ফেসবুক মনিটাইজেশন শর্ত - ফেসবুক থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় এবং ফেসবুক থেকে কত টাকা আয় করা যায়?

বর্তমান সময়টি অনলাইন ভিত্তিক হওয়ার কারণে কে না চায় যে তার ফেসবুক আইডি থেকে টাকা ইনকাম করতে? কারণ সারা বিশ্বে ফেসবুক সবচাইতে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া। তাই অধিকাংশ মানুষ এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ফেসবুক থেকে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করছে। তাই আপনিও কি এ বিষয় নিয়ে চিন্তিত? তাহলে আপনার চিন্তার কোন কারণ নেই। কারণ আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটির মূল আলোচনায় হচ্ছে ফেসবুক মনিটাইজেশন শর্ত - ফেসবুক থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় এবং ফেসবুক থেকে কত টাকা আয় করা যায়? সেই সম্পর্কে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যবহুল ও প্রয়োজনী আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক!
ফেসবুক মনিটাইজেশন শর্ত - ফেসবুক থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় এবং ফেসবুক থেকে কত টাকা আয় করা যায়?
আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটির মাধ্যমে ফেসবুক মনিটাইজেশন শর্ত - ফেসবুক থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় এবং ফেসবুক থেকে কত টাকা আয় করা যায়? এ বিষয়ে সম্পর্কে এমন কিছু ইউনিক ও কার্যকরী তথ্য সম্পর্কে জানাবো, যেগুলিকে কাজে লাগিয়ে আপনি খুব সহজেই আপনার ফেসবুক একাউন্ট থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি কি আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেল শুধুমাত্র আপনার জন্যই। এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আশা করি আলোচ্য বিষয়ে বিস্তারিতভাবে নির্ভুল সব তথ্য গুলো জানতে পারবেন। ইনশাআল্লাহ!
পেজ সূচিপত্রঃ
.

ভুমিকা

বর্তমান সময়ে সবচাইতে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া হলো ফেসবুক। অনেক মানুষ এই সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে মনে মনিটাইজেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করে প্রচুর পরিমাণে ডলার ইনকাম করছে। তাই আপনিও যদি আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে মনিটাইজেশন চালু করে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই এ বিষয়ে আপনার ধারণা থাকতে হবে।
তাই আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন ফেসবুক মনিটাইজেশন শর্ত - ফেসবুক থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় এবং ফেসবুক থেকে কত টাকা আয় করা যায়? এ বিষয় সম্পর্কে। এছাড়াও ফেসবুক মনিটাইজেশন শর্ত ২০২৪, ফেসবুকে স্টার মনিটাইজেশন সেট আপ করে কিভাবে টাকা ইনকাম করব? ফেসবুক থেকে কিভাবে

টাকা আয় করা যায়, কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন 500 আয় করা যায়, ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়, ফেসবুকের রিলস থেকে ইনকাম করার উপায়, ১০০০ ভিউ এর জন্য ফেসবুক কত টাকা দেয়? এ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই আপনি যদি ফেসবুক মনিটাইজেশন শর্ত - ফেসবুক থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় এবং ফেসবুক থেকে কত টাকা আয় করা যায়? এ বিষয়ে সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য খুবই কার্যকরী।

ফেসবুক মনিটাইজেশন শর্ত ২০২৪

ফেসবুকে মনিটাইজেশন চালু করার জন্য আপনার যে ডকুমেন্টগুলো প্রয়োজন হবে এবং কিভাবে আপনারা আবেদন করবেন ২০২৪ সালে এসে সেটাই আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব। প্রথমে আপনাদের যেকোনো ব্যাংকে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে এবং সে একাউন্ট নাম্বার প্রয়োজন হবে। তারপর আপনার যে ব্যাংকে একাউন্ট তৈরি করা আছে সেই ব্যাংকের Swift code প্রয়োজন হবে।

সে ক্ষেত্রেে আপনি যে ব্যাংকে একাউন্ট খুলেছেন সেই ব্যাংকের কর্মকর্তা কিংবা সে ব্যাংকের যে কাস্টমার কেয়ার থাকবে, তার কাছ থেকে ব্যাংকের Swift code টা জেনে নিতে পারবেন। এরপর আপনার টিন সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হবে। আর আপনার ফেসবুকে ৫০০০ ফলোয়ার এবং ৬০ হাজার মিনিট ওয়াচ টাইম থাকা লাগবে।

ফেসবুকে স্টার মনিটাইজেশন সেট আপ করে কিভাবে টাকা ইনকাম করব?

তাহলে চলুন এখন জেনে নেয়া যাক ফেসবুকে কিভাবে আবেদন করবেন সেই সম্পর্কে। প্রথমে আপনাদের ফেসবুক apps এ ঢুকতে হবে।তারপর আপনার প্রোফাইল পিকচারে ক্লিক করুন। তারপর দেখতে পাবেন এক জায়গায় প্রফেশনাল ড্যাশবোর্ড লেখা আছে সেখানে ক্লিক করতে হবে। এরপর এখানে ক্লিক করার পরে স্ক্রল করে নিচের দিকে আসতে হবে নিচে মনিটাইজেশন নামে অপশন পেয়ে

যাবেন সেখান থেকে মনিটাইজেশন অপশনে ক্লিক করুন। তারপর দেখবেন একটা ইন্টারপেজ চলে আসবে সেখানে লেখা থাকবে Set up payout account এখান থেকে আপনাদের যেটা করতে হবে Set up payout account এর উপর ক্লিক করে দিতে হবে। তারপর প্রথমে আপনার লিগাল নাম দিতে হবে, তারপর লাস্ট নেম। মূলত এখানে আপনার ফেসবুক যে নামটা আছে সেটাই শো করবে সে ক্ষেত্রে আপনারা যার

নামে ব্যাংক একাউন্ট রয়েছেতার তার নাম দেওয়ার চেষ্টা করবেন। অর্থাৎ তার এনআইডি কার্ড অথবা ব্যাংক একাউন্টে যেভাবে নামটা দেওয়া আছে হুবহু সেভাবেই নামটা দেওয়ার চেষ্টা করবেন। ভুল নাম দিলে পরবর্তী সময়ে সমস্যা হবে। তখন আপনার মনিটাইজেশন বাতিল করে দিতে পারে। সেজন্য অবশ্যই এখানে লিগ্যাল নাম দেওয়ার চেষ্টা করবেন। তারপর জন্ম তারিখ দিবেন,আপনি কোন দেশে
বসবাস করেন দেশের নাম দেবেন, তারপর দেখবেন একটা নেক্সট অপশন আসবে সেই নেক্সট অপশানে ক্লিক করবেন। লোডিং হতে একটু সময় লাগবে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। তারপর আপনাদের সামনে নতুন একটি ইন্টার পেজ চলে আসবে এখানে আবার আপনাকে আপনি কোন দেশে বসবাস করেন সেটি সিলেক্ট করতে বলবে। তারপর আপনাকে বিজনেস টাইপ করে সিলেক্ট করতে বলবে

আপনি যদি কনটেন্ট তৈরি করে থাকেন তাহলে Individual \ proprietor সিলেক্ট করবেন।অথবা আপনি যদি অন্য কোন ইন্টারটেইনমেন্ট অথবা ভিডিও তৈরি করে থাকেন তাহলে অন্যান্য অপশন সিলেক্ট করতে পারেন। আবার নেক্সট অপশন আসবে নেক্সট অপশন ক্লিক করুনতারপর কিছু সময় অপেক্ষা করুন। এরপর আপনাদের সামনে আরেকটি ইন্টারপেজ চলে আসবে সেখানে আপনার ফার্স্ট নেম,

লাস্ট নেম এবং জন্মতারিখ শো করবে Legal middle name লেখা থাকবে সে ক্ষেত্রে আপনার যদি সেটি থাকে তাহলে দিবেন, না দিলেও কোন সমস্যা নেই এটা অপশনাল। তারপর নিচের দিকে দেখবেন Primary address নামে একটি অপশন পাবেন এই অ্যাড্রেস গুলো আপনাকে টাইপ করতে হবে। প্রাইমারি অ্যাড্রেস হলো জেলা, উপজেলা, পোস্ট অফিস ,তারপর City, state \ province, ZIP\ Postal code,

country code, phone no, Email,Text identification Number, এখানে টিন সার্টিফিকেটের নাম্বারটা দিতে হবে। তারপরেরটি GST অপশনাল অপশনটি দিলে দিতে পারেন, না দিলেও কোন সমস্যা নেই। তারপর নিচে টিক মার্ক অপশনে টিক মার্ক দিতে হবে এবং নিচে নেক্সট অপশনে ক্লিক করতে হবে। তারপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন দেখবেন একটি নতুন ইন্টারপেজ চলে এসেছে তখন সেখানে একটি অপশন

দেখতে পাবেন Manually link bank account এবং Link your PayPal account বাংলাদেশের যেহেতু পেপাল একাউন্ট সাপোর্ট না সে ক্ষেত্রে manually link bank account অ্যাড করতে হবে। ব্যাংক একাউন্ট বলতে এখানে ডাচ-বাংলা, সোনালী ব্যাংক, এই যে ব্যাংকগুলো রয়েছে সেগুলোর কথা এখানে বলা হচ্ছে। সেখানে manually link bank account রেখে নিচে Link Payout method এ ক্লিক করতে হবে। নতুন একটা

ইন্টারপেজ আসবে সেখানে Bank country সিলেক্ট করতে হবে। তারপর Account holder name অর্থাৎ যার নামে একাউন্টটি করা আছে ব্যাংকের একাউন্ট তার নামটা দিতে হবে। এবার Swift code দিতে হবে। এবং তারপর Bank account number তারপর Link payout method অপসনে ক্লিক করতে হবে। এরপর Add tax info নামে যে অপশনটি দেখতে পাবেন, সেটাতে ক্লিক করতে হবে। তারপর আপনাদের

যে ফোন নাম্বার ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলা ছিল সেটা ওখানে টাইপ করতে হবে। তারপর নিচে Log in অপশনে ক্লিক করবেন। লগইন অপশনে ক্লিক করার পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন তারপর একটা ইন্টারপেজেদেখতে পাবেন সেখানে আপনাদের একাউন্টের নাম শো করবে সেখানে দুইবার ক্লিক করবেন। ক্লিক করার পর একটা নতুন ইন্টারপেজ চলে আসবে। সেখানে আপনাদের টিন

সার্টিফিকেটের ইনফরমেশন গুলো শো করবে সেখানে দুইটা ক্লাসিফিকেশন শো করবে ইন্ডিভিজুয়াল ও বিজনেস আপনি আগে যেটা সিলেক্ট করেছেন সেটাই থাকবে। তারপর দুই নাম্বারে যেটা অপশন রয়েছে সেটা হলো আপনি যদি U.S. সিটিজেন হন তাহলে Yes লিখা আছে ওখানে টিক দিবেন আর যদি U.S. সিটিজেন না হন তাহলে No লিখা আছে ওটাতে টিক দিবেন। আর আপনি যদি ইউএস সিটিজেনের

ওখানে নো করেন তাহলে অবশ্যই নিচের অপশনে নো করবেন। এরপর প্রথমেই আপনাদের সামনে আপনাদের নাম শো করবে। তারপর আপনাদের যেটা করতে হবে কান্ট্রি অফ সিটিজেন সিলেক্ট করতে হবে। আপনি যে দেশের নাগরিক সেদেশের নাম সিলেক্ট করবেন। পরের অপশনে আপনার টিন সার্টিফিকেটের নাম্বারটা শো করবে। তারপরের অপশনে লেখা থাকবে I have U.S. TIN আপনার কাছে

যদি আপনার U.S. TIN থাকে তাহলে দিবেন আর না থাকলে দেওয়ার দরকার নাই না দিলেও হবে। তারপরে একটা নেক্সট অপশন দেখতে পাবেন সেখানে ক্লিক করবেন। তারপরের ইন্টার পেজে Country, address line 1,গ্রাম, উপজেলা, ডাকঘর, (address line 2) optional,City, division, postal code, আপনি যেহেতু আগে পূরণ করে রেখেছেন সেহেতু এগুলো অটোমেটিকালি শো করবে। তারপর নেক্সট

অপশন এর উপর ক্লিক করবেন। আপনার এড্রেস যদি মিলে যায় তাহলে Same as permanent address এর উপর ক্লিক করে তারপর নেক্সট অপশনে ক্লিক করবেন। তারপর নতুন ইন্টার পেজে 0% নাম্বার অপশনে ক্লিক করে দেবেন। তারপর আবারো ওখান থেকে নেক্সট অপশন এর উপরে ক্লিক করবেন। তারপর নতুন ইন্টারফেজে একটু স্ক্রল করে নিচের দিকে যাবেন তারপর নিচে একটা অপশন পাবেন
টিক মার্ক দেওয়া সেই টিক মারকে ঠিক দিতে হবে। তারপর সেখানে একটা সিগনেচার করতে হবে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যে এনআইডি কার্ড দিয়ে খোলা রয়েছে সেখানে যে নামটা রয়েছে সে নাম দিয়ে সিগনেচার করতে হবে। তারপর তারিখ শো করবে ঠিক আছে কিনা দেখে নেবেন। তারপর নেক্সট এর উপরে ক্লিক করবেন। তারপর আরেকটি ইন্টারপেজ চলে আসবে তারপর আপনি এতক্ষণ যা যা

তথ্য দিয়েছেন সবকিছু দেখে নেবেন, ঠিকঠাক দিয়েছেন কিনা, না হলে সাবমিট করে দিলে আর ঠিক করা যাবে না। তারপর নিচে একটি সাবমিট ফরম নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন সেখানে ক্লিক করবেন। নতুন ইন্টারপেজে লেখা থাকবে Your text information is complete তারপর Done অপশনে ক্লিক করবেন। পরের ইন্টার পেজে লিখা থাকবে সেট আপ কমপ্লিট You can now use Stars মানে এখন

আপনার স্টার মনিটাইজেশন সেট আপ হয়ে গেছে। এখন থেকে আপনার পেজের মনিটাইজেশন গুলোতে স্টার অপশন থাকবে। Done অপশনে ক্লিক করতে বলবে Done অপশনে ক্লিক করবেন। তারপর নতুন একটা ইন্টারপেজ আসবে তখন দেখতে পাবেন আপনার স্টার মনিটাইজেশন অপশন চলে এসেছে। সেখানে দুইটা অপশন দেখাবে একটা Earning ও Stars এখানে আপনারা আর্নিং দেখতে

পাবেন কত ডলার ইনকাম হলো আর মানুষ আপনাকে কয়টা তার দিল, কইটা স্টার আপনি পেলেন সেটাও দেখতে পাবেন। এখানে একটা কথা আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, ১০০ টা স্টার পেলে আপনি এক ডলার ইনকাম করবেন। আর এখানে আপনাকে মিনিমাম ১০০ ডলার ইনকাম করতে হবে,
ফেসবুক মনিটাইজেশন শর্ত - ফেসবুক থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় এবং ফেসবুক থেকে কত টাকা আয় করা যায়?
তাহলে আপনার টাকাটা ব্যাংকে আপনার অ্যাকাউন্টে আসবে। আর আপনি টাকাটা তখন তুলতে পারবেন। এই স্টার আপনারা তখনই পাবেন যখন আপনার ভিডিও দেখে মানুষ আপনাকে স্টার গিফট করবে। এটা কিন্তু ফেসবুকের ইনস্ট্রিম এডস এর মতো ইনকাম হবে না। ইনস্ট্রিম এডে আপনাকে এড প্রদর্শন করে টাকা দেবে। আর এখানে যাদের স্টার মনিটাইজেশন ওয়ান হবে এখানে স্টার এর বিনিময়ে টাকা দেবে।

ফেসবুক থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়?

ফেসবুক থেকে বিভিন্ন উপায়ে টাকা ইনকাম করা যায়, সেটা হয়তো অনেকেই জানে না। যারা খুব সহজেই অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চাচ্ছেন, আজকেরে এই আর্টিকেলটি তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি স্টুডেন্ট হন কিংবা গৃহিণী হন অথবা অনলাইন থেকে পার্মানেন্ট ইনকাম করতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাকে অনেক সাহায্য করবে। বর্তমান সময়ে

ফেসবুক থেকে ইনকাম করার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে কনটেন্ট তৈরি করে ইনকাম করা। অর্থাৎ আপনি ফেসবুকের জন্য যেকোনো ধরনের ভিডিও তৈরি করতে পারেন। আপনার কাছে যে বিষয়টা ভালো লাগে, আপনি সে বিষয়ে নিয়ে ভিডিও তৈরি করতে পারেন। ধরুন আপনি ভ্রমন করতে বা ঘুরতে ভালোবাসেন, সে ক্ষেত্রে আপনি ভ্রমণ করতে বা ঘুরতে গিয়ে ব্লগ তৈরি করবেন। এই সম্পর্কিত ব্লগ

আপনি ফেসবুকে আপলোড করবেন। আবার আপনি যদি চান, বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্টের ব্লগ করবেন, এখান থেকেও আপনি ভালো একটা হ্যান্ডসাম এমাউন্ট ইনকাম করতে পারবেন। মূলত এখানে দুই ধরনের আয় হতে পারে আপনি যাদের প্রোডাক্টগুলোকে প্রমোট করবেন তারা কিন্তু আপনাকে একটা টাকা দিবে। আবার আপনি যে এই প্রোডাক্টের ব্লগগুলো আপনার পেজে আপলোড করছেন, তাই

সেখান থেকে ভিউ আসবে, তখন আপনার মনিটাইজেশন চালু হবে। তখন আপনি এখান থেকেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন। মোট কথা হচ্ছে ,আপনার পছন্দ অনুযায়ী যে কোন ধরনের কনটেন্ট আপনার ভালো লাগে সেগুলোই আপনি বানাতে পারেন। অথবা আপনার যদি ফুড ব্লগিং ভালো লাগে সেটাও করতে পারেন। আপনি যদি চান কোন নিউজ সম্পর্কিত কনটেন্ট তৈরি করবেন সেটাও কিন্তু তৈরি করতে পারেন।
ইনফরমেটিভ টাইপের অথবা মোটিভেশনাল টাইপের কোন কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন। মোটকথা হাজার হাজার পদ্ধতি রয়েছে সেগুলো অবলম্বন করে আপনারা ভিডিও তৈরি করে ফেসবুকে আপলোড করে, মনিটাইজেশন থেকে ইনকাম করতে পারবেন। আপনার যদি ফেসবুক পেজ থাকে অথবা আপনার প্রোফাইলে যদি প্রফেশনাল মুড অন থাকে, তাহলে কিন্তু আপনি রিলস থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

টিকটক এ এতদিন ফ্রিতে ভিডিও আপলোড করেছেন কিন্তু যদি সেই ভিডিওগুলি আপনারা রিলসে আপলোড করেন, তাহলে দেখবেন খুব দ্রুতই সাফল্য পেয়ে গেছেন। কারণ রিলস এর ভিডিও গুলো অনেক ভিউ করে। তাই এখান থেকে আপনারা মনিটাইজেশন অন করে টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। আর বর্তমান সময়ে যারা ট্র্যান্ডিংয়ে রয়েছে টিকটক করে বা রিলস ভিডিও করে, তারা কিন্তু

বাংলাদেশ থেকে দারুন রেসপন্স পাচ্ছে। এখান থেকে আপনি দুই ধরনের ইনকাম করতে পারবেন একটা হলো মনিটাইজেশন থেকে ও দ্বিতীয়টি হলো স্পন্সর থেকে। তাই এখান থেকে আপনার একটা ভালো ইনকামের সম্ভাবনা রয়েছে। অল্প পরিশ্রমে এবং অল্প মেধায় খুব সহজেই এখান থেকে টাকা আয় করতে পারবেন শুধুমাত্র রেল ভিডিও আপলোড এর মাধ্যমে। বর্তমান সময়ে কারা সবচেয়ে বেশি ফেসবুক থেকে আয় করে জানেন?

যারা ফেসবুকে প্রোডাক্ট সেল করে থাকে। আপনি যখন আপনার নিউজফিডে ঘুরবেন তখন দেখবেন, আপনার সামনে আপনি যেসব বিষয়ের প্রতি ইন্টারেস্টটেড সেইসব প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন আপনার সামনে প্রদর্শিত হবে। কিছু বিজ্ঞাপন ভিডিও আকারে আসবে, আবার কিছু বিজ্ঞাপন ছবি আকারে আসবে। সেগুলো দেখে আপনার যদি ভালো লাগে, তাহলে আপনি অর্ডার দিয়ে দিচ্ছেন। আর এভাবেই

একশ্রেণীর লোকজন এই ধরনের প্রোডাক্ট ফেসবুকে আপলোড করে ইনকাম করছে। আপনি যদি নরমালি ওয়েবসাইটে প্রোডাক্ট সেল করতে যান, তাহলে আপনাকে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে, সেটাকে মেইনটেইন করতে হবে, অর্ডার গুলো কিভাবে আসবে সেগুলো মেনটেইন করতে হবে, এইরকম অনেক বিষয় রয়েছে। কিন্তু ফেসবুকে আপনি একটা পেজ খুলবেন। পেজ খোলার পর

আপনার প্রোডাক্টের ছবি বা ভিডিও গুলো কে আপলোড দেবেন এবং এটাকে বুস্ট করে দেবেন। এখন দেখা গেল আপনি সেখানে ফোন নাম্বার দিয়েছেন, ফোন আসছে, আপনি সেটা রিসিভ করছেন, তার সাথে কথা বলে অর্ডার নিচ্ছেন,তারপর অর্ডার পাঠিয়ে দিচ্ছেন। ফোন রিসিভ করলেই সেল হয়ে যাচ্ছে খুব সহজে। সেই কারণে ফেসবুকে অনেক মানুষ এই প্রোডাক্টের বিজনেস করে বেশ ভালো একটা হ্যান্ডসাম অ্যামাউন্ট ইনকাম করছেন। আর ফেসবুকে যেহেতু সবচেয়ে বেশি সময় মানুষ ব্যয় করে থাকে,

তাই এখান থেকে প্রোডাক্ট সেল হয় অনেক গুণ বেশি। আপনারা চাইলেও কিন্তু ফেসবুকে প্রোডাক্ট সেল করে ইনকাম করতে পারেন। ফেসবুকে মার্কেটপ্লেস বলে একটা অপশন রয়েছে। আর সেখানে আপনি আপনার যে কোন প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন দিয়ে সেল করতে পারবেন। নরমালি পেজে কোন প্রোডাক্ট এড করে সেটা বুস্ট করতে হয়। কিন্তু মার্কেটপ্লেস এর ক্ষেত্রে বুস্ট করা ছাড়াও অনেক প্রোডাক্ট সেল হয় বা

সেল করা যায়। আপনি যদি কোন শিক্ষামূলক আর্টিকেল তৈরি করে থাকেন বা ইনফরমেটিভ আর্টিকেল তৈরি করে থাকেন বা আপনি রান্না করছেন এ ধরনের কোন আর্টিকেল তৈরি করে লিখে রাখছেন, এই টাইপের কাজ যদি আপনি করে থাকেন। মোটকথা আপনি যে কোন জিনিস যেটা আপনি ভিডিও আকারে প্রকাশ করেন, সেটা যদি আপনি লিখতে পারেন,সেটা লেখার মাধ্যমেও আপনি টাকা আয় করতে পারবেন।

নরমালি আপনি পোস্ট করে টাকা আয় করতে পারবেন না, তাই জন্য আগে একটা ওয়েবসাইট তৈরি করে নিবেন। ওয়েবসাইট টাকে আপনার ফেসবুকের সাথে লিংক আপ করে নিতে হবে। লিংক আপ করলে কি হয়, আপনি আপনার ওয়েবসাইটের নিউজটা বা আপনার সেই ইনফরমেশনটা শেয়ার করবেন। শেয়ার করলে এটা আপনার ফেসবুক থেকেই ওপেন হবে এবং এখান থেকেও আপনি একটা

টাকা ইনকাম করতে পারবেন। মূলত ফেসবুকে ড্রপ শিপিং করেও টাকা ইনকাম করা যায়। আর আপনি যদি চান, তাহলে আপনিও ফেসবুকের ড্রপ শিপিং করে টাকা আয় করতে পারবেন। আর এখানে যেহেতু ট্রাফিকের সংখ্যা অনেক বেশি, তাই এখান থেকে আপনি আর্নিং টা খুব ভালো করতে পারবেন। যারা অনলাইন ইনকাম নিয়ে চিন্তাভাবনা করেন, তারা কিন্তু এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্বন্ধে ভালোই ধারণা রাখেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো ধরুন যে দারাজে লক্ষ লক্ষ, হাজার হাজার, প্রোডাক্ট রয়েছে,আপনি দ্বারা যে এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর জন্য তাদের কাছে আপনি আবেদন করলেন, তারা যদি আপনাকে অনুমোদন দিয়ে দেয়,তখন আপনি তাদের যে কোন প্রোডাক্ট আপনি প্রমোট করলেন,আর এই প্রমোট করার মাধ্যমে আপনার কাছে লিংকে যদি কেউ প্রবেশ করে এবং সে যদি প্রোডাক্টটা কিনে,
 
তাহলে এখান থেকে আপনি একটা কমিশন পাবেন। আপনার লিংকে প্রবেশ করার পর একটা নির্দিষ্ট টাইম রয়েছে,যেমন ২৪ ঘন্টা হতে পারে, আবার ৪৮ ঘন্টা হতে পারে,এই সময়ের মধ্যে তারা যদি ওয়েবসাইট থেকে যেকোনো পণ্য ক্রয় করে, তাহলে সবগুলো কমিশন আপনার এখানেই চলে আসবে। এই আফিলিয়েট মার্কেটিং টা আপনি দারাজ থেকে করতে পারেন, আলি এক্সপ্রেস থেকেও করতে পারেন,
এরকম আরো বিভিন্ন রকম ওয়েবসাইট রয়েছে বাংলাদেশে সেগুলো থেকে করতে পারেন। আপনার নিজের প্রোডাক্ট না থাকার সত্বেও এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি ভালো অ্যামাউন্ট আয় করতে পারেন। ধরুন আপনার একটি দোকান রয়েছে কাপড়ের দোকান বা ইলেকট্রিক দোকান অথবা অন্য যেকোনো ধরনের দোকান রয়েছে। আপনার দোকানে বসে আপনার যে পরিমাণ বিক্রয় হয়,

সেটা পর্যাপ্ত পরিমাণে হয় না। সে ক্ষেত্রে আপনি আপনার সেই জিনিসগুলো অনলাইনের মাধ্যমে সেল করতে পারেন। অনলাইনে সেল করার ফলে এখান থেকে আপনি একটা ভালো এমাউন্ট আয় করবেন। আপনি চাইলে আপনার দোকানের প্রোডাক্ট গুলোর ব্লগ করে ফেসবুকে পাবলিস্ট করতে পারেন। কারণ এখানে তুলনামূলক ট্রাফিক অনেক বেশি থাকে। ফেসবুকে যখন আপনি আপনার ব্লগ গুলো আপলোড

করবেন, তখন সেখানে আপনি ঠিকানা সহ সবকিছু দিয়ে দিবেন এবং আপনার দোকানের প্রোডাক্টগুলোর ফিডব্যাক কেমন সেই বিষয়ে আপনার কিছুটা হলেও ধারণা থাকবে সে ক্ষেত্রে আপনি সেখানে আপনার প্রোডাক্টের রিভিউগুলো দিতে পারেন। তবে সব কিছু অথেনটিক দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এভাবে যখন আপনার প্রোডাক্টগুলো ফেসবুকে আপলোড দেবেন,দেখা গেল যে কোন কোন

প্রোডাক্ট রয়েছে যেগুলো সবার প্রয়োজন হয় না কিন্তু কয়েকজন আবার সার্চ করে খুজবে। তাই আপনি যদি এই প্রোডাক্টগুলোর রিভিউ আপলোড করতে পারেন। তাহলে কিন্তু আপনার তুলনামূলক অনেক বেশি সেল হবে। এখনকার ফেসবুকের এই সময়ে এসে আপনি যদি চান অনলাইনের মাধ্যমে আর্নিং করবেন। তাহলে আপনার ফার্স্ট প্রায়োরিটি হওয়া উচিত ফেসবুক। কারণ এখানে হিউজ পরিমাণে ট্রাফিক থাকে।

তাই এখান থেকে যেকোনো প্রকার পন্য সহ আজকে আমি এই আর্টিকেলে যে ক্যাটাগরি সম্বন্ধে আলোচনা করলাম যেকোনো ক্যাটাগরিতে আপনি যদি ভালভাবে লেগে যেতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার সাকসেস আসবে।সাধারণত নরমালি কোন প্রোডাক্ট সেল করতে গেলে বুস্ট করতে হয় কিন্তু মার্কেটপ্লেস এর ক্ষেত্রে সেটা আলাদা বুস্ট করতে হয় না এমনি সেল করা যায়।

কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন 500 আয় করা যায়?

ফেসবুক হলো টাকা ইনকাম করার জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক নেটওয়ার্ক। সাধারণত বর্তমান সময়ে ফেসবুক থেকে বিভিন্ন উপায়ে ৫০০ টাকা আয় থেকে শুরু করে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব। কিন্তু টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাকে ফেসবুক মার্কেটিং সম্বন্ধে ভালোভাবে জানতে হবে এবং সে বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। তবেই আপনি ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।

বর্তমান সময়ে কোটি কোটি মানুষ ফেসবুক স্ক্রল করে ফলে বিভিন্ন ওয়েবসাইট বিশাল ট্রাফিক তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। তাই আপনি যদি ফেসবুক থেকে আয় করতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই ফেসবুক সম্বন্ধে খুঁটিনাটি বিষয়গুলো জানতে হবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ফেসবুক থেকে খুব সহজে কিভাবে আয় করা যায়।
  • ফেসবুক মার্কেটপ্লেস পণ্য বিক্রির মাধ্যমেঃ প্রত্যেকেই কমবেশি ফেসবুক নিয়মিত ব্যবহার করে থাকি। প্রায় সকলেই জানি ফেসবুকের নিজস্ব মার্কেটপ্লেস রয়েছে। এই মার্কেটপ্লেসে আপনারা আপনাদের যে কোনো প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন দিয়ে সেল করতে পারেন। আর ফেসবুকে যেহেতু মানুষ সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় করে, তাই জন্য এখানে প্রোডাক্ট সেল করা যায় খুবই দ্রুত অনেক গুণ বেশি। আপনারা চাইলে এই ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে আপনারা যে কোনো প্রোডাক্ট সেল করে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন।
  • পেজ সাবস্ক্রিপশনঃ ফেসবুক পেজে টাকার বিনিময়ে সাবস্ক্রিপশন বাড়ানো যায়। আপনি আপনার ফেসবুক পেজে টাকার বিনিময়ে সাবস্ক্রিপশন বাড়িয়ে খুব সহজেই টাকা ইনকাম করতে পারেন। ফেসবুক থেকে নিয়মিত প্রতিদিন ৫০০ টাকা আয় করার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে এই সাবস্ক্রিপশন।
  • ফলোয়ার অনলাইন স্টোরে নিয়ে গিয়ে ইনকামঃ আপনার যদি একটি রিয়েল ফেসবুক পেজ থাকে, পাশাপাশি আপনার ফেসবুক পেজের ফলোয়ার যদি অনেক বেশি থাকে, তাহলে আপনি আপনার ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন তাদের দেখিয়ে আপনার ফেসবুক পেজে খুব সহজেই ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। অনলাইনের মাধ্যমে ক্রেতাদের খুব সহজেই প্রোডাক্টের প্রতি আকৃষ্ট করে, অতি দ্রুত আপনি ফলোয়ার অনলাইন স্টোরে নিয়ে গিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।
  • ফেসবুক পেজ বা গ্রুপের মাধ্যমেঃ ফেসবুক পেজ অথবা গ্রুপের মাধ্যমে আপনি আপনার বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্টের ভিডিও অথবা ছবি আপলোড করে,সেগুলো বিক্রয়ের মাধ্যমে, আপনি ফেসবুক পেজ বা গ্রুপের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে সক্ষম হবেন। ফেসবুক পেজ বা গ্রুপের মাধ্যমে একটা ভালো হ্যান্ডসাম অ্যামাউন্ট আয় করার জন্য আপনাকে প্রথমে ফেসবুক মার্কেটিং এর খুঁটিনাটি সকল বিষয় সম্বন্ধে ভালোভাবে জানতে হবে এবং সে বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। তাহলে আপনি লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে সক্ষম হবেন। এছাড়াও আপনি বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি বা ব্র্যান্ডের সাথে কাজ করে প্রমোটের মাধ্যমে প্রচুর ইনকাম করতে পারবেন।
  • ইন - স্ট্রিম অ্যাডঃ বিভিন্ন ধরনের পেইড ইভেন্ট তৈরি করে পাশাপাশি সেটি পরিচালনার মাধ্যমে ফেসবুক পেজ থেকে প্রচুর অর্থ আয় করা যায়। ফেসবুক পেজের ইন - স্ট্রিম অ্যাড থেকে অর্থ উপার্জন করতে চাইলে, সর্বপ্রথম আপনাকে ফেসবুক ইভেন্টের একটি ফিচার রয়েছে সেই ফিচারটি আপনাকে চালু করতে হবে। তাহলেই আপনি ফেসবুক পেজ থেকে ইন - স্ট্রিম অ্যাড থেকে অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হবেন।
  • কনটেন্ট নির্মাণের মাধ্যমেঃ আপনি যদি ফেসবুক থেকে খুব সহজেই ইনকাম করতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট তৈরি করে ফেসবুকে আপলোড করতে হবে। বর্তমানে ফেসবুকে মানুষ সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় করে থাকে। তাই বর্তমান সময়ে ফেসবুক থেকে প্রতিদিন একটি ভালো এমাউন্ট ইনকাম করার অন্যতম মাধ্যম এই কনটেন্ট। আপনার ফেসবুক পেজে কনটেন্ট গুলো আপলোডের মাধ্যমে সেগুলোতে অনেক মানুষ ভিউ করে, পাশাপাশি আপনার কনটেন্ট গুলোর মধ্যে কিছু অ্যাড শো হয় এ অ্যাডগুলোর মাধ্যমে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
  • বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাথে কাজ করে আয়ঃ আপনি যদি বিভিন্ন ধরনের ব্যান্ডের সাথে কাজ করেন, তাহলে সেখান থেকেও একটি ভালো এমাউন্ট আয় করতে পারেন। আর সে জন্যই আপনাকে সোশ্যাল মার্কেটিং বিষয়ে সবচেয়ে বেশি দক্ষ হতে হবে।সকল সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বিষয়ে। আর আপনি যদি সোশ্যাল মার্কেটিং বিষয়ে দক্ষ হন, তাহলে খুব সহজেই বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাথে কাজ করার সুযোগ পেয়ে যাবেন।
  • ব্লগিংঃ আপনার যদি একটি নিজস্ব ফেসবুক পেজ থাকে এবং সেখানে যদি আপনি নিয়মিত কন্টেন্ট আপলোড করে থাকেন তাহলে আপনি খুব সহজেই অতি দ্রুত ফেসবুক প্রচারণার মাধ্যমে ফেসবুক থেকে আয় করতে সক্ষম হবেন। যদি আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক দিন দিন বৃদ্ধি পায় তাহলে আপনার ইনকাম দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। মূলত ট্রাফিকের উপরে ইনকাম নির্ভর করে। ফেসবুক থেকে ৫০০ আয় করার একটি অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে এই ব্লগে।
উপরোক্ত বিষয়গুলো লক্ষ্য রেখে আপনি যদি নিয়মিত কাজ করে যান, তাহলে ফেসবুক থেকে আপনি খুব সহজেই প্রতিদিন ফেসবুক থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।

ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়

সাধারণত সারা বিশ্বের সোশ্যাল মিডিয়াগোলার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে এই ফেসবুক। মানুষ দিনের প্রায় বেশিরভাগ সময় ফেসবুক স্ক্রল করে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও খবর দেখার মাধ্যমে পার করে। অযথাই ফেসবুক স্ক্রল না করে, ফেসবুক ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারেন। প্রথমে আপনাকে একটি ফেসবুক পেজ অথবা গ্রুপ খুলতে হবে। আপনি আপনার নিজস্ব একটি ফেসবুক পেজ অথবা ফেসবুক গ্রুপ খুলে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট আপলোড করে খুব সহজেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট সেল করেও ইনকাম করতে পারবেন। আর ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে আয় করার জন্য আপনাকে প্রথমে ফেসবুক মার্কেটপ্লেস সম্বন্ধে দক্ষ হতে হবে। তারপর আপনি আপনার পেজে অথবা গ্রুপে অ্যাফিলিয়াট মার্কেটিং, পেইজ সার্ভিস, বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট বিক্রয় ও ফেসবুক ইভেন্টের মাধ্যমে বেশ ভালো একটা এমাউন্ট আয় করতে পারবেন।
  • ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রয়ঃ আপনি আপনার পেজে অথবা গ্রুপে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট যেমন আসবাবপত্র, বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রিক জিনিসপত্র, গয়না প্রভূতি বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট বিক্রি করে ফেসবুক মার্কেটপ্লেস থেকে আপনি আয় করতে পারেন।
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে আপনি ফেসবুক পেজ অথবা গ্রুপ থেকে খুব সহজেই অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
  • পেজ সার্ভিস অথবা গ্রুপ সার্ভিসঃ বর্তমান সময়ে অনেকের ফেসবুক পেজে অথবা ফেসবুক গ্রুপে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়, সেগুলো তারা সমাধান করতে পারে না। আপনি যদি এই বিষয়গুলোতে দক্ষ হন, তাহলে আপনি তাদের ফেসবুক পেজ অথবা গ্রুপ সার্ভিস এর মাধ্যমে আয় করতে পারেন।
  • ফেসবুক পেজ বা গ্রুপ ক্রিয়েটঃ আপনি চাইলে নতুন নতুন ফেসবুক পেজ অথবা গ্রুপ তৈরি করে টাকার বিনিময়ে অন্যজনের কাছে বিক্রি করতে পারেন। পেজ অথবা গ্রুপ ক্রিয়েটের মাধ্যমে আয় করা এটি একটি প্রফেশনাল বিজনেস। নতুন নতুন পেজ অথবা গ্রুপ খুলে বিক্রয়ের মাধ্যমে বেশ ভালো একটা আর্নিং হয়।

ফেসবুকের রিলস থেকে ইনকাম করার উপায়

বর্তমান সময়ে ফেসবুকের রিলস থেকে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করা যায়। সাধারণত টিকটকের সাথে পাল্লা দেওয়ার জন্যই ফেসবুক রিলস ফিচারটি মূলত ফেসবুক চালু করেছেন। এই রিলসের মাধ্যমে খুব সহজেই মানুষ Facebook থেকে মাসের লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারছে। আপনাকে প্রতিদিন আপনার ফেসবুক পেজে অথবা গ্রুপে রিলস ভিডিও আপলোড করতে হবে। রিলস ভিডিও মূলত এক মিনিটের কম হয়।

তাই আপনাকে এক মিনিটের কম রিলস ভিডিও নিয়মিত বানিয়ে আপলোড করতে হবে। নিয়মিত রিলস ভিডিও বানানোর মাধ্যমে আপনি আয় করতে সক্ষম হবেন। এছাড়াও আপনি ফেসবুক থেকে উপার্জন করার আরেকটি অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে রিলস প্লে বোনাস প্রোগ্রাম। এর জন্য আপনাকে এক মাসে এক হাজার ভিউ করতে হবে। তাহলে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। ফেসবুক স্টারস অর্থ উপার্জনের একটি নতুন মাধ্যম।
সম্প্রীতি সময়ে মেটা এই ফেসবুক স্টারস ঘোষণা দিয়েছেন। সাধারণত আপনার কনটেন্ট দেখার পর এই স্টারসগুলো আপনাকে দিবে। ১০০ স্টারস এ এক ডলার। মেটা সম্প্রতি সময়ে আরো একটি ঘোষণা দিয়েছেন, যে যারা তাদের রিলস নিয়মিত আপলোড করবে, তাদের মেটার পক্ষ হতে টাকা দেওয়া হবে।
 
১০ হাজার ফলোয়ার যদি আপনার ফেসবুকে থাকে এবং আপনার ফেসবুকে যদি কমপক্ষে পাঁচটি ভিডিও আপলোড করা থাকে, আপনার সেই ভিডিওগুলোতে যদি দুই মাসে ৬ লক্ষ মিনিট ভিউ হয়। তাহলে আপনি ফেসবুক রিলসের মাধ্যমে নিয়মিত অ্যাড প্রদর্শন করাতে পারেন। আর এভাবেই খুব সহজে আপনি ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।

ফেসবুকে কত ভিউ হলে টাকা ইনকাম করা যায়? - ১০০০ ভিউ এর জন্য ফেসবুক কত টাকা দেয়?

১০০০ ভিউ এর জন্য ফেসবুক কত টাকা দেয়?
আমরা আমাদের ফেসবুক একাউন্ট থেকে স্ক্রল করলে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও কনটেন্ট দেখতে পাই। এইসব ভিডিও গুলো বিভিন্ন ক্যাটাগরির হয়ে থাকে। এই ভিডিওগুলো কখনো ফানি ভিডিও, নাটক ভিডিও, শিক্ষণীয় ভিডিও, বক্তব্যের ভিডিও, ইসলামিক বিষয়ে যে কোন আলোচনার ভিডিও, এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের তথ্য বিষয়ক শিক্ষণীয় ভিডিও,নাচের ভিডিও, বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়ার ভিডিও,

বিভিন্ন ধরনের পশু-পাখি, হাঁস-মুরগির খামার করার ভিডিও, এছাড়াও একেক জন ব্যাক্তি একেক ধরনের ভিডিও তৈরি করে থাকে। নির্মাতারা এই ধরনের ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরির ভিডিও গুলো তৈরি করে ফেসবুকে আপলোড করে থাকে। আর এই আপলোডকৃত বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিডিও গুলো ফেসবুক ইউজাররা এগুলো ভিউ করার পর একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ভিউ হওয়ার পরে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সেই সব

কন্টেন্ট নির্মাতাদেরকে (ডলার) টাকা প্রদান করে থাকে। এই ধরনের ভিডিও কনটেন্ট গুলো কখনো কখনো এক লক্ষ ভিউ তে পাঁচ হাজার টাকার সমপরিমাণ ডলার দিয়ে থাকে। আবার কখনো এক লক্ষ ভিউতে ১০০০০ হাজার টাকার সমপরিমাণ ডলার দিয়ে থাকে। তবে ভিডিওতে ভিউ বাড়ানো ও ভিডিও কনটেন্ট থেকে আয়ের পরিমাণ বাড়ানো সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনি কোন ক্যাটাগরির ভিডিও তৈরি করছেন সেটার উপর।

সাথে সাথে এ বিষয়টি ও লক্ষ্য রাখতে হবে ফেসবুক ইউজাররা কোন ধরনের ভিডিও কনটেন্ট গুলো বেশি ভিউ করে।সাধারণত ফেসবুক ইউজাররা যে ধরনের ভিডিওগুলো বেশি ভিউ করে সেই ধরনের ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করলে আপনি সহজেই লক্ষ লক্ষ ভিউ পাবেন সাথে সাথে আপনার ইনকামের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে।

লেখকের ইতি কথাঃ ফেসবুক মনিটাইজেশন শর্ত - ফেসবুক থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় এবং ফেসবুক থেকে কত টাকা আয় করা যায়?

সম্মানিত পাঠক, আশা করি উপরোক্ত আলোচনা গুলো থেকে ফেসবুক মনিটাইজেশন শর্ত - ফেসবুক থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় এবং ফেসবুক থেকে কত টাকা আয় করা যায়? এ বিষয়ে সম্পর্কে পুরোপুরি বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন। ফেসবুক মনিটাইজেশন শর্ত - ফেসবুক থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় এবং ফেসবুক থেকে কত টাকা আয় করা যায়? এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ে

উল্লেখিত পদক্ষেপ গুলো গ্রহণ করলে আপনি খুব সহজেই ফেসবুক মনিটাইজেশন করার মাধ্যমে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে এই আর্টিকেলে উল্লেখিত বিষয়গুলো আপনার ফেসবুক একাউন্টে ঠিকঠাক আছে কিনা। এই আর্টিকেলে উল্লেখিত বিষয়গুলো নিয়ম মেনে আপনার ফেসবুক আইডিটি সেটআপ করে নিলে আপনি খুব ইজিলি ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।

সম্মানিত পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থেকে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগের সাথে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে এই ধরনের তথ্যবহুল কার্যকরী ও উপকারী আর্টিকেল নিয়মিত পোস্ট করে থাকি। তাই আপনি যদি এই ধরনের আরও তথ্যবহুল ও উপকারী সব আর্টিকেল পড়তে চান তাহলে অবশ্যই এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ফলো করুন। সাথে সাথে এই আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে আপনার নিকট আত্মীয় বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজনদের কাছে তাদের উপকারার্থে শেয়ার করে দিন। যেন তারা ফেসবুক মনিটাইজেশন শর্ত - ফেসবুক থেকে কিভাবে

টাকা আয় করা যায় এবং ফেসবুক থেকে কত টাকা আয় করা যায়? এই বিষয়গুলো সম্পর্কে পুরোপুরি ভালোভাবে জেনে নিতে পারে।ফেসবুক মনিটাইজেশন শর্ত - ফেসবুক থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় এবং ফেসবুক থেকে কত টাকা আয় করা যায়? ফেসবুক মনিটাইজেশন শর্ত - ফেসবুক থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় এবং ফেসবুক থেকে কত টাকা আয় করা যায়? এ বিষয় সম্পর্কে আপনার যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ মতামত বা প্রশ্ন থাকে, তাহলে অবশ্যই নিচে দেওয়া মতামত বক্সে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আবার আপনাদের সাথে কথা হবে নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত নিরাপদ ও সুস্থ থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কনফিডেন্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url