ইউটিউব মার্কেটিং কি? - কিভাবে ইউটিউব মার্কেটিং করব এবং সফল হব?

আপনি কি ইউটিউব মার্কেটিং শিখে কিভাবে কাজ করতে হয় তা জেনে মোবাইল, কম্পিউটার বা ল্যাপটপ দিয়ে ইউটিউব মার্কেটিং করে নিজের ঘরে বসে থেকে স্বল্প পরিশ্রমের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে চান? তাহলে আপনার চিন্তার কোন কারণ নেই। কারণ আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটির মূল আলোচনায় হচ্ছে ইউটিউব মার্কেটিং কি? - কিভাবে ইউটিউব মার্কেটিং করব এবং সফল হব? সেই সম্পর্কে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যবহুল ও প্রয়োজনীয় আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক!
ইউটিউব মার্কেটিং কি? - কিভাবে ইউটিউব মার্কেটিং করব এবং সফল হব?
আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটির মাধ্যমে ইউটিউব মার্কেটিং কি? - কিভাবে ইউটিউব মার্কেটিং করব এবং সফল হব? এ বিষয় সম্পর্কে এমন কিছু ইউনিক ও কার্যকরী তথ্য সম্পর্কে জানাবো, যেগুলিকে কাজে লাগিয়ে আপনি খুব সহজেই মোবাইল, কম্পিউটার বা ল্যাপটপ দিয়ে ইউটিউব মার্কেটিং করে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি কি আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো জানতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্যই। ইউটিউব মার্কেটিং কি? - কিভাবে ইউটিউব মার্কেটিং করব এবং সফল হব? এই আর্টিকেলটির সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আশা করি আলোচ্য বিষয়ে বিস্তারিতভাবে নির্ভুল সব তথ্য গুলো জানতে পারবেন। ইনশাআল্লাহ!
পেজ সূচিপত্রঃ
.

ভুমিকা

সারাবিশ্বে বর্তমান সময়ে মানুষ অনলাইন মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে ইউটিউব মার্কেটিং করে নিজ ঘরে বসে থেকেই একটু বুদ্ধি খাটিয়ে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে। ইউটিউব মার্কেটিং হলো বর্তমান সময়ে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করার সব থেকে জনপ্রিয় ও সহজ মাধ্যম। তাই সারাবিশ্বে বর্তমান সময়ে মানুষ ইউটিউব মার্কেটিং শিখে অনেক মানুষই এটিকে তাদের পেশা হিসেবে গ্রহন করে আয়ের অন্যতম উৎস বানিয়ে নিয়েছে। 
তাই আপনিও যদি অন্যের গোলামী না করেই নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী মুক্ত পেশাজীবী হিসাবে ইউটিউব মার্কেটিং শিখে ঘরে বসে থেকেই লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করে নিজেকে স্বাবলম্বী করতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে ইউটিউব মার্কেটিং কি? - কিভাবে ইউটিউব মার্কেটিং করব এবং সফল হব? এ বিষয়ে পুরোপুরি ধারণা রাখতে হবে। তাই আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন ইউটিউব মার্কেটিং কি? - কিভাবে ইউটিউব মার্কেটিং করব এবং সফল হব? এ বিষয় সম্পর্কে। 

এছাড়াও ইউটিউব মার্কেটিং কি? ইউটিউব মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি? ইউটিউব মার্কেটিং করার সব কার্যকরী উপায়, কিভাবে ইউটিউব মার্কেটিং করব এবং সফল হব? ইউটিউব মার্কেটিং কোর্স, ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়? এ বিষয়গুলো সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই আপনি যদি ইউটিউব মার্কেটিং কি? - কিভাবে ইউটিউব মার্কেটিং করব এবং সফল হব? সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই কার্যকরী।

ইউটিউব মার্কেটিং কি?

বর্তমান সময়ে এই ডিজিটাল যুগে ইউটিউব মার্কেটিং দারুন কার্যকরী এবং জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। সারাবিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সার্চ ইঞ্জিন হচ্ছে ইউটিউব। এই ইউটিউবের মাধ্যমে যেকোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস ইউটিউব এর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি গ্রাহকদের কাছে খুব সহজেই পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। মূলত বর্তমান সময়ে খুবই জনপ্রিয় একটি ভিডিও শেয়ারিং পাশাপাশি ইউজার ফ্রেন্ডলি সাইট হচ্ছে ইউটিউব। 

সাধারণত ইউটিউব চ্যানেলে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও আপলোড এর মাধ্যমে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এর প্রচার-প্রচারণা করাকেই ইউটিউব মার্কেটিং বলা হয়। আপনি যদি ইউটিউব মার্কেটিং করে সফল হতে চান, তাহলে সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সঠিক পরিকল্পনা ও আকর্ষণীয় কন্টেন্ট এবং নিয়মিত আপডেট করতে হবে। এছাড়াও আপনার ইউটিউব চ্যানেলের কনটেন্ট গুলো যেন মানসম্মত পাশাপাশি গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী হয়, 

সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে এবং গ্রাহকদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। সঠিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে পাশাপাশি ইউটিউব এর ভিডিও গুলোতে এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) এর কাজগুলো খুবই ভালোভাবে দক্ষতার সহিত করতে হবে। কেননা সফল ইউটিউব মার্কেটিং এর জন্য এই কাজগুলো অপরিহার্য। তাহলেইতো আপনি একজন সফল ইউটিউব মার্কেটার হতে পারবেন। সাধারণত ইউটিউব মার্কেটিং দুই ধরনের হতে পারে। 

নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট ও সার্ভিস সম্পর্কে ভিডিও বানিয়ে সেগুলোকে ইউটিউবে আপলোড এর মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা করা অথবা টাকার বিনিময়ে অন্য কোন ব্যক্তির দ্বারা প্রচার-প্রচারণা চালানো। এছাড়াও আপনি যদি চান, তাহলে সরাসরি ইউটিউব এর টাকা প্রদানের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ইউটিউব মার্কেটিং করতে পারেন। সাধারণত অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে যে মার্কেটিং গুলো করা হয় সেগুলোকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়। 
আর ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা হচ্ছে ইউটিউব মার্কেটিং। বর্তমান সময়ে মানুষ মার্কেটিং করার জন্য ফেসবুকের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে ইউটিউবে। বর্তমান সময়ে এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে ইন্টারনেট চালায় অথচ ইউটিউব চ্যানেল নাই, এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে বেশ কঠিন। বর্তমানে শিক্ষা থেকে শুরু করে সংবাদ মাধ্যম, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলাধুলা, সাজসজ্জা, রান্না, ভ্রমণ, প্রযুক্তি, প্রায় সকল ধরনের ভিডিও ইউটিউবে রয়েছে। 

আর প্রতিনিয়ত দিন যতো যাচ্ছে শিক্ষা ও বিনোদনের একটি অনন্য মাধ্যম হচ্ছে ইউটিউব। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্রান্ডের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস গ্রাহকদের মাঝে খুব সহজেই ইউটিউব মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা করা যায়। সাধারণত ইউটিউবে ব্যবসা সম্পর্কিত প্রোডাক্ট বা সার্ভিস ভিডিও কনটেন্ট এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত করা হয়। আর ঘরে বসে খুব সহজেই গ্রাহকরা প্রোডাক্ট বা সার্ভিস গ্রহণ করতে পারেন। 

আর এর জন্য প্রয়োজন প্রথমে আপনাদের একটি ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েট করতে হবে। তারপর সেখানে গ্রাহকদের পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ভিডিও কনটেন্ট বানিয়ে আপলোড করতে হবে। আর ইউটিউবে সেই ভিডিওগুলোতে এসইও (সার্চ চেঞ্জিং অপটিমাইজেশন) এর কাজ করতে হবে পাশাপাশি আপনাদের ইউটিউব চ্যানেল মার্কেটিং বৃদ্ধির জন্য সাবস্ক্রাইবার বাড়াতে হবে এবং ইউটিউব এর বিভিন্ন ধরনের পলিসি এবং এলগরিদম সম্পর্কে ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করে সেগুলো প্রয়োগ করতে হবে।

একটি রিসার্চে প্রমাণিত হয়েছে যে, আমেরিকাবাসী তাদের বেশিরভাগ সময় ইউটিউব প্লাটফর্মে কাটাই, ১৫ বছরের মধ্যে গড়ে প্রায় ৭৫%। আর বর্তমান সময়ে দুই মিলিয়নেরও বেশি ইউটিউবে একটিভ ইউজার বিদ্যমান রয়েছে। তাই যারা ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করতে চাচ্ছেন, তারা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর একটি অংশবিশেষ হিসেবে ইউটিউব কে প্রফেশনাল লাইফ হিসেবে বেছে নিতে পারেন।

ইউটিউব মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি?

অনেক ব্যক্তিবর্গ রয়েছেন যারা ইউটিউব মার্কেটিং কি? ইউটিউব মার্কেটিং কত প্রকার এই সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে চাই। কেউ যদি ইউটিউব মার্কেটিং করতে চাই, তাহলে তাকে অবশ্যই ইউটিউব মার্কেটিং কত প্রকার বা কি কি উপায়ে ইউটিউব মার্কেটিং করা যায় সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। সাধারণত ইউটিউব মার্কেটিং কয়েকটি প্রক্রিয়ায় করা হয় নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
  • ভিডিও অ্যাডস
  • প্রোডাক্ট রিভিউ
  • ব্র্যান্ড চ্যানেল
  • স্পন্সার্ড কনটেন্ট
  • ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং
সাধারণত নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও বানিয়ে সেগুলো ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করে প্রচার-প্রচারণা করতে পারবেন। এছাড়াও আপনার কোন নিজস্ব প্রোডাক্ট বা সার্ভিস না থাকলেও বরং টাকার বিনিময়ে অন্য কারো প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের রিভিউ করে আপনি সেগুলো আপনার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করে প্রচার-প্রচারণা করতে পারবেন। 

দ্বিতীয় পদ্ধতিটিকে মূলত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর অংশ হিসেবে বিবেচিত করা হয়। আপনি যদি একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হয়ে থাকেন, তাহলে সেক্ষেত্রে যেকোনো প্রতিষ্ঠান থেকে অ্যাফিলিয়েট বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করার পর,অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম থেকে প্রাপ্ত লিংক আপনি যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওর ডেসক্রিপশনে যুক্ত করে দেন,তাহলে সেখান থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে কমিশন পাবেন। 
প্রিয় পাঠক,তাহলে এখান থেকে অবশ্যই বুঝতে পারছেন, আপনি যেমন আপনার নিজস্ব প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে ইউটিউবে মার্কেটিং করতে পারবেন। ঠিক তেমনি আপনার নিজস্ব কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস না থাকলেও অ্যাফিলিয়েট এর মাধ্যমে ইউটিউব মার্কেটিং করতে সক্ষম হবেন। আর এটি করে খুব সহজে আপনি এখান থেকে একটি হ্যান্ডসাম অ্যামাউন্ট আর্নিং করতে পারবেন। আর এখানেও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে সেটি হলো, 

আপনি যদি ইউটিউব মার্কেটিং এ সফলতা অর্জন করতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) সম্পর্কে পুরোপুরিভাবে দক্ষতা অর্জন করে প্রয়োগ করতে হবে। কেননা একটি সফল ইউটিউব মার্কেটিং এর জন্য এসইও (SEO) অপরিহার্য। এছাড়া আর একটি ইউটিউব মার্কেটিং প্রক্রিয়া হচ্ছে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং। বর্তমান সময়ে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং দারুন কার্যকরী এবং বেশ জনপ্রিয়। 

মূলত যারা জনপ্রিয় ইউটিউবার রয়েছে তাদের টাকা প্রদান করলে, তারা বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট সম্পর্কে ভিডিওর মাধ্যমে রিভিউ দেয়। আর এই ভিডিওগুলো ইউটিউবে আপলোডের মাধ্যমে ভিডিওগুলো থেকে মানুষ প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানবে। এটি মূলত হচ্ছে একটি প্রচার-প্রচারণার প্রক্রিয়া। ফলে এখান থেকে প্রোডাক্ট সম্পর্কে মানুষ বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবে পাশাপাশি প্রোডাক্ট গুলো ক্রয় করবে।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া হচ্ছে ভিডিও অ্যাড। সাধারণত ইউটিউব হচ্ছে ভিডিও শেয়ারিং পাশাপাশি ইউজার ফ্রেন্ডলি একটি প্ল্যাটফর্ম। আর ভিডিও অ্যাডস এর জন্য এই প্রক্রিয়াটি দারুন কার্যকরী এবং জনপ্রিয় বটে। এই প্রক্রিয়াটিতে মূলত ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে পরিচালনা করতে হয়। আর এর বিনিময়ে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে পেমেন্ট করবে। আরো একটি জনপ্রিয় ইউটিউব মার্কেটিং হচ্ছে ব্র্যান্ড চ্যানেল। 

এই পদ্ধতির একটি দারুণ সুবিধা হচ্ছে এটি ফ্রিতে করা যায়। আর এটি করার জন্য প্রথমে প্রয়োজন হবে নিজের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এর নাম দিয়ে একটি ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েট করতে হবে। যেখানে শুধুমাত্র প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে ভিডিও ক্রিয়েট করে সেগুলো আপলোড করতে হবে। আর এই ভিডিওর মাধ্যমে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ মানুষ আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানতে পারবে।

ইউটিউব মার্কেটিং করার সব কার্যকরী উপায়

সাধারণত ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যান্য সেক্টরগুলো করার জন্য যেমন বিভিন্ন ধরনের উপায় অবলম্বন করতে হয়, ঠিক তেমনি ইউটিউব মার্কেটিং করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপায় রয়েছে। অর্থাৎ আপনি কিছু বিষয় যদি মাথায় রেখে সঠিক গাইডলাইন ফলো করে কাজ করতে পারেন, তাহলে খুব সহজেই ইউটিউব মার্কেটিং করে সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন। অনেক ব্যক্তিবর্গই রয়েছেন, যারা ইউটিউব মার্কেটিং এর বিষয়াদি সম্পাদন করে থাকেন ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে। 
ইউটিউব মার্কেটিং হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া ইউটিউব সেক্টরে আপনি যদি অর্গানিক উপায় গুলো অবলম্বন করে বিক্রয় করতে পারেন, তাহলে সেক্ষেত্রে ট্রাফিক জেনারেট খুবই দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকবে। ফলে পরবর্তী সময়ে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ আপনার কাজের প্রতি আরো বেশি ইম্প্রেশন তৈরি করতে থাকবে। তাই জন্য একজন ইউটিউবারের উচিত সবসময় অর্গানিক উপায়ের মেথড গুলো অবলম্বন করে কাজ করা। 

আর আমরা একজন ইউটিউব মার্কেটারকে সবসময় অর্গানিক মেথড ফলো করে কাজ করার সাজেশন দেয়। তাহলে চলুন নিচে জেনে নেওয়া যাক কোন কোন উপায় গুলো একজন ইউটিউব মার্কেটার অবলম্বন করে ইউটিউব মার্কেটিং করতে পারবেন সেই উপায়গুলো নিচে পর্যায়ক্রমে তুলে ধরা হলো।

ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েট করা

ইউটিউব মার্কেটিং করে সফল হতে হলে প্রথমেই আপনাকে একটি youtube চ্যানেল ক্রিয়েট করতে হবে। ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েট করতে গেলে আপনার একটি gmail অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। প্রাথমিকভাবে ইউটিউবে একটি অ্যাকাউন্ট বা চ্যানেল ক্রিয়েট করতে গেলে আপনার জিমেইল এড্রেস দিয়ে ইউটিউবে সাইন আপ করলেই একটি ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েট হয়ে যাবে। 

তবে আপনি চাইলে আপনি আপনার youtube চ্যানেলটি যে বিষয়ের ভিডিও প্রচার করার জন্য বা যে ধরনের ভিডিও গুলো পাবলিস্ড করার জন্য ক্রিয়েট করেছেন সে অনুযায়ী আপনার জিমেইল এড্রেস টি তৈরি করে নিতে পারেন। তবে একটি বিষয় মনে রাখবেন, আপনার জিমেইল এড্রেস দিয়ে প্রাথমিকভাবে ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েট করা হয়ে গেলেও চ্যানেল সেটআপ করার বিষয়গুলো কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ইউটিউব চ্যানেল সেটাপ করা

ইউটিউব চ্যানেল সেটআপ করার ক্ষেত্রে প্রথমেই আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ব্যবহৃত জিমেইল এড্রেসটি দিয়ে লগইন করলেই আপনি ইউটিউবে ব্র্যান্ড অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি যদি ইউটিউবে একটি সাধারণ বা প্রাথমিক ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েট করে রাখেন সে ক্ষেত্রে পরবর্তীতে আপনি ইউটিউব চ্যানেলের নাম, ব্রান্ড ও অন্যান্য আনুষাঙ্গিক বিষয়গুলো চাইলেও এডিট করতে পারবেন না। 

তবে আপনি যদি ইউটিউবে একটি ব্র্যান্ড একাউন্ট ক্রিয়েট করেন তাহলে পরবর্তী সময়ে আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী চ্যানেলের ইউজার নেম, ব্র্যান্ড নেম ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো যে কোন মুহূর্তে আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী এডিট করে নিতে পারবেন। ইউটিউব চ্যানেল সেটআপ করার জন্য প্রথমে আপনাকে জিমেইল এড্রেসটি দিয়ে লগইন করে নিতে হবে। এরপর “My Channel” অপশনে ক্লিক করতে হবে। 
এরপর আপনার পছন্দ অনুযায়ী একটি সুন্দর নাম দিয়ে “Create Channel” অপশনে ক্লিক করতে হবে। ক্লিক করার পরেই সেখানে আপনি ইউটিউব ব্র্যান্ড অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করার জন্য অনুমতি পেয়ে যাবেন। তারপর আপনার পছন্দ অনুযায়ী একটা সুন্দর ব্র্যান্ড নেম বসিয়ে দিলেই ব্র্যান্ড অ্যাকাউন্ট তৈরি করার কাজটি সফলভাবে সম্পন্ন হবে। এরপর আপনি চাইলে আপনার ব্যবসার ধরন অনুযায়ী আপনার ব্র্যান্ড একাউন্ট কে সাজিয়ে নিতে পারেন। 

এক্ষেত্রে চ্যানেল আর্ট ও চ্যানেল আইকন এর মাধ্যমে আপনার ব্র্যান্ড সম্পর্কে সবাইকে সুস্পষ্ট ধারণাও দিতে পারবেন। এতে করে অন্যান্য ইউটিউব ইউজাররা খুব সহজেই আপনার চ্যানেল ও ব্র্যান্ডকে চিনতে পারবে এবং ভালোভাবে মনে রাখতে পারবে।

ইউটিউব মার্কেটিং এবং ভিডিও তৈরি করা

ইউটিউব মার্কেটিং করে দ্রুত সফল হওয়ার জন্য মূল হাতিয়ারই হচ্ছে প্রফেশনাল ও কোয়ালিটি সম্পন্ন ভিডিও তৈরি করা। এইজন্য আপনার ব্যবসার ধরনের দিকে লক্ষ্য রেখে কোয়ালিটি সম্পন্ন ভিডিও তৈরি করবেন। তবে খেয়াল রাখবেন, যেন ভিডিও তৈরি করার সময় এর উপস্থাপনা ও ভিডিওর আনুষাঙ্গিক বিষয়গুলো পরিপূর্ণ ও স্পষ্টভাবে বোঝা যায়। আপনি যে বিষয় নিয়ে ভিডিও তৈরি করতে যাচ্ছেন সে বিষয়ের উপর একটি পরিকল্পনা মাফিক স্ক্রিপ্ট তৈরি করে নিবেন এবং সে অনুযায়ী ভিডিও তৈরি করবেন। 

আপনার ভিডিও গুলোর মধ্যে এমন কিছু টুইস্ট বা আকর্ষণীয় কিছু রাখবেন যাতে করে দর্শকরা ভিডিওর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখতে আগ্রহ প্রকাশ করে। আর যখন দর্শকরা আপনার ভিডিও গুলো বেশি দেখবে তখনই আপনি ইউটিউব মার্কেটিং করে সফলতা অর্জন করতে পারবেন। আর youtube মার্কেটিং করে সফল হতে হলে আপনার ভিডিওগুলোর ইম্প্রেশন অনেক বেশি থাকা লাগবে। 

এক্ষেত্রে আপনি যদি আপনার ভিডিওগুলো আকর্ষণীয় করে তৈরি করতে পারেন তবেই আপনার ইমপ্রেসন বেশি আসবে এবং আপনার তৈরি কৃত ভিডিও গুলো অটোমেটিক্যালি সবার হোমপেজে পৌঁছে যাবে। তখন সবাই আপনার ভিডিওগুলো দেখে ভিডিওর বিষয়বস্তু ও যাবতীয় পণ্যের যেগুলোর আপনি অ্যাড বা মার্কেটিং করছেন সেগুলোর গুণগত মান সম্পর্কে অবগত হবে। ভিডিও তৈরি ক্ষেত্রে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি মনে রাখবেন, সেটি হল আপনার ভিডিও গুলো যেন খুব অল্প সময়ের হয়।
তবে এই অল্প সময়ের ভিডিওর মধ্যেই আপনার ব্যবসার বিভিন্ন সার্ভিস ও বিষয়াদি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা তুলে ধরবেন। এতে করে আপনার অডিয়েন্স রা আপনার ভিডিও গুলো দেখতে অস্বস্তি ফিল করবেন না। কারণ লং ভিডিও দেখতে গেলে অনেক ইউজাররাই বিরক্ত হয়ে পড়ে। এইজন্য আপনার মার্কেটিং বা ব্যবসা সম্পর্কিত ভিডিওটি তৈরি করার সময় ভিডিওটি ছোট হলেও যেন সেটি টুরিস্ট বা আকর্ষণীয় হয়ে থাকে। তবেই আপনি খুব দ্রুত ইউটিউব মার্কেটিং করে সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

ইউটিউব ভিডিও এসিও (SEO) করা

ইউটিউব মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো ইউটিউব ভিডিও এসইও। কারণ ভিডিও গুলোর এসইও এর উপর নির্ভর করেই ভিউ কম বা বেশি আসবে। তখন সে অনুযায়ী আপনার সেল বেশিও হতে পারে আবার কমে যেতেও পারে। কারণ আপনার ভিডিওগুলো এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করা ছাড়া আপলোড করলে ইমপ্রেসন অনেক কম আসবে। আপনার ভিডিওগুলোর এসইও ঠিকঠাক মতো করা থাকলে সেগুলো খুব সহজেই সকলের হোম পেজে পৌঁছে যাবে। 

তখন আপনার ভিডিওগুলো থেকে অনেক ইম্প্রেশন আসবে। আপনার তৈরিকৃত ভিডিও গুলো ইউটিউবে সবার প্রথম দিকে নিয়ে আসার জন্য এবং আপনার ভিডিওগুলো আপলোড করার পর সেগুলো থেকে বেশি বেশি ইম্প্রেশন পাওয়ার জন্য এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ভালোভাবে করা অত্যন্ত জরুরি। ঠিকঠাক মতো এসইও করলেই যখন যখন google এ অথবা ইউটিউব ইউজাররা সার্চ করবে তখন আপনার পাবলিস্ড করা ভিডিও গুলো সবার প্রথমে শো করবে। 

এইজন্য আপনার প্রোডাক্ট বেশি বেশি সেন্ড করার জন্য ও আপনার ব্যবসাকে দ্রুত সফল করার জন্য আপনার মার্কেটিং ভিডিওগুলোকে ঠিকঠাকমতো এসইও করতে হবে তবেই ইউজাররা সার্চ করা মাত্রই আপনার ভিডিওগুলো প্রথমেই শো করবে। এইজন্য আপনার কনটেন্ট গুলোকে কোয়ালিটি সম্পন্ন করে তৈরি করতে হবে এবং ঠিকঠাক ভাবে এসইও করতে হবে।

ভিডিও তৈরি এবং প্রমোট করা

Youtube মার্কেটিং করার জন্য যেমন আপনার ভিডিওগুলো কে কোয়ালিটি সম্পন্ন করে তৈরি করতে হবে ঠিক তেমনি ভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করে এগুলোকে ঠিকঠাক ভাবে প্রমটও করতে হবে। আপনি যদি ইউটিউব মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার ব্যবসায়িক পণ্য, সার্ভিস ও ব্যবসা সম্পর্কিত আনুষাঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা গুলো মানুষকে জানাতে চান। তাহলে প্রথমত ভিডিও কোয়ালিটি সম্পন্ন করে তৈরি করতে হবে। 

এরপর ঠিকমতো এসিও করে আপলোড করতে হবে। সাথে সাথে ঠিকঠাক ভাবে প্রমোটও করতে হবে। এই খুঁটিনাটি বিষয়গুলোর প্রতি ভালোভাবে নজর দিলেই আপনি খুব সহজেই ইউটিউব মার্কেটিং করে সফলতা অর্জন করতে পারবেন। সুতরাং আপনি যেহেতু youtube মার্কেটিং ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েট করেছেন সেজন্য অনলাইন কেন্দ্রিক যে প্ল্যাটফর্ম গুলো রয়েছে সেগুলোতে আপনার ভিডিওগুলোকে প্রমোট করে নিন। 
অর্থাৎ facebook, instagram, blog, twitter, website ইন্টারনেট ভিত্তিক online প্ল্যাটফর্ম গুলোতে আপনার ভিডিওগুলোকে খুব সহজে প্রমোট করতে পারেন। এই অনলাইন প্লাটফর্ম গুলোতে আপনার ভিডিওগুলো শেয়ার করার মাধ্যমে প্রমোট করে নিলে আপনার চাহিদা অনুযায়ী যথেষ্ট পরিমাণ অডিয়েন্স বা ধর্ষক পেয়ে যাবেন। 

উপরে উল্লেখিত এই বিষয়গুলো খেয়াল রেখে ইউটিউব মার্কেটিং করলে আপনি খুব দ্রুতই সফল হবেন। প্রিয় পাঠক, আপনি যদি একজন ইউটিউব মার্কেটার হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি ইউটিউব মার্কেটিং করার জন্য ভিডিও তৈরি করার পাশাপাশি ইউটিউবে আপনার তৈরি করা ভিডিও গুলো প্রমোট করতে হবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে।

কিভাবে ইউটিউব মার্কেটিং করব এবং সফল হব?

ইউটিউব মার্কেটিং কি? - কিভাবে ইউটিউব মার্কেটিং করব এবং সফল হব?
বর্তমান সময়ে ইউটিউব চ্যানেল বেকার সমাজের কাছে দারুন জনপ্রিয় একটি ব্যবসায়িক মাধ্যম হিসেবে দাঁড়িয়েছে। প্রচুর মানুষ ইউটিউব চ্যানেল খুলে ইউটিউব থেকে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে সক্ষম হচ্ছেন। তাই জন্যই তো এই প্রজন্মের তরুণ-তরুণীরা ইউটিউব মার্কেটিং এ বেশ আগ্রহ প্রকাশ করছেন। আবার অনেকে রয়েছেন যারা সঠিক গাইডলাইনের অভাবে সফল ইউটিউব মার্কেটার হতে পারেন না। 

প্রিয় পাঠক, আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেখান থেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কোন অংশ স্কিপ না করে সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ুন। বর্তমান সময়ে ইউটিউব হচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় সার্চ ইঞ্জিন। আপনি যদি ইউটিউব মার্কেটিং বিষয়ে পুরোপুরি ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করে, সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে এখান থেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। 

আর ভালোভাবে ইউটিউব মার্কেটিং করার জন্য এসইও (SEO) (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই জন্য এসইও বিষয়েও আপনাকে পুরোপুরি ভাবে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। বর্তমান সময়ে ইউটিউব হচ্ছে দারুন জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম যেখানে ব্যাক্তি তাদের নিজস্ব প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এর ভিডিও তৈরি করে সেগুলো ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করে প্রোডাক্ট ও সার্ভিসের প্রচার-প্রচারণা করে, ঘরে বসেই অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে মাসে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সর্বপ্রথম সফল ইউটিউবার হতে আপনার যা যা প্রয়োজন হবে সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
  • ধৈর্য।
  • একাগ্রতা।
  • কাজের প্রতি পূর্ণ মনোযোগী হতে হবে।
  • সফল হব এমন প্রবল ইচ্ছা থাকতে হবে।
  • নিজের কাজের প্রতি আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে।
উপরোক্ত গুণাবলী গুলো যদি আপনি আপনার মধ্যে লালন করতে পারেন, তাহলে অবশ্যই আপনিও একদিন সফল ইউটিউবার হতে সক্ষম হবেন। এছাড়াও আপনি যদি একজন সফল ইউটিউবার হতে চান, তাহলে আপনাকে খুবই মনোযোগী হয়ে কাজ করতে হবে। কেননা আপনি যে কোন কাজের সফলতা অর্জন করুন না কেন? আপনার কাজের প্রতি আগ্রহ ধৈর্য এবং সফল হওয়ার প্রবাল ইচ্ছা অবশ্যই থাকতে হবে, তাহলে আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন। 
অনেকের আবার এই গুণগুলো থাকে না যার কারণে কিছুদিন আবেগের বশবর্তী হয়ে ইউটিউবে কাজ শুরু করেন, কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে শুরু করার কিছুদিন পরেই ছেড়ে দেয়। তাই হাল ছাড়লে চলবে না, বিশ্বাস এর সহিত ধৈর্য, আগ্রহ পাশাপাশি প্রবল ইচ্ছা নিয়ে কাজ করে যেতে হবে, দেখবেন আপনার সফলতা অবশ্যই আসবে আমার বিশ্বাস। সফল ইউটিউবার হওয়ার জন্য কিছু করনীয়ঃ
  • জনপ্রিয় এবং প্রয়োজনীয় বিষয়ের উপর ভিত্তি করে ভিডিও তৈরি করতে হবেঃ আপনি যদি সফল ইউটিউবার হতে চান, তাহলে প্রথমে আপনাকে আমার সাজেশন হবে, জনপ্রিয় বিষয়ের উপর ভিডিও ক্রিয়েট করবেন। এছাড়াও আপনার পছন্দ অনুযায়ী কোন প্রকার ভিডিও না তৈরি করে অডিয়েন্সদের পছন্দ অনুযায়ী ভিডিও তৈরি করুন। কেননা আপনি যদি আপনার পছন্দ অনুযায়ী ভিডিও তৈরি করেন,তাহলে সেগুলো অডিয়েন্সদের পছন্দমত নাও হতে পারে এটাই স্বাভাবিক বিষয়। এখন আপনি আপনার পছন্দমত ভিডিও তৈরি করলেন, সেগুলো দর্শক পছন্দ করলো না। সেক্ষেত্রে আপনার ভিডিওর ভিউ কম হবে, আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার কম হবে, তখন আপনার ইউটিউব চ্যানেল থেকে সেরকম অর্থ উপার্জন হবে না। তাই জন্য চেষ্টা করবেন অডিয়েন্সদের পছন্দ অনুযায়ী ভিডিও বানানোর তাহলে আপনার ভিডিওতে ভিউয়ার্স বৃদ্ধি পাবে, সাবস্ক্রাইবার বৃদ্ধি পাবে। আর যখন আপনি ভিডিওগুলো বানাবেন তার আগে সুন্দর সুন্দর টপিক গুলো খুঁজবেন যেগুলো মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয় এবং পছন্দনীয়।
  • ইন্টারেস্টিং এবং তথ্যবহুল ভিডিও তৈরি করাঃ ভিডিও তৈরি করার সময় একটি বিষয় লক্ষ্য রাখবেন, যে ভিডিও গুলো মানুষ বেশি পছন্দ করে,সেগুলো মাথায় রেখে ভিডিও তৈরি করুন। ধরুন যে আপনি একটা টপিক নিয়ে ভিডিও তৈরি করবেন, সেক্ষেত্রে সেই টপিকের বিস্তারিত তথ্য ভিডিওতে উল্লেখ করবেন। আর তার জন্য ভিডিও বানানোর আগে সেই সম্পর্কে আপনি ভালোভাবে জেনে শুনে তারপর ভিডিও তৈরি করবেন। যে ব্যক্তি আপনার ভিডিও দেখবে, সে যেন যে সম্পর্কে জানতে চাই সেই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আপনার ভিডিও থেকে জানতে পারে। তাহলে দেখবেন খুবই অল্প সময়ের মধ্যে আপনার ইউটিউব চ্যানেল দারুন জনপ্রিয় হয়ে উঠুবে। একটা বিষয় কি জানেন আপনি যতো তথ্যবহুল করে আপনার ভিডিও তৈরি করবেন, মানুষ ততো আপনার ভিডিও পছন্দ করবেন। নাহলে ইউটিউবে কিংবা সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে দেখতে পারেন যে ভিডিওগুলো প্রথমে প্রদর্শিত হয়, মূলত সেই ভিডিওগুলো তথ্যবহুল হয় বিস্তারিত সবকিছু দেওয়া থাকে, তাই জন্য তথ্যবহুল ভিডিও তৈরি করার চেষ্টা করুন।
  • কোয়ালিটি ফুল এবং ক্রিয়েটিভ ভিডিও তৈরি করুনঃ ধরুন যে আপনি একটি বিষয় সম্পর্কে জানতে চান, সেই বিষয়ে গুগলে সার্চ করলেই দেখবেন একসাথে অনেকগুলো ভিডিও চলে এসেছে একই টপিকের উপর। বর্তমান সময়ে এখন একই টপিকের উপর হাজার হাজার ভিডিও প্রতিদিন অনেকেই আপলোড করে থাকেন। তাই জন্য এখন আগের চেয়ে প্রতিযোগিতা অনেক গুণ বেড়ে গেছে। এখন বর্তমান সময়ে এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে মানুষ কোন সমস্যায় পড়লেই সেই বিষয় নিয়ে গুগলে সার্চ দেই জানার জন্য। আর সার্চ করে গুগলে সমাধান পেয়ে যায়। তাই জন্য আপনি যদি বর্তমান সময়ে কোয়ালিটি ফুল এবং ক্রিয়েটিভ ভিডিও তৈরি না তৈরি করেন তাহলে আপনার ইউটিউব চ্যানেল সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে চলতে পারবে না। তাই কোয়ালিটি ফুল এবং ক্রিয়েটিভ ভিডিও তৈরি করুন।
  • ভিডিও এসইও (SEO) এর দিকে ভালোভাবে মনোযোগ দিনঃ আপনি যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওতে প্রচুর পরিমাণে ভিউ পেতে চান, তাহলে সেক্ষেত্রে আপনাকে ভিডিও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে খুবই ভালোভাবে দক্ষতা থাকা জরুরী। কেননা আপনি যদি ইউটিউবের ভিডিওতে সঠিকভাবে এসইও করতে না পারেন, সেক্ষেত্রে আপনার ভিডিওতে ভিউ হবে না, তখন আপনার ইউটিউব এর ভিডিওটি সার্চ এর অনেক নিচে নেমে আসবে। তাই জন্য আপনি যদি প্রচুর পরিমাণে ভিউ পেতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই আপনার ইউটিউবের ভিডিওতে এসইও সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে হবে। তাহলে ভিডিও সার্চ থেকে প্রচুর পরিমাণে ভিউ পাওয়া যাবে। আর এর বিনিময়ে আপনি ধীরে ধীরে সফল ইউটিউবার হওয়ার পথে এগিয়ে যাবেন। তাই জন্য আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে ভিডিও আপলোডের আগে সঠিকভাবে সম্পূর্ণ এসইও এর কাজ সম্পন্ন হয়েছে কি না সেদিকে। আর আপনি যে ভিডিও গুলো বানাবেন সেগুলো যেন অবশ্যই অডিয়েন্সদের চাহিদা অনুযায়ী হয়, যেগুলো মানুষ জানতে আগ্রহী। কারণ এই ভিডিওগুলোতে বেশি ভিউ হয়। এছাড়া আপনি যদি বুঝতে পারেন আপনার ভিতরে বিশেষ কিছু ট্যালেন্ট রয়েছে যেগুলো মানুষ জানতে চাই, যে বিষয়গুলোর উপরে ইন্টারনেটে কম তথ্য রয়েছে, তাহলে আপনি যদি সেই ধরনের ভিডিও গুলো বানাতে পারে, তাহলে আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। যেহেতু বর্তমান সময়টা তথ্যপ্রযুক্তির যুগ তাই জন্য কোয়ালিটি ফুল এবং এইচডি হওয়া দরকার পাশাপাশি ভিডিও অবশ্যই প্রচুর তথ্যবহুল করে তৈরি করতে হবে।
  • নিয়মিত ভিডিও আপলোড করাঃ আপনি যদি সফল ইউটিউবার হতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে হবে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে। কারণ অনেক ইউটিউবার রয়েছে যারা নিয়মিত ভিডিও আপলোড করে না। ফলে ভিডিওতে বেশি ভিউ হয় না। তখন ভিডিও বানানো ছেড়ে দেয়। হতাশ হয়ে যায় ভিডিওতে ভিউ না হওয়ার কারণে। তাই আপনি যদি ইউটিউবে সফলতা অর্জন করতে চান, তাহলে অবশ্যই নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে হবে ধৈর্য্য ধারণ করে কাজ করে যেতে হবে। সবকিছু মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দিয়ে ভালো মানের মানসম্মত এবং প্রয়োজনীয় তথ্যবহুল ভিডিও তৈরি করে প্রতিদিন নিয়মিত ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করতে হবে। তাহলে দেখবেন ধীরে ধীরে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিউয়ার্স বৃদ্ধি পাচ্ছে পাশাপাশি সাবস্ক্রাইবারও বৃদ্ধি পাবে। আপনি যখন প্রথম ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন তখন আপনার সবকিছুই কম থাকবে সাবস্ক্রাইবার, ভিউয়ার্স, সেক্ষেত্রে হতাশ হওয়ার কিছুই নেই। নিয়মিত কাজ করে যাবেন দেখবেন সফলতা আপনার দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে।
  • চ্যানেলের বিষয়টি মনে রাখুনঃ আপনি যদি একজন সফল ইউটিউবার হতে চান, তাহলে সেক্ষেত্রে আপনাকে আপনার চ্যানেলের প্রধান বিষয়টি মাথায় রেখে একটি টপিক নিয়ে ভিডিও তৈরি করতেহবে। আপনি আপনার চ্যানেলের প্রধান বিষয়টির উপর যখন একটি ভিডিও বানাবেন, তখন আপনাকে সব সময় একই টপিকের উপর ভিন্ন ভিন্ন ভিডিও তৈরি করতে হবে। টপিক কোনভাবেই পরিবর্তন করতে পারবেন না। ধরুন যে আপনি কোন টেকনোলজি বিষয়ে ভিডিও তৈরি করলেন,সেক্ষেত্রে পরবর্তী সময়েও আপনাকে টেকনোলজি বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন ভিডিও তৈরি করে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করতে হবে। এতে করে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে যে সাবস্ক্রাইবার গুলো রয়েছে তারা যে টপিকের উপর ভিডিও দেখতে চাই, আপনার চ্যানেলে একই টপিকের উপর অনেক ভিডিও দেখতে পাবেন। এতে করে আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার বৃদ্ধি পাবে, ভিউয়ার্স বৃদ্ধি পাবে, মানুষজন আপনাকে সাপোর্ট করবে। তাই আপনি যদি একজন সফল ইউটিউবার হতে চান, তাহলে আপনাকে নিয়ম মেনে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে হবে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে।
  • বিনা কারণে ভিডিও লম্বা বানাবেন নাঃ বেশিরভাগ ইউটিউবার রয়েছে যারা ভিডিও বড় করার জন্য ভিডিওতে অনেক প্রয়োজনীয় ভুল ভাল কথা বলে থাকেন। এটা কখনোই করবেন না। আপনার ভিডিওর মূল বিষয়বস্তুগুলোই ভিডিওতে ফুটিয়ে তুলবেন। ভিডিও যতোটুক পারবেন তথ্য বহন করে তৈরি করার চেষ্টা করবেন। এতে করে মানুষ আপনার ভিডিও গুলো দেখতে খুবই পছন্দ করবে। ভিডিও দেখতে বিরক্ত বোধ করবে না। আপনি যদি অযথাই অপ্রয়োজনীয় কথা বলে ভিডিও লম্বা করেন, তাহলে মানুষ একসময় আপনার ভিডিও দেখতে বিরক্ত বোধ করবে। ভিডিও যতো ছোট করা যায় এবং তথ্যবহুল করা যায়, মানুষের একঘেয়েমি ততো থাকে না, ভিডিও মনোযোগ সহকারে দেখে। তাই সব সময় সঠিক তথ্য দিয়ে ভিডিও তৈরি করবেন অযথা অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে ভিডিও মূল্যহীন করবেন না। আর আপনি একজন সফল ইউটিউবার কখন হতে পারবেন, এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার নিজের কাজের উপর। আপনি যতো ভালোভাবে নিখুঁতভাবে কাজ করতে পারবেন আপনি ততো দ্রুত সফল ইউটিউবার হতে সক্ষমতা।

ইউটিউব মার্কেটিং কোর্স

প্রিয় পাঠক, আপনি যদি ইউটিউব মার্কেটিং করে অর্থ উপার্জন করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই আগে ইউটিউব মার্কেটিং এর ওপর কোর্স করতে হবে। তাহলে আপনি কোর্সের মাধ্যমে ইউটিউব মার্কেটিং বিষয়ে পুরাপুরি ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন। বর্তমান সময়ে ইউটিউব মার্কেটিং কোর্স করানোর জন্য অনেক আইটি সেন্টার গড়ে উঠেছে। কিন্তু আপনি ইউটিউব মার্কেটিং কোর্সে ভর্তি হওয়ার আগে অবশ্যই আইটি সেন্টারটি ভালো মানের কিনা, 
তারা ভালোভাবে আপনাকে ইউটিউব মার্কেটিং বিষয়ে শিক্ষা দিতে পারবেন কিনা? তাদের কাছ থেকে স্টুডেন্টেরা ইউটিউব মার্কেটিং শিখে ইউটিউবে তাদের ক্যারিয়ার গড়তে পেরেছেন কিনা? সেই সকল বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে তারপর ভর্তি হবেন। কেননা বর্তমান সময়ে অনেক আইটি সেন্টার গড়ে উঠেছে যারা নিজেই ইউটিউব মার্কেটিং সম্পর্কে জানে না, আবার অন্যদেরকে শেখায়। এই ভুয়া আইটি সেন্টাগুলো এভাবে অনেক মানুষের কাছ থেকে তারা কারি কারি টাকা হাতিয়ে নেই। 

এজন্য ইউটিউব মার্কেটিং কোর্স করতে ভর্তি হওয়ার আগে অবশ্যই ভালো মানের আইটি সেন্টার দেখেশুনে তারপর ভর্তি হবেন। দেখবেন যেসকল আইটি সেন্টারের গাইডাররা বিগত অনেক বছর ধরে কাজ করে আসছে, মানে পূর্বেও কাজ করেছে বর্তমানেও বেশ ভালো কাজ করছে, সেই সকল আইটি সেন্টারে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করবেন। কেননা যেসকল গাইডার,মেন্টরদের পূর্বে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে, 

মূলত তারাই আপনাকে ভালোভাবে গাইড লাইনের মাধ্যমে ইউটিউব মার্কেটিং বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারবেন। তাহলে সেখান থেকে আপনি ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করে দক্ষ ইউটিউব মার্কেটার হতে পারবেন। এছাড়াও অনেক ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে যারা ইউটিউব মার্কেটিং শেখার নামে মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা বাগিয়ে নিচ্ছে। তাদের থেকে সাবধান থাকুন। মূলত একজন দক্ষ গাইডার মেন্টর ইউটিউব মার্কেটিং এর কোর্সের চ্যানেল ক্রিয়েট থেকে শুরু করে ভিডিও আপলোড পর্যন্ত এবং তারপর সঠিকভাবে কিভাবে আপনি এসইও (SEO) করবেন সেই সকল বিষয়ে শেখাবেন। 

কেননা একজন সফল ইউটিউব মার্কেটার হওয়ার জন্য এসইও সম্পর্কে পুরোপুরিভাবে দক্ষতা অর্জন করা অপরিহার্য। ইউটিউব মার্কেটিং করার জন্য আপনাদের সুবিধার্থে নিজে কয়েকটি বিশ্বস্ত ও জনপ্রিয় আইটি সেন্টারের নাম উল্লেখ করা হলো। মূলত তাদের কাছ থেকে ইউটিউব মার্কেটিং কোর্স সম্পূর্ণ করে অনেক মানুষ ইউটিউবে তাদের ক্যারিয়ার করতে সফল হয়েছেন।
  • BITM
  • Prime IT
  • eShikhon
  • Bohubrihi
  • Nebulas IT
  • SoftNetBD
  • SoftTach-IT
  • CodersTrust
  • Innovative IT
  • DUSRA Soft
  • Ghoori Learning
  • Interactive Cares
  • 10 Minute School
  • Extent IT Institute
  • Creative IT Institute
  • Advance IT Center

ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়?

ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়?
সম্মানিত পাঠক, ইউটিউব চ্যানেল থেকে যে বিষয়গুলোর উপর নির্ভর করে ইনকাম হবে সেগুলো সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলটির উপরোক্ত আলোচনায় বিস্তারিত বলা হয়েছে। আশা করি আপনারা ইউটিউব মার্কেটিং কি? ইউটিউব মার্কেটিং কত প্রকার? ইউটিউব মার্কেটিং করার উপায়? সকল বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন,কোন অংশ স্কিপ না করে, 

তাহলে অবশ্যই আপনার মাঝে ধারণা হয়েছে মাসে ইউটিউব থেকে কত টাকা আয় করা যায় এ সম্পর্কে। মূলত ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা আয় করা যাবে এর নির্দিষ্ট সঠিক উত্তর বলা বেশ কঠিন,কেউ নির্দিষ্টভাবে বলতে পারবে না। কেননা একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে বেশি টাকা ইনকাম হবে, না কম টাকা ইনকাম হবে, এটা মূলত ইউটিউব চ্যানেলের উপর নির্ভর করে, যে আপনার চ্যানেলটা কত বড়। 

আপনার ইউটিউব চ্যানেলে কত সাবস্ক্রাইবার রয়েছেন এগুলোর উপর। আপনার ইউটিউব চ্যানেল যতো বড় হবে, আপনার ইনকামের পরিধি ততো বৃদ্ধি পেতে থাকবে। ইউটিউব চ্যানেলে যতো বেশি সাবস্ক্রাইবার হবে, আপনার ততো বেশি ইনকাম বৃদ্ধি হবে। এছাড়াও ইউটিউব চ্যানেলের ইনকাম ইউটিউবের ভিউয়ার্স এর ওপরও অনেকটা নির্ভর করে। তাই জন্য আপনি ইউটিউব চ্যানেল থেকে কত টাকা আয় করবেন সেটা সম্পূর্ণ আপনার কাজের উপর নির্ভর করবে। 
আবার আরেকটি বিষয় মনে রাখবেন, যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেল ছোট হয়,আপনার ইউটিউবে সাবস্ক্রাইবার কম থাকে,ভিউয়ার্স কম থাকে, তাহলে কিন্তু আপনার ইনকাম কম হবে। এখানে আপনার ইনকাম কম হবে এটাই স্বাভাবিক এটা অস্বাভাবিক কিছু না। সারা বিশ্বে অনেক ইউটিউবার রয়েছেন, যারা মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইউটিউব থেকে আয় করে থাকেন। আবার কেউ কেউ এর থেকে অধিকও আয় করে থাকেন। 

মূলত আমাদের দেশের শীর্ষস্থানে যে ইউটিউবাররা রয়েছেন তারা মূলত প্রতিমাসে গড়ে ৪-৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করে থাকেন। এছাড়াও অনেক বাংলাদেশি ইউটিউবার রয়েছেন যারা ইউটিউবে শুধু ভিডিও তৈরি করে ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করেই মাসে ৫০-৬০ হাজার টাকা ইনকাম করে থাকেন। তারা কোনরকম চাকরি কিংবা ব্যবসা করেন না,বরং ইউটিউব থেকে মাসে প্রচুর টাকা ইনকাম করেন। প্রিয় পাঠক, আশা করি আপনারা আপনাদের উত্তর পেয়ে গেছেন।

লেখকের ইতি কথাঃ ইউটিউব মার্কেটিং কি? - কিভাবে ইউটিউব মার্কেটিং করব এবং সফল হব?

সম্মানিত পাঠক, আশা করি উপরোক্ত আলোচনা গুলো থেকে ইউটিউব মার্কেটিং কি? - কিভাবে ইউটিউব মার্কেটিং করব এবং সফল হব? এ বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। সারাবিশ্বে বর্তমান সময়ে মানুষ ইউটিউব মার্কেটিং শিখে নিজ ঘরে বসে থেকেই একটু বুদ্ধি খাটিয়ে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে। ইউটিউব মার্কেটিং করে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে খুব স্বল্প পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। তবে এ বিষয়ে আপনাকে স্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে।

তাই ইউটিউব মার্কেটিং কি? - কিভাবে ইউটিউব মার্কেটিং করব এবং সফল হব? এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ে উল্লেখিত বিষয়গুলো জেনে নিলে আপনি খুব সহজেই ইউটিউব মার্কেটিং করে দ্রুত সময়ে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি যদি ইউটিউব মার্কেটিং করে আপনার অবস্থানকে পরিবর্তন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ইউটিউব মার্কেটিং কি? - কিভাবে ইউটিউব মার্কেটিং করব এবং সফল হব? এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে তাহলে আপনি খুব দ্রুতই সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন।

সম্মানিত পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থেকে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগের সাথে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে এ ধরনের তথ্যবহুল কার্যকরী ও উপকারী আর্টিকেল নিয়মিত পোস্ট করে থাকি। তাই আপনি যদি এ ধরনের আরও তথ্যবহুল ও উপকারী সব আর্টিকেল পড়তে চান, তাহলে অবশ্যই এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ফলো করুন। সাথে সাথে এ আর্টিকেলটি পরে ভালো লাগলে আপনার নিকট আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজনদের কাছে তাদের উপকারার্থে শেয়ার করে দিন। 

যেন তারা ইউটিউব মার্কেটিং কি? - কিভাবে ইউটিউব মার্কেটিং করব এবং সফল হব? এ বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি ভালোভাবে জেনে নিতে পারে। ইউটিউব মার্কেটিং কি? - কিভাবে ইউটিউব মার্কেটিং করব এবং সফল হব? এ বিষয় সম্পর্কে আপনার যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ মতামত বা প্রশ্ন থাকে, তাহলে অবশ্যই নিচে দেওয়া মতামত বক্সে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আবার আপনাদের সাথে কথা হবে নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত নিরাপদ ও সুস্থ থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কনফিডেন্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url