১৬টি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস - বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি?

আপনি কি কোনরকম শারীরিক পরিশ্রম ছাড়াই নিজের ঘরে বসে থেকে স্বল্প পরিশ্রমের মাধ্যমে অনেক টাকা ইনকাম করে কোটিপতি হতে চান? তাহলে আপনার চিন্তার কোন কারণ নেই। কারণ আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটির মূল আলোচনায় হচ্ছে ১৬টি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস - বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি? সেই সম্পর্কে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যবহুল ও প্রয়োজনীয় আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক!
২০২৪ সালে আউটসোর্সিং করার জনপ্রিয় মার্কেট প্লেস কোনটি ও আউটসোর্সিং করার জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গুলো কি কি?
আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটির মাধ্যমে ১৬টি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস - বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি? এ বিষয় সম্পর্কে এমন কিছু ইউনিক ও কার্যকরী তথ্য সম্পর্কে জানাবো, যেগুলিকে কাজে লাগিয়ে আপনি খুব সহজেই অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি কি আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্যই। এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আশা করি আলোচ্য বিষয়ে বিস্তারিতভাবে নির্ভুল সব তথ্য গুলো জানতে পারবেন। ইনশাআল্লাহ!
পেজ সূচিপত্রঃ
.

ভুমিকা

সারাবিশ্বে বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে অল্প সময়ে সবচাইতে বেশি ইনকাম করার জনপ্রিয় পদ্ধতি। তাই মানুষ তাদের মেধা খাটিয়ে কোনরকম শারীরিক পরিশ্রম ছাড়াই নিজের ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করে প্রচুর পরিমাণে ইনকাম করছে। তাই আপনিও যদি অন্যের আওতায় না থেকে একজন মুক্ত পেশাজীবী হিসেবে নিজেকে স্বাবলম্বী করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার ২০২৪ সালে আউটসোর্সিং করার

জনপ্রিয় মার্কেট প্লেস কোনটি ও আউটসোর্সিং করার জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গুলো কি কি? এ বিষয়ে পুরোপুরি ধারনা থাকতে হবে। তাই আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন ১৬টি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস - বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি? এ বিষয় সম্পর্কে। এছাড়াও আউটসোর্সিং কি কাকে বলে?
আউটসোর্সিং এর কাজ গুলো কি কি? - ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি, বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি? আউটসোর্সিং করতে কি কি বিষয় জানতে হবে? আউটসোর্সিং এর সুবিধা ও অসুবিধা গুলো কি কি? এ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই আপনি যদি ১৬টি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস - বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি? এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই কার্যকরী।

আউটসোর্সিং কি কাকে বলে?

আউটসোর্সিং হচ্ছে একটি স্বাধীন বা মুক্ত পেশা। তবে আউটসোর্সিং একটি ব্যবসা প্রক্রিয়াও বটে যেখানে একটি কোম্পানি অন্য কোন কোম্পানিকে বা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা ব্যক্তিদের কে নিয়োগ করে এমন কোন কাজ করার জন্য বা তাদের কোম্পানির যাবতীয় ধরনের কাজগুলো দেখাশোনা করার জন্য কিংবা এমন কোন সেবা প্রদানের জন্য যেটা তাদের নিজ কোম্পানির নিজস্ব কর্মচারীরা করতো কিন্তু
বর্তমানে সারা বিশ্বে থাকা অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা সেই সেবা প্রদান করছে। কিংবা যে ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া সেবা প্রদান ও বিভিন্ন দ্রব্য তৈরির জন্য নিজস্ব কোম্পানির বাইরে ও একটি পক্ষকে নিয়োগ করে এবং নিজস্ব কোম্পানির অভ্যন্তরীণ কর্মকাণ্ডগুলো নিজস্ব কর্মচারীদের এবং অন্যান্য কর্মচারীদের দ্বারা সম্পাদিত হয় তাকে আউটসোর্সিং বলা হয়। অর্থাৎ সবিস্তারে বলতে গেলে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী স্বাধীন বা মুক্ত

ভাবে অন্যের কোন চাপ ছাড়াই স্বাধীনভাবে কাজ করে আয় করার নামই হচ্ছে আউটসোর্সিং। আরো সুন্দর, সহজ ও সাবলীল ভাবে বলতে গেলে বলা যায়, ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে সারা বিশ্বের বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কাজ নিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মী ছাড়াও অন্যান্য দেশের কর্মীদের মাধ্যমে করে নেওয়ার নামই হচ্ছে আউটসোর্সিং।

আউটসোর্সিং এর কাজ গুলো কি কি? - ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি

আউটসোর্সিং একটি সমষ্টিগত নাম। আউটসোর্সিং কে একটি গাছ গাছের সাথে তুলনা করা যায়। যেটির অনেকগুলো শাখা প্রশাখা রয়েছে। তাই বলা যাই আউটসোর্সিং এর বিভিন্ন ধরনের কাজ করা যায়। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক আউটসোর্সিংয়ের সম্ভাবনাময় কি কি ধরনের কাজ করা যায়?
  • ডিজিটাল মার্কেটিং।
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট।
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন।
  • ভিডিও এডিটিং।
  • কনটেন্ট রাইটিং।
  • ওয়েবসাইট ডিজাইন।
  • অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট।
  • ডাটা এন্ট্রি।
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।
  • ভয়েস ওভার।
  • সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার।
  • ডাটা এনালাইসিস।
  • ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট।
  • ট্রান্সলেশন বা ট্রান্সলেটিং।
  • ইউ এক্স বা ইউ আই ডিজাইনার।
  • ট্রান্সক্রাইবিং।
  • সেলস এন্ড মার্কেটিং।
  • কাস্টমার সার্ভিস।
  • কপিরাইটিং।
  • অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস।
  • ওয়েবসাইট মেইনটেইন্স।
  • ক্রিয়েটিভ ডিজাইন।
  • রিমোট অফিস অ্যাসিস্ট্যান্ট।
আপনি যদি একজন সফল ফ্রিলেন্সার হতে চান তাহলে উল্লেখিত কাজগুলোর প্রতি পুরোপুরি দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তাহলে আপনি আউটসোর্সিং করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের মার্কেটপ্লেস থেকে অনেক বেশি কাজ পাবেন এবং এই মার্কেটপ্লেস গুলোতে কোন ধরনের কাজের চাহিদা বেশি সেটিও লক্ষ্য রাখতে হবে। অর্থাৎ কোন কাজ কোন সময় কিভাবে চলছে কিংবা ভবিষ্যতে এর কত চাহিদা রয়েছে সেটা বুঝতে হবে। তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থেকে খুব সহজেই অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি?

বর্তমানে ফিন্যান্সিং এর ডিমান্ড অনেক বেশি। সারা বিশ্বের প্রায়ই বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করে স্বাবলম্বী হচ্ছে। বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মানুষ এই পেশার প্রতি ঝুঁকে পড়েছে। কারণ এই পেশারটি সম্পূর্ণ মুক্ত এবং স্বাধীন। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী খেয়াল খুশিমতো কাজ করা যায়। তাই অবশ্যই আপনাকে জেনে নিতে হবে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি? এরপর সে অনুযায়ী দক্ষতা অর্জন করে কাজ করতে হবে তবে আপনি এই সেক্টর থেকে সফলতা পাবেন। তাহলে চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর ডিমান্ডডেবল সেক্টর কোনটি?
  • “SEO Consultant” (এস ইও কনসালটেন্ট)।
  • “Lead generation” (লিড জেনারেশন)।
  • “Keyword research” (কিওয়ার্ড রিসার্চ)।
  • “Virtual Assistant” (ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট)।
  • “Drop shipping” (ড্রপ শিপিং)।
  • “WordPress Expert” (ওয়ার্ডপ্রেস এক্সপার্ট)।
  • “Resume and Cover Letter Writer” (রিজিউম এন্ড কভার লেটার রাইটার)।
  • “Book designer” (বুক ডিজাইনার)।
  • “E book writer” (ই বুক রাইটার)।
  • “Ghost writer” (ঘোস্ট রাইটার)।
  • “Market research” (মার্কেট রিসার্চ)।
  • “Editor” (এডিটর)।
  • “Fiction writer” (ফিকশন রাইটার)।
  • “Cartoon artist” (কার্টুন আর্টিস্ট)।

আউটসোর্সিং করতে কি কি বিষয় জানতে হবে?

আউটসোর্সিংএকটি অভিজ্ঞতা বা দক্ষতার নাম। যে দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা বড় বড় কোম্পানিগুলোর বিভিন্ন ধরনের কাজগুলোকে সম্পাদন করে সেখান থেকে ইনকাম করা। তাই আউটসোর্সিং করতে গেলে বেশ কিছু জিনিসের প্রয়োজন হবে এবং বেশ কিছু বিষয় আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে। আউটসোর্সিং করার ক্ষেত্রে কিছু কিছু বিষয় সর্বদা আপনাকে মনে রাখতে হবে এবং ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে তাহলেই আপনি এই মার্কেটপ্লেসগুলোতে সফলতার সহিত উঠে দাঁড়াতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক আউটসোর্সিং করতে গেলে কি কি বিষয়ে জানতে হবে?
২০২৪ সালে আউটসোর্সিং করার জনপ্রিয় মার্কেট প্লেস কোনটি ও আউটসোর্সিং করার জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গুলো কি কি?
  • আপনি যে বিষয়ে আউটসোর্সিং করতে চান অর্থাৎ নির্দিষ্ট কোন বিষয়ে ভাল দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
  • আউটসোর্সিং করার জন্য অনেক ধরনের মার্কেটপ্লেস রয়েছে বা প্লাটফর্ম রয়েছে সেগুলোতে আবেদন করার জন্য পুরোপুরি যোগ্যতা থাকতে হবে।
  • আবেদন করার পর যদি আবেদনের সাড়া পাওয়া যায় তাহলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে।
  • আজ ক্লায়েন্টের দেওয়া কাজ গুলো নিখুঁতভাবে করার মাধ্যমে এবং ক্লায়েন্টের কাছ থেকে সেগুলোর এপ্রুভাল পাওয়ার পরেই এখান থেকে পারিশ্রমিক পাওয়া যাবে।
  • আউটসোরিং করার ক্ষেত্রে একটি বিষয় সবচেয়ে লক্ষণীয় হচ্ছে ক্লাইন্টদেরকে বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী বা তার আগেই সেই কাজটি পুরোপুরি নির্ভুলভাবে কর্মপ্লিট করতে হবে তবেই এই মার্কেটপ্লেসগুলোতে নিজের অবস্থানকে শক্ত করা যাবে।

আউটসোর্সিং এর সুবিধা ও অসুবিধা গুলো কি কি?

আউটসোর্সিং এর সুবিধা

  • দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন করে তোলেঃ একজন ফ্রিল্যান্সার যাকে একটি কোম্পানি তার নির্দিষ্ট কাজ করার জন্য হায়ার করেছে সেখানে সে কাজ করার পাশাপাশি সে চাইলে অন্য আরেকটি কোম্পানিতেও একই সাথে কাজ করতে পারে। এভাবে সে ফ্রান্সিং সেক্টরে অনেকগুলো ক্লায়েন্ট এর কাজ একসাথে করে দিতে পারে এবং এই কাজগুলো করার জন্য সে অনেক দক্ষ হয়ে ওঠে। এ কারণেই স্বাভাবিকভাবে ফ্রিল্যান্সাররা একটু বেশি দক্ষ হয়। কারণ তারা একই কাজ বিভিন্ন ক্লায়েন্টের জন্য অনেকবার করে থাকে।
  • কাজের খরচ বা ব্যয় অত্যন্ত কম হয়ঃ আউটসোর্সিং করে কাজ করার ক্ষেত্রে যেহেতু নির্দিষ্ট কোন অফিস কক্ষের ও নির্দিষ্ট কোন লোকবলের প্রয়োজন হয় না। তাই তুলনামূলকভাবে এ কাজের খরচ বা ব্যয় অত্যন্ত কম। অর্থাৎ সারা বিশ্বের যে সকল কোম্পানি তাদের নিজস্ব কর্মচারী ব্যতীত অন্যান্য দেশের ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে নিজেদের কাজগুলো করিয়ে নেয় সেক্ষেত্রে তাদের ব্যয় কম হয়। কারণ একটি কোম্পানিতে নির্দিষ্ট লোকবল থাকলে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয় তার অর্ধেক টাকা দিয়েই ফ্রিল্যান্সারদের মাধ্যমে ঘরে বসে সে কাজগুলো খুব অল্প খরচে করিয়ে নেওয়া হয়।
  • নির্দিষ্ট সময়ে কাজ করিয়ে নেওয়া যায়ঃ একজন ফ্রিল্যান্সার যখন মার্কেটপ্লেস গুলো থেকে কাজের অর্ডার নেয় ঠিক তখন থেকেই তাদের একটা নির্ধারিত সময় দিয়ে দেওয়া হয় এবং সেই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্ডারকৃত কাজগুলো কমপ্লিট করতে হয়। এরপর ক্লাইন্ট বা বায়ারদের কাছে জমা দিতে হয়। ফ্রিল্যান্সাররা সব সময় তাদের নির্ধারিত সময়সীমা মেনে কাজ করার চেষ্টা করে। কারণ মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজের চাইতে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা অনেক বেশি সেক্ষেত্রে যারা বেশি দক্ষ তারাই নিয়মিত কাজ পেয়ে থাকে। আর একজন ফ্রিল্যান্সার যত দ্রুত একজন ক্লায়েন্টের কাজ শেষ করতে পারবে সে অন্য ক্লায়েন্টের কাজ ধরে তত তাড়াতাড়ি লাভবান হতে পারবে। আর এই জন্যই মূলত খুব দ্রুত কাজ শেষ হয় এবং বিভিন্ন দেশের কোম্পানিগুলো লাভবান হয়।
  • কোন বিরতি ছাড়াই কাজ করা যায়ঃ ফ্রিল্যান্সাররা যেকোনো সময় অফিসে না গিয়েই নিজ ঘরে বসে থেকে তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করতে পারে এবং তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী বিরতি নিতে পারে এক্ষেত্রে কোন বাধা থাকে না। অন্যদিকে যারা অফিসের কর্মচারী তাদেরকে কেবল সরকারি ছুটির দিনে ছুটি দেওয়া হয় সাথে সাথে স্বশরীরে অফিসে উপস্থিত হয়েও কাজ করতে হয়। আর কোন সময় ছুটি বা বিরতির প্রয়োজন পড়লে ছুটি নিতে হয়। আর তাদের বেতনও নির্ধারিত হয়ে থাকে। কিন্তু ফ্রিল্যান্সাররা কোন সীমাবদ্ধ বেতন ছাড়াই কাজ করতে পারে এবং অল্প সময়ে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারে। আর এক্ষেত্রে যে কোম্পানিগুলো কাছের অফার করে তারাও কোনরকম লস বা লোকসান ছাড়াই অনেক প্রফিট করে নিতে পারে।

আউটসোর্সিং এর অসুবিধা

  • গোপনীয়তা প্রকাশ পায়ঃ ফ্রিল্যান্সাররা যেহেতু কোন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারী নয়। আবার সারা বিশ্বের যে কোম্পানিগুলো মার্কেটপ্লেসে কাজের অফার করে তারা অন্যান্য দেশের ফ্রিল্যান্সারদের মাধ্যমে কাজগুলো করিয়ে নিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে অধিকাংশ সময় তাদের কোম্পানির গোপনীয়তা ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা অনেক থাকে। আবার যে কোম্পানিগুলো একে অপরের সাথে প্রতিযোগিতায় রয়েছে তারাও এ তথ্যগুলো জেনে যেতে পারে।
  • দক্ষ ও অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সার খুঁজে না পেলে লোকসান হয়ঃ যে কোম্পানিগুলো মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজের অফার করে তারা যদি ভাল মানের দক্ষ ও অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সার আর খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয় তাহলে তাদের অর্ডারকৃত কাজের কোয়ালিটি অনেক খারাপ হয়। কারণ অনেক সময় বিভিন্ন কোম্পানি তাদের কাজগুলো করে নেওয়ার জন্য কিছু অদক্ষ ও অনভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সারদেরকে হায়ার করে ফলে চাহিদা অনুযায়ী কাজগুলো ভালোমতো কমপ্লিট করতে না পারলে তাদের জন্য কোম্পানির অনেক লোকসান হয়।
  • ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়ঃ ফ্রিল্যান্সিং পেশাটি মুক্ত ও স্বাধীন হওয়ায় ফিনান্সাররা বিভিন্ন সমস্যার কারণে নির্ধারিত সময়ে কাজ কমপ্লিট করে জমা দিতে পারে না। তখন ক্লাইন্ট বা বায়াররা নেগেটিভ রিভিউ দিয়ে থাকে। এর ফলে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সারদের প্রোফাইল বা আইডিগুলোর রেটিং অনেক কমে যায়। পরবর্তী সময়ে ঐ সকল ফ্রিল্যান্সাররা বড় কোন কাজের অর্ডার পায় না। আর এক্ষেত্রে সঠিক সময়ে কাজগুলো না পাওয়ার কারণে কোম্পানিগুলোর অনেক লোকসান বা ঘাটতি হয়ে থাকে। তখন সেই সমস্ত কোম্পানিগুলোর ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
সম্মানিত পাঠক তবে উপরে উল্লেখিত আউটসোর্সিং এর সুবিধা ও অসুবিধা গুলো পর্যবেক্ষণ করলে একটি বিষয় সামনে আসে সেটি হল আউটসোর্সিং এর অসুবিধার চাইতে সুবিধার পরিমাণটা অনেক বেশি। আবার অন্যান্য কাজের তুলনায় এখানে ইনকাম অনেক বেশি। একটি বিষয় লক্ষ্য করলে বুঝা যায় যে, যেই কোম্পানিগুলো কাজের অর্ডার দিচ্ছে আবার যে ফ্রিল্যান্সাররা সে সমস্ত কাজ কমপ্লিট করে জমা দিচ্ছে তারা উভয়েই অধিকাংশ সময় লাভবান হচ্ছে। তবে যে কোম্পানিগুলো কাজের অর্ডার করছে এবং যে ফ্রিল্যান্সাররা সেই কাজগুলো সম্পন্ন করছে তাদের উভয়কেই সতর্ক থাকতে হবে। তাহলে হাজার অসুবিধা থাকলেও সেগুলোর কারণে কোন সমস্যা হবে না।

১৬টি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস

আউটসোর্সিং করার জন্য জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস গুলো হলো Fiverr, Upwork, Freelancer, People Per Hour, Guru, Mturk, iWriter,Getacoder, Seoclerks, 99 Designs, Dribble, Simply Hired, Aquent, Toptal, Solution Inn.com, Elance.যে মার্কেটপ্লেস যত বেশি বড় হবে সেই মার্কেটপ্লেসে তত বেশি কাজ থাকে। তাই জন্য সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চাইলে একজন ফ্রিল্যান্সারের উচিত জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট খোলা চেষ্টা করা।
হাজার হাজার মার্কেটপ্লেসের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হাতে গুনা কিছু জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেসে বেশি কাজ থাকে। সাধারণত অনলাইন প্লাটফর্ম হলো মার্কেটপ্লেস। সেখানে ফ্রিল্যান্সার এবং ক্লাইন্ট একে অপরের সাথে মিলিত হতে পারে। মার্কেটপ্লেসে ক্লায়েন্ট তার কাজের বিবরণ পেশ করেন এবং মার্কেটপ্লেসে ক্লায়েন্টের কাজ দেখে পারিশ্রমিকের বিনিময়ে ফ্রিল্যান্সারেরা কাজটি করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন।
১৬টি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস
  • Fiverr.com, আউটসোর্সিং করার জন্য ফাইভার হতে পারে সবচেয়ে সুবিধা জনক ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটটি কিছুকাল আগেও জনপ্রিয় ওয়েবসাইটের তালিকায় অনেক নিচে ছিল। কিন্তু বিশ্বে বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোর ভিতরে ফাইভার একটি। ফাইভারে বাংলাদেশের বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সাররা কাজ করেন। Fiverr জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ হলো এই মার্কেটপ্লেসে অনেক ছোট থেকে শুরু করে সব ধরনের প্রজেক্ট পাওয়া যায়। যারা নতুন ফ্রিল্যান্সিং শিখেছে তাদের জন্য একটি বেস্ট অপশন হল Fiverr.সর্বনিম্ন এই মার্কেটপ্লেসে প্রাইসিং শুরু হয় ১৫ ডলার থেকে। থেকে এন্ট্রি শুরু করে অনলাইন ইনকামের যত ধরনের কাজ রয়েছে সব ধরনের কাজেই এখানে পাওয়া যায়। Fiverr Shai Wininger & Micha Kaufman দ্বারা চালু হয় ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাস।
  • Guru.com, সাধারণত জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেসগুলোর মতই গুরু একটি ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। এখানে বিভিন্ন ধরনের কাজ হয় যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং, প্রোগ্রামিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, রাইটিং ও ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি। এখানে মূলত জব পোস্ট হয় আপওয়ার্কের মতোই। মূলত বায়ার তাদের কাজের বিবরণ পোস্ট করে, বায়ারের কাজ দেখে পারিশ্রমিকের বিনিময়ে ফ্রিল্যান্সারেরা কাজটি করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে। তারপর বায়ার তার পছন্দ অনুযায়ী ফ্রিল্যান্সার নির্বাচন করে। মূলত এখানে দুই পদ্ধতিতে কাজ হয় ফিক্সড ও ঘন্টা পদ্ধতি। গুরু অনেক কঠিন নিয়ম কানুন এর মাধ্যমে মার্কেটপ্লেস নিয়ন্ত্রণ করে। এজন্য গুরুতে স্প্যাম কম হয়। গুরুতে পেওনিয়ার, পেপাল, ট্রান্সফার ও ব্যাংক একাউন্ট পেমেন্ট সিস্টেম রয়েছে। খুবই প্রাচীনতম ওয়েবসাইট হলো এই গুরু। এটি মূলত ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় দুই ভাইয়ের নামে জন এবং জেমস Slavet দ্বরা।
  • iWriter.com, সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বৃহত্তর ওয়েবসাইট হলো এই iWriter এটি মূলত ২০১১ সালে চালু হয়। আর চালু হওয়ার খুবই অল্প সময়ের মধ্যে এই ওয়েবসাইটটি অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করে। সাধারণত ফ্রিল্যান্সার লেখকদের জন্য এটি প্রধান হয় এবং এই ওয়েবসাইটে ব্লগারদের জন্য নিবন্ধিত লিখতে পারেন। প্রতিটি নিবন্ধনের জন্য রাইটার $১৫ পর্যন্ত আয় করে থাকেন।
  • Upwork.com, মূলত ওডেক্স ছিল আপওয়ার্কের পূর্ব নাম। ওডেক্স নাম পরিবর্তন করে ২০১৫ সালে আপওয়ার্ক রাখা হয়। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোর ভিতরে সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হলো Upwork, এটি সাধারণত সব থেকে বেশি সিকিউর এবং প্রফেশনাল। প্রফেশনাল ক্লায়েন্ট এখানে বেশি অবস্থান করার কারণে অল্প কাজে বেশি সুবিধা পাওয়া যায়। Upwork কে নিজের কাজ খুঁজে সেই কাজ করার জন্য কানেক্টের মাধ্যমে এপ্লাই করতে হয় এবং পরবর্তী সময়ে ক্লাইন্ট প্রপোজালগুলো বাছাই করণের মাধ্যমে অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সারদের হার করে। ছোট থেকে বড় সব ধরনের কাজ Upwork পাওয়া যায়। অনলাইনে আয় করা যায় এ ধরনের যেকোনো কাজে আপনি যদি অনেক দক্ষ হন, তাহলে আপনার জন্য খুবই ভালো একটি ওয়েবসাইট Upwork। সাধারণত আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে প্রজেক্ট ও ঘন্টা নির্ভর কাজ পাওয়া যায়। এখানে মূলত বায়ার নির্ধারণ করবে কোন কাজ কত সময়ে কমপ্লিট করতে হবে। সাধারণত প্রজেক্ট ভিত্তিক জবে এককালীন চার্জ দেওয়া হবে আপনাকে কিন্তু ঘন্টাভিত্তিক কাজে আপনাকে একটি নির্দিষ্ট রেটে পেমেন্ট দেওয়া হবে। মূলত আপওয়ার্ক ২০০৩ সালে গ্রিক উদ্যোক্তা Odysseas Tsatalos এবং Stratis প্রতিষ্ঠিত করেন। খদ্দেররা আপওয়ার্কে প্রতিবছর ১ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোস্ট করে থাকেন।
  • Elance.com, সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গুলোর মধ্যে সবচেয়ে সমৃদ্ধ ওয়েবসাইট হলো অ্যালেন্স। এখানে মূলত আপনি খুঁজে পাবেন এক ঝাঁক প্রোগ্রামার, লেখক এবং অভিজ্ঞ ডিজাইনার যারা আপনাকে আপনার চাহিদা অনুযায়ী কাজ করে দিতে সক্ষম। আপনি যদি আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কোন প্রাতিষ্ঠানিক কাজ করিয়ে নিতে চান, তাহলে এক্ষেত্রে এলেন্স চয়েস করাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। কাজের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ ফ্রিল্যান্সার নির্বাচন করার জন্য প্রথমে আপনাকে অ্যালেন্সে কাজের বিবরণ দিতে হবে এবং সেখানে অনাকাঙ্ক্ষিত প্রার্থীর যোগ্যতা অভিজ্ঞতা ও পারিশ্রমিকের যাবতীয় তথ্য দিতে হবে এবং পরবর্তী কাজ অ্যালেন্স খুবই ভালোভাবে সম্পাদন করবে। মূলত ১৯৯৯ সালে এলেন্স প্রতিষ্ঠিত হয়। তারপর ২০১৩ সালে ওডেক্স এর সাথে যুক্ত হয়ে গিয়েছিল। যদিও এখন এই দুইটি ওয়েবসাইট তাদের নিজ নিজ কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। আপওয়ার্কের অধীনে ২০১৫ সালে অ্যালেন্স চলে আসে। বর্তমান সময়ে অ্যালেন্সের যাবতীয় কাজ আপওয়ার্কের মাধ্যমে সম্পাদন হচ্ছে।
  • SolutionInn.com, বর্তমান সময়ে আউটসোর্সিং এর এই প্রতিযোগিতামূলক বাজারে সল্যুশনইন ডটকম নিজের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। অন্যান্য ওয়েবসাইটের তুলনায় সল্যুশনইন ডটকম ওয়েবসাইটটি নতুন হাওয়ায় সবকিছুতে অন্য ওয়েবসাইটের তুলনায় সুবিধা প্রদান করার চেষ্টা করছে। তবে এর প্রধান বিশেষত্ব হচ্ছে এই ওয়েবসাইটে নতুনদের সুযোগ দেওয়া হয়। যারা নতুন ফ্রিল্যান্সিং শিখবে যেমন শিক্ষার্থী বা সদ্য শিক্ষা জীবন শেষ করা চাকরিজীবী, তরুণদের জন্য, মার্কেটপ্লেসে কাজ করার জন্য সবচেয়ে বড় সমাধান সলিউশনইন ডটকম। এখানে বিষয়টা এরকম নয় যে অদক্ষদের দিয়ে কাজ করালে সল্যুশনইন ডটকম এর কাজ খারাপ হবে বরং নতুন ফ্রিল্যান্সাররা দক্ষ ফ্রীল্যান্সারদের তদারকির মাঝেই কাজ করে চলে। ক্লায়েন্টের প্রোজেক্ট যথাযথ নিখুঁতভাবে কাজ সম্পন্ন করে ফ্রিল্যান্সাররা পাশাপাশি যে ফ্রিল্যান্সাররা একটু অনভিজ্ঞ তাদের নিজেদের ভুল শুধরে নেওয়ার সুযোগ পায়।
  • Freelancer.com, প্রথম সারিতে থাকা একটি অনলাইন ভিত্তিক জব মার্কেটপ্লেস হচ্ছে এই ফ্রিল্যান্সার ডটকম। এটি অনেক পুরাতন মার্কেটপ্লেস। এখানে অনলাইন জব প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। মূলত এখানে বেশি ফিক্সড প্রাইস এবং আওয়ারলি প্রজেক্ট পাওয়া যায়। সাধারণত এখানে ফাইভার ও upwork এর থেকে তুলনামূলক ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা কম থাকে। সাধারণত এই প্লাটফর্মে ফ্রিল্যান্সিং ক্যাটাগরি আছে প্রায় ১৮০০ টিরও অধিক। মূলত এই মার্কেটপ্লেস এ প্রায় ১০,০০০,০০০ এরো অধিক জব পোস্ট করা আছে। সারা বিশ্বে সফলতার সাথে সাহায্য করে আসছে এই ফ্রিল্যান্সার ডটকম গত ১৫ বছর ধরে। অন্যান্য মার্কেটপ্লেসের মতোই এখানে ফিক্সড এবং ঘন্টা ভিত্তিক কাজ পাওয়া যায়। ফ্রিল্যান্সার ডটকমের একটি সম্ভাবনাময় দিক হচ্ছে এখানে নিয়মিত কন্টেস্ট আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন ধরনের কন্টেস্ট এর মধ্যে ক্লাইন্ট যার কাজ বেশি পছন্দ করে সেই মূলত এখানে বিজয়ী হয় এবং প্রাইজমানি হিসেবে পুরো প্রজেক্টের পেমেন্ট পেয়ে যায়।
  • 99 Desings.com, ফ্রিল্যান্স ডিজাইনারদের জন্য ৯৯ ডিজাইন স্বর্গ। এখানে মূলত গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কিত সব ধরনের কাজ এই ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়। এই ওয়েবসাইটটি যেহেতু ডিজাইনারদের জন্য তৈরি করা হয়েছে সেহেতু অন্য ক্যাটাগরির ফ্রিল্যান্সার আসে না। সাধারণত এই ওয়েবসাইটে সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট ডিজাইন, ওয়েব পেজ ডিজাইন, টি শার্ট ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, বুক কভার ডিজাইন, পোস্টার ডিজাইন এবং প্রোডাক্ট প্যাকেজিং সহ বিভিন্ন গ্রাফিক্স সম্পর্কিত কাজ পাওয়া যায়। ক্লায়েন্টের কেমন ডিজাইন প্রয়োজন তার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে জব পোস্ট করে। উক্ত পোস্ট অনুসরণ করে বিভিন্ন ডিজাইনারগন তাদের ডিজাইন ক্লাইন্টের ইনবক্সে সাবমিট করে। সাবমিট করা ফাইল থেকে ক্লায়েন্টের যার ডিজাইন বেশি পছন্দ হয় তাকেই শুধু পেমেন্ট করে। আর অন্যান্য গুলো যারা সাবমিট করেছে তারা কোন পেমেন্ট পায় না। অর্থাৎ এই ওয়েবসাইটে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে 99 Designs মার্কেটপ্লেস থেকে উপার্জন করতে হয়। সাধারণত ডিজাইন করা ডিজাইনার প্রতি প্রকল্পের প্রতি $২৫০ $৪০০ ডলার পর্যন্ত আয় করে থাকে।
  • Dribble.com, দারুন জনপ্রিয় ক্রিয়েটিভ ডিজাইনার মার্কেটপ্লেস হিসেবে অতি পরিচিত এই ড্রিবল ডটকম। এই মার্কেটপ্লেসে আপনি যদি কাজ করতে চান এবং ভালোভাবে সফলতা পেতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে একজন দক্ষ ডিজাইন স্পেশালিস্ট হতে হবে। নাহলে আপনি আপনার লক্ষ্যে সাফল্য অর্জন করতে পারবেন না। অন্যান্য মার্কেটপ্লেসের থেকে এই ড্রিবল ডটকম ভিন্নভাবে কাজ করে থাকে। এই ওয়েবসাইটে আপনাকে প্রথমে একটি অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করতে হবে। তারপর প্রফেশনাল প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। একটি জব বোর্ড তৈরি করার পর আপনাকে সেখানে আপনার সবচেয়ে বেস্ট ডিজাইনগুলো আপলোড করতে হবে। কারণ এই ওয়েবসাইটে বায়ার নিজে তার পছন্দ অনুযায়ী কাজ খুঁজে খুঁজে বের করে, তারপর সেই ডিজাইন ক্রয় করে। এই ওয়েবসাইটে কম্পিটিশন কমিয়ে ফেলা যায় লোকেশন নির্ধারণ করে কাজ করার জন্য। তাই জন্য আপনি যদি এই বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন এবং আপনার পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা থেকে থাকে, তাহলে খুব সহজে আপনি সফলতা লাভ করতে পারবেন।
  • Aquent.com, অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর মতোই সম্ভাবনাময় একটি মার্কেটপ্লেস হলো একুয়েন্ট ডটকম। এই মার্কেটপ্লেসের একটি ইউনিক বিষয় হচ্ছে এখানে আপনি একা কাজ করতে পারবেন না। এই প্লাটফর্মে টিম বানিয়ে কাজ করতে হয়। কারণ এই Aquent.com ওয়েবসাইটে যে সকল প্রজেক্ট আসে মূলত সবগুলো প্রজেক্ট হলো গ্রুপ ভিত্তিক। আপনি যদি Aquent.com এ যুক্ত হতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই প্রমাণ দিতে হবে যে, আপনার একটি দক্ষ ফ্রিল্যান্সিং গ্রুপ রয়েছে। আপনার কমপক্ষে দুই বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে সে বিষয়েও প্রমাণ নিবে এবং যাচাই-বাছাই করবে। আপনার যদি একা Aquent.com এ্যাকাউন্ট থাকে, তাহলেও প্রজেক্ট নিবন্ধন করার সময় তারা আপনাকে যে কোন গ্রুপে অ্যাড করে দিবে তারপর আপনি অ্যাড হয়ে কাজ করতে পারবেন।
  • Toptal.com, প্রফেশনাল মার্কেটপ্লেসগুলোর মধ্যে Toptal.com একটি জনপ্রিয় প্রফেশনাল মার্কেটপ্লেস। এই মার্কেটপ্লেসে মূলত সকল বিষয় প্রফেশনাল পদ্ধতিতে পরিচালনা করা হয়। এই Toptal.com মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে হলে, অবশ্যই আপনাকে আগে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন দক্ষ freelancer হতে হবে। তাহলে আপনি এ মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে সক্ষম হবেন। এই মার্কেটপ্লেস এ একাউন্ট তৈরি করার জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিতে হবে যেমন স্ক্রিনিং। তারা তাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে অ্যাক্সেস দেওয়ার আগে আপনার সম্পর্কে সকল বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে, তারপর আপনাকে পারমিশন দিবে। Toptal.com, এই মার্কেটপ্লেসে ক্লায়েন্ট পেতে তেমন সমস্যা হয় না। কারণ Toptal.com এর মত মার্কেটপ্লেস ক্লাইন্টরা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে। এই ওয়েবসাইটে হাজার হাজার অ্যাপ্লিকেশন বাছাইকরণ করে দক্ষ ও অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সার নির্বাচন করা হয়।
  • Simply Hired.com, কাজের সমুদ্র বলা হয় Simply Hired.com এই মার্কেটপ্লেসকে। এখানে জব পোস্ট কিংবা কাজ কমপ্লিট করার জন্য কোন প্রকার বাড়তি চার্জ দিতে হয় না। ফলে ক্লায়েন্টের জব পোস্ট করার জন্য কোন প্রকার বাধার সম্মুখীন হতে হয় না। সেজন্য Simply Hired.com এই মার্কেটপ্লেসে কাজের কোনরকম কমতি থাকে না। আপনি যদি বেশি বেশি কাজ করার জন্য প্রস্তুত হয়ে থাকেন, কোন প্রকার চার্জ ছাড়াই, তাহলে আপনারা Simply Hired.com নিঃসন্দেহে এই ওয়েবসাইটটি বেছে নিতে পারেন।
  • People Per Hour.com, মূলত ২০০৭ সালে People Per Hour.com তাদের যাত্রা শুরু করেন। তাদের যাত্রা শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সাফল্যের সাথে তারা তাদের সমৃদ্ধি ধরে রেখেছে। এই People Per Hour.com বর্তমান সময়ে এই ওয়েবসাইটটিতে ৩ মিলিয়নেরও বেশি দক্ষ ও অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। এই ওয়েবসাইটের মার্কেটপ্লেসে প্রায় সব ধরনেরই কাজ করা যায়। কিন্তু People Per Hour.com এই ওয়েবসাইটটির একটি অন্যতম দিক হচ্ছে আপনি আপনার নিজের সার্ভিস নিজেই বিক্রি করতে পারবেন। এই মার্কেটপ্লেসটিতে আপনি ক্লায়েন্টের পোস্ট করা কাজে এপ্লাই করার পাশাপাশি নিজের সার্ভিস নিজেই বিক্রি করতে পারবেন।
  • Seoclerks.com, আপনার যদি এসইও সম্বন্ধে কিছু মৌলিক জ্ঞান থেকে থাকে, তাহলে আপনি অনলাইনে কাজ করার জন্য এই ওয়েবসাইটটি বেছে নিতে পারেন, এটি আপনার জন্য খুবই উপযোগী হবে। এই ওয়েবসাইটে কাজের মাধ্যমে ছোট ছোট ব্যবসা মালিকদের এসইও প্যাকেজ করার জন্য আপনাকে ভাড়া করতে পারে।
  • Getacoder.com, একটি সংকেত পদ্ধতির রচয়িতার এবং আপনার পরবর্তী প্রকল্পের জন্য এই ওয়েবসাইটটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই মার্কেটপ্লেসে আপনি ডেভেলপার ডিজাইনার ও লেখকদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য এই মার্কেটপ্লেসটি বেস্ট হবে। এই মার্কেটপ্লেসটি ফ্রিল্যান্সার ডিজাইনার প্রোগ্রামার এবং লেখকদের জন্য একটি নেটওয়ার্ক।
  • Mturk.com, মিনি অনলাইনে কাজ করার জন্য একটি দুর্দান্ত অনলাইন মার্কেটপ্লেস হলো এই Mturk.com এই মার্কেটপ্লেসের মূলত কলেজ ছাত্র এবং অনলাইন পার্ট টাইম কাজ করে অর্থ উপার্জন করা যায়।

লেখকের ইতি কথাঃ ১৬টি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস - বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি?

সম্মানিত পাঠক, আশা করি উপরোক্ত আলোচনাগুলো থেকে ১৬টি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস - বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি? এ বিষয়ে সম্পর্কে পুরোপুরি বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং সবচাইতে জনপ্রিয় ইনকাম করার মাধ্যম। এখানে একটু বুদ্ধি খাটালেই স্বল্প পরিশ্রমে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। তাই ১৬টি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস - বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি?

এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ে উল্লেখিত বিষয়গুলো জেনে নিলে খুব সহজেই আপনি আউটসোর্সিং করে খুব স্বল্প সময় সফলতা অর্জন করতে পারবেন। তবে আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ভালো কিছু করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ১৬টি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস - বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি? এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে তাহলে আপনি খুব সহজেই সফল হতে পারবেন।

সম্মানিত পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থেকে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগের সাথে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে এ ধরনের তথ্যবহুল কার্যকরী ও উপকারী আর্টিকেল নিয়মিত পোস্ট করে থাকি। তাই আপনি যদি এ ধরনের আরও তথ্যবহুল ও উপকারী সব আর্টিকেল পড়তে চান তাহলে অবশ্যই এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ফলো করুন। সাথে সাথে এই আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে আপনার নিকট আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজনদের কাছে তাদের উপকারার্থে শেয়ার করে দিন। যেন তারা ১৬টি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস - বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি?

এ বিষয়ে সম্পর্কে পুরোপুরি ভালোভাবে জেনে নিতে পারে। ১৬টি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস - বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি? এ বিষয় সম্পর্কে আপনার যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ মতামত বা প্রশ্ন থাকে, তাহলে অবশ্যই নিচে দেওয়া মতামত বক্সে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আবার আপনাদের সাথে কথা হবে নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত নিরাপদ ও সুস্থ থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কনফিডেন্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url