতে সক্ষম হবেন, প্রমোট করতে পারবেন, বায়ার রিকোয়েস্ট করতে পারবেন, আপনি ততো বেশি অর্ডার পাবেন। আর এই জন্য আপনাকে গিগ মার্কেটিং বিষয়ে খুবই ভালোভাবে মনোযোগী হতে হবে। আপনি যদি ফাইভারের সকল পদ্ধতি সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারেন, তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতি মাসে খুবই ভালো পরিমানে ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। তাই আপনি যে বিষয় নিয়ে কাজ করবেন, সেই বিষয়ে খুবই ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং এর এমন অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলো না জানার কারণে অনেকেই এই সেক্টরের সফল হতে পারেনা। তাই প্রিয় পাঠক আপনি যদি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ফাইভারে আপনার ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাহলে এই বিষয়গুলো অবশ্যই আপনাকে মাথায় রেখে কাজ করতে হবে, তাহলে আপনি সফল হতে পারবেন।
ফাইভারে কাজ পাওয়ার উপায় সমূহ
প্রিয় পাঠক ফাইভারে সফলভাবে কাজ করার জন্য যে সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো
সম্পর্কে জানা প্রয়োজন আমরা ইতিমধ্যেই আপনাদের সামনে সেই সকল বিষয় সম্পর্কে
বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। আপনি যদি ফাইভারে কাজ করতে চান এবং বেশি বেশি কাজ
পেতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অনুসরণ করতে হবে। আর আপনি
সকল বিষয় যদি অনুসরণ করেন, তাহলে ফাইভারে প্রচুর কাজ পেয়ে যাবেন।
সাধারণত যার স্কিল ডেভেলপমেন্ট করেছেন মূলত তাদের জন্য ফাইভারে কাজ পাওয়া অনেক
সহজে। আবার যারা নতুন ফ্রিল্যান্সার তাদের জন্য ফাইবারে কাজ পাওয়া অনেক কঠিন
একটি বিষয়। প্রিয় পাঠক আপনি যদি ফাইভারে ভালো পরিমাণে কাজ পেতে চান, সেক্ষেত্রে
আপনাকে আপনার প্রোফাইলটি সুন্দরভাবে সাজাতে হবে। যা ইতিমধ্যেই আপনাদের সাথে
বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।
আপনি যদি সুন্দরভাবে আপনার প্রোফাইলটি সাজাতে পারেন এবং আপনার প্রোফাইলে যদি
সবকিছু ঠিকঠাক থাকেন, তাহলে বায়ার আপনার প্রোফাইল দেখেই আপনাকে কাজ দেবে।
এছাড়াও আপনাকে ফাইভারে কাজ পাওয়ার জন্য আপনাকে ফাইভার মার্কেটপ্লেসে নিয়মিত
একটিভ থাকার চেষ্টা করতে হবে। অনেক ব্যক্তিবর্গ রয়েছে যারা একটিভ থাকে না, একটিভ
না থাকলে তো কাজ পাওয়ার আশা করা নিতান্তই বৃথা।
তাই প্রিয় পাঠক আপনি যদি ফাইভার মার্কেটপ্লেস এ কাজ পেতে চান, তাহলে সেক্ষেত্রে
আপনাকে নিয়মিত অবশ্যই ফাইভার মার্কেটপ্লেস একটিভ থাকতে হবে। এছাড়াও আপনাকে তৈরি
করতে হবে আকর্ষণীয় ও উন্নত মানের গিগ। ফাইভার মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়ার জন্য
সুন্দর ও আকর্ষণীয় গিগের অবদান অনেক। এছাড়াও বেশি বেশি কাজ পাওয়ার জন্য আবেদন
পত্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি সঠিকভাবে বায়ারের কাছে আবেদন করতে
পারেন,
তখন কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক গুণ বেড়ে যায়। আর তাই জন্যই আপনাকে গিগ এমন
আকর্ষণীয় ও সুন্দরভাবে তৈরি করতে হবে, যেন বায়ার আপনার প্রোফাইলের প্রতি
আকর্ষিত হয় এবং আপনার প্রোফাইল দেখে আপনাকে বেশি বেশি কাজ দেয়। বিশেষ করে ইমেজ
ও ভিডিও অবশ্যই যুক্ত করতে হবে। তাহলে দেখবেন আপনি ফাইভারে প্রচুর পরিমাণে কাজ
পাচ্ছেন। কিছু কিছু ইউনিক কার্যকরী কৌশল অবলম্বন করে আপনাকে ফাইভার মার্কেটপ্লেস
থেকে কাজ জোগাড় করে নিতে হবে।
যেমন ধরুন প্রফেশনাল সেলার প্রোফাইল তৈরি করতে হবে, স্কিল টেস্ট দিতে হবে, সঠিক
গিগ টাইটেল ও ডেসক্রিপশন অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে
আপনার গিগ প্রমোট করতে হবে, এছাড়াও তৈরি করতে হবে আকর্ষণীয় গিগ ইমেজ ও ভিডিও,
ফাইভার মার্কেটপ্লেসে নিয়মিত একটিভ থাকতে হবে, আপনার কাজের কোয়ালিটি হতে হবে
অন-টাইম ডেলিভারি,
হাই লেভেল সেলার হওয়া আবশ্যক, এছাড়াও ব্যবহার করতে হবে ফাইভার ফোরাম, ট্যাগ ও
ডেসক্রিপশন এর সবচেয়ে সেরা ও সঠিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। এই বিষয় গুলো
যদি আপনি সবকিছু ঠিকঠাক ভাবে করতে পারেন, তাহলে ফাইভারে প্রচুর পরিমাণে কাজ পেয়ে
যাবেন।
ফাইভারে গিগ তৈরি করার উপায় ৭টি
প্রিয় পাঠক আজকে আপনাদের সাথে গিগ তৈরি করার উপায় গুলো সম্পর্কে জানাবো। প্রিয়
পাঠক আপনি যেহেতু ফাইভার মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে চান, সেহেতু আপনার জন্য সুন্দর ও
আকর্ষণীয়ভাবে গিগ তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মূলত গিগ হচ্ছে এক ধরনের সার্ভিস।
একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার ফাইভার মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে তার নিজের সার্ভিস গুলো
সেল করার জন্য যে সকল সুযোগ-সুবিধা গুলো প্রদান করে থাকে পাশাপাশি সার্ভিসটি কত
দিনের ভিতরে সম্পূর্ণ করবে এবং এর বিনিময়ে কত টাকা নিবে এই সকল তথ্য গুলো মূলত
যার মাধ্যমে সাবমিট করা হয় সেটাই হচ্ছে গিগ।
আপনি যদি আপনার ক্যারিয়ার ফাইভার মার্কেটপ্লেসে গড়ে তুলতে চান, তাহলে
সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই আগে একটি সুন্দর ও আকর্ষণীয় গিগ তৈরি করতে হবে। আর এই
গিগ তৈরি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি রয়েছে সেগুলো অবলম্বন করে, তারপর
সুন্দর ও আকর্ষণীয়ভাবে গিগ তৈরি করতে হবে। গিগ তৈরি করার যে বিষয় গুলো রয়েছে
সেই বিষয় গুলো মাথায় রেখে আপনার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে এসইও ফ্রেন্ডলি একটি গিগ
তৈরি করতে হবে।
- কম্পিটিটর অ্যানালাইসিস করতে হবে।
- এছাড়াও সুন্দর ও আকর্ষণীয় গিগ তৈরি করতে হবে পাশাপাশি ইউনিক এসইও ফ্রেন্ডলি আকর্ষণীয় টাইটেল ব্যবহার করতে হবে।
- এছাড়াও আপনারা যখন ডেসক্রিপশন ব্যবহার করবেন, তখন চেষ্টা করবেন ইউনিক ডেসক্রিপশন ব্যবহার করার।
- গিগে বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজ উল্লেখ করতে হবে।
- এছাড়াও গিগে একটি সুন্দর ও আকর্ষণীয় ট্যাগ যুক্ত করতে হবে।
- গিগের জন্য একটি ভালো ও উন্নত মানের থাম্বল যুক্ত করতে হবে।
- এছাড়াও গিগ আরও সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য ছবি ও ভিডিও যুক্ত করতে হবে।
ফাইভারে বায়ার কে খুশি করার উপায় ও ইউনিক টেকনিক
সাধারণত আপনারা যদি ফাইভার মার্কেটপ্লেসে সফলভাবে কাজ করতে চান, সেক্ষেত্রে
অবশ্যই আপনাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে সেগুলো জানার পাশাপাশি ফাইভারে
বায়ারকে খুশি করার উপায় গুলো সম্পর্কেও খুবই ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। যদি
আপনারা আপনাদের কাজ দিয়ে বায়ারকে খুশি করতে পারেন, তাহলে সেক্ষেত্রে বায়ার
আপনার প্রোফাইলে এসে ভালো ভালো রেটিং দিবে।
ফাইভার মার্কেটপ্লেসে শক্ত ও পাকা পোক্ত ভাবে ক্যারিয়ার গড়ে তোলার জন্য ভালো
মানের রেটিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এজন্য নতুন পুরাতন প্রত্যেক
ফ্রিল্যান্সারেরই বায়ারকে খুশি করার উপায় গুলো সম্পর্কে জানা উচিত। কাজ
সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন থাকলে সেগুলো করতে হবে। অনেক সময় বায়ার যখন
আমাদের কাজ দেয়, তখন কোন রকম প্রশ্ন না করে উৎসাহী হয়ে কাজ শুরু করে দেয়।
যার ফলে কাজে নানা ধরনের ভুল-ভ্রান্তি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর তাই জন্য এই
বিষয়গুলো থেকে বেরিয়ে বায়ারকে আপনার কাজ সম্পর্কিত যতো ধরনের প্রশ্ন রয়েছে
সেগুলো করবেন। এছাড়াও বায়ারের বিজনেস এর মাধ্যমে কি কি সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে
সেগুলো জেনে নিতে হবে। সাধারণত বায়ার আপনাকে যে কাজ গুলো প্রদান করবে সেই কাজ
গুলোর বিষয়ে এবং তাদের সার্ভিসের বিষয়ে খুবই ভালোভাবে জানতে হবে।
কেননা আপনি যদি তার বিজনেস সম্পর্কে না জানেন, সেক্ষেত্রে আপনার কাজের মান কখনোই
ভালো হবে না। তাই আগে জেনে শুনে তারপর কাজ শুরু করবেন। আপনি যে বায়ারের কাছ থেকে
যেই কাজটি নিচ্ছেন, সেই কাজটি পূর্বে কেউ করেছে কিনা? সেই সম্পর্কেও ভালোভাবে
জেনে নিতে হবে। পূর্বে যদি সেই কাজটি করে থাকে, বায়ার তাহলে আপনাকে নতুন করে
কাজটি কেন দিল? এই সম্পর্কে জানতে হবে।
কাজের বিষয়ে মূলত তার কোন জিনিসটি পছন্দ হচ্ছে না? এগুলো সব কিছু জানার পরেই
আপনাকে কাজ করতে হবে। তাহলে আপনি ভালোভাবে কাজটি কমপ্লিট করতে পারবেন। এছাড়াও
উক্ত কাজের কতগুলো কম্পিটিটর রয়েছে, এগুলো সম্পর্কেও ভালোভাবে জেনে নিতে হবে।
বর্তমান সময়টাই হচ্ছে প্রতিযোগিতা মূলক সময়। আপনি যদি প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে
চান, তাহলে সেক্ষেত্রে আপনাকেও নিজেকে প্রতিযোগী করে গড়ে তুলতে হবে।
বায়ারের কাজ গুলো আপনারা নেওয়া পর অন-টাইমে কাজ করার পরপরই বায়ারকে কাজ প্রদান
করতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় কাজ ঠিক টাইমে ডেলিভারি অনেকেই দেয় না, এর
ফলে,বায়ার রাগান্বিত হয়,রেটিং কম দেয়। বায়ার যেন রাগান্বিত না হয়,আপনার কাজ
দেখে যেন পছন্দ করে এবং আপনি ঠিক টাইমে দিয়েছেন এটিও যেন পছন্দ করে, তাই সবসময়
টাইম এর ভেতরে কাজ প্রদান করার চেষ্টা করবেন। এতে করে বায়ার যেমন খুশি হবে, ঠিক
তেমনি আপনাকে রেটিং ও বেশি দিবে। যদি সম্ভব হয় তাহলে সময়ের আগেই কাজ ডেলিভারি
দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
ফাইভারে ইম্প্রেশন ক্রিয়েট করার উপায় ও সিম্পল পদ্ধতি
প্রিয় পাঠক খুবই জনপ্রিয় ফাইভার মাল্টিন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসে ইমপ্রেশান বৃদ্ধি
করার উপায় সম্পর্কে সকলেই জানা অত্যন্ত জরুরি। আমরা ইতিমধ্যেই আপনাদের সাথে
কিভাবে গিগ তৈরি করতে হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। সাধারণত কাজ
পাওয়ার জন্য সুন্দর ও আকর্ষণীয়ভাবে গিগ তৈরি করতে হয়। আর সেখানে যদি সঠিক
ইম্প্রেশন না পাওয়া যায়, তাহলে কখনোই কাজে সফলতা আশা করা সম্ভব নয়।
আপনি যদি ফাইভার মার্কেটপ্লেসে ভালো পরিমানে কাজ পেতে চান, তাহলে সেক্ষেত্রে
আপনাকে অবশ্যই ইমপ্রেশনের দিকে বিশেষভাবে লক্ষ্য দিতে হবে। সাধারণত আপনারা যে
সার্ভিস গুলো দিবেন সেই সকল বিষয়ে ভালোভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করে, তারপর সেখান
থেকে কিওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে। এছাড়াও আপনি যখন সুন্দর ও আকর্ষণীয়ভাবে গিগ
তৈরি করবেন গিগ তৈরি করার সময় যেন আপনার টাইটেল গুলো সুন্দর আকর্ষণীয় হয় এবং
এসইও ফ্রেন্ডলি হয়,
সে বিষয়টি অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। মানসম্মত ও এসইও ফ্রেন্ডলি ইউ আর এল
নির্বাচন করে তারপর বেছে নিতে হবে। আপনি যদি একটি সুন্দর ও আকর্ষণীয় গিগট তৈরি
করতে যান, সেক্ষেত্রে অবশ্যই ইমেজ ও ভিডিও যুক্ত করতে হবে। তাহলে আপনার ইম্প্রেশন
দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। সুন্দর ও আকর্ষণীয় ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে
পাশাপাশি অবশ্যই আপনার কিওয়ার্ড গুলো যেন রিলেটেড কিওয়ার্ড হয় সেদিকে খেয়াল
রাখতে হবে।
নিজের দক্ষতাকে ফুটিয়ে তোলার জন্য ও নিজেকে সবার সামনে ভালোভাবে উপস্থাপন করার
জন্য প্রথম দিকে রিজনেবল প্রাইস রাখতে হবে। তারপর মানুষের চাহিদা অনুযায়ী এবং
আপনার পাবলিসিটির উপর নির্ভর করে পরবর্তী সময়ে প্রাইস বৃদ্ধি করতে পারেন। কিন্তু
একটা বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখবেন কখনো অবাস্তব প্রাইস নির্ধারণ করবেন না, নইলে
বায়াররা আপনাকে কাজ দেবে না। সব সময় এমন প্রাইস নির্ধারণ করবেন যেন আপনারও ভালো
হয়, বায়ারেরও ভালো হয়।
ফাইভার গিগ র্যাঙ্ক করার উপায় ৪টি
ফাইভারে গিগ রেংক করার উপায় সম্পর্কে খুবই ভালোভাবে সকলেরই জানা উচিত। বর্তমান
সময়ে ফাইভার খুবই জনপ্রিয় একটি মাল্টিন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস। ফাইভার
মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন ধরনের কাজ খুব সহজেই পাওয়া যায়।
সাধারণত ফাইভারে কাজ পাওয়ার জন্য সুন্দর ও আকর্ষণীয়ভাবে গিগ তৈরি করতে হয়।
কিন্তু কিভাবে সুন্দর ও আকর্ষণীয়ভাবে গিগ তৈরি করতে হয় এই বিষয়টি অনেকেই না
জানার কারণে গিগ ভালোভাবে রেংক করাতে পারে না। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ফাইভার
মার্কেটপ্লেসে কিভাবে কাজ পাবেন এই সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপায় নিচে উল্লেখ
করা হলো।
- ফাইভারে গিগে খুবই ভালোভাবে এসইও এর কাজ সম্পন্ন করতে হবে। বর্তমান সময়ে কোনো আর্টিকেলকে গুগলে রেংক করানোর জন্য সবচেয়ে যেটা গুরুত্বপূর্ণ সেটি হলো এসইও এর কাজ। এসইও কাজ যদি খুবই ভালোভাবে করা যায়, তাহলে গুগলে আর্টিকেল প্রথম দিকে প্রদর্শিত হয়। ঠিক তেমনই গিগের ক্ষেত্রেও এসইও খুব গুরুত্বপূর্ণ। গিগে এসইও কাজ খুবই ভালোভাবে সম্পন্ন করতে হবে। তাহলে গিগে প্রথম দিকে র্যাঙ্ক করবে।
- ফাইভারে গিগ রাঙ্ক করানোর জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে গিগে ভিডিও যুক্ত করতে হবে। গিগে ভিডিও যুক্ত করার ফলে ইম্প্রেশন অনেক বৃদ্ধি পাবে।
- এছাড়াও ফাইবার গিগে যেন আরোও আকর্ষণীয়ভাবে প্রদর্শিত করার জন্য গিগে ছবি যুক্ত করতে পারেন। সাধারণত গিগ রেংক না হওয়ার আরেকটি অন্যতম মূল কারণ হচ্ছে ছবি যুক্ত না করা। গিগ সুন্দর ও আকর্ষণীয় ভাবে প্রদর্শিত করার জন্য আপনারা অবশ্যই একটি আকর্ষণীয় ছবি যুক্ত করার চেষ্টা করবেন।
লেখকের ইতি কথাঃ ফাইভারে সফলভাবে কাজ করার জন্য ৬টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও ফাইভারে ক্যারিয়ার গড়ার ৪টি উপায়
সম্মানিত পাঠক, আশা করি উপরোক্ত আলোচনা গুলো থেকে ফাইভারে সফলভাবে কাজ করার জন্য
৬টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও ফাইভারে ক্যারিয়ার গড়ার ৪টি উপায় এ বিষয় সম্পর্কে
পুরোপুরি বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। সারাবিশ্বে বর্তমান সময়ে মানুষ ফাইভারে
সফলভাবে কাজ করে নিজের নিজের উজ্জ্বল ক্যারিয়ার গঠন করার পাশাপাশি নিজ ঘরে বসে
থেকেই একটু বুদ্ধি খাটিয়ে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে। ফাইভারে কাজ করে একটু
বুদ্ধি খাটিয়ে খুব স্বল্প পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করা
সম্ভব। তবে এ বিষয়ে আপনাকে স্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে।
তাই ফাইভারে সফলভাবে কাজ করার জন্য ৬টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও ফাইভারে ক্যারিয়ার
গড়ার ৪টি উপায় এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ে উল্লেখিত বিষয়গুলো জেনে নিলে আপনি
খুব সহজেই ফাইভারে কাজ করে দ্রুত সময়ে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে পারবেন।
এক্ষেত্রে আপনি যদি ফাইভারে কাজ করে আপনার অবস্থানকে পরিবর্তন করতে চান তাহলে
অবশ্যই আপনাকে ফাইভারে সফলভাবে কাজ করার জন্য ৬টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও ফাইভারে
ক্যারিয়ার গড়ার ৪টি উপায় এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে তাহলে আপনি
খুব দ্রুতই সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন।
সম্মানিত পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থেকে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগের সাথে
পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে এ ধরনের তথ্যবহুল
কার্যকরী ও উপকারী আর্টিকেল নিয়মিত পোস্ট করে থাকি। তাই আপনি যদি এ ধরনের আরও
তথ্যবহুল ও উপকারী সব আর্টিকেল পড়তে চান, তাহলে অবশ্যই এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত
ফলো করুন। সাথে সাথে এ আর্টিকেলটি পরে ভালো লাগলে আপনার নিকট আত্মীয়,
বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজনদের কাছে তাদের উপকারার্থে শেয়ার করে দিন।
যেন তারা ফাইভারে সফলভাবে কাজ করার জন্য ৬টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও ফাইভারে
ক্যারিয়ার গড়ার ৪টি উপায় এ বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি ভালোভাবে জেনে নিতে পারে।
ফাইভারে সফলভাবে কাজ করার জন্য ৬টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও ফাইভারে ক্যারিয়ার গড়ার
৪টি উপায় এ বিষয় সম্পর্কে আপনার যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ মতামত বা প্রশ্ন থাকে,
তাহলে অবশ্যই নিচে দেওয়া মতামত বক্সে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আবার আপনাদের সাথে
কথা হবে নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত নিরাপদ ও সুস্থ থাকুন।
কনফিডেন্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url