অনলাইন মার্কেটিং কি? - অনলাইন মার্কেটিং কিভাবে করব? - অনলাইন মার্কেটিং করার সেরা ১০টি কৌশল
আপনি কি অনলাইন মার্কেটিং শিখে কিভাবে কাজ করতে হয় তা জেনে মোবাইল, কম্পিউটার বা
ল্যাপটপ দিয়ে অনলাইন মার্কেটিং করে নিজের ঘরে বসে থেকে স্বল্প পরিশ্রমের মাধ্যমে
লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে চান? তাহলে আপনার চিন্তার কোন কারণ নেই। কারণ আজকে
আমাদের এই আর্টিকেলটির মূল আলোচনায় হচ্ছে অনলাইন মার্কেটিং কি? - অনলাইন
মার্কেটিং কিভাবে করব? - অনলাইন মার্কেটিং করার সেরা ১০টি কৌশল সেই সম্পর্কে। এ
বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যবহুল ও প্রয়োজনীয় আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন দেরি না করে
জেনে নেওয়া যাক!
আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটির মাধ্যমে অনলাইন মার্কেটিং কি? - অনলাইন
মার্কেটিং কিভাবে করব? - অনলাইন মার্কেটিং করার সেরা ১০টি কৌশল এ বিষয় সম্পর্কে
এমন কিছু ইউনিক ও কার্যকরী তথ্য সম্পর্কে জানাবো, যেগুলিকে কাজে লাগিয়ে আপনি খুব
সহজেই মোবাইল, কম্পিউটার বা ল্যাপটপ দিয়ে অনলাইন মার্কেটিং করে প্রতি মাসে লক্ষ
লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি কি আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো
জানতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্যই। অনলাইন মার্কেটিং
কি? - অনলাইন মার্কেটিং কিভাবে করব? - অনলাইন মার্কেটিং করার সেরা ১০টি কৌশল এই
আর্টিকেলটির সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আশা করি আলোচ্য বিষয়ে
বিস্তারিতভাবে নির্ভুল সব তথ্য গুলো জানতে পারবেন। ইনশাআল্লাহ!
পেজ সূচিপত্রঃ
.
ভুমিকা
সারাবিশ্বে বর্তমান সময়ে মানুষ অনলাইন মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে অনলাইন মার্কেটিং
করে নিজ ঘরে বসে থেকেই একটু বুদ্ধি খাটিয়ে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে। অনলাইন
মার্কেটিং হলো বর্তমান সময়ে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করার সব থেকে জনপ্রিয় ও সহজ
মাধ্যম। তাই সারাবিশ্বে বর্তমান সময়ে মানুষ অনলাইন মার্কেটিং শিখে অনেক মানুষই
এটিকে তাদের পেশা হিসেবে গ্রহন করে আয়ের অন্যতম উৎস বানিয়ে নিয়েছে।
তাই আপনিও যদি অন্যের গোলামী না করেই নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী মুক্ত পেশাজীবী হিসাবে
অনলাইন মার্কেটিং শিখে ঘরে বসে থেকেই লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করে নিজেকে স্বাবলম্বী
করতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে অনলাইন মার্কেটিং কি? - অনলাইন মার্কেটিং কিভাবে
করব? - অনলাইন মার্কেটিং করার সেরা ১০টি কৌশল এ বিষয়ে পুরোপুরি ধারণা রাখতে
হবে।
তাই আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি বিস্তারিতভাবে জানতে
পারবেন অনলাইন মার্কেটিং কি? - অনলাইন মার্কেটিং কিভাবে করব? - অনলাইন মার্কেটিং
করার সেরা ১০টি কৌশল এ বিষয় সম্পর্কে। এছাড়াও অনলাইন মার্কেটিং কি? অনলাইন
মার্কেটিং কিভাবে করব? অনলাইন মার্কেটিং কৌশল, অনলাইন মার্কেটিং এ সহজ ১০টি কৌশল
ও সফল্য নিশ্চত, ওয়েব সাইট ও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO), কনটেন্ট ও
মার্কেটিং বৃদ্ধির কৌশল, (PPC) পে পার ক্লিক বা পিপিসি বিজ্ঞাপন,
অনলাইন মার্কেটিং সাইট, সোশ্যাল মিডিয়া অনলাইন মার্কেটিং বাংলাদেশ, ইমেইল
মার্কেটিং, ব্যবসা টিকিয়ে রাখার কৌশল, অনলাইন মার্কেটিং এর সুবিধা কি? এ
বিষয়গুলো সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই আপনি যদি অনলাইন মার্কেটিং কি?
- অনলাইন মার্কেটিং কিভাবে করব? - অনলাইন মার্কেটিং করার সেরা ১০টি কৌশল সম্পর্কে
জানতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই কার্যকরী।
অনলাইন মার্কেটিং কি?
ইন্টারনেটের বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে, যখন কোন ব্যক্তি তারা
তাদের বিজনেসের প্রোডাক্টের প্রচার-প্রচারণা এবং সেবা গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানোর
জন্য,অনলাইনের মাধ্যমে তখন যেই প্রচার-প্রচারণা গুলো করে, সেই প্রচার-প্রচারণার
প্রক্রিয়াকেই মূলত অনলাইন মার্কেটিং বলা হয়। ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি শাখা
হচ্ছে অনলাইন মার্কেটিং। আপনি যখন অনলাইনের বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাটফর্ম বেছে নিবেন
প্রোডাক্ট বিক্রয়ের জন্য, প্রোডাক্টের প্রচারণার জন্য, তখন সেটা হবে অনলাইন
মার্কেটিং।
সাধারণত অফলাইনে মার্কেটিং করার জন্য মার্কেটারদের কাস্টমারদের কাছে ঘুরে ঘুরে
প্রোডাক্ট বিক্রয় করা লাগে। কিন্তু অনলাইনে মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা
রয়েছে,অনলাইনে প্রোডাক্ট বিক্রয়ের জন্য গ্রাহকের কাছে যাওয়া লাগে না। অনলাইনের
মাধ্যমে প্রোডাক্ট বিক্রয় করা যায়। গ্রাহক যখন অনলাইনের মাধ্যমে প্রোডাক্ট
পছন্দ করে অর্ডার করে, তখন অনলাইনের মাধ্যমে অর্ডার কনফার্ম করে, প্রোডাক্ট
গ্রাহকের বাসায় কুরিয়ারের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হয়।
আর এভাবেই অনলাইন এর মাধ্যমে প্রোডাক্ট বিক্রয় করা হয়। সাধারণত অনলাইন
মার্কেটিং হচ্ছে একটি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম যেখানে ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়ে
প্রোডাক্ট ক্রয় বিক্রয় করেন। সাধারণত অনলাইন মার্কেটিং এর ওয়েবসাইট,সোশ্যাল
মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, (SEO) সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, (PPC) পে
পার ক্লিক প্রভূতি উপায় গুলো অবলম্বন করে মার্কেটাররা মূলত প্রোডাক্টের
প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে প্রোডাক্ট বিক্রয় করে থাকেন।
বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বে অনলাইন মার্কেটিং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং সারা
বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করছে। আবার অনেকেই মনে করেন অনলাইন কিংবা অফলাইনে মার্কেটিং
করে ব্যবসা করাটা অনেক সহজতর, মোটেও না এই মন্তব্যটি নিতান্তই ভুল। কারণ অফলাইনে
মার্কেটিং করে হোক কিংবা অনলাইনে মার্কেটিং করে হোক, যেভাবেই আপনি ব্যবসা করুন না
কেন?
আপনাকে অবশ্যই অনলাইন মার্কেটিং বিষয় কিছু দক্ষতা এবং অনলাইনে মার্কেটিং এর কিছু
ইউনিক কার্যকারী কৌশল অবলম্বন করে ব্যবসা করতে হবে, তাহলে আপনি সফলতা অর্জন করতে
পারবেন। তাই জন্য আপনারা যারা অনলাইন মার্কেটিং করতে চাচ্ছেন, তারা অবশ্যই অনলাইন
মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে, জ্ঞান অর্জন করে, তারপর অনলাইন মার্কেটিং
শুরু করবেন,তাহলে অবশ্যই সফলতা অর্জন করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
অনলাইন মার্কেটিং কিভাবে করব?
অনলাইন মার্কেটিং কিভাবে করবেন? আপনি কি সেই সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আজকের এই
আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ,কোন অংশ স্কিপ না করে, সম্পন্ন
আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। ধরুন যে, আপনি একটি নতুন বিজনেস শুরু করেছেন।
শুধু বিজনেস শুরু করলে তো হবে না, আপনাকে আপনার বিজনেস পাশাপাশি বিজনেসের
প্রোডাক্ট সম্পর্কে সকলকে জানাতে হবে।
মানুষকে জানাতে হবে যে আপনার বিজনেস এর প্রোডাক্ট গুলো মানুষের জন্য কতটা উপকারী?
সেগুলো মানুষ ব্যবহারের করলে কতটা লাভবান হবে,সেই সকল বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে
জানাতে হবে। আর আপনি যদি আপনার প্রোডাক্টের ভালো দিক গুলো একবার মানুষের সামনে
ভালোভাবে তুলে ধরতে পারেন, তাহলে আপনার প্রোডাক্ট এর বিক্রয় দিন দিন বৃদ্ধি পেতে
থাকবে। দিন দিন আপনার ব্যবসার প্রসারণ বিস্তার লাভ করবে।
আপনাদের যাদের বিজনেস রয়েছে, আপনারা আপনাদের প্রোডাক্টের মার্কেটিং এমনভাবে
করবেন, যেন গ্রাহকের আগ্রহ আপনাদের প্রোডাক্টের প্রতি বৃদ্ধি পায়। আপনি যদি
বিজনেসের প্রডাক্টের অনলাইন মার্কেটিং করার সময় কিছু ইউনিক কার্যকরী কৌশল গুলো
অবলম্বন করে আপনি আপনার প্রোডাক্ট এর মার্কেটিং করেন, তাহলে অতি দ্রুত আপনার
বিজনেসের প্রসার হবে।
আর আপনি যতো ভালোভাবে মার্কেটিং করতে পারবেন, আপনার প্রোডাক্টের প্রচারণা করতে
পারবেন, ততো আপনার প্রোডাক্ট সেল হবে। কথায় তো আছে প্রচারেই প্রসার। আপনার
বিজনেস এর যতোগুলো প্রোডাক্ট রয়েছে দক্ষতার সহিত মার্কেটিং এর মাধ্যমে সবার
সামনে তুলে ধরবেন। আপনারা আপনাদের বিজনেসের প্রডাক্টগুলো বিভিন্ন ধরনের
মার্কেটপ্লেস অনলাইন প্লাটফর্ম যেমন Facebook, YouTube, Instagram, twitter
ইত্যাদিতে মার্কেটিং করে,খুব সহজেই আপনারা আপনাদের ব্যবসার প্রসারণ ঘটাতে
পারবেন।
প্রিয় পাঠক, এছাড়াও আরো অনেক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখানে আপনারা
মার্কেটিং করে খুব সহজেই আগের চাইতে আরো বেশি সেল বৃদ্ধি করতে পারবেন। এরকম একটি
প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) একটি অনলাইন মার্কেটিং
প্ল্যাটফর্ম।মূলত আপনারা গুগলে আপনাদের ওয়েবসাইটকে প্রথম পেজে র্্যাংক মাধ্যমেও
প্রচুর প্রোডাক্ট সেল করতে পারবেন। অনলাইনে মার্কেটিং করতে পারবেন এরকম কিছু
মার্কেটিং এর সেক্টরের নাম নিচে উল্লেখ করা হলো।
- ই-মেইল মার্কেটিং
- কনটেন্ট মার্কেটিং
- সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
- অনলাইন অ্যাডভার্টাইজিং
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
অনলাইন মার্কেটিং কৌশল
সাধারণত বর্তমান সময়ে অনলাইন মার্কেটিং এর চাহিদা দিন দিন প্রচুর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তাই আপনারা যদি যেকোনো ধরনের বিজনেসে সফলতা অর্জন করতে চান, তাহলে অবশ্যই সেই
বিষয় নিয়ে আপনাদের আগে রিসার্চ করতে হবে। আপনি যদি সে সকল বিষয়ে সঠিকভাবে
দক্ষতা অর্জন করতে পারেন, তাহলে আপনি যে কোন ব্যবসায় সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটের এই সহজলভ্যতার কারণে অনলাইন মার্কেটিং এর মাধ্যমে খুবই
সহজে প্রোডাক্ট গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে।
অনলাইন বিজনেসের মাধ্যমে মানুষের অনেক সুবিধা হচ্ছে যেমন ধরুন মানুষকে কষ্ট করে
বাজারে গিয়ে কোন প্রোডাক্ট কিনতে হচ্ছে না, ঘরে বসে ফোনের মাধ্যমে অর্ডার করে
দিলেই প্রোডাক্ট গ্রাহকের বাড়িতে পৌঁছে যায়। এছাড়াও বিক্রেতাদের সুবিধা হচ্ছে
তাদের বাড়তি কোন দোকান ভাড়া লাগছে না পাশাপাশি দোকানে কয়েকজন মানুষ রাখার জন্য
তাদের একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে বেতন দেওয়া লাগে, সেটাও তাদের দিতে হচ্ছে না।
বর্তমান সময়ে তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম মানুষের জীবনকে অনেক
সহজ করে তুলেছে।
এজন্যই তো বর্তমান সময়ে মানুষ ইনকাম করার জন্য অনলাইন প্লাটফর্মকে বেছে নিচ্ছে।
অনেকেই অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে বিজনেস করে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা উপার্জন
করছে। আর একজন বিগিনার যখন অনলাইন মার্কেটিং শুরু করবে, তার ব্যবসাকে টিকিয়ে
রাখার জন্য নানা ধরনের ইউনিক কৌশল অবলম্বন করতে হয়। সেই কৌশলগুলো যদি ভালোভাবে
একজন ব্যবসায়ী রপ্ত করতে পারে, তাহলে খুব সহজে অনলাইন থেকে বিপুল অর্থ উপার্জন
করতে পারবে পাশাপাশি ব্যবসার প্রসারণ ঘটাতে সক্ষম হবেন।
- সর্বপ্রথম আপনাকে অনলাইন মার্কেটিং বিষয়ে যেমন অনলাইন মার্কেটিং কি? অনলাইন মার্কেটিং কিভাবে পরিচালিত করতে হয়? কিভাবে অনলাইন মার্কেটিং সফলতা অর্জন করা যায়? এই সকল বিষয় সম্পর্কে খুবই ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
- অনলাইন মার্কেটিং এর বিভিন্ন বিষয়, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং,সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর সঠিক ব্যবহার,পে পার ক্লিক, কনটেন্ট মার্কেটিং এই সকল বিষয় সম্পর্কে আপনাকে খুবই ভালোভাবে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
- এছাড়াও আপনারা অনলাইন মার্কেটিং কোর্স করার মাধ্যমে অনলাইন মার্কেটিং এর বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। অনলাইন মার্কেটিং বিষয়ে ভালোভাবে আপনার দক্ষতা অর্জন করতে মিনিমাম ৬ মাস সময় লেগে যাবে।
- অনলাইন মার্কেটিং করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কিছু ইউনিক কার্যকরী কৌশল রয়েছে, সেগুলো আপনাকে অবলম্বন করতে হবে পাশাপাশি অনলাইন মার্কেটিং এর কিছু টুলস রয়েছে যেমন Mailchimp, Ahrefs, HubSpot, Canva, Trello এই টুলস গুলো সম্পর্কে আপনার ভালোভাবে ধারণা রাখতে হবে।
- প্রফেশনাল মানের একটি পোর্টফলিও, অনলাইন মার্কেটিং করার জন্য অবশ্যই থাকতে হবে। যা আপনার মার্কেটিং পলিসিকে দ্বিগুণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
- কোনগুলো সঠিক অডিয়েন্স এবং কোন গুলোর টার্গেট অডিয়েন্স এগুলো সম্পর্কে আপনাকে ভালোভাবে বুঝতে হবে। আপনি যে প্রোডাক্টগুলো বিক্রয় করবেন,সেই প্রোডাক্টগুলোর সঠিক গ্রাহকদেরকে আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে।
- এছাড়াও আপনি যখন বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট তৈরি করবেন, তখন একটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখবেন, আপনার কনটেন্ট গুলো যেন সব সময় গ্রাহকদের পছন্দমত হয়, প্রাসঙ্গিক কনটেন্ট হয়। আর আপনি যখন কোন ভিডিও পোস্ট অথবা ব্লগ পোস্ট কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট করবেন, তখন অবশ্যই একটি বিষয় মাথায় রাখবেন, আপনি যে বিষয়গুলো লিখবেন সেগুলো যেন সহজ ভাষায় লেখার চেষ্টা করবেন,যেন গ্রাহক খুব সহজেই বুঝতে পারে।
অনলাইন মার্কেটিং এ সহজ ১০টি কৌশল ও সফল্য নিশ্চত
- এসইও(SEO)
- পে পার ক্লিক (PPC)
- ওয়েবসাইট (Website)
- স্টোরি টেলিং (Story Telling)
- ভিডিও মেইকিং (Video Making)
- কনটেন্ট রাইটিং (Content Writing)
- ইমেইল মার্কেটিং (Email Marketing)
- অডিয়েন্স টার্গেট করা (Audience Targeting)
- সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার (Social Influencer)
- পেইড প্রমোশন বা বুস্টিং (Paid Promotion or Boosting)
ওয়েব সাইট ও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)
SEO এর পূর্ণরূপ হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। মূলত এসইও হচ্ছে একটি
প্রক্রিয়া বা নিয়ম নীতি যেগুলোকে অনুসরণ করে একজন এসইও এক্সপার্ট তার
ওয়েবসাইটের যাবতীয় কনটেন্ট গুলোকে পাঠকদের চাহিদা অনুযায়ী সার্চ করার সাথে
সাথে প্রথমে দিকে প্রদর্শন করে। বর্তমান সময়ে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন হচ্ছে
অনলাইন মার্কেটিং এর প্রধান অংশ। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এমন একটি প্রক্রিয়া
যার মাধ্যমে গুগলের যেকোনো ওয়েবসাইটে সর্বপ্রথম রাঙ্ক এর তালিকা চলে আসে।
আর মূলত গুগলের সবার প্রথমে সেই ওয়েবসাইটটি শো করে। আর তখন সেই ওয়েবসাইটের
প্রোডাক্ট বিক্রয় এবং প্রচার-প্রচারণা সবচেয়ে বেশি হয়। বর্তমান সময়ে সারা
বিশ্বে প্রতিদিন প্রায় হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে। আর সেই
ওয়েবসাইট গুলোতে নিয়মিত কনটেন্ট পাবলিস্ট হচ্ছে। তাই জন্য অনলাইন মার্কেটিং
করার জন্য অবশ্যই একজন মার্কেটারকে ইউনিক ও কার্যকরী কৌশল গুলো অবলম্বন করে SEO
তে এপ্লাই করতে হবে।
যখন আপনার ওয়েবসাইটের এসইও করা ঠিক থাকবে,তখন গুগল লক্ষ লক্ষ ওয়েবসাইটের ভিড়ে
আপনার ওয়েবসাইটকে সার্চ লিস্টের উপরে নিয়ে চলে আসবে। মূলত SEO তিন ভাবে করা
যায় সেগুলো হলো Technical SEO, On Page SEO, Off Page SEO এই তিন পদ্ধতিতে
আপনারা এসইও এর কাজ করতে পারবেন। মূলত এসইও প্রক্রিয়া এককভাবে কাজ না
করাই,বিভিন্ন ধরনের কাজে যুক্ত থাকায় এটিকে বলা হয় সমন্বিত প্রক্রিয়া।
কনটেন্ট ও মার্কেটিং বৃদ্ধির কৌশল
মূলত কনটেন্ট মার্কেটিং হচ্ছে একটি মার্কেটিং টেকনিক। বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট
গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য যেই সকল প্রচার-প্রচারণা করা হয়,তাদের
ব্র্যান্ডের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য, আর এই আকৃষ্ট করাটাই হচ্ছে কন্টেন্ট
মার্কেটিং। কনটেন্ট মার্কেটিং এর কিছু প্রকারভেদ রয়েছে সেগুলো হলো লিখিত বা
রিটেন কনটেন্ট মার্কেটিং, ভিডিও কন্টেন্ট মার্কেটিং, অডিও কনটেন্ট মার্কেটিং,
ইমেজ কনটেন্ট মার্কেটিং ইত্যাদি।
সাধারণত কনটেন্ট গ্রাহকদের কাছে আকর্ষণীয় করার জন্য যে কৌশল গুলো অবলম্বন করা
হয়, মূলত সেটাই হচ্ছে কন্টেন্ট মার্কেটিং। মার্কেটিং বৃদ্ধি করার জন্য যে কৌশল
গুলো অবলম্বন করা হয় সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কন্টেন্ট মার্কেটিং। আপনি যদি
অনলাইনে সফল হতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে অনলাইন মার্কেটিং এর সাইটে কন্টেন্ট
মার্কেটিং করতে হবে, কেননা কোন বিকল্প নেই কন্টেন মার্কেটিং এর।
সাধারণত বর্তমান সময়ে নতুন লিড জেনারেশনের জন্য অনলাইন প্লাটফর্মে কনটেন্ট
মার্কেটিং করা হচ্ছে একটি অন্যতম উপায়। ই-বুক, ব্লগ পোস্ট এবং আরো অন্যান্য
বিষয়ের সাথে কনটেন্ট মার্কেটিং ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছে। আপনার প্রোডাক্ট অথবা
সার্ভিস সম্পর্কে সকলকে ভালোভাবে বোঝানোর জন্য ভালো মানের ক্যামেরা দিয়ে ফটো শুট
করতে হবে পাশাপাশি ভিজুয়াল ইফেক্ট এর সাহায্যে ভিডিওগুলো রুচিসম্মত কনটেন্ট
হিসেবে তৈরি করতে হবে।
কারণ আপনি যদি অনলাইন মার্কেটিং এর মাধ্যমে ব্যবসার প্রসার ঘটাতে চান, তাহলে
আপনার জন্য কনটেন্ট সবচেয়ে বেশি ফলপ্রসূ হবে। আপনি যদি আপনার ব্যবসার প্রসার
ঘটাতে চান, তাহলে যে কোন পদ্ধতির চাইতে সবচেয়ে ভালো হবে কনটেন্ট মার্কেটিং। তবে
কনটেন্ট মার্কেটিং করার জন্য একজন মার্কেটারকে অবশ্যই সেই সম্পর্কে ভালোভাবে দক্ষ
হতে হবে। কারণ একজন মার্কেটার যদি ভালো মানের কন্টেন্ট তৈরি করতে না পারেন, তাহলে
গ্রাহকদের কাছে সেগুলোর কোন ভ্যালু থাকে না।
(PPC) পে পার ক্লিক বা পিপিসি বিজ্ঞাপন
(PPC) এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Pay per click (পে পার ক্লিক)। মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং
এর একটি অন্যতম শাখা হচ্ছে পে পার ক্লিক। আপনি যদি সার্চ ইঞ্জিনের টাকা প্রদান
করেন, তাহলে আপনার সার্চ ইঞ্জিনিয়ার রেজাল্ট সবার উপরে চলে আসবে আর এটাই হচ্ছে
Pay per click (পে পার ক্লিক)। আপনি যদি Pay per click (পে পার ক্লিক) এ
নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা বিনিয়োগ করেন,তাহলে সেখানে বিভিন্ন ধরনের অ্যাড
ক্যাম্পেইন এর মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনের তালিকার শীর্ষে যাওয়া সম্ভব হয়।
এটি মূলত অনলাইনের বিভিন্ন ধরনের কৌশলের মধ্যে একটি। সার্চ ইঞ্জিনের স্পনসার
লিংকগুলোতে আপনার নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড বসানোর জন্য আপনি বিড করতে পারবেন। মূলত এ
ধরনের ক্যাম্পেইন ব্যবহার করে কিওয়ার্ড সার্চ করা যায়। আর সেই কিওয়ার্ডের ধরন
অনুযায়ী আপনার ওয়েবসাইট সর্বপ্রথমে প্রদর্শিত হবে। অনলাইন মার্কেটিং পিপিসি
অ্যাডের একটি দারুণ সুবিধা হচ্ছে বিজ্ঞাপন গুলো লাইভে যেতে খুব বেশি সময়ের
প্রয়োজন হয় না।
খুবই দ্রুত প্রাসঙ্গিক এবং টার্গেটেড গ্রাহকদের তথ্য শুরু হয়ে যায়। নব্বই এর
দশকে অনেক ওয়েবসাইট (PPC) মডেলের আবিষ্কারক হিসেবে দাবি করে যেমন প্ল্যানেড
ওয়াসিস পিপিসি ডকুমেন্ট প্রকাশ করে ১৯৯৬ সালে। মূলত এই ডকুমেন্টে সর্বপ্রথম
পিপিসির কথা জানা যায়। সার্চ ইঞ্জিনের সর্বপ্রথম অ্যাডভার্টাইজিং কনসেপ্ট নিয়ে
আসেন গুগোল ১৯৯৯ সালের শেষ মাসে। তারপর পরবর্তী বছর অক্টোবর মাসে google এওয়ার্ড
এর আবির্ভাব হয়। আর google পিপিসি চালু হয় মূলত ২০০২ সালে।
অনলাইন মার্কেটিং সাইট
বর্তমান সময়ে অনেক মার্কেটার রয়েছে যারা ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অংশ হিসেবে
পিপিসি অ্যাড, এসইও বাদেও আরো বিভিন্ন ধরনের উপায় অবলম্বন করে, যার মাধ্যমে তারা
অনলাইন প্লাটফর্মে অনলাইন মার্কেটিং এর মাধ্যমে সফলতা অর্জন করছে। বর্তমান সময়ে
অনলাইন মার্কেটিং দুই ভাবে করা যায় পেইড মেথড এবং ফ্রি মেথড। কিন্তু অনলাইন
প্লাটফর্মে অনলাইনে মার্কেটিং করার জন্য যে যার পছন্দ মতো উপায়গুলো বেছে নিয়ে
কাজ করছে।
প্রিয় পাঠক, অনলাইন মার্কেটিং বিষয়টি শুনে সহজ মনে হলেও, অনলাইন মার্কেটিং
বিষয়টি কিন্তু একটি জটিল প্রক্রিয়া। অনলাইন প্লাটফর্মে আপনি অনলাইন মার্কেটিং
করার জন্য যতো দক্ষতা ও বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগাবেন, আপনি ততো সফলতা অর্জন করতে
পারবেন। তাই অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কাজ করার জন্য অবশ্যই কিছু ইউনিক ও কার্যকরী
বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে আপনাকে কাজ করে যেতে হবে।
অনলাইন মার্কেটিং এর সেরা ৭টি সাইটঃ
- ফেসবুক।
- টুইটার।
- ইউটিউব।
- ইনস্টাগ্রাম।
- লিংকডইন।
- গুগল প্লাস।
- পিন্টারেস্ট।
সোশ্যাল মিডিয়া অনলাইন মার্কেটিং বাংলাদেশ
বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া অনলাইনে মার্কেটিং করার জন্য এই প্ল্যাটফর্ম গুলোর
গুরুত্ব অপরিসীম। আপনি একটু খেয়াল করলেই দেখতে পাবেনযে, Facebook, YouTube,
twitter সহ আরো অন্যান্য সব সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রোলিং করলে আপনার সামনে বিভিন্ন
ধরনের পণ্য অথবা বিভিন্ন সার্ভিসের বিজ্ঞাপন চলে আসে। আর এটি মূলত অনলাইন
মার্কেটিং এর কারণেই হয়ে থাকে।
আর এই অ্যাড বা বিজ্ঞাপনটি আপনার সামনে উপস্থাপন করার জন্য এর পিছনে একজন ডিজিটাল
মার্কেটার সর্বদা নিয়োজিত রয়েছে। তার কাজই হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের এড ক্যাম্পেইন
রান করা ও এর পরিপ্রেক্ষিতে আমার আপনার সামনে বিভিন্ন ধরনের এড বা বিজ্ঞাপন
প্রদর্শন করা। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ফেসবুক, ইউটিউব এর মত বড় বড়
প্রতিষ্ঠানগুলো বিপুল পরিমাণ ডলার ইনকাম করছে এবং সারা বিশ্বে তাদের ক্ষমতা
বিস্তার করে রেখেছে।
এইজন্যই তো সোশ্যাল মিডিয়াকে ভালোভাবে কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই অনলাইন ব্যবসায়ী
সফলতা অর্জন করা সম্ভব। বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক দর্শক ও গ্রাহক
পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর এই জন্যই মূলত অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের
পণ্য অথবা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন আপনি নিমিষেই বিভিন্ন ধরনের কাস্টমার ও গ্রাহকদের
কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে সব ধরনের গ্রাহক বা
কাস্টমারের উপস্থিতি বজায় রাখা যায়। সাথে সাথে আপনার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বা
কোম্পানির বর্তমান এবং সম্ভাব্য দিকগুলো গ্রাহকদের সাথে সংযোগ স্থাপনে সহায়তা
করে।
ইমেইল মার্কেটিং
ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে সারাবিশ্বের যেকোনো অডিয়েন্স বা গ্রাহকের কাছে খুব
সহজেই রিচ করা বা পৌঁছানো যায়। অর্থাৎ আপনি সারাবিশ্বের যেই অডিয়েন্স বা
গ্রাহকদেরকে টার্গেট করছেন তাদের ইমেইল এড্রেস গুলো যদি আপনি খুঁজে পান, তাহলে
অনলাইন মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আপনার যাবতীয় পণ্যের তথ্য বা সার্ভিসের তথ্যগুলো
খুব সহজেই ইমেইলের মাধ্যমে প্রদান করা যায়।
আর এভাবেই ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার কাঙ্খিত অডিয়েন্স বা গ্রাহকদের
সাথে যোগাযোগ করার মাধ্যমে আপনার অনলাইন ব্যবসা কে দ্রুত বিস্তার করতে পারবেন।
এজন্যই তো একটি প্রসিদ্ধ কথা বলা হয়ে থাকে যে, ইমেইল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে এক
ডলার ইনভেস্ট করলে সেখান থেকে ৪০ ডলার বা তার থেকে বেশি আয় করা যায়। এক্ষেত্রে
অবশ্যই আপনাকে গ্রাহকদের সঠিক ইমেইল গুলো কালেক্ট বা অনুসন্ধান করতে হবে।
গ্রাহকদের সঠিক email গুলো খুঁজে পাওয়া বেশ একটা ঝামেলার বিষয়। তবে আপনি যদি
ইমেইল মার্কেটিং টুলস সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা রাখেন তাহলে এ বিষয়টি আপনার জন্য
অত্যন্ত সহজ হয়ে দাঁড়াবে। সাধারণ প্রক্রিয়ায় আমরা যেভাবে ইমেইল আদান প্রদান
করি এভাবে অনলাইন মার্কেটিং টা খুব বেশি আগানো যাবে না।
তবে আপনি যদি ইমেইল মার্কেটিং এর যাবতীয় টুলস গুলো ব্যবহার করতে পারেন তাহলে
সেগুলোর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই অনলাইন মার্কেটিং সাইটের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা
সব ধরনের অডিয়েন্স বা গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে পারবেন। এজন্য অবশ্যই আপনাকে
অনলাইন মার্কেটিং এর গুরুত্বপূর্ণ কৌশল এবং ইমেইল মার্কেটিং ও ডিজাইন সম্পর্কে
সবকিছু খুব ভালোভাবে বিস্তারিত জানতে হবে।
ব্যবসা টিকিয়ে রাখার কৌশল
বর্তমান সময়টি অনলাইন ভিত্তিক হওয়ার কারণে দিন দিন মানুষের ডিজিটাল মার্কেটিং
বা অনলাইন মার্কেটিং এর বিষয়গুলো নিয়ে ব্যাপকক চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ সব
ধরনের ব্যবসায় সফলতা পাওয়ার জন্য কিছু উপায় অবলম্বন করা আবশ্যক। কার্যকরী কিছু
উপায় অবলম্বন করে ও সঠিক জ্ঞানের মাধ্যমেই সব ধরনের ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখা
সম্ভব।
চাই সেটি অনলাইন কিংবা অফলাইন ভিত্তিক যেকোনো ধরনের ব্যবসা হতে পারে। কার্যকরী
কিছু কৌশল অবলম্বন করে অনেকেই অনলাইন যেকোনো ধরনের ব্যবসায় সফলতার শীর্ষে পৌঁছে
গেছেন কিন্তু যারা শুরু করবেন তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য এবং দ্রুত
ব্যবসায় সফলতা অর্জনের জন্য কিছু গোপনীয় কার্যকরী কৌশল জানা আবশ্যক। নিম্নে
উক্ত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ব্যবসা টিকিয়ে রাখার ৭টি কার্যকরী কৌশলঃ
- প্রথমত আপনাকে অনলাইন মার্কেটিং মূলত কি? অনলাইন মার্কেটিং এ কিভাবে কাজ করতে হয়? এবং অনলাইন মার্কেটিং কিভাবে পরিচালিত হয় সেই সম্পর্কে পুরোপুরি বিস্তারিত ধারণা রাখতে হবে। কারণ অনলাইন মার্কেটিং এ নিজের ব্যবসা কে টিকিয়ে রাখার এটি একটি অন্যতম কৌশল এজন্য এ বিষয়গুলো ভালোভাবে জানা আবশ্যক।
- অনলাইন মার্কেটিং এ ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখার জন্য এর পরিধি কতটুকু, এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন এর যথাযথ ব্যবহার, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, কনটেন্ট মার্কেটিং ও (PPC) বা পে পার ক্লিক সহ যাবতীয় বিষয়গুলোতে সুস্পষ্ট জ্ঞান রাখতে হবে এবং সে মোতাবেক কাজ করতে হবে।
- এক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য সহকারে ৩ মাস অথবা ৬ মাস সময় ব্যয় করে কোর্স করার মাধ্যমে অনলাইন মার্কেটিং এর যাবতীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে দক্ষ হতে হবে।
- ব্যবসাটিকে রাখার জন্য অনলাইন মার্কেটিং এর যাবতীয় কৌশল গুলো অর্থাৎ Ahrefs, HubSpot, Canva, Trello, MailChimp এগুলোর মত অনলাইন মার্কেটিং সম্পর্কিত আরো অন্যান্য যে টুলস গুলো রয়েছে সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার-বিধি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে।
- অনলাইন মার্কেটিং এ নিজের ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখতে ও নিজের ব্যবসাকে সফল করার জন্য অবশ্যই আপনার একটি প্রিমিয়াম ও প্রফেশনাল মানের পোর্টফলিও থাকতে হবে। যেটির মাধ্যমে আপনি আপনার অনলাইন মার্কেটিং পলিসি বা পদ্ধতি গুলোকে আরো উন্নত ও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন। যাতে করে গ্রাহকরা খুব সহজেই আপনার ব্যবসায়িক পণ্যগুলোর প্রতি আকৃষ্ট হয়।
- অডিয়েন্স ও টার্গেট অডিয়েন্স বা সঠিক গ্রাহক/কাস্টমার কোনগুলো সে বিষয়ে ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে। যাতে করে আপনি যে ধরনের পণ্য বা সার্ভিস গুলো সেল করবেন সে সকল পণ্য বা সার্ভিস গুলো খুব সহজেই পাওয়ার জন্য সঠিক কাস্টমাররা আপনাকে খুব দ্রুতই খুঁজে পাই। অথবা আপনার পণ্য বা সার্ভিস গুলো যেন খুব সহজেই সঠিক কাস্টমারের কাছে পৌঁছে যায় এমন পদ্ধতি অবলম্বন করবেন।
- অনলাইন মার্কেটিং বা ব্যবসাতে খুব দ্রুতই সফল হতে হলে অবশ্যই আপনাকে যেকোনো কনটেন্ট তৈরীর সময় খেয়াল রাখতে হবে, যেন আপনার কনটেন্ট গুলো সব সময় সহজ সাবলীল ও প্রাসঙ্গিক হয়। অর্থাৎ সেগুলো হতে পারে ব্লগ পোস্ট,ভিডিও কনটেন্ট, সোশ্যাল মিডিয়ায় যেকোনো ধরনের পোস্ট ইত্যাদি এই ধরনের কাজগুলো করার সময় খেয়াল রাখতে হবে, যেন আপনার তৈরি কৃত বিষয়গুলো খুব সহজ ও সাবলীল হয় এতে করে খুব সহজেই কাস্টমার বা অডিয়েন্সরা বুঝতে পারবে।
প্রিয় পাঠক উপরোক্ত টিপস ও ট্রিকস গুলো ফলো করলেই আপনি অনলাইন মার্কেটিং এ
যেকোনো ধরনের ব্যবসাকে ধরে রাখতে পারবেন এবং খুব সহজেই সফল হতে পারবেন।
অনলাইন মার্কেটিং এর সুবিধা কি?
অনলাইন মার্কেটিং এর মাধ্যমে খুব সহজেই দ্রুততম সময়ে স্বল্প খরচে যেকোনো পণ্য বা
সেবা অডিয়েন্সের কাছে পোঁছানো যায় বলে ডিজিটাল মার্কেটিং সারা বিশ্বে
ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটিং, অনলাইন মার্কেটিং
এর আরো অনেক সুবিধা বিদ্যমান, চলুন জেনে নেওয়া যাক ডিজিটাল মার্কেটিং ও অনলাইন
মার্কেটিং এর উল্লেখযোগ্য সুবিধাসমূহ সম্পর্কে।
- ১. (Global reach) বা বিশ্বব্যাপী পৌঁছানো, অর্থাৎ অনলাইন মার্কেটিং এর সুবিধা গুলোর মধ্যে অন্যতম সুবিধা হচ্ছে এটি এমন একটি প্লাটফর্ম যার মাধ্যমে আমরা ইন্টারনেট সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে থেকেই সারা বিশ্বব্যাপী ক্রেতা বা গ্রাহকদের কাছে যেকোনো ধরনের পণ্য বা সেবা খুব দ্রুত পৌঁছানো যায়।
- ২. (Lower cost) বা খরচ কম, অর্থাৎ ট্রাডিশনাল মার্কেটিং বা অফলাইন মার্কেটিং এর চেয়ে অনলাইন মার্কেটিং এ খরচ কম হয়। কারণ এতে ব্যবসায়ীরা প্র্যাকটিক্যাল এর চাইতে বেশি লাভবান হতে পারে। আবার খুব অল্প খরচ করে যে কেউই অনলাইন মার্কেটিং এর মাধ্যমে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে। এতে করে খুব অল্প খরচে যেকোনো ধরনের পণ্য বা সেবা বিশ্বব্যাপী গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানো যায়।
- ৩. (Personalization) বা ব্যক্তিগতকরণ, অর্থাৎ এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বোঝা যায় যে কারা পণ্যটি দেখছে বা কারা পণ্যটি পেতে আগ্রহী। উক্ত বিষয়গুলো বুঝে শুনে সে অনুযায়ী গ্রাহকদের সাথে পরবর্তী করণীয় কি হবে সেটা ঠিক করা যায়। আবার অনলাইন মার্কেটিং প্রক্রিয়ায় গ্রাহকদের একটি ডেটাবেজ সংরক্ষিত থাকে, যা ওয়েবসাইটের সাথে সংযুক্ত থাকে। এর ফলে ওয়েবসাইটটি ভিজিট করা মাত্রই গ্রাহকদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানা যায়।
- ৪. (Measurable) বা অনুমান ও পরিমাপযোগ্য, অর্থাৎ বিভিন্ন ওয়েব এনালাইটিক্স ও অনলাইন মেট্রিক্স টুলস ব্যবহার করে খুব সহজেই জানা যায় যে কোম্পানি বা ব্যক্তি কর্তৃক ক্যাম্পেইন কতটুকু ফলপ্রসূ হয়েছে। বিশ্বের কতজন মানুষ পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপনটা কতটুকু দেখেছে তা সহজেই তাৎক্ষণিক জানা যায়।
- ৫. (Easy to connect with customer) বা ক্রেতা বা গ্রাহকদের সাথে সংযোগ স্থাপন করা যায়, অর্থাৎ একজন ডিজিটাল মার্কেটার অনলাইন মার্কেটিং এর যাবতীয় কৌশল অবলম্বন করে অডিয়েন্স বা গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী যেকোনো ধরনের পণ্য বা সার্ভিস খুব সহজেই দ্রুত পৌঁছে দিয়ে তাদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারে। কারণ অনলাইন মার্কেটিং এ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলেই গ্রাহকদের সাথে খুব সহজেই কানেক্ট হওয়া যায় এবং তাদের মতামত গুলো খুব সহজে গ্রহণ করা যায়। আবার অনলাইন মার্কেটিং এর প্রভাবে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে একটি সন্দর কানেক্টিভিটি বা সংযোগ গড়ে ওঠে।
- ৬. (Fast response) বা গ্রাহকদের দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানা, অর্থাৎ অনলাইন মার্কেটিং এ ব্যবসার মাধ্যমে প্রদান কৃত পণ্য বা সেবা গুলোর সম্পর্কে গ্রাহকদের প্রতিক্রিয়া তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়। গ্রাহকরা কোন বিষয়টি নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করছে তা খুব সহজে এখান থেকে জানা যায়। আবার অডিয়েন্স এর লাইক, কমেন্ট, শেয়ার, ইত্যাদি বিবেচনা করে অডিয়েন্স আপনার প্রোডাক্টকে ব্যক্তিগতভাবে কিভাবে গ্রহণ করেছে, তা জানতে পারবেন। এভাবে কাস্টমারের সংযুক্ততা আপনার ব্র্যান্ডের ইমেজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এক্ষেত্রে দূরত্ব যতই হোক না কেন, মনে হয় যেন ক্রেতা ও বিক্রেতা খুব কাছাকাছি বা সামনাসামনি যে কোন পণ্যের কেনা-বেচা করছে।
- ৭. (Less risky) বা ঝুঁকি কম, অর্থাৎ অনলাইন মার্কেটিং ব্যবসার ক্ষেত্রে ঝুঁকি কম থাকে কেননা এতে খরচ এবং প্রোডাকশনের পরিমাণ কম রাখা হয়। এজন্য খরচের পরিমাণ কম হয়। আর খরচের পরিমাণ কম হওয়ার কারণে ঝুঁকির আশঙ্কাও অনেকাংশে কমে যায়।
- ৮. ধারাবাহিক উন্নতি, অর্থাৎ অনলাইন মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যবসায় প্রচারণার প্রতিটি ধাপ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন ও প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোন পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করতে পারবেন। ফলে আপনার ব্যবসায়িক কৌশল সবসময়ই আপডেটেড এবং কার্যকর থাকবে। এতে করে আপনি আপনার অনলাইন মার্কেটিং এর ধারাবাহিক উন্নতি সাধন করতে পারবেন।
- ৯. ব্র্যান্ড পরিচিতি বৃদ্ধি, অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়ার যেকোনো প্ল্যাটফর্ম যেমন ব্লগিং ওয়েবসাইট বা ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনার ব্র্যান্ডের পরিচিতি ও উপস্থিতি বাড়ানো সম্ভব। এটি আপনার ব্যবসার দীর্ঘমেয়াদী গ্রাহকদের সাথে দৃঢ় সম্পর্ক স্থাপনে সহায়তা করে।
লেখকের ইতি কথাঃ অনলাইন মার্কেটিং কি? - অনলাইন মার্কেটিং কিভাবে করব? - অনলাইন মার্কেটিং করার সেরা ১০টি কৌশল
সম্মানিত পাঠক, আশা করি উপরোক্ত আলোচনা গুলো থেকে অনলাইন মার্কেটিং কি? - অনলাইন
মার্কেটিং কিভাবে করব? - অনলাইন মার্কেটিং করার সেরা ১০টি কৌশল এ বিষয় সম্পর্কে
পুরোপুরি বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। সারাবিশ্বে বর্তমান সময়ে মানুষ অনলাইন
মার্কেটিং শিখে নিজ ঘরে বসে থেকেই একটু বুদ্ধি খাটিয়ে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয়
করছে। অনলাইন মার্কেটিং করে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে খুব স্বল্প পরিশ্রমের মাধ্যমে
প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। তবে এ বিষয়ে আপনাকে স্পষ্ট ধারণা রাখতে
হবে।
তাই অনলাইন মার্কেটিং কি? - অনলাইন মার্কেটিং কিভাবে করব? - অনলাইন মার্কেটিং
করার সেরা ১০টি কৌশল এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ে উল্লেখিত বিষয়গুলো জেনে নিলে
আপনি খুব সহজেই অনলাইন মার্কেটিং করে দ্রুত সময়ে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে
পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি যদি অনলাইন মার্কেটিং করে আপনার অবস্থানকে পরিবর্তন করতে
চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে অনলাইন মার্কেটিং কি? - অনলাইন মার্কেটিং কিভাবে করব? -
অনলাইন মার্কেটিং করার সেরা ১০টি কৌশল এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে
তাহলে আপনি খুব দ্রুতই সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন।
সম্মানিত পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থেকে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগের সাথে
পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে এ ধরনের তথ্যবহুল
কার্যকরী ও উপকারী আর্টিকেল নিয়মিত পোস্ট করে থাকি। তাই আপনি যদি এ ধরনের আরও
তথ্যবহুল ও উপকারী সব আর্টিকেল পড়তে চান, তাহলে অবশ্যই এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত
ফলো করুন। সাথে সাথে এ আর্টিকেলটি পরে ভালো লাগলে আপনার নিকট আত্মীয়,
বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজনদের কাছে তাদের উপকারার্থে শেয়ার করে দিন।
যেন তারা অনলাইন মার্কেটিং কি? - অনলাইন মার্কেটিং কিভাবে করব? - অনলাইন
মার্কেটিং করার সেরা ১০টি কৌশল এ বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি ভালোভাবে জেনে নিতে
পারে। অনলাইন মার্কেটিং কি? - অনলাইন মার্কেটিং কিভাবে করব? - অনলাইন মার্কেটিং
করার সেরা ১০টি কৌশল এ বিষয় সম্পর্কে আপনার যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ মতামত বা
প্রশ্ন থাকে, তাহলে অবশ্যই নিচে দেওয়া মতামত বক্সে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আবার
আপনাদের সাথে কথা হবে নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত নিরাপদ ও সুস্থ
থাকুন।
কনফিডেন্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url