পড়াশোনার পাশাপাশি স্টুডেন্ট অবস্থায় ইনকাম করার উপায় (২৮টি)
আপনি কি একজন স্টুডেন্ট? আপনি কি স্টুডেন্ট অবস্থাতেই ইনকাম করে স্বাবলম্বী হতে
চান? তাহলে আপনার চিন্তার কোন কারণ নেই। কারণ আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটির মূল
আলোচনায় হচ্ছে পড়াশোনার পাশাপাশি স্টুডেন্ট অবস্থায় ইনকাম করার উপায় (২৮টি)
সেই সম্পর্কে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যবহুল ও প্রয়োজনীয় আলোচনা করা হবে। তাহলে
চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক!
আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটির মাধ্যমে পড়াশোনার পাশাপাশি স্টুডেন্ট অবস্থায়
ইনকাম করার উপায় (২৮টি) এ বিষয় সম্পর্কে এমন কিছু ইউনিক ও কার্যকরী তথ্য
সম্পর্কে জানাবো, যেগুলিকে কাজে লাগিয়ে আপনি খুব সহজেই স্টুডেন্ট অবস্থাতেই
প্রতিমাসে অনেক টাকা ইনকাম করে স্বাবলম্বী হতে পারবেন। আপনি কি আলোচ্য বিষয়
সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো জানতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র
আপনার জন্যই। এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আশা করি আলোচ্য
বিষয়ে বিস্তারিতভাবে নির্ভুল সব তথ্য গুলো জানতে পারবেন। ইনশাআল্লাহ!
পেজ সূচিপত্রঃ
.
ভূমিকা
সারা বিশ্বে প্রায় অধিকাংশ মানুষই এই অনলাইন সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন
উপায়ে একটুখানি বুদ্ধি খাটিয়াই প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। এদিক থেকে
শুধুমাত্র পেশাজীবীরাই নয় এর সাথে স্টুডেন্টরাও এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তারাও
বিভিন্নভাবে ইনকাম করছে। তাই আপনি যদি স্টুডেন্ট অবস্থাতেই নিজেকে সচ্ছল ও
স্বাবলম্বী করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে পড়াশোনার পাশাপাশি স্টুডেন্ট অবস্থায়
ইনকাম করার উপায় (২৮টি) এ বিষয়ে পুরোপুরি স্পষ্ট জ্ঞান রাখতে হবে।
তাই আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন, তাহলে উক্ত বিষয়
সম্পর্কে পুরোপুরি ভালোভাবে জানতে পারবেন। এছাড়াও যেভাবে স্টুডেন্ট লাইফে ইনকাম
শুরু করবেন? স্টুডেন্ট অবস্থায় অনলাইন ইনকাম করার উপায়, পড়াশোনার পাশাপাশি ইনকাম
করার উপায়, লেখালেখি করে ইনকাম করার উপায়, ডিজিটাল মার্কেটিং করে ইনকাম, মাসে
লক্ষ টাকার বেশি আয় করার ইউনিক উপায়,
ঘরে বসে থেকেই লক্ষ টাকা আয় করুন, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করুন, ছবি
বিক্রি করে ইনকাম করুন এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই আপনি
যদি পড়াশোনার পাশাপাশি স্টুডেন্ট অবস্থায় ইনকাম করার উপায় (২৮টি) এ বিষয়
সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই কার্যকরী।
যেভাবে স্টুডেন্ট লাইফে ইনকাম শুরু করবেন?
আপনি কি স্টুডেন্ট লাইফে ইনকাম করতে না পেরে চিন্তিত? তাহলে আপনাকে আর চিন্তা
করতে হবে না, কারণ আপনি যদি স্টুডেন্ট লাইফে ইনকাম করতে চান, তাহলে আজকের এই
আর্টিকেলটি পুরোপুরি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। স্টুডেন্ট অবস্থায় পড়াশোনার পাশাপাশি
সচ্ছল জীবন-যাপনের জন্য, টাকা ইনকামের জন্য, বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করি, কিন্তু
পুরোপুরি অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে এবং পড়াশোনার জন্য কোনরকম জব করা যায় না। তাই
জন্য ছাত্র জীবনে ইনকাম করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে।
স্টুডেন্ট লাইফে পড়াশোনার পাশাপাশি স্টুডেন্ট লাইফে অনেকেই ইনকাম করতে চাই। আপনি
যদি একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন,নিজের পড়াশোনা পাশাপাশি যাবতীয় খরচ যদি নিজেই
চালাতে চান এবং বাড়ির উপর থেকে কিছুটা চাপ কমাতে চান,তাহলে স্টুডেন্ট লাইফে
ইনকাম করার জন্য অনেকগুলো পদ্ধতি রয়েছে সেগুলোর মধ্যে আপনি একটি নির্বাচন করে
আজই ইনকাম শুরু করতে পারেন।
- আর্টিকেল রাইটিং করে ইনকামঃ বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট রয়েছে যাদের আর্টিকেল লিখে দিলে অর্থ প্রদান করে। আপনি যদি বাংলা অথবা ইংরেজিতে লেখালেখি করতে পছন্দ করেন, তাহলে আপনার পড়াশোনার পাশাপাশি পার্টটাইম জব হিসাবে আর্টিকেল রাইটিং সবচেয়ে বেস্ট হবে। আপনি যদি পড়াশোনার কোনো রকম ক্ষতি না করে,পড়াশোনার পাশাপাশি টাকা ইনকাম করতে চান,তাহলে লেখালেখি করে অর্থাৎ আর্টিকেল লিখে আয় করতে পারেন।
- ছবি বিক্রি করে ইনকামঃ আপনি যদি ফটোগ্রাফি করতে ভালবাসেন কিংবা আপনি যদি নিজে ছবি আঁকতে অনেক পছন্দ করেন এবং সুন্দর সুন্দর ছবি আঁকেন,তাহলে আপনার জন্য ইনকাম করার সবচেয়ে বেস্ট অপশন হবে ছবি বিক্রি করে ইনকাম করা। বর্তমান সময়ে অনেকেই যাবতীয় স্মরণীয় দিনগুলোকে ছবি বন্দী করে রাখতে চাই। তাই আপনি যদি দুর্দান্ত ছবি তুলতে পারেন, তাহলে আপনি বিভিন্ন ধরনের বিয়ে কিংবা বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানে অথবা বিভিন্ন ধরনের ট্যুরে ছবি তুলে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
- বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করাঃ অনলাইন কিংবা অফলাইনে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা পদ্ধতি রয়েছে। আপনি অনলাইনে ব্যবসা করতে পারেন কিংবা যদি আপনি অনলাইনে ব্যবসা করতেন না চান, তাহলে অফলাইনে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা রয়েছে যেগুলো করে আপনি প্রচুর পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা রয়েছে যেগুলো করতে অনেকেই লজ্জাবোধ করে কিন্তু আমাদের সকলকে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে হালাল কোন ব্যবসায় লজ্জাজনক নয়। আপনি যদি স্টুডেন্ট লাইফে লেখাপড়ার পাশাপাশি অর্থ উপার্জন করতে চান, তাহলে কোন ব্যবসাকে ছোট মনে না করে ছোটখাটো ব্যবসা দিয়েই আপনি শুরু করতে পারেন। একসময় দেখবেন আপনার এই ছোটখাটো ব্যবসা অনেক বড় হয়ে গেছে। শুধু আপনাদের একটু ধৈর্য আর সময় দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে হবে। তাহলে একসময় আপনার ব্যবসা দাঁড়িয়ে যাবে।
- ফেসবুক মার্কেটিং করেঃ ফেসবুক হচ্ছে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। মূলত ফেসবুক ব্যবহার করে না এরকম মানুষ খুবই কম রয়েছে। বর্তমান সময়ে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েই যাচ্ছে। আর এই জনপ্রিয়তার বৃদ্ধির মূল কারণ হচ্ছে ফেসবুক থেকে খুবই ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করা যায় এই কারণে। আপনার যদি একটি ফেসবুক পেজ থেকে থাকে এবং আপনার ফেসবুক পেজে ভাল পরিমানে ফলোয়ার থেকে থাকে, তাহলে আপনি ফেসবুক থেকে খুব সহজেই অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হবেন।
- অনলাইনে ব্যবসা করাঃ সাধারণত বর্তমান সময়ে কোটি কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। আর এই ইন্টারনেটের সাথে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ওতোপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছে। তাই জন্য অনলাইনে ব্যবসা করা খুবই সহজ হয়ে গেছে। আপনি যদি অনলাইনে একটি ব্যবসা শুরু করেন এবং অনলাইনের মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্টের প্রচার-প্রচারণার কাজ করেন। তাহলে অনেক মানুষ আপনার সেই প্রোডাক্টগুলো ক্রয় করতে আগ্রহী হবেন। আর আপনি এই ভাবেই অনলাইনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
- টিউশনি করাঃ স্টুডেন্ট লাইফে অর্থ উপার্জন করার সবচেয়ে আদর্শ উপায় হচ্ছে টিউশনি করে ইনকাম করা। আপনার পড়াশোনার পাশাপাশি, পড়াশোনার কোনো ক্ষতি না করে, টিউশনি করার মাধ্যমে আপনি একটি হ্যান্ডসাম অ্যামাউন্ট ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।
- কোচিং করানোঃ স্টুডেন্ট লাইফে কোচিং করানোর মাধ্যমে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারেন কারণ স্টুডেন্ট লাইফে খুবই সহজ এবং সময় উপযোগী কোচিং করে অর্থ উপার্জন করা। আপনার অল্প কিছু সময় প্রতিদিন কোচিং সেন্টারে ব্যয় করার মাধ্যমে আপনি সেখান থেকে খুবই সহজে আপনার পড়ালেখার খরচ এবং পাশাপাশি আপনার পকেট খরচ উপার্জন করতে পারেন।
- শো- রুমের সেলসম্যানঃ পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ব্র্যান্ডের শোরুম গুলোতে আপনি সেলসম্যানের চাকরি করে টাকা উপার্জন করতে পারেন। প্রতিদিন অল্প কিছু সময় শোরুমে সেলসম্যান হিসেবে শোরুমে ব্যয় করার মাধ্যমে আপনি সেখান থেকে একটি হ্যান্ডসাম এমাউন্ট আয় করতে সক্ষম হবেন। এতে করে আপনি আপনার পড়াশোনার খরচ টাও চালিয়ে যেতে পারবেন পাশাপাশি আপনার হাত খরচও।
- পার্ট টাইম জবঃ স্টুডেন্টদের জন্য ইনকাম করার অন্যতম একটি মাধ্যম হচ্ছে পার্ট টাইম জব করা। প্রতিদিন অল্প কিছু সময় পার্ট টাইম জব করার মাধ্যমে একজন স্টুডেন্ট লেখাপড়ার খরচ খুব সহজেই বহন করতে পারে।
স্টুডেন্ট অবস্থায় অনলাইন ইনকাম করার উপায়
স্টুডেন্ট অবস্থায় অনলাইন ইনকাম করার বেশ কিছু জনপ্রিয় পদ্ধতি রয়েছে। আপনি যদি
একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন এবং আপনি যদি আপনার পড়াশোনার খরচ পাশাপাশি আপনার
নিজের যাবতীয় খরচ নিজেই চালাতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই
গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত অনেক স্টুডেন্ট রয়েছে যারা পড়াশোনার পাশাপাশি হালকা
পাতলা ইনকাম করতে চাই।
কিন্তু কিভাবে ইনকাম করবে সেটা বুঝে উঠতে পারে না, ইনকাম করার এ বিষয়টি নিয়ে
চিন্তাভাবনা করে থাকেন। তাই জন্য আমরা আজকে আপনাদের বেশ কিছু জনপ্রিয় কাজের কথা
বলব যেগুলো করলে আপনার পড়াশোনার কোন ক্ষতি হবে না, পড়াশোনার পাশাপাশি আপনি খুব
সহজেই অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
- ডিজিটাল মার্কেটিং করেঃ অনলাইনে ইনকাম করার যতগুলো পদ্ধতি রয়েছে তার ভিতরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করে খুব সহজেই ইনকাম করা যায়। অনলাইনে ইনকাম করার যতগুলো মাধ্যম রয়েছে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন কাজ হলো এই ডিজিটাল মার্কেটিং। মূলত ছোট বড় সকল ব্র্যান্ড তাদের প্রোডাক্ট মানুষের কাছে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর শরণাপন্ন হয়ে থাকে। আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং সম্বন্ধে এ টু জেড এক্সপার্ট হতে পারেন, তাহলে আপনার ইনকাম দিন দিন বৃদ্ধি পাবে।
- ফাইবার ওয়েবসাইটের মাধ্যমেঃ আপনি যদি মনে মনে চিন্তা করেন যে, আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই প্রথমে ফাইবার ওয়েবসাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। কেননা ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাবতীয় কাজ ফাইবারের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। আপনি যে কাজগুলোতে এক্সপার্ট সে কাজগুলো আপনি সেখান থেকে নিতে পারেন এবং তারপর আপনার কাজ গুলো পুরোপুরি সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পর সেই কাজগুলো আপনি আপনার ক্লায়েন্টের কাছে ডেলিভারি দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
- ব্লগিং করে ইনকামঃ বর্তমান সময়ে ঘরে বসে কোন রকম পরিশ্রম ছাড়াই খুব সহজে টাকা ইনকাম করার খুবই একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ব্লগিং করে ইনকাম করা। আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন এবং আপনি যদি আপনার পড়াশোনার পাশাপাশি টাকা ইনকাম করতে চান, তাহলে এই উপায়টি আপনি নিশ্চিন্তে অবলম্বন করতে পারেন। আর ব্লগিং করে ইনকাম করার জন্য আপনার প্রথমে একটি ওয়েবসাইটের প্রয়োজন হবে। তাই জন্য আপনাকে প্রথমে একটি ওয়েবসাইট ওপেন করতে হবে। তারপর সেই ওয়েবসাইটে প্রতিদিন নিয়মিত বিভিন্ন রকমের আর্টিকেল পাবলিস্ট করতে হবে। তারপর আপনি যখন google এডসেন্স এর অনুমতি গুগল থেকে পেলেই ব্লগিং থেকে অর্থ উপার্জন শুরু হবে।
- গ্রাফিক্স ডিজাইন করেঃ বর্তমান সময়ে অনলাইন থেকে ইনকাম করার সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন কাজগুলোর ভিতরে অন্যতম হলো গ্রাফিক্স ডিজাইন। বর্তমান সময়ে সবচেয়ে ডিমান্ডেবল কাজগুলোর ভিতরে গ্রাফিক্স ডিজাইন একটি। সারা বিশ্বের বড় বড় কোম্পানিগুলো তাদের কোম্পানির গ্রাফিক্স ডিজাইন করানোর জন্য ভালো মানের গ্রাফিক্স ডিজাইনার বাইরের বিভিন্ন দেশ থেকে হাইয়েস্ট সেলারিতে হায়ার করে থাকেন।
- এফিলিয়েট মার্কেটিং করেঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে প্রথমে আপনার একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট ওপেন করতে হবে এবং তারপর আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটরের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। তাহলেই আপনি আপনার ওয়েবসাইট থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাধারণত হচ্ছে অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করা। সাধারণত আপনার বিজ্ঞাপন দেখে যারা আপনার প্রোডাক্ট গুলো ক্রয় করবে মূলত তাদের কাছ থেকে আপনি যে কমিশন হিসেবে টাকাটা পাবেন সেটি আপনার ইনকাম।
- লিড জেনারেশনঃ সাধারণত লিড জেনারেশন খুবই সহজ একটি কাজ। মূলত লিড জেনারেশন ডিজিটাল মার্কেটিং এর মতই। তাই আপনি অনলাইনের মাধ্যমে লিড জেনারেশন করে আপনি একটা হ্যান্ডসাম এমাউন্ট আয় করতে পারবেন।
- এসইও এক্সপার্টঃ আপনি যদি এসইও এর কাজ এ টু জেড শিখতে পারেন, তাহলে আপনি এসইও করার মাধ্যমে অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। কিন্তু আপনাকে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে এসইও এর মাধ্যমে ইনকাম করতে হলে প্রথমে আপনাকে এসিও এক্সপার্ট হতে হবে তাহলে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।
- ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টঃ সারা বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হায়ার করে থাকে বাইরের দেশ থেকে। আপনি যদি ইংরেজিতে পুরোপুরি দক্ষতা অর্জন করে থাকেন, তাহলে আপনি ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ খুব সহজেই করতে পারবেন। অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ খুব সহজেই পেয়ে যাবেন।
পড়াশোনার পাশাপাশি ইনকাম করার উপায়
পড়াশোনার পাশাপাশি স্টুডেন্ট লাইফে কিভাবে ইনকাম করা যায় ইতিমধ্যে আপনারা সেই
সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পেরেছেন। সাধারণত উপরে যে উপায়গুলো আলোচনা করা হয়েছে
মূলত সেগুলো পড়াশোনার পাশাপাশি আপনারা সাধারণত সেগুলো করতে পারেন। আর আপনি যদি
পড়াশোনার পাশাপাশি ইনকাম করতে পারেন, তাহলে আপনাদের পরিবারের উপর থেকে অনেকটাই
চাপ কমে যায়।
সাধারণত অনেক স্টুডেন্ট রয়েছে পড়াশোনার পাশাপাশি কিভাবে বিভিন্ন ধরনের কাজ করা
যায় সেই সম্বন্ধে কোন অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে অর্থ উপার্জন করার এই বিষয়গুলো
নিয়ে চিন্তায় থাকেন। তাহলে চলুন আর নয় চিন্তা পড়াশোনার পাশাপাশি ইনকাম করার
আরো কিছু উপায় গুলো জেনে নেওয়া যাক।
- রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করাঃ বর্তমান সময়ে মানুষ অতিরিক্ত পরিমাণে রেস্টুরেন্টের উপর ঝুঁকে থাকে। বেশিরভাগ মানুষ দিন দিন এখন বাসার খাবারের থেকে রেস্টুরেন্টের খাবার বেশি পছন্দ করে। কারণ রেস্টুরেন্টের খাবার বিভিন্ন ধরনের টেস্টি মসলা দিয়ে মজাদার করে তৈরি করার কারণে সেগুলো খেতে অনেক মজা লাগে। এই কারণে মানুষ রেস্টুরেন্টের খাবার খেতে খুবই পছন্দ করে। আর বর্তমান সময়ে একটি সফল ব্যবসা হচ্ছে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা। আপনি যদি মনে মনে ভেবে থাকেন যে, আপনি একটি হালাল ব্যবসা করতে চান, তাহলে আপনার জন্য বেস্ট অপশন হবে, রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করে অর্থ উপার্জন করা। সাধারণত বিভিন্ন ধরনের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, ইউনিভার্সিটি, পাশে আপনি এ ব্যবসা করতে পারেন। সাধারণত বর্তমান সময়ে তরুণ প্রজন্মের মানুষ বেশি রেস্টুরেন্টে নিয়ে থাকে।
- ফাস্টফুডের ব্যবসা করাঃ বর্তমান সময়ে ফাস্টফুড খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। দিন দিন ফাস্টফুড এর চাহিদা বৃদ্ধির পেয়ে যাচ্ছে ছোট থেকে বড় সকলেই ফাস্ট ফুড খেতে পছন্দ করে। সাধারণত তরুণ প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা ফাস্টফুটে বেশি আসক্ত তারা অতিরিক্ত পরিমাণে ফাস্টফুড খেয়ে থাকে। আপনি যদি দোকান নাও দিতে পারেন, তাহলে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ছোট গাড়ি নিয়ে, যেখানে মানুষের সমাগম বেশি থাকে, সেখানে ফাস্টফুডের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
- মোবাইল সার্ভিসিং করাঃ বর্তমান সময়ে প্রায় সবার হাতে একটি করে স্মার্ট ফোন রয়েছে। অনেক সময় স্মার্ট ফোনে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়, অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায়, তখন মূলত আমাদেরকে সেই ফোনগুলো নিয়ে মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকানে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন পড়ে। আপনার যদি মোবাইল সার্ভিসিং সম্বন্ধে ধারণা থেকে থাকে, তাহলে আপনি খুব সহজে ছোট একটি দোকান দিয়ে মোবাইল সার্ভিসিং এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন। সাধারণত যখন আপনার পড়াশোনা থাকবে না, আপনি ফ্রি থাকবেন, পার্ট টাইম জব হিসাবে এই মোবাইল সার্ভিসিং এর কাজটা করতে পারেন।
- বইয়ের ব্যবসা করাঃ সফল ব্যবসাগুলোর ভিতর একটি অন্যতম ব্যবসা হচ্ছে বইয়ের ব্যবসা। বর্তমান সময়ে যদিও বই পড়ার মানুষজন অনেকাংশে কমে গেছে। কিন্তু তবুও অনেক মানুষ রয়েছে যারা বিভিন্ন ধরনের বই পড়তে পছন্দ করে, ভালোবাসেন। এছাড়াও পড়াশোনা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের বই কেনার প্রয়োজন পড়ে, সেহেতু আপনি যদি পড়াশোনার পাশাপাশি স্কুল কলেজ অথবা ইউনিভার্সিটির পাশে একটি ছোট করে বইয়ের দোকান দিতে পারেন, তাহলে এখান থেকে আপনার একটা ইনকাম হবে। বইয়ের ব্যবসা করার মাধ্যমে অনেক মানুষ স্বাবলম্বী হচ্ছে। কারণ বই পড়তে কে না পছন্দ করে, কেউ হয়তো বেশি পছন্দ করে, কেউ একটু কম পছন্দ করে।
- জুতার দোকানঃ সাজ-সজ্জার ভিতরে অন্যতম হচ্ছে জুতা। আর আমরা কম-বেশি সবাই জুতা পড়তে অনেক পছন্দ করি। বর্তমান সময়ের পোশাকের সাথে জুতা ম্যাচিং করে পড়াটা ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনি যদি হালাল কোন ব্যবসা করতে চান, তাহলে আপনার জন্য বেস্ট অপশন হবে জুতার ব্যবসা করা। এক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে একটি ছোট্ট দোকান এর ব্যবস্থা করতে হবে কিংবা যদি দোকানের ব্যবস্থা না করতে পারেন, তাহলে একটা ঠেলাগাড়িতে আপনি পাইকারি দামে বিভিন্ন ধরনের জুতা কিনে এনে একটা নির্দিষ্ট মূল্যে সেই জুতা গুলো বিক্রি করতে হবে তাহলে আপনি এখান থেকে একটা ভালো এমাউন্ট আয় করতে পারবেন। আপনারা সাধারণত পড়াশোনার পাশাপাশি এই জুতার ব্যবসা শুরু করে দেখতে পারেন।
লেখালেখি করে ইনকাম করার উপায়
ইতিমধ্যে আমরা স্টুডেন্ট লাইফে ইনকাম করার উপায় সম্বন্ধে জানতে পেরেছি। তাহলে
চলুন এবার লেখালেখি করে ইনকাম করার উপায় গুলো সম্বন্ধে জেনে নেওয়া যাক। বর্তমান
সময়ে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট রয়েছে, যদি তাদেরকে আপনি আর্টিকেল লিখে দেন তার
বিনিময়ে আপনাকে তারা অর্থ প্রদান করবে। আবার বিভিন্ন ধরনের প্রতারক ওয়েবসাইট
রয়েছে যারা লিখে নিয়ে আবার অর্থ প্রদান করে না, তাদের থেকে সাবধান।
আপনি যদি লেখালেখির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে চান, তাহলে প্রথমে আপনাকে আর্টিকেল
রাইটিং সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে হবে। তাহলে আপনি আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে মাসে
লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে সক্ষম হবেন। আর্টিকেল রাইটিং করার মাধ্যমে যদিও প্রথম
প্রথম ইনকাম কম হবে, তবে আস্তে আস্তে ইনকাম বৃদ্ধির পেতে থাকবে। আর্টিকেল রাইটিং
করে ইনকাম করতে হলে, আপনাদের প্রথমে আর্টিকেল রাইটিং শিখতে হবে।
আপনারা যদি আর্টিকেল রাইটিং শিখতে চান, তাহলে আপনাদের জন্য সেরা একটি প্রতিষ্ঠান
হবে অর্ডিনারি আইটি। অর্ডিনারি আইটিতে আর্টিকেল রাইটিং শেখানোর পর, তারা পুরোপুরি
ভাবে একজন স্টুডেন্টকে দক্ষ করে, তারপর তারা নিজেই তাদের প্রতিষ্ঠানে জব দিয়ে
থাকে। আপনারা যদি অর্ডিনারি আইডি থেকে আর্টিকেল রাইটিং শিখতে চান, তাহলে আপনারা
অনলাইন অথবা অফলাইন, আপনার যেভাবে সুবিধা হয়, সেভাবেই শিখতে পারেন।
আপনি যদি মনে করেন অফলাইনে অর্ডিনারি আইটিতে গিয়ে আর্টিকেল রাইটিং শিখবেন তাহলেও
শিখতে পারেন। আবার যদি মনে করেন ঘরে বসে খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে আর্টিকেল
রাইটিং অর্ডিনারি আইডি থেকে শিখবেন, তাহলেও শিখতে পারেন। এখন আপনাদের মনে একটি
প্রশ্ন জাগতে পারে কিভাবে আর্টিকেল রাইটিং লিখবেন?কোথায় বা আর্টিকেল লিখবেন?
তাহলে চলুন আপনার মনের ধোঁয়াশা দূর করা যাক এবার জেনে নেওয়া যাক কোথায় কিভাবে
আর্টিকেল লিখবেন। আপনি যদি লেখালেখি করে অর্থ উপার্জন করতে চান, তাহলে আপনাকে
প্রথমে যেকোনো আইটি সেন্টার থেকে কিংবা অর্ডিনারি আইডি থেকেও হতে পারে, প্রথমে আট
দিনের একটি ট্রেনিং নিতে হবে লেখালেখির বিষয়ে। সাধারণত আপনি কিভাবে আর্টিকেল
লিখবেন কোথায় লিখবেন সকল বিষয় সম্পর্কে তারা শিখিয়ে দেবে।
যখন সমস্ত কিছু আপনাকে শিখিয়ে দেবে তখন দুইটি টেস্ট ওয়ার্ক দিতে হবে। তাদের বলে
দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী আপনাকে লেখালেখি করতে হবে। আপনি যদি তাদের নিয়ম অনুযায়ী
সবকিছু ঠিকঠাক লিখতে পারেন তাহলে আপনাকে তারা জব দিবে। লেখালেখি করে ইনকাম করতে
হলে আপনাকে প্রথমে একটি ভালো জনপ্রিয় আইডি সেন্টার থেকে লেখালেখির বিষয়ে দক্ষতা
অর্জন করতে হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং করে ইনকাম
আপনি কি মনে মনে ভাবছেন ডিজিটাল মার্কেটিং করে অর্থ উপার্জন করবেন? আপনি যদি
ডিজিটাল মার্কেটিং করে অর্থ উপার্জন করতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি
সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কারণ আপনার জন্য এই আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমান সময়ে ইনকাম করার গুরুত্বপূর্ণ অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং
করে ইনকাম করা। কারণ বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং খুবই ট্রেন্ডে রয়েছে।
ইনকাম করার জনপ্রিয় কাজগুলোর ভিতরে অন্যতম ডিজিটাল মার্কেটিং। বিশেষ করে যারা
পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চায় এবং ফ্রিল্যান্সিং করতে চাই,
সাধারণত তাদের জন্য বেস্ট অপশন হবে ডিজিটাল মার্কেটিং। কেননা ফ্রিল্যান্সিং এর যে
সকল কাজগুলো রয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে চাহিদা
সম্পন্ন কাজ। বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা দিন দিন
বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে।
বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্র্যান্ড রয়েছে যারা তাদের
প্রোডাক্টগুলো মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের
শরণাপন্ন হচ্ছে। আপনি যদি একজন দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটার হয়ে থাকেন, আপনার যদি
ডিজিটাল মার্কেটিং সকল খুঁটিনাটি বিষয়ে জ্ঞান থেকে থাকে। তাহলে আপনি ডিজিটাল
মার্কেটিং করার মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হবেন।
তাই জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করার আগে প্রথমে আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং
বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে করবেন? আসল কথা
হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে আপনি কোথাও বিস্তারিত জানতে পারবেন না, আপনাকে
ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে জানতে হলে, কোন জনপ্রিয় আইটি সেন্টারে ডিজিটাল
মার্কেটিং বিষয়ে কোর্স করতে হবে।
তাহলে সেখান থেকে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর সকল খুঁটিনাটি বিষয় সম্বন্ধে
বিস্তারিত জানতে পারবেন এবং দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন ধরনের
আইটি সেন্টার রয়েছে যেগুলো থেকে আপনারা ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে দক্ষতা অর্জন
করতে পারেন। কিন্তু আপনাদের একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে
যেগুলোতে তাদেরই ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে কোন ধারনা নেই, কিন্তু তারা আবার
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখাচ্ছে।
সেগুলো প্রতারক আইটি থেকে সাবধান। আপনি যেখানে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখুন না কেন
প্রতিষ্ঠানের ভালোভাবে খোঁজখবর নিয়ে তারপর শিখবেন। এজন্য আপনাকে প্রথমে এমন একটি
প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করতে হবে, যেখানে ডিজিটাল মার্কেটিং করে আপনি মাসে লক্ষ টাকা
কিংবা তার থেকেও বেশি আয় করতে পারেন।
আপনারা যদি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চান, তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য
একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান হচ্ছে অর্ডিনারি আইটি আপনার জন্য সেরা হবে। কারণ
ডিজিটাল মার্কেটিং করে অর্ডিনারি আইটি মাসে লক্ষাধিক আরো বেশি টাকা আয় করে থাকে।
তাদের কাছ থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে প্রচুর সফল ফ্রিল্যান্সার তৈরি হয়েছে।
মাসে লক্ষ টাকার বেশি আয় করার ইউনিক উপায়
মাসে লক্ষ টাকার বেশি আয় করার বিভিন্ন ধরনের ইউনিক উপায় রয়েছে। কিন্তু সেগুলোর
না জানার কারণে অনেকে টাকা ইনকাম করতে পারেনা। যদি মাসে লক্ষ টাকার বেশি আয় করার
উপায় গুলো সম্বন্ধে জানা থাকে, তাহলে আপনারা ঘরে বসে খুব সহজে কোনরকম পরিশ্রম
ছাড়াই মাসে লক্ষ টাকারও বেশি আয় করতে সক্ষম হবেন।
ইতিমধ্যেই উপরোক্ত আলোচনায় কিভাবে ইনকাম করতে পারবেন এই বিষয়গুলোর সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করেছি এবং সেগুলো থেকে আপনারা হয়তো অনেক ধারণাই পেয়েছেন। আপনি
যদি ঘরে বসে খুব সহজে কোন রকম পরিশ্রম ছাড়াই সহজ পদ্ধতিতে মাসে লাখ টাকার বেশি
আয় করতে চান, তাহলে আপনি ব্লগিং করে আয় করতে পারেন। বর্তমান সময়ে খুবই
ট্রেন্ডে রয়েছে ব্লগিং।
মূলত ইনকাম করার খুব জনপ্রিয় পদ্ধতি হচ্ছে ব্লগিং করে ইনকাম করা। আপনি যদি
ব্লগিং করে ইনকাম করতে চান, তাহলে ব্লগিং করার জন্য আপনার প্রথমে যেটি প্রয়োজন
হবে, একটি ওয়েবসাইট। আপনাকে প্রথমে একটি ওয়েবসাইট ওপেন হবে এবং সেই ওয়েবসাইটে
আপনাকে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল লিখে নিয়মিত পাবলিস্ট করতে হবে এবং
আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটরের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি করতে হবে।
আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটরের সংখ্যা দিন দিন পেতে থাকবে। প্রথম প্রথম হয়তো
ভিজিটরের সংখ্যা কম থাকবে কিন্তু ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকবে এবং একসময় আপনার
ওয়েবসাইটে এডসেন্স এপ্রুভাল হবে। আর একবার যদি আপনার ওয়েবসাইটে এডসেন্স
অ্যাপ্রভাল হয়ে যায়, তাহলে আপনি মাসে লক্ষ টাকারও বেশি অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম
হবেন।
এছাড়াও মাসে লক্ষ টাকা আয় করার উপায় গুলোর ভিতরে আরেকটি জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে
ডিজিটাল মার্কেটিং করে মাসে লক্ষ টাকা আয় করা। যদি আপনার গ্রাফিক্স ডিজাইন
সম্বন্ধে পুরোপুরি দক্ষতা থেকে থাকে, তাহলে আপনি এখান থেকেও অনেক টাকা আয় করতে
পারবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং,
গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট প্রভূতি সম্পর্কে দক্ষতা থেকে
থাকে, তাহলে আপনি বিভিন্ন ধরনের মার্কেটপ্লেস যেমন ফ্রিল্যান্সার, ফাইবার,
আপওয়ার্ক সহ বিভিন্ন ধরনের মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ করার মাধ্যমে মাসে লক্ষ টাকারও
বেশি আয় করতে পারবেন।
ঘরে বসে থেকেই লক্ষ টাকা আয় করুন
স্টুডেন্ট লাইফে অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে জানার পাশাপাশি আমরা ঘরে বসেই কিভাবে মাসে
লক্ষ টাকার বেশি আয় করা যায় সে সকল বিষয় সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে পেরেছি।
বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে যেগুলো করে কোন পরিশ্রম ছাড়াই ঘরে বসেই
খুব সহজে মাসে লক্ষ টাকারও বেশি ইনকাম করা যায়। ঘরে বসে যদি খুব সহজেই মাসে লক্ষ
টাকা আয় করা যায়,
তাহলে তো আর বাইরে গিয়ে কষ্ট করে পরিশ্রম করে ইনকাম করার দরকার হয় না।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে এমন কিছু বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে যেগুলো আপনি করার
মাধ্যমে ঘরে বসেই ইনকাম করতে পারবেন। ইতিমধ্যেই আমরা যেহেতু বিভিন্ন ধরনের কাজ
সম্পর্কে আলোচনা করেছি সেহেতু আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে যেগুলো করার
মাধ্যমে মাসে লাখ টাকা আয় করা যায়। তাহলে চলুন সেগুলো সম্বন্ধে জেনে নেওয়া
যাক।
আপনার যদি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সম্বন্ধে দক্ষতা অর্জন থেকে থাকে, তাহলে
সেখান থেকে আপনি মাসে একটা হ্যান্ডসাম অ্যামাউন্ট আয় করতে পারবেন। সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং করতে হলে, আপনাকে কি করতে
হবে? সে সকল বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হবে। সাধারণত অনলাইনে যতগুলো সোশ্যাল মিডিয়া
মার্কেটিং রয়েছে সাধারণত সেগুলোতে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।
আপনি যদি একবার অ্যাকাউন্ট তৈরি করেন,সাথে সাথে আপনার একাউন্টে ফলোয়ারের সংখ্যা
বাড়াতে হবে। তাহলে দিন দিন সোশ্যাল মিডিয়াতে একাউন্ট তৈরি করে আপনার ফলোয়ারের
সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। আপনি যদি আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ফলোয়ারের
সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি করতে পারেন, তাহলে ফেসবুকে আপনার গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রভাল
হয়ে যাবে গুগল থেকে।
এখান থেকে আপনি ভালো মানের একটি অ্যামাউন্ট আয় করতে পারবেন। শুধু যে আপনি ফেসবুক
থেকেই অর্থ উপার্জন করবেন সেটা কিন্তু নই, আপনি ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম সহ
আরো যে সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রয়েছে সবগুলোতেই নিয়মিত ভিডিও আপলোডের
মাধ্যমে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করুন
আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে চান, তাহলে আপনাকে প্রথমে একটি
ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। আপনার যদি নিজস্ব কোন ওয়েবসাইট না থাকে এবং ভিজিটরের
সংখ্যা আপনার ওয়েবসাইটে যথেষ্ট পরিমাণে না থাকে, তাহলে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং
করতে সক্ষম হবেন না। কারণ ভিজিটরের সংখ্যা কম হলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা
যায় না।
এজন্য আপনি যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান, তাহলে আপনার প্রথমে আপনার যেটা
প্রথমে প্রয়োজন হবে সেটা হলো একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট। প্রথমে আপনাকে একটি আপনার
নিজস্ব ওয়েবসাইট ওপেন করতে হবে। তারপর আপনার ওয়েবসাইটে যেন ভিজিটরের সংখ্যা দিন
দিন বৃদ্ধি পায় সেজন্য প্রতিদিন নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল লিখে আপলোড করতে
হবে।
আপনার ওয়েবসাইটে যদি বিভিন্ন ধরনের ভালো মানের ভিজিটর আসে সেখানে আপনি বিভিন্ন
ধরনের প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে পারেন। এই বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে
আপনার ওয়েবসাইট থেকে প্রোডাক্টগুলো বিক্রয় হবে। আর প্রোডাক্ট গুলো বিক্রয়ের
মাধ্যমে আপনি এখান থেকে একটা কমিশন পাবেন।
আর যদি আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটরের মধ্যে থেকে আপনার ওয়েবসাইট থেকে আপনার
প্রোডাক্টগুলো ক্রয় করে থাকে, তাহলে আপনি সেখান থেকে একটি কমিশন পেয়ে যাবেন।
আপনি যতগুলো প্রোডাক্ট সেল করতে পারবেন, আপনি বিক্রয় করা সেই সকল প্রোডাক্টের
কমিশন আপনি পাবেন।
ছবি বিক্রি করে ইনকাম করুন
বর্তমান সময়ে অনেকেই ছবি বিক্রয়ের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করছে। অনেক মানুষ
রয়েছে যারা ভালো মানের পেইন্টিং করে। আর এই পেইন্টিং গুলো করার পর বিক্রয়ের
মাধ্যমে এখান থেকে একটা ভালো টাকা ইনকাম করে। আবার অনেক মানুষ রয়েছে যারা অনেক
ভালো ছবি তুলতে পারে, মানে ফটোগ্রাফি করতে পারে। এখন আপনি যদি ছবি তুলে ইনকাম
করতে চান, তাহলে সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ভালো ছবি তুলতে হবে অথবা ভালো ছবি
আঁকতে হবে। তাহলে আপনি এখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি যদি ভালো মানের পেন্টিং করতে পারেন, তাহলে সেগুলো বাজারে বিক্রি করে অর্থ
উপার্জন করতে পারবেন। আবার ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে আপনি যদি সুন্দর সুন্দর ছবি
তুলতে পারেন যেমন বিয়ে বাড়ি, বিভিন্ন অনুষ্ঠান, বিভিন্ন ট্যুরে গিয়ে আনন্দমুখর
মুহূর্ত গুলো ফ্রেমবন্দী করে, এখান থেকে আপনারা ভালো পরিমানে অর্থ উপার্জন করতে
পারবেন। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন আনন্দ মুহূর্তে স্মৃতিচারণ গুলো ফ্রেমবন্দি করে
রাখার জন্য প্রায় সবাই ছবি তুলে রাখতে চাই।
লেখকের ইতি কথাঃ পড়াশোনার পাশাপাশি স্টুডেন্ট অবস্থায় ইনকাম করার উপায় (২৮টি)
সম্মানিত পাঠক, আশা করি উপরোক্ত আলোচনা গুলো থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি স্টুডেন্ট
অবস্থায় ইনকাম করার উপায় (২৮টি) এ বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি বিস্তারিত ভাবে জানতে
পেরেছেন। বর্তমান সময়ে উন্নয়নের সুবিধা থাকার কারণে এটিকে কাজে লাগিয়ে কোনরকম
কষ্ট বা পরিশ্রম ছাড়াই স্টুডেন্ট অবস্থাতেও ঘরে বসে থেকে কিংবা পার্টটাইম যে কোন
ধরনের কাজ করে প্রতি মাসে অনেক টাকা ইনকাম করা সম্ভব। তবে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে
আপনার পুরোপুরি জ্ঞান বা স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। তবে আপনি প্রতি মাসে অনেক টাকা
ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।
তাই পড়াশোনার পাশাপাশি স্টুডেন্ট অবস্থায় ইনকাম করার উপায় (২৮টি) এই আর্টিকেলটি
ভালোভাবে পড়ে উল্লেখিত বিষয়গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিলে আপনি স্টুডেন্ট
অবস্থাতেই খুব সহজেই প্রতি মাসে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাই আপনি যদি
অনলাইনের এই সুবিধা কে কাজে লাগিয়ে প্রতি মাসে অনেক টাকা ইনকাম করতে চান
সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে পড়াশোনার পাশাপাশি স্টুডেন্ট অবস্থায় ইনকাম করার উপায়
(২৮টি) এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে আপনি খুব দ্রুতই
উক্ত মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে স্টুডেন্ট অবস্থাতেও একটা হ্যান্ডসাম অ্যামাউন্ট আয়
করতে সক্ষম হবেন।
সম্মানিত পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থেকে এই আর্টিকেলটির সম্পূর্ণ মনোযোগের সাথে
পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে এ ধরনের তথ্যবহুল
কার্যকরী ও উপকারী আর্টিকেল নিয়মিত পোস্ট করে থাকি। তাই আপনি যদি এ ধরনের আরও
তথ্যবহুল ও উপকারী সব আর্টিকেল পড়তে চান, তাহলে অবশ্যই আমাদের এই ওয়েবসাইটটি
নিয়মিত ফলো করুন। সাথে সাথে এই আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে আপনার নিকট আত্মীয়,
বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজনদের কাছে তাদের উপকারার্থে শেয়ার করে দিন।
যেন তারা পড়াশোনার পাশাপাশি স্টুডেন্ট অবস্থায় ইনকাম করার উপায় (২৮টি) এ বিষয়
সম্পর্কে পুরোপুরি ভালোভাবে জেনে নিতে পারে। পড়াশোনার পাশাপাশি স্টুডেন্ট
অবস্থায় ইনকাম করার উপায় (২৮টি) এ বিষয় সম্পর্কে আপনার যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ
মতামত বা প্রশ্ন থাকে, তাহলে অবশ্যই নিচে দেওয়া মতামত বক্সে কমেন্ট করতে ভুলবেন
না। আবার আপনাদের সাথে কথা হবে নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত নিরাপদ ও
সুস্থ থাকুন।
কনফিডেন্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url