ওয়েব ডিজাইন ও ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মধ্যে পার্থক্য কি কি? - ওয়েব ডিজাইনিং নাকি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোনটা ভালো?

আপনি কি ওয়েব ডিজাইনিং নাকি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোনটা ভালো ও এদুটির মধ্যেকার পার্থক্যগুলো জেনে কিভাবে কাজ করতে হয় তা জেনে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ দিয়ে ওয়েব ডিজাইন অথবা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে নিজের ঘরে বসে থেকে স্বল্প পরিশ্রমের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে চান? তাহলে আপনার চিন্তার কোন কারণ নেই। কারণ আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটির মূল আলোচনায় হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন ও ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মধ্যে পার্থক্য কি কি? - ওয়েব ডিজাইনিং নাকি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোনটা ভালো? সেই সম্পর্কে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যবহুল ও প্রয়োজনীয় আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক!
ওয়েব ডিজাইন ও ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মধ্যে পার্থক্য কি কি? - ওয়েব ডিজাইনিং নাকি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোনটা ভালো?
আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটির মাধ্যমে ওয়েব ডিজাইন ও ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মধ্যে পার্থক্য কি কি? - ওয়েব ডিজাইনিং নাকি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোনটা ভালো? এ বিষয় সম্পর্কে এমন কিছু ইউনিক ও কার্যকরী তথ্য সম্পর্কে জানাবো, যেগুলিকে কাজে লাগিয়ে আপনি খুব সহজেই কম্পিউটার বা ল্যাপটপ দিয়ে ওয়েব ডিজাইন অথবা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি কি আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো জানতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্যই। ওয়েব ডিজাইন ও ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মধ্যে পার্থক্য কি কি? - ওয়েব ডিজাইনিং নাকি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোনটা ভালো? এই আর্টিকেলটির সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আশা করি আলোচ্য বিষয়ে বিস্তারিতভাবে নির্ভুল সব তথ্য গুলো জানতে পারবেন। ইনশাআল্লাহ!
পেজ সূচিপত্রঃ
.

ভুমিকা

সারাবিশ্বে বর্তমান সময়ে মানুষ অনলাইন মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে ওয়েব ডিজাইন অথবা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে নিজ ঘরে বসে থেকেই একটু বুদ্ধি খাটিয়ে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে। ওয়েব ডিজাইন এন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হলো বর্তমান সময়ে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করার সব থেকে জনপ্রিয় ও সহজ মাধ্যম। তাই সারাবিশ্বে বর্তমান সময়ে মানুষ ওয়েব ডিজাইনিং নাকি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোনটা ভালো ও এদুটির মধ্যেকার পার্থক্যগুলো জেনে ওয়েব ডিজাইন অথবা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখে অনেক মানুষই এটিকে তাদের পেশা হিসেবে গ্রহন করে আয়ের অন্যতম উৎস বানিয়ে নিয়েছে। 
তাই আপনিও যদি অন্যের গোলামী না করেই নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী মুক্ত পেশাজীবী হিসাবে ওয়েব ডিজাইন অথবা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখে ঘরে বসে থেকেই লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করে নিজেকে স্বাবলম্বী করতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে ওয়েব ডিজাইন ও ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মধ্যে পার্থক্য কি কি? - ওয়েব ডিজাইনিং নাকি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোনটা ভালো? এ বিষয়ে পুরোপুরি ধারণা রাখতে হবে। 

তাই আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন ওয়েব ডিজাইন ও ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মধ্যে পার্থক্য কি কি? - ওয়েব ডিজাইনিং নাকি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোনটা ভালো? সেই সম্পর্কে। এছাড়াও ওয়েব ডিজাইন কি? ওয়েব ডিজাইন এর কাজ কি কি? রিলেভেন্ট কন্টেন্ট তৈরী, লেআউট তৈরী, কালার কম্বিনেশন করা, সঠিকভাবে গ্রাফিক্স এর কাজ করা, সঠিক ফন্ট সিলেকশক করা, নেভিগেশন করা, 

মাল্টিমিডিয়া, ওয়েব ডিজাইন করে মাসে কত টাকা আয় করা যায়? ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি? ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর কাজ কি? ওয়েব ডিজাইন ও ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মধ্যে পার্থক্য কি কি? ওয়েব ডিজাইনিং নাকি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোনটা ভালো? এ বিষয়গুলো সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন ও ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মধ্যে পার্থক্য কি কি? - ওয়েব ডিজাইনিং নাকি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোনটা ভালো? এই সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই কার্যকরী।

ওয়েব ডিজাইন কি?

সাধারণত একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কোডিং পাশাপাশি এডিটর ব্যবহারের মাধ্যমে সৌন্দর্য বিবেচনায় রেখে ব্যবহারকারীর পছন্দ পাশাপাশি সুবিধা অনুযায়ী চিত্র অঙ্কন করাকে ওয়েব ডিজাইন বলা হয়। মোট কথা সংক্ষেপে বলতে গেলে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার পদ্ধতিকেই ওয়েব ডিজাইন বলা হয়। মূলত একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন করার জন্য যেসকল দক্ষতা গুলো খুবই জরুরী সেগুলো হলো ওয়েবসাইট ব্যবহারকারী ইন্টারফেস ডিজাইন, 

ব্যাক এন্ড ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব প্রকশৌল ও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। বর্তমান সময়ে একটি জনপ্রিয় ও চাহিদা সম্পন্ন পেশা হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন। আর যেসব ব্যাক্তি ওয়েবসাইটের বিভিন্ন ধরনের নকশা তৈরি করে তাদের মূলত ওয়েব ডিজাইনার বলা হয়। একজন ব্যক্তি তার নিজের সৃজনশীলতা ও দক্ষতা ব্যবহার করে, নিজেই ওয়েবসাইটের ডিজাইন তৈরি করে। 
আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন করতে চান,তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার আগে কোডিং অভিজ্ঞতা খুবই জরুরী পাশাপাশি HTML, JavaScript, CSS এই বিষয়গুলোতেও খুবই ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। সাধারণত একটি ওয়েবসাইটে থাকেন ওয়েবসাইটের আউটলুক যেমন সাইজ, ইমেজ, মেনুবার, কালার, ফন্ট প্রভূতি। এছাড়াও ওয়েবসাইটের কনটেন্ট গুলো কিভাবে ওয়েব সাইটে সাজাবে? ওয়েবসাইটের ভেতর কোথায় কেমন হবে? এই সকল বিষয় ওয়েব ডিজাইনের অন্তর্ভুক্ত। 

মূলত একজন ক্লায়েন্ট যেভাবে তার ওয়েবসাইটটি তৈরি করতে চাইবে, ঠিক সেভাবেই একজন ওয়েব ডিজাইনার ওয়েবসাইট তৈরি করে দিবেন। এছাড়া ফটোশপের কিছু সফটওয়্যার রয়েছে সেগুলোতেও খুবই ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তাহলে আপনি ওয়েবসাইটের ডেমো ডিজাইন করতে তৈরি করতে সক্ষম হবে। আপনি যদি উপরের সব বিষয় মাথায় রেখে সবকিছুতে দক্ষতা অর্জন করে কাজ করেন, তাহলে আপনি একটি ওয়েবসাইটকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে সক্ষম হবে।

ওয়েব ডিজাইন এর কাজ কি কি?

মূলত ওয়েব ডিজাইনের মূল কাজ হচ্ছে একটি ওয়েবসাইটের বাহ্যিক অবকাঠামো তৈরি করা। ওয়েব ডিজাইন হচ্ছে একটি ওয়েবসাইটের পুরো নকশা,যা মূলত ব্যবহারকারীদের সামনে ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে উপস্থাপনা করা হয়। সাধারণত ওয়েবসাইট সাজানোর প্রক্রিয়াকে ওয়েব ডিজাইন বলা হয়। তাই আপনি যদি একজন দক্ষ ওয়েব ডিজাইন হতে চান, 

সেক্ষেত্রে তাহলে আপনাকে বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে ওয়েব ডিজাইন করার জন্য আপনাকে অনেক কিছু শিখতে হবে। সাধারণত আমরা ইন্টারনেটের বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট দেখে থাকি। আর ওয়েবসাইটগুলো সাজানোর জন্য ডিজাইন করতে হয় ওয়েবসাইট ডিজাইন। মূলত ওয়েবসাইট ডিজাইন করে থাকেন, একজন দক্ষ ওয়েব ডিজাইনার। সাধারণত একটি ইউজার ওয়েবসাইটের আউটলুক মেনুবার, ইমেজ, ফন্ট, কালার সাইজ, 

টুলস প্রভূতি ওয়েবসাইটের কোন জায়গায় কেমন হবে এবং ওয়েবসাইটের কনটেন্ট গুলো কোন জায়গায় কিভাবে থাকবে,মূলত সকল কিছুই একজন ওয়েব ডিজাইনার ওয়েব সাইট ডিজাইনের মাধ্যমে করে থাকেন। আর একজন ওয়েবসাইট ব্যবহারকারী একটি ওয়েবসাইটে যা কিছু দেখেন মূলত সকল কিছুই হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন এর অন্তর্ভুক্ত। আর এই কাজগুলো ঠিক মতো করার জন্য একজন ওয়েব ডিজাইনার কে যে কাজগুলি করতে হয় সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।

রিলেভেন্ট কন্টেন্ট তৈরী

সাধারণত অনলাইন প্লাটফর্ম যতো ওয়েবসাইট রয়েছে, প্রতিটি ওয়েবসাইটে বিদ্যমান কনটেন্ট গুলোকে মেসেজ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মূলত ওয়েবসাইটের কনটেন্ট গুলো লেখার মাধ্যমে, সেই কনটেন্ট গুলোর মাধ্যমে আপনি কি বোঝাতে চাচ্ছেন, সেই বিষয়টি ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য পাশাপাশি কোন কন্টেন্ট গুলো কোথায় বসালে সবচেয়ে বেশি ভালো হবে, তা ঠিক করার জন্য একজন ওয়েব ডিজাইনারকে কনটেন্ট ডিজাইনিং সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করা খুবই জরুরী। 
কারণ একজন ডিজাইনারই একটি ওয়েবসাইটের সৌন্দর্য ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেন। তাইতো একটি আদর্শ ওয়েবসাইটের জন্য দক্ষ ওয়েব ডিজাইনার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাই জন্য একজন ওয়েব ডিজাইনারকে ওয়েবসাইটের জন্য কন্টেন্ট ডিজাইন সম্পর্কে জ্ঞান থাকা আবশ্যক।

লেআউট তৈরী

সাধারণত প্যারাগ্রাফ,টাইটেল, ছবি প্রভূতি একটি ওয়েবপেজ ডিজাইন করার সময় যেখানে সাজাবেন সেটাকে লেআউট বলা হয়। একজন ওয়েব ডিজাইনারের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর মধ্যে একটি অন্যতম কাজ হচ্ছে লেআউট। একজন ওয়েব ডিজাইনারকে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর পাশাপাশি লেআউট সম্পর্কে খুবই ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। মূলত লেআউট আপনি আপনার ইচ্ছামতো ব্যবহার করতে পারবেন,লেআউট ব্যবহার করার কোন নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন নেই। 

কিন্তু আপনাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে,সেটি হলো আপনাকে আপনার টার্গেট অডিয়েন্সদের চাহিদা অনুযায়ী আপনার ওয়েবসাইট সুন্দরভাবে সাজাতে হবে। আরেকটি বিষয় মাথায় রাখবেন, আপনার ওয়েবসাইটে এমন কোন কিছু ব্যবহার করবেন না, যেটির মাধ্যমে আপনার অডিয়েন্টরা আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড সম্পর্কে ভুল ধারণা পোষণ করে। তাই সবসময় আপনার ওয়েবসাইটে সঠিক সকল তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

কালার কম্বিনেশন করা

সাধারণত একটি ওয়েবসাইট ওয়েব ডিজাইনের মাধ্যমে তৈরি করার জন্য রং খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি এলিমেন্ট। কেননা একটি ওয়েবসাইট কতটা সৌন্দর্যে ভরপুর হবে, সেটা অনেকাংশে নির্ভর করে রং এর উপর। ওয়েব ডিজাইনের কাজ করার জন্য এমন একটি রং নির্বাচন করতে হবে, যেটি আপনার ওয়েবসাইটের ডিজাইন পাশাপাশি টোনের সাথে যায়। 

তাই জন্য আপনি আগে ভাবুন আপনি আপনার অডিয়েন্সদের কিভাবে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড সম্পর্কে পরিচিত করাতে চাচ্ছেন? আপনার ব্র্যান্ডের মূল উদ্দেশ্য কি? আর সেভাবে আপনাকে সব কিছুর সাথে মিল রেখে পাশাপাশি কাস্টমারদের পছন্দের কথা মাথায় রেখে সবদিক বিবেচনা করে রং নির্বাচন করতে হবে।

সঠিকভাবে গ্রাফিক্স এর কাজ করা

আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন নিয়ে কাজ করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ওয়েব ডিজাইনের পাশাপাশি গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কেও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তাই জন্য আপনি কোন ভাল আইটি সেন্টার থেকে কোর্স করে গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। কেননা আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন এর পাশাপাশি গ্রাফিক্সের কাজ না জানেন, তাহলে কখনোই ওয়েব ডিজাইন এর কাজ করতে পারবেন না। তাই জন্য ওয়েব ডিজাইন এর কাজ করার জন্য অবশ্যই গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 
তাহলে আপনি আপনার তৈরি করা ওয়েবসাইটে কোন কনটেন্ট কোন জায়গায় বসবে? ওয়েবসাইটের কোন জায়গায় কি করতে হবে? আপনি সবকিছু ভালোভাবে করতে পারবেন। তাই জন্য প্রিয় পাঠক আপনার জন্য আমার একটি পরামর্শ হবে আপনি ওয়েব ডিজাইন কাজ করার জন্য ওয়েব ডিজাইনের পাশাপাশি গ্রাফিক্সের কাজও শিখবেন। তাহলে আপনি আপনার তৈরি করা ওয়েবসাইটে অডিয়েন্সদের সামনে সঠিকভাবে প্রেজেন্টেশন করতে পারবেন।

সঠিক ফন্ট সিলেকশক করা

সাধারণত ফন্ট এমন একটা জিনিস যা বিভিন্ন ওয়েবসাইটকে বিভিন্ন ধরনের ফন্ট বিভিন্ন রূপে রূপান্তর করতে পারেন। আপনারা আপনাদের ওয়েবসাইটের পোস্টে বিভিন্ন ধরনের ফন্ট ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার সাইটটিকে দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হবেন। তাই জন্য সঠিক ফন্ট ব্যবহার করার বিষয়ে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটে সঠিকভাবে ফন্ট ব্যবহার করতে পারেন আপনার ওয়েবসাইটে মানসম্মত হয়ে যাবে। আপনার ওয়েবসাইটের ডিজাইন এর সাথে মিলিয়ে অবশ্যই ফন্ট ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও ফন্ট ব্যবহারের সাথে গ্রাফিক্স, ছবি, রং বিন্যাস সবকিছু যেন ঠিকঠাক থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

নেভিগেশন করা

মূলত প্রত্যেকটি ওয়েবসাইটে মেনুবার রয়েছে। কারণ ওয়েবসাইটের সকল বিষয় ইউজাররা যেন খুব সহজেই খুঁজে পেয়ে যায়, এজন্য একটি করে মেনুবার প্রত্যেকটি ওয়েব সাইটে বিদ্যমান থাকে। তাই জন্য একজন ওয়েব ডিজাইনারকে মেনুবার সেট করা সম্পর্কে জানা খুবই জরুরী। সাধারণত নেভিগেশন ওয়েবসাইটে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেটি আপনার ওয়েবসাইটের সবকিছু ফাংশন ঠিক আছে কিনা নেভিগেশন বলে দেবে । মূলত নেভিগেশন অডিয়েন্সদের যেসব বিষয়ের উপর নির্ভর করে সেগুলো নিজে উল্লেখ করা হলো।
  • আপনার ওয়েবসাইটে কি কি রয়েছে সে সম্পর্কে আপনাকে জানান দেবে।
  • অডিয়েন্সদের খুব সহজে ওয়েবসাইট ভিজিট করার পথ দেখিয়ে দিতে সাহায্য করবে।
  • এছাড়াও ভিজিটরদের অভিজ্ঞতার উন্নতি ঘটাতে দারুন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

মাল্টিমিডিয়া

মূলত ওয়েবসাইটে ভিডিও কনটেন্ট এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের অ্যানিমেশন ব্যবহারের মাধ্যমে ওয়েবসাইট সম্পর্কে ইউজারকে আরও নিখুঁত ও ভালোভাবে বোঝানোর উদ্দেশ্যেই ওয়েবসাইটে মাল্টিমিডিয়া কনটেন্টগুলো রাখা অতি আবশ্যক। ওয়েবপেজের মধ্যে মাল্টিমিডিয়া যুক্ত করা ওয়েব ডিজাইনারদের কাছে দিন দিন দারুন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি?

সাধারণত একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা থেকে শুরু করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে লাইভ করা পর্যন্ত যে সকল সিকিউরিটি প্রদান করা হয় মূলত সেগুলোকে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বলা হয়। আর মূলত যারা ওয়েব ডেভেলপমেন্টের সকল কাজগুলো করে থাকেন,তাদের ওয়েব ডেভেলপার বলা হয়। সাধারণত একজন ওয়েব ডেভলপার অ্যাপ্লিকেশন ক্রিয়েট করে থাকেন,

ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য। তাই জন্য একজন ওয়েব ডিজাইনার একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের উপায় অবলম্বন করে, অনেক ডিজাইন করে থাকেন, আর সেই পদ্ধতিগুলোকে ফাংশনাল রূপে রূপান্তর করার জন্য একজন ওয়েব ডেভেলপার বিভিন্ন উপায়ে অবলম্বন করে থাকেন, আর মূলত এই প্রক্রিয়াটাই হচ্ছে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট। তাই জন্যই তো ওয়েব ডেভেলপমেন্টকে একটি ওয়েবসাইটের প্রাণ সঞ্চালক বলা হয়। 
একটি ওয়েবসাইটকে তিনভাগে ভাগ করা যায় সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
  • টেমপ্লেট
  • ডাটাবেজ
  • কনস্ট্যান্টম্যানেজমেন্ট সিস্টেম
মূলত একজন ওয়েব ডেভেলপার পুরো অ্যাপ্লিকেশনকে সক্রিয় রাখার জন্য এই তিনটি বিষয়ের সমন্বয়ে পুরো পদ্ধতিকে সচল রাখতে সক্ষম হোন। 
ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মূল কাজগুলো নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
  • ডাটা প্রসেসিং করা।
  • ডাটাবেজ নিয়ন্ত্রণ করা।
  • ব্যবহারকারীর যোগ্যতা নিয়ন্ত্রণ করা।
  • এডমিন এবং ইউজারের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করা।
  • এছাড়াও অ্যাপ্লিকেশনে যতোগুলো ফিচার রয়েছে সেগুলোকে ফাংশনালে রূপান্তর করা।
  • ওয়েবসাইটের সকল যাবতীয় সিস্টেমের কার্যকারিতা ঠিক আছে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখা।
একজন দক্ষ ওয়েব ডেভলপার হতে হলে অবশ্যই ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শেখার জন্য HTML, CSS, JavaScript, PHP, CMS, Jquery মূলত একটি ওয়েবসাইটের সৌন্দর্য, কাঠামো, কার্যকারিতা ঠিক রাখতে এই ওয়ার্ডপ্রেস গুলোতে খুবই ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর কাজ কি?

সাধারণত ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মূল কাজ হচ্ছে ওয়েবসাইটে প্রাণ সঞ্চার করা। মূলত একটি ওয়েবসাইট কখনোই ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর কাজ ছাড়া তৈরি করা সম্ভব নয়। আর একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে হয় মূলত একজন ওয়েব ডেভলপার এর কাছ থেকে। সাধারণত ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে এপ্লিকেশন তৈরির পদ্ধতি বা একটি ওয়েবসাইট কোডিং ব্যবহারের মাধ্যমে প্রোগ্রামিং এর যাবতীয় সকল কাজ এর আন্ডারে করা হয়। 

মোটকথা ওয়েবসাইটে যাবতীয় সকল কাজ যেমন ওয়েবসাইট তৈরি করা থেকে শুরু করে রক্ষণাবেক্ষণ করা পর্যন্ত, সকল কাজগুলি একজন ওয়েব ডেভলপার করে থাকেন। আর এই কাজগুলো মূলত ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সেক্টরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ। একজন ওয়েব ডেভেলপার ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী এবং গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর মাধ্যমে ফাংশনাল সিস্টেমে রূপান্তর করে করে দেয়। 

মূলত একটি ওয়েবসাইটের সকল যাবতীয় কাজ একজন ওয়েব ডেভেলপার করে থাকেন। একটি ওয়েবসাইটের লেআউট, নেভিগেশন উপাদান, ইন্টারেক্টিভ যেমন অভ্যন্তরীণ যাবতীয় লিংক গুলো ওয়েবসাইটের সেটআপ করা,সামগ্রী, ফন্ট, স্ক্রোলবার ছবি, কালার, এই সকল যাবতীয় কাজগুলো একজন ফ্রন্ট এন্ড ডেভেলপার করে থাকেন। অপরদিকে ডাটাবেজের যাবতীয় সকল কাজ পাশাপাশি একে অপরের সাথে যোগাযোগ নিশ্চিতকরণ, সার্ভার, অ্যাপ্লিকেশন এর সকল কাজ একজন ব্যাক এন্ড ডেভলপার করে থাকেন। 
 আর মূলত উভয় কাজগুলো করার জন্য উভয় টাইপ ডেভেলপারকে অবশ্যই কোডিং সেক্টরে এক্সপার্ট হতে হবে এবং দক্ষতার সহিত কাজ করতে হবে। আবার অনেক সময় ফুলস্ট্যাক হিসেবেও অনেক ডেভেলপার কাজ করে থাকেন, ওয়েব ডেভলপার সেক্টরগুলোতে। আর এই সেক্টরে কাজ করার জন্য তাদের সার্ভার, হোস্টিং পাশাপাশি নেটওয়ার্কের উপর খুবই ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করা আবশ্যক।

ওয়েব ডিজাইন ও ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মধ্যে পার্থক্য কি কি?

ওয়েব ডিজাইন ও ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মধ্যে পার্থক্য কি কি? - ওয়েব ডিজাইনিং নাকি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোনটা ভালো?
ওয়েব ডিজাইনের মূল কাজ গুলো নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
  • মূলত একটি ওয়েবসাইট কতটা সৌন্দর্যমন্ডিত হবে পাশাপাশি সেই ওয়েবসাইটটি যে প্রতিষ্ঠানের জন্য তৈরি করা হবে, সেটি কিভাবে প্রদর্শিত হবে? ওয়েবসাইটটি কেমন দেখতে হবে? সবকিছুই ওয়েব ডিজাইন এর মাধ্যমে করা হয়।
  • ওয়েব ডিজাইনের মূল কাজ হচ্ছে ওয়েবসাইটের ব্র্যান্ডের আইডেন্টিটি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • এছাড়াও ওয়েবসাইটের গ্রাফিক্স ডিজাইন পাশাপাশি লেআউট তৈরিতেও দারুন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • এছাড়া ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীর (UI) ইন্টারফেস পাশাপাশি (UX) ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা ডিজাইন করতে দারুণ কাজ করে।
  • ওয়েবসাইটে ছবি ব্যবহার, ফন্ট কালার,মেনুবার,সাইজ, ইমেজ এবং অনুভূতি এই সকল যাবতীয় কাজগুলো করতে ওয়েব ডিজাইন দারুন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর মূল কাজগুলো নিজে উল্লেখ করা হলোঃ
  • ওয়েবসাইটের ডাটাবেজ নিয়ন্ত্রণ করা।
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর সাহায্যে ওয়েবসাইটের কাঠামো তৈরি করা হয়।
  • এছাড়াও ওয়েবসাইটের সকল যাবতীয় কাজগুলোকে ফাংশনালে রূপান্তর করতে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট দারুণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা পাশাপাশি ওয়েবসাইটের পারফরম্যান্স নিশ্চিতকরণ করার জন্য ওয়েব ডেভেলপমেন্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • ইন্টারনেটে ওয়েবসাইটকে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর মাধ্যমে হোস্ট করা যায়।
  • এছাড়াও ওয়েবসাইটে যাবতীয় সিস্টেমের কার্যকারিতা ঠিক আছে কিনা সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে, দারুন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
মূলত ওয়েব ডিজাইন এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর মধ্যে পার্থক্যগুলি নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
সাধারণত ওয়েব ডিজাইন সেক্টরে এডোবি ইলাস্ট্রেটর, ফিগমা, এডোবি ফটোশপ, এডোবি ইনডিজাইন করার জন্য ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সেক্টর এর জাভাস্ক্রিপ্ট, এইচটিএমএল, সিএসএস, বিভিন্ন ধরনের সিএসএস ফ্রেমওয়ার্ক, এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের জাভাস্ক্রিপ্ট লাইব্রেরী সম্পর্কে খুবই ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করা আবশ্যক। সাধারণত ওয়েবসাইটের যে অংশগুলো আমাদের চোখের সামনে প্রদর্শিত হয়, সেগুলো মূলত ডিজাইন করেন একজন ওয়েব ডিজাইনার। 
মূলত একটি ওয়েবসাইটের কাজের নিদর্শক ওয়েবসাইটের ইন্টারফেস। আর ওয়েব ডিজাইনের সকল যাবতীয় কাজগুলোকে বিভিন্ন কোডিং ব্যবহারের মাধ্যমে ফাংশনালে রূপান্তর করে ওয়েবসাইটটি একজন ওয়েব ডেভেলপার ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটটি ব্যবহারযোগ্য ওয়েবসাইটে পরিণত করে তোলে। আর এখানে মূলত মূল দায়িত্ব হচ্ছে সকল ব্যবহারকারীর জন্য ওয়েবসাইটটি ওপেন করা পাশাপাশি ওয়েবসাইট টিকে একটি নতুন সার্ভারে যুক্ত করা।
ওয়েব ডিজাইন এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর মধ্যে পার্থক্য গুলি নিচের টেবিল আকারে তুলে ধরা হলোঃ

ক্রমিক নং ওয়েব ডিজাইন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বৈশিষ্ট
০১ দৃশ্যমান উপাদান সমূহ কার্যকারিতা ফোকাস
০২ গ্রাফিক্স ডিজাইন সফ্টওয়্যার, ব্রাউজার প্রম্পট ইত্যাদি কোডিং ভাষা ও ডেভেলপমেন্ট টুলস ব্যবহৃত সরঞ্জাম সমূহ
০৩ সৃজনশীলতা, গ্রাফিক্স সম্পর্কে ধারনা ও ব্যবহারকারীর ইন্টারফেস ডিজাইন সম্পর্কে ধারনা প্রযুক্তিগত সমস্যা সমাধান এবং কোডিং দক্ষতা/অভিজ্ঞতা
০৪ গ্রাফিক ডিজাইনার, ওয়েব ডিজাইনার এবং ইউআই বা UX ডিজাইনার ওয়েব ডেভেলপার, ফ্রন্টএন্ড ডেভেলপার, ব্যাকএন্ড ডেভেলপার এবং ফুলস্ট্যাক ডেভেলপার পেশা/কর্মজীবন

ওয়েব ডিজাইন ও ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে মাসে কত টাকা আয় করা যায়?

বর্তমান সময়ে সকল ধরনের মার্কেটপ্লেস গুলোতে ব্যাপক হারে ওয়েব ডিজাইনারদের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেক ব্যক্তিবর্গ রয়েছেন, যারা ওয়েব ডিজাইনের কাজ করে মার্কেটপ্লেস থেকে মাসে প্রচুর টাকা ইনকাম করছেন। আপনি যদি দক্ষতার সহিত খুবই ভালোভাবে ওয়েব ডিজাইনের কাজ শিখতে পারেন, তাহলে ওয়েব ডিজাইনের কাজ করে আপনিও হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন কিংবা এরও অধিক আপনি ইনকাম করতে পারবেন। 
বর্তমান সময়ে ওয়েব ডিজাইন একটি ডিমানডেবল আইটি সেক্টর জব। সাধারণত একজন দক্ষ ওয়েব ডিজাইনারের মাসিক আয় ৮০০০০ টাকা থেকে ৯০০০০ টাকা। মূলত ওয়েব ডিজাইনের কাজ করে মাসে কত টাকা ইনকাম করবে এটা নির্দিষ্টভাবে কেউই বলতে পারবে না, সম্পূর্ণ মাসিক ইনকামটা নির্ভর করে কাজের দক্ষতার উপর, যার কাজের দক্ষতা যতো বেশি, সে ততো বেশি ওয়েব ডিজাইন এর কাজ করে মাসে ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। 

ওয়েব ডিজাইনের কাজ করে ৪ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ পর্যন্ত টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব শুধু ওয়েব ডিজাইনে এক্সপার্ট হতে হবে। মূলত ঘন্টায় ১০ ডলার থেকে শুরু করে ১০০ ডলার পর্যন্ত অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে ইনকাম করা সম্ভব। আবার কেউ কেউ এর থেকে অধিকও ইনকাম করে থাকেন। তাই জন্য আপনি ওয়েব ডিজাইনের কাজ করে মাসে কত টাকা ইনকাম করবেন সেটা নিতান্তই আপনার দক্ষতার উপর নির্ভর করবে। আপনি যতো বেশি ওয়েব ডিজাইন বিষয় দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন পাশাপাশি দক্ষতার সহিত ওয়েব ডিজাইনের যতো ভালো কাজ করতে পারবেন, আপনার ইনকাম ততো বৃদ্ধি পেতে থাকবে।

ওয়েব ডিজাইনিং নাকি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোনটা ভালো?

ওয়েব ডিজাইনিং নাকি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোনটা ভালো?
সাধারণত অনেক মানুষ আমাদের প্রশ্ন করে থাকেন, ওয়েব ডিজাইন নাকি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোনটা শিখে কাজ করলে বেশি টাকা আর্নিং করা যায়? এছাড়াও আবার অনেকেই বলে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নাকি ওয়েব ডিজাইন কোনটা শিখলে তাড়াতাড়ি বড়লোক হওয়া যায় ইত্যাদি ইত্যাদি নানন প্রশ্ন। মূলত তাদের জন্যই আজকের এই আর্টিকেলটি লেখা, কোন অংশ স্কিপ না করে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 
প্রিয় পাঠক ওয়েব ডিজাইন ও ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর মধ্যে কোনটি সবচেয়ে ভালো সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার কাজের দক্ষতার উপর। আপনি যে বিষয়ে যতো দ্রুত দক্ষতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন, সেই বিষয়ে আপনি ততো দিন দিন এক্সপার্ট হয়ে উঠবেন। সাধারণত আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন সেক্টরে কাজ করতে চান, তাহলে সেক্ষেত্রে আপনি দ্রুত কাজ শিখতে পারবেন কিন্তু আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করতে চান, 

সেক্ষেত্রে কাজ শিখতে পাশাপাশি সেখান থেকে আর্নিং করতে কিছুটা বেশি সময় লাগবে। আপনি মূলত যে সেক্টরের প্রতি বেশি আগ্রহী সেই সেক্টরটি বেছে নিয়ে দক্ষতা অর্জন করে কাজ করতে পারেন। এছাড়াও আবার অনেকেই রয়েছে যারা মনে করেন ওয়েব ডিজাইন এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। কেননা ওয়েব ডিজাইন এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সম্পূর্ণ দুটি আলাদা বিষয় কিন্তু তারপরেও দুটি বিষয় একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

সাধারণত একটি ওয়েবসাইটের দুইটি মূল অংশ রয়েছে একটি হচ্ছে ফ্রন্ট এন্ড এবং অপরটি হচ্ছে ব্যাক এন্ড। মূলত ফ্রন্ট এন্ড হচ্ছে আপনি যা দেখছেন সেটি এবং আপনি যে জিনিসটি দেখছেন সেটা কিভাবে আসছে এটি হচ্ছে ব্যাক এন্ড। সাধারণত ওয়ার্ডপ্রেস এর সাহায্যে আপনি ওয়েবসাইটে কিংবা ব্লগসাইটে যেভাবে আপনার ভিজিটর দের দেখতে পাবেন, সেটা হচ্ছে ফ্রন্ট এন্ড। আর ব্যাক এন্ড হচ্ছে ফ্রন্ট এন্ড সম্পূর্ণ বিপরীত যেমন ধরুন যে একজন ডেভলপার একটি ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করছেন, 

তখন একটি ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করার জন্য একজন ডেভলপার পেছনে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকেন, আর সেগুলোই হচ্ছে ব্যাক এন্ড। তাই আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করতে চান, তাহলে সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ফ্রন্ট এন্ড এবং ব্যাক এন্ড সম্পর্কে পুরোপুরি ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করতে চান, তাহলে সেক্ষেত্রে ৩-৬ মাসের মধ্যে পুরোপুরি ভাবে দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। 

আর আপনি যদি একজন ওয়েব ডিজাইনার হতে চান, তাহলে সেক্ষেত্রে আপনাকে HTML, CSS, JavaScript, PHP এই সকল বিষয়গুলো সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করা আবশ্যক। এছাড়াও Framework যেমন Bootstrap, Css Less Framework প্রভূতি। এছাড়া ওয়েব ডিজাইনের কাজ করার জন্য আপনাকে ফটোশপের কাজের বিষয়েও ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। কারণ ওয়েব ডিজাইনের কাজ করার জন্য অবশ্যই সাইটে বিভিন্ন ধরনের ব্যানার, 

পোস্টার, বিভিন্ন ধরনের বাটন তৈরি করার জন্য ফটোশপের কাজ যারা আবশ্যক। যখন একটি ওয়েবসাইটে নানান ধরনের কাজ করা হয় যেমন নতুন তথ্য আপডেট করা, অর্ডার করা, রেজিস্ট্রেশন করা ইত্যাদি মূলত এই কাজগুলো করার জন্য বিভিন্ন ধরনের সার্ভার, সাইট স্কিপিং, ল্যাংগুয়েজ গুলো ব্যবহার করা হয়। তাই আপনি যদি একজন দক্ষ ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে চান, তাহলে সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে নির্দিষ্ট ধাপে ল্যাংগুয়েজ গুলোতে দক্ষতা অর্জন করা আবশ্যক।
মূলত ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মূল কাজই হচ্ছে ওয়েবসাইটের জন্য অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা। আর এটা আপনাকে বিভিন্ন ধরনের কোডিং এর মাধ্যমে করতে হবে। আর আপনি যদি একজন দক্ষ ওয়েব ডেভেলপার হতে চান, তাহলে সেক্ষেত্রে কাজের প্রতি ধৈর্য, মনোযোগী ও পরিশ্রমী থাকা আবশ্যক। কারণ একজন দক্ষ ওয়েব ডেভেলপার হতে অনেক সময়ের প্রয়োজন। আপনি যদি একজন ওয়েব ডেভেলপার হতে চান, 

সেক্ষেত্রে আপনাকে জানতে হবে (x)HTML, jQuery, CSS, JavaScript, MySQL, PHP, Java, CMS এর সকল বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করতে হবে পাশাপাশি Server related যেমন AJAX, ASP, .NET এগুলো বিষয়েও ভালোভাবে ধারণা রাখতে হবে। আপনি যদি একজন দক্ষ ওয়েব ডেভেলপার হতে চান, তাহলে সেক্ষেত্রে ৬ থেকে ১ বছরের ভিতরে আপনি একজন দক্ষ ওয়েবডেভেলপার হতে পারবেন।

লেখকের ইতি কথাঃ ওয়েব ডিজাইন ও ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মধ্যে পার্থক্য কি কি? - ওয়েব ডিজাইনিং নাকি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোনটা ভালো?

সম্মানিত পাঠক, আশা করি উপরোক্ত আলোচনা গুলো থেকে ওয়েব ডিজাইন ও ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মধ্যে পার্থক্য কি কি? - ওয়েব ডিজাইনিং নাকি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোনটা ভালো? এ বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। সারাবিশ্বে বর্তমান সময়ে মানুষ ওয়েব ডিজাইন অথবা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর মধ্যকার পার্থক্য গুলো ও এ দুটোর মধ্যে কোন কাজটা সহজ সেগুলো ভালোভাবে জেনে নিয়ে নিজের পছন্দমত নিজ ঘরে বসে থেকেই একটু বুদ্ধি খাটিয়ে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে। ওয়েব ডিজাইন অথবা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে খুব স্বল্প পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। 

তবে এ বিষয়ে আপনাকে স্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে। তাই ওয়েব ডিজাইন ও ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মধ্যে পার্থক্য কি কি? - ওয়েব ডিজাইনিং নাকি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোনটা ভালো? এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ে উল্লেখিত বিষয়গুলো জেনে নিলে আপনি খুব সহজেই ওয়েব ডিজাইন অথবা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে দ্রুত সময়ে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন অথবা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে আপনার অবস্থানকে পরিবর্তন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে উক্ত আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে তাহলে আপনি খুব দ্রুতই সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন।

সম্মানিত পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থেকে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগের সাথে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে এ ধরনের তথ্যবহুল কার্যকরী ও উপকারী আর্টিকেল নিয়মিত পোস্ট করে থাকি। তাই আপনি যদি এ ধরনের আরও তথ্যবহুল ও উপকারী সব আর্টিকেল পড়তে চান, তাহলে অবশ্যই এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ফলো করুন। সাথে সাথে এ আর্টিকেলটি পরে ভালো লাগলে আপনার নিকট আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজনদের কাছে তাদের উপকারার্থে শেয়ার করে দিন। 

যেন তারা ওয়েব ডিজাইন ও ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মধ্যে পার্থক্য কি কি? - ওয়েব ডিজাইনিং নাকি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোনটা ভালো? এ বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি ভালোভাবে জেনে নিতে পারে। ওয়েব ডিজাইন ও ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মধ্যে পার্থক্য কি কি? - ওয়েব ডিজাইনিং নাকি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোনটা ভালো? এ বিষয় সম্পর্কে আপনার যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ মতামত বা প্রশ্ন থাকে, তাহলে অবশ্যই নিচে দেওয়া মতামত বক্সে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আবার আপনাদের সাথে কথা হবে নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত নিরাপদ ও সুস্থ থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কনফিডেন্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url