কন্টেন্ট মার্কেটিং কি? - ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কনটেন্ট রাইটিং এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

আপনি কি কনটেন্ট মার্কেটিং শিখে আপনার নিজের ব্যবসাকে খুব দ্রুততম সময়ে সফলতার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়ে স্বল্প পরিশ্রমের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে চান? তাহলে আপনার চিন্তার কোন কারণ নেই। কারণ আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটির মূল আলোচনায় হচ্ছে কন্টেন্ট মার্কেটিং কি? - ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কনটেন্ট রাইটিং এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সেই সম্পর্কে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যবহুল ও প্রয়োজনীয় আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক!
কন্টেন্ট মার্কেটিং কি? - ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কনটেন্ট রাইটিং এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটির মাধ্যমে কন্টেন্ট মার্কেটিং কি? - ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কনটেন্ট রাইটিং এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা এ বিষয় সম্পর্কে এমন কিছু ইউনিক ও কার্যকরী তথ্য সম্পর্কে জানাবো, যেগুলিকে কাজে লাগিয়ে আপনি খুব সহজেই মোবাইল, কম্পিউটার বা ল্যাপটপ দিয়ে কনটেন্ট মার্কেটিং করে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি কি আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো জানতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্যই। কন্টেন্ট মার্কেটিং কি? - ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কনটেন্ট রাইটিং এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আশা করি আলোচ্য বিষয়ে বিস্তারিতভাবে নির্ভুল সব তথ্য গুলো জানতে পারবেন। ইনশাআল্লাহ!
পেজ সূচিপত্রঃ
.

ভুমিকা

সারাবিশ্বে বর্তমান সময়ে মানুষ অনলাইন মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে কনটেন্ট মার্কেটিং করে নিজ ঘরে বসে থেকেই একটু বুদ্ধি খাটিয়ে খুব দ্রুততম সময়ে নিজের ব্যবসাকে সঠিকভাবে পরিচালনা করে প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে। কনটেন্ট মার্কেটিং হলো বর্তমান সময়ে একটি ব্যবসাকে দ্রুততম সময়ে প্রতিষ্ঠিত করার ও প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করার সব থেকে জনপ্রিয় ও সহজ মাধ্যম।

তাই সারাবিশ্বে বর্তমান সময়ে মানুষ কনটেন্ট মার্কেটিং শিখে অনেক মানুষই এটিকে তাদের পেশা হিসেবে গ্রহন করে আয়ের অন্যতম উৎস বানিয়ে নিয়েছে। তাই আপনিও যদি অন্যের গোলামী না করেই নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী মুক্ত পেশাজীবী হিসাবে কনটেন্ট মার্কেটিং শিখে ঘরে বসে থেকেই লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করে নিজেকে স্বাবলম্বী করতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে কন্টেন্ট মার্কেটিং কি? - ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কনটেন্ট রাইটিং এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা এ বিষয়ে পুরোপুরি ধারণা রাখতে হবে। 
তাই আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন কন্টেন্ট মার্কেটিং কি? - ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কনটেন্ট রাইটিং এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা এ বিষয় সম্পর্কে। এছাড়াও কন্টেন্ট মার্কেটিং কি? কন্টেন্ট মার্কেটিং কত প্রকার? অডিও কন্টেন্ট, ভিডিও কন্টেন্ট, টেক্সট কন্টেন্ট, ইনফোগ্রাফিক কন্টেন্ট, কন্টেন্ট রাইটিং কেন প্রয়োজন? 

ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কনটেন্ট রাইটিং এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা, কন্টেন্ট রিসার্চ, কন্টেন্ট নির্মাণ বা তৈরী, কন্টেন্ট তৈরি ও শেয়ার, এনগেজমেন্ট তৈরি, কন্টেন্ট মার্কেটিং এর গুরুত্ব এ বিষয়গুলো সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই আপনি যদি কন্টেন্ট মার্কেটিং কি? - ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কনটেন্ট রাইটিং এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই কার্যকরী।

কন্টেন্ট মার্কেটিং কি?

বর্তমান সময়ে কনটেন্ট মার্কেটিং হচ্ছে একটি মার্কেটিং টেকনিক। সাধারণত কনটেন্ট রাইটিংয়ের মূল কাজ হচ্ছে লেখালেখি করা। কনটেন্ট অর্থাৎ লেখালেখি করার মাধ্যমে যখন কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের প্রচার-প্রচারণা করা হয়, তখন সেটাকে কন্টেন্ট মার্কেটিং বলা হয়। মার্কেটিংয়ের বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রমোট করার জন্য, অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের টপিক নিয়ে লেখালেখি করতে হয় যেমন ই-মেইল থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ার নানা ধরনের পোস্ট পাশাপাশি ব্লগে আর্টিকেল সাধারণত সবকিছুতেই কনটেন্টের প্রয়োজন হয়। 

তাইতো ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের হাতিয়ার বলা হয় কনটেন্ট মার্কেটিংকে। তাই জন্য একজন ডিজিটাল মার্কেটারের কনটেন্ট মার্কেটিং সম্পর্কে অবশ্যই পুরোপুরি ভাবে ধারণা থাকতে হবে। সাধারণত কনটেন্ট মার্কেটিং হচ্ছে এমন একটি কৌশলগত প্রক্রিয়া, যার মধ্যে প্রাসঙ্গিক, মূল্যবান এবং পর্যায়ক্রমে কন্টেন্ট তৈরি পাশাপাশি বিতরণের মাধ্যমে অডিয়েন্সদের আকর্ষণ সম্পৃক্ত বিশ্বস্ততা তৈরিতে দারুন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 
একজন কন্টেন্ট মার্কেটার কনটেন্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমে কেবল মাত্র তারা তাদের প্রোডাক্ট বিক্রয়ের উদ্দেশ্য থাকে না বরং উন্নত মানের কনটেন্টের মাধ্যমে অডিয়েন্সদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলাও তাদের উদ্দেশ্য। আর বর্তমান সময়ে অডিয়েন্সদের বিশ্বাস অর্জনের একটি দারুন অন্যতম কার্যকরী ও ইউনিক কৌশল হচ্ছে কনটেন্ট মার্কেটিং। মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা হচ্ছে কন্টাক্ট মার্কেটিং। মার্কেটিং এর মাধ্যমে অডিয়েন্স যেন বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট ও সার্ভিস সম্পর্কে গ্রাহকদের ভালোভাবে জানাতে পারে।

পাশাপাশি প্রোডাক্টের প্রতি গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে পারে এজন্যই মূলত কন্টেন মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের প্রচার-প্রচারণা করা হয়। কনটেন্ট মার্কেটিং এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে এই পদ্ধতিতে গ্রাহককে লাভজনক কাস্টমার এ রূপান্তর। সারা বিশ্বে যতোগুলো মার্কেটিং প্রক্রিয়া রয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম স্ট্রাটেজি সম্পন্ন স্মার্ট একটি প্রক্রিয়া হচ্ছে কন্টেন্ট মার্কেটিং। 

মূলত কনটেন্ট মার্কেটিং ১৭৩২ সালে সর্বপ্রথম চালু হয় এবং এটি চালু করেছিল "বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন"। সেই সময় তার একটি বই প্রকাশিত হয়েছিল যে বইটিতে কনটেন্ট মার্কেটিং সম্পর্কে খুবই সুন্দরভাবে ধারণা প্রদান করা হয়েছে বইটির নাম হলো “Poor Richard’s Almanack” আর মূলত এই কারণে "বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন" কে কনটেন্ট মার্কেটিংয়ের জনক বলা হয়।

কন্টেন্ট মার্কেটিং কত প্রকার?

সাধারণত আমরা যে ধরনের কনটেন্টগুলো সচরাচর লেখালেখি করে থাকি, তার থেকে মার্কেটিংয়ের জন্য যে কনটেন্ট গুলো লিখতে হবে, সেই লেখাগুলো কিছুটা ব্যতিক্রম হবে। এতে করে আমাদের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে, কনটেন্ট কোথায় ব্যবহার করতে হবে? কাদের জন্য কনটেন্ট ব্যবহার করতে হবে? এই লেখাগুলোর উপরে নির্ভর করে লেখার ধরন অনুযায়ী একেক সময় পরিবর্তন করতে হয়। 

তাই জন্য আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর জন্য লিখতে চান, তাহলে সেক্ষেত্রে সেটি একরকম হবে। আবার আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য কনটেন্ট লিখতে চান, তাহলে সেক্ষেত্রে সেটি আবার একরকম হবে। সাধারণত ডিজিটাল মার্কেটিং এর কনটেন্ট গুলোকে মৌলিক দিক থেকে ৪ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। মৌলিক দিক থেকে কন্টেন্ট মার্কেটিং ৪ প্রকার। নিচে ৪ প্রকার কনটেন্ট মার্কেটিং উল্লেখ করা হলো।
  • অডিও কনটেন্ট মার্কেটিং (Audio content marketing)
  • ভিডিও কনটেন্ট মার্কেটিং (Video content marketing)
  • টেক্সট কন্টেন্ট মার্কেটিং (Text content marketing)
  • ইনফোগ্রাফিক কনটেন্ট মার্কেটিং (Infographic content marketing)

অডিও কন্টেন্ট

সাধারণত ভয়েস বা শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে যে ধরনের কনটেন্ট গুলো তৈরি করা হয়, মূলত সেগুলোকেই অডিও কনটেন্ট বলা হয়। অডিও কনটেন্ট বলতে মূলত যেকোনো ধরনের কনটেন্ট হতে পারে যেমন অনলাইন পডকাস্ট কিংবা অনলাইন রেডিও। আপনি যদি সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে পরিপাটি ভাবে কথা বলতে পারেন পাশাপাশি আপনি যদি একজন স্পষ্টভাষী এবং ভালো কণ্ঠের অধিকারী হোন সেক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন ধরনের টপিক নিয়ে অডিও কনটেন্ট লিখে কিংবা ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে মাসে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। 

পাশাপাশি অডিও কনটেন্ট এর মাধ্যমে আপনারা আপনাদের ব্যবসায়িক প্রোডাক্টের বিক্রয় আরও বাড়াতে পারবেন। সাধারণত যে প্রোডাক্ট কিংবা সার্ভিস বিষয়ে অডিও কনটেন্ট তৈরি করা হবে, সেই বিষয় নিয়ে ক্লায়েন্ট, কনটেন্ট মার্কেটারকে স্ক্রিপ্ট প্রদান করে থাকেন। তাই জন্য আপনি যদি ভালো মানের কনটেন্ট তৈরি করতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনার কন্ঠ সুন্দর সুশীল পরিপাটি হতে হতে হবে। তাহলে অডিও কনটেন্ট দিয়ে খুবই ভালো মানের চমৎকার মার্কেটিং করা সম্ভব। আপনি যদি চমৎকার কন্টেন মার্কেটিং করতে চান, তাহলে সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ভালো উপস্থাপনা সম্পর্কেও ধারণা রাখতে হবে।

ভিডিও কন্টেন্ট

মূলত আমরা বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া যেমন Facebook, YouTube, Instagram, twitter প্রভূতিতে ঘোরাঘুরি করলে বিভিন্ন ধরনের নানা রকম ভিডিও দেখে থাকি। সাধারণত ভিডিও করার মাধ্যমে আমরা সচরাচর যে ধরনের কন্টেন্টগুলো তৈরি করে থাকি, মূলত সেগুলোকেই ভিডিও কনটেন্ট বলা হয়। সাধারণত বর্তমান সময়ে ভিডিও কনটেন্ট সারা বিশ্বে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এখন বর্তমান সময়ে ভিডিও কনটেন্ট এর চাহিদা দিন দিন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

কেননা সারা বিশ্বে ভিডিও কনটেন্ট খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মূলত ভিডিও কনটেন্ট ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে খুবই কার্যকারী একটি পদ্ধতি, যার মাধ্যমে ব্যবসার বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্টয়ের বিক্রয় দ্রুত বৃদ্ধি করা সম্ভব। বর্তমান সময়ে আপনি সারা বিশ্বের যে কোন প্রান্তেই অবস্থান করুন না কেন? আপনি যদি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও তৈরি করে, সেগুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা করেন,তাহলে আপনি খুব সহজে আপনার ব্যবসার কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন।
এছাড়াও বর্তমান সময়ে ইনফ্লুয়েন্সারদের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এর প্রচার-প্রচারণা তে ভিডিও কনটেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রিয় পাঠক, আপনার কাছে যদি একটি স্মার্ট ফোন থাকেন, তাহলে আপনি আপনার স্মার্টফোনের ক্যামেরা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের মানসম্মত ভিডিও তৈরি করে, সেগুলো সুন্দর করে এডিট করে, ইন্টারনেটে প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে, খুব সহজেই আপনি আপনার ব্যবসার মুনাফা ভিডিও কনটেন্ট এর মাধ্যমে লাভ করতে পারবেন।

টেক্সট কন্টেন্ট

সাধারণত লেখালেখির মাধ্যমে যে কনটেন্ট গুলো সম্পন্ন করা হয়, মূলত সেগুলোকেই টেক্সট কন্টেন্ট বলা হয়। যখন একজন ব্যবসায়িক বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট ও সার্ভিস সম্পর্কে অডিয়েন্সের আকর্ষিত করার উদ্দেশ্যে পাশাপাশি ব্যবসার দ্রুত প্রসারণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে লিখিতভাবে বিভিন্ন ধরনের মার্কেটিং করে থাকেন, এটাই টেক্সট কন্টেন্ট মার্কেটিং। মূলত এই টেক্সট মার্কেটিং করা হয় যেমন টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে, ইমেইলের মাধ্যমে, পোস্ট এর মাধ্যমে, ব্লগ পোষ্টের মাধ্যমে। কনটেন্ট রাইটিং এর প্রাচীনতম রূপ হচ্ছে টেক্সট। 

তাই জন্য কনটেন্টের বিভিন্ন ধরনের লিখিত কনটেন্ট গুলোকে মৌলিক কনটেন্টও বলা হয়। কনটেন্ট রাইটিং মূলত কিছু বছর আগেও টেক্সট আকারে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইটে পাবলিস্ট করা হতো। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের কারণে, এর বিভিন্ন ধরনের প্রকারভেদ বের হয়েছেন। তাছাড়া বিভিন্ন অনলাইন এ এখনো কনটেন্ট বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইটে এবং ব্লগে টেক্সট আকারে পাবলিস্ট করা হচ্ছে। বর্তমান সময়ে এখনো প্রচুর সংখ্যক মানুষ টেক্সট কনটেন্ট গুলো ভিজিট করে থাকেন।

ইনফোগ্রাফিক কন্টেন্ট

সাধারণত তথ্য ও চিত্রের সমন্বয়ে উভয়ের কোন একটি বিষয়কে খুবই সহজভাবে ভিজুয়ালি ইফেক্ট এর মাধ্যমে উপস্থাপন করে, যে ধরনের কনটেন্ট গুলো তৈরি হয় মূলত সেগুলোকে ইনফোগ্রাফিক কনটেন্ট বলা হয়। ইনফোগ্রাফিক কনটেন্ট মূলত কনটেন্ট রাইটিং এর একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ শাখা বা অংশ। সাধারণত ইনফোগ্রাফিক কনটেন্টগুলো তৈরি হয় মূলত ছবি ও লেখার সম্মিলিত রূপে। 
প্রিয় পাঠক, আপনারা যদি ইনফোগ্রাফিক কনটেন্ট তৈরি করতে চান, তাহলে সেক্ষেত্রে আপনাদের এডিটিং এর কাজ করা যায় এরকম বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে যেমন অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটর (Adobe illustrator),ক্যানভা (Canva),অ্যাডোবি ফটোশপ (Adobe Photoshop) প্রভূতি এই সফটওয়্যার গুলো খুবই জনপ্রিয়। সাধারণত গ্রাহকদের আকৃষ্ট করার উদ্দেশ্যেই মূলত ইনফোগ্রাফিক কন্টেন্ট গুলো তৈরি করা হয়ে থাকেন।

কন্টেন্ট রাইটিং কেন প্রয়োজন?

আপনি যদি কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রেখে কনটেন্ট মার্কেটিং এর কাজ করেন, তাহলে বর্তমান সময়ে এই প্রতিযোগিতামূলক বাজারে বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন উপায় খুঁজে বের করে, সেই উপায় গুলো অবলম্বন করে আপনার ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখতে পারবেন। অতীতের বিভিন্ন ধরনের উপায় গুলো অবলম্বন করে আপনি যদি বর্তমান সময়ে সেগুলো আপনার ব্যবসাতে প্রয়োগ করে, আপনার ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখতে চান, তাহলে এটা নেহাতোই বোকামি, সেটা কোন কাজে দেবে না। 

বর্তমান সময়ে অডিয়েন্সরা সুসম্পর্ক বজায় রেখে কোম্পানির সাথে তারা তাদের মূল্য প্রদানের মাধ্যমে ভালো প্রোডাক্ট বা সার্ভিস গ্রহণ করতে চাই। আর এজন্যই কন্টেন মার্কেটিং কি এবং এর প্রয়োজনীয়তা বারবার আমাদের সামনে চলে আসছে। কারণ এগুলো তে ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সময়ে মার্কেটিং করার জন্য নানা ধরনের ইউনিক ও কার্যকরী কৌশল অবলম্বন করতে হয়। কেননা সময়ের বিবর্তনের সাথে সাথে কাজের ধরন গুলোর ও অনেক পরিবর্তন এসেছে।

আর তাই জন্য এখন বর্তমান সময়ে ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রথমে টার্গেট অডিয়েন্সদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে পাশাপাশি টার্গেট অডিয়েন্সদের দিকে ফোকাশ করতে হবে সংযোগ স্থাপনের দিকে। আর এর জন্য কনটেন্ট মার্কেটিংয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। টার্গেট অডিয়েন্সের সাথে সম্পর্ক বজায় এবং সংযোগ স্থাপনে দারুন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কন্টেন মার্কেটিং। কনটেন্ট মার্কেটিং এ আরো বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।
  • আপনি যদি সঠিকভাবে কনটেন্ট মার্কেটিং করতে পারেন, তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার কোম্পানির ব্র্যান্ডের বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট ও সার্ভিসের পরিচিতি বৃদ্ধি পাবে।
  • এছাড়াও ভালো ভালো কনটেন্ট তৈরির মাধ্যমে, আপনি অডিয়েন্সের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে পারবেন।
  • এছাড়াও ভালো ভালো কনটেন্ট তৈরির মাধ্যমে ব্যবসার প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি ব্যবসার প্রসারণ দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
  • খুব সহজেই কাস্টমারদের সাথে কনভার্ট করা যায়, মূলত কনটেন্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমে।
  • গ্রাহকদের পুরোপুরি আস্থা ও বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধির জন্য কনটেন্ট মার্কেটিং দারুণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • এছাড়াও আপনি যদি ভালো ভালো কনটেন্ট তৈরি করার পর সেগুলো ইন্টারনেটে প্রকাশিত করার মাধ্যমে প্রতিদিন আপনার প্রোফাইলে কাস্টমার বৃদ্ধি পেতে থাকবে পাশাপাশি দীর্ঘদিন পর্যন্ত আপনি কাস্টমার পেতে সক্ষম হবেন।
  • বর্তমান সময়ে কাস্টমাররা বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট কেনার আগে প্রোডাক্ট সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জেনে নেই, আর এজন্য কনটেন্ট মার্কেটিং কাস্টমারকে প্রোডাক্টের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে থাকেন।
  • এছাড়াও আপনি যদি ভালো ভালো কনটেন্ট লিখতে পারেন, তাহলে সেক্ষেত্রে সেই কনটেন্ট গুলো অন্যদের মাঝে শেয়ার করা হয়। এতে করে আপনার অটোমেটিক সেলস জেনারেট বৃদ্ধি পায়।
  • আপনি যদি কনটেন্ট এর জন্য অল্প টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে সেটি সোশ্যাল মিডিয়াতে অধিক কার্যকরী হিসাবে গ্রহণযোগ্যতা পায়। এতে করে ব্যবসার প্রসারন দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
  • বর্তমান সময়টা এমন হয়ে গেছে যে এই প্রতিযোগিতামূলক বাজারে কনটেন্ট মার্কেটিং একমাত্র প্রক্রিয়া, যেটি অবলম্বন করে প্রোডাক্টের বিক্রয় নিশ্চিত করা হয়। এই প্রক্রিয়াটি অবলম্বন করার ফলে, প্রোডাক্ট এবং সার্ভিসের বিক্রয় দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
  • বর্তমান সময়ে লিড জেনারেশনের জন্য কন্টেন্ট রাইটিং সবচাইতে এগিয়ে। লিড জেনারেশন এমন একটি পদ্ধতি, যার মাধ্যমে গ্রাহকরা তাদের সঠিক প্রোডাক্ট খুবই দ্রুত খুজে পাই। আর এই ক্ষেত্রে কন্টেন মার্কেটিং এর গুরুত্বের জুড়ি মেলা ভার।
  • বর্তমান সময়ে সকলে ব্র্যান্ডের জিনিস পছন্দ করেন এবং ব্র্যান্ডের ক্ষেত্রে খুবই সচেতন। আর এজন্যই বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট সম্পর্কে সকলের কাছে কনটেন্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমেই মূলত মেসেজ প্রদান হয়। আর একটি ব্র্যান্ড তৈরি হওয়া ব্যবসার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কনটেন্ট রাইটিং এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

কন্টেন্ট মার্কেটিং কি? - ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কনটেন্ট রাইটিং এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
সাধারণত বর্তমান যুগ হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের যুগ। ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার কারণে পৃথিবী এখন হাতের মুঠোয় হয়ে গেছে। সাধারণত ইন্টারনেট ব্যবস্থাপনাকে কাজে লাগিয়ে, বিভিন্ন ব্যবসায়ী তারা তাদের ব্যবসায়িক মাধ্যম গড়ে তুলেছে, আর এটাকে মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়। আরেকটু সহজ ভাবে বলতে গেলে, ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান তারা তাদের ব্র্যান্ডের বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট ও সার্ভিস সম্পর্কে প্রচার-প্রচারণার পদ্ধতিকে বোঝায়।
সাধারণত বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাথে ইন্টারনেট ব্যবস্থাপনা ওতোপ্রতভাবে জড়িত। যেমন google, facebook, youtube, instagram, twitter সহ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে খুবই অল্প সময়ে আপনারা আপনাদের প্রোডাক্ট গ্রাহকদের কাছে আকর্ষণীয় ভাবে তুলে ধরতে পারবেন পাশাপাশি আপনার যে প্রোডাক্টগুলো গ্রাহকদের কাছে খুবই পছন্দনীয়,তা খুব সহজে চিহ্নিত করতে পারবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনারা আপনাদের ব্যবসাকে উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে পারবেন। 

প্রথমে আপনার প্রোডাক্টটি কোন ক্যাটাগরির সেটা নির্বাচন করে, কাস্টমারের কাছে আপনাদের প্রোডাক্টের ধরন অনুযায়ী সঠিক তথ্য ও আকর্ষণীয় কন্টেন্টের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে আপনাদের প্রোডাক্ট এর গুনাগুন তুলে ধরতে হবে। আর এগুলো সব কিছু করার জন্য আপনাকে প্রথমে কনটেন্ট সাজাতে হবে। আপনি কোন ডিজিটাল মার্কেটিং করার মাধ্যমে মার্কেটিং করতে চাচ্ছেন তা প্রথমে ঠিক করতে হবে আর সে অনুযায়ী আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর খুবই ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তাইতো একজন ডিজিটাল মার্কেটারের মূল হাতিয়ার হচ্ছে কনটেন্ট যাকে ইংরেজিতে “Content is King”বলা হয়।

কন্টেন্ট রিসার্চ

সাধারণত কন্টেন্ট হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মূল হাতিয়ার, যাকে ইংরেজিতে "Content is King" বলা হয়। প্রিয় পাঠক, আপনি যদি কনটেন্ট তৈরি করতে চান কনটেন্ট মার্কেটিং এর জন্য, তাহলে আপনাকে অবশ্যই মার্কেটিং এর বিষয়ে সম্পূর্ণ ধারণা রাখতে হবে পাশাপাশি মার্কেটিং বিষয়ে পুরোপুরি ভাবে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আর আপনি তখনই পুরোপুরি ভাবে ধারণা অর্জন করতে পারবেন, যখন আপনি প্রতিনিয়ত অন্যান্য ব্লগারদের কনটেন্ট গুলো দেখবেন। 

উদাহরণস্বরূপ আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, বিভিন্ন টপিক নিয়ে বিভিন্ন ব্লগারের প্রথমে আমি বিভিন্ন ধরনের ব্লগ পোস্ট দেখতাম। আর বিভিন্ন ব্লগারের ব্লগ পোস্ট দেখার মাধ্যমে আমি সেখান থেকে নানা ধরনের নতুন নতুন আইডিয়া পেতাম। কিন্তু একটা বিষয় মাথায় রাখবেন যারা ভাল মানের লেখালেখি করে তাদের কখনোই হুবহু অনুকরণ করবেন না বরং তাদের লেখার ক্যাটাগরি বচনভঙ্গি ফলো করতে পারেন। 
তাই জন্য খুবই জরুরী একটি বিষয় হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং করে কনটেন্ট রিসার্চ করা। এটি মূলত কনটেন্টের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মূলত অন্যান্যদের কনটেন্ট দেখার মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে সেখান থেকে আইডিয়া নেওয়া। এছাড়াও আপনি যখন অন্যদের কনটেন্ট গুলো দেখবেন, তখন কন্টাক্ট গুলো দেখার পাশাপাশি বোঝারও চেষ্টা করবেন। যেহেতু আপনি বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিয়ে কাজ করতে চান, সেক্ষেত্রে অন্যরা কিভাবে প্রোডাক্ট বিক্রয় করছে সেদিকে আপনাকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে। 

এছাড়াও আপনি যে ব্যবসা করতে চাচ্ছেন, একই ব্যবসার সাথে জড়িত অন্যদের কনটেন্ট গুলো আপনাকে খুবই ভালোভাবে দেখতে হবে এবং তা থেকে আইডিয়া গ্রহণ করতে হবে। আপনি যখন একেকবার একেকজনের কনটেন্ট দেখবেন তখন আপনি সেখান থেকে নতুন নতুন আইডিয়া পাবেন। তাই জন্য কখনো একজনের কনটেন্ট দেখবেন না, অনেক জনের কনটেন্ট দেখবেন, তাহলে সেখান থেকে ভিন্ন ভিন্ন আইডিয়া পাবেন।

কন্টেন্ট নির্মাণ বা তৈরী

আপনি যখন প্রথম কনটেন্ট মার্কেটিং শুরু করবেন, তখন অবশ্যই শুরু থেকে ছোট ছোট কনটেন্ট তৈরি করার চেষ্টা করবেন। সেই কন্টেনটি মূলত ছোট কোন লেখা হতে পারে,কিংবা আবার ছোট ভিডিও হতে পারে। সাধারণত শুরুতেই কোয়ালিটি ফুল বড় কন্টেন্ট তৈরি করার চিন্তা করবেন না, নাহলে হয়তো আপনার ভালোভাবে লেখালেখি করা সম্ভব হবে না। আর তাই জন্য আপনি আপনি একটা ট্রিক্স ফলো করতে পারেন, 

যেমন আপনি যখন শুরু থেকে কনটেন্ট লিখবেন আপনি আপনার ফেসবুকে ছোট ছোট লেখার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের টপিক নিয়ে ফ্রিতে ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে ব্লগ পোস্ট করতে পারেন, ফেসবুকে কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে পারেন। ফলে দিন দিন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পেতে থাকবে। 
এতে করে আপনি যখন পরবর্তী সময়ে কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ করবেন তখন আপনার কাজে আসবে। ভিডিও কিংবা টেক্সট আপনি যে ধরনের কনটেন্ট তৈরি করুন না কেন? এমন কনটেন্ট তৈরি করবেন,যেন কনটেন্ট গুলো মানসম্পন্ন হয় পাশাপাশি আপনি আপনার কনটেন্ট গুলো দিয়ে আপনার অডিয়েন্স কে ধরে রাখতে সক্ষম হোন।

কন্টেন্ট তৈরি ও শেয়ার

আপনি যখন প্রথম অবস্থায় কনটেন্ট লিখবেন তখন হয়তো আপনার কনটেন্ট এ ভিউ কম হবে। আর কনটেন্টে ভিউ বাড়ানোর জন্য আপনাকে সুন্দর সুন্দর মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করার পাশাপাশি আপনাকে আপনার লেখা সেই কন্টেন্টগুলো নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে হবে। কেননা আপনি যতোই কোয়ালিটি ফুল কনটেন্ট তৈরি করুন না কেন? আপনি যদি সেগুলো শেয়ার না করেন, তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার কনটেন্টের ভিউ থাকবে না। 

আর যে কনটেন্ট এর ভিউ থাকে না, সেই কনটেন্টের কোন মূল্য থাকে না। তাই জন্য আপনাকে নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার লেখা কনটেন্ট গুলো বেশি বেশি শেয়ার করতে হবে। সম্মানিত পাঠক,আপনি যদি বিভিন্ন টপিক নিয়ে নিয়মিত কনটেন্ট তৈরি না করেন, তাহলে সেখানে আপনি কখনোই সাফল্য লাভ করতে পারবেন না। তাই জন্য কনটেন্ট মার্কেটিং এর কাজগুলো খুবই ভালোভাবে দক্ষতার সহিত শিখে, 
আপনাকে সেগুলো প্রতিদিন নিয়মিত প্র্যাকটিস করতে হবে পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে যেতে হবে। তাহলে আপনি সফলতা লাভ করতে পারবেন। এতে আপনার আরেকটি উপকার হবে সেটি হলো, আপনার কনটেন্টের কোথাও যদি ভুল ভ্রান্তি থাকে, তাহলে আপনার কনটেন্টের নিচে কমেন্ট বক্সে পাঠকগণ খুব সহজেই মন্তব্য করতে পারবেন। আর এটিকে আপনি কাজে লাগিয়ে পরবর্তী সময়ে আরো কোয়ালিটি ফুল মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করতে পারবেন।

এনগেজমেন্ট তৈরি

সম্মানিত পাঠক আপনাকে কনটেন্ট তৈরির পাশাপাশি কনটেন্টের এংগেজমেন্ট তৈরি করার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সহকারে মাথায় রাখতে হবে। আপনি কি ভাবছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রোফাইল তৈরি করলেই আপনাকে সবাই ফলো দিবে? এটা ভাবা নিতান্তই বোকামি। এটার উত্তর হবে অবশ্যই না। আপনি যদি আপনার প্রোফাইলে ফলোয়ার বৃদ্ধি করতে চান তাহলে সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ভালো ভালো মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। 

কারণ মানুষ আপনার প্রোফাইল দেখে আপনাকে ফলো করবে না বরং আপনার প্রোফাইলের কাজ দেখে ফলো করবে। আর তার জন্য আপনি চেষ্টা করবেন ভালো ভালো কোয়ালিটি ফুল সম্পূর্ণ নিয়মিত কন্টেন্ট তৈরি করার। এতে করে আপনার প্রোফাইলে এনগেজিং তৈরি হবে। আরেকটি বিষয় লক্ষ্য রাখবেন এমনভাবে কনটেন্ট গুলোর লিখবেন যেন মানুষ আপনার লেখা কন্টেনগুলোতে কমেন্ট বক্সে মন্তব্য করে লাইক দেয় পাশাপাশি শেয়ার করে। 
কনটেন্ট মূলত বিভিন্ন ধরনের হতে পারে সেটা ভিডিও আকারে হতে পারে, ছবি আকারেও হতে পারে, আবার পোস্ট আকারে হতে পারে। আর সেই কন্টেন্ট গুলো আপনি নিয়মিত আপনার প্রোফাইলে পাবলিস্ট করবেন। আপনি যখন আপনার প্রোফাইলে নিয়মিতভাবে কনটেন্ট গুলো পাবলিস্ট করতে থাকবেন, তখন একসময় আপনার এংগেজিং দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকবে। আপনি যদি আপনার প্রোফাইলে ভালো ভালো কনটেন্ট পাবলিস্ট করতে পারেন, তাহলে পাঠক আপনার কনটেন্টে অবশ্যই লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করবে। আর একটি ভাল কনটেন্টে অবশ্যই এনগেজিং বৃদ্ধি পেতে থাকে।

কন্টেন্ট মার্কেটিং এর গুরুত্ব

কন্টেন্ট মার্কেটিং এর গুরুত্ব
  • Return on investment বা অনলাইনে ভিজিবিলিটি বৃদ্ধি করেঃ কন্টেন্ট রাইটিং Return on investment বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। অর্থাৎ গুগল সহ আরো অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন আপনার কনটেন্ট গুলোকে পছন্দ করে। আপনি যদি নিয়মিত মানসম্মত মানের কনটেন্ট তৈরি করেন এবং আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিস্ড করেন তাহলে সাচ ইঞ্জিন রেজাল্টে আপনার আপনার ওয়েবসাইট বা কনটেন্ট গুলো সবার প্রথম দিকে শো করবে। ঠিক তখনই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা মানুষেরা আপনার পণ্য, সেবা বা কনটেন্ট সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারবে।
  • Brand Awareness বা ব্র্যান্ডের সচেতনতা বৃদ্ধি করেঃ বর্তমান সময়ে প্রত্যেকেই তাদের নিজ নিজ ব্যান্ড নিয়ে সচেতন থাকে। যাতে করে তাদের ব্র্যান্ড সকলের কাছে বিশ্বাস তথা অর্জন করতে পারে। মূল্যবান ও গুরুত্ব পূর্ণ তথ্য এবং আকর্ষণীয় ও রোমাঞ্চকর গল্পের মাধ্যমেই আপনার কনটেন্ট গুলোকে আকর্ষণীয় করে তুলুন। তাহলে মানুষ আপনার এই কনটেন্ট গুলোকে পড়ে আপনার সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দৃঢ় বিশ্বাস জন্মাবে। ফলে আপনার ব্রান্ডের প্রতি মানুষ আকৃষ্ট হবে। এতে করে আপনার ব্যান্ডের গভীরতা ও বিশ্বস্ততা প্রকাশ পাবে। সুতরাং কনটেন্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি আপনার পণ্য বা ব্র্যান্ড সম্পর্কে সঠিক মেসেজ বা সুস্পষ্ট ধারণা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন।এর মাধ্যমেই একটি ফ্রেন্ড তৈরি হয়ে যাবে এবং এটি ব্যবসার ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং আপনার কাঙ্খিত কাস্টমার বা গ্রাহকদের মনে আপনার পণ্য বা সেবা সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা তৈরি করবে।
  • লিড জেনারেট করবেঃ লিট জেনারেট এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার কাঙ্খিত গ্রাহকদের খুঁজে নিতে পারবেন এবং আপনার ব্যবসার পণ্যগুলো ক্রয় করার প্রতি তাদেরকে অনুপ্রাণিত করতে পারবেন। আর মূলত আপনার যাবতীয় পণ্য কিনতে আগ্রহী গ্রাহকদেরকেই লিড বলা হয়ে থাকে। লিড জেনারেট করার ক্ষেত্রে কনটেন্ট মার্কেটিং সব চাইতে এগিয়ে রয়েছে। কারণ এখানে কিছু কৌশল অবলম্বন করলে আপনার ডিজাইন করা কন্টেন্ট গুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আকর্ষণীয় ও তথ্যবহুল পোস্ট,ইনফোগ্রাফিক, ভিডিও বা অন্যান্য ধরনের যাবতীয় কনটেন্ট তৈরি করার মাধ্যমে এপ্রোপিয়েট অডিয়েন্স বা কাঙ্খিত গ্রাহকদের মনোযোগ আকর্ষণ করে তাদেরকে আকৃষ্ট করতে পারবেন। এর মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা মানুষ আপনার সাথে যুক্ত হতে, ইমেইল লিস্টে সাবস্ক্রাইব করতে এবং আরো বেশি বেশি জানতে আগ্রহী হবে। ফলে আপনি খুব সহজেই এই লিড লিস্ট যাচাই-বাছাই করে তাদেরকে পেইড কাস্টমার বা গ্রাহকে পরিণত করতে পারবেন।
  • গ্রাহকদের আপনার প্রতি বিশ্বাস ও সম্পর্ক দৃঢ় হবেঃ কন্টাক্ট মার্কেটিং এর ফলে গ্রাহকদের আপনার প্রতি বিশ্বাস ও সম্পর্ক মজবুত হবে। একটি ব্যবসা কে সফলভাবে টিকিয়ে রাখার জন্য গ্রাহকদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে তাদের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করা অপরিহার্য। এক্ষেত্রে কনটেন্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি নিজেকে একজন পরামর্শদাতা ও বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন। এর ফলে মানুষ আপনার প্রতি বিশ্বাস রেখে আপনার কথা ও পরামর্শ গ্রহণ করবে। আর এভাবেই আপনি আপনার টার্গেট অডিয়েন্স বা কাঙ্খিত গ্রাহকদের বিশ্বাস অর্জন করে তাদের সাথে সুসম্পর্ক দৃঢ় করতে পারবেন।
  • বিক্রি অধিক হারে বৃদ্ধি করেঃ বর্তমান সময়ে প্রতিযোগিতামূলক এই বাজারের টিকে থাকতে হলে শুধুমাত্র পণ্যের উপর নির্ভর করা খুবই কঠিন। কারণ বর্তমান সময়ে অডিয়েন্স বা গ্রাহকেরা শুধুমাত্র সেরা দাম ও সেরা বৈশিষ্ট্যই চায় না বরং তারা এমন কোম্পানিগুলোকে চাই যারা তাদের বুঝে এবং চাহিদা পূরণ করে। তবে আপনি যখন সঠিক নিয়ম মেনে মানসম্মত টেক্সট, ভিজুয়াল, অডিও, ভিডিও কনটেন্ট মার্কেটিং করতে পারবেন তখন আগের তুলনায় আপনার পণ্য বিক্রি সম্ভবনা কয়েকগুণ হয়ে যাবে। এটা শুধুমাত্র অডিয়েন্স বা গ্রাহকদের মনোযোগ আকর্ষণই করে না বরং তাদের যাবতীয় পণ্য কেনার সিদ্ধান্ত নিতে বিশেষভাবে সহায়তা করে। এইজন্যই তথ্যবহুল কন্টেন্ট ও বিশ্বাসযোগ্য ব্র্যান্ডিং এর মাধ্যমেই বিক্রি আরো কয়েক গুণ বেড়ে যায়।

লেখকের ইতি কথাঃ কন্টেন্ট মার্কেটিং কি? - ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কনটেন্ট রাইটিং এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

সম্মানিত পাঠক, আশা করি উপরোক্ত আলোচনা গুলো থেকে কন্টেন্ট মার্কেটিং কি? - ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কনটেন্ট রাইটিং এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা এ বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। সারাবিশ্বে বর্তমান সময়ে মানুষ কনটেন্ট মার্কেটিং শিখে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসাকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করে প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে। একটি ব্যবসাকে খুব দ্রুত সফল করতে কনটেন্ট মার্কেটিং করে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে গ্রাহকদের সংখ্যা বহু গুণে বাড়ানো সম্ভব এবং খুব স্বল্প পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। তবে এ বিষয়ে আপনাকে স্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে। 

তাই কন্টেন্ট মার্কেটিং কি? - ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কনটেন্ট রাইটিং এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ে উল্লেখিত বিষয়গুলো জেনে নিলে আপনি খুব সহজেই কনটেন্ট মার্কেটিং ব্যবসা পরিচালনা করে দ্রুত সময়ে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি যদি কনটেন্ট মার্কেটিং করে আপনার অবস্থানকে পরিবর্তন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে কন্টেন্ট মার্কেটিং কি? - ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কনটেন্ট রাইটিং এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে তাহলে আপনি খুব দ্রুতই ব্যবসায় সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন।

সম্মানিত পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থেকে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগের সাথে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে এ ধরনের তথ্যবহুল কার্যকরী ও উপকারী আর্টিকেল নিয়মিত পোস্ট করে থাকি। তাই আপনি যদি এ ধরনের আরও তথ্যবহুল ও উপকারী সব আর্টিকেল পড়তে চান, তাহলে অবশ্যই এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ফলো করুন। সাথে সাথে এ আর্টিকেলটি পরে ভালো লাগলে আপনার নিকট আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজনদের কাছে তাদের উপকারার্থে শেয়ার করে দিন। 

যেন তারা কন্টেন্ট মার্কেটিং কি? - ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কনটেন্ট রাইটিং এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা এ বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি ভালোভাবে জেনে নিতে পারে। কন্টেন্ট মার্কেটিং কি? - ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কনটেন্ট রাইটিং এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা এ বিষয় সম্পর্কে আপনার যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ মতামত বা প্রশ্ন থাকে, তাহলে অবশ্যই নিচে দেওয়া মতামত বক্সে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আবার আপনাদের সাথে কথা হবে নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত নিরাপদ ও সুস্থ থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কনফিডেন্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url