আর্টিকেল লেখার নিয়ম - আর্টিকেল রাইটিং কিভাবে করে? - কিভাবে আর্টিকেল লিখে ইনকাম করা যায়?
আপনি কি আর্টিকেল রাইটিং করে কোনরকম শারীরিক পরিশ্রম ছাড়াই নিজের ঘরে বসে থেকে
স্বল্প পরিশ্রমের মাধ্যমে অনেক টাকা ইনকাম করতে চান? তাহলে আপনার চিন্তার কোন
কারণ নেই। কারণ আজকের এই আর্টিকেলটির মূল আলোচনায় হচ্ছে আর্টিকেল লেখার নিয়ম -
আর্টিকেল রাইটিং কিভাবে করে? - কিভাবে আর্টিকেল লিখে ইনকাম করা যায়? সেই
সম্পর্কে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যবহুল ও প্রয়োজনীয় আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন
দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক!
আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটির মাধ্যমে আর্টিকেল লেখার নিয়ম - আর্টিকেল
রাইটিং কিভাবে করে? - কিভাবে আর্টিকেল লিখে ইনকাম করা যায়? এ বিষয় সম্পর্কে এমন
কিছু ইউনিক ও কার্যকরী তথ্য সম্পর্কে জানাবো, যেগুলিকে কাজে লাগিয়ে আপনি খুব
সহজেই আর্টিকেল রাইটিং করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি কি আলোচ্য বিষয়ে
সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো জানতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র
আপনার জন্যই। এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আশা করি আলোচ্য
বিষয়ে বিস্তারিতভাবে নির্ভুল শব্দ তথ্য গুলো জানতে পারবেন। ইনশাআল্লাহ!
পেজ সূচিপত্রঃ
.
ভুমিকা
বর্তমান সময় অনলাইন ভিত্তিক হওয়ার কারণে বিশ্বের অধিকাংশ মানুষই এই সুযোগকে
কাজে লাগিয়ে বিভিন্নভাবে ডলার ইনকাম করছে। আর এই গুলোর মধ্যে আর্টিকেল রাইটিং
হলো একটি জনপ্রিয় মাধ্যম এবং স্বল্প পরিশ্রমের একটি কাজ। এ বিষয়ে ভালোভাবে জেনে
নিয়ে যে কেউ আর্টিকেল রাইটিং করে ইনকাম করতে পারবে। তাই আপনিও যদি বিভিন্ন
সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার মূল্যবান সময় গুলো
নষ্ট না করে এই সময়টুকুকে কাজে লাগিয়ে আর্টিকেল রাইটিং করেন ইনকাম করতে সক্ষম
হবেন। তাই আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি বিস্তারিতভাবে
জানতে পারবেন আর্টিকেল লেখার নিয়ম - আর্টিকেল রাইটিং কিভাবে করে? - কিভাবে
আর্টিকেল লিখে ইনকাম করা যায়? এ বিষয় সম্পর্কে।
এছাড়াও আর্টিকেল রাইটিং কি? আর্টিকেল লেখার নিয়ম - আর্টিকেল রাইটিং কিভাবে করে?
আর্টিকেল রাইটিং করার কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস, কিভাবে বাংলায় আর্টিকেল লিখতে হয়?
কিভাবে আর্টিকেল লিখে ইনকাম করা যায়? আর্টিকেল লিখে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়?
কোথায় আর্টিকেল লিখতে হয়? কারা কারা আর্টিকেল লিখতে পারবে? আর্টিকেল লিখে আয়
করার জনপ্রিয় সাইট (৮টি) এ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
তাই আপনি যদি আর্টিকেল লেখার নিয়ম - আর্টিকেল রাইটিং কিভাবে করে? - কিভাবে
আর্টিকেল লিখে ইনকাম করা যায়? এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের এই
আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই কার্যকরী।
আর্টিকেল রাইটিং কি?
সাধারণত কোন ব্যক্তি বা বস্তুর সম্পর্কে সাজিয়ে গুছিয়ে কনটেন্ট লেখাকে আর্টিকেল
রাইটিং বলা হয়। আর্টিকেল রাইটিং হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং এর একটি জনপ্রিয় সেক্টর।
ফ্রিল্যান্সিংয়ে বিভিন্ন রকমের অ্যাক্টিভ ইনকামের সোর্স রয়েছে আর সেগুলোর মধ্যে
প্যাসিভ ইনকাম করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে আর্টিকেল রাইটিং। সাধারণত
আর্টিকেল রাইটিং অনলাইনে যেকোন ট্রপিকের উপরে অনায়াসেই খুবই সহজে লেখা যায়।
আর্টিকেল রাইটিং হচ্ছে অনপেজ অপটিমাইজেশন এর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সারা
বিশ্বে আপনার ওয়েবসাইটটি কি পরিমান জনপ্রিয়তা লাভ করবে সেটি মূলত আর্টিকেল
রাইটিং এর ওপর নির্ভর করে। আপনি যদি একজন দক্ষ আর্টিকেল রাইটার হতে চান, তাহলে
অবশ্যই আপনাকে বিভিন্ন বিষয়ের উপর লক্ষ্য রেখে কাজ করতে হবে। একজন দক্ষ সফল
আর্টিকেল রাইটার হতে চাইলে, আপনাকে এসইও এক্সপার্ট হতে হবে।
তাছাড়া আর্টিকেল রাইটিং হচ্ছে একটি মাধ্যম যার মাধ্যমে ঘরে বসে কোন শারীরিক
পরিশ্রম ছাড়াই খুব সহজেই অনলাইনে আপনি আপনার ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন।
সাধারণত বিভিন্ন বিষয়বস্তু নিয়ে ওয়েবসাইটে নানা ধরনের আর্টিকেল লিখে পাবলিস্ট
করা হয়। ব্লগ আর্টিকেল ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্টের রিভিউ, ব্যবসায়িক
প্রতিষ্ঠানের জন্য রিসোর্স বই, সার্ভিসের সেলস পেজ, এবং বিভিন্ন ধরনের প্রচারণার
কাজে রাইটারদের বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল লেখার প্রয়োজন হয়।
৩-৪ মাস আর্টিকেল রাইটিং করে আপনি খুব সহজেই ১০০$ - ২০০$ পর্যন্ত আয় করতে সক্ষম
হবেন। পড়াশোনার পাশাপাশি অনেক স্টুডেন্ট এবং গৃহিণীরা ফ্রিল্যান্সিং করে সচ্ছলতা
লাভ করছে। আপনারা যারা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চাচ্ছেন, আপনারা আর্টিকেল রাইটিং
দিয়ে শুরু করতে পারেন। কেননা আর্টিকেল রাইটিং করার জন্য বেশি সময়ের প্রয়োজন
হয় না। তাই আপনি আপনার প্রফেশনাল কাজের পাশাপাশি পার্টটাইম এই আর্টিকেল রাইটিং
করতে পারেন।
আর্টিকেল লেখার নিয়ম - আর্টিকেল রাইটিং কিভাবে করে?
মূলত আর্টিকেল রাইটিং শব্দের অর্থ হচ্ছে প্রবন্ধ লেখা। সাধারণত কোন ব্যক্তি বা
বস্তু সম্পর্কে তথ্যবহুল প্রবন্ধ লেখাকে আর্টিকেল রাইটিং বলা হয়। ম্যাগাজিন,
ব্লগ, সংবাদপত্র এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের বিষয় সম্পর্কে
গুছিয়ে তথ্যবহুল করে পাবলিস্ট করার কার্যক্রমই হচ্ছে আর্টিকেল রাইটিং। আপনি যদি
মানসম্পন্ন একটি আর্টিকেল লিখতে চান,
তাহলে অবশ্যই আপনাকে গুরুত্বের সাথে আর্টিকেল লেখার নিয়মগুলো মেনে আর্টিকেল
লিখতে হবে। নিম্নলিখিত নিয়ম গুলো আপনি যদি ফলো করে আর্টিকেল লেখেন, তাহলে আপনার
আর্টিকেলটি মানসম্পন্ন আর্টিকেল হবে পাশাপাশি আপনি একজন শ্রেষ্ঠ আর্টিকেল রাইটার
হতে পারবেন।
- শিরোনামঃ মানুষের দেহে মাথা যেমন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ, ঠিক তেমনি আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রেও আর্টিকেলের শিরোনাম হচ্ছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি আর্টিকেলের জন্য। মাথা ছাড়া যেমন দেহ অসম্পূর্ণ ঠিক তেমনি আর্টিকেলের শিরোনাম ছাড়া আর্টিকেল মানসম্পন্ন হয় না,আর্টিকেলটা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। আর্টিকেল যদি মানসম্মত না হয়, তাহলে ভিউয়ার্সরা পড়ে কোন মজা পাবে না, তাদের কোন উপকারে আসবে না। তাই চেষ্টা করবেন ৫-১০ শব্দের মধ্যে একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম দেওয়ার। আপনার আর্টিকেলের শিরোনাম পড়েই পাঠকরা যেন আপনার পুরো আর্টিকেলে কি লেখা রয়েছে তার সারমর্মটা বুঝতে পারে।
- কিওয়ার্ডঃ মূলত একটি শ্রেষ্ঠ আর্টিকেলের জন্য কিওয়ার্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত পাঠকরা কোন কিছু লিখে সার্চ ইঞ্জিনে প্রশ্ন করে বা সার্চ করে এটাকেই কিওয়ার্ড বলা হয়। উদাহরণস্বরূপ নিচে কয়েকটি নমুনা দেওয়া হলো।
- আর্টিকেল রাইটিং বলতে কী বোঝায়?
- কিভাবে আর্টিকেল লিখতে হয়?
- কিভাবে বাংলা আর্টিকেল লেখা যায়?
- কিভাবে ইংরেজি আর্টিকেল লিখতে হয়?
- কিভাবে আর্টিকেল লিখে ইনকাম করা যায়?
- আর্টিকেল লিখে আয় করার উপায়
- ভূমিকাঃ সম্পূর্ণ আর্টিকেল সমূহের মধ্যে ভূমিকা হচ্ছে অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ। ভূমিকা এমন একটি জিনিস যে পাঠক প্রথমে ভূমিকা পড়েই পুরো পোস্টে কি লেখা আছে বা কি বোঝাতে চাচ্ছে সেগুলো অনেকাংশেই ধারণা পেয়ে যাবে। তাই আপনারা যখন আর্টিকেল লিখবেন তখন ভূমিকায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ আকর্ষণীয় এবং পুরো পোষ্টের সারমর্মটা ছোট করে লিখে দিবেন।
- সূচিপত্রঃ প্রত্যেকটা আর্টিকেলের প্রথমে সূচিপত্র দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং আবশ্যক বটে। কেননা আপনি যদি আপনার পোস্টে প্রথমে সূচিপত্র দেন, তাহলে পাঠকরা কি কি বিষয়ে আপনার পোস্টে লিখা আছে সেগুলো জানতে ও পড়তে এবং খুঁজে পেতে সুবিধা হবে।
- স্ক্রিনশটঃ মানসম্পন্ন আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে আপনাকে স্ক্রিনশট নেওয়া জানতে হবে। আপনার আর্টিকেলে যে ছবিগুলো পোস্ট করবেন, সেগুলোতে যদি অপ্রয়োজনীয় কোন অংশ থাকে, তাহলে সেগুলো কেটে ফেলতে হবে। পিকচারের কোন অতিরিক্ত অংশ যেন আপনার আর্টিকেলের ভিতরে না আসে সেই বিষয়ে আপনাকে পুরোপুরি খেয়াল রাখতে হবে।
- ইমেজ যুক্তঃ আর্টিকেল রাইটিং এর ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হচ্ছে সরাসরি অনলাইন থেকে ছবি ডাউনলোড করে আর্টিকেলে আপলোড করা যাবে না। এছাড়াও যে কোনো ছবির সোর্স লিংক কোন ধরনের পোষ্টের মধ্যে ব্যবহার করা যাবে না, সেদিকে আপনাকে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে। তাছাড়া আপনি পোস্টে ছবি দেওয়ার ক্ষেত্রে ক্রিয়েটিভ কমন্স ফিল্টার ব্যবহার করতে পারেন,তাহলে কোন সমস্যা হবে না।
- ফরম্যাটিংঃ সাধারণত আর্টিকেল ফরম্যাটিং করা হচ্ছে আর্টিকেল রাইটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সম্পূর্ণ আর্টিকেল রাইটিং এর ক্ষেত্রে ছবির অ্যালাইনমেন্ট সেন্টার এবং অ্যালাইনমেন্ট জাস্টিফাই ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলের জন্য। যেন আর্টিকেলের লেখাগুলো বইয়ের লেখার মতো মনে হয়।
- সেকশনঃ যখন পুরো আর্টিকেলটি সম্পূর্ণরূপে লেখা হয়ে যাবে, তখন আপনি আপনার পোস্টে আপনার অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেলের লিংকগুলো অ্যাড করে দিবেন। তাহলে হবে কি আপনার আর্টিকেলটি যখন পাঠকরা পড়তে আসবে আরো অন্যান্য পোস্টগুলো পড়ার সুযোগ পাবে। যেগুলোর লিংক আপনি অ্যাড করবেন। “আরো পড়ুন” ডাউনলোড করার পর আপনার পোস্টে সেকশন করে দিবেন।
- প্যারাগ্রাফঃ আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে আপনাকে আরেকটি বিষয় গুরুত্ব সহকারে মনে রাখতে হবেআর্টিকেল লেখার পর প্যারা করে সাজানো। আর্টিকেলের মান উন্নত করতে পাশাপাশি পাঠকের পড়ার সুবিধার্থে সম্পূর্ণ আর্টিকেল ছোট ছোট প্যারা করে লিখবেন। তাহলে পাঠকের পড়তে সুবিধা হবে। পাঁচ লাইনের বেশি একটি প্যারাগ্রাফ হলে ছোট ছোট করে তারা করবেন। প্রয়োজনে সাবহেডিং ও ব্যবহার করা যায়।
- আর্টিকেলের বডিঃ একটি মানসম্পন্ন আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে আর্টিকেল এর ন্যূনতম পাঁচটি প্যারাগ্রাফ শিরোনাম থাকা খুবই জরুরি। আপনারা যদি চান বেশি তথ্যবহুল করে আর্টিকেল লিখতে, তাহলে ন্যূনতম দশটি প্যারাও লিখতে পারেন। কমপক্ষে মিনিমাম ৫০০ এর বেশি শব্দ ব্যবহার করা উচিত। এছাড়া আপনি যখন কোন বিষয়ের সুবিধা অসুবিধা বৈশিষ্ট্য এছাড়া অন্যান্য বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখবেন, সেগুলো বুলেট লিস্ট আকারেও লিখতে পারেন।
- শব্দের ব্যবহারঃ আর্টিকেল লেখার সময় কোন ধরনের কঠিন শব্দ ব্যবহার করবেন না। আর্টিকেল লেখার সময় সহজ শব্দ সাবলীল ভাষায় লেখার চেষ্টা করবেন। যেন পাঠকের আর্টিকেল পড়তে কোন ধরনের সমস্যা না হয়।
আর্টিকেল রাইটিং করার কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় সেক্টরগুলোর ভিতরে আর্টিকেল রাইটিং
হলো একটি সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর। এই সেক্টর থেকে আপনি প্যাসিভ ইনকাম করে অনেক
ডলার আয় করতে পারবেন। আর্টিকেল রাইটিং বাংলা, ইংরেজি ও অন্যান্য যেকোন ভাষাতে
করা যায়। আর্টিকেল রাইটিং করার ক্ষেত্রে আপনাকে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য
রাখতে হবে, সেটি হলো আপনি যে টপিক বা বিষয় নিয়ে লিখবেন, সেই লেখাটা যেন অনেক
তথ্য সম্বলিত হয় এবং মানসম্মত লেখা হয়।
আরো পড়ুনঃ ফেসবুক মনিটাইজেশন শর্ত - ফেসবুক থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় এবং
ফেসবুক থেকে কত টাকা আয় করা যায়?
কারণ আপনার লেখার মানের উপর নির্ভর করেই এটি গুগলে সবার প্রথমে অথবা পর্যায়ক্রমে
পরে র্যাংকিং করবে। তাই আর্টিকেল রাইটিং লেখার ক্ষেত্রে কিছু ট্রিকস এবং টিপস
অবলম্বন করলে আপনার লেখাগুলি অনেক মানসম্মত হবে এবং খুব দ্রুত গুগলে প্রথম দিকে
র্যাংকিং করবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক আর্টিকেল লেখার গুরুত্বপূর্ণ টিপস
গুলো সম্পর্কে।
- রিসার্চ করার মানসিকতা তৈরি করতে হবেঃ একজন ভালো মানের আর্টিকেল রাইটার হতে হলে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ট্রপিক বা আপনি যে বিষয় নিয়ে লেখালেখি করবেন সেটি নিয়ে নিয়ে রিসার্চ করতে হবে। আর্টিকেল লেখার পূর্বে ভালোমতো রিসার্চ না করলে আপনার আর্টিকেলটি মানসম্মত হবেনা এবং তথ্যবহুল হবে না। এইজন্য আর্টিকেল লেখার পূর্বে আপনি যে বিষয় নিয়ে লিখতে চাচ্ছেন সে বিষয়ে নিয়ে অনেকগুলো আর্টিকেল রিসার্চ করুন, এতে করে আপনার আর্টিকেলটি অনেক তথ্য সমৃদ্ধ, মানসম্মত এবং ইনফরমেটিভ আর্টিকেল হয়ে উঠবে। এক্ষেত্রে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটরদের ভ্যালু অনেক পাবেন।
- বেশি বেশি পড়ার অভ্যাস করতে হবেঃ একজন ভালো মানের লেখক বা আর্টিকেল রাইটারের সব থেকে বড় গুণ হলো যেকোন ট্রপিক নিয়ে বেশি বেশি পড়া। কারণ আপনি একটি আর্টিকেল লেখার পূর্বে যত বেশি পড়বেন, আপনার আর্টিকেলটি ততো সুন্দরভাবে তথ্যসমৃদ্ধ করে ও গুছিয়ে লিখতে পারবেন। আর বেশি বেশি পড়ার কারণে আপনার লেখার দক্ষতা ও অনেক গুনে বেড়ে যাবে। এক্ষেত্রে আপনি ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে বিভিন্ন ট্রপিক নিয়ে পড়তে পারেন। বিশেষ করে যে টপিকগুলো আপনার একান্তই পছন্দের সেগুলো নিয়ে ভালোভাবে পড়তে পারেন। তাহলে আপনি খুব সহজেই একটি আর্টিকেল কিভাবে আকর্ষণীয় করে লেখা যায় বা মানুষের নিকট আপনার আর্টিকেলটি কিভাবে ইন্টারেস্টিং হয়ে ওঠে সে পদ্ধতি গুলো শিখে নিতে পারবেন।
- মাথা ঠান্ডা রাখতে হবেঃ একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অধিকাংশ কঠিন কাজ গুলো রাতে পর্যাপ্ত ঘুমের পরে সকাল বেলায় করলে খুব সহজেই সে কাজটি সম্পন্ন করা সম্ভব। আর বিশেষ করে পড়াশোনা বা কোন বিষয় নিয়ে আর্টিকেল রাইটিং লেখার বিষয়ের ক্ষেত্রেও এটি আরো বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। কারণ সারাদিনের পরিশ্রম শেষে রাতে ঘুমানোর পর সমস্ত ক্লান্তি এবং মাথার বাড়তি চাপ দূর হয়ে যায়, ফলে মাথা ঠান্ডা থাকে এবং মস্তিষ্কের সক্রিয়তা বেড়ে যায়। ফলে আর্টিকেল রাইটিং করার সময় অনেক ধরনের ইউনিক আইডিয়া পাওয়া যায় এবং খুব সহজেই একটি মানসম্মত আর্টিকেল লিখে কমপ্লিট করা যায়।
- সহজ ও সাবলীল ভাষায় লিখতে হবেঃ আর্টিকেল রাইটিং লেখার ক্ষেত্রে আমরা সচরাচর যে ভাষাগুলো ব্যবহার করে থাকি অর্থাৎ সহজ, সাধারণ এবং সাবলীল ভাষায় লেখার চেষ্টা করতে হবে। আর আর্টিকেল রাইটিং করার সময় আর্টিকেলের মধ্যে সহজ শব্দ চয়ন করতে হবে এবং বাক্যগুলি খুব ছোট ছোট করে লিখতে হবে। এতে করে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটররা খুব সহজেই আপনার আর্টিকেলটি পড়ে বুঝতে পারবে। নিজের লেখনীর দক্ষতা দেখাতে গিয়ে খুব কঠিন শব্দ ও অনেক বড় বড় জটিল বাক্য ব্যবহার করার দরকার নেই।
- নিরিবিলি স্থানে বসে লিখতে হবেঃ শুধুমাত্র আর্টিকেল রাইটিং নয় অন্যান্য যেকোন ট্রপিক নিয়ে লিখতে বসলে একটি নিরিবিলি স্থানে বসে লিখতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার মাথায় নতুন নতুন ইউনিক আইডিয়াগুলো খুব সহজেই আসবে এবং আপনি নিরিবিলি একান্তে ভাবার অনেক সময় পাবেন। কিন্তু যদি কোলাহলপূর্ণ জায়গায় লিখতে বসেন তাহলে আপনার মনোযোগ সেই লেখার প্রতি থাকবেনা এবং আপনার আর্টিকেলটিও খুব একটা মানসম্মত হবে না।
- ছোট ছোট প্যারাই লিখতে হবেঃ আর্টিকেল রাইটিং করার সময় আপনার লেখাগুলোকে খুব বড় প্যারা করে লেখা যাবে না। কারণ বড় প্যারা হলে ভিজিটররা পড়ার ধৈর্য হারিয়ে ফেলে। এইজন্য আপনার আর্টিকেল রাইটিং করার সময় দুই তিন লাইনের পেরা পেরা করে লিখতে হবে।
- বেশি প্রেসার বা চাপ নেওয়া যাবে নাঃ আপনি যদি মনে করেন যে একবারে বসে একটি আর্টিকেল না লিখলে মনোযোগ বিঘ্নিত হয় তাহলে আপনি একবার বসেই একটি আর্টিকেল লিখে ফেলতে পারেন। আর যদি একবারেই লিখে শেষ করতে না পারেন, তবে বেশি চাপ বা প্রেসার নেওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ আপনি যখন বেশি প্রেসার বা চাপ নিবেন তখন একটি আর্টিকেল মানসম্মত করে লিখতে পারবেন না।
- ভিজিটরবা পাঠকদের চাহিদা অনুপাতে আর্টিকেল লিখতে হবেঃ শুধুমাত্র আর্টিকেল রাইটারের ইচ্ছা অনুযায়ী আর্টিকেল লিখলেই হবে না বরং ভিজিটর বা পাঠকের চাহিদা অনুসারেও আর্টিকেল লিখতে হবে। তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে অনেক ইমপ্রেশন ও ভিউ পাওয়া সম্ভব হবে। আর সব সময়ই একই বিষয় নিয়ে আর্টিকেল লেখা যাবে না বরং ভিন্ন ভিন্ন সকল বিষয় নিয়েই লিখার চেষ্টা করতে হবে।
- নির্দিষ্ট বিষয়ের উপরে প্রয়োজনীয় ও প্রাসঙ্গিক কথাবার্তা দিয়ে আর্টিকেল লিখতে হবেঃ আপনি যখন আর্টিকেল লিখবেন তখন খেয়াল রাখবেন যেন আপনার আর্টিকেলটিতে নির্দিষ্ট বিষয় ছাড়া অপ্রয়োজনীয় ও অপ্রাসঙ্গিক কোনো কথাবার্তা দিয়ে যেন আর্টিকেল পরিপূর্ণ না হয়ে যায়। কারণ আর্টিকেলে নির্দিষ্ট বিষয় ছাড়া অপ্রয়োজনীয় ও অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তা থাকলে, আপনার ওয়েবসাইটটি র্যাংকিং এর ক্ষেত্রে খুব বাজে ইফেক্ট পড়বে। আর আর্টিকেল পড়তে গিয়ে ভিজিটররাও বিরক্ত হবে। সাথে সাথে আপনার ওয়েবসাইটের ভিউ এর পরিমাণ অনেক কমে যাবে। এজন্য চেষ্টা করবেন নির্দিষ্ট বিষয়ে সব তথ্যগুলো উপস্থাপন করবেন। এতে করে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটরের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকবে।
- আর্টিকেল ফরমেটিং করাঃ আপনার আর্টিকেলটি লেখা হয়ে গেলে অবশ্যই প্রয়োজন অনুপাতে আর্টিকেলের ভিতরের মূল শিরোনাম গুলোকে হেডিং করবেন এবং তার থেকে একটু কম শিরোনামগুলোকে সাব-হেডিং করবেন। সাথে সাথে যেখানে প্রয়োজন সেখানে বুলেট মার্ক করবেন এবং নির্দিষ্ট বিষয়ে অনুপাতে এআইয়ের মাধ্যমে ছবি তৈরি করে সেটআপ করতে পারেন। আপনার প্রয়োজন অনুপাতে যেখানে যেখানে লেখা বোল্ড করা প্রয়োজন সেগুলো বোর্ড করবেন। আবার কোন কিছুর তালিকা দিলে এআইয়ের মাধ্যমে টেবিল আকারে বসিয়ে দিবেন। এতে করে আপনার আর্টিকেলটি একটি মানসম্মত আর্টিকেল হবে। ফলে ভিজিটররাও আপনার ওয়েবসাইট এর আর্টিকেল গুলো পড়ে স্বস্তি ফিল করবে।
- ভুল সংশোধন করতে হবে ও সবার চাইতে আলাদা হতে হবেঃ আর্টিকেল লেখা শেষে সেটি খুব ভালোভাবে পড়ে নিন। যেন আপনার লেখা আর্টিকেলে কোন রকমের ভুল না থাকে। আর আপনি ভুল ধরতে সক্ষম না হলে এক্ষেত্রে স্পেল চেকার টুল ব্যবহার করতে পারেন। একটি বিষয় খুব ভালোভাবে মনে রাখবেন আপনার আর্টিকেল যেন অবশ্যই অন্যদের আর্টিকেলের মতো না হয়। চেষ্টা করবেন যেন আপনার লেখা আর্টিকেলটি সবার চাইতে ইউনিক হয়। কারণ একই বিষয় নিয়ে মানুষ বিভিন্নভাবে আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করে থাকে, এক্ষেত্রে আপনার আর্টিকেলটিও যদি তাদের মতো হয়, তখন আপনার আর্টিকেলটি ভালোভাবে র্যাংকিং করবে না।
- কপি পেস্ট করা যাবে নাঃ আপনার লেখা আর্টিকেলে কোনরকম কপি পেস্ট বা প্লাগারিজম থাকা যাবে না। কারণ আপনার লেখা আর্টিকেলে যদি কপি-পেস্ট বা প্লাগারিসম থাকে সেক্ষেত্রে আপনার লেখা আর্টিকেলটি সার্চ ইঞ্জিনে ভালোভাবে র্যাংকিং করবে না। আর আপনার ওয়েবসাইটেরও অনেক ক্ষতি হবে। এইজন্য আপনি চাইলে প্লাগারিজম টুলস ব্যবহার করতে পারেন।
কিভাবে বাংলায় আর্টিকেল লিখতে হয়?
সাধারণত বিদেশি ওয়েবসাইটগুলোতে লেখকের লেখার মানের উপর ভিত্তি করে তারা প্রচুর
পরিমাণে ডলার দিয়ে থাকে এবং সেখানে কাজ করার জন্য অবশ্যই ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জন
করতে হবে। এখানে বিশেষ একটি সমস্যা হচ্ছে সবাই তো আর পুরোপুরি ভাবে ইংরেজিতে
দক্ষতা অর্জন করতে পারে না পাশাপাশি বাংলাদেশ ক্রেডিট কার্ড বা পেপাল সকলের নেই।
তাই জন্য বাংলাদেশের মানুষ সেখানে কাজ করতে পারে না।
বাংলাদেশে অনেকেই বাংলা আর্টিকেল লেখার কাজ করে। বাংলায় আর্টিকেল লিখার জন্য
আপনাকে প্রথমে, আপনি কোন বিষয়ে লিখবেন সেই ট্রপিকটা সিলেক্ট করতে হবে এবং আরেকটি
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে যে, মানুষ কোন বিষয়গুলো বেশি গুগলে
সার্চ করে, আপনি সেই বিষয়গুলোতে বেশি লিখবেন, তাহলে আপনার ভিউ এবং ইম্প্রেশন
তাড়াতাড়ি বাড়বে।
আপনি যে বিষয় নিয়ে লিখবেন সেই বিষয়টি নেটে সার্চ করে অন্যদের আর্টিকেলগুলো
পড়া লাগবে এবং সেগুলো পড়ার পর আপনাকে নিজের মতো করে গুছিয়ে তথ্যবহুল করে লিখতে
হবে আপনার আর্টিকেল। অন্যের আর্টিকেল দেখার কারণ হলো আপনি যে বিষয় নিয়ে লিখবেন
সে বিষয়ে কিছুটা ধারণা পাবেন। ফলে আপনার আর্টিকেলটা তাদের থেকে তথ্যবহুল হবে।
আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখবেন অন্যের লেখা আর্টিকেল আপনার আর্টিকেলে কপি পেস্ট করে
বসাবেন না। আপনি আপনার নিজের মতো করে গুছিয়ে তথ্যবহুল আলোচনা করবেন আপনার
আর্টিকেলে। আপনি চাইলে আপনি আপনার জন্য আপনার নিজস্ব ব্লগার একাউন্ট খুলে আপনি
আপনার মন মতো আর্টিকেল লিখে আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিস্ট করতে পারেন। যখন আপনি
দেখবেন আপনার ওয়েবসাইটটি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে,
তখন পরবর্তীতে আপনি চাইলে অন্যদেরকে আর্টিকেল লিখার জন্য চাকরি দিতে পারেন। এভাবে
আপনি একজন সফল উদ্যোক্তা হয়ে উঠবেন। আপনি যদি একজন ভালো মানের আর্টিকেল রাইটার
হতে চান, তাহলে আপনাকে প্রচুর আর্টিকেল পড়তে হবে পাশাপাশি যে কোন বিষয় নিয়ে
গবেষণা করতে হবে। তাহলে আপনি সুন্দর সুন্দর তথ্যবহুল আর্টিকেল লিখতে সক্ষম হবেন।
আর্টিকেল লেখার সময় আপনি আপনার আর্টিকেলে বেশি বেশি ইউনিক ইউনিক তথ্য অ্যাড
করবেন কারণ আর্টিকেল যদি কোয়ালিটি ফুল না হয়, তাহলে পাঠক আপনার আর্টিকেল মনোযোগ
সহকারে পড়বে না বা তৃপ্তি পাবে না। তখন আপনার আর্টিকেলের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে
ফেলবে। তাই আর্টিকেল লেখার সময় সব সময় কোয়ালিটি ফুল আর্টিক্যাল লেখার চেষ্টা
করবেন। তাই জন্য আর্টিকেল লেখার সময় যথাযথ তথ্য জানা খুবই ইম্পর্টেন্ট।
কিভাবে আর্টিকেল লিখে ইনকাম করা যায়?
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর টা হচ্ছে অনেক বড়। এই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বিভিন্ন ধরনের
মানুষ নানা ধরনের কাজ করে থাকে, সেটা হতে পারে টেকনিক্যাল কাজ অথবা নন-টেকনিক্যাল
কাজ। সাধারণত আপনি এই সেক্টরে আপনি আপনার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে এই সেক্টরে কাজ
করতে পারেন। কারণ বর্তমান সময়ে কনটেন্ট রাইটিং বা আর্টিকেল রাইটিং এর চাহিদা দিন
দিন বৃদ্ধি বাড়ছে। ৫০০$-১০০০$ পর্যন্ত দিয়ে থাকে বাইরের দেশের ওয়েবসাইটের লেখক
ও লেখক এর লেখার মানের উপর ভিত্তি করে।
এক্ষেত্রে ইংরেজিতে লেখক কে অবশ্যই পারদর্শী হতে হবে। আরেকটি সবচেয়ে বড় সমস্যা
হলো সকলের পেপাল বা ক্রেডিট কার্ড নেই। তাই জন্য আপনাদের বাংলা আর্টিকেল লেখার
কিছু ওয়েবসাইট নিয়ে আলোচনা করব। বর্তমান সময়ে বাংলা আর্টিকেল লেখার ওয়েবসাইট
দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনি যদি ঘরে বসে কোন পরিশ্রম ছাড়াই খুব সহজে আর্টিকেল
লিখে আয় করতে চান, তাহলে আপনি নিচের ওয়েবসাইট গুলোতে আর্টিকেল লিখে খুবই সহজে
ইনকাম করতে সক্ষম হবেন,পাশাপাশি আপনি আপনার পেমেন্ট আপনার বিকাশের মাধ্যমে নিতে
পারবেন।
- গ্রাথোর।
- রোর বাংলা।
- টেকটিউনস।
- জেআইটি।
- গেট পেইড বাংলা।
আর্টিকেল লেখায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা, আর্টিকেল লেখার সময় আপনি কোন ট্রপিক
নিয়ে লিখবেন সেটা অবশ্যই প্রথমে নির্বাচন করবেন, তারপর সেটা রিসার্চ করবেন,
প্রয়োজনীয় হেডিংগুলো ভালোভাবে তৈরি করবেন,মূল বিষয় উপস্থাপন করবেন, মোটিভেশনাল
বিষয়গুলো বেশি বেশি লিখবেন, আর্টিকেলটা যখন সম্পূর্ণ লেখা হয়ে যাবে, তখন একবার
রিভিশন দেবেন কোনরকম বানানে ভুল ভ্রান্তি আছে কিনা ভালোভাবে দেখে নিবেন।
আর্টিকেল লিখে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়?
আপনি যদি ঘরে বসেই খুব সহজেই অনলাইনে আয় করতে চান, তাহলে আপনার জন্য আর্টিকেল
রাইটিং বেস্ট অপশন হবে। নিশ্চয়ই ভাবছেন আর্টিকেল রাইটিং কিভাবে করবেন? প্রথমে
আপনাকে আর্টিকেল রাইটিং বিষয়ে কিছুটা দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আপনি যদি নেটে
সার্চ করেন আর্টিকেল রাইটিং বিষয়ে, তাহলে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও পাবেন সেখান থেকেও
শিখতে পারেন।
প্রত্যেক আর্টিকেলের জন্য ৩০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত আপনি দৈনিক আয় করতে পারবেন। এমন
অনেক মানুষ রয়েছে যারা অনলাইনে আর্টিকেল লিখে মাসের লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে।
আপনি যদি মনে মনে আত্মবিশ্বাস নিয়ে আর্টিকেল রাইটিং করতে চান, তাহলে আপনার জন্য
ব্লগিং কে সেরা মাধ্যম হিসেবে সিলেক্ট করতে পারেন। কারণ আপনি একটি ব্লগ বানিয়ে
আপনি আপনার নিজের মতো করে
আর্টিকেল লিখতে পারেন পাশাপাশি আপনারা যে বিষয়গুলো ভালো লাগে সেই বিষয়েও
আর্টিকেল লিখতে পারেন। এছাড়াও পাঠকদের পছন্দ অনুযায়ী আর্টিকেল লিখতে হবে। নিচে
কয়েকটি মাধ্যমে দেওয়া হলো যেগুলোর মাধ্যমে আপনারা কোন পরিশ্রম ছাড়া ঘরে বসেই
খুব সহজে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে।
- এডসেন্স এড এর মাধ্যমে।
- স্পন্সরশীপের মাধ্যমে।
কোথায় আর্টিকেল লিখতে হয়?
সাধারণত আপনি গুগলে সার্চ করলেই বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন আর্টিকেল
লেখার জন্য। কিন্তু একটি বিষয় আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে সবগুলো ওয়েবসাইটকে
বিশ্বাস করা যাবে না। তাই আপনাকে প্রথমে যাচাই-বাছাই করে যে ওয়েবসাইট গুলো আপনার
ভালো লাগবে সেগুলো আপনি আর্টিকেল লেখার জন্য বিবেচনা করবেন। যেখানে আপনি আপনার
সুবিধার্থে সেই ওয়েবসাইটগুলোতে আর্টিকেল লেখার জব করতে পারেন।
এছাড়াও আপনি যদি আপনার নিজের জন্য কাজ করতে চান, তাহলে আপনার জন্য আরেকটি অপশন
হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস বা ব্লগার ডট কম এই ওয়েবসাইট গুলোতে কাজ করে নিজের জন্য আপনি
নিজের মতো করে আর্টিকেল লিখে টাকা উপার্জন করতে পারেন। তাছাড়া আপনি যদি মনে করেন
যে অন্য কোথাও আর্টিকেল রাইটিং এর কাজ করে টাকা উপার্জন করব তাহলে সেটাও পারবেন।
সেই ওয়েবসাইটগুলো হলো
- জেআইটি।
- গেট পেইড বাংলা।
- রোর বাংলা।
- অর্ডিনারি আইটি।
- গ্রাথোর।
এছাড়াও আপনাকে আর্টিকেল লেখার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস মনে রাখতে হবে,
যেকোনো ধরনের আর্টিকেল লেখার সময় মানের উপর সবচেয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। যারা
আর্টিকেল রাইটার এবং ফ্রিল্যান্স ব্লগার তাদের এই বিষয়টির উপর সর্বোচ্চ নজরদারী
দেওয়া আবশ্যক, কারণ একটি ভালো মানের আর্টিকেল লেখার উপরে আয় নির্ভর করে। যদি
আপনি প্রিন্ট মিডিয়ার ক্ষেত্রে কাজ তাহলে আর্টিকেল
অনেক বড় করে লিখতে হবে কিন্তু যদি আপনি অনলাইনে আর্টিকেল লিখেন তাহলে অবশ্যই
আপনাকে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে আপনার আর্টিকেলটি যেন বেশি তথ্যবহুল এবং ছোট
হয়। আপনি যে আর্টিকেলটি লিখবেন সেটিতে যেন সঠিক তথ্য ভালোভাবে উপস্থাপন করা হয়
এবং ছবি ডায়াগ্রাম ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন লেখার সাথে সামঞ্জস্য রেখে।
আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে আপনি
সহজ ভাষা ব্যবহার করবেন যেন ভিউয়ার্সরা ভালোভাবে পড়তে পারে। আপনার আর্টিকেলটি
পাবলিস্ট করার আগে একবার ভালোভাবে দেখে নেবেন বানানে কোন রকম ভুল রয়েছে নাকি।
তাছাড়া আপনার আর্টিকেলটি যেন সংক্ষিপ্ত এবং প্রাসঙ্গিক ও সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।
আপনি যদি উপরোক্ত সকল বিষয়ে মাথায় রেখে আর্টিকেল লিখেন তাহলে আপনার আর্টিকেলটি
অবশ্যই একটি মানসম্পন্ন আর্টিকেল হবে।
কারা কারা আর্টিকেল লিখতে পারবে?
বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের একটি জনপ্রিয় চাহিদা সম্পন্ন কাজ হচ্ছে এই
আর্টিকেল রাইটিং। অনলাইন জগতে আর্টিকেল রাইটিং একটি আদর্শ পেশা। সাধারণত আর্টিকেল
লিখতে কোন প্রকার যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না, শুধু টেকনিক্যাল নলেজ থাকলেই হবে।
আপনি আপনার প্রফেশনাল কাজের পাশাপাশি পার্টটাইম জব হিসাবে এটি করতে পারেন।
এছাড়াও আর্টিকেল লিখে মূলত কনটেন্ট রাইটার, ব্লগার এবং সাংবাদিকেরা।
স্টুডেন্টদেরা পড়াশোনার পাশাপাশি এই আর্টিকেল রাইটিং করতে পারে। তাহলে তারা
পড়াশোনার পাশাপাশি কিছুটা স্বাবলম্বী হতে পারবে। এছাড়াও যারা বিভিন্ন ধরনের
চাকরি ব্যবসা পাশাপাশি নানা ধরনের কাজ করে থাকে তারা চাইলেও এই আর্টিকেলটি লিখতে
পারেন।
আর্টিকেল লিখে আয় করার জনপ্রিয় সাইট (৮টি)
সাধারণত আর্টিকেল লিখে আয় করার জন্য বিভিন্ন ধরনের সাইট রয়েছে। তার ভিতরে
জনপ্রিয় কিছু সাইট গুলোর নাম নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
- Upwork.com
- Freelancer.com
- Guru.com
- Fiverr.com
- Quora.com
- Grathor.com
- Textbroker.com
- Blogger.com
উপরোক্ত ওয়েবসাইট গুলো হলো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে
জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস। আপনারা এ জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেসগুলোতে আর্টিকেল লিখে খুব
সহজে আয় করতে পারবেন।
লেখকের ইতি কথাঃ আর্টিকেল লেখার নিয়ম - আর্টিকেল রাইটিং কিভাবে করে? - কিভাবে আর্টিকেল লিখে ইনকাম করা যায়?
সম্মানিত পাঠক, আশা করি উপরোক্ত আলোচনা গুলো থেকে আর্টিকেল লেখার নিয়ম -
আর্টিকেল রাইটিং কিভাবে করে? - কিভাবে আর্টিকেল লিখে ইনকাম করা যায়? এ বিষয়গুলো
সম্পর্কে পুরোপুরি বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। বর্তমান সময়টি অনলাইন ভিত্তিক
হওয়ায় শুধুমাত্র স্বল্প বুদ্ধি খাটিয়েই অল্প পরিশ্রমের মাধ্যমে আর্টিকেল
রাইটিং করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। তবে আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে
আপনার স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। তাই আর্টিকেল লেখার নিয়ম - আর্টিকেল রাইটিং
কিভাবে করে? - কিভাবে আর্টিকেল লিখে ইনকাম করা যায়?
এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ে উল্লেখিত বিষয়গুলো জেনে নিলে আপনি খুব সহজেই
দ্রুততম সময়ের মধ্যে আর্টিকেল রাইটিং করে সফলতা অর্জন করতে পারবেন। তাই
এক্ষেত্রে আপনি যদি আর্টিকেল রাইটিং করে অল্প পরিশ্রমের মাধ্যমে অনেক টাকা ইনকাম
করে নিজেকে সচ্ছল ও স্বাবলম্বী করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে আর্টিকেল লেখার
নিয়ম - আর্টিকেল রাইটিং কিভাবে করে? - কিভাবে আর্টিকেল লিখে ইনকাম করা যায়? এই
আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে তাহলে আপনি অন্যদের চাইতে খুব অল্প সময়ে
আর্টিকেল রাইটিং করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
সম্মানিত পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থেকে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগের সাথে
পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে এ ধরনের তথ্যবহুল
কার্যকরী ও উপকারী আর্টিকেল নিয়মিত পোস্ট করে থাকি। তাই আপনি যদি এ ধরনের আরও
তথ্যবহুল ও উপকারীর সব আর্টিকেল করতে চান, তাহলে অবশ্যই এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত
ফলো করুন। ভালো লাগলে আপনার নিকট আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজনদের কাছে
তাদের উপকারার্থে শেয়ার করে দিন।
যেন তারা আর্টিকেল লেখার নিয়ম - আর্টিকেল রাইটিং কিভাবে করে? - কিভাবে আর্টিকেল
লিখে ইনকাম করা যায়? এ বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি ভালোভাবে জেনে নিতে পারে।
আর্টিকেল লেখার নিয়ম - আর্টিকেল রাইটিং কিভাবে করে? - কিভাবে আর্টিকেল লিখে
ইনকাম করা যায়? এ বিষয় সম্পর্কে আপনার যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ মতামত বা প্রশ্ন
থাকে, তাহলে অবশ্যই নিচে দেওয়া মতামত বক্সে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আবার আপনাদের
সাথে কথা হবে নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত নিরাপদ ও সুস্থ থাকুন।
কনফিডেন্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url