সুস্থ থাকার জন্য করণীয় ও সুস্থ থাকার ৫০ টিপস এবং সুস্থ থাকার জন্য খাবারের তালিকা
কে না চাই পৃথিবীর এই সুন্দর জীবনটি নীরোগ ভাবে কাটাতে ও শরীর স্বাস্থ্য ভালো
রেখে আজীবন সুস্থ থাকতে? আপনি কি আপনার শরীর স্বাস্থ্য ভালো রেখে সুস্থ থাকতে
চান? তাহলে আপনার চিন্তার কোন কারণ নেই। কারণ আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটির মূল
আলোচনায় হচ্ছে সুস্থ থাকার জন্য করণীয় ও সুস্থ থাকার ৫০ টিপস এবং সুস্থ থাকার
জন্য খাবারের তালিকা সেই সম্পর্কে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যবহুল ও প্রয়োজনীয়
আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক!
আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটির মাধ্যমে সুস্থ থাকার জন্য করণীয় ও সুস্থ
থাকার ৫০ টিপস এবং সুস্থ থাকার জন্য খাবারের তালিকা এ বিষয়ে সম্পর্কে এমন কিছু
ইউনিক ও কার্যকরী তথ্য সম্পর্কে জানাবো, যেগুলিকে কাজে লাগিয়ে আপনি খুব সহজেই
আপনার শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারবেন এবং আপনার জীবনকে সুন্দরভাবে উপভোগ করতে
পারবেন। সুস্থ থাকার জন্য করণীয় ও সুস্থ থাকার ৫০ টিপস এবং সুস্থ থাকার জন্য
খাবারের তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো জানতে চান, তাহলে আজকের এই
আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্যই। এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
তাহলে আশা করি আলোচ্য বিষয়ে বিস্তারিতভাবে নির্ভুল সব তথ্য গুলো জানতে পারবেন।
ইনশাআল্লাহ!
পেজ সূচিপত্রঃ
.
ভূমিকা
সুন্দর এই পৃথিবীতে বসবাসরত প্রতিটি মানুষের আকাঙ্ক্ষা যে, শরীর স্বাস্থ্য ভালো
থাকে এবং সাথে সাথে তারা যেন সুস্থ থাকতে পারে। এজন্য অনেকেই শসুস্থ থাকার জন্য
করণীয় ও সুস্থ থাকার ৫০ টিপস এবং সুস্থ থাকার জন্য খাবারের তালিকা সম্পর্কে
ভালোভাবে জেনে নিয়ে শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে
থাকে। কিন্তু অনেকেই এ বিষয়ে সঠিক তথ্যগুলো জানতে পারেনা।
আরো পড়ুনঃ আজীবন সুস্থ থাকার উপায়
এই জন্য তারা সুস্থ থাকার বদলে বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতায় ভুগতে থাকে। তাই আপনি
যদি সুস্থ থাকার জন্য করণীয় ও সুস্থ থাকার ৫০ টিপস এবং সুস্থ থাকার জন্য খাবারের
তালিকা সম্পর্কে পুরোপুরি স্পষ্ট ধারণা রাখেন তবে আপনি একটি উৎফুল্ল, নীরোগ ও
সুখী জীবন যাপন করতে পারবেন। তাই আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে
পড়ুন, তাহলে সুস্থ থাকার জন্য করণীয় ও সুস্থ থাকার ৫০ টিপস এবং সুস্থ থাকার
জন্য খাবারের তালিকা সম্পর্কে পুরোপুরি ভালোভাবে জানতে পারবেন।
এছাড়াও সুস্থ থাকার জন্য করণীয়, সুস্থ থাকার জন্য খাবারের তালিকা, সুস্থ থাকার
৫০ টিপস, শরীর স্বাস্থ্য ভালো করার উপায়, কিভাবে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকা যায়?
সুস্থ থাকতে সকালে কি খাবেন? কি খেলে সুস্থ থাকা যায়? সুস্বাস্থ্যের জন্য কি কি
প্রয়োজন? এই বিষয়গুলো সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই আপনি যদি সুস্থ
থাকার জন্য করণীয় ও সুস্থ থাকার ৫০ টিপস এবং সুস্থ থাকার জন্য খাবারের তালিকা এ
বিষয় সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই কার্যকরী।
সুস্থ থাকার জন্য করণীয়
দৈনন্দিন জীবনে আমাদের সকলেরই উচিত নিজের শরীরের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখা পাশাপাশি
সচেতনতা বৃদ্ধি করা। সারা জীবন সুস্থ থাকতে কে না চায়? আমরা সকলেই চাই। প্রিয়
পাঠক আপনারা যদি আপনাদের শরীরকে সুস্থ সবল রাখতে চান, তাহলে সেক্ষেত্রে আপনাদের
জীবনধারার পরিবর্তন মানে বদ অভ্যাস গুলো ত্যাগ করুন এবং ভালো অভ্যাস গুলো নিজের
ভেতরে আয়ত্ত করুন পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন যেমন আপনার খাদ্য তালিকায়
স্বাস্থ্যকর খাবার যুক্ত করুন এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার বাদ দিন।
আর সুস্থ থাকার জন্য আপনারা আপনাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় বিভিন্ন ধরনের
শাক-সবজি, ফলমূল নানা ধরনের স্বাস্থ্যকর খাবার যুক্ত করতে পারেন। লবণ ও চিনি
আপনারা যতটা সম্ভব কম খাওয়ার চেষ্টা করবেন। আর একবারই যদি চিনে না খান, তাহলেতো
সোনাই সোহাগা আরো ভালো। আর লবণ ছাড়া তো তরকারি কিংবা কোন খাবারই স্বাদ হবেনা,
সেক্ষেত্রে লবণ পরিমাণ মতো খাবেন।
আরো পড়ুনঃ মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় - মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার খাবার ও
অস্থিরতা থেকে মুক্তির উপায়
যেসব ব্যক্তিবর্গরা অতিরিক্ত লবণ ও চিনি খায় তাদের হার্টের সমস্যা, চোখের সমস্যা
পাশাপাশি রক্তচাপ সংক্রান্ত রোগ হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশেই বেড়ে যায়। যে সকল
খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট বিদ্যমান রয়েছে সেই সকল খাবার খুবই অল্প পরিমাণে
খাওয়ার চেষ্টা করবেন। অ্যালকোহল জাতীয় খাবার একেবারেই পরিহার করুন। কেননা এটি
স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো না। অ্যালকোহল জাতীয় খাবার খেলে লিভার সিরোসিস এর
মতো রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বাড়ে।
বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ ধূমপান, মদ্যপান, বিভিন্ন ধরনের নেশায় আসক্ত। মানুষ
যদি ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারত যে নেশা, মদ্যপান, ধূমপানে শরীরের কতটা ক্ষতি
করে, তাহলে কখনো ধূমপান,মদ্যপান, নেশা করত না। নাহলে আজই নেশা মদ্যপান ধূমপান
ছেড়ে দিন, আপনি আপনার শরীরের পরিবর্তন কয়েক দিনের মধ্যেই বুঝতে পারবেন। নিয়মিত
প্রতিদিন ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। এছাড়াও প্রতিদিন যোগাসন করুন।
কেননা শরীরকে নমনীয় ও প্রফুল রাখতে এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে যোগাসন
দারুন সহায়ক। প্রতিদিন নিয়মিত সকালবেলা আধা ঘন্টা হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
সকালে যদি আপনি নিয়মিত হাঁটেন, তাহলে আপনার শরীরে অনেক উপকার দেখতে পাবেন।
এছাড়াও সুস্থ থাকতে প্রতিদিন নিয়মিত কমপক্ষে১০-১২ গ্লাস পানি পান করুন। সুস্থ
থাকতে পানির কোন বিকল্প নেই, কেননা পানির অপর নাম জীবন।
আপনি যদি বেশি বেশি পানি পান করেন, তাহলে আপনার শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলো
টক্সিন এর মাধ্যমে বের হয়ে যাবে। এছাড়াও আপনার শরীরে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে,
ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর হবে, কিডনির নানা ধরনের সমস্যা দূর হতে হবে। আপনারা চা-কফি
বাদ দিয়ে প্রতিদিন গ্রিন টি খেতে পারেন, এতে অনেক স্বাস্থ্যের উপকার হবে। বাজারে
যতো ফাস্টফুড খাবার রয়েছে, সেগুলো বর্জন করুন, শরীর সুস্থ রাখতে এটি একটি দারুন
উপায়।
এছাড়াও আমরা আপনাদের রক্তচাপ নিয়মিত চেকআপ করবেন। কেননা নিরব ঘাতক এই রোগকে বলা
হয়। আপনারা যখন বাইরে বেরোবেন তখন ট্রাফিক নিয়ম-মেনে চলবেন। কেননা সময় একটু
বেশি লাগতে পারে, কিন্তু আপনার জীবন সবচেয়ে বেশি মূল্যবান। যে সকল প্রচলিত
বিভিন্ন ধরনের রোগের টিকা রয়েছে সেগুলো নিয়মিত নিন। যৌনতা, গনোরিয়া, সিফিলিস
এবং এইচ আইভির মতো প্রাণভাতী রোগ গুলো থেকে নিজেকে রক্ষা করুন।
আপনার যখন হাঁচি কাশি আসবে, তখন একটি পরিষ্কার রুমাল ব্যবহার করুন। সাধারণত
মশার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়ে থাকে যেমন ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু ইত্যাদি
এগুলো সংক্রামক রোগ। তাই জন্য সংক্রামক রোগ গুলো থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখার জন্য
যা যা করা প্রয়োজন সকল কিছুই করুন এবং সাবধানে থাকুন। শিশুদের দুই বছর বয়স
পর্যন্ত মাতৃদুগ্ধ পান নিশ্চিতকরণ করুন।
এছাড়াও যদি আপনারা অনেক হতাশা কিংবা চিন্তাই ভোগেন, সেক্ষেত্রে প্রিয় ও
বিশ্বস্ত কারো সঙ্গে মন খুলে কথা বলুন, দেখবেন আপনার বিষন্নতা ক্লান্তি ভাব
কাটিয়ে উঠেছেন। এছাড়াও অনেক মানুষের ছোট খাটো কোন রোগ বালাই হলে
অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করে থাকে। সব সময় এন্টিবায়োটিক সেবন করা উচিত নয়। যদি
একান্তই আপনার শরীরের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজন হয়,
তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করবেন। সর্বোপরি সুস্বাস্থ্যের জন্য ভালো
ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রতিদিন নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান। রাতে দ্রুত
ঘুমান, সকাল সকাল ফজরের পরপরই ঘুম থেকে উঠুন। তাহলে আপনার শরীর ও মন উভয় সুস্থ
থাকবে। উপরোক্ত সকল কাজ গুলো করার জন্য একটি প্রতিদিনের রুটিন তৈরি করুন। তারপর
আপনার প্রতিদিনের লাইফস্টাইলে প্রয়োগ করুন।
সুস্থ থাকার জন্য খাবারের তালিকা
সকলেরাই উচিত সুস্থ জীবন-যাপন করার জন্য খাবারের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া
জরুরি। আমাদের সুস্বাস্থ্য এবং সুস্থতা নির্ভর করে পরিবেশের উপর, জীবনধারণের উপর
এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটি সেটা হলো খাদ্যের উপর। সারা বিশ্বজুড়ে অনন্য
সম্প্রদায়ের (ব্লু জোন) ড্যান বুয়েটনার অধ্যায়ন করার জন্য দুই দশকেরও বেশি
সময় ব্যয় করেছেন,
যেন লোকেরা সুস্থভাবে দীর্ঘ জীবন-যাপন করতে পারে। ওকিনাওয়া, জাপান,
ইতালি,নিকোয়া, সার্ডিনিয়া, কোস্টারিকা, গ্রীক, ইকারিয়া, ক্যালিফোর্নিয়া, লোমা
লিন্ডা প্রভুতি।এই সকল ব্লু জন এর মধ্যে বেশ কিছু খাদ্য জনগোষ্ঠীকে দেখা যায়
তারা দীর্ঘ ও স্বাস্থ্যকর জীবন-যাপন এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিচে
খাবারের তালিকা গুলো উল্লেখ করা হলো।
- বাদামঃ বাদামের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই বিদ্যমান থাকে পাশাপাশি ম্যাগনেসিয়াম ও প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান রয়েছে। চিনাবাদামে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। এছাড়াও বিদ্যমান রয়েছে ফলেট, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য দারুন উপকারী। ব্রাজিল বাদামে সেলেনিয়াম পাশাপাশি কাজু বাদামে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম বিদ্যমান রয়েছে। এছাড়াও আলফা-লেনোলিক অ্যাসিড প্রচুর পরিমাণে আখরোটে পাওয়া যায়। এটি শুধুমাত্র ওমেগা-৩ ফ্যাট, যা শুধু উদ্ভিদ থেকে পাওয়া যায়। বাদাম আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য দারুন উপকারি। তাই সকলেরই উচিত প্রতিদিন কয়েকটি করে বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করে তোলা।
- বিনসঃ বিনস বুয়েটনার সারাবিশ্বের প্রতিটি খাদ্যের স্তম্ভ বিনসকে বলেছেন। ব্লু জোনস গবেষণা করে বলেছেন প্রতিদিন অন্ততপক্ষে আধা কাপ বিনস সকলেরই খাওয়া উচিত। ব্লু জোনে সর্বোচ্চ রাজত্ব করছে বিনস যেমন ব্ল্যাক বিনস নিকোয়াতে, গারবানজো হোয়াইট বিনস,মসুর ডাল ভূমধ্যসাগরে, সয়াবিন ওকিনাওয়াতে। তাহলে প্রিয় পাঠক আপনারা ইতিমধ্যে বুঝতে পেরেছেন সুস্বাস্থ্যের জন্য বিনস কতটা উপকারী। তাই আপনারা আপনাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় বিনস যুক্ত করতে পারেন।
- সবুজ শাক-সবজিঃ ব্লু জনের জনগোষ্ঠীরা প্রচুর পরিমাণে খায়, কেল, বীট, চার্ড, পালংশাক, কলার্ড, শালগম টপস ইত্যাদি। এছাড়াও তারা প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখে। সব শাক-সবজি তো আর সারা বছরে পাওয়া যায় না, তাই জন্য তারা বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি দিয়ে আচার বানিয়ে অফ-সিজনে উপভোগ করার জন্য তৈরি করে কিংবা শুকিয়ে রাখে। প্রিয় পাঠক সরি সুস্থ রাখার জন্য এই খাবারগুলো কতটা উপকারী তা ইতিমধ্যেই আপনারা বুঝতে পারছেন। তাই আপনারা সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এই খাবারগুলো যুক্ত করুন।
- গোটা শস্যঃ গোটা শস্য হচ্ছে চাল, বার্লি, গম,ভুট্টা। সার্ডিনিয়াতে ও ইকারিয়াতে বার্লি, গম, চাল সহ বিভিন্ন ধরনের গোটা শস্যের আটা উৎপন্ন করে তারা রুটি তৈরি করে খায়। সাধারণত গোটা শস্যতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বিদ্যমান থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। প্রিয় পাঠক তাই আপনারা আপনাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় গোটা শস্য যুক্ত করতে পারেন। কেননা এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বিদ্যমান রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
- মাটির নিচের সবজিঃ মাটির নিচের সবজি হচ্ছে খাদ্য গ্রুপ বুয়েটনার তৃতীয় নোট। মাটির নিচের সবজি যেমন ডালিয়াস, আলু, কাসাভা, মিষ্টি আলু প্রভুতি। মূলত মিষ্টি আলু জাপানের ঐতিহ্যবাহী একটি খাবার পাশাপাশি মিষ্টি আলু ডায়েটের একটি স্তম্ভ ওকিনাওয়ান। দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্যের জন্য চমৎকার একটি খাবার হচ্ছে মিষ্টি আলু। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি৬, পটাশিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন সি, ফাইটো-নিউট্রিয়েন্টের একটি দারুন উৎস।
সুস্থ থাকার ৫০ টিপস
সুস্থ থাকা মানে এর অর্থ শুধুমাত্র শারীরিক সুস্থতা নয় বরং শারীরিক ও মানসিক
উভয় সুস্বাস্থ্যের সংমিশ্রণ। জীবনকে সুন্দরভাবে উপভোগ করার জন্য সকলেরই
স্বাস্থ্য বিষয় সচেতনতা অবলম্বন করা খুবই জরুরী। এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতেই
পারে তাহলে কিভাবে সুস্থ থাকা যায়? শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য প্রতিদিন নিয়মিত
স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করতে হবে, পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে,
প্রতিদিন নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম ও যোগাসন করতে হবে। এছাড়াও শরীর সুস্থ রাখার
জন্য বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি সম্পর্কে জানা আবশ্যক। আপনি যদি কিছু গুরুত্বপূর্ণ
অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন, তাহলে আজীবন সুস্থ থাকবেন। প্রিয় পাঠক তাহলে চলুন জেনে
নেওয়া যাক সুস্থ থাকার জন্য ৫০ টিপস নিচে উল্লেখ করা হলো।
- প্রতিদিন নিয়মিত দাঁতের যত্ন করুন।
- প্রতিদিন কমপক্ষে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমান।
- প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে।
- সব সময় মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন
- সবসময় টেনশন মুক্ত থাকার চেষ্টা করুন।
- প্রতিদিন নিয়মিত সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।
- প্রতিদিন নিয়মিত যোগাসন ও ব্যায়াম করতে হবে।
- প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে মাংস ও চর্বি গ্রহণ করুন।
- প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম নিশ্চিত করতে হবে।
- ধূমপান মদ্যপান বিভিন্ন ধরনের নেশা পরিহার করুন।
- প্রতিদিন নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ করুন।
- অ্যালকোহল যুক্ত খাবার খাওয়া একবারে পরিহার করুন।
- মোবাইল চালানো এবং টিভি দেখা একেবারে কমিয়ে দিন।
- প্রতিদিন প্রত্যেক বেলার খাবার ঠিক ঠিক সময়ে গ্রহণ করুন।
- প্রতিদিন স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্যকর তেল নির্বাচন করুন।
- প্রতিদিন নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে সূর্যের আলো শরীরে লাগান।
- সিজিনাল বিভিন্ন রঙের শাকসবজি প্রচুর পরিমাণে গ্রহণ করুন।
- প্রতিদিন চা-কফি পরিহার করুন এবং গ্রিন টি খাওয়া শুরু করুন।
- অযথাই বাহিরে সময় নষ্ট করবেন না, বাহিরে যাওয়া কমিয়ে দিন।
- আপনার শরীর সুস্থ আছে কিনা নিয়মিত মেডিকেল চেকআপ করুন।
- খাবার গ্রহণের সময় অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে আঁশ যুক্ত খাবার খাবেন।
- বিভিন্ন ধরনের কাজ করার ফাঁকে ফাঁকে একটু করে ব্রেক বা বিশ্রাম নিন।
- শরীরের পুষ্টি চাহিদা মেটানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের বাদাম ও বীজ খাবেন।
- প্রতিদিন নিয়মিত বিকালের নাস্তায় বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর স্ন্যাকস খাবেন।
- সব সময় স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের জন্য স্বাস্থ্য সচেতনতা অবলম্বন করুন।
- প্রতিদিন নিয়মিত এন্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার প্রচুর পরিমাণে গ্রহণ করুন।
- প্রতিদিন নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে তাজা ফলমূল ও শাক-সবজি গ্রহণ করুন।
- শরীরের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল গ্রহণ করতে হবে।
- সব সময় শীতল পানি গ্রহণ করুন যেন আপনার শরীর সবসময় হাইড্রেশন থাকে।
- সব সময় যেন আপনার শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখবেন।
- কিভাবে ব্যায়াম করলে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে ভালো হবে পরিকল্পনা করুন।
- আপনার যদি এলার্জি সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই এলার্জিযুক্ত খাবারগুলো এড়িয়ে চলুন।
- প্রতিদিন সকালবেলা খাবার গ্রহণের পর অন্ততপক্ষে আধা ঘন্টা হাটার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
- প্রতিদিন নিয়মিত প্রাকৃতিক খাদ্য গ্রহণ করুন এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলো পরিহার করুন।
- ঘরের তৈরি করা বিভিন্ন ধরনের খাবার খান এবং বাইরের খাবার একেবারেই পরিহার করুন।
- জীবনকে ভালোভাবে উপভোগ করুন বন্ধু-বান্ধব প্রিয় মানুষ ও পরিবারের সাথে সুন্দর সময় কাটান।
- প্রতিদিন নিয়ম করে সকালের খাবার গ্রহণ করতে হবে, কখনোই সকালের খাবার স্কিপ করবেন না।
- আপনি আপনার মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য আপনার ভালো লাগে এরকম কাজগুলি করবেন।
- প্রতিদিন খাবার গ্রহণের আগে এবং টয়লেট ব্যবহারের পর খুবই ভালোভাবে হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধুয়ে নিবেন।
- খাবার খাওয়ার সময় মনোযোগী হয়ে খাবার খাবেন পাশাপাশি খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে ধীরে ধীরে খাবেন।
- বাইরের তাজা বাতাস আপনি আপনার শরীরে লাগাবেন। কেননা তাজা বাতাস স্বাস্থ্যের জন্য দারুন উপকারী।
- ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য যেন ভালো থাকে সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখুন পাশাপাশি নিয়ম কানুন মেনে জীবন যাপন করুন।
- সুস্বাস্থ্যের লক্ষ্যে প্রতিদিনের লাইফ-স্টাইল এর একটি রুটিন তৈরি করুন এবং সেই রুটিন অনুযায়ী জীবন পরিচালিত করুন।
- প্রতিদিন সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার পরপরই দুই গ্লাস পানি পান করুন, এটি স্বাস্থ্যের জন্য দারুন উপকারি।
- আপনার যদি হাঁপানি রোগের সমস্যা থাকে তাহলে নিয়মিত পেঁয়াজ খান শ্বাসনালের সংকোচন দূর হবে। পেটের পিড়ায় আদা ও কলা খান অনেক উপকার পাবেন।
- প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের সালাদ যেমন গাজর, শসা, টমেটো, লেটুস পাতা, পুদিনা পাতা, ধনেপাতা,বীট ইত্যাদির সালাদ খেতে পারেন। সালাদ স্বাস্থ্যের জন্য দারুন উপকারী।
- আপনাদের যদি মাথা ব্যথার সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে প্রচুর পরিমাণে মাছ খান পাশাপাশি কাঁচা আদা খান দেখবেন অনেক উপকার পাবেন।
- ওজন বাড়ার অন্যতম মূল কারণ হচ্ছে মিষ্টি জাতীয় এবং তৈলাক্ত খাবার। মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিহার করুন এবং তৈলাক্ত খাবার কম খাওয়ার চেষ্টা করেন।
- প্রতিদিন সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে ২-৩ কি.মি.হাঁটার অভ্যাস করে তুলুন এতে করে আপনার শরীর এবং মন সতেজ ও প্রফুল্ল থাকবে।
- সর্বোপরি নিজেকে ভালবাসুন পাশাপাশি নিজের ভালোভাবে যত্ন নিন। তাহলে দেখবেন আপনার শরীর সবসময় সুস্থ সবল থাকবে। এতে করে আপনি যেমন শারীরিক সুস্থতা অনুভব করবেন, ঠিক তেমনি মানসিক সুস্থতা অনুভব করতে পারবেন।
শরীর স্বাস্থ্য ভালো করার উপায়
স্বাস্থ্যকর জীবন-যাপন সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরী। শরীর সুস্থ রাখার জন্য
প্রতিদিন নিয়মিত প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন রঙের শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে।
সুস্বাস্থ্যের জন্য শাকসবজি ও ফলমূলের কোনো বিকল্প নেই। এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে
প্রতিদিন কমপক্ষে ১০-১২ গ্লাস পানি পান করতে হবে। সুস্থ থাকার জন্য আলো বাতাসেরও
কোন বিকল্প নেই। প্রতিদিন শরীরে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস গ্রহণ করতে হবে।
এছাড়াও আপনার শরীর ঠিক আছে কিনা, সুস্থ আছে কিনা, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য
ভালো আছে কিনা, নিয়মিত মেডিকেল চেকআপ করতে হবে। এছাড়াও প্রতিদিন সকালের খাবার
সকালবেলা, দুপুরের খাবার দুপুর বেলা এবং রাতের খাবার রাতের বেলা ঠিক ঠিক টাইমে
গ্রহণ করতে হবে। কোনো বেলার খাবার স্কিপ করা যাবে না। এছাড়াও সুস্বাস্থ্যের জন্য
করতে হবে নিয়মিত ব্যায়াম পাশাপাশি যোগাসন।
সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুমের কোন বিকল্প নেই, প্রতিদিন নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে
কমপক্ষে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। আপনারা আপনাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সুষম
খাদ্য অবশ্যই যুক্ত করবেন পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি রাখবেন। সেগুলো আপনি
আপনার পছন্দমত কাঁচা ও খেতে পারেন, আবার সেদ্ধ করেও খেতে পারেন, রান্না করেও খেতে
পারেন, কিংবা সালাদ করেও খেতে পারেন।
আপনি যদি প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে নানা ধরনের শাক-সবজি, বিভিন্ন ধরনের ফলমূল
প্রচুর পরিমাণে খেতে পারেন, তাহলে জরায়ু, স্তন ,পাকস্থলী, কোলন, খাদ্যনালি,
ডিম্বাশয়, অগ্নাশয়, মুত্রাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশেই কমে যাবে। আপনি
যদি প্রতিদিন নিয়মিত সঠিক খাদ্য গ্রহণ করতে পারেন, তাহলে আপনার শরীর সুস্থ
থাকবে। শরীর সুস্থ রাখার জন্য প্রতিদিন তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যান এবং সকালবেলা
তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠুন।
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর আপনি এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে একটি লেবু চিপে খেতে
পারেন, এতে করে আপনার স্বাস্থ্যের অনেক উপকার হবে। এছাড়া দুপুরের খাবারে বিভিন্ন
ধরনের ডাল রাখবেন। এছাড়াও বাইরের যতো ধরনের ফাস্টফুড খাবার রয়েছে, যেমন
বিরিয়ানি, তেহেরি, বার্গার, পিজা ইত্যাদি খাবার গুলো পরিহার করুন। রাতে ঘুমোতে
যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধ পান করে ঘুমাবেন।
এছাড়াও সকালবেলা একটি হাফ সেদ্ধ ডিম, বিভিন্ন ধরনের বাদাম,যেমন পেস্তা বাদাম,
কাঠ বাদাম, কাজুবাদাম, বীজ, এক গ্লাস দুধ, কয়েকটি রুটি আর সবজি খেতে পারে।
দুপুরবেলা ভারী খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন, সকালে আর দুপুরে ভারী খাবার খাওয়া
যায়। লাল মাংস যেমন (গরু, ছাগল, মহিষ) মিষ্টি, ঘি, ডালডা ইত্যাদি কম খান। কিন্তু
রাতের বেলা অবশ্যই হালকা খাবার খেয়ে ঘুমাতে যাবেন।
রাত আটটার আগেই খাওয়া- দাওয়া শেষ করবেন। রাত দশটার আগেই ঘুমিয়ে যাবেন। এছাড়াও
আপনার যদি ধূমপান, নেশা, মদ্যপান, জুয়া ইত্যাদি বদ অভ্যাসগুলো থাকে, তাহলে আজই
সেগুলো পরিহার করুন। এছাড়াও সুস্বাস্থ্যের আরেকটি দারুন উপায় হচ্ছে সব সময় মন
খুলে হাসুন, মনকে সবসময় প্রফুল্ল রাখুন। এছাড়াও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে
শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকুন,
সামাজিকভাবে সংযোগ করুন, ধ্যান করুন, আপনার অনুভূতি শেয়ার করুন, বিভিন্ন ধরনের
স্বাস্থ্যকর খাবার খান, শখের কাজ করুন, নিজের জন্য সময় বের করুন, পর্যাপ্ত
পরিমাণে ঘুমান, মোবাইল ফোন ও স্ক্রিন টাইম কমান, প্রয়োজনের সহযোগিতা নিন। আপনারা
যদি এই উপায়গুলো অবলম্বন করে জীবন-যাপন করতে পারেন, তাহলে আজীবন আপনারা সুস্থ
থাকতে পারবেন।
কিভাবে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকা যায়?
শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য কেবলমাত্র পেশিবহুল শরীর নয়, বরং রোগমুক্ত থাকা
খুবই জরুরী। বয়সের সাথে সাথে অনেক মানুষের কোলেস্টেরল, হৃদরোগ, হাড়ক্ষয়,
ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং স্থূলতা জাতীয় রোগের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। যদি
তারা প্রতিদিন নিয়মিত সকালবেলা না হাঁটে কিংবা ব্যায়াম না করে, তাহলে তারা
শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে পারবে না, তাদের শরীরে দেখা দেবে বিভিন্ন ধরনের
সমস্যা।
তাই শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন নিয়মিত সকালে হাঁটার অভ্যাস গড়ে
তুলুন পাশাপাশি প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম ও যোগাসন করুন। তাহলে দেখবেন
শারীরিকভাবে আপনার শরীর ফিট থাকবে। ১৮-৬৪ বছর বয়সী মানুষদের শরীর সুস্থ রাখার
জন্য সপ্তাহে,মাঝারি গতিতে ১৫০ মিনিট বা দ্রুত গতিতে ৭৫ মিনিট শারীরিক ব্যায়াম
করা আবশ্যক। সকল মানুষ যদি সপ্তাহে পেশির শক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম করতে পারে,
তাহলে শারীরিকভাবে শরীর সুস্থ থাকবে।
শারীরিক ব্যায়াম যেমন জগিং করা, হাঁটা স্কিপিং, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা
প্রভূতি। আপনারা যদি প্রতিদিন নিয়মিত সকালবেলা হাঁটেন, তাহলে ফুসফুসের বিভিন্ন
ধরনের সমস্যা দূরীভূত হবে। ফুসফুসের কার্যক্ষমতা ঠিক রাখার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম
করার পরামর্শ দেন অনেক বিশেষজ্ঞরা। অন্ততপক্ষে সপ্তাহে চার দিন স্ট্রেচিং করুন,
কেননা শরীরের প্রতিটি পিশিকে সচল রাখার জন্য এই ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন।
যাদের হাঁটু ব্যথা রয়েছে এবং বয়স অনেক বেশি তারা এ ব্যায়াম করবেন না। এছাড়াও
আপনারা স্কোয়াটিং, লেগ রাইজিং, পুশ আপ, প্ল্যাঙ্ক ইত্যাদি ব্যায়াম গুলো করতে
পারবেন। এছাড়াও আপনারা জুম্বা ব্যায়াম করতে পারেন।। তবে এটি করার জন্য বয়স
বেশি ও ফিটনেস অবশ্যই থাকতে হবে। এছাড়াও আপনারা প্রতিদিন নিয়মিত ইয়োগা করতে
পারেন। ইয়োগা শারীরিক সুস্থতাতে দারুন সহায়ক।
আরো পড়ুনঃ ফেসবুক মনিটাইজেশন শর্ত - ফেসবুক থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় এবং ফেসবুক
থেকে কত টাকা আয় করা যায়?
শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন মেডিটেশন করতে
পারেন। এতে করে মানসিক চাপ কমে যায়। এছাড়া এক জায়গায় কক্ষনো বেশি সময় ধরে
বসে থাকবেন না, একটু পরপর উঠে দাঁড়ান হাটাহাটি করুন, নইলে প্রয়োজনে হালকা
ব্যায়ামও করতে পারেন। প্রিয় পাঠক উপরোক্ত উপায়গুলো যদি আপনারা অনুসরণ করে চলতে
পারেন, তাহলে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে পারবেন।
সুস্থ থাকতে সকালে কি খাবেন?
অনেক পুষ্টিবিদ রয়েছে যারা সুস্বাস্থ্যের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার
পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে উপকার পেতে হলে আপনাদের অবশ্যই
সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করে খাবার খেতে হবে। তাহলে আপনাদের শরীর পুরোপুরি ভাবে
খাবারের পুষ্টি শোষণ করতে পারবে। তাই জন্য সঠিক সময়ে সঠিক খাবার সঠিক পদ্ধতিতে
খাওয়ার অভ্যাস করে তুলুন।
- হালকা কুসুম গরম পানি ও মধুঃ প্রতিদিন সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার পর হালকা কুসুম গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে যদি আপনি খান, তাহলে আপনার পাকস্থলীর কর্মক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পাবে। এতে করে বদহজম বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। মধুতে অ্যাসিডিটি কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান রয়েছে, যা অ্যাসিডিটি কমাতে দারুন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই জন্য নিয়মিত সকাল বেলা ঘুম থেকে ওঠার পর হালকা কুসুম গরম পানির সাথে কয়েক ফোটা মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
- বাদামঃ আপনারা যদি সকালের নাস্তায়, একমুঠো বাদাম খান, তাহলে আপনাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বাদামা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বাদাম অন্ত্রের কার্যক্ষমতা ঠিক রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও পেটের পিএইচ এর মাত্রা ঠিক রাখে পাশাপাশি হজমে সহায়তা করে। আর তাই আপনারা আপনাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় বিভিন্ন ধরনের বাদাম যেমন কাঠবাদাম, কাজু বাদাম পেস্তা বাদাম, চেনাবাদাম, আখরোট, কিসমিস ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। আরে খাবারগুলো অবশ্যই আপনারা পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবেন। কারণ আপনারা যদি এই খাবারগুলো পরিমাণ এর চেয়ে বেশি খান, তাহলে আপনাদের ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পাবে মানে উপকারের চেয়ে অপকার বেশি। প্রতিদিন নিয়মিত বাদাম খেলে শরীর ও মন প্রফুল্ল থাকবে পাশাপাশি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে।
- তরমুজঃ আপনারা আপনাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সকালের নাস্তায় কয়েক টুকরো তরমুজ যুক্ত করতে পারেন। কেননা তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পানি বিদ্যমান রয়েছে প্রায় ৯০%, যা শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সহায়তা করে। তরমুজে খুবই অল্প পরিমাণে ক্যালরি বিদ্যমান থাকে। এছাড়াও তরমুজেবিদ্যমান রয়েছে লাইকোপিন।
- পাকা পেঁপেঃ পাকা পেঁপে সুস্বাস্থ্যের জন্য দারুন উপকারি। কেননা অন্ত্রের গতি নিয়ন্ত্রণ করে। পাকা পেঁপেকে সাধারণত সুপারফুড হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। আরেকটা দারুন বিষয় হচ্ছে পেঁপে সারা বছরই পাওয়া যায়। পেঁপেতে বিদ্যমান রয়েছে ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, প্রোটিন ইত্যাদি। এছাড়াও পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বিদ্যমান রয়েছে। ক্যালোরির পরিমাণও খুবই অল্প, সাথে সাথে পেঁপের স্বাদও মিষ্টি। তাই যারা ডায়াবেটিসের রোগী তাদেরকে প্রতিদিন নিয়মিত এক কাপ করে পাকা পেঁপে খেতে দেওয়া উচিত। এছাড়াও পেঁপে হজমের দারুণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অনেক চিকিৎসক ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিন পাকা পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
- ভেজানো বাদামঃ খালি পেটে বাদাম খাওয়ার রয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা। বাদামের প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ওমেগা-৬, ফ্যাটি অ্যাসিড,ম্যাঙ্গানিজ, ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন ই বিদ্যমান রয়েছে। যদি আপনারা প্রতিদিন রাতে বিভিন্ন ধরনের বাদাম, ছোলা ভিজিয়ে রাখেন এবং সকালবেলা ভেজানো বাদাম গুলো খান, তাহলে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাবেন। কেননা এমনি বাতামের চাইতে ভেজানো বাদামে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
- পোরিজঃ সাধারণত ওটসমিল থেকে তৈরি হয় পোরিজ, যা সকালের নাস্তার জন্য খুবই ভালো। পোরিজকে সুপারফুড বলা হয়। কেননা এতে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। পোরিজ এর স্বাদ কতটাও ভালো না হলেও এর রয়েছে বিভিন্ন ধরনের চমৎকার স্বাস্থ্য উপকারিতা। আপনারা যদি প্রতিদিন নিয়মিত খালি পেটে পোরিজ খান, তাহলে আপনাদের শরীর থেকে বিষাক্ত টক্সিন দূরীভূত হবে। এতে করে আপনাদের অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। ওটসমিল খাওয়ার মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে দীর্ঘক্ষণ যেন আপনার পেট ভরা থাকে, এতে করে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারবেন।
কি খেলে সুস্থ থাকা যায়?
দুধ হচ্ছে ক্যালসিয়ামের দারুন উৎস। একজন মানুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে
হাড়ক্ষয় হওয়া শুরু হয়, সেক্ষেত্রে হাড় ক্ষয় রোধ করতে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ
খাবার খেতে হবে। আর ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার হচ্ছে দুধ। তাই প্রতিদিন নিয়মিত
দুধ কিংবা দুধের তৈরি খাবার খান। কিন্তু চিনি এড়িয়ে চলুন। মিষ্টি জাতীয় খাবার
খেতে চাইলে বাড়িতেই দুধ দিয়ে তৈরি করুন। এছাড়াও টকদই খেতে পারেন।
ক্যালসিয়াম শোষণ করার জন্য প্রতিদিন নিয়মিত আধা ঘন্টা শরীরে রোধ লাগান। এছাড়া
প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি বেশি প্রচুর পরিমাণে খান । যেমন গাজর, শালগম,
মিষ্টি কুমড়া, আলু, কচু,মিষ্টি, আলু ইত্যাদি প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের ফলমূল খান।
টক জাতীয় ফলমূল বেশি পরিমাণে খাওয়ার অভ্যাস করে তোলুন। রান্নাবান্নায় তেলের
পরিমাণ খুবই সীমিত রাখুন। বিনা তেলে রান্না খেতে পারলে, আরো ভালো।
রেস্তোরাঁর চাইতে বাড়িতে রান্না করা বিভিন্ন ধরনের খাবার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই
উপকারী। গোটা শস্য থেকে তৈরি খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। যেমন মোটা লাল
চালের ভাত, লাল আটার রুটি ইত্যাদি। পরিষদিত শস্যদানা পরিহার করুন।প্রতিদিন
নিয়মিত মাছ-মাংস পর্যাপ্ত পরিমাণে খান, শুধুমাত্র শরীরে আমিষের চাহিদা পূরণ করার
জন্য। মাছের তেল স্বাস্থ্যের জন্য দারুন উপকারী।
চর্বি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। প্রতিদিন নিয়মিত একটি করে হাফ বয়েল ডিম খান
পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ডাল, ছোলা ইত্যাদি খেতে পারে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের
বাদাম সকালের নাস্তায় রাখতে পারেন। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে বাদাম খাবেন না।
প্রতিদিন নিয়মিত বাদাম খাওয়ার জন্য আপনারা কাঠবাদাম কাজু বাদাম চিনা বাদাম
এগুলো বেছে নিতে।
সুস্বাস্থ্যের জন্য কি কি প্রয়োজন?
সুস্বাস্থ্যের জন্য কি কি প্রয়োজন সেগুলো হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা। আবার অনেকে
আমাদের কাছে জানতে চাই সুস্বাস্থ্যের জন্য কি কি প্রয়োজন? তাদের উদ্দেশ্যে মূলত
আজকের এই আর্টিকেলটি লেখা। আজকের এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের স্বাস্থ্য বিষয়ক সকল
কিছু বিস্তারিতভাবে জানাবো। প্রিয় পাঠক তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক
সুস্বাস্থ্যের জন্য কি কি প্রয়োজন সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো। সম্পর্কের যত্ন
নিন।
- কৃত্রিম ট্রান্স ফ্যাট এড়িয়ে চলুন।
- মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিহার করুন।
- প্রতিদিন কুসুম সহ ডিম খাবেন।
- কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার কম খান।
- চিনি খাওয়া একেবারেই পরিহার করুন।
- চা-কফির পরিবর্তে গ্রিন-টি পান করুন।
- খাবার খাওয়ার আগে পানি পান করুন।
- ধূমপান, মদ্যপান ও মাদককে না বলুন।
- যথেষ্ট পরিমাণে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান।
- প্রতিদিনের খাবারে সবজি ও ফলমূল রাখুন।
- তাজা মাছ মাংস খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
- পেটের অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে ফেলুন।
- ভারী জিনিস উত্তোলন করার অভ্যাস করুন।
- শাক-সবজি এবং মসলা খাওয়ার অভ্যাস করুন।
- কি খাচ্ছেন সে বিষয়ে ভালোভাবে খোঁজ নিন?
- অলিভ অয়েল তেল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
- বিভিন্ন ধরনের বাদাম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
- প্রক্রিয়াজাত জাঙ্ক ফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান অন্ততপক্ষে ৭-৮ ঘন্টা।
- ঘুমোতে যাওয়ার আগে অবশ্যই লাইট অফ করে ঘুমাবেন।
- একটি খাদ্যে সীমাবদ্ধ থাকবেন না, বিভিন্ন ধরনের খাবার খাবেন।
- প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন, কমপক্ষে ১০-১২ গ্লাস।
- কখনোই মাংস অতিরিক্ত পরিমাণে রান্না কিংবা পুড়িয়ে ফেলবেন না
- প্রবায়োটিকস এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
- প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং সকালবেলা হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
- এছাড়াও আপনারা ইয়োগা বা যোগাসন এগুলো করতে পারেন।
লেখকের ইতি কথাঃ শরীর স্বাস্থ্য ভালো করার উপায় ও সুস্থ থাকার ৫০ টিপস এবং সুস্থ থাকার জন্য খাবারের তালিকা
সম্মানিত পাঠক, আশা করি উপরোক্ত আলোচনা গুলো থেকে সুস্থ থাকার জন্য করণীয় ও
সুস্থ থাকার ৫০ টিপস এবং সুস্থ থাকার জন্য খাবারের তালিকা এ বিষয় সম্পর্কে
পুরোপুরি বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন। বর্তমান সময়ে মানুষ অল্পতেই বিভিন্ন
দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপের কারণে এছাড়াও বিভিন্ন কারণে মানুষ শরীর স্বাস্থ্য
ভালো রাখতে পারেনা। এজন্য তারা নীরোগ বা সুস্থ থাকতেও পারে না। তাই এই ধরনের
মারাত্মক সমস্যা গুলো থেকে মুক্তি লাভ করে একটি সুখকর জীবন যাপনের জন্য সুস্থ
থাকার জন্য করণীয় ও সুস্থ থাকার ৫০ টিপস এবং সুস্থ থাকার জন্য খাবারের তালিকা এ
বিষয় সম্পর্কে পড়ে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে।
উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে তাহলে আপনি একটি সুখী ও সুন্দর
সাজানো গোছানো নীরোগ ও সুস্থ জীবন যাপন করতে পারবেন। তাই আপনি যদি ক্ষণিকের এই
জীবনে সুন্দর এই পৃথিবীতে আপনার জীবনকে ভালোভাবে উপভোগ করতে চান সে ক্ষেত্রে
অবশ্যই আপনাকে সুস্থ থাকার জন্য করণীয় ও সুস্থ থাকার ৫০ টিপস এবং সুস্থ থাকার
জন্য খাবারের তালিকা এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে আপনি
খুব দ্রুতই একটি সুন্দর ও সুস্থ জীবন যাপন করতে পারবেন।
সম্মানিত পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থেকে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগের সাথে
পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে এ ধরনের তথ্যবহুল
কার্যকরী ও উপকারী আর্টিকেল নিয়মিত পোস্ট করে থাকি। তাই আপনি যদি এ ধরনের আরও
তথ্যবহুল ও উপকারী সব আর্টিকেল পড়তে চান, তাহলে অবশ্যই আমাদের এই ওয়েবসাইটটি
নিয়মিত ফলো করুন। সাথে সাথে এই আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে আপনার নিকট আত্মীয়,
বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজনদের কাছে তাদের উপকারার্থে শেয়ার করে দিন।
যেন তারা সুস্থ থাকার জন্য করণীয় ও সুস্থ থাকার ৫০ টিপস এবং সুস্থ থাকার জন্য
খাবারের তালিকা এ বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি ভালোভাবে জেনে নিতে পারে। সুস্থ থাকার
জন্য করণীয় ও সুস্থ থাকার ৫০ টিপস এবং সুস্থ থাকার জন্য খাবারের তালিকা এ বিষয়
সম্পর্কে আপনার যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ মতামত বা প্রশ্ন থাকে, তাহলে অবশ্যই নিচে
দেওয়া মতামত বাক্সে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আবার আপনাদের সাথে কথা হবে নতুন কোন
আর্টিকেল নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত নিরাপদ ও সুস্থ থাকুন।
কনফিডেন্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url