সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি? - সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার উপায় (৬টি)
আপনি কি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে কোনরকম শারীরিক পরিশ্রম ছাড়াই নিজের ঘরে
বসে থেকে স্বল্প পরিশ্রমের মাধ্যমে অনেক টাকা ইনকাম করে কোটিপতি হতে চান? তাহলে
আপনার চিন্তার কোন কারণ নেই। কারণ আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটির মূল আলোচনায়
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি - সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার উপায় সেই
সম্পর্কে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যবহুল ও প্রয়োজনীয় আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন
দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক!
আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটির মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি -
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার উপায় এ বিষয়ে সম্পর্কে এমন কিছু ইউনিক ও
কার্যকরী তথ্য সম্পর্কে জানাবো, যেগুলিকে কাজে লাগিয়ে আপনি খুব সহজেই সোশ্যাল
মিডিয়া মার্কেটিং করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি কি আলোচ্য বিষয়
সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো জানতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র
আপনার জন্যই। এই আর্টিকেলটির সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আশা করি আলোচ্য
বিষয়ে বিস্তারিতভাবে নির্ভুল সব তথ্য গুলো জানতে পারবেন। ইনশাআল্লাহ!
পেজ সূচিপত্রঃ
.
ভুমিকা
সারাবিশ্বে বর্তমান সময়ে কোনরকম পরিশ্রম ছাড়াই নিজ ঘরে বসে থেকেই একটু বুদ্ধি
খাটিয়ে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করার সব থেকে জনপ্রিয় ও সহজ মাধ্যম হলো সোশ্যাল
মিডিয়া মার্কেটিং করা। তাই এখন অনেক মানুষই এই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং পেশাকে
তাদের আয়ের অন্যতম উৎস বানিয়ে ফেলেছে। তাই আপনিও যদি অন্যের গোলামী না করেই
নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী মুক্ত পেশাজীবী হিসাবে
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে নিজেকে স্বাবলম্বী করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি - সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার উপায় এ বিষয়ে
পুরোপুরি ধারণা রাখতে হবে। তাই আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়লে
আপনি বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি - সোশ্যাল মিডিয়া
মার্কেটিং করার উপায় এ বিষয় সম্পর্কে।
আরো পড়ুনঃ মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় - মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার খাবার ও অস্থিরতা থেকে মুক্তির উপায়
এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি? সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর কাজ কি? ই
কমার্স ব্যবসায় সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর গুরুত্ব, বর্তমান সময়ের সবচেয়ে
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া নাম, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কোথায় শিখবেন ?
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কোর্স, নিজে নিজে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কিভাবে
শিখব? কোর্স বা ট্রেনিং এর মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শেখা, সোশ্যাল
মিডিয়া মার্কেটিং করার উপায়, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কেমন?
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখতে কত দিন সময় লাগে? সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর
সুবিধা কি?/সোশ্যাল মিডিয়ার ভালো দিক, সোশ্যাল মিডিয়ার খারাপ ও ক্ষতিকর দিক এই
বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া
মার্কেটিং কি - সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার উপায় এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চান,
তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই কার্যকরী।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি?
সাধারণত সংক্ষেপে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংকে SMM বলা হয়। আর SMM এর পূর্ণরূপ
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। সাধারণত এস এম এম হচ্ছে যে কোন কোম্পানি, ব্র্যান্ড
বা বিভিন্ন ধরনের পণ্য বা
সেবা প্রচার করার উদ্দেশ্যে, জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে, বিভিন্ন
ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেমন facebook, instagram, twitter,Youtube এ
প্রচার করার প্রক্রিয়াকেই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলা হয়।
বর্তমান সময়ে ব্যবসায়িক জগতে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এতটা জনপ্রিয় হয়ে
উঠেছে, যে এটি একটি স্বতন্ত্র ক্ষেত্র হিসেবে বিকশিত হচ্ছে। এটি মূলত শুধুমাত্র
প্রোডাক্ট বিক্রয় কিংবা সেবা প্রচারের উদ্দেশ্যেই নয় বরং গ্রাহকদের সাথে সুন্দর
সম্পর্ক স্থাপন এবং সন্তুষ্টি নিশ্চিতকরণ করার জন্যই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার
করছে। বর্তমান সময়ে ডিজিটাল যুগে উন্নতির ফলে দিন দিন আমাদের জীবনের প্রতিটি
দিকে এসেছে আমূল পরিবর্তন।
এখনকার সময়ে সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং ছাড়া ব্যবসায়িক কৌশল পরিকল্পনা খুবই
কঠিন। সব ধরনের ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং প্রয়োজনীয় হয়ে
দাঁড়িয়েছে। সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি
উপশাখা। এটি মূলত একটি কৌশলগত মার্কেটিং পদ্ধতি। সাধারণত বিভিন্ন ধরনের
প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের সাথে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করাই হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া
মার্কেটিং এর মূল উদ্দেশ্য।
ধরুন যে আপনার একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট রয়েছে এবং সেখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের
প্রোডাক্ট এক্সেসরিজ কিংবা বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রিক গ্যারেজ বিক্রি করেন। কিন্তু
আপনি যে ঘরে বসে একটি নতুন ব্যবসা শুরু করেছেন, সেটা মানুষকে জানাতে হবে? কিন্তু
আপনি কিভাবে জানাবেন? বর্তমান সময়ে ব্যবসা প্রচার করার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম
হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া যেমন facebook, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব,
লিংকডইন।
এই সোশ্যাল মিডিয়া গুলোর সাইটে বিভিন্ন ধরনের ছবি, ভিডিও, পোস্ট এবং কনটেন্ট
প্রকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের মানুষের নিকট আপনি আপনার বিভিন্ন ধরনের
প্রোডাক্টের প্রচারণা করতে পারবেন পাশাপাশি পণ্যগুলো গ্রাহকের নিকট পৌঁছাতে
পারবেন, এটাই হচ্ছে মূলত সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর কাজ কি?
সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়ার কাজ হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ব্র্যান্ড বা প্রোডাক্ট নিয়ে
কনটেন্ট তৈরি করে সেগুলো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করা। সোশ্যাল
মিডিয়া ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে আর সেগুলো মানুষের দোরগোড়ায়
পৌছে দেওয়ার জন্য এবং পরিচিতি লাভ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্র্যান্ড এবং
বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্টের পরিচিতি লাভ করাই হচ্ছে মূলত সোশ্যাল মিডিয়াম
মার্কেটিং এর প্রধান কাজ। বিভিন্ন ধরনের ব্র্যান্ড এবং প্রোডাক্ট এর পরিচিতি সারা
বিশ্বে বিস্তার লাভ করবে পাশাপাশি বিক্রেতার বৃদ্ধি পাবে এবং কাস্টমারের
এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি পাবে।
- এনগেজমেন্ট মনিটরিং এবং রেসপেক্টঃ আপনার পোস্টে অডিয়েন্সের রেসপন্স মনিটরিং করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কেননা অডিয়েন্সের রেসপন্স করাতেই আপনার ওয়েবসাইটের এনগেজমেন্ট মনিটরিং এবং রেসপন্স হবে। বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট পাবলিস্ট করার পর, সেই কনটেন্টে অডিয়েন্সদের মেসেজ এবং শেয়ারের মাধ্যমে আপনার সাথে অডিয়েন্সের সরাসরি যোগাযোগ থাকবে। তাই জন্য এনগেজমেন্ট মনিটরিং এবং রেসপন্স বাড়ানোর জন্য অডিয়েন্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
- এনালিটিক্স ও রিপোর্টিংঃ আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার ফলাফল প্রতিদিন নিয়মিত রিপোর্টিং করে রাখতে হবে। আপনি যদি প্রতিদিন রিপোর্টিং করে রাখেন, তাহলে কি হবে আপনার কোন প্রোডাক্টটি গ্রাহকের আকর্ষণ বৃদ্ধি করছে সেগুলো বুঝতে পারবেন এবং পরবর্তী সময়ে গ্রাহকের পছন্দমত প্রোডাক্ট এবং সেবা দিয়ে আপনি আপনার ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন, সাথে সাথে আপনার ব্যবসার জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাবে।
- কনটেন্ট তৈরিঃ আপনি আপনার ব্র্যান্ড এবং প্রোডাক্টের সাথে মিল রেখে বিভিন্ন ধরনের ভালো ভালো কনটেন্ট তৈরি করবেন। তারপর আপনার কনটেন্ট গুলো অডিয়েন্সের সামনে এমনভাবে প্রেজেন্টেশন করবেন, যেন অডিয়েন্স আকর্ষিত হয়। যেন অডিয়েন্স আপনার প্রোডাক্টগুলো কিনতে বেশি বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।
- পোস্ট পরিকল্পনাঃ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর অন্যতম কাজ ভালোভাবে সুন্দর করে গুছিয়ে তারপর পোস্ট করতে হবে। এবং আপনাকে নির্বাচন করে রাখতে হবে আপনি কোন পোষ্টের পর কোন পোস্টটি করবেন। আর আরেকটি বিষয় বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখবেন, যখন মানুষ সবচাইতে বেশি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে, তখন আপনার পোস্টগুলো পাবলিস্ট করার। যেমন আপনি সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর পোস্ট করতে পারেন, আবার দুপুরবেলা পোস্ট করতে পারেন, সন্ধ্যার পর পোস্ট করতে পারেন, আসল কথা হলো যে সময় গুলোতে মানুষ সোশ্যাল মিডিয়াতে সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় করে, সেই সময় পোস্ট করবেন।
ই কমার্স ব্যবসায় সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর গুরুত্ব
সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এমন একটি প্রক্রিয়া, যেটি ব্যবহারের ফলে,
অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ইন্টারনেটে একটিভ অডিয়েন্স টার্গেট করে যে কোন
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট ও বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস প্রচার করা
হয়। সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং এর গুরুত্ব ই-কমার্স ব্যবসায় অপরিসীম। বর্তমান
সময়ে সারা বিশ্বে ই-কমার্স ব্যবসার গুরুত্ব অপরিসীম। সারা বিশ্বে প্রায় ৪.৬২
মিলিয়ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী একটিভ থাকে।
যা সারা বিশ্বে জনসংখ্যার প্রায় ৬০%। বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে ই-কমার্স এর
মাধ্যমে বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ তরুণ-তরুণীরা স্বাবলম্বী হচ্ছে পাশাপাশি অন্যের
কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। এতে করে দেশের বেকারত্ব দূর হচ্ছে। বর্তমান
সময়ের ব্যবসাগুলো সোশ্যাল মিডিয়ার উপরে অনেক নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছে। বর্তমান
সময়ের সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যম ব্যবহার করে ব্যবসা করাটা এক ধরনের নতুন হাতিয়ার
হিসেবে কাজ করছে।
কারণ অনলাইন প্লাটফর্মে ব্যবসার মাধ্যমে ক্রেতারা যেমন বিভিন্ন ধরনের
সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে. ঠিক তেমনি বিক্রেতারাও ভালো লাভবান হচ্ছে। বাংলাদেশ প্রচুর
বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে। সাধারণত বর্তমান সময়ে
গার্মেন্টস সেক্টর থেকে সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হয়। গার্মেন্ট সেক্টর
এর মতো যদি ট্রেনিং পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা যদি ই-কমার্সেও ব্যবহার
করা হয়, তাহলে পরবর্তী সময়ে ই-কমার্স থেকেও বাংলাদেশে খুবই ভালো পরিমাণ মুদ্রা
অর্জিত হবে এবং পরবর্তী সময়ে সেটা রপ্তানিমুখী শিল্পতে পরিণত হবে।
বর্তমান সময়ে দেশের বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান গড়ে তোলা পাশাপাশি বিপুল পরিমাণে
বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করার জন্য ই-কমাস সেক্টর খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
যাচ্ছে। এছাড়াও ই-কমার্স সেক্টরের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন ধরনের অভ্যন্তরে
ব্যবসা-বাণিজ্য খুবই বিস্তার লাভ করছে। যেমন কিছু বছর ধরে উত্তরাঞ্চলের আম
চাষিদের মধ্যে অনেকে আড়তদারদের কাছে তাদের আম বিক্রি না
করে অনলাইনের মাধ্যমে যেমন facebook, youtube, instagram, ইত্যাদি ব্যবহারের
মাধ্যমে তারা অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবসা করছে এবং এই সোশ্যাল মিডিয়া গুলো ব্যবহার
করে তারা তাদের আম বিক্রি করছে এবং তারা সফলতা লাভ করছে। ই-কমার্স খাত ব্যবহার
করে অনলাইনে আম বিক্রয়ের মাধ্যমে ভালোই লাভবান হচ্ছে পাশাপাশি ক্রেতারা
ফরমালিনমুক্ত আম খেতে পারছে।
ই-কমার্স এর মাধ্যমে বিক্রেতারা ক্রেতাদের দোরগোড়ায় পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে। এতে করে
ক্রেতাদের অনেক সুবিধা হচ্ছে। বাংলাদেশের ব্যবসার প্রসারে এবং কর্মসংস্থান তৈরিতে
ও বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে বৈপ্লবিক ভূমিকা পালন করছে এই
ই-কমার্স।
- টার্গেট অডিয়েন্সদের সাথে সংযোগ স্থাপন করাঃ বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে আপনাকে আপনার অডিয়েন্সের টার্গেট করতে হবে পাশাপাশি তাদের সাথে অবশ্যই ভালো আচরণ করতে হবে। তাহলে তাদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে, এতে করে মানুষের কাছে আপনার পরিচিতি লাভ করতে সহজতর হবে পাশাপাশি আপনার পণ্য এবং সার্ভিস সঠিক গ্রাহকদের কাছে দ্রুত পৌঁছাবে। তাহলে আপনার কাছে অডিয়েন্সরা আপনার পণ্য এবং সার্ভিস নিতে আগ্রহী হবে। তাই জন্য সব সময় গ্রাহকদের সাথে সুন্দর ও সুচারুরূপে কথা বলতে হবে।
- ব্রান্ডের পরিচিতি বৃদ্ধিঃ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের প্লাটফর্মে ব্র্যান্ডের মার্কেটিং করে প্রচার করতে হবে। তাহলে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর সাহায্যে আপনার ব্র্যান্ডের পরিচিতি লাভ হবে। তাহলে আপনার ব্যবসায় পণ্য কিনতে আরো গ্রাহক বৃদ্ধি পাবে।
- গ্রাহকের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করেঃ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনাকে আপনার গ্রাহকদের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। যেমন গ্রাহকের বিভিন্ন ধরনের তথ্য জানতে, তাদের চাহিদা এবং আগ্রহ বুঝতে।
- বিক্রয় বৃদ্ধি করেঃ ই-কমার্স ব্যবসায় সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর তুলনা নেই, এর গুরুত্ব অনেক। কেননা ই-কমার্স এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের বিক্রি অনেক গুন বৃদ্ধি পাবে। ফলে আপনি আপনার ব্যবসায় অনেক লাভবান হতে পারবেন। কিন্তু আপনাকে একটা জিনিস লক্ষ্য রাখতে হবে সঠিক নিয়ম মেনে ই-কমার্স ব্যবসায় কাজে লাগিয়ে পণ্য গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে হবে, তাহলে আপনার বিক্রি দিন দিন বৃদ্ধি পাবে।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার উপায়
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার জন্য আপনি বিভিন্ন ধরনের উপায় অবলম্বন করতে পারেন।
- প্ল্যাটফর্ম নির্বাচনঃ আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ভালোভাবে শিখতে চান, তাহলে আপনাকে সর্বপ্রথম প্লাটফর্ম নির্বাচন করতে হবে। যেখানে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশি থাকবে মূলত সেই প্ল্যাটফর্ম আপনাকে নির্বাচন করতে হবে। যেমন বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় প্লাটফর্ম হচ্ছে ইউটিউব, ফেসবুক, টিক টক, ইনস্টাগ্রাম এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে কোটি কোটি মানুষদের অ্যাকাউন্ট রয়েছে। আর আপনি যদি এই জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়াম প্ল্যাটফর্ম গুলোর মাধ্যমে মার্কেটিং করে থাকেন, তাহলে দ্রুত আপনার ব্যবসা সারা বিশ্বে বিস্তার লাভ করবে পাশাপাশি আপনার বিক্রয় বৃদ্ধি দিন দিন পেতে থাকবে এবং আপনি লাভবান হবেন পাশাপাশি আপনি সফলতা অর্জন।
- হ্যাশট্যাগ ব্যবহারঃ অবশ্যই আপনাকে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করতে হবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার জন্য। ফলে আপনার পোষ্টের রিচ দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। আপনি যদি আপনার কনটেন্ট গুলো পাবলিস্ট করার আগে ব্যবহার করেন, তাহলে সেই পোস্টগুলো অডিয়েন্সের নিকট দ্রুত পৌঁছাবে।
- বিজ্ঞাপন প্রচারঃ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার যতগুলো জনপ্রিয় উপায় রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম সেরা উপায় হচ্ছে বিজ্ঞাপন প্রচার করা। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া যেমন facebook ads, instagram ads, youtube ads প্রভূতি, এই সকল প্লাটফর্মে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন অপসন চালু হয়েছে। যেগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ব্র্যান্ড সম্পর্কে আলাদা আলাদা ভাবে এড তৈরি করে প্রচার করতে পারবেন। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা যেকোনো ধরনের ভিডিও ভিজিট করলে আপনার তৈরি এড গুলো প্রদর্শিত হবে। এভাবে ভিজিটরেরা আপনার ব্র্যান্ড এবং প্রোডাক্ট সম্বন্ধে অনেক ধারণা পাবে।
- স্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণঃ আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই আগে স্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। তাহলে আপনি একজন সফল উদ্যোক্তা হতে পারবেন। এছাড়াও আপনাকে আপনার ব্র্যান্ড এবং প্রোডাক্ট সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে পাশাপাশি আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিকের সংখ্যা অধিক করতে হবে এবং গ্রাহকের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে।
- কনটেন্ট ক্যালেন্ডার তৈরি করুনঃ যেহেতু আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করবেন সেহেতু আপনার প্রোডাক্ট এবং ব্র্যান্ড সম্পর্কে কি কি কনটেন্ট তৈরি করতে হবে পাশাপাশি কোন কনটেন্ট গুলো আপনি পাবলিস্ট করবেন সেগুলোর একটি ক্যালেন্ডার তৈরি করে রাখতে পারেন। এতে করে কোন সময় কোন কন্টেন্ট পাবলিস্ট করতে হবে আপনি তাহলে ভুলে যাবেন না।
- নিয়মিত পোস্ট করাঃ সাধারণত কনটেন্ট কে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর হৃৎপিণ্ড বলা হয়। আপনি আপনার কনটেন্ট গুলো যত আকর্ষণীয় করে লিখবেন গ্রাহকের আপনার কন্টেন্টের প্রতি তত আগ্রহ বৃদ্ধি পেতে থাকবে। তাই জন্য ভালো ভালো মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি করে নিয়মিত পাবলিস্ট করতে হবে।
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া নাম
ক্রমিক নং | জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া নাম | জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া গুলোর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাকাল | ব্যবহারকারীর সংখ্যা |
---|---|---|---|
০১ | ফেসবুক (Facebook) | ২০০৪ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে ১ মিলিয়নের বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এটিকে ব্যবহার করেন তাদের ব্যবসার প্রচারের জন্য। | ১.৫৯ বিলিয়নের বেশী সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে। |
০২ | ইউটিউব (You Tube) | ২০০৫ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি তিন প্রাক্তন পেপাল কর্মচারীর হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ২০০৬ সালে এই প্রতিষ্ঠানকে ১.৬৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে কিনে নেয় গুগল। | গুগলের পরে ২য় সর্বাধিক জনপ্রিয় এই মাধ্যমের রয়েছে প্রায় ১ বিলিয়নের বেশি ব্যবহারকারী। |
০৩ | ইনস্টাগ্রাম (Instagram) | ২০১০ সালের অক্টোবর মাসে চালু হয়। | বর্তমানে ৪০০ মিলিয়নের বেশী ব্যবহারকারী রয়েছে। |
০৪ | হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) | ২০১০ সালের জানুয়ারি তে এটি চালু হয়। | ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক। |
০৫ | টুইটার (Twitter) | ২০০৬ সালের ২১ মার্চ সান ফ্রান্সিসকোর ক্যালিফোর্নিয়ায় বিশ্বের ২য় জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি তৈরি করা হয়। | বর্তমানে ৩২০ মিলিয়নের বেশি মানুষ ১৪০ টি অক্ষরের মাধ্যমে তাদের মনের কথা বর্নণা করে চলেছেন। |
০৬ | লিংকডইন (LinkedIn) | ২০০২ সালের ১৪ই ডিসেম্বর তৈরি করা হয়। কিন্ত এটি আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু করে ২০০৩ সালের ০৫ মে। | প্রায় ২৪ ভাষায় ব্যবহার করা যায় এই মাধ্যমটি, এটির ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪০০ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। |
০৭ | টিকটক (Tik Tok) | ২০১৬ সালে চালু করা হয়েছিল। টিকটকের প্রতিষ্ঠাতা ঝাং ইয়েমিং। | প্রতি মাসে প্রায় ১৫০ কোটি সক্রিয় ব্যবহারকারী ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে। অপরদিকে প্রতি মাসে ১১০ কোটির বেশি ব্যবহারকারী টিকটক ব্যবহার করে। |
০৮ | স্ন্যাপচ্যাট (Snapchat) | ২০১১ সালে রেজি ব্রাউন, ইভান স্পিগেল ও ববি মারফি তৈরি করেন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন সময়ে। | ২০১৫ সালের মধ্যে ১০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছাড়িয়ে যায়। |
০৯ | কুয়োরা(Quora) | ২০০৯ সালে চার্লি শেভার এটি তৈরি করে। | ৮০ মিলিয়ন ব্যাবহারকারী রয়েছে যার মধ্যে অর্ধেকই আমেরিকার নাগরিক। |
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কোথায় শিখবেন ?
এখন আপনাদের মনে অবশ্যই প্রশ্ন জাগছে কোথায় সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখবো?
কিভাবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখবো? তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া
যাক। সাধারণত আমাদের দেশে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থায় সোশ্যাল মিডিয়া
মার্কেটিং রয়েছে। সাধারণত সেখান থেকেই আপনারা বিভিন্ন ধরনের ধারণা পেয়ে যাবেন
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সম্বন্ধে।
কিন্তু আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শেখার জন্য অবশ্যই অনলাইনে সাহায্য নিতে
হবে। কেননা সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং এর জন্য কোন প্রতিষ্ঠান ডিগ্রী নেই এখন
আমাদের দেশে। তাই আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখতে হলে দুটি উপায় অবলম্বন
করে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখতে হবে।
- নিজে নিজে শিখতে হবে অনলাইনের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।
- প্রফেশনাল মানের কোন কোর্স অথবা ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখতে পারেন।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কোর্স
বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হল অনলাইন থেকে আয় করার একটি সহজতর
ক্ষেত্র।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং আপনি অনলাইনের মাধ্যমে নিজে নিজেও শিখতে পারেন। আবার
বিভিন্ন ধরনের কোর্স বা ট্রেনিং এর মাধ্যমেও সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখতে
পারেন। আপনি কিভাবে শিখবেন সেটা নিতান্তই আপনার উপর নির্ভর করছে। আপনার যেভাবে
সুবিধা আপনি সেভাবেই শিখতে পারেন। কিন্তু আপনাকে একটা জিনিস লক্ষ্য রাখতে হবে কোন
ধোকাবাজ কিংবা ভুয়া সেন্টারের নিকটস্থ হবেন না। ভালোভাবে খোঁজখবর নিয়ে তারপর
একটি ভালো আইডি সেন্টারে শিখবেন।
নিজে নিজে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কিভাবে শিখব?
বর্তমান সময়ে এই ডিজিটাল যুগে প্রযুক্তি আর ইন্টারনেটের উন্নতিতে আপনি চাইলে ঘরে
বসে নিজেই খুব সহজে ইউটিউব এবং গুগল এর মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখতে
পারেন। আপনি যদি গুগলে সার্চ দেন, তাহলে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শেখার জন্য
বিভিন্ন ধরনের ভিডিও পেয়ে যাবেন এবং সেগুলোর মাধ্যমে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া
মার্কেটিং শিখতে পারবেন। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শেখার জন্য ইউটিউবেও
বিভিন্ন ধরনের ভিডিও রয়েছে, যেগুলো দেখে আপনারা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখতে
পারবেন।
তবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শেখার জন্য আপনাকে ইংলিশে কিছুটা দক্ষতা অর্জন
করতে হবে। কেননা এসব কনটেন্টের বেশিরভাগ ইংরেজি। আপনি যদি নিজে নিজে শিখতে চান,
তাহলে আপনাকে প্রথমে youtube এর ভিডিওগুলো ভালোভাবে দেখতে হবে। তারপর নিজে নিজে
একা একা প্র্যাকটিস করতে হবে, না হলে আপনি ভালোভাবে শিখতে সক্ষম হবেন না। তবে
ফ্রি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখতে গেলে হয়তো আপনি ভালোভাবে পুরোপুরি দক্ষতা
অর্জন করতে পারবেন না। কিন্তু বেসিক একটা ধারণা পেয়ে যাবেন।
কোর্স বা ট্রেনিং এর মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শেখা
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শেখার জন্য অনলাইন কোর্স অথবা ট্রেনিং সবচেয়ে ভালো
মাধ্যম। বর্তমান সময়ে অনলাইনে ভালো মানের কোর্স করার জন্য একজন ভালো মানের
ইনস্ট্রাক্টর গাইডলাইনে আপনি খুব সহজে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখতে পারবেন।
তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে আপনি যে একাডেমিক থেকে শিখুন না কেন সেটা
যেন ভালো মানের হয় এবং যিনি আপনাকে শেখাবেন সে যেন প্রফেশনাল হয়।
আর কোর্সের কনটেন্ট গুলো যেন ভালো মানের এবং কোয়ালিটি সম্পন্ন হয় সেদিকে লক্ষ্য
রাখবেন। বর্তমানে বাংলাদেশে এমন বিভিন্ন ভুয়া ইন্সট্রাক্টর যাদের নিজেরই কোন
মার্কেটপ্লেস নেই নিজের কোন অভিজ্ঞতা নেই শুধুমাত্র ট্রেনিং দেওয়াই হচ্ছে তাদের
মূল উদ্দেশ্য। এভাবে মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা
আত্মসাৎ করছে। মূলত আপনারা তাদের থেকে সাবধান থাকবেন তাই জন্য যেখানে শিখুন না
কেন ভালোভাবে খোঁজখবর নিয়ে শিখবেন।
আপনি যদি এই ভুয়া ট্রেনারদের কাছ থেকে শিখতে চান তাহলে কোন ভাবে বর্তমান সময়ের
কাজে লাগিয়ে পাওয়ারফুল টেকনিকগুলো আপনি ভালোভাবে আয়ত্ত করতে পারবেন না। তাই
জন্য আপনি যার কাছে কোর্স করেন না কেন? কোর্সে জয়েন হওয়ার আগে অবশ্যই খোঁজখবর
নিয়ে জয়েন হবেন। সাধারণত আপনি যেসব উপায়গুলো অবলম্বন করবেন সেগুলো আপনাকে কৌশল
ভাবে অবলম্বন করতে হবে।
আপনার ব্র্যান্ড পাশাপাশি পণ্য ও পরিষেবাকে সঠিকভাবে গ্রাহকদের কাছে তুলে ধরতে
হবে। ফলে আপনার সাথে আপনার গ্রাহকদের সু-সম্পর্ক গড়ে উঠবে। এছাড়াও সোশ্যাল
মিডিয়া মার্কেটিং করার প্রধান পাঁচটি উপায় নিচে আলোচনা করা হলো।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কেমন হবে?
বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর সাথে
সাথে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর চাহিদা দিন দিন ব্যাপক বাড়ছে। আর পরবর্তী
সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের সংখ্যা আরো বাড়বে। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
এর ভবিষ্যৎ খুবই ভালো, উজ্জ্বল। বর্তমান সময়ে মানুষের বাজারে গিয়ে কষ্ট করে
প্রোডাক্ট কিনতে চাই না তার কারণ বাঁচাতে বসেই যদি অনলাইনে অর্ডারের মাধ্যমে
প্রোডাক্ট বাসায় পৌঁছে দিয়ে যায় তাহলে কষ্ট করে বাজার থেকে কিনে আনার দরকার
কি? তাই জন্য মানুষ এখন অনলাইনে অর্ডার করে প্রোডাক্ট কিনতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ
করছে।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর প্ল্যাটফর্মে আরও নতুন নতুন ফিচার যুক্ত হবে। ফলে
মার্কেটারদের নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে, নতুন নতুন কাজ করবে। বর্তমান যুগ হচ্ছে
আধুনিক যুগ আর এই আধুনিক যুগে সবকিছুই দিন দিন অত্যাধুনিক হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া
মার্কেটিং যেভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করছে একসময় এটি সবকিছু ছাড়িয়ে যাবে। তাই
আপনারা দেরি না করে যারা যারা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শুরু করার পরিকল্পনা
করছেন তারা অতি দ্রুত শুরু করে দেয়।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখতে কত দিন সময় লাগে?
যেকোনো ব্র্যান্ড বা প্রোডাক্ট দ্রুততম সময়ে অডিয়েন্স এর কাছে পৌঁছানোর সবচেয়ে
ভালো উপায় হলো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর চাহিদা
দিন দিন বেড়েই চলেছে। আপনি যদি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াগুলো যেমন facebook,
youtube, instagram, twitter কাজে লাগাতে চান, তাহলে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
আপনার জন্য। সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং শেখাটা নিতান্তই নির্ভর করে কোর্সের
ওপর।
কোনো কোনো কোর্স দুই মাসের হয়ে থাকে। আবার কোন কোন কোর্স তিন মাসের হয়ে থাকে।
ছয় মাস পর্যন্ত কোন জায়গায় মেয়াদ থাকে। আর আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া
মার্কেটিং এ পুরোপুরি দক্ষতা অর্জন করতে চান খুবই ভালোভাবে, তাহলে আপনার এক বছর
বা তারও বেশি সময় লেগে যেতে পারে। তাই আপনি যে আইটি সেন্টারে শিখবেন কোর্সের
মেয়াদ কতটুকু সেটা মূলত তার উপরে নির্ভর করে।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর সুবিধা কি?/সোশ্যাল মিডিয়ার ভালো দিক
- কানেক্টিভিটিঃ সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়ার সবচেয়ে সুবিধা হচ্ছে কানেক্টিভিটি। মানুষ এখন যে কোন জায়গায় অবস্থান করুক না কেন? একজন আরেকজনের সাথে অনায়াসে যোগাযোগ করতে পারবে।
- তথ্য এবং আপডেটঃ সোশ্যাল মিডিয়ার আরেকটি দারুন সুবিধা হচ্ছে আপনি যে কোন জায়গায় থাকেন না কেন সব জায়গার আপডেট খুব সহজেই পাবেন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। অনেক সময় প্রিন্ট মিডিয়া টিভি চ্যানেল বিভিন্ন ধরনের ভুয়া খবর প্রেরণ করে থাকে। তাই দেশ-বিদেশের সব রকম সঠিক তথ্য পাওয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
- শিক্ষাঃ সাধারণত বর্তমান সময়ে ছাত্র এবং শিক্ষক উভয়ের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া খুবই উপকারী। কেননা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত থেকেই অভিজ্ঞ শিক্ষকদের কাছ থেকে খুব সহজেই অনায়াসে শিক্ষা লাভ করা যায়। তাই জন্য শিক্ষার ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া দারুণ উপকারী।
- সাহায্যঃ ধরুন আপনি একটি সমস্যায় পড়েছেন, সেখান থেকে কিভাবে উদ্ধার হবেন বুঝতে পারছেন না। তখন আপনি আপনার সমস্যাগুলো বর্ণনা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সাহায্য চাইতে পারেন, দিকনির্দেশনা পাবেন। সমস্যার সমাধানটা টাকার হতে পারে আবার বিভিন্ন ধরনের উপদেশ মূলক বাণীও হতে পারে।
- প্রমোশনঃ অনলাইন কিংবা অফলাইন আপনি যেখানেই ব্যবসা করুন না কেন, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার গ্রাহকের সংখ্যা খুব সহজেই বৃদ্ধি করতে পারবেন। সোশ্যাল মিডিয়া কম খরচে আপনার বিজনেস কে লাভজনক করে তুলবে প্রমোশনের মাধ্যমে।
- কমিউনিটিঃ সাধারণত কমিউনিটি গঠনে সোশ্যাল মিডিয়া দারুন কাজ করে। যেমন সমাজসেবা, বিভিন্ন ধরনের এনজিও, সম্বন্ধে বিভিন্ন ধরনের প্রচার-প্রচারণা চালানো যায়। এছাড়াও গরিব লোকদের সাহায্য সহযোগিতা করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করা যায়।
- সচেতনতাঃ সোশ্যাল মিডিয়াতে কাজ করতে হলে অবশ্যই আপনাকে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। সচেতনতা বৃদ্ধি করে জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে হবে। কেননা প্রতিদিনের জীবনযাত্রার জন্য মানুষের সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়।
- গ্রুপ তৈরিঃ যেহেতু পৃথিবীতে নানা ধরনের ধর্ম বর্ণ রয়েছে সেহেতু সোশ্যাল মিডিয়ার আমাদের নিজ নিজ ধর্ম এবং সঠিক মতামত নিতে সাহায্য করে। তাই গ্রুপ করে যদি কাজ করা যায় তাহলে সবার নিজ নিজ সিদ্ধান্ত নিতে অনেক সুবিধা হবে।
- বিজনেসের খ্যাতি ছড়ানোঃ সাধারণত বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া বিজনেসের খ্যাতি ছড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ব্র্যান্ড বা প্রোডাক্ট প্রচার-প্রচারণায় দারুন কাজ করছে সোশ্যাল মিডিয়াম। এতে করে সারা বিশ্বে ব্র্যান্ডের এবং প্রোডাক্ট এর পরিচিতি লাভ হচ্ছে। ফলে বিজনেসের খ্যাতি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
- সরকার এবং নিরাপত্তা এজেন্সিকে সাহায্য করেঃ সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়ার এর মাধ্যমে সরকার এবং নিরাপত্তা এজেন্সি দেশের বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের উপর নজরদারি রাখতে পারে পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি প্রণয়ন করে।
সোশ্যাল মিডিয়ার খারাপ ও ক্ষতিকর দিক
- হ্যাকিংঃ সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে হ্যাকাররা খুব সহজে মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য এবং গোপনীয়তা হ্যাক করতে পারে। মুহূর্তে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে যেতে পারে বিভিন্ন ধরনের গোপনীয় সব তথ্য, মুহূর্তের মধ্যে যা অর্থনৈতিক ক্ষতি কিংবা ব্যক্তিগত জীবন কে দুর্বিষহ করে তুলতে পারে। এইসব হচ্ছে মূলত সোশ্যাল মিডিয়ার মারাত্মক অসুবিধা।
- আসক্তিঃ কেউ যদি একবার সোশ্যাল মিডিয়া আসক্ত হয়ে যায়, তাকে এই আসক্ত থেকে বের করে আনা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। দেখা যাবে একসময় যে আসক্ত হয়েছে, তাকেই হয়তো হারিয়ে ফেলতে হয়। সাধারণত টিনেজার তরুণ তরুণীরা বেশি আসক্ত হয়ে থাকে।
- সাইবার ভন্ডামীঃ অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা সাইবার ভন্ডামীর শিকার হয়ে থাকে। যে কোন একটা ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে তারপর সে একাউন্ট নিয়ে, যা খুশি তাই করে,যা ধরাছোঁয়ার বাইরে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই ভন্ডামি গুলো সহজ হয়ে গেছে, ফলে হুমকি ধমকি নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে সমাজকে অশান্ত করে তুলছে।
- প্রতারনাঃ তরুণ তরুণেরা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। যা দিন দিন আমাদের জীবনকে দুর্বিসহ করে তুলছে।
- নিরাপত্তা বিষয়কঃ বর্তমান সময়ে মানুষের ব্যক্তিগত সব তথ্য নিরাপত্তা বিষয়ক এজেন্সির কাছে একাউন্টে এক্সেস থাকে। তখনগোপনীয়তা রক্ষা করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে।
- খ্যাতিঃ বর্তমান সময়ের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে মানুষ বানোয়াট গল্প বানিয়ে, মিথ্যা ঘটনা রটিয়ে খুব সহজেই একটি মানুষের খ্যাতি নিমিষেই শেষ করে দিতে পারে। বিজনেসের ক্ষেত্রেও একই রকম।
- প্রতারণা এবং সম্পর্কঃ সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনেকেই প্রেম-ভালোবাসা বিয়ে পর্যন্ত করে থাকে। অনেক সময় একে অপরকে ভুল তথ্য, দিয়ে প্রতারণার শিকার হয়।
- স্বাস্থ্যঃ অতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক। ফলে শরীরে নানা ধরনের রোগ বাসা বাধতে পারে।
- গ্ল্যামার ড্রাগ এবং মদঃ বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ার একটি বড় অসুবিধা হচ্ছে অনেকেই ধনী এবং নেশাগ্রস্থদের ইন্টারনেটে ফলো করে থাকে। ফলে নেতিবাচক চিন্তাধারা এবং কর্মকাণ্ডে তারা দিন দিন ঝুঁকে পরে।
- সোশ্যাল মিডিয়া মৃত্যুর কারণ হতে পারেঃ ইন্টারনেটে বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড শেয়ার করা হয়। আর অনেক মানুষ রয়েছে যারা সেগুলো দেখে সেগুলো করার প্রতি আগ্রহ জাগে। সেই সব পাগলামি কর্মকাণ্ড করতে গিয়ে অনেক সময় বাস্তবে অনেকে মৃত্যুবরণ করে থাকে।
লেখকের ইতি কথাঃ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি - সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার উপায়
সম্মানিত পাঠক, আশা করি উপরোক্ত আলোচনা গুলো থেকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি -
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার উপায় এ বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি বিস্তারিতভাবে
জানতে পেরেছেন। বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে ঘরে বসেই একটু
বুদ্ধি খাটিয়ে খুব স্বল্প পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করা
সম্ভব। তবে এ বিষয়ে আপনাকে স্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
কি - সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার উপায় এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ে উল্লেখিত
বিষয়গুলো জেনে নিলে আপনি খুব সহজেই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে দ্রুত সময়ে
সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে পারবেন।
এক্ষেত্রে আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আপনার অবস্থানকে পরিবর্তন করতে
চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি - সোশ্যাল মিডিয়া
মার্কেটিং করার উপায় এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে তাহলে আপনি খুব
দ্রুতই সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন।
সম্মানিত পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থেকে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগের সাথে
পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে এ ধরনের তথ্যবহুল
কার্যকরী ও উপকারী আর্টিকেল নিয়মিত পোস্ট করে থাকি। তাই আপনি যদি এ ধরনের আরও
তথ্যবহুল ও উপকারী সব আর্টিকেল পড়তে চান, তাহলে অবশ্যই এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত
ফলো করুন। সাথে সাথে এ আর্টিকেলটি পরে ভালো লাগলে আপনার নিকট আত্মীয়,
বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজনদের কাছে তাদের উপকারার্থে শেয়ার করে দিন।
যেন তারা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি - সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার উপায় এ
বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি ভালোভাবে জেনে নিতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার উপায় এ বিষয় সম্পর্কে আপনার যদি কোন
গুরুত্বপূর্ণ মতামত বা প্রশ্ন থাকে, তাহলে অবশ্যই নিচে দেওয়া মতামত বক্সে কমেন্ট
করতে ভুলবেন না। আবার আপনাদের সাথে কথা হবে নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে ততক্ষণ
পর্যন্ত নিরাপদ ও সুস্থ থাকুন।
কনফিডেন্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url