কালোজিরা খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও উপকারিতা - কালোজিরা খেলে সারবে যেসব রোগ
আপনার কি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে আপনি কি খুব অল্পতেই সব ধরনের
রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন? তাহলে আপনার চিন্তার আর কোন কারণ নেই। কারণ আজকে আমাদের এই
আর্টিকেলটির মূল আলোচনায় হচ্ছে কালোজিরা খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও উপকারিতা-কালোজিরা
খেলে সারবে যেসব রোগ সেই সম্পর্কে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যবহুল ও কার্যকরি
আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক!
আমরা অনেকেই হয়তো কালোজিরার ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে না জানার কারণে নিয়মিত
কালোজিরা সেবন থেকে বিরত থাকি। আর এই জন্যই আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়
ফলে নানা ধরনের রোগ আক্রমণ করে। আজ তাই আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটির
মাধ্যমে কালোজিরা খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও উপকারিতা-কালোজিরা খেলে সারবে যেসব রোগ এ
বিষয় সম্পর্কে এমন কিছু ইউনিক ও কার্যকরী তথ্য সম্পর্কে জানাবো, যেগুলিকে কাজে
লাগিয়ে আপনি খুব সহজেই কালোজিরা খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও উপকারিতা-কালোজিরা খেলে
সারবে যেসব রোগ জেনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারবেন। আপনি কি আলোচ্য
বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো জানতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি
শুধুমাত্র আপনার জন্যই। এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আশা
করি আলোচ্য বিষয়ে বিস্তারিতভাবে নির্ভুল সব তথ্য গুলো জানতে পারবেন। ইনশাআল্লাহ!
পেজ সূচিপত্রঃ
.
ভুমিকা
কালোজিরা হলো মহান আল্লাহ তায়ালার এক বিস্ময়কর সৃষ্টি। কারণ মৃত্যু ব্যতীত সকল
রোগের ঔষধি গুনাগুন এতে বিদ্যমান রয়েছে। এই পৃথিবীতে অনেক ধরনের ঔষধি গুনাগুন
সমৃদ্ধ উদ্ভিদ রয়েছে তার মধ্যে কালোজিরা সব থেকে বেশি ঔষধি গুণাগুনে ভরপুর। তাই
আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়লে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন
কালোজিরা খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও উপকারিতা-কালোজিরা খেলে সারবে যেসব রোগ এই
সম্পর্কে।
এছাড়াও কালোজিরা কোন সময় খাওয়া উচিত? কালোজিরাতে যেসব পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান
রয়েছে, প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কালোজিরা খেলে কি হয়? কালোজিরা কিভাবে খেলে
বেশি উপকার পাওয়া যায়? নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা, কালোজিরা
খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি, কালোজিরা খাওয়ার হাদীছ, গর্ভাবস্থায় কালোজিরা খেলে কি
হয়? গর্ভাবস্থায় কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম,
কালোজিরা খেলে কি সেক্স বাড়ে? কালোজিরা খেলে সারবে যেসব রোগ, কালোজিরা খাওয়ার
সতর্কতা এ বিষয়গুলো সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে পারবেন। কালোজিরা খাওয়ার সঠিক
নিয়ম ও উপকারিতা-কালোজিরা খেলে সারবে যেসব রোগ তাই আপনি যদি এ বিষয় সম্পর্কে
জানতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই কার্যকরী।
কালোজিরা কোন সময় খাওয়া উচিত?
কালোজিরা বিভিন্ন রকম পুষ্টিগুণে ভরপুর। সাধারণত আপনি কালোজিরা যে কোন সময়
চিবিয়ে খেতে পারেন। কালোজিরা খাওয়ার নির্ধারিত কোন সময় নেই, সেটা আপনি আপনার
ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী যে কোন সময় খেতে পারেন। কালোজিরা কে মৃত্যু ব্যতীত সকল
রোগের ঔষধ বলা হয়। ভাত, রুটি, মুড়ির, এছাড়াও অন্যান্য খাবারের সাথে কালোজিরা
খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।
কারণ কালোজিরা একটি দারুন ঘরোয়া ঔষধ। তাই জন্য আপনারা কালোজিরা দৈনন্দিন খাদ্য
তালিকায় অ্যাড করতে পারেন এবং নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে অনেক উপকার পাবেন।
কালোজিরাতে যেসব পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান রয়েছে
এই কালোজিরাতে বিভিন্ন রকম ঔষধি গুনাগুনে ভরপুর। কালোজিরাকে মৃত্যু ব্যতীত সকল
রোগের ঔষধ বলা হয়। কালোজিরাতে বিভিন্ন রকম পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান রয়েছে।
ক্যান্সার প্রতিরোধক ক্যারোটিন ও শক্তিশালী হরমোন, প্রসাবে বিভিন্ন রোগ
প্রতিরোধকারী উপাদান, অম্লনাশক উপাদান ও এনজাইম, অম্ল রোগের প্রতিষেধকও বলা হয় এ
কালোজিরাকে। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কালোজিরা দারুন ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
তাহলে চলুন কালোজিরাতে যেসব পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান রয়েছে সেগুলো জেনে নেওয়া
যাক। বিভিন্ন পুষ্টিবিদদের মতে কালোজিরাতে ক্যালসিয়াম ১.৮৫ মাইক্রোগ্রাম, আয়রন
১০৫ মাইক্রোগ্রাম, নিয়াসিন ৫৭ মাইক্রগ্রাম, প্রোটিন ২০৮ মাইক্রোগ্রাম, কপার ১৮
মাইক্রোগ্রাম, ফসফরাস ৫.২৬ মাইক্রোগ্রাম, জিংক ৬০ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন বি১ ১৫
মাইক্রোগ্রাম, ফোলাসিন ৬১০ আইউ প্রভূতি বিদ্যমান রয়েছে।
কালোজিরার মধ্যে শর্করার পরিমাণ ৩৮ শতাংশ, আমিষের পরিমাণ ২১ শতাংশ, স্নেহ
পদার্থের পরিমাণ ৩৫ শতাংশ এবং আরো বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থ রয়েছে। নাজেলোন,
থাইমোকিনোন ও স্বাস্থ্যকর তেল কালোজিরার অন্যতম উপাদান। কালোজিরা তেলে বিভিন্ন
ধরনের জীবাণুনাশক উপাদান রয়েছে, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
কালোজিরা তেলে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম,
ফসফরাস, লৌহ, জিংক, সেলেনিয়াম, অলিভ অ্যাসিড, ফসফেট, লেনোলিক অ্যাসিড, নিয়াসিন,
কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, ভিটামিন বি২ এবং ভিটামিন এ সহ বিভিন্ন
ধরনের জীবাণুনাশক উপাদান। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এবং কার্যকরী।
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কালোজিরা খেলে কি হয়?
প্রতিদিন সকালবেলা খালি পেটে কালোজিরা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
গবেষণায় দেখা গেছে এটি হজমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং সহজেই হজমে
সহায়তা করে পাশাপাশি কালোজিরা হজমকারি এনজাইনের উৎপাদন বৃদ্ধি করে। কালোজিরা
পেটের গ্যাস এবং পেট ফাঁপা নিমিষেই দূর করে। কালোজিরা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বৃদ্ধি করে। কালোজিরা ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে পাশাপাশি ডায়াবেটিস ও
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ার ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ
রাখতে সহায়তা করে পাশাপাশি কাঁচা কালোজিরা কোলেস্টেরলেরে মাত্রা ঠিক রাখে।
নিয়মিত কালোজিরা খেলে ঠান্ডা জনিত সর্দি কাশি দূর হয়ে যায়। গবেষণায় দেখা,
কালোজিরা নিয়মিত খাওয়ার ফলে শরিরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের সাথে লড়াই
করে এবং ক্যান্সারের মতো প্রাণঘাতী রোগের ঝুঁকি কমায়। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত
পরিমাণে কালোজিরা খাওয়া প্রত্যেকেরই উচিত।
কালোজিরা কিভাবে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়?
মূলত কালোজিরা পাঁচফোড়নের একটি উপাদান। এটি মানুষ রান্নার ক্ষেত্রে মশলা হিসেবে
ব্যবহার করে। প্রতিদিন আপনারা নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে কালোজিরা খেতে পারেন।
কালোজিরা সরাসরি তেল হিসেবে ব্যবহার করা যায়। আবার খাবার যেমন ভাত, রুটি, মুড়ি,
সিঙ্গারা, পরোটা, বিভিন্ন ধরনের রান্নাতেও কালোজিরা মিশিয়ে খাওয়া যায় এবং গরম
পানিয় বা চা পান করার সময়ও আপনারা
কালোজিরা মিশিয়ে খেতে পারেন এতেও অনেক উপকার পাওয়া যায়। এভাবে আপনারা কালোজিরা
খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। যারা একান্তই কালোজিরা খেতে পারেন না, যেহেতু এই
কালোজিরাতে বিভিন্ন ধরনের গুনাগুন রয়েছে, তাই প্রথমে অল্প পরিমাণে খেয়ে খাওয়ার
অভ্যাস গড়ে তুলুন। তাহলে দেখবেন একসময় কালোজিরা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে উঠবে, তখন
আর কোন রকম সমস্যা হবে না।
আরো পড়ুনঃ ৯টি উপায়ে টাইগার মুরগি পালন পদ্ধতি
আপনার যদি দাঁতে ব্যথা হয়, তাহলে গরম পানির সাথে কালোজিরা মিশিয়ে কুলকুচি করলে,
অনেকটা আরাম পাবেন, পাশাপাশি জিব্বা, তালু,দাঁতের মাড়ির জীবাণু দূর করবে। আপনারা
আপনাদের চুলের যত্ন কালোজিরা ব্যবহার করতে পারেন, কারণ কালোজিরা চুল পড়া রোধ
করে, পাশাপাশি চুল দ্রুত বৃদ্ধি করে। কালোজিরা ভর্তা করে, রান্না করেও খাওয়া
যায়, আবার মিষ্টি, হালুয়া, কেক, বিস্কুট, বরফি, ফিরনি,
এসবের সাথেও দেখা যায় এগুলোর সাথেও খাওয়া যায়। অনেক সময় বাণিজ্যিক বিভিন্ন
ধরনের খাদ্যপর্ণেও কালোজিরা দেখা যায়। কালোজিরা ব্রেনের ক্ষেত্রেও দারুন কাজ করে
ব্রেনকে সবসময় সার্ব রাখে। কালোজিরার তেলও রয়েছে, কালোজিরা তেল ব্যবহার ও
সেবনের ফলে, আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, পাশাপাশি বিভিন্ন রোগ থেকে
মুক্তি দিতে সহায়তা করবে এই কালোজিরা।
তিলের তেলের সাথে কালোজিরা তেল মিশিয়ে ফোঁড়াই লাগালে ফোঁড়া উপশম হয়। কালোজিরা
পেস্ট করে আপনি আপনার ফেসে ব্যবহার করলে আপনার ফেসের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে
পাশাপাশি ব্রণের দাগ দূর হবে। আধা ঘন্টা লাগিয়ে রাখার পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ
ধুয়ে ফেলতে হবে।
নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও উপকারিতা
মূলত কালোজিরা নামে পরিচিত হলেও কালোজিরা আরো কিছু সুন্দর নাম রয়েছে রোমান
করিয়েন্ডার, কওড়া, ফিনেল ফ্লাওয়ার, হাব্বাটুসউডা, নিজেলা ও কালঞ্জি প্রভূতি।
কালোজিরার বৈজ্ঞানিক নাম Nigella Sativa.কালোজিরা কে যেই নামে ডাকা হোক না কেন
কালোজিরার স্বাস্থ্য উপকারিতা ও গুনাগুন অপরিসীম। কালোজিরার যে এত উপকারিতা
রয়েছে সেটা হয়তো অনেকেই জানেনা।
জ্বর, সর্দি, কাশি, কফ, অরুচি, উদরাময়, দাঁতের ব্যথা, গলার ব্যথা, শরীর ব্যথা,
মাথা ব্যথা, পেটে ব্যথা, মাথা ঝিমঝিম করা, মাইগ্রেন নিরাময়ের যথেষ্ট উপকারী
বন্ধু হিসেবে কাজ করে কালোজিরা। নিয়মিত কালোজিরা গ্রহণ করা স্বাস্থ্যের জন্য
খুবই উপকারী এটি শরীরে দারুন ম্যাজিকের মতো কাজ করে। এছাড়াও শ্বাসকষ্ট বা
হাঁপানি রোগ, একজিমা, এজমা, ব্রংকাইটিস, চামড়ার ফুসকুড়ি, পেট ফাঁপা,
আমাশয়, ডায়রিয়া, জন্ডিস, গ্যাস্ট্রিক আলসার, শ্বেতি, দাদ, অর্শরোগ,কালোজিরা
মহাঔষধ হিসেবে কাজ করে। শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমাতে, স্নায়বিক উত্তেজনা, প্রদাহ,
স্মরণ শক্তি বৃদ্ধিতে, শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যথা, বহুমূত্র রোগীদের রক্তের
শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয়, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে, মরণবাদী রোগ ক্যান্সারের
ঝুঁকি কমায় এরকম আরো বিভিন্ন ধরনের রোগের হাত থেকে কালোজিরা রক্ষা করে।
হার্টের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করে এই কালোজিরা, যেমন উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
করে, হাইপারটেনশন, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে
স্মরণশক্তি বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করে।
- স্মরণশক্তি বৃদ্ধিঃ এক কাপ লাল চায়ের সাথে এক চামচ পুদিনা পাতার রস এবং এক চামচ কালোজিরা তেল মিশিয়ে প্রতিদিন তিনবার করে নিয়মিত খেলে স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি পাবে পাশাপাশি দুশ্চিন্তা দূর হবে।
- মাথা ব্যথা নিরাময়ঃ দুই চামচ কালোজিরা তেল মাথায় মালিশ করলেও মাথা ব্যথা উপশম হয় এবং এক চামচ মধু ও এক চামচ কালোজিরা তেল দিনে তিনবার ২-৩ সপ্তাহ সেবন করলে মাথা ব্যথা নিরাময় হয়।
- বিভিন্ন প্রকার চর্মরোগ সারাতেঃ আক্রান্ত স্থান হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপর এক কাপ চায়ের সাথে এক চামচ কালোজিরা তেল, এক চামচ হলুদের রস ও এক চামচ মধু ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে পান করতে হবে প্রতিদিন ২-৩ বার। ২-৩ সপ্তাহ সেবন করলে বিভিন্ন প্রকার চর্মরোগ অনায়াসে সেরে যাবে ।
- অর্শ রোগ নিরাময়ঃ এক চামচ মাখন ও সম পরিমাণ তিলের তেল এবং এক চামচ কালোজিরা তেল ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে প্রতিদিন খালি পেটে ৩-৪ সপ্তাহ সেবন করতে হবে। এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে দ্রুত অর্শ রোগ নিরাময় হবে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণঃ কালোজিরা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খুবই কার্যকরী। প্রতিদিন খালি পেটে এক গ্লাস পানির সঙ্গে হাফ চা চামচ কালোজিরা খেয়ে দেখুন দারুন উপকার পাবেন। কালোজিরা রক্তে গ্লকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও ভাত বা চায়ের সাথেও কালোজিরা মিশিয়ে খেতে পারে।
- ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণঃ প্রতিদিন সকালবেলা দুটি রসুনের কোয়া চিবিয়ে খাবেন। শরীরে কালোজিরা তেল মালিশ করবেন তারপর প্রায় আধা ঘন্টা শরীরের তাপ লাগান এতেও ফল পাবেন। এছাড়াও এক চামচ কালোজিরা তেল এক চামচ ২-৩ দিন প্রতি সপ্তাহে সেবন করলেও ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- বাতের ব্যথাঃ আক্রান্ত স্থান পরিষ্কার করে এক চামচ কাঁচা হলুদ, এক চামচ কালোজিরা তেল ও সমপরিমাণ মধু প্রতিদিন দিনে তিনবার ২ ৩ সপ্তাহে রং চায়ের সাথে সেবন করলে বাতের ব্যথা উপশম হবে।
- হার্টের বিভিন্ন ধরনের সমস্যাঃ এক কাপ দুধের সাথে এক চামচ কালোজিরা তেল মিশিয়ে প্রতিদিন দুইবার করে ৪-৫ সপ্তাহ খেতে হবে পাশাপাশি কালোজিরা তেল নিয়মিত বুকে মালিশ করতে হবে। তাহলে হার্টের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূরীভূত হবে।
- জৈব শক্তি বৃদ্ধির জন্যঃ কালোজিরা নারী পুরুষ উভয়ের যৌন ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। নিয়মিত কালোজিরা খেলে পুরুষের স্পার্ম বৃদ্ধি পায় পাশাপাশি পুরুষত্বহীনতা থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করে। এক চামচ জাইতুন তেল ও এক চামচ মাখন এবং এক চামচ কালোজিরা তেল ও মধু সহ প্রতিদিন তিনবার ৪-৫ সপ্তাহ সেবন করতে হবে। কিন্তু একটা বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে পুরনো কালোজিরার তেল স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর তাই পুরনো কালোজিরার তেল খাওয়া এবং ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
- ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখাঃ ত্বকের গঠনের বৃদ্ধি পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য কালোজিরা দারুন উপকারি। কালোজিরাতে বিদ্যমান রয়েছে লিনোলেইক ও লিনোলেনিক নামের অ্যাসেনশিয়াল অ্যাসিড। পরিবেশের প্রখরতা ও স্ট্রেস থেকে আপনার ত্বককে রক্ষা করে, ত্বকে করে উজ্জ্বল, লাবণ্যময়ী এবং বয়সের ছাপ দূর করে তারুণ্যতা ধরে রাখে। আপনার ত্বক যদি শুষ্ক হয় তাহলে কালোজিরা গুড়া ও তিলের তেল এবং কালোজিরা তেল একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়মিত আপনার ফেসে লাগান এক সপ্তাহের মধ্যে আপনি আপনার ত্বকের পরিবর্তন বুঝতে পারবেন। যদি আপনি অতিরিক্ত ব্রনের সমস্যায় ভুগেন তাহলে আপেল সাইডার ভিনেগার এর সাথে কালোজিরা মেশিয়ে ভালোভাবে একটা পেস্ট তৈরি করুন তারপর ব্রণ আক্রান্ত জায়গা গুলোতে লাগান কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন তারপর আপনার ফেস ধুয়ে ফেলুন। এটি নিয়মিত ব্যবহারের ফলে ব্রণের সমস্যা দূর করবে।
- অনিয়মিত মাসিকঃ এক কাপ আতপ চাল ধোয়া পানি, এক কাপ কাঁচা হলুদের রস, এক চামচ কালোজিরা তেল, সব কয়টি উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে প্রতিদিন তিনবার করে সেবন করতে হবে। তাহলে অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা দূর হবে।
- দুগ্ধ দানকারিণী মা দের দুধ বৃদ্ধির জন্যঃ যেসব মায়েদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ হয় না সে সকল মায়েরা প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ৫-১০ গ্রাম ব্লেন্ড করে এক গ্লাস দুধের সঙ্গে নিয়মিত খেতে থাকেন। ১০-১৫ দিনে দুধের প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও আপনারা কালোজিরা ভর্তা করে খেতে পারেন। এক চামচ কালোজিরা তেল সমপরিমাণ মধু নিয়মিত প্রতিদিন তিনবার। এটি নিয়মিত সেবনের ফলে দুগ্ধ দানকারীনি মা দের দুধ বৃদ্ধির জন্য শতভাগ কার্যকরী।
- রিউমেটিক ও পিঠে ব্যাথা দূর করার জন্যঃ কালোজিরা তেল নিয়মিত ব্যবহারের ফলে দেহে বাঁসা বাধা দীর্ঘমেয়াদি রিউমেটিক ও পিঠে ব্যথা কমাতে দারুন কার্যকরী।
- গ্যাস্ট্রিক বা আমাশায় নিরাময়ঃ এক চামচ কালোজিরা তেল ও এক চামচ মধু প্রতিদিন নিয়মিত তিনবার খেতে হবে এবং দুই থেকে তিন সপ্তাহ সেবন করতে হবে। তাহলে দ্রুত গ্যাস্ট্রিক ও আমাশয় নিরাময় হবে।
- মাথা ব্যথা দূর করতেঃ কানের পার্শ্ববর্তী স্থান ও মাথা ব্যথা কপাল ও উভয়ের চিবুকের প্রতিদিন নিয়মিত ৩-৪ বার কালোজিরা তেল মালিশ করতে হবে। তাহলে খুব তাড়াতাড়ি মাথাব্যথা উপশম হবে।
- শিশুর দৈহিক মানসিক বৃদ্ধিতে কালোজিরাঃ দুই বছরের অধিক বয়স, এরকম শিশুদের নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ানো উচিত। নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ার ফলে শিশু দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধিতে কালোজিরা খুবই কার্যকরী। এছাড়াও কালোজিরা শিশুর স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে পাশাপাশি শিশুর মস্তিষ্কের সুস্থতা দান করে। কিন্তু একটা বিষয় মনে রাখবেন, দুই বছরের কম এরকম শিশুদের কালোজিরা সেবন করা উচিত নয়।
- চুল পড়া বন্ধ করতেঃ নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে কালোজিরা খেয়ে যান, এতে চুল পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি পাবে ফলে চুল পড়া বন্ধ হবে। আরো দ্রুত ফল পেতে চুলের গোড়ায় কালোজিরার তেল মালিশ করুন অনেক উপকার পাবেন।
- স্বাস্থ্য ভালো রাখতেঃ নিয়মিত প্রতিদিন সকালবেলা কালোজিরা ও মধু সেবন করলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে, পাশাপাশি বিভিন্ন রকম রোগ থেকে রক্ষা করে।
- লিভারের সুরক্ষায়ঃ কালোজিরাকে মহাঔষধ বলা হয়। আর এটি লিভারের সুরক্ষায় খুবই দারুণ কাজ করে। লিভার ক্যান্সারের জন্য দায়ী আফলাটক্সিন নামক বিষ ধ্বংস করতে সহায়তা করে এ কালোজিরা।
- হজমের সমস্যা দূরীকরণেঃ এক চামচ কালোজিরা ব্লেন্ড করে পানির সঙ্গে নিয়মিত খেতে থাকুন, দেখবেন হজমের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। এভাবে নিয়মিত প্রতিদিন ২-৩ বার এক মাস পর্যন্ত সেবন করলে আপনার হজম শক্তি বেড়ে যাবে পাশাপাশি পেট ফাঁপা দূর হবে।
- চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করেঃ কালোজিরার তেল মাথার চুলে নিয়মিত ব্যবহারের ফলে, চুলের ফলিকল ও চুলের কোষকে চাঙ্গা করে ও শক্তিশালী করে ফলে নতুন চুল গজায়।
- চোখের ব্যথা দূরঃ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে চোখের উভয় পাশের ভুরুতে কালোজিরা তেল মালিশ করুন এবং এক কাপ কালোজিরা তেলের সাথে এক কাপ গাজর নিয়মিত খেলে অনেক উপকার পাবেন। টিংচার সেবন ও গাজর এবং কালোজিরা পাশাপাশি তেল মালিশ করলে ভালো উপকার পাবেন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।
- পারকিনসন্স রোগের প্রতিকারঃ কালোজিরায় বিদ্যমান রয়েছে থাইমোকুইনিন যা ডিমেনশিয়া ও পারকিনসন্স আক্রান্ত রোগীদের দেহে টক্সিন উৎপন্ন প্রভাব থেকে নিউরনের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে।
- কিডনির পাথর ও ব্লাডারঃ ২৫০ গ্রাম বিশুদ্ধ মধু ও ২৫০ গ্রাম কালোজিরা গুড়ো করে, মধু ও কালোজিরার সংমিশ্রণ তৈরি করতে হবে। তারপর প্রতিদিন নিয়মিত দুই চামচ মিশ্রণ আধা কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে, এছাড়াও কালোজিরার তেলও যুক্ত করতে পারেন, পান করলে কিডনির পাথর ও ব্লাডার দূর হবে। এছাড়াও মধু ও কালোজিরা টিংজার প্রতিদিন ৩-৪ ফোঁটা সেবন করতে পারেন অনেক ফল পাবেন।
- ডায়রিয়াঃ হোমিও ঔষধ ও খাবার স্যালাইন পাশাপাশি বড় এক চামচ কালোজিরা তেল ও এক কাপ দই প্রতিদিন দিনে দুইবার।
- স্নায়বিক উত্তেজনাঃ কফির সাথে কালোজিরা সেবন করলে স্নায়বিক উত্তেজনা দূর হবে।
- উরুসদ্ধি প্রদাহঃ প্রথমে আক্রান্ত স্থানটি ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপর ৩ দিন নিয়মিত আক্রান্ত স্থানে মালিশ করতে হবে। এভাবে করলে স্বাভাবিক উত্তেজনা দূরীভূত হবে।
- উচ্চরক্তচাপঃ যখন গরম পানি বা চা সেবন করবেন তখন কোনো না কোনোভাবে কালোজিরা খোবেন। গরম খাবার বা ভাত খাওয়ার সময় কালোজিরা ভর্তা খেতে পারেন। উভয় পদ্ধতির সাথে রসুনের তেল সংযুক্ত করতে পারেন। সারা শরীরে রসুনের তেল ও কালোজিরা তেল মালিশ করতে পারেন। রসুনের,নিম, ও কালোজিরা তেল একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে মাথায় ব্যবহার করতে পারেন।
- জ্বরঃ নিয়মিত সকাল-সন্ধ্যায় এক চামচ কালোজিরা তেল ও এক চামচ লেবুর রস পান করুন। এছাড়াও কালোজিরা ও লেবুর অ্যাসিটিকঅ্যাসিড সংমিশ্রণ করে দেওয়া যেতে পারে।
- আঁচিলঃ কালোজিরা তেল হেলেঞ্চা দিয়ে ঘষে লাগান। সাথে নিয়মিত খেতে হবে হোমিও ঔষধ।
- সকল রোগের প্রতিষেধোকঃ প্রতিদিন সকাল বেলা খালি পেটে কালোজিরা ও মধু সেবন করলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে পাশাপাশি বিভিন্ন রকম মহামারী রোগের প্রতিষেধক হিসাবে কাজ করে।
- দাঁতের ব্যথা দূরীকরণঃ এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে কালোজিরা দিয়ে কুলকুচি করলে দাঁতের মাড়ি, জিহ্বা ও তালুর জীবাণু মেরে ফেলে ফলে দাঁত ব্যথা উপশম হয়।
- দেহে সাধারণ উন্নতিঃ কালোজিরা নিয়মিত খাওয়ার ফলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে সতেজ রাখে পাশাপাশি স্বাস্থ্যের উন্নতি সাধন করে। জন্ডিস, জ্বর, ডায়রিয়া, আমাশয়, পেটে ব্যথা, অরুচি, শরীর ব্যথা, গলা ব্যথা, দাঁতে ব্যথা, খোসপচঁড়া, চুল পড়া, মাইগ্রেন, মাথা ব্যথা, দাদ, শ্বেতি, একজিমা, সর্দি, কাশির মহা ঔষধ হিসেবে কাজ করে এই কালোজিরা। এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ হ্রাসকারক, মূত্র বর্ধক, গ্যাস্ট্রিক আলসার প্রতিরোধক, ভাইরাস, টিউমার, ক্যান্সার প্রতিরোধক, ব্যাকটেরিয়া ও কৃমিনাশক, যকৃতের বিষক্রিয়া নাশক, রক্তের স্বাভাবিকতা রক্ষাকারোক, বাতব্যথা নাশক, এলার্জি প্রতিরোধক, চুল পড়া, অনিদ্রা, মাথা ঝিমঝিম, মুখের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে, অবসন্নতা-দুর্বলতা এবং মস্তিষ্কে স্মরণশক্তি বাড়াতেও দারুন উপকারী বন্ধু। কালোজিরা নিয়মিত খাওয়ার ফলে পেটের যাবতীয় রোগ জীবাণু ও গ্যাস দূর হবে পাশাপাশি খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়াবে।
কালোজিরা খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি
সাধারণত কাঁচা কালোজিরা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। কালোজিরা আমাদের প্রতিদিনের
খাবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে পারে। মধুর সাথে কালোজিরা মিশিয়ে খেলেও অনেক
উপকার পাওয়া যায়। কালোজিরা খাওয়ার বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে সেগুলো মেনে কালোজিরা
খেলে বেশ ভালো ফল পাবেন। কালোজিরা ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে হালকা ভেজে গুড়া
করে, প্রতিদিন সকালে ও বিকালে এক
চামচ কালোজিরা ও এক চামচ মধু এক গ্লাস গরম দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে অথবা এক কাপ
গরম লাল চায়ের সাথেও খেতে পারেন। তাছাড়াও আপনি নিয়মিত ভাত রুটি কিংবা মুড়ির
সাথেও কালোজিরা পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে পারেন। খিচুড়ি, গরম ভাত এগুলোর সাথে
কালোজিরা ভর্তা করে খেতে পারেন। গরম চা কিংবা গরম ভাতের সাথে মিশিয়ে খেলে অনেক
উপকার পাওয়া যায়। অন্যান্য সময়ের তুলনায়
সকালবেলা কালোজিরা খেলে তুলনামূলক রাতের চেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। আপনারা
যদি প্রতিদিন সকালবেলা এক গ্লাস পানির সাথে এক চামচ কালোজিরা খান, তাহলে আপনার
শরীরের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে, পাশাপাশি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ও ঠিক
থাকবে। সকালে খালি পেটে কালোজিরা খাওয়ার ফলে, নারী -পুরুষ উভয়ের যৌন ক্ষমতা
বৃদ্ধি পাবে এবং বিভিন্ন ধরনের যৌন
সমস্যা দূর করবে। কালোজিরা সাথে লেবুর রস মিশিয়ে সেটা রোদে ভালোভাবে শুকিয়ে
নিন। সেই শুকানো কালোজিরা গুলো প্রতিদিন দুপুরে, বিকালে এক চামচ করে পানির সাথে
মিশিয়ে খেতে পারেন। তাহলে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে পাশাপাশি ওজন কমবে। এক
গ্লাস পানিতে এক চিমটি কালোজিরা মিশিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালবেলা আপনি যদি
সেই পানি পান করেন,
তাহলে আপনার ওজন দ্রুত কমবে। কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা অনেক, তাই আপনারা
চিবিয়েও খেতে পারেন। কালোজিরা একটি অত্যন্ত উপকারী খাবার। এটি আপনারা বিভিন্ন
রকম উপায়ে খেতে পারেন, যেভাবে আপনার ভালো লাগে সেভাবেই খেতে পারেন। তবে একটা
বিষয় লক্ষ্য রাখবেন বেশি না খেয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবেন।
কালোজিরা খাওয়ার হাদীছ
কালিজিরা কে সকল রোগের মহা ঔষধ বলা হয়ে থাকে। এইজন্য ইসলামিক কালোজিরা খাওয়ার
নিয়ম নিয়ে অনেকগুলো হাদীছ রয়েছে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কালোজিরা খাওয়ার
হাদীছ সম্পর্কে।
- ১।عن ابي هريره رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم عَلَيْكُمْ بِهَذِهِ الْحَبَّةِ السَّوْدَاءِ فَإِنَّ فِيهَا شِفَاءً مِنْ كُلِّ دَاءٍ إِلاَّ السَّامَ ” . وَالسَّامُ الْمَوْتُ-
- হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ "তোমরা কালোজিরা ব্যবহার করবে কারণ এতে মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের প্রতিষেধক রয়েছে।" সুনানে তিরমিযী হা/২০৪৮
- ২। عن ابي هريره رضي الله تعالى عنه قال سمعت النبي صلى الله عليه وسلم قال فِي الْحَبَّةِ السَّوْدَاءِ شِفَاءٌ مِنْ كُلِّ دَاءٍ، إِلاَّ السَّامَ
- হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি তিনি বলেনঃ “কালোজিরাতে মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের আরোগ্য রয়েছে।”( বুখারী, অধ্যায়-৭ হা/৫৬৮৮;মুসলিম হা/২২১৫)
- ৩।হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে সাতটি কালোজিরা খাবে, সে কোনদিন পাগল হবে না এবং কোনদিন কুষ্ঠ রোগেও আক্রান্ত হবে না।” (বুখারী হা/ ৫৬৮৭)
- ৪।হযরত আবু বকর (রাঃ)থেকে বর্ণিত তিনি বলেন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “তোমরা তোমাদের নাকের ভেতরে কালোজিরার তেল দাও। তাহলে প্রতিটি রোগের প্রতিষেধক পাবে মৃত্যু ব্যতীত।”( ইবনে মাজাহ হা/৩৪৭২)
- ৫।হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “যদি তুমি সকালে এক চামচ কালোজিরা ও এক চামচ পানি মিশিয়ে খাও, তাহলে তুমি সেদিন সারাদিন কোন রোগে আক্রান্ত হবে না।”( ইবনে মাজাহ হা/৩৪৭১)
- ৬।হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “যখন তোমাদের রোগ যন্ত্রণা খুব বেশি কষ্টদায়ক হবে। তখন তোমরা এক চিমটি পরিমাণ কালোজিরা নিয়ে খাবে তারপর পানি ও মধু খাবে।”(মুজামুল আওসাতঃ তাবরানী)
- ৭।হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আবু শাইবা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি খালিদ ইবনে সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেনঃ “আমরা যুদ্ধের উদ্দেশ্যে বের হলাম। তখন আমাদের সাথে ছিল গালিব ইবনু আবযার। তিনি পথিমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়লেন। এরপর আমরা তাকে নিয়ে মদিনায় আসলাম তখনো তিনি অসুস্থ ছিলেন। তারা খেদমত করার জন্য ইবনু আবূ আতীক আসলেন। তিনি আমাদেরকে বললেন তোমরা এই কালোজিরা সাথে রাখো। তুমি এই কালোজিরা থেকে থেকে কয়েকটি দানা নিয়ে পিষে খাবে। আর কিছু কালোজিরা পিষে তার মধ্যে জাইতুনের কয়েক ফোঁটা তেল দিয়ে নাকের ভিতরে ছিদ্রে লাগিয়ে দিবে। কেননা হযরত আয়েশা (রাঃ) আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কালোজিরা সাম ব্যতীত সকল রোগের মহা ঔষধ। তখন আমি বললাম সাম কি? উত্তরে তিনি বললেনঃ স্যাম অর্থাৎ মৃত্যু।”(বুখারী)
সম্মানিত পাঠক আলোচ্য হাদীছ গুলো থেকে ভালোভাবে বুঝতে পারলাম যে, কালিজিরা হলো
মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের মহা ঔষধ। তাই ইসলাম ধর্মে কালোজিরা সম্পর্কে অনেক
গুরুত্ব দিয়েছে। হাদীছে উল্লেখিত বিষয়গুলো খেয়াল রেখে নিয়মিত কালিজিরা খেলে ও
কালোজিরা ব্যবহার করলে আপনি যাবতীয় রোগ-বালা থেকে পরিত্রাণ পাবেন।
গর্ভাবস্থায় কালোজিরা খেলে কি হয়?
সাধারণত গর্ভাবস্থায় প্রতিটি মা ই সবসময় চিন্তিত হয়ে থাকেন বিভিন্ন বিষয়
নিয়ে। বিশেষ করে সচেতন থাকে গর্ভাবস্থায় কোন কোন খাবার খাওয়া যাবেনা, কোন কোন
খাবার খাওয়া যাবে, আবার কোন কোন জিনিস এড়িয়ে চলতে হবে ইত্যাদি বিষয় নিয়ে।
গর্ভাবস্থায় কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা হয়তো অনেকেই জানেনা। আবার বিভিন্ন সময়
কালোজিরা নিয়ে মতভেদ দেখা যায়, গর্ভাবস্থায় কালোজিরা খাওয়া যাবে কিনা এই
বিষয় নিয়ে। কালোজিরা একটি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ভরপুর একটি খাবার।
গর্ভাবস্থায় ঠান্ডা, জ্বর,কাশি, গায়ে ব্যথা, গলা ব্যথা, এগুলো দ্রুত সারাতে
সহায়তা করে। কালোজিরাতে প্রায় ১৫ টি অ্যামাইনো অ্যাসিড বিদ্যমান রয়েছে।
এছাড়াও গর্ভাবস্থায় কালোজিরা খেলে মাথাব্যথা নিরাময় হবে, হজমের সমস্যা দূর
হবে, মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে, এবং গ্যাস্টিকের সমস্যা দূর করবে।
তাই জন্য গর্ভাবস্থায় নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে কালোজিরা খেলে বিভিন্ন রকম উপকার
পাওয়া যাবে।
গর্ভাবস্থায় কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
গর্ভাবস্থায় কালোজিরা দারুন পুষ্টি সমৃদ্ধ উপকারী একটি খাবার। কালোজিরা শরীরের
মেটাবলিজম বাড়ায়। শরীরে অনেক সময় প্রেগনেন্সি পিরিয়ডের অনেক সময় ব্যথা থেকে
থাকে বা হজমে অনেক সময় সমস্যা হয়ে থাকে, কালোজিরা সে সকল সমস্যা থেকে রক্ষা
করে। বিভিন্ন ধরনের সবজির ভিতর দিয়ে বা ডালের মধ্যে দিয়ে এবং কালোজিরার ভর্তা
করেও আপনারা নিয়মিত খেতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় মায়েদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, তখন গর্ভাবস্থায় কালোজিরা
খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। গর্ভাবস্থায় গ্যাস্টিকের সমস্যা বেশি দেখা
দেয়, তাই জন্য তখন আপনারা কালোজিরা খাওয়া কমিয়ে দিতে পারেন। মানে কালোজিরা
নিয়মিত আপনারা যতটুকু পরিমাণে খেতেন, তা থেকে কিছুটা পরিমাণ কমিয়ে দিবেন।
কালোজিরা খেলে কি সেক্স বাড়ে?
কালোজিরা প্রায় অনেক বছর ধরে তার ঔষধি গুনাগুন দিয়ে মহা ঔষধ হিসেবে কাজ করে
আসছে। সাধারণত কালোজিরা তেল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কালোজিরার
তেলে ১০০ টিরও বেশি উপযোগী উপাদান বিদ্যমান রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ৩৮ শতাংশ
শর্করা, ২১ শতাংশ আমিষ, এবং ৩৫ শতাংশ তেল ও চর্বি। তারুণ্যতাকে ধরে রাখার জন্য
মধ্যপ্রাচ্যে কালোজিরা খাওয়াটা একটা
দীর্ঘদিনের রীতি হয়ে চলে আসছে। সাধারণত কালোজিরা নারী-পুরুষ উভয়েরই যৌন ক্ষমতা
বৃদ্ধি করে পাশাপাশি যৌন কোন সমস্যা থাকলে তা দূরীভূত করে। প্রতিদিন খাবারের সাথে
কালোজিরা খেলে পুরুষের স্পার্মের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। কালোজিরা পুরুষত্বহীনতা
থেকেও মুক্তি দিতে সহায়তা করে এবং শরীরকে করে তোরে সুস্থ এবং চাঙ্গা। তাই
নারী-পুরুষ উভয়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য এবং সেক্সচুয়াল সকল সমস্যা দূর
করার জন্য, পাশাপাশি সেক্স বাড়ানোর জন্য, নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে কালোজিরা
খাওয়া খুবই উপকারী।
আরো পড়ুনঃ ফেসবুক আইডি হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় কি?
এছাড়াও কালোজিরা চূর্ণ ও জাইতুনের তেল ৫০০ গ্রাম এবং হেলেঞ্চা রস ও খাটি মধু
একত্রে ভালোভাবে মিশাতে হবে। তারপর প্রতিদিন নিয়মিত ২ চামচ করে সকালবেলা খালি
পেটে খেলে সকল সেক্সচুয়াল সমস্যা দূর হবে। আপনারা আপনাদের খাদ্য তালিকায় ঔষধি
গুনাগুনে ভরপুর এবং দারুণ পুষ্টিগুণে ভরপুর কালোজিরাকে নিয়মিত খাদ্য তালিকাভুক্ত
করতে পারেন।
কালোজিরা খেলে সারবে যেসব রোগ
কালোজিরা কে মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের ঔষধ বলা হয়। কালোজিরা ঔষধি গুণাগুনে ভরপুর।
মূলত এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটি খাবার। সাধারণত কালোজিরা
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ যা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে
সহায়তা করে। এছাড়াও ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট
সারাতে, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে, চুল পড়া রোধে, স্থুলতা সহ নানা ধরনের
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে রক্ষা পেতে সহায়তা করে। তাই জন্য কালোজিরাকে স্বাস্থ্য
রক্ষার কালোমানিক বলা হয়।
কালোজিরা খেলে আরও বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় যেমন চামড়ার
ফুসকুড়ি, এজমা, ব্রংকাইটিস, পেটফাঁপা, আমাশয়, ডায়রিয়া, জন্ডিস, গ্যাস্ট্রিক
আলসার, খোঁসপঁছড়া, অর্শরোগ, দাদ এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
এছাড়াও কালোজিরা আরও বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে আমাদের শরীরকে রক্ষা করে। তাই জন্য
কালোজিরা নিয়মিত খাওয়া অতি আবশ্যক। এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ।
কালোজিরা খাওয়ার সতর্কতা
প্রতিদিন কালোজিরা নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে হবে। অতিরিক্ত কালোজিরা খাওয়ার
ফলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে কালোজিরা খাওয়া উচিত।
সাধারণত গর্ভাবস্থায় কালোজিরার অনেক গুণ রয়েছে, কিন্তু গর্ভাবস্থায় কালোজিরার
তেল গ্রহণ করা যাবে না। গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত কালোজিরা সেবন করলে, গর্ভপাত
হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে
কালোজিরা গ্রহণ করতে হবে। যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে, অনেকে হজম করতে পারে না,
তাই জন্য ধীরে ধীরে অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। সাধারণত যে বাচ্চাগুলোর বয়স দুই
বছরের কম, সেই বাচ্চাদের কালোজিরার তেল সেবন করানো উচিত নয়। বর্তমান সময়ে
মার্কেটে অনেক নকল ও কৃত্রিম কালোজিরা উঠেছে। সেজন্য কেনার সময় অবশ্যই সতর্কতার
সাথে সঠিক কালোজিরা কিনুন।
সাথে সাথে কালোজিরা তেল কেনার সময়ও সতর্কতার সাথে জেনে বুঝে নিশ্চিত হয়ে কিনতে
পারেন এবং খেতে পারেন অথবা নিজেও সরাসরি প্রক্রিয়াজাত করেও খেতে পারেন। কালোজিরা
তেল যদি বেশি পুরনো হয় তাহলে সেটা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। তাই জন্য
পুরনো কালোজিরা তেল ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
লেখকের ইতি কথাঃ কালোজিরা খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও উপকারিতা-কালোজিরা খেলে সারবে যেসব রোগ
সম্মানিত পাঠক আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে কালোজিরা খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও
উপকারিতা-কালোজিরা খেলে সারবে যেসব রোগ সেই সম্পর্কে পুরোপুরি বিস্তারিত জানতে
পেরেছেন। উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো ভালোভাবে পড়ে নিলে কালোজিরা খাওয়ার সঠিক
নিয়ম ও উপকারিতা-কালোজিরা খেলে সারবে যেসব রোগ সে সম্পর্কে খুব সহজেই জানতে
পারবেন। কালিজিরা হলো মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের মহা ঔষধ।
নিয়মিত কালিজিরা সেবন করলে সব ধরনের রোগ-বালা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু
অনেকেই কালিজিরার এই গুনাগুন গুলো সম্পর্কে জানেনা। আর নিয়মিত কালিজিরাও সেবন
করে না। এজন্য তারা বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। তাই আপনি যদি সব
ধরনের রোগ-বালা থেকে মুক্ত থাকতে চান তাহলে অবশ্যই এই আর্টিকেলটি পড়া আবশ্যক।
প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থেকে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগের সাথে
পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে এই ধরনের তথ্যবহুল
আর্টিকেল নিয়মিত পোস্ট করে থাকি। তাই আপনি যদি এ ধরনের আরও তথ্যবহুল উপকারী
পোষ্ট করতে চান, তাহলে এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ফলো করুন। সাথে সাথে এই আর্টিকেলটি
পড়ে ভালো লাগলে আপনার নিকট আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজনদের কাছে তাদের
উপকারার্থে শেয়ার করে দিন।
যেন তারা কালোজিরা খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও উপকারিতা-কালোজিরা খেলে সারবে যেসব রোগ এ
বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি ভালোভাবে জেনে নিতে পারে। কালোজিরা খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও
উপকারিতা-কালোজিরা খেলে সারবে যেসব রোগ এ বিষয়টি নিয়ে আপনার যদি কোন
গুরুত্বপূর্ণ মতামত বা প্রশ্ন থাকে, তাহলে অবশ্যই নিচে দেওয়া মতামত বক্সে কমেন্ট
করতে ভুলবেন না। আবার আপনাদের সাথে কথা হবে নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে ততক্ষণ
পর্যন্ত নিরাপদ ও সুস্থ থাকুন।
কনফিডেন্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url