গর্ভবতী ভাতার আবেদন করার নিয়ম ২০২৪ - গর্ভবতী ভাতার আবেদন করতে কি কি লাগে?

আপনি কি গর্ভবতী ভাতার আবেদন করার নিয়ম ২০২৪-গর্ভবতী ভাতার আবেদন করতে কি কি লাগে? এ বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত? তাহলে আপনার চিন্তার আর কোন কারণ নেই। কারণ আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটির মূল আলোচনায় হচ্ছে গর্ভবতী ভাতার আবেদন করার নিয়ম ২০২৪-গর্ভবতী ভাতার আবেদন করতে কি কি লাগে? সেই সম্পর্কে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যবহুল ও কার্যকরী আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক!
গর্ভবতী ভাতার আবেদন করার নিয়ম ২০২৪-গর্ভবতী ভাতার আবেদন করতে কি কি লাগে
অনেক সময় শহরের কিংবা গ্রামাঞ্চলের অনেক গর্ভবতী মহিলারাই সরকারিভাবে গর্ভবতী ভাতার সহায়তা সুবিধা সম্পর্কে না জানার কারণে তারা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটির মাধ্যমে গর্ভবতী ভাতার আবেদন করার নিয়ম ২০২৪-গর্ভবতী ভাতার আবেদন করতে কি কি লাগে? এ বিষয় সম্পর্কে এমন কিছু ইউনিক ও কার্যকরী তথ্য সম্পর্কে জানাবো, যেগুলিকে কাজে লাগিয়ে আপনি খুব সহজেই গর্ভবতী ভাতার আবেদন করতে পারবেন। আপনি কি আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো জানতে চান, তাহলে আজকের আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্যই। এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আশা করি আলোচ্য বিষয়ে বিস্তারিতভাবে নির্ভুল সব তথ্য গুলো জানতে পারবেন। ইনশাআল্লাহ!
পেজ সূচিপত্রঃ
.

ভুমিকা

গর্ভবতী ভাতা হলো দেশের গর্ভবতী মহিলাদের সরকারিভাবে সহায়তা সুবিধা দেওয়ার প্রক্রিয়া। সরকারি সেবাগুলোর মধ্যে অনেক ধরনের সেবা রয়েছে। তার মধ্যে গর্ভবতী ভাতা সহায়তা সুবিধা হলো অন্যতম। কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী ও কিছু নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে গর্ভবতী মহিলারা এই ভাতার সুবিধা পেয়ে থাকেন। তাই আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়লে বিস্তারিতভাবে

জানতে পারবেন গর্ভবতী ভাতার আবেদন করার নিয়ম ২০২৪-গর্ভবতী ভাতার আবেদন করতে কি কি লাগে? এই বিষয়গুলো সম্পর্কে। এছাড়াও গর্ভবতী ভাতা বলতে কি বুঝায়? গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার নিয়ম, গর্ভবতী ভাতার আবেদন করতে কি কি লাগে? অফলাইনে গর্ভবতী ভাতার আবেদন, গর্ভবতী ভাতা আবেদনের জন্য বয়সসীমা কত? গর্ভবতী ভাতা কখন এবং কিভাবে প্রদান করা হয়?
গর্ভবতী ভাতা অনলাইন আবেদন ২০২৪, অনলাইনে গর্ভবতী কার্ড করার নিয়ম, গর্ভবতী ভাতা কত টাকা ২০২৪ সালে পাওয়া যায়? এ বিষয়গুলো সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই আপনি যদি গর্ভবতী ভাতার আবেদন করার নিয়ম ২০২৪-গর্ভবতী ভাতার আবেদন করতে কি কি লাগে? এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই কার্যকরী।

গর্ভবতী ভাতা বলতে কি বুঝায়?

সাধারণত গর্ভধারণকারী নারী সরকার কর্তৃক দেশের সুবিধা বঞ্চিত ও দরিদ্র মায়েদের জন্য সরকার অনুমোদন হওয়া কর্মসূচিকে মূলত গর্ভবতি ভাতা বলা হয়। যেসব নারীরা দেশের বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত, তারা যেন মাতৃত্বকালীন সুবিধা থেকে কোনোভাবেই বঞ্চিত না হয়, সেই উদ্দেশ্যেই মূলত গর্ভবতী ভাতা দেওয়া হয়। কারণ একজন মেয়ে যখন গর্ভধারণ করে, তখন তার শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির প্রয়োজন হয়,

পাশাপাশি চিকিৎসা আরোও অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের খরচ রয়েছে। দরিদ্র হওয়ার কারণে অনেকেই সেগুলোর খরচ বহন করতে পারে না। যেন তারা কিছুটা হলেও ভালো জীবন-যাপন করতে পারেন এবং গর্ভকালীন বিভিন্ন খরচ বহন করতে পারেন। তাই সরকার গর্ভকালীন গর্ভবতী মায়েদের এই ভাতা দিয়ে সহযোগিতা করার উদ্দেশ্যেই এই কর্মসূচি গঠন করেন। দেশের সরকার সর্বপ্রথম গর্ভবতী ভাতার

ব্যবস্থার প্রবর্তন করেছেন ২০১১ সালে। গবেষণায় দেখা যায়, মাতৃত্বকালীন সময়ে এই ভাতা চালু হওয়ার পূর্বে গর্ভবতী মায়েরা প্রতিবছর গর্ভকালীন সময়ে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসার পাশাপাশি মাতৃত্বকালীন বিভিন্ন ধরনের সেবা থেকে বঞ্চিত ছিলেন। গর্ভকালীন সময়ে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির প্রয়োজন হয়,সেগুলো না পাওয়ার কারণে, গর্ভকালীন সময়ে মা ও শিশু দুজনেই পুষ্টিহীনতায় ভুগতেন।
মাতৃত্বকালীন সময়ে বিভিন্ন ধরনের সেবা, চিকিৎসা না পাওয়ায় বঞ্চিত হওয়ায় এবং বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিহীনতার কারণে অসংখ্য মা ও শিশুকে অকালে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। তাই জন্য গর্ভবতী মায়েদের কথা বিবেচনা করে সরকার গর্ভবতী ভাতা চালু করেন। বর্তমানে গর্ভবতী ভাতা অফলাইনে আবেদন করা যায় পাশাপাশি গর্ভবতী ভাতাকে সহজতর করে তোলার জন্য অনলাইনে আবেদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার নিয়ম

অভাবে শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশে ব্যাঘাত যেন না ঘটে, তার জন্যই সরকার গর্ভবতী মায়েদের জন্য সরকারি ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করেন। গর্ভবতী ভাতা অন্তঃসত্ত্বা দরিদ্র মায়েদের জন্য সহযোগিতার উদ্দেশ্যে তৈরি একটি কর্মসূচি। প্রথম ২০ কর্ম দিবসের মধ্যে, প্রতি মাসে ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক এই কর্মসূচির আবেদন গ্রহীত করা হয়। গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার জন্য কিছু নিয়ম ও শর্তাবলী রয়েছে। তাহলে চলুন সেগুলো জানা যাক।
  • গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার জন্য গর্ভধারণকারী মায়ের মাসিক ইনকাম অনূর্ধ্ব ২০০০ টাকা হতে হবে। তাহলে গর্ভবতী ভাতা পাওয়া যাবে। এর থেকে বেশি ইনকাম হলে গর্ভবতী ভাতা পাওয়া যাবে না।
  • অন্তঃসত্ত্বা নারীর বয়স ২০ বছরের উর্ধ্বে হলে, গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার জন্য গণ্য হবে।
  • আবেদনকারী মায়ের নিজস্ব কোন জমি-জমা অথবা নিজস্ব কোন পুকুর থাকা যাবে না। কারণ এই গর্ভবতী ভাতাটি শুধুমাত্র দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত মায়েদের এই ভাতা দেওয়ার জন্য নির্বাচন করা হয়।
  • গর্ভবতী ভাতা পাওয়া সম্ভব মূলত প্রথম পর্যায়ে এবং সর্বোচ্চ দ্বিতীয় পর্যায়ে। তারপর আর এই গর্ভবতী ভাতা পাওয়া যাবে না। কিন্তু যদি শিশু জন্মের দুই বছরের ভিতরে শিশু মারা গেলে অথবা গর্ভেই যদি গর্ভপাত ঘটে, তাহলে সেক্ষেত্রে তৃতীয়বার গর্ভকালীন সময়ে সরকার কর্তৃক এই গর্ভবতী ভাতা পাওয়া যাবে।
  • সরকারি নিয়ম অনুযায়ী যাবতীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে এবং সঠিক তথ্য প্রদানের মাধ্যমে গর্ভধারনকালিন সময়ে অন্তঃসত্ত্বা মায়েরা গর্ভবতী ভাতার আবেদন করে গর্ভবতী ভাতা পেতে সক্ষম হবেন।

গর্ভবতী ভাতার আবেদন করতে কি কি লাগে?

সরকার কর্তৃক প্রদত্ত শর্তাবলির সাথে নারীর বর্তমান পরিস্থিতির সাথে মিল রেখে গর্ভবতী ভাতা আবেদন করার জন্য সে অনুযায়ী আপনাকে আবেদনের জন্য এগোতে হবে। যে নারী গর্ভবতী ভাতার জন্য আবেদন করবে সে গর্ভবতী ভাতার জন্য যোগ্য কিনা সেটা পর্যালোচনা করে তারপর আবেদনের সকল প্রক্রিয়া চালু হয়। সাধারণত গর্ভবতী ভাতা আবেদন ধাপে ধাপে করতে হয় সেটা আপনি আপনার
নিকটস্থ পৌরসভা কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের নিকট গিয়েও আবেদন করতে পারেন অথবা অনলাইনের মাধ্যমেও আবেদন করতে পারেন। সেটা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করবে, যে কোন একটাতে আবেদন করলেই হবে। তাহলে চলুন গর্ভবতী ভাতা আবেদন করতে কি কি লাগে জেনে নেওয়া যাক।
  • আবেদন করার জন্য আবেদনকারীর দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি ছবি জমা দিতে হবে।
  • আবেদনকারীর আবেদন করার জন্য NID কার্ড অথবা জাতীয় পরিচয় পত্র থাকতে হবে, সাথে সাথে জন্ম নিবন্ধন কার্ডও থাকতে হবে।
  • আবেদনকারীর নিকটস্থ ইউনিয়ন সহকারি ভূমি নিকটস্থ থেকে একটি সনদপত্র গ্রহণ করে, সেটি সেখানে জমা দিতে হবে।
  • অর্থ লেনদেনের জন্য নগদ, বিকাশ, রকেট, যে কোন একটি, কিংবা ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট জমা দিতে হবে, গর্ভবতী ভাতার টাকা উত্তোলনের জন্য।
  • পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর থেকে একটি গর্ভকালীন নাগরিক সনদপত্র সংগ্রহ করে জমা দিতে হবে আবেদনকারী কে।

অফলাইনে গর্ভবতী ভাতার আবেদন

মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ভাতাভোগী নির্বাচন প্রসঙ্গে উপযুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে,মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর পরিচালিত মা ও শিশু সহযোগিতা কর্মসূচির আওতায় জন্মহার দারিদ্রতা এবং পুষ্টি সূচকের ওপর ভিত্তি করে, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জন্য ইউনিয়ন, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশনওয়ারী ভাতাভোগির সংখ্যা বিভাজন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, প্রতি ইউনিয়ন, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশনে প্রতিমাসে শর্তপূরণ সাপেক্ষে গর্ভবতী মহিলা নিজে ইউনিয়ন, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশনের ডিজিটাল সেন্টারে নির্ধারিত ৪০ টাকা ফি প্রদানের বিনিময়ে অথবা উপজেলা তথ্য সেবার নিকট বিনামূল্যে আবেদন করতে পারবে অর্থাৎ যে সকল গর্ভবতী মায়েরা গ্রামে বসবাস করেন, আপনারা আপনাদের ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারে

গিয়ে গর্ভবতী ভাতার জন্য আবেদন করতে পারেন। এক্ষেত্রে আবেদন ফি বাবদ ৪০ টাকা ব্যয় করতে হবে। আর যদি ফ্রিতে আবেদন করতে চান, তাহলে উপজেলা তথ্য সেবার নিকট বিনামূল্যে আবেদন করতে পারবেন। যে সকল গর্ভবতী মায়েরা পৌরসভার মধ্যে বসবাস করেন আপনারা চাইলে পৌর ডিজিটাল সেন্টারে গিয়ে গর্ভবতী ভাতার জন্য আবেদন করতে পারেন। এক্ষেত্রে আবেদন ফি বাবদ ৪০ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

আর যদি ফ্রিতে আবেদন করতে চান, তাহলে উপজেলা তথ্য সেবা সহকারীর নিকট বিনামূল্যে আবেদন করতে পারেন। ইউনিয়ন, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের বাইরে যে সকল কম্পিউটারের দোকান গুলো রয়েছে, সেখান থেকেও আপনি চাইলে আবেদন করতে পারবেননা, আপনাকে ডিজিটাল সেন্টারে গিয়ে গর্ভবতী ভাতার আবেদন করতে হবে।

গর্ভবতী ভাতা আবেদনের জন্য বয়সসীমা কত?

গর্ভবতী ভাতা আবেদনের জন্য অবশ্যই ভাতাভোগীর বয়স ২০ উপরে হতে হবে। ভাতাভোগীর বয়স ২০ বছর বয়সের কম হলেও আবেদন করতে পারবেন না। আবার ৩৫ বছরের বেশি হলেও আবেদন করতে পারবেন না। কাজেই আবেদনকারীর বয়স জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী অর্থাৎ ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী ২০-৩৫ বছরের মধ্যে হতে হবে। আবেদন করার সময় আবেদনকারীকে ৪-৬ মাসের গর্ভবতী হতে হবে।

অর্থাৎ যখন গর্ভবতী ভাতার জন্য আবেদন করবেন তখন আপনার গর্ভের বাচ্চার বয়স হতে হবে ৪-৬ মাসের মধ্যে। গর্ভের বাচ্চার বয়স ৪ মাসের কম হলেও আবেদন করতে পারবেন না। আবার গর্ভের বাচ্চার বয়স ৬ মাসের বেশি হলেও, আবেদন করতে পারবেন না। কাজেই আপনার গর্ভের বাচ্চার বয়স যখন ৪-৬ মাসের মধ্যে থাকবে তখন আপনি গর্ভবতী ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

গর্ভবতী ভাতা কখন এবং কিভাবে প্রদান করা হয়?

গর্ভবতী ভাতার আবেদন করার নিয়ম ২০২৪-গর্ভবতী ভাতার আবেদন করতে কি কি লাগে
প্রতিমাসের ১-২০ তারিখের মধ্যে গর্ভবতী ভাতার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে আবেদন গ্রহণ করা হয়। কাজেই প্রতিমাসের ১-২০ তারিখের মধ্যে গর্ভবতী ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রতি মাসের ২০ তারিখের পর কোন আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। কাজেই আবেদন করতে হলে প্রতিমাসের ১-২০ তারিখের মধ্যে আবেদন করতে হবে। আবেদন করার জন্য গর্ভবতীর জাতীয় পরিচয় পত্র থাকতে হবে।

জন্ম নিবন্ধন দিয়ে গর্ভবতী ভাতার জন্য আবেদন করা যাবে না। গর্ভবতীর নিজের নামে অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। সেটা হতে পারে বিকাশ, রকেট, নগদ, একাউন্ট। আবেদন করার পূর্বে গর্ভবতীর জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে নিজের নামে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে হবে। সেটা হতে পারে বিকাশ, নগদ, রকেট একাউন্ট। আবেদন করার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বা পরিবার পরিকল্পনা দপ্তর প্রদত্ত

ANC কার্ড অর্থাৎ অ্যান্টিনেটাল কেয়ার কার্ড থাকতে হবে। প্রতিমাসের ইউনিয়ন পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ অবশ্যই প্রতি মাসের ১-২০ তারিখের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে হবে এবং প্রাপ্ত আবেদন ২০-২৫ তারিখের মধ্যে যাচাই-বাছাই পূর্বক ইউনিয়ন কমিটির সবার মাধ্যমে প্রাপ্ত তালিকা উপজেলা কমিটির নিকট প্রেরণ করবে। প্রতিমাসের ২৫-৩০ তারিখের মধ্যে প্রাপ্ত প্রাথমিক তালিকা জেলা কমিটির মাধ্যমে

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের মাধ্যমে যাচাই-পূর্বক তালিকা উপজেলা কমিটির মাধ্যমে চূড়ান্ত অনুমোদন করা হবে। একটি বিষয় লক্ষ্য রাখবেন প্রতিমাসের ১-২০ তারিখের মধ্যে আবেদন গ্রহণ করা হয়। যারা চলতি মাসে আবেদন করতে পারেননি তারা পরের মাসে আবেদন করতে পারবেন কোন সমস্যা নেই। কারণ ১-২০ তারিখের মধ্যে গর্ভবতী ভাতার নতুন আবেদন গ্রহণ করা হয়।
শুধুমাত্র প্রথম এবং দ্বিতীয় বাচ্চা নেওয়ার সময় গর্ভবতী ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তৃতীয়, চতুর্থ বা পঞ্চম বাচ্চার ক্ষেত্রে এই গর্ভবতী ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন না বা আপনার আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। শুধুমাত্র প্রথম এবং দ্বিতীয় বাচ্চা নেওয়ার সময় গর্ভবতী ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

গর্ভবতী ভাতা অনলাইন আবেদন ২০২৪

গর্ভবতী ভাতা অনলাইনে আবেদন করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট শর্তাবলী রয়েছে, সেগুলো অবশ্যই মেনে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। বর্তমান সময়ে গর্ভবতী ভাতা অনলাইন আবেদন করার ফলে, অনেক সহজতর হয়ে উঠেছে আবেদন করা। এই অর্থবছরে গর্ভবতী ভাতা আবেদন করার জন্য গর্ভবতীর যাবতীয় ব্যক্তিগত তথ্য, চিকিৎসা কপি সবকিছু অনলাইনে প্রদান করা হয়। এইজন্য প্রথমে তাদের

অনলাইনের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। তারপর সেখানে গিয়ে প্রদত্ত ফর্মে যে সকল তথ্য চাইবে সকল তথ্য নির্ভুল ভাবে প্রদান করতে হবে। এইভাবে ফরম পূরণের মাধ্যমে আপনার আবেদনটি সম্পূর্ণ হবে। মাতৃত্বকালীন ভাতার আবেদনের জন্য, আপনার নিকটস্থ পৌরসভায় কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের নিকট গিয়ে আবেদন করতে হতো। কিন্তু সেটা এখন করতে হয় না, অনলাইনে আবেদন করার ফলে,

আবেদন অনেক সহজ হয়েছে অনলাইন আবেদনের মাধ্যমে। কিন্তু বর্তমান সময়ে যেমন অনলাইন আবেদন অনেক সহজ হয়েছে। ভাতা আবেদনের জন্য অনলাইনে সিস্টেম চালু হওয়ায় কিছু কিছু দিক সচেতনতার সাথে করতে হবে। অনেক প্রতারক চক্র রয়েছে যারা আপনাকে ফাঁদে ফেলে আপনার কাছ থেকে আপনার টাকা হাতিয়ে নিতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রতারক চক্র থেকে আপনাকে সাবধানে থাকতে হবে। কোনভাবেই প্রতারক চক্রের ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না। তাই জন্য সব সময় সচেতন থাকুন।
অনলাইন থেকে আবেদনকারী প্রাপ্ত কার্ডটি নগদ, বিকাশ বা রকেট অর্থ প্রাপ্ত হওয়ায় সেক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে। বাংলাদেশের ৬৪ জেলা থেকেই বর্তমান সময়ে গর্ভবতী ভাতার অনলাইনে আবেদনের কার্যক্রম চালু রয়েছে। আপনারা বাংলাদেশের ৬৪ জেলার যে কোন জেলা থেকেই অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন সম্পূর্ণ করতে পারবেন।

গর্ভবতী ভাতার আবেদন করার নিয়ম ২০২৪

গর্ভবতী ভাতা আবেদন করার জন্য সঠিক নিয়ম এবং নির্ভুল তথ্য প্রদান করা আবশ্যক। নইলে আবেদন করতে যদি ভুল তথ্য এবং সঠিক নিয়মে আবেদন না করেন, তাহলে আপনার আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই জন্য নির্ভুল তথ্য দিয়ে সঠিক নিয়মে গর্ভবতী ভাতার আবেদন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আগেকার সময়ে গর্ভবতী আবেদন অনেক কঠিন ও অনেক ঝামেলা ছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে গর্ভবতী ভাতা

আবেদন আরো সহজতর হয়ে উঠেছে, কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই। আগে আবেদন করার জন্য বাহিরে বড় লাইন ধরতে হতো কিন্তু এখন লাইন ধরতে হয় না, লাইন ধরার পরিবর্তে বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে অনুদানের জন্য আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এইজন্য গর্ভবতী ভাতার নিয়ম গুলো খুবই সীমিত গর্ভবতী ভাতা আবেদন করার জন্য। প্রথমে আপনাকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রদান

করা গর্ভবতী ভাতা অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করার জন্য অথবা গর্ভবতী ভাতা আবেদনের জন্য প্রথমে আপনাকে তাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। সাধারণত প্রতিমাসের ১-২০ তারিখের মধ্যে আবেদন গ্রহণ করা হয়, তারপর আর গ্রহণ করা হয় না। তাই জন্য আপনাকে একটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে, মাসের ১-২০ তারিখের মধ্যে আবেদন করতে হবে। মানে প্রতি মাসে ১-২০ তারিখের মধ্যে আবেদন করা আবশ্যক।

প্রথমে অনলাইনে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে, আবেদনের লিংকে ক্লিক করতে হবে। তারপর আবেদনের জন্য আবেদনকারীকে তার ব্যক্তিগত সকল সঠিক তথ্য ও নির্ভুল তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে। আর আবেদনকারী যদি সঠিক তথ্য দিয়ে সঠিকভাবে আবেদন করে থাকে, তাহলে তথ্য প্রদানের সাথে সাথে বর্তমান অর্থবছরে অবশ্যই সিলেক্ট হয়ে যাবে। প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে আবেদন ফরমটি পূরণ করতে হবে।
আবেদন ফরম পূরণ শেষে টাকা উত্তোলনের জন্য একটি ব্যাংকিং মাধ্যম নির্বাচন করতে হবে যেমন বিকাশ, নগদ, রকেট, যেকোনো একটি হলেই হবে এবং সেটি সচল রাখতে হবে। তারপর সবশেষে পাসপোর্ট সাইজ দুই কপি ছবি দিয়ে এবং সাক্ষ্য দিয়ে গর্ভবতী ভাতা অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন করতে পারেন।

অনলাইনে গর্ভবতী কার্ড করার নিয়ম

অনলাইনে গর্ভবতী কার্ড করার কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম রয়েছে,পর্যায়ক্রমে অনলাইনে সেই কাজগুলো করেই গর্ভবতী কার্ড বানাতে হয়। সেটা অসংখ্য মানুষই জানে না। যদি আপনি গর্ভবতী কার্ড করার নিয়ম না জেনে থাকেন, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজকে এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন, অনলাইনে গর্ভবতী কার্ড করার নিয়ম। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক অনলাইনে গর্ভবতী কার্ড করার নিয়ম গুলো।
  • প্রথমে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটা হলো,গর্ভবতী কার্ড বানানোর জন্য গর্ভবতী ভাতা অনলাইনে আবেদন করে রাখতে হবে। গর্ভবতী কার্ড বানাতে হলে প্রত্যেককেই এই আবেদন অনলাইনে আগে করতে হবে।
  • তারপর অবশ্যই আপনাকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নির্ভুল সকল তথ্য ও কাগজপত্র গ্রহণ করে অবশ্যই আবেদনের সময় কাগজপত্র গুলো জমা দিতে হবে।
  • অনলাইনে গর্ভবতী ভাতা আবেদন করার পর, কোন রকম ভুল ভ্রান্তি রয়েছে নাকি? ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করতে হবে এবং পরবর্তী সময়ে আবেদনকারী তার আবেদন গ্রহণ হওয়ার নোটিশ প্রাপ্ত হবেন।
  • গর্ভবতী কার্ড করার জন্য পরবর্তী ধাপে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট প্রদান করা প্রয়োজন।
  • গর্ভবতী কার্ডের জন্য গর্ভধারিনী মায়ের মেডিকেল রিপোর্টের ফটোকপি সরকারি অনুমোদন প্রাপ্ত হাসপাতাল থেকে গ্রহণ করে জমা দিতে হবে।
  • গর্ভধারিনী মায়ের ব্যক্তিগত তথ্য যেমন স্থায়িত্ব ঠিকানা এবং ব্যক্তিগত ঠিকানা সংযুক্ত করতে হবে।
  • গর্ভধারিনী মায়ের NID কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্রের একটি ফটোকপি দিতে হবে।
  • দুটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি আবেদনকারী কে দিতে হবে।
  • এবং সঠিক সময়ে টাকা উত্তোলনের জন্য মোবাইল ব্যাংকিং যেমন বিকাশ, রকেট, নগদ, এর একটি সচল নম্বর থাকতে হবে।
  • আপনারা কোন রকম বাঁধা ছাড়াই এই কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টের মাধ্যমে সহজেই অনলাইনে গর্ভবতী কার্ড অনলাইনে করতে পারবেন।

গর্ভবতী ভাতা কত টাকা ২০২৪ সালে পাওয়া যায়?

গর্ভবতী ভাতা কত টাকা ২০২৪ সালে পাওয়া যায়
২০২৪ সালের গর্ভবতী ভাতা কত টাকা করে দেয়,সেই বিষয়ে সাধারণত অনেকেই জানেনা। গর্ভবতী ভাতা ২০২৪ সালে কত টাকা করে দেয়,সঠিক তথ্য আপনি আজকে আমাদের এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন। একজন গর্ভবতী মায়ের গর্ভের বাচ্চার বয়স ৪-৬ মাস এর ভিতর হয়, তখন সরকার কর্তৃক গর্ভবতী ভাতা গর্ভবতী মাকে প্রদান করা শুরু করে।

গর্ভবতী মাকে প্রতি মাসে ৮০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। এভাবে একজন গর্ভবতী মা ৩৬ মাস পর্যন্ত ভাতা পাবেন। অর্থাৎ একজন গর্ভবতী মা ৩ বছর পর্যন্ত গর্ভবতী ভাতা পাবেন। তিন বছরে সর্বমোট ২৮,৮০০ টাকা ভাতা পাবেন।

লেখকের ইতি কথাঃ গর্ভবতী ভাতার আবেদন করার নিয়ম ২০২৪-গর্ভবতী ভাতার আবেদন করতে কি কি লাগে?

সম্মানিত পাঠক আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে গর্ভবতী ভাতার আবেদন করার নিয়ম ২০২৪-গর্ভবতী ভাতার আবেদন করতে কি কি লাগে? সেই সম্পর্কে পুরোপুরি বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। উপরে উল্লেখিত নিয়ম গুলো ফলো করলে আপনি সম্পূর্ণভাবে গর্ভবতী ভাতার আবেদন করার নিয়ম ২০২৪-গর্ভবতী ভাতার আবেদন করতে কি কি লাগে? তা খুব সহজেই জানতে পারবেন।

এছাড়াও গ্রামাঞ্চলে কিংবা শহরে অনেকেই এ বিষয়টি না জানার কারণে গর্ভবতী ভাতার সহায়তা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। তাই গর্ভবতী মায়েরা বা বোনেরা এই গর্ভবতী ভাতার সহায়তা সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হতে চাইলে অবশ্যই এ আর্টিকেলটি পড়া আবশ্যক।

প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থেকে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগের সাথে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে এই ধরনের তথ্যবহুল আর্টিকেল নিয়মিত পোস্ট করে থাকি। তাই আপনি যদি এ ধরনের আরও তথ্যবহুল উপকারী পোষ্ট পড়তে চান, তাহলে এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ফলো করুন। সাথে সাথে এই আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে আপনার নিকট আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজনদের কাছে তাদের উপকারার্থে শেয়ার করে দিন।

যেন তারা গর্ভবতী ভাতার আবেদন ২০২৪-গর্ভবতী ভাতার আবেদন করতে কি কি লাগে? এ বিষয়ে পুরোপুরি ভালোভাবে জেনে নিতে পারে। গর্ভবতী ভাতার আবেদন ২০২৪-গর্ভবতী ভাতার আবেদন করতে কি কি লাগে? এ বিষয়টি নিয়ে আপনার যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ মতামত বা প্রশ্ন থাকে, তাহলে অবশ্যই নিচে দেওয়া মতামত বক্সে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আবার আপনাদের সাথে কথা হবে নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত নিরাপদ ও সুস্থ থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কনফিডেন্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url