নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর কাজ কি ও দ্রুত সফল হওয়ার উপায় কি? - নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কেন করবেন?
আপনি কি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং শিখে কিভাবে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করা উচিত তা জেনে
খুব দ্রুত স্বল্প পরিশ্রমের মাধ্যমে আপনার ব্যবসাকে সারা বিশ্বব্যাপী সুষ্ঠুভাবে
পরিচালনা করে অনেক টাকা ইনকাম করতে চান? তাহলে আপনার চিন্তার কোন কারণ নেই। কারণ
আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটির মূল আলোচনায় হচ্ছে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর কাজ কি ও
দ্রুত সফল হওয়ার উপায় কি? - নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কেন করবেন? সেই সম্পর্কে। এ
বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যবহুল ও প্রয়োজনীয় আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন দেরি না করে
জেনে নেওয়া যাক!
আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটির মাধ্যমে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর কাজ কি ও
দ্রুত সফল হওয়ার উপায় কি? - নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কেন করবেন? এ বিষয় সম্পর্কে
এমন কিছু ইউনিক ও কার্যকরী তথ্য সম্পর্কে জানাবো, যেগুলিকে কাজে লাগিয়ে আপনি খুব
সহজেই খুব দ্রুত স্বল্প পরিশ্রমের মাধ্যমে আপনার ব্যবসাকে সারা বিশ্বব্যাপী
সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করে প্রতি মাসে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি কি আলোচ্য
বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো জানতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি
শুধুমাত্র আপনার জন্যই। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর কাজ কি ও দ্রুত সফল হওয়ার উপায়
কি? - নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কেন করবেন? এই আর্টিকেলটির সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে
পড়ুন। তাহলে আশা করি আলোচ্য বিষয়ে বিস্তারিতভাবে নির্ভুল সব তথ্য গুলো জানতে
পারবেন। ইনশাআল্লাহ!
পেজ সূচিপত্রঃ
.
ভুমিকা
সারাবিশ্বে বর্তমান সময়ে মানুষ অনলাইন মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে নেটওয়ার্ক
মার্কেটিং করে নিজ ঘরে বসে থেকেই একটু বুদ্ধি খাটিয়ে মাসে অনেক টাকা আয় করছে।
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং হলো বর্তমান সময়ে অনেক টাকা উপার্জন করার সব থেকে জনপ্রিয়
ও সহজ মাধ্যম। তাই সারাবিশ্বে বর্তমান সময়ে মানুষ নেটওয়ার্ক মার্কেটিং শিখে
অনেক মানুষই অন্যান্য কাজের পাশাপাশি এটিকে তাদের পেশা হিসেবে গ্রহন করে আয়ের
অন্যতম উৎস বানিয়ে নিয়েছে।
তাই আপনিও যদি অন্যের গোলামী না করেই নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী মুক্ত পেশাজীবী হিসাবে
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং শিখে ঘরে বসে থেকেই খুব দ্রুত স্বল্প পরিশ্রমের মাধ্যমে
আপনার ব্যবসাকে সারা বিশ্বব্যাপী সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করে প্রতি মাসে অনেক টাকা
ইনকাম করে নিজেকে স্বাবলম্বী করতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং
এর কাজ কি ও দ্রুত সফল হওয়ার উপায় কি? - নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কেন করবেন? এ
বিষয়ে পুরোপুরি ধারণা রাখতে হবে।
আরো পড়ুনঃ অনলাইন মার্কেটিং কি? - অনলাইন মার্কেটিং কিভাবে করব? - অনলাইন মার্কেটিং
করার সেরা ১০টি কৌশল
তাই আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি বিস্তারিতভাবে জানতে
পারবেন নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর কাজ কি ও দ্রুত সফল হওয়ার উপায় কি? -
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কেন করবেন? এ বিষয় সম্পর্কে। এছাড়াও নেটওয়ার্ক মার্কেটিং
কি? নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর কাজ কি? নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায়,
টার্গেট সিলেক্ট করা, সঠিক রোড ম্যাপ তৈরী করা,
মাইন্ড সেট আপ করা, অনলাইন নেটওয়ার্ক মার্কেটিং, নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কেন
করবেন? নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কেমন? এ বিষয়গুলো সম্পর্কেও বিস্তারিত
জানতে পারবেন। তাই আপনি যদি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর কাজ কি ও দ্রুত সফল হওয়ার
উপায় কি? - নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কেন করবেন? এই সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আজকের
এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই কার্যকরী।
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কি?
বর্তমান সময়ে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং বিষয়ে অনেকেরই অজানা। আর আজকে এ নেটওয়ার্ক
মার্কেটিং নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। তাই আপনি যদি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং
করে সফলতা লাভ করতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই
গুরুত্বপূর্ণ,কোন অংশ স্কিপ না করে সম্পন্ন আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সাধারণত নেটওয়ার্ক মার্কেটিং হচ্ছে মাল্টি লেভেলের একটি মার্কেটিং।
বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস গ্রাহকদের কাছে অতি দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার
পরিক্রমাকেই নেটওয়ার্ক মার্কেটিং বলা হয়। মূলত ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন ধরনের
প্রোডাক্ট বা সার্ভিস গ্রাহকদের কাছে বিক্রয়ের জন্য একটি সমন্বয়ক প্রক্রিয়া
হচ্ছে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং একটি দারুন মার্কেটিং
ব্যবস্থাপনা যার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়ীরা তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস
গুলো বিক্রয়ের জন্য সমন্বয় প্রক্রিয়াগুলো অবলম্বন করে থাকেন,
যেখানে ব্যবসায়ীরা তাদের প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব উৎপাদন প্রোডাক্ট এবং কোনো রকম
প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন না করেই খুবই সহজে একসাথে অনেক ব্যক্তিকে দলবদ্ধ করতে
সক্ষম হন। আর তারা তাদের বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট বা সার্ভিসগুলো গ্রাহকের কাছে
বিক্রয়ের জন্য নানা কার্যকরী পদ্ধতি অবলম্বন করেন। এই নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ
একসাথে অনেক ব্যক্তি দলবদ্ধ হয়ে প্রোডাক্ট বিক্রয়ের জন্য কাজ করে থাকেন।
নেটওয়ার্ক মার্কেটাররা নেটওয়ার্ক কোম্পানির মাধ্যমে মূলত প্রোডাক্ট প্রদান শুরু
করে। আর যে নেটওয়ার্ক মার্কেটাররা প্রোডাক্ট সেল করে দেয়, তার জন্য তারা সেখান
থেকে একটা কমিশন পায়। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর কাজ মূলত দলবদ্ধ হয়ে করতে হয়।
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর কাজের ধরনটা অনেকটাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মতো।
যেমন নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করার জন্য প্রথমে অনেকগুলো ব্যক্তি মিলে একসাথে একটি
সংগঠন তৈরি করতে হবে।
তারপর সেই সংগঠনটি নেটওয়ার্ক কোম্পানির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট বা
সার্ভিস গ্রাহকদের নিকট প্রদান করেতে হবে। আর এই প্রোডাক্টগুলো বিক্রয়ের মাধ্যমে
নেটওয়ার্ক মার্কেটাররা সেখান থেকে একটা কমিশন পায়। আপনি যদি নেটওয়ার্ক
মার্কেটিং করতে চান, তাহলে প্রথমে আপনাকে একটি সংগঠন তৈরি করতে হবে। তারপর
নেটওয়ার্ক কোম্পানির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস গ্রাহকদের নিকট
বিক্রয় করতে হবে,
এভাবে আপনি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর সকল কর্মীদেরকে একটি কমিশনের আওতায় নিয়ে
আসতে পারবেন। আপনি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করার জন্য আপনার পার্টনার হিসেবে সংযুক্ত
করার মাধ্যমে এখান থেকে অর্থ উপার্জন করতে হবে। একটি বৈধ ব্যবসায়িক মডেল হচ্ছে
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং। অনেকেই আবার নেটওয়ার্ক মার্কেটিং সম্বন্ধে ভালোভাবে না
জানার কারণে, নেটওয়ার্ক মার্কেটিং নিয়ে বিরূপ মন্তব্য প্রকাশ করেন।
আসলে যে সকল মানুষ বিচক্ষণ তারাই বুঝতে পারবে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কতটা সফল একটি
ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে যেমন ইউরোপ আমেরিকা সহ আরো
বিভিন্ন দেশে প্রায় ৩০% মানুষ নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর সাথে যুক্ত রয়েছেন। তাই
আপনিও যদি চান নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করতে, তাহলে দেরি না করে আজই নেটওয়ার্ক
মার্কেটিং শুরু করে দিন। আপনি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করে ঘরে বসে খুব সহজে প্রচুর
টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর কাজ কি?
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি যেটি ব্যবহারের মাধ্যমে একটি
কোম্পানি তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস গ্রাহকদের নিকট বিক্রয় করতে পারে। এছাড়াও
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এর প্রচার-প্রচারণায় গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং সংগঠন অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানকেও একসাথে
সংযুক্ত করে। ফলে একটি বিশেষ নেটওয়ার্ক তৈরি হয়। মূলত নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর
মূল কাজই হচ্ছে গ্রাহকদের সাথে সংযুক্ত করা।
মার্কেটিং এ কাজ করা সকল ব্যক্তি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং পদ্ধতিতে একে অপরের সাথে
যুক্ত হতে সক্ষম হয়। মূলত নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে প্রথমে
একজন ব্যক্তি একটি মডেলের কাজ শুরু করেন,তারপর পরবর্তী সময়ে আস্তে আস্তে সেখানে
আরোও নতুন নতুন লোক সংযুক্ত করে। ধরুন যে, আপনি কোন একটি প্রতিষ্ঠানের আওতায়
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ যুক্ত হয়েছে, এখন সেখানে আপনি যদি চান, তাহলে আপনি আপনার
বন্ধু-বান্ধব কিংবা আপনার পছন্দমত লোকজন যুক্ত করতে পারবেন।
সাধারণত নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এমএলএম প্রক্রিয়া অনুসরণ করেন। তবে একটু আলাদা
এমএলএম প্রক্রিয়া কারণ, এমএলএম প্রক্রিয়াতে টাকা বিনিয়োগ করতে হয়, আর সেই
টাকা থেকেই আপনি লাভ পাবেন। মূলত নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট
থাকে, আপনি যদি সেই প্রোডাক্টের প্রচার-প্রচারণা করার পর প্রোডাক্টটি গ্রাহকের
নিকট বিক্রয় করেন পাশাপাশি সেখানে আরও নতুন নতুন লোকজন যুক্ত করেন, তাহলে তারাও
উক্ত প্রোডাক্টটি বিক্রয়ের জন্য যুক্ত হয়ে যাবেন।
মূলত এভাবেই নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের লোক যুক্ত হতে থাকেন।
এতে করে নেটওয়ার্ক বিস্তার লাভ করে পাশাপাশি বেশি বেশি প্রোডাক্ট বিক্রি হয়।
মূলত নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর মাধ্যমে খুব দ্রুতই ব্যবসায়িক মডেল ব্যবহার করে
প্রোডাক্ট বা সার্ভিস একাধিক ব্যবহারকারীর নিকট পৌঁছে দেওয়া যায়। মূলত
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং হচ্ছে এখনকার সময়ের একটি ট্রেডিশনাল ব্যবসা।
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং যারা করে তারা দুইভাবে ইনকাম করতে সক্ষম হয় প্রথমটি
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে এবং দ্বিতীয়টি রেফারেল সিস্টেম থেকে। আপনার প্রদান
করা প্রোডাক্ট যদি গ্রাহক ক্রয় করে, তাহলে আপনি সেখান থেকে একটি কমিশন পাবেন।
অনেক বড় বড় ব্যবসায়ীরা বলেন, বড় বড় ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের
প্রচার-প্রচারণা পাশাপাশি বিক্রয়ের জন্য নেটওয়ার্ক মার্কেটিং অন্যতম,
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর জুরি মেলা ভার।
আপনারা যদি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করতে চান, তাহলে অবশ্যই আগে আপনাদের প্রোডাক্ট
গুলো বাজারে বিক্রি করতে হবে এবং বেশি বেশি লোক যুক্ত করতে হবে। তাহলে আপনারা
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করে সফলতা লাভ করতে পারবেন পাশাপাশি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং
করার মাধ্যমে বিপুল পরিমানে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায়
আপনি যে বিষয় নিয়ে কাজ করুন না কেন? আপনি যদি সেই কাজে সফলতা অর্জন করতে চান,
তাহলে অবশ্যই সেই বিষয়ে দক্ষতা থাকা খুবই জরুরী। আপনি যদি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং
করতে চান, তাহলে প্রথমে আপনাকে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর সকল বিষয়ে দক্ষতা অর্জন
করে, তারপর নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কাজ করতে হবে। তাহলে আপনি সফলতা অর্জন করতে
সক্ষম হবেন। আর আপনি যদি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করতে চান,
তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই আর্টিকেলটি মনোযোগ
সহকারে পড়ুন। কারণ পুরো আর্টিকেলে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর বিষয়ে আলোচনা করা।
তাই কোন অংশ স্কিপ না করে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। বর্তমান
সময়ে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করে প্রচুর মানুষ সফলতা অর্জন করছে। আর নেটওয়ার্ক
মার্কেটিং করে তারা মাসে প্রচুর টাকা ইনকাম করছে।
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করার জন্য সাধারণত কোনরকম সার্টিফিকেট কিংবা যোগ্যতার
প্রয়োজন পড়ে না। শুধু প্রয়োজন নিজের বুদ্ধিমত্তা এবং নেটওয়ার্ক মার্কেটিং
বিষয়ে দক্ষতা, তাহলে খুব সহজেই নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর কাজ করতে পারবেন।
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করার জন্য ধৈর্য এবং পরিশ্রম দুটোই প্রয়োজন, তাহলে দেখবেন
খুব সহজেই আপনি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করে সফলতা লাভ করতে পারছেন।
আপনার যদি দক্ষতা থাকে, নেটওয়ার্ক মার্কেটিং বিষয়ে, আর আপনার যদি ধৈর্য্য না
থাকে তাহলে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং আপনার জন্য না। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করার জন্য
ধৈর্য এবং নেটওয়ার্ক মার্কেটিং বিষয়ে দক্ষতা দুটোই আবশ্যক। কেননা নেটওয়ার্ক
মার্কেটিং হচ্ছে একটি ধৈর্যের কাজ। যেটা আপনাকে দক্ষতা দিয়ে ধৈর্য ধরে করে যেতে
হবে। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং বিষয়ে আপনি যদি সফলতা লাভ করতে চান,
তাহলে আপনাকে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ সফল হওয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপায়
সম্পর্কে জানতে হবে, তাহলে আপনি খুব সহজেই নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করে সফলতা লাভ
করতে পারবেন। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং আপনি যদি করতে চান, তাহলে প্রথমে আপনার
মানসিকতা চেঞ্জ করতে হবে। আপনি যে কাজই করুন না কেন আপনার মানসিকতা যদি চেঞ্জ
করতে না পারেন, তাহলে আপনি কখনোই ব্যবসায় সফলতা পাবেন না।
আপনার এখন মনে হতে পারে আমার মানসিকতা তো ভালো কি চেঞ্জ করব? আরে ভাই মানসিকতা তো
ভালো ঠিক আছে কিন্তু আপনি যখন একটা নতুন ব্যবসা শুরু করবেন, ব্যবসার ছোট হোক
কিংবা বড় আপনার মাথায় এটা ঢুকিয়ে নিতে হবে যে, আপনি একটা ব্যবসা শুরু করছেন,
তাহলে দেখবেন দ্রুতই ব্যবসা সফলতা লাভ করবেন। এছাড়াও আপনি যখন ব্যবসা শুরু করবেন
তখন আপনার সাথে যে লোকজন গুলোকে রাখবেন,
সেই লোকজন গুলো বিশ্বস্ত পাশাপাশি মেধাবী হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। কারণ একটা
ব্যবসা টিকিয়ে রাখা পাশাপাশি ব্যবসায়ী সফলতা লাভ করার জন্য বিশ্বস্ত এবং মেধাবী
মানুষের প্রয়োজন। শিক্ষার কোন বয়স নাই কথাটি যেমন ঠিক, তেমনি আপনি যখন ব্যবসা
করবেন তখন সবসময় দক্ষতা অর্জন করবেন যে বিষয় নিয়ে আপনি কাজ করবেন সেই বিষয়ে।
বুদ্ধিমান মানুষগুলোর সাথে আপনার ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করবেন, তাহলে দেখবেন অনেক
ক্রিয়েটিভ ক্রিয়েটিভ আইডিয়া পাচ্ছেন।
ব্যবসাতে লাভ ক্ষতি দুটোই থাকবে এই জন্য আপনি যদি ব্যবসা না করা চিন্তা করেন,
তাহলে কিন্তু আপনি কখনোই সফলতা লাভ করতে পারবেন না। আপনার মাথায় এটা ঢুকিয়ে
নিতে হবে, ব্যবসায় লাভ ক্ষতি হবে এটাই স্বাভাবিক। আপনি যখন কোন ব্যবসা করবেন,
তখন কখনোই অতিরিক্ত লাভের কথা চিন্তা করবেন না। নাহলে কিন্তু ব্যবসায় কখনোই
সফলতা অর্জন করতে পারবেন না।
আপনি যখন নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসাটি শুরু করবেন, তখন নিজের মনকেই প্রশ্ন
করবেন নেটওয়ার্ক মার্কেটিং আপনি কেন করতে চান? এই প্রশ্নের উত্তরটা খুঁজবেন আপনি
যদি এই প্রশ্নটার উত্তর খুঁজে বের করতে পারেন, তাহলে আপনি সফলতা লাভ করতে পারবেন।
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ সফল হওয়ার জন্য আরো কিছু ইউনিক উপায় গুলো নিজে উল্লেখ
করা হয়।
- আপনি যদি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করে সফলতা লাভ করতে চান, তাহলে অবশ্যই একটি বিষয় মাথায় রাখবেন আপনি যে প্রোডাক্টটি বেছে নিচ্ছেন সেটির মার্কেট যেন চাহিদা সম্পন্ন থাকে। এছাড়াও নীতিমালা এবং সংগঠনের লক্ষ্য সাথে মিল থাকে।
- নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ সফল হওয়ার জন্য মার্কেট ক্যাম্পেইন গুলোর মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্টগুলোর প্রচার-প্রচারণা ভালোভাবে করবেন পাশাপাশি আকর্ষণীয় এবং মানসম্পন্ন বিজ্ঞাপন তৈরি করতে কাস্টমারদের সামনে প্রদর্শন করবেন।
- নেটওয়ার্ক মার্কেটিং নিয়ে বেশি বেশি মার্কেটিং করবেন, যেন আপনি খুব দ্রুতই নতুন নতুন লোকজন যুক্ত করতে পারেন এবং আপনার সংগঠন বড় করতে পারেন।
- আর সবচেয়ে বড় বিষয়টি হচ্ছে, নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর সফলতা অর্জন করতে চাইলে, ধৈর্য পাশাপাশি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং বিষয়ে দক্ষতা বেশি বেশি অর্জন করবেন।
- নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর যে নেটওয়ার্কগুলোতে কাজ করবেন তার আগে ভালোভাবে বিচার বিবেচনা করে তারপর কাজ করতে লাগবেন।
- এছাড়াও যখন নেটওয়ার্ক মার্কেটিং নিয়ে আপনি কাজ করবেন, তখন আত্মবিশ্বাসের সাথে কাজ করবেন। আপনি যদি দৃঢ় আত্মবিশ্বাস নিয়ে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কাজ করেন, তাহলে অবশ্যই সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
- প্রাথমিক অবস্থাতে যারা নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর কাজ করে কমিশন লাভ করে, তাদের নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কাজের প্রতি আরো বেশি আগ্রহ বৃদ্ধি পায়, তাই চেষ্টা করবেন নতুনরা যেন অল্প সময়ের ভিতরে কমিশন পাই।
- এছাড়াও প্রোডাক্টের বিষয়ে কখনো মিথ্যা প্রচার-প্রচারণা করবেন না গ্রাহকদের মিথ্যা আশ্বাস দিবেন না।
টার্গেট সিলেক্ট করা
মূলত নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে সঠিক টার্গেট নির্ধারণ করে কাজ
করা। আপনি আপনার ক্যারিয়ার টাকে কিভাবে বিল্ড আপ করবেন ভালোভাবে বুঝে, সেই
অনুযায়ী আপনি নেটওয়ার্কিং তৈরি করুন, তাহলে সবচাইতে ভালো হবে। আপনি যদি
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং সফলতা অর্জন করতে চান, তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে আপনার নিজের
টার্গেট সিলেক্ট করে নিতে হবে। আপনি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করে আপনার ক্যারিয়ারটা
কোন পর্যায়ে নিয়ে যেতে চান?
আপনার স্বপ্নের ক্যারিয়ার কি? সেই লক্ষ্যটা আপনাকে আগে নির্ধারণ করে নিতে হবে।
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করে আপনি ভবিষ্যতে কি করতে চান? নেটওয়ার্ক মার্কেটিং নিয়ে
আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি? আপনি বর্তমানে কোন পর্যায়ে আছেন, ভবিষ্যতে
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করে কোন পর্যায়ে যেতে চান? এগুলো যাচাই-বাছাই করে
পর্যবেক্ষণ করে নিন, তাহলে আপনি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করে সাফল্য লাভ করতে
পারবেন।
আপনি সুখী জীবন যাপন করার জন্য আপনি আপনার পূর্ণ সত্তাকে কোথায় খুঁজে পেতে চান,
সেই বিষয়গুলো নিয়ে আপনি রিসার্চ করুন। পাঁচ বছর পর আপনার লক্ষ্য কি সেটাই
ভাবুন? আর এই সকল লক্ষ্য অনুযায়ী আপনি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করতে পারেন ,তাহলে
আপনি আগামী পাঁচ বছর পর আপনার নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ কত লোকজন যুক্ত হবে সেই
বিষয়টি খুব সহজেই হিসাব করতে পারবেন। সব কিছু টার্গেট নির্ধারণ করা হয়ে গেলে
আপনি সেই অনুযায়ী এগিয়ে যেতে পারবেন।
সঠিক রোড ম্যাপ তৈরী করা
একজন নেটওয়ার্ক মার্কেটারের যেমন নেটওয়ার্ক মার্কেটিং বিষয়ে পুরোপুরি ভাবে
জানা খুবই জরুরী, ঠিক তেমনি একজন নেটওয়ার্ক মার্কেটার সঠিক পথে এগোচ্ছে কি না
ভালোভাবে যাচাই বাছাই করা খুবই প্রয়োজন। তাই বড় বড় যারা মার্কেটে রয়েছেন,
তারা বলেন মার্কেটিং এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সঠিক রোড ম্যাপ। আপনি
যদি সঠিক রাস্তা বিবেচনা করতে না পারেন, তাহলে আপনার টার্গেট যতই সঠিক হোক আপনি
সঠিক গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন না।
আপনাকে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ সফল হওয়ার জন্য অবশ্যই সঠিক পথে এগোতে হবে। যেমন
পাঁচ বছর পর আপনার পজিশন কি হবে? পাঁচ বছর পর আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি? পাঁচ
বছর আগেই পরিকল্পনা করে রেখেছেন। প্রথমে আপনাকে সঠিক রোড ম্যাপ তৈরি করতে
হবে,তারপর সেই অনুযায়ী একটি নকশা তৈরি করতে হবে। যেন আপনি অনেক ব্যক্তি যুক্ত
করতে পারেন আপনার নেটওয়ার্কে।
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কিভাবে করতে হবে এই বিষয়টি অনেকাংশে নির্ভর করে আপনি কতজন
ব্যক্তির সাথে যুক্ত আছেন। যেই পথে আপনি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করে সফলতা অর্জন
করতে পারবেন,মূলত আপনাকে সেই পথে পরিচালিত হতে হবে। তাই সঠিক রোড ম্যাপ এ চলুন
এবং সে অনুযায়ী একটি নকশা তৈরি করুন, যেন অন্যান্য ব্যক্তি অ্যাড করতে পারেন।
তাহলে আপনার সংগঠন যেমন বড় হবে ঠিক তেমনি এখান থেকে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে
পারবেন।
মাইন্ড সেট আপ করা
প্রত্যেক মানুষের সফলতার পিছে অনেক কঠিন গল্প থাকে। আপনি যদি মনে করেন, আপনি
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং শুরু করেই নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ সফলতা অর্জন করবেন, তাহলে
সেটি ভুল। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করার জন্য ধৈর্য এবং দক্ষতা দুটোই প্রয়োজন।
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ধৈর্য এবং দক্ষতা দিয়ে করে যেতে হবে। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং
এ আপনি পুরোপুরি ভালোভাবে মনঃনিবেশ করতে না পারেন, তাহলে আপনি সেই কাজ করে কখনো
সফলতা অর্জন করতে পারবেন না।
তাই নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে পুরোপুরি ভাবে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং
এর উপরেই মনোনিবেশ করে কাজ করতে হবে। ধরুন যে আপনি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ কাজ
শুরু করেছেন, একটি মানুষকে যুক্ত করেছেন, পরবর্তী সময়ে সেই মানুষটি কাজ নাও করতে
পারে, এক্ষেত্রে আপনার ভেঙে পড়লে হবে না, ধৈর্য ধরে কাজের প্রতি ফোকাশ করে,
সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
আপনার কাজের উপর পুরোপুরি মনোনিবেশ করুন, যেন নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ আপনার
মাইন্ড সেট আপ সঠিকভাবে হয়। আপনি যদি ভালোভাবে মনোনিবেশ করে নেটওয়ার্ক
মার্কেটিং করতে পারেন, তাহলে কাজ করেও মজা পাবেন, খুব সহজেই সফলতা অর্জন করতে
পারবেন।
অনলাইন নেটওয়ার্ক মার্কেটিং
বর্তমান সময়ে নেটওয়ার্ক মার্কেটিংয়ের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
জনপ্রিয়তা বাড়বেই বা না কেন? নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর মাধ্যমে মানুষ এতো সুবিধা
পাচ্ছে। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট গ্রাহকের কাছে
খুব সহজেই পৌঁছানো যায়। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কাজটা অনেকটাই অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটিং এর মতো। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ যেমন কাজ করে নির্দিষ্ট পরিমাণে
কমিশন পাওয়া যায়,
ঠিক তেমনি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করেও নির্দিষ্ট পরিমাণে কমিশন পাওয়া যায়।
আরেকটি মজার বিষয় হচ্ছে আপনি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ফুল টাইম কিংবা পার্ট টাইম যে
কোন সময় কাজ করে কমিশনের অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। আপনি যদি অফলাইনে মার্কেটিং
করে থাকেন, তাহলে অফলাইন মার্কেটিং করার পাশাপাশি আপনাকে অবশ্যই অনলাইন
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং সম্পর্কে ভালোভাবে দক্ষতা রাখা খুবই জরুরী। কেননা বর্তমান
যুগ হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তির যুগ।
তাই এই ডিজিটাল যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য নিজেকে অবশ্যই আপডেট করে চলতে
হবে। আর নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করার জন্য আপনি আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনের
সাহায্যে কিংবা ভিডিও চ্যাটের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করার জন্য অনেক মানুষ
সিলেক্ট করতে পারেন। এছাড়াও অনলাইন প্লাটফর্মে আপনার বিপরীত লোকটিকে অবশ্যই
ভাবনার সুযোগ দিবেন, যেন নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর সকল খুঁটিনাটি বিষয়ে জিজ্ঞাসা
করে উপযুক্ত সমাধান পেতে পারেন।
অনলাইনে নেটওয়ার্কিং করার একটি দারুন সুবিধা হচ্ছে আপনি ভালো ভালো প্রশ্ন তৈরি
করে, ভিডিওর মাধ্যমে সেগুলো সকলের কাছে প্রচার করতে পারেন। এছাড়াও সোশ্যাল
মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর বিভিন্ন বিষয়ে সকলকে
আপডেট দিতে পারবেন। এছাড়াও আপনার সংগঠনে নতুন নতুন লোকজন যুক্ত করতে পারবেন।
অডিয়ান্সদের দেখে বুঝতে পারবেন, কোন মানুষটি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করার জন্য
আগ্রহী বা কোন মানুষটি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করতে আগ্রহী না।
এতে করে আপনি যাদের দেখে বুঝতে পারবেন নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করতে তারা আগ্রহী
তাদের আপনি কাজে লাগাতে পারবেন। যেই অডিয়েন্সটা আপনার কাছে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং
শিখতে আগ্রহ প্রকাশ করবে, তাদের প্রশ্নগুলো মনোযোগ সহকারে শুনে তারপর সমাধান করে
দিবেন। এছাড়াও আরেকটি দারুন সুবিধা হচ্ছে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ কোনরকম
বিনিয়োগ করার প্রয়োজন পড়ে না। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করার যে ইউনিক ও কার্যকরী
উপায় গুলো রয়েছে সেগুলো যদি আপনি অবলম্বন করে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করেন,
তাহলে খুব সহজে সফলতা অর্জন করতে পারবেন। ব্যবসায়িক মডেলে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং
এর মাধ্যমে খুবই দ্রুত প্রোডাক্ট এক জায়গা থেকে অন্য অন্য জায়গায় পৌঁছানো
সম্ভব। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর আরেকটি সুবিধা হচ্ছে আপনি যদি নেটওয়ার্ক
মার্কেটিং এর একজন ছোট প্রতিনিধি হিসেবেও যুক্ত হন, তাহলে পরবর্তী সময়ে আপনি
পার্টনার যুক্ত করে আপনার টিম বৃদ্ধির মাধ্যমে একসময় আপনি বড় নেটওয়ার্ক
মার্কেটার হতে পারবেন।
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কেন করবেন?
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করার জন্য অনেকগুলো যৌক্তিক কারণ রয়েছে। তাহলে চলুন জেনে
নেওয়া যাক সেই যৌক্তিক কারণগুলো কি?
- নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করতে গেলে প্রথমত নির্দিষ্ট কোন শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন হয় নাঃ নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে এবং পুরোপুরি সফল হতে নির্দিষ্ট কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা বা অভিজ্ঞতার দরকার হয় না। তবে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে শেখার যথেষ্ট ইচ্ছা, পুরোপুরি সঠিক ভাবে মনোনিবেশ ও যথাযথ পরিশ্রমের মাধ্যমেই যে কেউই এই নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসা শুরু করে খুব সহজেই সফল হতে পারে।
- প্রশিক্ষণ ও যথাযথ সহযোগিতার ব্যবস্থা রয়েছেঃ নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে বিশ্বের বড় বড় কোম্পানি গুলো তাদের নতুন নতুন ডিস্ট্রিবিউটরদের জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণ, পরিপূর্ণ সাপোর্ট ও প্রয়োজনীয় সবধরনের রিসোর্স প্রদান করে থাকেন।যাতে করে আপনি খুব সহজে দক্ষ হয়ে উঠতে পারেন এবং আপনার ব্যবসাকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারেন।
- আত্ম-উন্নতি ও নেতৃত্বের সুযোগ রয়েছেঃ নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে বিশ্বের বড় বড় কোম্পানি গুলোর দেওয়া বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ, সাপোর্ট ও রিসার্চ প্রদানের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আত্ম উন্নতি করতে পারবেন। সাথে সাথে আপনি আপনার যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারবেন। নেতৃত্বের গুণাবলী অর্জন করতে পারবেন এবং বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের দক্ষতা পুরোপুরি শিখে নিতে পারবেন। আর এই অভিজ্ঞতা গুলোকে কাজে লাগিয়ে আপনি আপনার বাস্তব জীবনে ও ব্যবসার ক্ষেত্রেও খুব দ্রুতই সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
- অল্প পরিমাণ মূলধনে ব্যবসা শুরু করা যায়ঃ নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আপনি খুব অল্প পরিমাণ মূলধনকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। কারণ এখানে সদস্যপদ ফি ছাড়া আর অন্য কোন মূলধন বা পুঁজির প্রয়োজন হয় না। আবার আপনি চাইলে কোম্পানির পণ্য বিক্রি করেও আয় শুরু করতে পারবেন। এজন্য এখানে বিনিয়োগের ঝুঁকিটা একেবারেই কম থাকে।
- স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছেঃ নেটওয়ার্ক মার্কেটিং আপনি আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী সময়ের নিয়ন্ত্রণ করে আপনার মর্জি মতো বা পছন্দ অনুযায়ী পুরোপুরি সময় বা কিছু সময় দিয়ে চাকরি বা অন্য যেকোনো কাজের পাশাপাশি এটি করতে পারবেন।
- সামাজিক যোগাযোগ বা নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থাকে সম্প্রসারিত করা যায়ঃ নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করতে গেলে অনেক সময় আপনি বিভিন্ন ধরনের মানুষের সাথে প্রেক্ষাপট অনুযায়ী সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবেন। এর মাধ্যমে আপনি আপনার আত্ম-উনতি ও পেশাগত জীবনে অনেক সমৃদ্ধি ও সফলতা অর্জন করতে পারবেন। আর এই সম্পর্ক তৈরি এবং সম্পর্ক সঠিকভাবে বজায় রাখার এটি একটি দারুণ মাধ্যমে।
- সারা বিশ্বব্যাপী কাজ করার সুযোগ রয়েছেঃ নেটওয়ার্ক মার্কেটিং একটি গ্লোবাল প্লাটফর্ম হওয়ার কারণে আপনি নিজেকে একজন দক্ষ ডিস্ট্রিবিউটর করে গড়ে তুলে সারা বিশ্বব্যাপী আপনার ব্যবসাকে সম্প্রসারিত করতে পারবেন।
- দীর্ঘমেয়াদী ব্যবসা পরিচালনার সম্ভাবনা রয়েছেঃ আপনি যদি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করে কঠোর পরিশ্রম করার মাধ্যমে একটি বড়, শক্তিশালী ও মজবুত টিম গঠন করতে পারেন, তাহলে এটিই আপনার দীর্ঘমেয়াদী ব্যবসার সফলতার দারকে উন্মুক্ত করে দিবে। আর আপনি যদি আপনার টিমকে আরো বড় করতে পারেন তাহলে দিন দিন আপনার ইনকাম দ্বিগুণহার বৃদ্ধি হতে থাকবে।
- দীর্ঘমেয়াদী আয় ও প্যাসিভ ইনকামের যথাযথ সুযোগ রয়েছেঃ নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনি যদি একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারেন তাহলে সে নেটওয়ার্কের আওতায় থাকা টিমের ব্যক্তিদের বিক্রয় থেকে আপনি অটোমেটিক্যালি নিয়মিত আয় করতে পারবেন। আর এই নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর সব থেকে ভালো দিক বা সুবিধা হলো এখানে যথাযথভাবে প্যাসিভ ইনকামের সুযোগ রয়েছে। কারণ এখানে কাজ করার সময় আপনার একটি বড়, মজবুত ও শক্তিশালী টিম থাকবে। তখন আপনি ইনকাম না করলেও তাদের কাজের উপর ভিত্তি করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার আয় হতে থাকবে।
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কেমন?
সাধারণত বর্তমান সময়ে এই ২০২৪ সালে কতটা বিস্তার লাভ করেছেন নেটওয়ার্ক
মার্কেটিং তা আমরা ইন্টারনেট ঘাটাঘাটি করলেই খুব সহজেই উপলব্ধি করতে পারব।
পূর্বের চেয়ে বর্তমানে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কোনো রকম পরিশ্রম ছাড়া ঘরে বসে খুব সহজেই করা যায়। আর এই
২০২৪ সালে এসে আমরা ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারছি যে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর
ভবিষ্যৎ বেশ উজ্জ্বল।
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং আহামরি কোনো কঠিন কাজ নয় বরং খুবই সহজ একটি কাজ। আপনি যদি
নেটওয়ার্ক কোম্পানির আওতায় নতুন নতুন লোকজনকে যুক্ত করতে পারেন, তাহলে তার
বিনিময়ে আপনি সেখান থেকে একটি কমিশন পাবেন। আবার সেখানকার প্রোডাক্টগুলো
গ্রাহকের কাছে বিক্রয়ের মাধ্যমে আপনি আলাদাভাবে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর অনেক জনপ্রিয়তা থাকার ফলে,
বিশ্বজুড়ে বিস্তার লাভ করছে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং পাশাপাশি বৈশ্বিক মানের
সম্প্রসারণ করতে সফল হচ্ছে। বর্তমান সময়ে নেটওয়ার্ক মার্কেটিংয়ের জনপ্রিয়তা
যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, ভবিষ্যতেও নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর জনপ্রিয়তা দিন দিন
বৃদ্ধি পেতেই থাকবে। আর এক সময় নেটওয়ার্ক মার্কেটিং খুবই ভালো পজিশনে চলে যাবে।
সাধারণত সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে কাজ করার জন্য নেটওয়ার্ক মার্কেটিং একটি দ্রুত
গতি পদ্ধতি, যা ব্যবসায়িক ক্রিয়াশীলতাকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়াও অনেক বড় বড় কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যাদের ব্যবসা সম্পূর্ণ
নির্ভরশীল নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর উপর। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ছাড়া বড় বড়
প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির ব্র্যান্ডগুলো প্রচার-প্রচারণা একেবারেই শূন্য। তাই
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং প্রক্রিয়াটি অবলম্বন করে যদি কোন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি
লাভবান হয়, তাহলে এখান থেকেই বোঝা যায় ভবিষ্যতে কখনোই নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর
বিলুপ্তি হবে না বরং নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পেতেই
থাকবে।
বর্তমান সময়ে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর আওতায় প্রতিদিন প্রচুর লোকজন যুক্ত হচ্ছে
এবং নেটওয়ার্ক মার্কেটিং সম্বন্ধে দক্ষতা অর্জন করার পর তারা তাদের নেটওয়ার্ক
মার্কেটিং এর কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আর একজন ব্যক্তি যদি নেটওয়ার্ক
মার্কেটিং বিষয়ে ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করতে পারে, তাহলে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং
এর কাজ করে মাসে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবে। ব্যবসায়িক মডেল এবং প্রযুক্তিগত
পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ নিয়ে নিচে কিছু
গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা কর।
- ডিজিটাল প্লাটফর্মের বিকাশঃ বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার কারণে সারা বিশ্বে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং বিস্তার লাভ করছে পাশাপাশি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং আরো উন্নতির উচ্চ শিখরে পৌঁছে যাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যেমন Facebook, YouTube, Instagram, twitter সহ আরো অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার টুলস ব্যবহার করে, প্রোডাক্টের প্রচার প্রচারণা করা যায়। আর এই বর্তমান সময়ে ডিজিটাল প্লাটফর্ম গুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে বড় আকারের নেটওয়ার্ক খুবই দ্রুত তৈরি করা সম্ভব। আর এখন মানুষজন অনলাইন শপিং পাশাপাশি ডিজিটাল কনফারেন্সে অভ্যস্ত হচ্ছে আর তাই জন্য এগুলোর প্রবণতা ভবিষ্যতে আরো বাড়বে।
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং অটোমেশনের ব্যবহারঃ বর্তমান সময়ে মানুষজন যেভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অটোমেশনের ব্যবহার করছে ভবিষ্যতে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অটোমেশন। মূলত নেটওয়ার্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য (AI) ব্যবহার করতে পারবে। এছাড়াও গ্রাহকদের কাছে প্রোডাক্ট বিক্রয় বৃদ্ধি পাশাপাশি কাস্টোমাইজড অভিজ্ঞতা প্রদান গ্রাহকদের জন্য। (AI) এমন একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, যা ডাটা বিশ্লেষণের সবকিছুর ভবিষ্যৎবাণী করতে পারবে যেমন কোন প্রোডাক্টটি বিক্রয় হবে, কোন প্রোডাক্টের প্রতি গ্রাহকের কেমন প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি।
- বৈশ্বিক সংযোগ এবং বিস্তৃতিঃ বর্তমান সময়ে শুধু একটি অঞ্চল কিংবা একটি দেশে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং সীমাবদ্ধ নই, বরং সারা বিশ্বে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং বিস্তার লাভ করছে। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর মাধ্যমে সারা বিশ্বের মানুষকে একত্রিত করা পাশাপাশি ব্যবসার প্রসারণ ঘটানো দিন দিন আরও সহজ হয়ে যাচ্ছে। ই-কমার্স এর বিকাশ পাশাপাশি ক্রস-কান্ট্রি-ডিস্ট্রিবিউশন এর কারণে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর ব্যবসা যেকোনো সময় পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে ছড়ানো সম্ভব।
- শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ বৃদ্ধিঃ নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসা করার জন্য সর্বপ্রথম নেটওয়ার্ক মার্কেটিং বিষয়ে ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। ভবিষ্যতে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং আরো স্থিতিশীল হয়ে যাবে, কোম্পানির প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করার মাধ্যমে। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ভবিষ্যতে অনলাইন প্রশিক্ষণ সেমিনার এবং ডিজিটাল শিক্ষা সরঞ্জাম এই ক্ষেত্র গুলোতে দারুণ ভূমিকা পালন করবে।
- স্বাস্থ্য এবং ওয়েলনেস পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধঃ বর্তমান সময়ে কম বেশি সকল মানুষেরই স্বাস্থ্য সচেতনতা রয়েছে। আর এই জন্যই ওয়েলনেস প্রোডাক্টগুলোর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মূলত ওয়েলনেস প্রোডাক্টের কোম্পানিগুলোতে বিভিন্ন নেটওয়ার্ক মার্কেটাররা কাজ করে, আর এখান থেকে বোঝা যায় ভবিষ্যতে এটি জনপ্রিয়তা বিস্তার লাভ করবে। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর মাধ্যমে ওয়েলনেস এর প্রোডাক্টগুলো বিক্রয় করা খুবই সহজ হয়ে গেছে। কারণ বর্তমান সময়ে মানুষ স্বাস্থ্য সচেতনতা একটু বেশি তাই স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রোডাক্টগুলো পরিচিতদের কাছ থেকে নিতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
- কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধিঃ বর্তমান সময়ে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে বেকারত্ব। আর এই বেকারত্ব দূর করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং। চাকরির বাজারের সংকট থাকার ফলে মানুষ বিকল্প কর্মসংস্থান খুঁজে নিচ্ছে। আর এক্ষেত্রে বেকারত্ব দূর করতে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং সবচেয়ে সেরা মাধ্যম।
লেখকের ইতি কথাঃ নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর কাজ কি ও দ্রুত সফল হওয়ার উপায় কি? - নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কেন করবেন?
সম্মানিত পাঠক, আশা করি উপরোক্ত আলোচনা গুলো থেকে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর কাজ কি
ও দ্রুত সফল হওয়ার উপায় কি? - নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কেন করবেন? এ বিষয়
সম্পর্কে পুরোপুরি বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। সারাবিশ্বে বর্তমান সময়ে মানুষ
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং শিখে নিজ ঘরে বসে থেকেই একটু বুদ্ধি খাটিয়ে মাসে প্রচুর
টাকা আয় করছে। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে খুব স্বল্প
পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। তবে এ বিষয়ে আপনাকে
স্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে।
তাই নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর কাজ কি ও দ্রুত সফল হওয়ার উপায় কি? - নেটওয়ার্ক
মার্কেটিং কেন করবেন? এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ে উল্লেখিত বিষয়গুলো জেনে নিলে
আপনি খুব সহজেই নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করে দ্রুত সময়ে সফলতার দ্বারপ্রান্তে
পৌঁছাতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি যদি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করে আপনার অবস্থানকে
পরিবর্তন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর কাজ কি ও দ্রুত
সফল হওয়ার উপায় কি? - নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কেন করবেন? এই আর্টিকেলটি মনোযোগ
সহকারে পড়তে হবে তাহলে আপনি খুব দ্রুতই সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন।
সম্মানিত পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থেকে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগের সাথে
পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে এ ধরনের তথ্যবহুল
কার্যকরী ও উপকারী আর্টিকেল নিয়মিত পোস্ট করে থাকি। তাই আপনি যদি এ ধরনের আরও
তথ্যবহুল ও উপকারী সব আর্টিকেল পড়তে চান, তাহলে অবশ্যই এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত
ফলো করুন। সাথে সাথে এ আর্টিকেলটি পরে ভালো লাগলে আপনার নিকট আত্মীয়,
বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজনদের কাছে তাদের উপকারার্থে শেয়ার করে দিন।
যেন তারা নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর কাজ কি ও দ্রুত সফল হওয়ার উপায় কি? -
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কেন করবেন? এ বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি ভালোভাবে জেনে নিতে
পারে। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর কাজ কি ও দ্রুত সফল হওয়ার উপায় কি? - নেটওয়ার্ক
মার্কেটিং কেন করবেন? এ বিষয় সম্পর্কে আপনার যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ মতামত বা
প্রশ্ন থাকে, তাহলে অবশ্যই নিচে দেওয়া মতামত বক্সে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আবার
আপনাদের সাথে কথা হবে নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত নিরাপদ ও সুস্থ
থাকুন।
কনফিডেন্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url