Google adsense একাউন্ট কি? - গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায়

আপনি কি Google adsense একাউন্ট কি? - গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় ও কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলবেন এ বিষয় নিয়ে চিন্তিত? তাহলে আপনার চিন্তার কোন কারণ নেই। কারণ আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটির মূল আলোচনায় হচ্ছে Google adsense একাউন্ট কি? - গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় সম্পর্কে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যবহুল ও প্রয়োজনীয় আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক!
Google adsense একাউন্ট কি? - গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায়
আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটির মাধ্যমে Google adsense একাউন্ট কি? - গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় ও কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট তৈরি করবেন সে সম্পর্কে এমন কিছু ইউনিক ও কার্যকরী তথ্য সম্পর্কে জানাবো, যেগুলিকে কাজে লাগিয়ে আপনি খুব সহজেই আপনার গুগল এডসেন্স একাউন্টটি নির্ভুলভাবে খুলতে পারবেন ও সেখান থেকে আয় করতে পারবেন। আপনি কি আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেল শুধুমাত্র আপনার জন্যই। এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আশা করি আলোচ্য বিষয়ে বিস্তারিতভাবে নির্ভুল সব তথ্য গুলো জানতে পারবেন। ইনশাআল্লাহ!
পেজ সূচিপত্রঃ
.

ভুমিকা

Google এডসেন্স একাউন্ট হচ্ছে অনলাইন থেকে ব্লগিং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অথবা ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও আপলোড করে Google এডসেন্সের মাধ্যমে মনিটাইজেশন করে ডলার ইনকাম করার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম। আপনার ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার জন্য এডসেন্স একাউন্ট অতীব জরুরী। কারণ website বা YouTube চ্যানেল থেকে মনিটাইজেশনের মাধ্যমে

ইনকাম করার জন্য অবশ্যই আপনাকে একটি গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলতে হবে। এজন্য আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়লে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন Google adsense একাউন্ট কি? - গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় সম্পর্কে। এছাড়াও Google adsense কি? গুগল এডসেন্স একাউন্ট কি? গুগল এডসেন্স একাউন্ট কত ধরনের হয়ে থাকে? আপনি কোনটি একাউন্ট ব্যবহার করবেন?
হোস্টেড? নাকি নন - হোস্টেড? Google AdSense account create বা গুগল এডসেন্স একাউন্ট তৈরী করর নিয়ম, গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়ার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট বা তথ্য, কখন গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করতে হয়? গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায়, গুগল এডসেন্স পেমেন্ট নেওয়ার পদ্ধতি, Google adsense কি বাংলা ব্লগ পোস্ট সাপোর্ট করে? এ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই আপনি কি Google adsense একাউন্ট কি? - গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় এ বিষয়ে সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য খুবই দরকারী।

Google adsense কি?

আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট অথবা ব্লগ থেকে থাকে, অথবা আপনার ইউটিউবে একটি চ্যানেল থেকে থাকে, অথবা আপনি যদি বিভিন্ন এপ্লিকেশন তৈরি করতে পারেন, তাহলে খুব সহজেই আপনি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন। আর অনলাইন থেকে ইনকাম করার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে গুগল এডসেন্স। গুগল এডসেন্স আসলে কি? গুগল এডসেন্স হচ্ছে একটি “Advertising publishing program” যেটি গুগলেরই একটিভ প্রোডাক্ট।

ধরুন আপনার একটি ওয়েবসাইট রয়েছে অথবা আপনার ইউটিউবে একটি চ্যানেল রয়েছে, আপনি চাইলে আপনার ওয়েবসাইটে যে ভিউয়ার্স বা ট্রাফিক থাকবে সেই ট্রাফিক গুলোকে মনিটাইজেশন করে গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমেই ইনকাম করতে পারবেন খুব সহজেই। গুগল এডসেন্স কিভাবে কাজ করে? ধরুন আপনার একটি ওয়েবসাইট রয়েছে,অথবা একটি ব্লগ রয়েছে, অথবা ইউটিউবে আপনার

একটি চ্যানেল রয়েছে,যেখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের ভিডিও পোস্ট করে থাকেন, আপনার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট পোস্ট করে থাকেন, এক্ষেত্রে আপনাকে বলা হবে “Publisher” যারা আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওগুলো যারা দেখবে, অথবা যারা আপনার ওয়েবসাইটে ভিউ করবে, তাদেরকে বলা হয় ট্রাফিক। আর কিছু কোম্পানি আছে যারা নতুন নতুন প্রোডাক্ট অথবা নতুন নতুন সার্ভিস প্রমোট

করার জন্য আপনার এই ট্রাফিক গুলোর সামনে কিছু এড প্রদর্শন করবে এদেরকে বলা হয় অ্যাডভার্টাইজার। এই অ্যাডভার্টাইজার কোম্পানিগুলো সরাসরি গুগল এডসেন্সকে পেমেন্ট করে, এই এড গুলো প্রদর্শনের জন্য। গুগল এডসেন্স সেই পেমেন্ট গুলো থেকে কিছু টাকা কেটে নিয়ে যারা পাবলিশার রয়েছে, তাদেরকে প্রত্যেক মাসের শেষে পেমেন্ট আকারে দিয়ে দেয়, এভাবেই গুগল

এডসেন্সের প্রসেস গুলো কাজ করে। অ্যাডভার্টাইজার কোম্পানিগুলো তাদের এড প্রদর্শনের জন্যগুগল এডসেন্সকে পেমেন্ট করে থাকে এবং গুগল এডসেন্স কিছু এমাউন্ট কেটে নিয়ে বাদবাকিটি পাবলিশারদের পেমেন্ট আকারে সেন্ট করে দেয়, প্রতিমাসের শেষে। অ্যাডভান্স গুগলের বিজ্ঞাপন প্রচার প্রোগ্রাম ২০১০ সালে অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে মোট ৩০% আয় করেছিল। আর তা পরবর্তী সময়ে
ওয়েবমাস্টার ও ব্লগের মালিকদের নিকট ভাগ করে দেয়। ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের অ্যাড প্রদর্শনের মাধ্যমে ওয়েবমাস্টাররা অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হয়। গুগল মূলত বিজ্ঞাপন দাতাদের নিকট থেকে প্রাপ্ত অর্থ ৫১ শতাংশ সার্চের ক্ষেত্রে এবং ৬৮ শতাংশ কনটেন্ট এর ক্ষেত্রে ওয়েবমাস্টারদের বন্টন করে থাকে। বাংলাদেশের প্রচুর ব্লগার ও ওয়েবসাইটের মালিক গুগল এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের

মাধ্যমে বেশ ভালই আয় করছে। গুগল এডসেন্সে ইনকাম করতে চাইলে আপনার ওয়েবসাইটে ন্যূনতম কিছু ভিজিটর প্রয়োজন হবে পাশাপাশি আপনাকে অবশ্যই অ্যাডসেন্সের বিভিন্ন নিয়ম মেনে চলতে হবে। তাহলে আপনি অ্যাড প্রদর্শনের মাধ্যমে ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। প্রথমে গুগল আপনার ওয়েবসাইট ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করবে, দেখবে আপনার ওয়েবসাইটে সব কিছু ঠিক আছে কিনা?

তারপর আপনাকে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করার অনুমতি দিবে। এবং সাথে সাথে আপনাকে একটি কোড পাঠানো হবে, যে কোডটি ব্যবহার করে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে পারেন। ১০০ ডলার বা ১০০ ডলারেরও বেশি যদি আপনার মাসিক আয় হয়, তাহলে গুগল থেকে আপনাকে অর্থ পাঠানো হবে। আর গুগল অ্যাডসেন্স শুধু ওয়েবসাইটেই নয়, মোবাইলে অ্যাপ, ইউটিউব,বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট প্রভৃতিতে ব্যবহার করে ইনকাম করা যায়।

গুগল এডসেন্স একাউন্ট কি?

গুগলের একটা সার্ভিস সার্চ ইঞ্জিনের জায়ান্ট হলো গুগল এডসেন্স। যার মাধ্যমে গুগল ইউটিউব চ্যানেলে অ্যাড প্রদর্শন করে,পাশাপাশি ব্লগারদের ব্লগে অ্যাড প্রদর্শন করে, তার বিনিময়ে টাকা দেয়। এটি হলো গুগলের নিজস্ব প্রোডাক্ট,মূলত এটি একটি অ্যাডভার্টাইজমেন্ট পাবলিশিং।

গুগল এডসেন্স একাউন্ট কত ধরনের হয়ে থাকে?

গুগল একাউন্ট আসলে দুই ধরনের অ্যাকাউন্ট কে প্রোভাইড করে থাকে হোস্টেড অ্যাকাউন্ট ও নন - হোস্টেড একাউন্ট। ধরুন আপনার একটি টপ লেভেলের কাস্টম ডোমেইন রয়েছে এবং আপনি নিজস্ব ডোমেন হোস্টিং ব্যবহার করেন সে ক্ষেত্রে আপনি যখন আপনার এই কাস্টম টপ লেভেলের ডোমেইন দিয়ে কোন এডসেন্স এর জন্য এপ্লাই করবেন তখন যে এডসেন্সটি আপনি পাবেন এটিকে বলে নন - হোস্টেড অ্যাকাউন্ট।

আর যখন আপনি ইউটিউব অথবা ব্লগার যখন আপনি গুগলের হোস্টিং ব্যবহার করে কোন এডসেন্স এপ্লাই করবেন তখন এটিকে বলবে হোস্টেড অ্যাকাউন্ট। হোস্টেড অ্যাকাউন্ট আবার দুই ধরনের হয়ে থাকে সেটি হলো youtube হোস্টেড একাউন্ট ও ব্লগার হচ্ছে একাউন্ট।

আপনি কোনটি একাউন্ট ব্যবহার করবেন? হোস্টেড? নাকি নন - হোস্টেড?

সাধারণত একজন পাবলিশার কোন ধরনের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করবে তা মূলত তা তার কনটেন্ট প্রকাশের প্লাটফর্মের উপর নির্ভর করে। আপনি যদি একজন ইউটিউবার হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে বেস্ট হবে হোস্টেড অ্যাকাউন্ট। কারণ গুগলেরই একটি প্রোডাক্ট হলো ইউটিউব। আবার আপনি ব্লগস্পট ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে ডোমেইন আপনি সম্পূর্ণ ফ্রিতে পেয়ে যাবেন।
কারণ গুগলের ওই প্রোডাক্ট হলো ব্লগস্পট ও ইউটিউব। এগুলো ব্যবহারের ফলে আপনাকে বাড়তি কোন খরচ করা লাগবে না। আবার আপনি যদি বর্তমানে ব্লগস্পট ও ইউটিউব দুটোই ব্যবহার করছেন অথচ আপনার কোন নিজস্ব ওয়েবসাইট নেই, পরবর্তী সময়ে নিজের ওয়েবসাইট বানানোর ইচ্ছা রয়েছে, তাহলে সেক্ষেত্রে আপনি নিঃসন্দেহে হোস্টেড অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করে আপনাকে আপনার হোস্টেড একাউন্টটি নন - হোস্টেড করে নিতে হবে।

প্রথম থেকেই আপনার যদি একটি প্রফেশনাল নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট থেকে থাকে, সেক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটে ভালোভাবে নজর দিতে হবে, পাশাপাশি নন হোস্টেড একাউন্টটি নিয়েও আপনি ভাবতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে ডোমেন এবং হোস্টিংয়ের জন্য আলাদা অর্থ ব্যয় করতে হবে। টেক্সচুয়াল কন্টেন্ট ও প্রফেশনাল ব্লগার মনিটাইজেশন এর মাধ্যমে যারা এডসেন্স থেকে প্রচুর ইনকাম করে থাকে, তাদের পছন্দের তালিকায় প্রথম থাকে নন - হোস্টেড একাউন্ট।

Google AdSense account create বা গুগল এডসেন্স একাউন্ট তৈরী করার নিয়ম

Google adsense একাউন্ট কি? - গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায়
গুগল এডসেন্স একাউন্ট তৈরি করার জন্য প্রথমে আপনাকে আপনার ডিভাইস থেকে গুগল ক্রোম ব্রাউজারে যেতে হবে ও আপনি যেই জিমেইল অ্যাকাউন্ট দিয়ে এডসেন্সের জন্য আবেদন করবেন সেটি সেখানে লগইন করে নিতে হবে এবং সেখানে থাকা আপনার ব্যবহৃত সব ধরনের “History” ক্লিয়ার করে নিতে হবে। গুগল ক্রোমে আপনার ব্যবহৃত “History” গুলো ক্লিয়ার করার জন্য আপনাকে google

ক্রমে প্রবেশ করে উপরে ডান দিকে থাকা থ্রী ডটে ক্লিক করতে হবে। সেখানে “History” অপশনে ক্লিক করতে হবে। ক্লিক করার সাথে সাথে উপরে “Clear browsing data” লেখাতে প্রথমে ক্লিক করে নেবেন এরপর “Advanced” ক্লিক করে সেখানে ”All Time” নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন সেখানে ক্লিক করে ”All Time” লেখাটি সিলেক্ট করে দিতে হবে। এরপর আপনার ক্রোম ব্রাউজারে যতগুলো “History”
অপশন আছে সবগুলোতে মার্ক করে নিবেন এরপর নিচে থাকা “Clear data” লেখা অপশনে ক্লিক করে দিবেন। তাহলেই আপনার ক্রম ব্রাউজারের সব ধরনের “History” ক্লিয়ার হয়ে যাবে। এরপরে সার্চ অপশনে গিয়ে Adsense কথাটি লিখে দিবেন। এরপর সার্চ করার সাথে সাথেই আপনার সামনে প্রথমেই Google AdSense - Monetize your website traffic এই লিংকে ক্লিক করবেন অথবা Google AdSense ক্লিক করে নিবেন।
 
রপর আপনি যে দেশের অধিবাসী সেই ভাষা আপনার সামনে শো করবে। সেক্ষেত্রে ভাষা চেঞ্জ করার জন্য নিচে থাকা থ্রি ডটে ক্লিক করে আপনার পছন্দ অনুযায়ী ভাষা সিলেক্ট করে নিতে পারবেন। এরপর “Start” লেখা একটি বাটনে ক্লিক করে নিবেন। এরপর আপনি যে Gmail এর মাধ্যমে এডসেন্স একাউন্ট খুলতে চান সেখানে সেই Gmail account সিলেক্ট করে নিবেন। Gmail অ্যাকাউন্ট সিলেক্ট করা হলে

সেখানে Your site লেখা একটি অপশনের নিচে বক্স দেখতে পাবেন। এর নিচে I don't have a site yet লেখার বাম সাইডে একটি ছোট্ট বক্স থাকবে সেটিতে টিক মার্ক দিয়ে দিবেন। এর নিচে Get more out of AdSense লেখা থাকবে এবং এর নিচে Yes, send me customised help and Performance suggestions লেখা অপশনে ক্লিক করে দিতে হবে। এতে করে আপনি আপনার ইমেল এর মাধ্যমে গুগল থেকে পাঠানো

যেকোনো ধরনের নোটিফিকেশন পেয়ে যাবেন। এরপর এর নিচে Your payment country লেখার নিচে একটি বক্সে আপনি যে দেশের নাগরিক সেই country সিলেক্ট করে নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে আপনি যদি বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই country হিসেবে বাংলাদেশ সিলেক্ট করে নিবেন। country সিলেক্ট করা হয়ে গেলে সেটির নিচের দিকে কিছু কন্ডিশন দেওয়া থাকবে তার নিচে I have read

and accept the agreement লেখা থাকবে এবং তার বাম পাশে ছোট্ট একটি বক্স থাকবে সেখানে টিক মার্ক দিয়ে দিতে হবে। তারপর এর নিচে একটি Start being AdSense লেখা বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর আপনার সামনে একটি ইন্টারফেস ওপেন হবে সেখানে আপনার কোন কাজ নেই। তবে উপরে থ্রি লাইন অপশন থাকবে সেখানে ক্লিক করে সেখানে কয়েকটি অপশন প্রদর্শিত

হবে তার মধ্যে আপনি Payment অপশনে ক্লিক করে Payment সিলেক্ট করবেন। এরপর আপনার সামনে একটি ইন্টারফেস ওপেন হবে সেখানে Add payment account লেখা অপশনে ক্লিক করে দিবেন। এরপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর আপনার সামনে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করার জন্য একটি ইন্টারফেস ওপেন হবে। সেখানে প্রথমে Add payment information লেখার নিচে Account type লেখা

একটি অপশন থাকবে সেখানে Individual সিলেক্ট করে নিতে হবে।এরপর Name and address লেখার নিচে Name লেখা অপশনের জায়গায় যার নামে এডসেন্স একাউন্ট খুলবেন তার ন্যাশনাল আইডি কার্ড অনুযায়ী নাম লিখতে হবে। এরপর Address line 1 লেখা অপশনে ন্যাশনাল আইডি কার্ড অনুযায়ী প্রথমে গ্রাম, পোস্ট অফিস, থানা এই তথ্যগুলো লিখে দিবেন। এরপর Address line 2 লেখা অপশনে

আপনার ব্যবহৃত ফোন নাম্বার দিয়ে দিবেন যাতে করে পোস্ট অফিসের পিয়ন আপনার কাছে গুগল থেকে পাঠানো চিঠিটি পৌঁছে দিতে পারে। এরপর Town / City লেখা অপশনের নিচে আপনার জেলা সিলেক্ট করে দিবেন। এরপর নিচে Postcode লেখা অপশনেআপনার এনআইডি কার্ডের পিছনে চার সংখ্যার যে পোস্ট কোড দেওয়া থাকবে সেটি বসিয়ে দিবেন। এরপর নিচে ফোন নাম্বার একটি অপশন
থাকবে সেখানে অপশনাল হিসেবে আপনার ব্যবহৃত ফোন নাম্বারটি বসিয়ে দিবেন যাতে করে আপনার উপরের নাম্বারটি বন্ধ থাকলে এই নাম্বারে আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারে। এরপর আপনার দেওয়া এই তথ্যগুলো ভালোভাবে চেক করে নিবেন কোথাও ভুল আছে কিনা। চেক করা হয়ে গেলে

Submit লেখা অপশনে ক্লিক করে দিবেন। এরপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর আপনার সামনে একটি ইন্টারফেস ওপেন হবে সেখানে US$.00 এরকম লেখা শো করবে।আর এই অপশনটি দেখা গেলেই আপনি বুঝে নিবেন আপনার google এডসেন্স একাউন্ট সফলভাবে তৈরি করা হয়ে গেছে।

গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়ার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট বা তথ্য

বর্তমান সময়ে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলে আয় করার ব্যাপারটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মূলত এটি এপ্লাই করার জন্য কোনরকম ঝামেলায় করতে হয় না। প্রথমে আপনাকে একটি গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলতে হবে তারপর আপনি যদি গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আয় করতে চান তাহলে পরবর্তী সময়ে আপনার google adsense approval হলে আপনার অটোমেটিক্যালি ইনকাম হওয়া শুরু হয়ে যাবে।
সর্বপ্রথম আপনার একটি গুগল এডসেন্স একাউন্ট খোলার জন্য একটি গুগল আইডির প্রয়োজন পড়বে। স জন্য জিমেইল একাউন্টের প্রয়োজন পড়বে।
  • গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলতে হলে আপনার একটি গুগল আইডি অর্থাৎ জিমেইল একাউন্ট থাকতে হবে।
  • আপনার গুগল এডসেন্স একাউন্টটি ভেরিফাই বা যাচাই করার জন্য আপনার ব্যবহৃত একটি সচল ফোন নাম্বার লাগবে।
  • এডসেন্স একাউন্টটি অ্যাপ্রুভাল হওয়ার জন্য আপনার নিকটে ভেরিফিকেশন চিঠি পাঠানো হবে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে আপনার বর্তমান ঠিকানাটি সঠিকভাবে দিতে হবে।
  • সর্বোপরি গুগল এডসেন্স একাউন্ট থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনার একটি ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেল অথবা যে সাইটের মাধ্যমে কাজ করে গুগল এডসেন্স একাউন্টে টাকা ইনকাম করবেন সেটি অবশ্যই থাকতে হবে।
তাই আপনার যদি উল্লেখিত উপকরণগুলো থাকে তবেই আপনি খুব সহজে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে একাউন্ট ক্রিয়েট করে সেখান থেকে ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।

কখন গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করতে হয়?

  • ব্লগ ওয়েবসাইটের জন্যঃ কখন গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করবেন সেটি নিতান্তই আপনার কাজ করার উপর নির্ভর করবে। আপনার ব্লক সাইটের জন্য যদি আপনি নিয়মিত লিখতে থাকেন এবং আপনার আর্টিকেলগুলো যত বেশি ইউনিক ও সবার থেকে আলাদা হবে আপনি তত দ্রুতই অ্যাডসেন্স পাবেন। তবে এক্ষেত্রে অনেকেই বলেছেন যে ২৫০০ থেকে ৩০০০ ওয়ার্ড এর মধ্যে কিংবা ১৫০০ থেকে ২০০০ ওয়ার্ডের মধ্যে ৪০-৫০টির উপরে আপনার ওয়েবসাইটে আর্টিকেল থাকলে আপনি অ্যাড সেন্স এর জন্য এপ্লাই করতে পারবেন।তবে এক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটে যদি ১০০ এর উপরে আর্টিকেল থাকে তাহলে এডসেন্স পেতে কোন ঝামেলা হবে না। অনেক সময় দেখা যায় কম আর্টিকেল থাকার জন্য এডসেন্স অ্যাপ্রুভাল হয় না। তবে আপনি যদি দ্রুত এডসেন্স পাওয়ার জন্য শুধু ওয়েবসাইট ভর্তি করার জন্য মানসম্মত, ইউনিক ও কোয়ালিটি সম্পন্ন কনটেন্ট না লিখেন সে ক্ষেত্রে এডসেন্সের জন্য আবেদন করেও কোন লাভ হবে না। কারণ এডসেন্সের আবেদন করলে গুগল এডসেন্স কর্তৃপক্ষ আপনার ওয়েবসাইটটি বিভিন্নভাবে ভেরিফাই করবে। সেক্ষেত্রে যদি আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্টগুলো সবার থেকে আলাদা হয় এবং পলিটির সম্পন্ন কনটেন্ট থাকে তবেই আপনার এডসেন্সটি এপ্রুভাল হবে। তবে এডসেন্সে আবেদন করার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটের কোন ক্যাটাগরিতে পাঁচটির কম আর্টিকেল বা কনটেন্ট থাকা চলবে না বরং এর চাইতে বেশি থাকতে হবে। সাথে সাথে আপনার ওয়েবসাইটে থাকা “Privacy policy, Contact Us, About us” এই ধরনের পেইজগুলি খালি আছে কিনা সেটি চেক করে নিতে হবে। যদি খালি থাকে তাহলে অবশ্যই সেগুলো লিখে পূরণ করতে হবে।
  • ইউটিউব একাউন্টের জন্যঃ আপনি যদি আপনার youtube একাউন্টটি ব্যবহার করে google এডসেন্সের মাধ্যমে ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে আপনার গুগল একাউন্টে এমন কনটেন্ট বা ভিডিওগুলো আপলোড করতে হবে যেগুলো অন্যদের সাথে মিলে না যায় বা কপিরাইট ফ্রি হয়। সাথে সাথে আপনার কনটেন্ট বা ভিডিওগুলো মানসম্মত ও ইউনিক ভিডিও হতে হবে। আর youtube অ্যাকাউন্টে আপনার কনটেন্ট বা ভিডিও প্রকাশের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন যেন আপনার কন্টেন্ট বা ভিডিওগুলো এডাল্ট কনটেন্ট না হয়। গুগল একাউন্ট থেকে এডসেন্সের আবেদন করার জন্য অবশ্যই আপনার ইউটিউব চ্যানেলটির ওয়াচ টাইম ৪০০০ হাজার ঘন্টা হতে হবে। আর আপনার ইউটিউব চ্যানেলটিতে ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার অবশ্যই থাকতে হবে। তবেই আপনার ইউটিউব একাউন্টটি গুগল এডসেন্স এর জন্য উপযোগী হবে।

গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায়

একটি বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক হলো গুগল এডসেন্স। কেউ যখন তাদের নিজের কনটেন্টে গুগলের অ্যাড গুলো প্রদর্শন করে তখন google তার এডসেন্স নেটওয়ার্ক এ থাকা সাইট গুলোতে সেই বিজ্ঞাপন গুলো প্রদর্শন করে। আর আপনি যদি আপনার সাইট বা চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে ইনকাম করতে চান, তাহলে অবশ্যই গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল নিতে হবে। সাধারণত আমরা সকলেই গুগল সম্পর্কে কমবেশি জানি।
মূলত গুগল হলো একটি সার্চ ইঞ্জিন যা আলফাবেট ইনকর্পোরেশন এর অন্তর্ভুক্ত একটি কোম্পানি। আলফাবেট ইনকর্পোরেটেড এর শাখা প্রতিষ্ঠান গুগল এডসেন্স ও গুগল এডওয়ার্ডস।গুগল এডওয়ার্ড ব্যবহার করে গুগলে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করেন। আর এই বিজ্ঞাপন গুলো গুগলের সার্চ, ইউটিউব ও গুগল এডসেন্স ব্যবহারকারী সাইট গুলোতে দেখা যায়।
  • AdSense for content: ধরুন আপনার একটি কনটেন্ট বেস্ট ওয়েবসাইট রয়েছে অথবা আর্টিকেল বেস্ট ওয়েবসাইট রয়েছে। যেখানে মোটামুটি ভালো মানের কিছু ভিউয়ার্স আসে। আপনি চাইলে এই কনটেন্টগুলোর মাঝখানে অথবা ডানে - বামে,উপরে, নিচে বিভিন্ন জায়গায় গুগল এডসেন্স এর এ এড প্রদর্শনের মাধ্যমে আপনি খুবই সহজে ইনকাম করতে পারেন।
  • AdSense for search: আপনি গুগলের কাস্টম সার্চ ইঞ্জিন আপনার ওয়েবসাইটে বসিয়ে দিয়েও সেখান থেকে গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করতে পারবেন। যখন আপনার ওয়েবসাইটে গুগলের কাস্টম সার্চ ইঞ্জিন অ্যাড করে দিবেন তখন যদি কোন ভিউয়ার্স ওই সার্চ ইঞ্জিনে কোন ইনফরমেশন সার্চ করে তখন google সেখানে কিছু অ্যাড প্রদর্শন করবে এবং সেখান থেকে আপনি একটি আর্নিং পেয়ে যাবেন।
  • AdSense for game: গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আপনি গেম খেলেও আর্ন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে STML5 অনলাইন বেস্ট ওয়েবসাইট যদি আপনার থেকে থাকে গেমস রিলেটেড সে ক্ষেত্রে আপনি সেই গেমস গুলোর ভেতরে ভিডিও অ্যাড অথবা ইমেজ এন্ড অথবা টেক্সট অ্যাড বসিয়েও গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
  • AdSense for videos: আপনার যদি নিজস্ব কোন ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট থেকে, থাকে তাহলে আপনি নিজের ভিডিও গুলোতে গুগল এডসেন্স এর অ্যাড প্রদর্শনের মাধ্যমে গুগল এডসেন্স থেকে আর্ন করতে পারবেন।
  • AdSense for blogger: আপনার যদি একটি ব্লগ সাইট থেকে থাকে, তাহলে আপনি গুগল এডসেন্স এর অ্যাড সেখানে সরাসরি প্রদর্শনের মাধ্যমে ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। আর ব্লগস্পট হচ্ছে গুগলের নিজস্ব একটি সাইট, আপনি চাইলে সেখানে ফ্রিতেই ব্লকস্পট অথবা ব্লগারে ফ্রিতে একটি ব্লগিং সাইট ওপেন করতে পারেন এবং সেখানে কিছু আর্টিকেল পোস্ট করে গুগল এডসেন্স এ এপ্লাই করতে পারেন।
  • Youtube: ইউটিউবে আপনার যদি একটি চ্যানেল থেকে থাকে, সেক্ষেত্রে 4000 hour watch time এবং আপনার চ্যানেলে 1000 সাবস্ক্রাইবার থাকলে, আপনি আপনার চ্যানেলে যে ভিডিওগুলো আপলোড করবেন, সেই ভিডিও গুলো মনিটাইজেশন করে, আপনি গুগল এডসেন্স থেকে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন।
  • AdMob: গুগল এডসেন্স থেকে আর্নিং এর আরোও একটি মাধ্যম হচ্ছে Admob.আপনি যদি এপ্লিকেশন তৈরি করতে পারেন,অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশনস, স্মার্টফোনের বিভিন্ন রকমের এপ্লিকেশনস আপনি যদি তৈরি করতে পারেন সে ক্ষেত্রে অ্যাডমোবের গুগল এডসেন্স থেকে সেখানে অ্যাড প্রদর্শন করে সরাসরি আপনি আপনার নিজের অ্যাপ্লিকেশনস থেকে ইনকাম করতে পারেন।
  • DoubleClick for Publisher: গুগল এডসেন্সের একটু এডভান্স লেভেলে যারা কাজ করতে চান, গুগল এডসেন্স এর থেকে একটু অ্যাডভান্স লেভেলে যারা আর্ন করতে চান তাদের জন্য হলো ডাবল ক্লিক।
সাধারণত ফ্রি ট্রাফিক এর মাধ্যম থেকে আসা ট্রাফিক গুলো মানসম্পন্ন হয় না যেমন facebook, twitter 
instagram বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। গুগল মূলত দুটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে এড প্রদর্শন করে থাকেন। পূর্ববর্তী সার্চ ও ওয়েব ব্রাউজিং এর উপর ভিত্তি করে, প্রথমে আপনার কনটেন্ট ও দ্বিতীয় ভিজিটর। সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আশা ভিজিটর গুলো সেরকম কোয়ালিটি ফুল হয় না। তাই ম্যাক্সিমাম ভিজিটর সোশ্যাল মিডিয়ার অন্য কোন মাধ্যম থেকে আসে।

তখন আপনার এডসেন্স একাউন্ট লিমিটেশনের মধ্যে চলে আসতে পারে। তাই জন্য এডসেন্স পাবলিশার নেটওয়ার্ক যুক্ত করার জন্য আবেদন করার আগে, আপনার ওয়েবসাইটে পর্যাপ্ত পরিমাণে কন্টেন্ট থাকা আবশ্যক। আপনার ওয়েবসাইটে যত বেশি ভিজিটর হবে, ঠিক তত বেশি ক্লিক আসবে। তাই ওয়েবসাইটে ভিজিটর যত বেশি ক্লিকও ততো বেশি। তাই আপনাকে ব্লগিং এর পাশাপাশি এসইও শিখতে হবে।

গুগল এডসেন্স পেমেন্ট নেওয়ার পদ্ধতি

আপনি কি গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করছেন? বুঝতে পারছেন না পেমেন্ট কিভাবে নিবেন? তাহলে জেনে নিন গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে টাকা তোলার পদ্ধতি গুলো কি কি? কিভাবে ব্যাংকের মাধ্যমে এডসেন্স থেকে টাকা তুলবেন? তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক গুগল এডসেন্স পেমেন্ট নেওয়ার পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে।

গুগল এডসেন্স থেকে টাকা তোলার আগে আপনাকে অবশ্যই গুগল এডসেন্সের পিন ভেরিফাইড করে নিতে হবে। এডসেন্সের পিন ভেরিফাইড করার জন্য আপনার অ্যাকাউন্টে অবশ্যই ১০$ হতে হবে। আপনার google এডসেন্সের অ্যাকাউন্টে ১০$ হলে আপনাকে জানিয়ে দিবে, পাশাপাশি আপনার ঠিকানায় একটি পিন লেটার পাঠিয়ে দিবে। google এডসেন্স এর নাম ও সঠিক ঠিকানা দেওয়া থাকলে

আপনি যে কোন জায়গা থেকে আপনার নিকটস্থ পোস্ট অফিস থেকে লেটার পেয়ে যাবেন। সাধারণত ২৮ দিন সময় লেগে থাকে google এডসেন্সের পিন পেতে। তবে কেউ কেউ আবার কম সময়েও পেয়ে যায়। গুগল এডসেন্সের পাঠানো লেটারে আপনি একটা গোপন পিন পাবেন, যেটা দিয়ে আপনার গুগল এডসেন্স ভেরিফাইড করে নিতে হবে। যদি আপনার নাম ঠিকানা দিতে ভুল হয়, তবে লেটার পেতে সমস্যা হবে।

তবে আপনি বেশ কয়েকবার পিন লেটারের জন্য গুগলে আবেদন করতে পারবেন। গুগল এডসেন্স থেকে টাকা তোলার জন্য আপনার গুগল এডসেন্স একাউন্টে কমপক্ষে ১০০$ বা তার থেকেও বেশি হতে হবে। সাধারণত গুগল এডসেন্স আপনার ব্যাংক একাউন্টে প্রতি মাসের ২১ তারিখে টাকা পাঠিয়ে দিবে। আবার কখনো কখনো দেরি হতে পারে। কারণ বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পেমেন্ট করে থাকে।
সারা বিশ্বে বর্তমান সময়ে যারা google এডসেন্স নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে, তারা মূলত টাকা তোলার জন্য দুই ধরনের পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকে। গুগল এডসেন্স থেকে টাকা তোলার পদ্ধতি গুলোর মধ্যে থেকে প্রথমটি হলো ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা তোলা যায় এবং দ্বিতীয় পদ্ধতিটি হলো চেকের মাধ্যমে টাকা তোলা যায়। প্রথমে আপনি আপনার এডসেন্স একাউন্টে প্রবেশ করবেন তারপরে Adsense

Dashboard থেকে Payment অপশন এর মধ্যে যান, সেখানে যাওয়ার পর ঠিক নিচেই Payment info নামের একটি অপশন দেখতে পাবেন। আপনি সেই অপশনে ক্লিক করবেন। ক্লিক করার পর একটু নিচের দিকে স্কল করুন তখন আপনি একটি ফিচার দেখতে পাবেন যেখানে লেখা থাকবে How to get paid. এখানে আপনি আপনার ব্যক্তিগত ব্যাংক একাউন্ট যুক্ত করে দিন। এডসেন্স থেকে আয় করা

টাকাগুলো তাহলে সরাসরি ঐ যুক্ত করা আপনার ব্যাংক একাউন্টের মধ্যে চলে যাবে। কিন্তু আপনি যদি আপনার টাকাগুলো চেকের মাধ্যমে তুলতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে ডাক বিভাগের মাধ্যমে আপনার নিকটস্থ পোস্ট অফিসে গিয়ে এডসেন্স থেকে দেওয়া চেক সংগ্রহ করতে হবে।

আর আপনি এডসেন্স থেকে আয় করা সেই টাকাগুলো চেকের মাধ্যমে তুলতে পারবেন। এডসেন্স থেকে পাঠানো চেক যদি আপনার কাছে থাকে তাহলে আপনি বাংলাদেশের যে কোন ব্যাংক থেকে খুব সহজেই টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে আপনার কোন রকম সমস্যা হবে না।

Google adsense কি বাংলা ব্লগ পোস্ট সাপোর্ট করে?

Google adsense কি বাংলা ব্লগ পোস্ট সাপোর্ট করে?
বাংলা ব্লগ পোস্ট লিখে অনেকেই সফল হয়ে পৌঁছে গিয়েছেন সাফল্যের দোরগোড়ায়। কাজেই আপনি বাংলা ব্লগ পোস্ট লিখতে পারেন। আপনাকে প্রথমেই খুব ভালোভাবে পরিকল্পনা করে এগোতে হবে, তবে আপনি অতি দ্রুত গুগল এডসেন্স পাবেন। কনটেন্ট হলো আসল আপনি যে বিষয়ে লিখুন না কেন? আপনাকে মাথায় রাখতে হবে,কারো লেখা যখন আপনি তথ্যের জন্য পড়তে যাবেন শুধু তথ্য জন্য পড়বেন। আপনার নিজের লেখা আপনি নিজের মতো করে লিখবেন।

কোনোভাবেই আপনি অন্যের লেখা হুবহু লিখবেন না। হুবহু দেখে লিখলে google ধরে ফেলবে। আপনার ওয়েবসাইটে নিয়মিত ব্লগ পোস্ট করতে হবে। সাধারণত গুগলের বিভিন্ন ধরনের সার্ভিসের মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম ও জনপ্রিয় সার্ভিস হচ্ছে গুগল এডসেন্স। মূলত যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে বা এর সাথে জড়িত সবাই কমবেশি গুগল এডসেন্স সম্পর্কে জানেন। গুগল এডসেন্স হলো এমন একটি

সেবা যার মাধ্যমে আপনি আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইটে কন্টেন্টে বা ব্লগ সাইডে গুগলের অ্যাড প্রদর্শন করে, পাশাপাশি ভিজিটরের ক্লিক ও সাইডের ভিউ এর উপর ভিত্তি করে google এডসেন্স অর্থ প্রদান করে থাকে। সারা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষ এই সার্ভিসটি ব্যবহার করে উপকৃত হচ্ছেন। সাধারণত বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা গুগলের অ্যাড প্রদর্শন করে যথেষ্ট ভাল আয় করছে। এদের মধ্যে অনেকেই বাংলা ওয়েবসাইটে পোস্টে গুগলের এড প্রদর্শন করে আয় করছে।

লেখকের ইতি কথাঃ Google adsense একাউন্ট কি? - গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় সম্পর্কে

সম্মানিত পাঠক, আশা করি উপরোক্ত আলোচনাগুলো থেকে Google adsense একাউন্ট কি? - গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় এ বিষয়ে সম্পর্কে পুরোপুরি বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন। উপরে উল্লেখিত নিয়ম গুলো ভালোভাবে পড়ে নিলে আপনি সম্পূর্ণভাবে Google adsense একাউন্ট কি? - গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় সম্পর্কে খুব সহজেই জানতে পারবেন।

এছাড়াও বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখবেন গুগল এডসেন্স একাউন্ট খোলার সময়। যাতে করে কোন ভুল না হয়ে যায়। কারণ প্রতিটি ব্যক্তির এনআইডি কার্ড থেকে শুধুমাত্র একটি এডসেন্স একাউন্ট খোলা যাবে। তাই খুব সতর্কতার সাথে তথ্যগুলো সঠিকভাবে প্রদান করে এডসেন্স একাউন্ট খুলতে হবে।

প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থেকে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে এ ধরনের তথ্য বহুল আর্টিকেল নিয়মিত পোস্ট করে থাকি। তাই আপনি যদি এ ধরনের আরো তথ্যবহুল উপকারী পোস্ট পড়তে চান তাহলে এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ফলো করুন। সাথে সাথে এই আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে আপনার নিকট আত্মীয় বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজনদের কাছে তাদের উপকারার্থে শেয়ার করে দিন।

যেন তারা Google adsense একাউন্ট কি? - গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় সম্পর্কে পুরোপুরি ভালোভাবে জেনে নিতে পারে। Google adsense একাউন্ট কি? - গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় এ বিষয় নিয়ে আপনার যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ মতামত বা প্রশ্ন থাকে, তাহলে অবশ্যই নিচে দেওয়া মতামত বক্সে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আবার আপনাদের সাথে কথা হবে নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত নিরাপদ ও সুস্থ থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কনফিডেন্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url