মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় - মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার খাবার ও অস্থিরতা থেকে মুক্তির উপায়
কে না চাই নিজের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ও সব ধরনের দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত
থাকতে? আপনি কি নিজের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রেখে ও সব ধরনের দুশ্চিন্তা থেকে
মুক্ত থেকে একটি সুখী জীবন যাপন করতে চান? তাহলে আপনার চিন্তার কোন কারণ নেই।
কারণ আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটির মূল আলোচনায় হচ্ছে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার
উপায় - মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার খাবার ও অস্থিরতা থেকে মুক্তির উপায় সেই
সম্পর্কে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যবহুল ও প্রয়োজনীয় আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন
দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক!
আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটির মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় -
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার খাবার ও অস্থিরতা থেকে মুক্তির উপায় এ বিষয়ে
সম্পর্কে এমন কিছু ইউনিক ও কার্যকরী তথ্য সম্পর্কে জানাবো, যেগুলিকে কাজে লাগিয়ে
আপনি খুব সহজেই আপনার মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রেখে সব ধরনের দুশ্চিন্তা ও মানসিক
চাপ থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। আপনি কি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় -
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার খাবার ও অস্থিরতা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে
বিস্তারিত তথ্য গুলো জানতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার
জন্যই। এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আশা করি আলোচ্য বিষয়ে
বিস্তারিতভাবে নির্ভুল সব তথ্য গুলো জানতে পারবেন। ইনশাআল্লাহ!
পেজ সূচিপত্রঃ
.
ভুমিকা
সুন্দর এই পৃথিবীতে বসবাসরত প্রতিটি মানুষই চাই যে, তাদের দৈনন্দিন জীবনে মানসিক
স্বাস্থ্য অত্যন্ত ভালো থাকুক সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের মানসিক চাপ ও চিন্তা ভাবনা
থেকে মুক্ত থাকতে চাই। তাই অনেকেই নিজের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ও নিজেকে
বিভিন্ন ধরনের মানসিক চাপ ও চিন্তা ভাবনা থেকে মুক্ত রাখতে বিভিন্ন ধরনের কৌশল
অবলম্বন করে থাকে।
তাই আপনি যদি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় - মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার
খাবার ও অস্থিরতা থেকে মুক্তির উপায় এ বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি স্পষ্ট ধারণা
রাখেন তবেই আপনি একটি উৎফুল্ল দুশ্চিন্তাহীন জীবন যাপন করতে পারবেন। তাই আজকের এই
আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন, তাহলে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার
উপায় - মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার খাবার ও অস্থিরতা থেকে মুক্তির উপায় এ
বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি ভালোভাবে জানতে পারবেন। এছাড়াও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো
রাখার খাবার, মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার কারণ গুলো কি কি? কেন মানসিক চাপ
বেড়ে যায়?
মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি? মানসিক চাপ হলে কি কি সমস্যা
সৃষ্টি হয়? মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়, মানসিক অস্থিরতা থেকে মুক্তির
উপায়, মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা, মানসিক চাপ কমানোর ঔষধ এই বিষয়গুলো সম্পর্কে
বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই আপনি যদি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় -
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার খাবার ও অস্থিরতা থেকে মুক্তির উপায় এ বিষয়
সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই কার্যকরী।
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার খাবার
প্রত্যেক মানুষেরই মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য খাবার সম্পর্কে অবশ্যই
সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। কেননা অনেক সময় দেখা যায়, নানা রকম কারণে মানসিক
স্বাস্থ্য ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। আর এই মানসিক স্বাস্থ্য ভালো করতে চাইলে, তাহলে
অবশ্যই প্রতিদিন নিয়মিত আমাদের পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার গুলো গ্রহণ করা আবশ্যক।
বিভিন্ন ধরনের খাবার রয়েছে যেগুলো মানুষের স্বাস্থ্য ভালো রাখার পাশাপাশি শরীরকে
সুস্থ সবল রাখতে দারুন কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তাই জন্য অবশ্যই প্রতিদিন
নিয়মিত এই খাবারগুলো আমাদের খাদ্য তালিকায় যুক্ত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
- ১.মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আমিষ জাতীয় খাবার অবশ্যই রাখতে হবে। কেননা আমি জাতীয় খাবার গুলো মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- ২.প্রতিদিন নিয়মিত দিনের বেলায় বেশি বেশি ফলমূল খেতে হবে পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। কারণ শাক-সবজি এবং ফলমূলে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান রয়েছে।
- ৩.মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য প্রতিদিন নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের বাদাম যেমন কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, আখরোট, চিনা বাদাম, পেস্তা বাদাম ইত্যাদি খেতে হবে।
- ৪.এছাড়াও প্রতিদিন সামুদ্রিক মাছ, তেলযুক্ত মাছ, তিলের তেল,অলিভ অয়েল প্রভূতি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। বিভিন্ন ধরনের শস্যবীজ যেমন তিল, তিসি ইত্যাদি স্বাস্থ্যকর তেল করে বেশি বেশি খেতে পারেন।
- ৫.প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। কারণ স্বাস্থ্যের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি কারো প্রচুর পরিমাণে চিনি খাওয়ার বদ অভ্যাস থাকে, তাহলে সেটা পরিত্যাগ করতে হবে। যেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো যেমন ফলের রস সেগুলো খেতে পারে।
- ৬.মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এছাড়াও আপনারা শাক-সবজি, ফলমূল খেতে পারেন পাশাপাশি লাল চাল, লাল আটা খেতে পারেন। লাল চাল,লাল আটা আঁশের দারুন উৎস।
- ৭.আবার বেশ কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। আর সেগুলোর ভিতরে অন্যতম হচ্ছে অতিরিক্ত চিনি খাওয়া, চিনি যুক্ত খাবার যেমন বিভিন্ন ধরনের ফাস্টফুড, সফট ড্রিঙ্কস, এই খাবারগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
- ৮.ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার যেমন তৈলাক্ত মাছ যেমন সালমান, সারডাইনাস,ক্যানোলা তেল আখরোট, চিয়াসিড, ফ্লাক্স সিড প্রভূতি।
- ৯. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার যেমন বিভিন্ন ধরনের সবুজ শাক-সবজি,হলুদ,আঁদা,বেরি, ডার্ক চকলেট ইত্যাদি।
- ১০. ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিমের কুসুম, স্যালমন, মাশরুম। সাধারণত সূর্যের আলো হচ্ছে ভিটামিন ডি এর প্রধান উৎস।
- ১১. প্রবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার যেমন ঘরে তৈরি আচার, দই, বাটার মিল্ক।
- ১২. ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন মটরশুটি, কলা, কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, ডার্ক চকলেট ইত্যাদি।
- ১৩.দানাশস্য যেমন লাল চাল, লাল আটা,বাজরা,গম,ওটমিল ইত্যাদি।
- ১৪.ভিটামিন এ জাতীয় খাবার যেমন বিভিন্ন ধরনের সবুজ শাক-সবজি, লাল চাল, ডিম, অলিভ অয়েল ইত্যাদি।
- ১৫.সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে, ফোলেট, বিটা-ক্যারোটিন বিদ্যমান রয়েছে। তাই মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এগুলো দারুন কাজ করে।
- ১৬.চা, কফিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন বিদ্যমান রয়েছে। তাই সামান্য কিছু ক্যাফিন গ্রহণের ফলে মানসিক কার্যকলাপ পরীক্ষার ভালো ফল পাওয়া যায়। ক্যাফিন স্মৃতিশক্তিকে সক্রিয় করতে সহায়তা করে।
উপরোক্ত নীতিগুলো যদি আপনারা মেনে চলতে পারেন এবং কোন কোন খাবার গুলো খেতে হবে?
কোন কোন খাবারগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে? সে অনুযায়ী জীবন-যাপন করেন তাহলে
আপনাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার কারণ গুলো কি কি?
মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার কারণ নির্দিষ্টভাবে আমরা অনেকেই জানিনা। নিজেকে
সুস্থ, প্রাণ উজ্জ্বল, হাসিখুশি রাখতে হলে, অবশ্যই আমাদের শারীরিকভাবে পাশাপাশি
মানসিকভাবে অবশ্যই সুস্থ থাকতে হবে। ধরুন যে আপনি শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন কিন্তু
মানসিকভাবে ভালো নেই, তাহলে আপনি কখনোই নিজেকে সুস্থ অনুভব করতে পারবেন না। কেননা
একটা মানুষ শারীরিক,মানসিক দুই ভাবেই সুস্থ থাকলে কেবল সে নিজেকে সুখী অনুভব করতে
পারে। তাই আপনি যদি নিজেকে সুস্থ রাখতে চান, তাহলে আপনাকে শারীরিক, মানসিক দুই
ভাবেই সুস্থ থাকতে হবে।
- সাধারণত একটি কারণে কখনোই মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হয় না। মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের কারণ থাকে। সেই রকমই মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার কারণ গুলোর ভিতরে অন্যতম হচ্ছে অতিরিক্ত পরিমাণে মানসিক চাপ এবং প্রচুর পরিমাণে চিন্তা করা। অতিরিক্ত পরিমাণে কেউ যদি মানসিক চাপের ভিতর থাকে এবং প্রচুর পরিমাণে চিন্তা করে, তাহলে তার মানসিক স্বাস্থ্য দিনের দিন অবনতি হতে থাকবে। যাকে আমরা বলি ক্রমশ খারাপ হতে থাকবে।
- আপনারা খেয়াল করে দেখবেন, অনেক সময় হঠাৎ করে কোন ধরনের খারাপ খবর বা সুখ সংবাদ শুনে আমাদের অনেক কষ্ট হয় তখন মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হতে থাকে যেমন প্রিয়জনের মৃত্যু অথবা বিচ্ছেদ এর ফলে আমরা মানসিকভাবে একেবারে ভেঙে পরি, তখন আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য একেবারেই খারাপ হয়ে যায়
- এছাড়াও কোন মানুষ যদি প্রচুর পরিমাণে মাথায় আঘাত পায়, তাহলেও তার মানসিক স্বাস্থ্য গুরুতর আঘাতের কারণে খারাপ হতে পারে। আর মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার অন্যতম কারণ মাথায় আঘাত পাওয়া।
কেন মানসিক চাপ বেড়ে যায়?
ইতিমধ্যেই আমরা কিভাবে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারি? মানসিক স্বাস্থ্য ভালো
রাখার জন্য কি কি খাবার খেতে হবে? সেই সকল বিষয় সম্পর্কে জেনেছি। আর এখন আমরা
জানবো কেন মানসিক চাপ বেড়ে যায়? সে সম্পর্কে। মানসিক চাপ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম
কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত পরিমাণে চিন্তা করা।
সব রোগের ঔষধ আছে, কিন্তু চিন্তার কোন ঔষধ নেই, আর এই অতিরিক্ত চিন্তা করার ফলে
মানসিক চাপ বেড়ে যায়। আর মানসিক চাপ বাড়ার ফলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ বাসা
বাঁধে। এখন আমাদের মনে প্রশ্ন আসতেই পারে মানসিক চাপটা আবার কি? মানসিক চাপ হচ্ছে
কোন একটি বিষয় নিয়ে প্রচুর পরিমাণে দুশ্চিন্তা করা এবং সেই বিষয় নিয়ে যখন
একটা মানুষ চিন্তা করতেই থাকে, করতেই থাকে, তখনই মূলত মানসিক চাপ বেড়ে যায়।
আর সাধারণত এই ধরনের চাপকে মানসিক চাপ বলে বিবেচনা করা হয়। যখন আমাদের কোন
আপনজনের অথবা নিকট আত্মীয়র কোন দুর্ঘটনা ঘটে কিংবা আপনাকে কোন ধরনের কাজ জোর করে
করানো হয়। সাধারণত সেই সময় বেশি দুশ্চিন্তা হয়। সাধারণত এই চিন্তার কারণেই
মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায়। তাহলে আমরা এখন বলতেই পারি অতিরিক্ত পরিমাণে দুশ্চিন্তা
মানসিক চাপ বেড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ।
মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি?
মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার লক্ষণগুলো আমাদের যদি জানা থাকে, তাহলে আমরা খুব
সহজে মানসিক স্বাস্থ্যের বিভিন্ন ধরনের সমস্যাগুলো নির্ণয় করতে সক্ষম হবো।
মানুষের একেকজনের শরীরে একেক ধরনের রোগ বাসা বেঁধে থাকে। আর আপনারা খেয়াল করে
দেখবেন, প্রতিটি রোগেরই নির্দিষ্ট কিছু লক্ষণ রয়েছে। একেকটি রোগের লক্ষণ একেক
ধরনের। আর ঠিক সেই রকম মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য যদি খারাপ হয়, তাহলে বেশ কিছু
লক্ষণ প্রথমে প্রকাশ পায়। আর এই লক্ষণ গুলো দেখেই আপনারা সমস্যা নির্ণয় করতে
পারবেন।
আরো পড়ুনঃ ১৬টি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস - বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব
থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি?
- পছন্দের কাজের প্রতি আগ্রহ কমে যাওয়াঃ সাধারণত আমাদের যে কাজগুলো করতে ভালো লাগে সে কাজগুলো আমরা বেশি বেশি করি। কারন সেই কাজগুলো করতে আমাদের অনেক ভালো লাগে। কিন্তু আপনারা খেয়াল করে দেখবেন, আপনার যদি আপনার পছন্দের কাজগুলো করতে ভালো না লাগে, পছন্দের কাজগুলো করতে অনিহা চলে আসে, তাহলে বুঝবেন আপনি মানসিকভাবে অসুস্থ। মানসিক সমস্যার কারণে মূলত পছন্দের কাজের প্রতি আগ্রহ কমে যায়।
- কোন কিছুতেই মনোযোগ থাকে নাঃ সাধারণত যেকোনো কাজ মনোযোগ সহকারে করলে সেই কাজটি তাড়াতাড়ি করা সম্ভব হয়। কিন্তু আবার যদি কোন কাজ করার সময় যদি আপনি সম্পূর্ণ মনোযোগ না দেন, তাহলে সেই কাজ করতে ভালো লাগেনা। আর অনেক সময় মানসিক সমস্যার কারণে কাজে সম্পূর্ণ মনোযোগী হওয়া যায় না। তাই জন্য কাজে মনোযোগী হতে হলে অবশ্যই আগে মানসিকভাবে সুস্থ হতে হবে।
- সারাক্ষণ নিজেকে অসুখী মনে করাঃ আপনি যদি সারাক্ষণ দুশ্চিন্তা করেন বা দুশ্চিন্তায় মগ্ন থাকেন, তখন আপনি নিজেকে সারাক্ষণ অসুখী মনে করতে থাকবেন। সাধারণত মানসিক চাপ থেকেই দুশ্চিন্তা আসে। আর এই দুশ্চিন্তার ফলে আপনার মনে হবে, আপনার চাইতে পৃথিবীতে অসুখী মানুষ হয়তো আর কেউ নেই।
- মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়াঃ অল্পতেই মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। হঠাৎ করেই উত্তেজিত হয়ে পড়ে। কারো কথা সহ্য হয় না অল্পতেই রেগে যায় ফলে সবার সাথে ঝগড়া হয়ে যায়। কারো সাথে কথা বলতে ইচ্ছা হয় না।
- ঘুম পর্যাপ্ত পরিমাণে না হওয়াঃ মানসিক সমস্যার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হওয়া। মানুষের সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এই ঘুম যদি ভালো না হয়, তাহলে প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে। আপনি মানুষের অতিরিক্ত চাপের মধ্যে যখন থাকবেন, তখন আপনার ভালোভাবে ঘুম হবে না, আপনি প্রতিনিয়ত দুশ্চিন্তায় ভুগবেন। আর তখনই আপনার মানসিক স্বাস্থ্য দিন দিন খারাপ হতে।
- ক্ষুধা কমে যাওয়াঃ সাধারণত শরীর সুস্থ থাকলে যথাসময়ে ক্ষুধা লাগে। কিন্তু আপনি লক্ষ্য করে দেখবেন আপনি যখন বিভিন্ন ধরনের দুশ্চিন্তায় ভুগবেন,মানসিক চাপের মধ্যে থাকবেন কিংবা মানসিক সমস্যার মধ্যে থাকবেন তখন আপনার ক্ষুধা লাগা অনেক কমে যাবে। তখন আপনার মনে হবে আপনার পেট ভরা আছে। অথচ আপনি সেইরকম কোনো খাবারই খাননি। আর মানসিক সমস্যার অন্যতম লক্ষণ হচ্ছে ক্ষুধা কমে যাওয়া।
- আত্মহত্যার চিন্তা করাঃ কেউ যদি কোন কারনে মানসিকভাবে অতিরিক্ত পরিমাণে ভেঙে পড়ে, সাধারণত তখন মনের ভিতরে বিভিন্ন ধরনের দুশ্চিন্তা ঘুরপাক খায়। আর এই দুশ্চিন্তা গুলোর ভিতরে একটি অন্যতম হলো আত্মহত্যার চিন্তা করা। দুশ্চিন্তা করতে করতে মানসিক স্বাস্থ্য এত খারাপ হয়ে যায়, যে তখন মনে হয় আত্মহত্যা করে দেয়, তাহলেই হয়তো সবকিছু শেষ হয়ে যাবে।
মানসিক চাপ হলে কি কি সমস্যা সৃষ্টি হয়?
কিভাবে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখা যায় ইতিমধ্যে আমরা সেই সম্পর্কে বিস্তারিত
জানতে পেরেছি। এছাড়াও মানসিক সমস্যাগুলো বোঝার জন্য বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে
যেগুলো মানুষের মধ্যে প্রকাশিত পেলে মানসিক সমস্যা হলে খুবই সহজে জানতে পারবে।
এখন আমরা জানবো মানসিক চাপ হলে কি কি সমস্যা হয়? সেই সম্পর্কে।
- সাধারণত মানসিক চাপের ফলে মাথায় বিভিন্ন ধরনের খারাপ চিন্তা ভাবনা ঘুরপাক খায়।
- মানসিক চাপের ফলে মানুষ অতিরিক্ত পরিমাণে দুশ্চিন্তায় ভোগেন। আর অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা হওয়ার ফলে দিন দিন স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে।
- মানসিক চাপের কারণে কাজে ভালোভাবে মনোযোগী হওয়া যায় না। ফলে ভালোভাবে কাজ সম্পন্ন করা যায় না।
- মানসিক চাপের কারণে দিন দিন দুশ্চিন্তা বৃদ্ধি পেতে থাকে ফলে স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। শারীরিক মানসিক দুই ভাবে স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যায়।
- মানসিক চাপের কারণে ভালোভাবে ঘুম হয় না, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।
- মানসিক চাপের কারণে ক্ষুধা কমে যায়। খাবার না খেলেও পেট ভরা লাগে। খাবারের প্রতি অনীহা চলে আসে।
- মানসিক চাপের কারণে অনেক সময় মাথা ব্যথা, শরীর ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা অনুভূত হয়।
- মানসিক চাপের ফলে নিজেকে সবসময় অসুস্থ মনে হবে।
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য আমরা যদি কিছু পথ অবলম্বন করি তাহলে আমরা
আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সক্ষম হবো। মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে
ইতিমধ্যে আপনারা উপরোক্ত আলোচনায় অনেক কিছুই জানতে পেরেছেন। এখন আমরা জানবো
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে।
- নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবেঃ ব্যায়াম করলে আমাদের ব্রেন থেকে কিছু কেমিক্যাল নিঃসরণ হয়। যার ফলে আমরা ভালো বোধ করি। নিয়মিত ব্যায়াম করার ফলে মনোযোগ বৃদ্ধি পায়,মন প্রফুল্ল থাকে,ঘুম ভালো হয়,আর ভালো ঘুম মানসিক ভাবে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। সপ্তাহে অন্ততপক্ষে দুই ঘন্টা মাঝারি ধরনের ব্যায়াম করতে হবে যেমন দ্রুত হাঁটা,সাইকেল চালানো ইত্যাদি। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার কারণ গুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে নিয়মিত শরীরচর্চা করা। শরীরকে ফিট এবং সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত শরীরচর্চা করা আবশ্যক। কেননা স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য যেমন শরীরচর্চা করতে হবে ঠিক তেমনি মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য শরীরচর্চা করা অতিব জরুরী। তাই জন্য সুস্থ ভাবে বাঁচতে চাইলে শরীরচর্চা করা খুবই জরুরী শারীরিকভাবে হোক কিংবা মানসিকভাবে।
- নতুন কিছু শিখতে হবেঃ মানসিক সমস্যা দূর করতে চাইলে নতুন কিছু শেখার ইচ্ছা এবং আগ্রহ দুটোই থাকতে হবে। নতুন কিছু শিখলে মন মাইন্ড দুটোই ভালো থাকে, তখন মানসিক সমস্যাগুলো শরীরের বাসা বাঁধতে পারে না। তাই জন্য সব সময় চেষ্টা করতে হবে, নতুন কিছু শিখার প্রচেষ্টা এবং আগ্রহ সব সময় রাখতে হবে এবং কাজ করে যেতে হবে।
- মেডিটেশন করতে হবেঃ মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার অন্যতম উপায় হচ্ছে মেডিটেশন করা। আপনারা যদি প্রতিদিন নিয়মিত মেডিটেশন করেন, তাহলে অবশ্যই আপনাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। তাই জন্য আপনারা যদি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চান, তাহলে অবশ্যই প্রতিদিন নিয়মিত মেডিটেশন করা আবশ্যক কারণ মেডিটেশন মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার অন্যতম উপায়।
- নিয়ম মেনে জীবন-যাপন করতে হবেঃ নিয়ম মেনে জীবন যাপন করাই হচ্ছে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার একটি ম্যাজিক্যাল উপায়। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। আর এই মানুষই হচ্ছে অভ্যাসের দাস। যেটা অভ্যাস করবেন সেটাই হবে। তাই আপনি যদি সুস্থ জীবন যাপন করতে চান, তাহলে অবশ্যই নিয়ম মেনে জীবন যাপন করতে হবে। তাহলে দেখবেন নিয়ম মেনে জীবন যাপন করার ফলে আপনাদের জীবন অনেকটাই সহজ হয়ে উঠেছে।
- অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবেঃ বর্তমান সময়ে মানসিক সমস্যার হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত পরিমাণে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা। যা শারীরিক মানসিক কোনোভাবেই ভালো না। বর্তমান সময়ে এই মোবাইল সবকিছু ধ্বংস করে দিচ্ছে। এই মোবাইল ফোন অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে মানুষের বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি হচ্ছে পাশাপাশি নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আর এই সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে, অবশ্যই অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার ত্যাগ করতে হবে।
- ভালোলাগার কাজগুলো করাঃ দিনের কিছু সময় নিজের জন্য বরাদ্দ করুন। ভালো লাগে এমন কাজগুলো করে সময় কাটান যেমন আঁকা আকি,লেখালেখি,রান্না বান্না,বই পড়া যেগুলো করতে আপনার ভালো লাগে। নিজের আনন্দের জন্য কিছু সময় ব্যয় করলে দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করবে।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবেঃ শারীরিকভাবে সুস্থ পাশাপাশি মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে চাইলে, অবশ্যই প্রতিদিন নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমোতে হবে। কারণ পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই জন্য ঘুমকে অবহেলা করা যাবে না। শরীর সুস্থ রাখতে চাইলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম আবশ্যক।
- পছন্দের জায়গায় ঘুরতে যেতে হবেঃ সাধারণত সকলেরই নির্দিষ্ট কিছু পছন্দের বেড়ানোর জায়গা রয়েছে। যদি আপনি বুঝতে পারেন যে, আপনি মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। তাহলে আপনি আপনার পছন্দের জায়গায় বেড়াতে যেতে পারেন। তাহলে দেখবেন পছন্দের জায়গায় বেড়াতে যাওয়ার ফলে আপনার মানসিক সমস্যা অনেকাংশে কমে গেছে।
- বন্ধুদের সময় দিতে হবেঃ মানসিক সমস্যার কারণে আমরা অনেক সময় একা হয়ে পড়ি, নিজেকে অনেক একা একা লাগে, যার কারণে মানসিক স্বাস্থ্যের দিন দিন অবনতি হতে থাকে। তাই একাকীত্ব দূর করার জন্য আপনি প্রতিদিন বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে পারেন ,তাহলে দেখবেন আপনি মানসিক সমস্যা থেকে বেরোতে পারবেন।
- চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবেঃ উপরোক্ত উপায়গুলো অবলম্বন করে আপনি যদি মানসিকভাবে সুস্থ হতে না পারেন, তাহলে অবশ্যই অতি দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন। চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আপনি যদি জীবন-যাপন করেন, তাহলে অবশ্যই মানসিকভাবে সুস্থ হয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ!
- কাছের মানুষের সাথে সময় কাটানোঃ মহামারী আমাদের প্রতিনিয়ত মনে করিয়ে দিচ্ছে যে, কাছের মানুষ কতটা গুরুত্বপূর্ণ। প্রিয় মানুষগুলোর সাথে সময় কাটালে মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে অনেক সাহায্য করে। তাই জন্য আপনার দিনের একটি সময় বেছে নিতে পারেন প্রিয়জনের সাথে সময় কাটানোর জন্য। যাদের উপর আপনি ভরসা করতে পারেন তাদের সাথে আপনার চিন্তা-দুশ্চিন্তা গুলো শেয়ার করার চেষ্টা করবেন। নাহলে সেগুলো দিনে দিনে দানা বেঁধে স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। এছাড়াও যারা দূরে রয়েছে টেকনোলজি ব্যবহার করে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। তাদের সাথে বসে খাওয়া, মন খুলে কথা বলা, সবার ভালো লাগে এমন কিছু করার চেষ্টা করতে পারে। ফলে সবারই মানসিক স্বাস্থ্যের উপকার হবে।
- স্বাস্থ্যকর ডায়েট/খাবার খানঃ স্বাস্থ্যকর খাবার শরীরের শক্তি যোগানোর পাশাপাশি অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। তাই জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করার জন্য যেসব খাবার খাবেন সবুজ শাকসবজি, তাজা ফলমূল, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড,অ্যাভোকাডো ইত্যাদি খাবার গুলো মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
- অ্যালকোহল ধূমপান ও মাদক পরিহারঃ অনেকেই হতাশায় ভুগলে অ্যালকোহল, মাদক ও ধূমপান করে থাকে। আপনারা কি জানেন এগুলো করার ফলে হতাশত কাটে না, বরং আরো দুশ্চিন্তা বৃদ্ধি পায়, এছাড়াও দীর্ঘ সময় ধূমপান করার ফলে শরীরে থায়ামিনের অভাব দেখা দেয়। ফলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতায় ব্যাঘাত ঘটে। তাই এগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
মানসিক অস্থিরতা থেকে মুক্তির উপায়
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য কোন কোন খাবার গুলো খেতে হবে ইতিমধ্যেই আপনারা
সেগুলো জানতে পেরেছেন। মানুষ যখন অতিরিক্ত চাপের মধ্যে থাকে তখন তাদের মধ্যে
অস্থিরতা কাজ করে। আর এই অস্থিরতা থেকে মুক্তি পেতে হলে বেশ কিছু উপায় অবলম্বন
করতে হবে। সাধারণত আমরা উপরোক্ত আলোচনায় মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য বেশ
কিছু উপায় উল্লেখ করেছি। আপনি যদি সেই উপায়গুলো যথাযথভাবে প্রয়োগ করেন এবং সে
অনুযায়ী জীবন-যাপন করেন, তাহলে অবশ্যই আপনি মানসিক অস্থিরতা কমাতে পারবেন।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে।
- নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে।
- প্রতিদিন নিয়মিত মেডিটেশন করতে হবে।
- বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে হবে।
- নিয়ম মেনে জীবন-যাপন করতে হবে।
- নতুন কিছু শিখতে হবে।
- নতুন নতুন কাজ করার আগ্রহ এবং প্রচেষ্টা থাকতে হবে।
- অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- পছন্দের জায়গায় বেড়াতে যেতে হবে।
মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা
আপনি যদি মানসিক সমস্যায় ভোগেন,তাহলে প্রথমে মানসিক চাপ দূর করার উপায়? মানসিক
চাপ কিভাবে কমানো যায়? এই বিষয়গুলো ইতিমধ্যেই উপরোক্তে আলোচনা করা হয়েছে।
এগুলো প্রথমে অবলম্বন করবেন, যদি মানসিক সমস্যাগুলো দূর হয়ে যায়, হয়ে যায়
তাহলে তো ভালোই। আর যদি ঘরোয়া উপায়ে কোনোভাবেই যদি আপনি মানসিক সমস্যা থেকে
মুক্তি না পান, তাহলে অবশ্যই আপনি আগে একজন ভালো চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন।
বর্তমান সময়ে মানসিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি উঠেছে।
বেশ কিছু ডাক্তার মানসিক সমস্যা থেকে মুক্তির চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। যদি উপরোক্ত
পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করে, আপনি যদি মানসিক সমস্যা থেকে মুক্তি পান, তাহলে তো ভালই
আর যদি না পান, তাহলে অতি দ্রুত ডাক্তারের নিকট যাবেন, নাহলে আরও জটিল সমস্যা
দেখা দিতে পারে। তাই জন্য আপনার অবশ্যই তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া
জরুরী।
- সাইকোসিসঃ এটি মূলত মানসিক রোগের জটিল প্রকৃতি যেমন সিজোফ্রেনিয়া, হাইপারটেনশন, বাইপোলার ডিসঅর্ডার ইত্যাদি। এই জাতীয় রোগে আক্রান্ত হলে অনেক সময় আজীবন পর্যন্ত ভুগতে হয় তাই জন্য এই রোগ গুলো হলে ঔষধ খেতে হয়। আর কেউ যদি এজাতীয় রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে অতি দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
- নিউরোসিসঃ মৃদু মানসিক সমস্যা যেমন অল্পতেই রেগে যাওয়া, বিষন্নতা ইত্যাদি এ জাতীয় রোগ হলে বুঝে নিবেন আপনি নিউরোসিস এ আক্রান্ত। সাধারণত মানুষ নিউরোসিসে আক্রান্ত হলে কাউন্সিলিং পাশাপাশি চার পাশের লোকজনের সহায়তায় মূলত সেরে যায়। আবার প্রয়োজন অনুযায়ী থেরাপিও ব্যবহার করা যেতে পারে।
মানসিক চাপ কমানোর ঔষধ
সাধারণত আমরা বিভিন্ন সময় অসুস্থ হই। আর এই অসুস্থতা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য
নানা ধরনের ঔষধ সেবন করে থাকি। কিন্তু সব রোগের ঔষধ থাকলেও দুশ্চিন্তার কোন
নির্দিষ্ট ঔষধ নেই আমরা প্রায় সকলেই জানি। যখন একটি মানুষ কোন একটি বিষয় নিয়ে
অতিরিক্ত পরিমাণে চিন্তায় মগ্ন থাকেন, তখন এক সময় এটি দুশ্চিন্তায় পরিণত হয়।
দুশ্চিন্তা দূরীভূত করার নানা ধরনের উপায় রয়েছে। আপনি যদি দুশ্চিন্তা করার
উপরোক্ত উপায় গুলো অবলম্বন করেন, তাহলে মানুষ খুব সহজেই দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি
পাবেন।
আরো পড়ুনঃ ১৪টি উপায়ে ব্রয়লার মুরগি পালন পদ্ধতি
সত্যিকার অর্থে দুশ্চিন্তার কোন ঔষধ নেই। কিন্তু আপনারা যদি ঔষধ সেবন করতে চান,
তাহলে অবশ্যই একজন ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে, তারপর ওষুধ সেবন করবেন।
নির্দিষ্ট কোন দুশ্চিন্তার ঔষধ না থাকলেও, বর্তমান সময়ে আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির
ফলে অনেক চিকিৎসক দুশ্চিন্তার ঔষধ দিয়ে থাকেন। আর দুশ্চিন্তার ঔষধ খাওয়ার জন্য
একজন ভালো চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে তারপরে ওষুধ সেবন করবে।
ক্রমিক নং | ঔষধের নাম | কোম্পানির নাম | ঔষধের দাম |
---|---|---|---|
০১ | টেন্সিন ৪০ এম জি ট্যাবলেট (Tensyn 40 mg Tablet) | Synokem Pharmaceuticals Ltd. | ১৫০ টাকা |
০২ | জিরোটেনস ৩ মি.গ্রা. ট্যাবলেট (Zerotens 3 mg Tablet) | Popular Pharmaceuticals Ltd. | ১২০ টাকা |
লেখকের ইতি কথাঃ মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় - মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার খাবার ও অস্থিরতা থেকে মুক্তির উপায়
সম্মানিত পাঠক, আশা করি উপরোক্ত আলোচনা গুলো থেকে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার
উপায় - মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার খাবার ও অস্থিরতা থেকে মুক্তির উপায় এ
বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন। বর্তমান সময়ে মানুষ
অল্পতেই বিভিন্ন দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপের কারণে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য নষ্ট
করে ফেলে। তবে এই ধরনের সমস্যাগুলি থেকে মুক্তি পেতে হলে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো
রাখার উপায় - মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার খাবার ও অস্থিরতা থেকে মুক্তির উপায়
এ বিষয় সম্পর্কে পড়ে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে।
তাহলে আপনার শত মানসিক চাপ থাকা সত্ত্বেও আপনি আপনার মানসিক স্বাস্থ্যকে ভালো
রাখতে পারবেন। তবে এর আগে আপনাকে উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে
তাহলে আপনি একটি সুখী ও সুন্দর সাজানো গোছানো জীবন যাপন করতে পারবেন। তাই আপনি
যদি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় - মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার খাবার ও
অস্থিরতা থেকে মুক্তির উপায় এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ে উল্লেখিত বিষয়গুলো
সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেন তাহলে আপনি খুব সহজেই বিভিন্ন ধরনের দুশ্চিন্তা ও
মানসিক চাপ নিমিষেই কাটিয়ে উঠতে পারবেন।
তাই আপনি যদি ক্ষণিকের এই জীবনে সুন্দর এই পৃথিবীতে আপনার জীবনকে ভালোভাবে উপভোগ
করতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় - মানসিক
স্বাস্থ্য ভালো রাখার খাবার ও অস্থিরতা থেকে মুক্তির উপায় এই আর্টিকেলটি
সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে আপনি খুব দ্রুতই আপনার সব ধরনের
দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পাবেন সাথে সাথে মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো রাখতে পারবেন।
সম্মানিত পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থেকে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগের সাথে
পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে এ ধরনের তথ্যবহুল
কার্যকরী ও উপকারী আর্টিকেল নিয়মিত পোস্ট করে থাকি। তাই আপনি যদি এ ধরনের আরও
তথ্যবহুল ও উপকারী সব আর্টিকেল পড়তে চান, তাহলে অবশ্যই আমাদের এই ওয়েবসাইটটি
নিয়মিত ফলো করুন। সাথে সাথে এই আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে আপনার নিকট আত্মীয়,
বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজনদের কাছে তাদের উপকারার্থে শেয়ার করে দিন।
যেন তারা মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় - মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার খাবার
ও অস্থিরতা থেকে মুক্তির উপায় এ বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি ভালোভাবে জেনে নিতে
পারে। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় - মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার খাবার ও
অস্থিরতা থেকে মুক্তির উপায় এ বিষয় সম্পর্কে আপনার যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ মতামত
বা প্রশ্ন থাকে, তাহলে অবশ্যই নিচে দেওয়া মতামত বাক্সে কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আবার আপনাদের সাথে কথা হবে নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত নিরাপদ ও
সুস্থ থাকুন।
কনফিডেন্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url