কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও কিসমিসের যাদুকরী উপকারিতা - সেক্সে কিসমিসের উপকারিতা

আপনি কি আপনার সৌন্দর্য ও যৌবনকে ধরে রাখতে চান? তাহলে আপনার চিন্তার কোন কারণ নেই। কারণ আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটির মূল আলোচনায় হচ্ছে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও কিসমিসের যাদুকরী উপকারিতা - সেক্সে কিসমিসের উপকারিতা সেই সম্পর্কে। নিচে এ বিষয়ে বিস্তারিত ও তথ্যবহুল ও কার্যকরী আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক!
কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও কিসমিসের যাদুকরী উপকারিতা - সেক্সে কিসমিসের উপকারিতা
আমরা অনেকেই হয়তো জানিই না কিসমিসে কি কি ধরনের ঔষধি গুনাগুন উপকারিতা ও পুষ্টিগুণে ভরপুর রয়েছে। এ বিষয়ে না জানার কারণে আমরা অনেকেই এই খাবারটিকে অবহেলা করে থাকি বা নিয়মিত খায় না। তাই আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটির মাধ্যমে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও কিসমিসের যাদুকরী উপকারিতা - সেক্সে কিসমিসের উপকারিতা এ বিষয় সম্পর্কে এমন কিছু ইউনিক ও কার্যকরী তথ্য সম্পর্কে জানাবো, যেগুলিকে কাজে লাগিয়ে আপনি খুব সহজেই কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও কিসমিসের যাদুকরী উপকারিতা - সেক্সে কিসমিসের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিয়ে নিজের সৌন্দর্য ও যৌবনকে ধরে রাখতে পারবেন। আপনি কি আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো জানতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্যই। এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আশা করি কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও কিসমিসের যাদুকরী উপকারিতা - সেক্সে কিসমিসের উপকারিতা বিষয়ে বিস্তারিতভাবে নির্ভুল সব তথ্য গুলো জানতে পারবেন। ইনশাআল্লাহ!
পেজ সূচিপত্রঃ
.

ভুমিকা

মহান আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি প্রতিটি ফল-ফলাদিতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতায় ভরপুর রয়েছে। তন্মধ্যে কিসমিস হলো অন্যতম। এই কিসমিসের নানা ধরনের ঔষধি গুনাগুন সহ বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা রয়েছে। ফলে কিসমিস নিয়মিত খেলে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা গুলো খুব সহজেই পাওয়া যায়। আর বিশেষ করে কিসমিস প্রতিটি মানুষের শরীরকে ফিট করে রাখার জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
তাই আজকের এই আর্টিকেলটির সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও কিসমিসের যাদুকরী উপকারিতা - সেক্সে কিসমিসের উপকারিতা সম্পর্কে। এছাড়াও কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা, কিসমিস খাওয়ার অপকারিতা/কিসমিসের ক্ষতিকর দিক, কিসমিস কখন খেলে ভালো হয়? প্রতিদিন/দৈনিক কয়টি কিসমিস খাওয়া উচিত?

শুকনো কিসমিস খেলে কি হয়? কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার নিয়ম, কিসমিস খাওয়ার নিয়ম, সকালে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা, সেক্সে কিসমিসের উপকারিতা, খেজুর ও কিসমিস এর উপকারিতা এ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই আপনি যদি কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও কিসমিসের যাদুকরী উপকারিতা - সেক্সে কিসমিসের উপকারিতা এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই কার্যকরী।

কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

কিসমিস স্বাস্থ্যের জন্য দারুন উপকারি একটি ফল। এটি মূলত আঙ্গুর শুকিয়ে তৈরি করা হয়। কিসমিস মূলত প্রাচীনকাল থেকেই ক্যালরির চমৎকার উৎস হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। কিসমিস যেমন স্বাদে অতুলনীয় ঠিক তেমনি এর স্বাস্থ্য উপকারিতা অপরিসীম। এই কিসমিস মানব দেহের আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে এবং রক্তের লাল কণিকার পরিমাণ বাড়ায় পাশাপাশি শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখে।

সাধারণত কিসমিস আপনারা শুকনো খাবার থেকে যদি পানিতে ভিজিয়ে খান, তাহলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন। নিয়মিত আপনি যদি কিসমিস পানিতে ভিজিয়ে খান,তাহলে আপনার শরীরের অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যাবে, পাশাপাশি আপনার শরীরের রক্ত পরিষ্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এই কিসমিস। কার্বোহাইড্রেট পর্যাপ্ত পরিমাণে কিসমিসে থাকায় এর মিষ্টত্ব শরীরকে শক্তির যোগান দেয়।
ফলে শরীরের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। কিসমিসের প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকায় স্নায়ুতন্ত্রে রক্ত প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণে রাখে পাশাপাশি হৃদপিন্ডের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূরীভূত করে। এছাড়াও কিসমিস লিভার ও কিডনির জন্য অনেক উপকারী। বিভিন্ন ধরনের রান্নার ক্ষেত্রেও কিসমিস ব্যবহার করা হয়। রান্নায় কিসমিস ব্যবহারের ফলে রান্নার স্বাদ কয়েক গুণ বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও আপনারা বিভিন্ন ধরনের ড্রাই ফ্রুটের স্বাদ আরো কয়েকজন বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য কিসমিস অ্যাড করে খেতে পারেন,খেতেও অনেক ভালো লাগবে পাশাপাশি অনেক উপকারও পাবেন। নিচে আরো কিছু কিসমিসের স্বাস্থ্য উপকারিতা জেনে নেওয়া যাক।
কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও কিসমিসের যাদুকরী উপকারিতা - সেক্সে কিসমিসের উপকারিতা
  • ত্বকের জন্য উপকারীঃ নিয়মিত কিসমিস খেলে কিসমিস ত্বককে ভেতর থেকে বিভিন্ন ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে পাশাপাশি কোষকে যে কোন ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়। কিসমিসের প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান থাকায় ত্বকের কোষ, কোলাজেন, এবং ইলাস্টিনের থেকে ফ্রি-Radicle গুলোকে বাধাগ্রস্থ করে। ফলে ত্বকের বলিরেখা, ত্বকের দাগ ছোপ দূরীভূত করে পাশাপাশি তারুণ্যতা ধরে রাখতে সহায়তা করে।
  • ওজন বৃদ্ধিতে উপকারীঃ অনেকে ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগেন। আপনারা যদি স্বাস্থ্য ভালো করতে এবং ওজন বৃদ্ধি করতে চান, তাহলে আপনারা নিয়মিত কিসমিস খেতে পারেন। কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে ফ্রকটোজ ও গ্লুকোজ বিদ্যমান থাকায় শরীরের শক্তির যোগান দেয় পাশাপাশি শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল জমতে দেয় না, ওজন বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • ক্যান্সার প্রতিরোধে উপকারীঃ মূলত কিসমিসে এন্টিকার্সিনো ক্যাটেচিন নামক যৌগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান থাকে। এটি মূলত ফ্রি-Radicle কার্যকলাপ থেকে শরীরকে রক্ষা করে। ক্যাটেচিনে পলিফেলন যৌগ বিদ্যমান রয়েছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
  • রক্তস্বল্পতায় উপকারীঃ ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং আয়রন কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান রয়েছে। যার ফলে শরীরে রক্ত বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। লোহিত রক্ত কণিকা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে কিসমিসে বিদ্যমান থাকা তামা।
  • সংক্রামণের চিকিৎসায় সাহায্য করেঃ কিসমিসের বিদ্যমান রয়েছে পলিফেনলিক ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট যা আন্টি-ইনফ্লামেটরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নামে সুপরিচিত। সাধারণত কিসমিস এন্টিব্যাকটেরিয়াল হওয়ায় জ্বরের ঝুঁকি কমায় পাশাপাশি ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করতে সহায়তা করে। তাই আপনি যদি নিয়মিত কয়েকটি করে কিসমিস খান, তাহলে আপনার ঠান্ডা সহ বিভিন্ন ধরনের সংক্রামণ রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ কিসমিসের বিদ্যমান রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পলিফেনলের মতো অন্যান্য যৌগ যা বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। এগুলো আমাদের ইমিউন সিস্টেম কে গঠন করতে সহায়তা করে পাশাপাশি ফ্রী-Radical এর সাথে যুদ্ধ করে সিস্টেমকে স্থিতিশীল করে এবং শ্বেত রক্তকণিকা সহ শরীরের বিভিন্ন ধরনের কোষগুলিকে অক্সিডেটিভ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বিদ্যমান থাকায় শরীরের পরিপাক ক্রিয়ায় দ্রুত কাজ করে। ফলে খুবই দ্রুত হজম হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূরীভূত হয়।
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেঃ কিসমিসের প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম বিদ্যমান রয়েছে। আর এই পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাধারণত শরীরের রক্তচাপ বাড়ার প্রধান কারণ হচ্ছে উচ্চমাত্রার সোডিয়াম। আর প্রতিদিন নিয়মিত কিসমিস খাওয়ার ফলে শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • ঘুম ভালো হয়ঃ স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল। আর এই স্বাস্থ্যকে ভালো রাখার জন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো খুবই জরুরী। ঘুম ভালো না হলে শারীরিক, মানসিক অসুস্থতা দেখা দেয়। আর প্রতিদিন ভালো ঘুমের জন্য কিসমিস দারুন কাজ করে। কিসমিসে বিদ্যমান রয়েছে আয়রন, যা ভাল ঘুম হতে সহায়তা করে। মূলত আয়রন হিমোগ্লিবিং এর মাত্রা বৃদ্ধি করে পাশাপাশি বিপাকক্রিয়া উন্নত করে এবং মানসিক অবসাদ দূর করে। এছাড়াও কিসমিস খাওয়ার ফলে ভালো ঘুম হয়, পাশাপাশি শরীর ও মন দুটোই প্রফুল্ল রাখে।
  • গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করেঃ কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম বিদ্যমান রয়েছে। মূলত এটি এসিডিটি দূর করতে দারুন কাজ করে। নিয়মিত কিসমিস খাওয়ার ফলে শরীরের টক্সিক অপসারণ হবে এবং গাউট, কিডনিতে পাথর,আর্থ্রাইটিস,হৃদরোগ প্রভূতি প্রতিরোধে খুবই উপকারী ভূমিকা পালন করে।
  • হাড়ের স্বাস্থ্যবর্ধনঃ কিসমিসে বিদ্যমান রয়েছে পটাশিয়াম যা দাঁত ও হাড় গঠনের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও কিসমিসে বিদ্যমান রয়েছে বোরন নামক এক মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট যা দ্রুত হাড় গঠনে খুবই কার্যকরী পাশাপাশি শরীরকে ক্যালসিয়াম দ্রুত শুষে নিতে সহায়তা করে। নারীদের মধ্যে অস্ট্রিয়োপোরোসিস জয়েন্ট ও হার গঠনের জন্য বোরন মেনোপজ দারুন উপকারি। সাধারণত শরীরে অল্প পরিমাণে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট প্রয়োজন হয়, কিন্তু এর গুরুত্ব অপরিসীম।
  • মুখের দুর্গন্ধ দূর করেঃ কিসমিসে বিদ্যমান রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, যার ফলে মুখের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পাশাপাশি দুর্গন্ধ দূর করতে সহায়তা করে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ কিসমিস হচ্ছে ভিটামিন বি এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি ফল। এটি খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে পাশাপাশি সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।
  • দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধিতেঃ কিসমিসে বিদ্যমান রয়েছে ভিটামিন এ এবং বিটা-ক্যারোটিন যার দৃষ্টি শক্তিকে প্রখর করতে সাহায্য করে।
  • মনোযোগ ও বৃদ্ধির বিকাশঃ শিশুদের বুদ্ধির বিকাশে দারুন কাজ করে কিসমিস। এতে বিদ্যমান থাকা বোরন যে কোন কাজে মনোযোগী করতে সহায়তা করে।
  • ত্বকের যত্নেঃ সাধারণত কিসমিসে বিদ্যমান রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, মিনারেল, এগুলো ত্বকের কোলাজেন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, কপার, ভিটামিন বি৬ এর মতো বিভিন্ন ধরনের উপকারী উপাদান বিদ্যমান রয়েছে এই কিসমিস। মূলত কিসমিস অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুনা গুনে ভরপুর। যা ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে দারুন কার্যকরী কাজ করে। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। নিয়মিত কিসমিস খাওয়ার ফলে ত্বকের বলিরেখা দূর হয়, ঘুম ভালো হয় এবং ত্বককে করে তোলে উজ্জ্বল, প্রাণবন্ত, লাবণ্যময়ী। প্রতিদিন ৮-১০টি কিসমিস পানিতে ভিজিয়ে রাখুন ৪-৫ ঘন্টা পর পানি সহ কিসমিস খেয়ে ফেলবেন। এক সপ্তাহের ভিতরে আপনি আপনার ত্বকের পরিবর্তন বুঝতে পারবেন।

কিসমিস খাওয়ার অপকারিতা/কিসমিসের ক্ষতিকর দিক

সাধারণত আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে কিসমিস খান, তাহলে আপনার স্বাস্থ্যের কোন ধরনের ক্ষতি হবে না। কিন্তু আপনি যদি অধিক পরিমাণে প্রতিদিন কিসমিস খান, তাহলে শরীরের পক্ষে সেটা ক্ষতিকর। তাহলে চলুন নিচে জেনে নেওয়া যাক কিসমিস খাওয়ার অপকারিতা গুলো কি কি?
  • যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা যদি অধিক পরিমাণে কিসমিস খেলে ডায়াবেটিসের মাত্রা বাড়তে পারে।
  • যাদের অ্যালার্জি জনিত সমস্যা রয়েছে তারা যদি কিসমিস খায়, তাহলে তাদের অ্যালার্জি জনিত সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
  • এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ গ্রস্থ ব্যক্তিদের সপ্তাহে ১-২ বার এর বেশি কিসমিস খাওয়া উচিত নয়।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে কিসমিস সেবনের ফলে বমি, ডায়রিয়া প্রভূতি সমস্যা দেখা দেয়।
  • প্রচুর পরিমাণে কিসমিস খেলে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • তাছাড়া কেউ যদি পরিমাণের চেয়ে বেশি কিসমিস খায়, তাহলে তাদের পেটে ব্যথা, এসিডিটি এবং হজমে ব্যাঘাত হতে পারে।
  • এছাড়াও যারা ওজন কমাতে চান তারা কিসমিস খাবেন না, কারণ কিসমিস শরীরকে স্বাস্থ্যবান করে।

কিসমিস কখন খেলে ভালো হয়?

কিসমিস একটি পুষ্টিগুণে ভরপুর খাবার। আপনি যদি পরিপূর্ণভাবে কিসমিসের উপকার পেতে চান, তাহলে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে সকালবেলা ভেজানো কিসমিস অথবা কিসমিস ভেজানো পানি নিয়মিত প্রতিদিন পান করুন। কিসমিস মূলত রাতভর পানিতে ভিজিয়ে রাখলে কিসমিসে বিদ্যমান থাকা পুষ্টি উপাদান পানির সাথে খুব সহজেই দ্রবণীয় হয়ে যায়। তখন এই কিসমিস ভেজানো পানির গুনাগুন হাজার গুনে বেড়ে যায়।
আর এই পানি পান করলে কিসমিসের বিভিন্ন ধরনের উপকার আপনার শরীর পাবে। তাই আপনি যদি প্রতিদিন সকাল বেলা খালি পেটে কিসমিস ভেজানো পানি এবং কিসমিস খান তাহলে বিভিন্ন ধরনের উপকার পাবেন। কিসমিস ভিজিয়ে সপ্তাহে অন্তত পক্ষে চারদিন খাবেন।

কিসমিস খাওয়ার নিয়ম

সাধারণত আঙ্গুর ফলকে শুকিয়ে কিসমিস উৎপাদন করা হয়। মূলত এই কিসমিস বিভিন্নভাবে খাওয়া যায় যেমন পায়েস, সেমাই, পোলাও, কোরমা, বিভিন্ন ধরনের ডেজার্ট, বিরিয়ানি, কাচ্চি ও তেহেরি প্রভূতি খাবারের সাথে রান্না করে খাওয়া যায়। আবার কাঁচা অবস্থাতেও কিসমিস খেতে দারুন লাগে। কিসমিস বিভিন্ন ধরনের গুণাগুনে ভরপুর। কাঁচা অথবা রান্না অবস্থায় যে কোন অবস্থাতেই আপনি কিসমিস খান না কেন?
প্রথমে ভালোভাবে ধুয়ে খাবেন। এছাড়াও এক গ্লাস পানিতে ১২-১৫টি কিসমিস সারা রাত ভিজিয়ে রাখার পর, সকালে সেই কিসমিস কিসমিস ভেজানো পানি সহ খেয়ে নিন। এভাবে তিন দিন খেলে আপনি আপনার শরীরের নানা ধরনের পরিবর্তন বুঝতে পারবেন এবং বিভিন্ন ধরনের উপকার বুঝতে পারবেন।

প্রতিদিন/দৈনিক কয়টি কিসমিস খাওয়া উচিত?

সাধারণত কিসমিস উচ্চ ক্যালরিযুক্ত একটি খাবার। প্রতি ১০০ গ্রাম কিসমিসে ২৮৭ ক্যালরি বিদ্যমান থাকে। মূলত আপনি দৈনিক ১৫% ক্যালরি গ্রহণ করতে পারবেন। কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি ও শর্করা বিদ্যমান থাকে। এজন্য অধিক পরিমাণে কিসমিস খেলে সেটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অধিক পরিমাণে কিসমিস খেলে ওজন দ্রুত বাড়তে পারে। তাই জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিসমিস খাওয়ার কিছু নিয়ম নিচে দেওয়া হলোঃ
  • প্রতিদিন নিয়মিত ১২-১৫টি কিসমিস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
  • আপনি যদি প্রতিদিন নিয়মিত কিসমিস ভিজিয়ে খান, তাহলে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে, পাশাপাশি আপনার শরীরে ক্যালরির মাত্রা কমবে।
  • কিসমিস খাওয়ার পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন, তারপর অন্য যে কোন খাবার খেতে পারেন। কিসমিস খাওয়ার পরপরই খাবার খাবেন না।

শুকনো কিসমিস খেলে কি হয়?

প্রতিদিন নিয়মিত শুকনো কিসমিস খেলে শরীরে দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি পায়। কারণ কিসমিসে বিদ্যমান রয়েছে ফ্রুকটোজ, গ্লুকোজ, চিনি যা খুবই দ্রুত শরীরে এনার্জি সরবরাহ করতে সক্ষম হয়। কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে এবং শরীরের পরিপাক ক্রিয়া দ্রুত করতে সাহায্য করে। ক্যালসিয়াম বিদ্যমান রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কিসমিসে, যা মানব দেহের হাড়ের ক্ষয় রোধ করে,
হাড়কে মজবুত করে পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যথা উপশম করে। শুকনো কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম বিদ্যমান রয়েছে, যার ফলে মানব দেহের উচ্চমাত্রার সোডিয়ামকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়াও শুকনো কিসমিস ক্যান্সার প্রতিরোধের দারুন কার্যকরী। এছাড়াও কিসমিসে বিদ্যমান রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও আন্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং পলিফেনলস যা বিভিন্ন

ধরনের ক্ষত দ্রুত সারাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এবং বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে। যেহেতু কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ রয়েছে, তাই যারা কম স্বাস্থ্যের অধিকারী, যারা ওজন নিয়ে চিন্তিত? তারা নিয়মিত কিসমিস খেয়ে নিজেকে স্বাস্থ্যবান করতে সক্ষম হবেন।

কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার নিয়ম

কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার জন্য নিচের পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করুনঃ
  • রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস পানিতে ১২-১৫টি কিসমিস ভালোভাবে পরিষ্কার করে সেই এক গ্লাস পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন।
  • সকালে ঘুম থেকে উঠে সারারাত ভিজিয়ে রাখা কিসমিসের পানি গুলো পান করুন, কিসমিসে ভেজা পানি গুলো পুষ্টিগুণে ভরপুর। কিসমিস গুলো সারারাত ভিজিয়ে রাখার কারণে কিসমিসের পানি গুলোর উপকারিতা হাজার গুনে বেড়ে গেছে, তাই এটি স্বাস্থ্যের জন্য তার উপকারী।
  • কিসমিসের পানি গুলো পান করার পর কিসমিস গুলো খেয়ে ফেলুন।

প্রতিদিন কিসমিস খেলে কি হয়?

  • হজম শক্তির বৃদ্ধি করে।
  • আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে।
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে হৃদযন্ত্র ভালো রাখে।
  • ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হয় এবং হাড়ে পুষ্টি যোগায়।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ফ্রি-Radical এর হাত থেকে রক্ষা করে।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
  • দৃষ্টিশক্তিকে উন্নত করে।
  • ত্বকে পুষ্টি যোগায়।
  • ভালো ঘুমের ব্যবস্থা করে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
  • রক্তশূন্যতা দূর করে।

সকালে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

সাধারণত কিসমিস পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি খাবার। যেটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কিসমিস আমাদের শরীরের নানা ধরনের সমস্যা দূরীভূত করে। তাহলে চলুন নিচে জেনে নেওয়া যাক সকালে কিসমিস খাওয়ার কিছু উপকারিতা।
  • প্রতিদিন আপনি যদি নিয়মিত সকালবেলা কিসমিস খান, তাহলে এসিডিটি ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাগুলো চিরতরে দূর হয়ে যাবে।
  • কিসমিসে বিদ্যমান বোরন, ক্যালসিয়াম দাঁত ও হাড় গঠনে দারুন ভাবে কাজ করে।
  • কিসমিসে ভেজানো পানি লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
  • নিয়মিত কিসমিস খাওয়ার ফলে পরিপাকতন্ত্র ভালো থাকে পাশাপাশি দ্রুত হজমে সহায়তা করে।
  • এছাড়াও শুকনো কিসমিস খাওয়ার থেকে কয়েক ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে, আপনি যদি প্রতিদিন নিয়মিত কিসমিসে ভেজা পানি পান করেন, তাহলে আপনার রক্ত পরিষ্কার থাকবে।
  • সকালবেলা কিসমিস খেলে শরীরের আয়রনের ঘাটতি পূরণ হয় পাশাপাশি রক্তের লাল কণিকার পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
  • কিসমিসে এন্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান রয়েছে এটি মূলত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে খুবই কার্যকরী।
  • হৃদক্রিয়া ভালো রাখতে সাহায্য করে কিসমিস।
  • এছাড়াও কিসমিস কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে।
  • কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার, পটাশিয়াম, আয়রন।
  • কিসমিসে বিদ্যমান থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি, জিংক, সেলেনিয়াম ত্বককে সুস্থ রাখতে ও সুন্দর রাখতে দারুন কাজ করে।
  • প্রাকৃতিক শর্করা বিদ্যমান রয়েছে কিসমিসে, তাই জন্য অল্প পরিমাণ কিসমিস খেলেই মিষ্টি খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা অনেকাংশেই কমে যায়।
  • আপনারা যদি কিসমিসের উপকারিতা পরিপূর্ণরূপে উপভোগ করতে চান, তাহলে প্রতিদিন নিয়মিত কিসমিস ভিজিয়ে খেতে পারেন। রাতে এক কাপ পানিতে ৮-১০ টি কিসমিস ভিজিয়ে রেখে দিন। কিসমিস ভেজা পানি যত গারো রঙের হবে ততই সেটা পুষ্টিগুণে ভরপুর হবে। পরের দিন সকালবেলা কিসমিস এবং কিসমিস ভেজা পানি পান করুন। এখান থেকে আমরা বুঝতে পারলাম যে সকালে কিসমিস খাওয়ার গুরুত্ব অপরিসীম এবং স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।

সেক্সে কিসমিসের উপকারিতা কি কি?

কিসমিসে বিদ্যমান রয়েছে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পুষ্টিগুণ উপাদান যা একজন ব্যক্তিকে যৌনভাবে সক্রিয় করে তোলে। সেক্সে কিসমিসের উপকারিতা গুরুত্বপূর্ণ এর জুড়ী মেলা ভার। পুরুষের প্রজনন ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে কিসমিস পাশাপাশি পুরুষত্বহীনতা দূরীভূত করতে দারুন কাজ করে। কিসমিসে বিদ্যমান রয়েছে ভিটামিন এ। গবেষণায় দেখা গেছে ভিটামিন এ এর কারণে পুরুষত্বহীনতার বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে।
কিসমিস একটি প্রাকৃতিক এফ্রোডিসিয়াক জাগ্রত রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা করে। কিসমিসের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান থাকায় বার্ধক্য জনিত প্রক্রিয়াকে ধীরগতি করে দেয় এবং তারুণ্য তাকে ধরে রাখে। শুক্রানুর গতি ছিল তাকে বৃদ্ধি করে কিসমিস। কিসমিস মূলত প্রোজেস্টেরন মহিলাদের নিয়ন্ত্রণ করে। এতে ভিটামিন এ বিদ্যমান থাকায় নারীদের যৌনপত্র জরায়ুর অভ্যন্তরীণ আস্তরণ কে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এছাড়াও ভিটামিন ই এর অভাবে পুরুষদের অন্ডকোষে অ্যাট্রোফির কারণ হতে পারে। সাধারণত ফলিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন বি মহিলাদের গর্ভবতী হওয়াতে সাহায্য করে। তাই নারী-পুরুষ উভয়ের খাদ্য তালিকায় কিসমিস অন্তর্ভুক্ত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
  • সাধারণত কিসমিসে বিদ্যমান থাকা পুষ্টিগুণ যৌন দুর্বলতা বা যৌন অক্ষমতা দূর করতে দারুন কাজ করে। আপনি যদি প্রতিদিন নিয়মিত কিসমিস খান, তাহলে আপনার যৌন দুর্বলতা দূরীভূত হয়ে আপনার যৌন শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
  • প্রচুর পরিমাণে কিসমিসে ক্যালরি বিদ্যমান রয়েছে, যা দেহকে সুঠাম ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • আপনি যদি প্রতিদিন সকালে ১০-১২ টি কিসমিস ভেজানো পানি নিয়মিত পান করেন, তাহলে আপনার যেকোনো ধরনের যৌন সমস্যা চিরতরে দূর হয়ে যাবে।
  • গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কিসমিস সেক্স বৃদ্ধিতে দারুন কাজ করে।
  • কিসমিস বোরন নামক একটি উপাদান বিদ্যমান রয়েছে, যা শরীরের টেস্টোস্টেরন হরমোন বাড়াতে সহায়তা করে। টেস্টোস্টোরোন পুরুষের যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে।
  • কিসমিসে আয়রন বিদ্যমান থাকে যা রক্তে অক্সিজেন চলাচলের সাহায্য করে। এটি মূলত শরীরের যৌনাঙ্গে রক্ত প্রবাহ বাড়ায় পাশাপাশি যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে।
  • প্রাকৃতিক শর্করা বিদ্যমান থাকে কিসমিসে, এই কারণে শরীরের দ্রুত শক্তির যোগান দেয়, ফলে যৌন মিলনের সময় বেশি শক্তি পাওয়া যায়।
  • পটাশিয়াম এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এতে থাকায় স্নায়ুতন্ত্রের কাজ সম্পাদন করে, ফলে মিলনের সময় ভালো অনুভূতি হয়।
  • কিসমিসের এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় দ্রুত মানসিক চাপ কমে। আর মানসিক চাপ কমলে যৌন জীবন উপভোগ করা যায়।
  • সাধারণত কিসমিসে আর্জিনাইন নামক একটি অ্যামিনো এসিড বিদ্যমান থাকে, যা যৌন উদ্দীপনাকে অনেকাংশে বাড়িয়ে তোলে। ফলে যৌন মিলনকে আরো আনন্দময় করে তুলতে সাহায্য করে।

খেজুর ও কিসমিস এর উপকারিতা

খেজুরের প্রচুর পরিমাণে অ্যামাইনো এসিড, ভিটামিন, মিনারেল, শর্করা বিদ্যমান রয়েছে পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে খাদ্য শক্তি রয়েছে। প্রতিদিন নিয়মিত খেজুর খাওয়ার ফলে শরীরে গ্লুকোজের ঘাটতি পূরণ হয়। তাহলে চলুন নিজে কিছু খেজুর ও কিসমিসের উপকারিতা সম্পর্কে। জেনে নেওয়া যাক।
খেজুর ও কিসমিস এর উপকারিতা
  • ফ্যাট বা কোলেস্টেরলঃ প্রতিদিন নিয়মিত খেজুর খাওয়ার ফলে শরীরে ফ্যাট বা কোলেস্টেরল জমে না। বরং খেজুর খাওয়ার ফলে শরীরের শক্তি উৎপাদন হয় এবং তা বৃদ্ধি পায়। প্রতিদিন নিয়মিত খেজুর খাওয়ার ফলে ক্ষতিকারক দিক থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
  • ভিটামিনঃ খেজুরের বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন বিদ্যমান রয়েছে যেমন ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি৩, ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি৫,এছাড়াও বিদ্যমান রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি প্রতিদিন নিয়মিত খেজুর ও কিসমিস খাওয়ার ফলে চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং রাতকানা রোগ দূরীভূত করতে সহায়তা করে।
  • ক্যালসিয়ামঃ মানবদেহে হাড় ও দাঁত গঠনে ক্যালসিয়ামের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খেজুর ও কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম বিদ্যমান রয়েছে যা মানব দেহের হাড় ও দাঁত কে মজবুত করে পাশাপাশি বাচ্চাদের মাড়ি শক্ত করতে সাহায্য করে।
  • ক্যান্সার প্রতিরোধঃ ক্যান্সার প্রতিরোধে খেজুর দারুন কার্যকরী। গবেষণায় দেখা গেছে, খেজুর ক্যান্সার সহ বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই জন্য ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগের ঝুঁকি থেকে বাঁচার জন্য প্রতিদিন নিয়মিত অন্ততপক্ষে দুইটি করে খেজুর খাওয়া আবশ্যক।
  • ওজন কমাতেঃ আপনি যদি প্রতিদিন নিয়মিত কয়েকটি খেজুর দিয়ে আপনার সকালটা শুরু করেন, তাহলে আপনার শরীরের প্রয়োজনীয় শর্করার ঘাটতি পূরণ হবে, পাশাপাশি আপনার ক্ষুধা নিবারণের সহায়তা করবে এবং অনেকক্ষণ আপনার পেট ভরা থাকবে। ফলে আপনার খাবারের প্রতি সেরকম আগ্রহ থাকবে না। তাহলে আপনার ওজন বাড়ানো কোন সম্ভাবনা থাকবে না।
  • হৃদরোগ প্রতিরোধেঃ হৃদরোগ প্রতিরোধে খেজুরের ও কিসমিস ভূমিকা অপরিসীম। খেজুর ও কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম বিদ্যমান থাকায় স্টক এবং হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।
  • আয়রনঃ মানব দেহের জন্য খুবই একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে আয়রন। মূলত এটি খেজুরে ও কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান থাকে। খেজুর ও কিসমিস একসাথে খাওয়ার ফলে হৃৎপিণ্ডের কার্যকারিতা ক্ষমতা দ্রুত বৃদ্ধি পায় পাশাপাশি খাটের দুর্বলতা রোধ করে। এজন্যই তো খেজুর কে মহা ঔষধ বলা হয়।
  • প্রোটিনঃ প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি খাবার হলো খেজুর। মানবদেহে যখন প্রোটিনের ঘাটতি হয়, তখন কিসমিস ও খেজুর খেলে শরীরে প্রোটিনের অভাব দূরীভূত হয়ে যায়। এটি মূলত দেহের পেশি গঠনে পাশাপাশি পেশি শক্তি বৃদ্ধিতে দারুন কাজ করে। তাইতো খেজুর ও কিসমিস মানবদেহের জন্য পুষ্টিগুণে ভরপুর সমৃদ্ধ খাবার। এটি খাবার ফলে শরীরের নানা ধরনের সমস্যার দূর হয়।
  • স্নায়ুতন্ত্রের কর্ম ক্ষমতা বাড়ায়ঃ বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন খেজুরে বিদ্যমান থাকায় মস্তিষ্কে চিন্তা ভাবনার গতিকে বৃদ্ধি করে সাথে সাথে স্নায়ুতন্ত্রের কর্ম ক্ষমতা দ্রুত বাড়ায়।

লেখকের ইতি কথাঃ কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও কিসমিসের যাদুকরী উপকারিতা - সেক্সে কিসমিসের উপকারিতা

সম্মানিত পাঠক, আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও কিসমিসের যাদুকরী উপকারিতা - সেক্সে কিসমিসের উপকারিতা সম্পর্কে পুরোপুরি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো ভালোভাবে পড়ে জেনে নিলে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও কিসমিসের যাদুকরী উপকারিতা - সেক্সে কিসমিসের উপকারিতা সম্পর্কে খুব সহজেই জানতে পারবেন। কিসমিস কে সৌন্দর্য ও যৌবন ধরে রাখার মহা ঔষধ বলা হয়ে থাকে। কারণ এটি নানান ধরনের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতায় ভরপুর রয়েছে।

প্রতিদিন নিয়মিত কিসমিস খেলে বিভিন্ন ধরনের রোগ-বালা থেকে মুক্ত থাকা যায়। আবার শরীরও খুব মজবুত থাকে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো অনেকেই কিসমিসের উপকারিতা সম্পর্কে ভালোভাবে জানে না। তাই আপনি যদি কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও কিসমিসের যাদুকরী উপকারিতা - সেক্সে কিসমিসের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে অবশ্যই এই আর্টিকেলটি পড়া অত্যন্ত জরুরী।

প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থেকে এই আর্টিকেলটির সম্পূর্ণ মনোযোগের সাথে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে এ ধরনের তথ্যবহুল আর্টিকেল নিয়মিত পোস্ট করে থাকি। তাই আপনি যদি এই ধরনের আরও তথ্যবহুল উপকারী আর্টিকেল পড়তে চান, তাহলে এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ফলো করুন। সাথে সাথে এই আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে আপনার নিকট আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজনদের কাছে তাদের উপকারার্থে শেয়ার করে দিন।

যেন তারা কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও কিসমিসের যাদুকরী উপকারিতা - সেক্সে কিসমিসের উপকারিতা সম্পর্কে পুরোপুরি ভালোভাবে জেনে নিতে পারে। কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও কিসমিসের যাদুকরী উপকারিতা - সেক্সে কিসমিসের উপকারিতা এ বিষয়টি নিয়ে আপনার যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ মতামত বা প্রশ্ন থাকে, তাহলে অবশ্যই নিচে দেওয়া মতামত বক্সে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আবার আপনাদের সাথে কথা হবে নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত নিরাপদ ও সুস্থ থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কনফিডেন্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url