সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কীভাবে শিখবেন? - ২০টি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ার নামের তালিকা


আপনি কি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে কোনরকম শারীরিক পরিশ্রম ছাড়াই নিজের ঘরে বসে থেকে স্বল্প পরিশ্রমের মাধ্যমে অনেক টাকা ইনকাম করে কোটিপতি হতে চান? তাহলে আপনার চিন্তার কোন কারণ নেই। কারণ আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটির মূল আলোচনায় সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কীভাবে শিখবেন? - ২০টি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ার নামের তালিকা সেই সম্পর্কে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যবহুল ও প্রয়োজনীয় আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক!
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কীভাবে শিখবেন? - ২০টি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ার নামের তালিকা
আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটির মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কীভাবে শিখবেন? - ২০টি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ার নামের তালিকা এ বিষয়ে সম্পর্কে এমন কিছু ইউনিক ও কার্যকরী তথ্য সম্পর্কে জানাবো, যেগুলিকে কাজে লাগিয়ে আপনি খুব সহজেই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি কি আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো জানতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্যই। এই আর্টিকেলটির সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আশা করি আলোচ্য বিষয়ে বিস্তারিতভাবে নির্ভুল সব তথ্য গুলো জানতে পারবেন। ইনশাআল্লাহ!
পেজ সূচিপত্রঃ
.

ভুমিকা

সারাবিশ্বে বর্তমান সময়ে কোনরকম পরিশ্রম ছাড়াই নিজ ঘরে বসে থেকেই একটু বুদ্ধি খাটিয়ে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করার সব থেকে জনপ্রিয় ও সহজ মাধ্যম হলো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করা। তাই এখন অনেক মানুষই এই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং পেশাকে তাদের আয়ের অন্যতম উৎস বানিয়ে ফেলেছে। তাই আপনিও যদি অন্যের গোলামী না করেই নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী মুক্ত পেশাজীবী হিসাবে

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে নিজেকে স্বাবলম্বী করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কীভাবে শিখবেন? - ২০টি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ার নামের তালিকা এ বিষয়ে পুরোপুরি ধারণা রাখতে হবে। তাই আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কীভাবে শিখবেন? - ২০টি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ার নামের তালিকা এ বিষয় সম্পর্কে।
এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলতে কী বোঝায়? সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কীভাবে শিখবেন? সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটারদের যেসব বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে? সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার উপায়, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয় করার উপায়, ২০টি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ার নামের তালিকা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কীভাবে শিখবেন? - ২০টি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ার নামের তালিকা এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই কার্যকরী।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলতে কী বোঝায়?

বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া যেমন ইউটিউব, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, লিংকডইন প্রভুতি এই সকল সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ব্যবহার করে, বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট ও সার্ভিস বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রচারণা করাকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলা হয়। আপনি দেখবেন ফেসবুক ইউটিউব কিংবা ইনস্টাগ্রাম স্কল করার সময় আপনার সামনে বিভিন্ন ধরনের ছবি বা বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন সামনে চলে আসে,

বেশিরভাগ বিজ্ঞাপন আসছে এমন যে প্রোডাক্টগুলো আপনার প্রয়োজন। যেগুলো আপনি মনে মনে ভাবছেন এগুলো আপনার কেনা প্রয়োজন। মূলত এটাই হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর সবচেয়ে একটি ভালো দিক হচ্ছে আপনি আপনার পছন্দমত প্রোডাক্টের মার্কেটিং করতে পারবেন। সেটা হতে পারে ভিডিওর মাধ্যমে মার্কেটিং অথবা ব্যানারের মতো ছবির মাধ্যমে মার্কেটিং।
সাধারণত অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলতে ফেসবুক মার্কেটিং কে বুঝে থাকে কিন্তু আসলে বিষয়টা এরকম না। ফেসবুক ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং রয়েছে সেগুলো থেকে মার্কেটিং করা যায়। মূলত একেক ধরনের মার্কেটিং এর প্রক্রিয়া একেক রকম। আপনি যদি যেমন তেমন ভাবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করেন, তাহলে সেটাতে সফলতা পাবেন না। তাই আপনাকে

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের সকল প্রক্রিয়া বুঝে তারপর প্রচারণা শুরু করতে হবে, তাহলে সফলতা পাবেন। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং অনেকটাই ডিজিটাল মার্কেটিং এর মতো। আপনি যদি এটি প্রফেশনালি বেছে নিতে চান, তাহলে আপনি কাজ করতে করতে এক সময় পরিচিতি লাভ করবেন। বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার সময় বিভিন্ন ধরনের টুলস ব্যবহার করা হয় যেমন কিভাবে মার্কেটিং করতে হবে সেই বিষয়ে।

আর মার্কেটাররা এই টুলস ব্যবহারের ফলে খুব সহজেই সফলতা অর্জন করে। প্রায় সকল সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন ধরনের তথ্য দেওয়া থাকে। যেমন কোথায় থাকেন ব্যবহারকারী, ব্যবহারকারীর পছন্দের জিনিস কি, তিনি কি কাজ করেন প্রভুতি মূলত এগুলো সোশ্যাল মিডিয়া সংরক্ষণ করে রাখেন। এগুলো ব্যবহার করেই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটাররা তাদের প্লাটফর্মে অডিয়েন্স টার্গেট করে এবং সে অনুযায়ী অডিয়েন্সের সামনে বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হয়। ফলে অতি দ্রুতই ক্রেতার কাছে ব্র্যান্ডগুলো পৌঁছে যায়।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কীভাবে শিখবেন?

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বিষয়ে অনেকেরই জানেনা। আবার অনেকের এই সম্পর্কে বেসিক কিছু ধারনা থাকে। আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং নিয়ে কাজ করতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং সম্বন্ধে কিছুটা ধারণা নিয়ে তারপর শুরু করা উচিত। তাহলে আপনি অতি দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বিষয়ে এক্সপার্ট হতে পারবেন। আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখতে চান,
তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আজকের এই আর্টিকেলটিতে সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং কিভাবে শিখতে পারবেন সেই সম্বন্ধে A টু Z আলোচনা করা হবে। অনলাইনে আয় করার জন্য বর্তমান সময়ে বেশ জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। সাধারণত বিভিন্ন ধরনের পণ্য বা সেবা প্রচারণার করার জন্য বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল সাইট যেমন twitter, Facebook,

Instagram প্রভৃতির মাধ্যমে প্রচারণা করাকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলা হয়। এখন আপনাদের মনে হতেই পারে তাহলে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং অনেক সহজ। কিন্তু মোটেও সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সহজ নয় বেশ কঠিন। আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সম্বন্ধে প্রথমে পরিপূর্ণ দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তারপর বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটের মাধ্যমে সঠিক লোকদের কাছে পণ্য বা সেবা পৌঁছে দিতে হবে।

বর্তমান সময়ে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করার ফলে দিন দিন জটিল হয়ে পড়ছে পণ্য বা সেবা সঠিক মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। তাই জন্য সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সম্বন্ধে আপনাকে প্রথমে ভালোভাবে পরিপূর্ণ দক্ষতা অর্জন করতে হবে তারপর এই কাজ শুরু করতে হবে। তাহলে আপনি খুবই অল্প সময়ে উন্নতি শিখরে পৌঁছে যাবেন। এই ডিজিটাল যুগে এখন মানুষের কাছে

পণ্যের বিজ্ঞাপন পৌঁছাতে হলে আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সম্বন্ধে পরিপূর্ণ জ্ঞান রাখতে হবে। এখন মানুষ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পণ্যের বিজ্ঞাপন সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়াকে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করছে। কারণ বিভিন্ন বিজ্ঞাপন প্রমোট করার জন্য সবচেয়ে সহজ ও দ্রুততম মাধ্যম হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। দিন দিন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটের চাহিদা বেড়েই চলেছে। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শেখার জন্য আপনি অনলাইনে বেশ ভালো ভালো কোর্স, ব্লগ, ই-বুক দেখতে পাবেন।

এসব বিভিন্ন প্লাটফর্ম থেকে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সম্বন্ধে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। খুব সহজে আপনি অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের ব্লগ থেকে সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হবেন। এসব ব্লগ নিয়মিত অনলাইনে পোস্ট হয়ে থাকে। তাই আপনি বিভিন্ন সাইটের এ ধরনের ব্লগ থেকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সম্বন্ধে বিভিন্ন ডাটা, লেটেস্ট ট্রেন্ড বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। নিচের ব্লগ গুলো ভিজিট করতে পারেন।
  • HubSpot Marketing Blog
  • Social Media Explorer
  • Social Media Examiner
এছাড়াও আপনি যদি অনলাইনে বা অফলাইনে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সম্বন্ধে বিভিন্ন ধরনের ই-বুক সংগ্রহ করতে পারেন। এখানে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বিষয়ে বিভিন্ন রকম তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।
  • How to Get More Twitter Follower
  • How to Create High-Quality Videos for Social Media
  • How to Use Instagram for Business
  • How to Attack Customers with Facebook
  • The Beginner’s Guide to Social Media
উপরোক্ত সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ছাড়াও আপনারা বিভিন্ন ধরনের কোর্স খুবই সহজে অনলাইনেই পেয়ে যাবেন। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সম্বন্ধে দক্ষতা অর্জন করতে চাইলে খুব সহজেই আপনি ঘরে বসেই পুরোপুরিভাবে দক্ষতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন। বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং বাজারের মার্কেটপ্লেসে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাই আপনি যদি ঘরে বসেই আয় করতে চান,
তাহলে আপনার জন্য একটি চাহিদা সম্পন্ন কাজ হলো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। তাই আর দেরি কেন অতিদ্রুত সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখে এই বিষয়ে পুরোপুরি দক্ষতা অর্জন করুন। তারপর আপনি আপনার লক্ষ্য পূরণ করুন।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কীভাবে শিখবেন? - ২০টি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ার নামের তালিকা

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটারদের যেসব বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে?

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটারদের সফলতা পেতে হলে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর সকল খুঁটিনাটি বিষয়ে প্রথমে পুরোপুরিভাবে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এই কাজটি করতে হলে দক্ষতা অর্জন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বিষয়ে আপনি যত দক্ষতা অর্জন করবেন আপনি সকল বিষয়ে ততো বেশি বুঝতে ও জানতে পারবেন। তাই জন্য আপনার দক্ষতা অর্জন করার পাশাপাশি নিচের বিষয়গুলো সম্বন্ধে পারিপার্শ্বিক জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
  • ভালো গ্রাহক সেবার দক্ষতাঃ ক্রেতাদের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটারদের নিয়মিত যোগাযোগ করা আবশ্যক পাশাপাশি ক্রেতাদের সঙ্গে সব সময় ভালো ব্যবহার করতে হবে এবং সুশীল ভাষায় কথা বলতে হবে। গ্রাহকদের সঠিকভাবে সেবা দেওয়ার জন্য ভালো যোগাযোগ ও দক্ষতা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
  • সৃজনশীল দৃষ্টিভঙ্গিঃ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটারদের জন্য বড় একটি দক্ষতা হচ্ছে সৃজনশীল দৃষ্টিভঙ্গি। তাহলে খুব সহজেই মার্কেটাররা বুঝে যেতে পারে অডিয়েন্সরা কেমন ডিজাইন পছন্দ করে। আপনি যে ছবি বা ভিডিও দিয়ে মার্কেটিং করবেন, সেগুলো যদি আকর্ষণীয় না হয়, তাহলে সঠিক ক্রেতার কাছে সেটা পৌঁছালেও ক্রেতা তা কিনা থেকে বিরত থাকবে। তাই আপনাকে একটি বিষয়ে মাথায় রাখতে হবে আপনি যে প্রোডাক্টগুলোর মার্কেটিং করবেন সেগুলো ভিডিও বা ছবি আকর্ষণীয় হতে হবে। তাহলেই ক্রেতারা দ্রুতই কিনে ফেলবে সেই প্রোডাক্টগুলো। এছাড়াও আপনার ডিজাইন সম্বন্ধে দক্ষতা থাকলে জিফি, অ্যাডোবি স্যুইট,ক্যানভা প্রভূতি ব্যবহার করে আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন তৈরি করে সেই বিজ্ঞাপন গুলো সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করতে পারেন। কাজেই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটারদের জন্য একটি সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে সৃজনশীলতা।
  • এসইও সম্পর্কে জ্ঞানঃ এসইও এর পূর্ণরূপ হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের জন্য এসইও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কোন কীওয়ার্ড সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে বা আপনার পোস্টকে উপরের দিকে নিয়ে যাবে সেটি বুঝতে হলে আপনাকে পুরোপুরি ভাবে দক্ষতা অর্জন করতে হবে এসইও সম্পর্কে।
  • ট্রেন্ড সম্পর্কে জানাঃ বর্তমান সময়ে আধুনিক ট্রেন্ডগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব সহজেই অতি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। কাজেই আপনার যদি বিভিন্ন ট্রেন্ড সম্পর্কে পর্যাপ্ত দক্ষতা বা জ্ঞান থাকে, তাহলে আপনি সে অনুযায়ী কাজ করে, বিভিন্ন বিজ্ঞাপন বা পোস্ট লিখলে সহজেই সফলতা অর্জন করতে পারবেন। তাই জন্য সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটারদের নতুন নতুন সকল ট্রেন্ড বা ঘটনার সম্বন্ধে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
  • নাম্বার সম্পর্কে ভালো জ্ঞানঃ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নাম্বার। আপনি কত মানুষের কাছে আপনার বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত করতে পারছেন? কত মানুষ আপনার পোস্ট দেখছে? এই সকল বিষয়ে বিভিন্ন অ্যানালিটিকস টুলস আপনাকে বিভিন্ন ধরনের তথ্য প্রদান করবে। তাই জন্য গভীর জ্ঞান থাকা আবশ্যক নাম্বার ও অ্যানালিটিকস নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটারদের।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার উপায়

একটু অনলাইন ঘাটাঘাটি করলে খুবই সহজেই আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার বিভিন্ন ধরনের উপায় পেয়ে যাবেন। আপনি সেই কৌশলগুলো ভালোভাবে ফলোআপ করতে পারলেই অনায়াসে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্টের সঠিক প্রচারণা করতে পারবেন। ফলে আপনার গ্রাহকদের সাথে একটি সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার নিচে কয়েকটি উপায় জেনে নেওয়া যাক।

স্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করা

আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে প্রথমে স্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। লক্ষ্য নির্ধারণ করার আগে অবশ্যই আপনাকে আপনার ব্র্যান্ড সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা আবশ্যক পাশাপাশি ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বৃদ্ধি করতে হবে এবং বিক্রয় বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে হবে। গ্রাহকদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে পাশাপাশি গ্রাহকদের সাথে সম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করতে হবে। উপরোক্ত সকল বিষয়ে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে।

প্লাটফর্ম নির্বাচন করা

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি প্লাটফর্ম নির্বাচন করতে হবে। আপনার প্রোডাক্ট এবং ব্র্যান্ড এর ধরন অনুযায়ী প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করে, যেখানে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের সংখ্যা বেশি যেমন ফেইসবুক, টিক টক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি। ফেইসবুক,
টিক টক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম প্রভূতিতে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি মানুষের অ্যাকাউন্ট রয়েছে মার্কেটিং করার জন্য এই জায়গাগুলো খুবই উপযুক্ত। আপনি যদি উপরোক্ত প্লাটফর্মের মাধ্যমে মার্কেটিং করেন, তাহলে অতি দ্রুত সারাবিশ্বে আপনার প্রচারণা ছড়িয়ে পড়বে পাশাপাশি আপনি আপনার ব্যবসায় অতি দ্রুত সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন।

টার্গেট অডিয়েন্স বা দর্শক চিহ্নিত করা

বয়স, লিঙ্গ, আয়ের স্তর, অবস্থান ইত্যাদি বিবেচনা করে কাজ অত্যান্ত জরুরী। আর অবশ্যই আপনার টার্গেট অডিয়েন্স বা দর্শকদের আগ্রহ ও পছন্দ সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকতে হবে। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে তাদের আচরণ ও কার্যক্রম সম্পর্কে আপনার পরিপূর্ণ ধারণা বা জ্ঞান থাকতে হবে।

কনটেন্ট ক্যালেন্ডার তৈরি করা

প্রফেশনালি আপনি যেহেতু সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং নিয়ে কাজ করতে চাচ্ছেন সেহেতু আপনার প্রোডাক্ট এবং ব্র্যান্ড এর জন্য কি কি কন্টেন্ট তৈরি করা প্রয়োজন, কোন সময় কনটেন্টগুলো আপনি পাবলিশ করতে চাচ্ছেন, সে সকল বিষয়ে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর একটি কন্টেন্ট ক্যালেন্ডার ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে আপনার কনটেন্ট গুলো সঠিক সময়ে পাবলিস্ট করতে পারবেন। ভুলে যাওয়া সম্ভাবনা থাকবে না।

হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা

আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে সফলতা অর্জন করতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করতে হবে। ফলে আপনার পোস্টগুলোর রিচ অতি দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। আপনি যদি আপনার পোস্টে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেন, তাহলে অডিয়েন্সের সামনে দ্রুত আপনার বিজ্ঞাপন বা পোস্টগুলো প্রদর্শিত হবে এবং দ্রুত অডিয়েন্সের নজরে পড়বে।সোশ্যাল

পোস্ট শিডিউল করে তা নিয়মিত প্রকাশ করা

আপনার টার্গেট যখন অডিয়েন্স বা দর্শক সবথেকে বেশি সক্রিয় থাকবে সে সময় শিডিউল পোস্ট করতে হবে। এতে করে দর্শক বা অডিয়েন্সের কাছে আপনার করা পোস্টটি খুব দ্রুতই পোঁছাবে।

এনগেজমেন্ট বাড়ানোর চেষ্টা করা

আপনার পোষ্টের দর্শক বা অডিয়েন্সের সাথে সক্রিয় ভাবে যোগাযোগ করার জন্য কমেন্টস এবং মেসেজের উত্তর দিন। এ ছাড়া কাস্টমার এনগেজমেন্ট বাড়াতে ইন্টারেক্টিভ কন্টেন্ট ব্যবহার করুন ও আকর্ষণীয় অফার দিন এবং কনটেস্টের মাধ্যমেও এনগেজমেন্ট বাড়াতে পারেন।

অ্যানালাইসিস বা পর্যবেক্ষণ করা

সোশ্যাল মিডিয়া বিশ্লেষণ টুলস ব্যবহার করে কন্টেন্টের পারফরম্যান্স ট্র্যাক করতে হবে (যেমন ধরন গুগল সার্চ কন্সোলার, ফেসবুক ইনসাইটস ও টুইটার অ্যানালিটিক্স)। এই সমস্ত টুলস গুলো ব্যবহার করার ফলে আপনি সঠিকভাবে এনালাইসিস বা পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।

বিজ্ঞাপন কৌশল গ্রহণ করা

টার্গেটেড বিজ্ঞাপন নির্দিষ্ট দর্শক বা অডিয়েন্স গ্রুপের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে হবে। এতে করে আপনার বিজ্ঞাপন টার্গেট অনেক সক্রিয় হবে।

বিজ্ঞাপন প্রচার করা

বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার যতগুলো কৌশল রয়েছে তার ভিতরে সবচেয়ে সেরা কৌশল হচ্ছে বিজ্ঞাপন প্রচার। বর্তমানে এই ডিজিটাল সময়ে বিজ্ঞাপন প্রচার করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্লাটফর্মে বিজ্ঞাপন প্রচার করার বিভিন্ন রকম অপশন চালু হয়েছে যেমন You tube Ads,Instagram Ads, Facebook Ads প্রভূতি। এই You tube Ads,Instagram Ads,Facebook Ads অপশন

গুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার প্রোডাক্ট এবং ব্র্যান্ড অনুযায়ী বিজ্ঞাপন তৈরি করতে পারেন। পরবর্তী সময়ে যখন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা যেকোন ধরনের কনটেন্ট ভিজিট করে তাহলে আপনার বিজ্ঞাপনটি সেই কন্টেন্টে প্রদর্শিত হবে। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা আপনার বিজ্ঞাপন দেখে আপনার ব্র্যান্ড সম্পর্কে বিভিন্ন রকম ধারণা খুব সহজেই পেয়ে যাবে।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয় করার উপায়

বর্তমান সময়ে এই ডিজিটাল যুগ হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। আর এই ডিজিটাল যুগে সবচেয়ে বেশি মানুষের পরিচিতি লাভ হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনেক মানুষই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে সক্ষম হচ্ছে। তাই আপনারা যদি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয় করতে চান! তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকরী হবে।
এই আর্টিকেলটি আপনি পুরোপুরি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে কিভাবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন সে সকল বিষয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে। আপনি যদি কোন রকম পরিশ্রম ছাড়াই ঘরে বসে খুব সহজেই ইনকাম করে আর্থিক সচ্ছলতা পেতে চান পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াম থেকে আয় করতে চান তাহলে আপনার জন্য এটাই সবচেয়ে বেস্ট অপশন। বর্তমান সময়ে মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করছেন। তাই আর দেরি না করে অতি দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখে কোনরকম পরিশ্রম ছাড়াই ঘরে বসে খুব সহজেই অর্থ উপার্জন করার আপনার যাত্রা শুরু করুন।

২০টি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ার নামের তালিকা

২০টি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ার নামের তালিকা
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের মধ্যে যারা নতুন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছেন, আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার আগে আপনাকে অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ার নাম জানতে হবে। তাহলে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে প্রোডাক্ট বা ব্র্যান্ডের প্রচারণা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে পারবেন।

সারা বিশ্বে যেগুলো খুবই জনপ্রিয় মার্কেটিং সাইট সেই প্লাটফর্ম গুলোতে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে, আপনারা খুব সহজেই সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন। তাহলে চলুন নিচে জেনে নেওয়া যাক জনপ্রিয় বেশ কিছু সোশ্যাল মিডিয়ার নাম।

ক্রমিক নং জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া গুলোর নাম জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া গুলোর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাকাল ব্যবহারকারীর সংখ্যা জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া গুলোর ধরণ
০১ ফেসবুক (Facebook) ২০০৪ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে ১ মিলিয়নের বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এটিকে ব্যবহার করেন তাদের ব্যবসার প্রচারের জন্য। ১.৫৯ বিলিয়নের বেশী সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে। মোট ব্যবহারকারীর নাম অন্তর্ভুক্তকরণ ও সংখ্যা উভয়ের দিক থেকে ইন্টারনেটের বৃহত্তম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
০২ ইনস্টাগ্রাম (Instagram) ২০১০ সালের অক্টোবর মাসে চালু হয়। বর্তমানে ৪০০ মিলিয়নের বেশী ব্যবহারকারী রয়েছে। পিন্টারেস্টের জমজ ভাই খ্যাত এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রাম।
০৩ টুইটার (Twitter) ২০০৬ সালের ২১ মার্চ সান ফ্রান্সিসকোর ক্যালিফোর্নিয়ায় বিশ্বের ২য় জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি তৈরি করা হয়। বর্তমানে ৩২০ মিলিয়নের বেশি মানুষ ১৪০ টি অক্ষরের মাধ্যমে তাদের মনের কথা বর্নণা করে চলেছেন। বিশ্বের ২য় জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এই মাধ্যমের সাহায্যে আপনি ব্যবসার প্রচারও চালাতে পারেন, আবার বন্ধুদের সাথে যোগাযোগও করতে পারেন।
০৪ ইউটিউব (YouTube) ২০০৫ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি তিন প্রাক্তন পেপাল কর্মচারীর হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ২০০৬ সালে এই প্রতিষ্ঠানকে ১.৬৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে কিনে নেয় গুগল। গুগলের পরে ২য় সর্বাধিক জনপ্রিয় এই মাধ্যমের রয়েছে প্রায় ১ বিলিয়নের বেশি ব্যবহারকারী। সর্বাধিক জনপ্রিয় ভিডিও ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
০৫ গুগল প্লাস (Google+) ২০১১ সালের ১৫ই ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে ৪১৮ মিলিয়ন নিবন্ধিত ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে। ফেসবুক, টুইটার বা লিংক্ডইন এসব যখন কিছুই ছিলো না, তখন থেকেই জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
০৬ লিংক্ডইন (Linked in) ২০০২ সালের ১৪ই ডিসেম্বর তৈরি করা হয়। কিন্ত এটি আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু করে ২০০৩ সালের ০৫ মে। প্রায় ২৪ ভাষায় ব্যবহার করা যায় এই মাধ্যমটি, এটির ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪০০ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্বের ৩য় জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
০৭ পিন্টারেস্ট (Pinterest) ২০১০ সালে এই মাধ্যমটি তৈরি করা হয়। ১০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারীর ছাড়িয়ে গেছে। একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেখানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য পিন করে রাখে।
০৮ হোয়াটসঅ্যাপ (Whats app) ২০১০ সালের জানুয়ারি তে এটি চালু হয়। ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক। হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেঞ্জার হলো স্মার্ট ফোন, পিসি ও ট্যাবলেটগুলোর জন্য বিশেষভাবে তৈরি যোগাযোগ মাধ্যম।
০৯ স্ন্যাপচ্যাট (Snapchat) ২০১১ সালে রেজি ব্রাউন, ইভান স্পিগেল ও ববি মারফি তৈরি করেন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন সময়ে। ২০১৫ সালের মধ্যে ১০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছাড়িয়ে যায়। একটি ইমেজ ম্যাসেজিং মাধ্যম।
১০ ফ্লিকার (Flickr) ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এবং ২০০৫ সালে ইয়াহুর অন্তর্ভুক্ত হয় এই মাধ্যম। পৃথিবীর ৬৩ টি দেশে মোট ১১২ মিলিয়ন ব্যবহারকারী রয়েছে। একটি অনলাইন ভিডিও হোস্টিং মাধ্যম।
১১ টাম্বলার (Tumblr) ২০০৭ সালে ডেভিড কার্প তৈরি করেন। এতে ২০০ মিলিয়নের বেশি ব্লগ রয়েছে। এটি একটি ব্লগ ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
১২ রেডডিট (Reddit) ২০০৫ সালের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠিত হয়। ৩৬ মিলিয়ন ব্যবহারকারী এবং ২৩১ মিলিয়ন দর্শক রয়েছে। এটি বিনোদন ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। পাশাপাশি এটি একটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমও।
১৩ পেরিস্কোপ (Periscope) ২০১৪ সালে কেভন বেকপুর এবং জো বার্ননস্টেইন এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি তৈরি করেন। পরে ২০১৫ সালে টুইটার এই প্রতিষ্ঠানকে কিনে নেয়। ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। তাই ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে অ্যাপল এই মাধ্যমটিকে সেরা মাধ্যম হিসেবে ঘোষণা করে। এটি একটি ভিডিও ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। একটি আয়নাযুক্ত যন্ত্রবিশেষ যার সাহায্যে দেয়ালের ওপারের দৃশ্য অনায়াসে দেখা যায়। কিন্তু পেরিস্কোপ এখন একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও।
১৪ কুয়োরা (Quora) ২০০৯ সালে চার্লি শেভার এটি তৈরি করে। ৮০ মিলিয়ন ব্যাবহারকারী রয়েছে যার মধ্যে অর্ধেকই আমেরিকার নাগরিক। মানুষের কৌতুহলকে পুজি করে তোলা একটি উদ্ভাবনী ধারণা দেয়।
১৫ ভাইন (Vine) ২০১২ সালে তৈরি করা হয়। কিন্তু তৈরি করার পর পরই প্রকাশের আগে টুইটার এই প্রতিষ্ঠানকে কিনে নেয়। ৪০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী রয়েছে। ভিডিও প্রকাশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
১৬ ভাইবার (Viber) ২ ডিসেম্বর ২০১০ সালে ভাইবার মিডিয়া রাকুতেন ইনক প্রতিষ্ঠা করেন। এটি ভয়েস ওভার আইপি বা ভিওআইপি মাধ্যমে তৈরি এবং এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাহায্যে অডিও, ভিডিও চিত্র, স্থির চিত্র পাঠানো যায় মুহূর্তের মধ্যে বিশ্বের একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তে। বার্তা প্রেরণকারী একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
১৭ বিজসুগর (Biz sugar) ২০০৭ সালে তৈরি করা হয়। এটি অনেক বড় বড় পুরষ্কার অর্জন করে নেয় তার প্রকাশনা সরবরাহের জন্য। ছোট বড় সকল ব্যবসায়ীদের জন্য সেরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
১৮ ডিগ (Digg) ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১১ মিলিয়নের বেশী ব্যবহারকারী রয়েছে। সংবাদ সংগ্রহকারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
১৯ স্টাম্বল আপন (StumbleUpon) এটি এককভাবে প্রতিষ্ঠিত হলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি হয়ে যায়। ৮০০০০ এর বেশি ব্রান্ড এবং প্রকাশক রয়েছে। স্টাম্বল আপন একটি অনলাইন শপ ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এটি মানুষকে বিভিন্ন পন্য খুজে পেতে এবং কিনতে সাহায্য করে।
২০ ডেলিসিয়াস (Delicious) ২০০৩ সালে পিটার গ্যাডজোকভ এবং জোশুয়া শ্যাচটার এর হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং টুইটার এটিকে কিনে নেয় ২০০৫ সালে। এটির ৫.৩ মিলিয়ন ব্যাবহারকারী আছে এবং ১৮০ মিলিয়ন বুকমার্ক রয়েছে। ওয়েব বুকমার্ক তৈরি, ভাগ করে দেয়ার জন্য বিশ্বের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ডেলিসিয়াস।

লেখকের ইতি কথাঃ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কীভাবে শিখবেন? - ২০টি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ার নামের তালিকা

সম্মানিত পাঠক, আশা করি উপরোক্ত আলোচনা গুলো থেকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কীভাবে শিখবেন? - ২০টি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ার নামের তালিকা এ বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে ঘরে বসেই একটু বুদ্ধি খাটিয়ে খুব স্বল্প পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। তবে এ বিষয়ে আপনাকে স্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে। তাই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কীভাবে শিখবেন? - ২০টি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ার

নামের তালিকা এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ে উল্লেখিত বিষয়গুলো জেনে নিলে আপনি খুব সহজেই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে দ্রুত সময়ে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আপনার অবস্থানকে পরিবর্তন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কীভাবে শিখবেন? - ২০টি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ার নামের তালিকা এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে তাহলে আপনি খুব দ্রুতই সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন।

সম্মানিত পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থেকে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগের সাথে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে এ ধরনের তথ্যবহুল কার্যকরী ও উপকারী আর্টিকেল নিয়মিত পোস্ট করে থাকি। তাই আপনি যদি এ ধরনের আরও তথ্যবহুল ও উপকারী সব আর্টিকেল পড়তে চান, তাহলে অবশ্যই এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ফলো করুন। সাথে সাথে এ আর্টিকেলটি পরে ভালো লাগলে আপনার নিকট আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজনদের কাছে তাদের উপকারার্থে শেয়ার করে দিন।

যেন তারা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কীভাবে শিখবেন? - ২০টি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ার নামের তালিকা এ বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি ভালোভাবে জেনে নিতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কীভাবে শিখবেন? - ২০টি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ার নামের তালিকা এ বিষয় সম্পর্কে আপনার যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ মতামত বা প্রশ্ন থাকে, তাহলে অবশ্যই নিচে দেওয়া মতামত বক্সে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আবার আপনাদের সাথে কথা হবে নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত নিরাপদ ও সুস্থ থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কনফিডেন্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url