৭টি পদ্ধতিতে নিমিষেই ছেলেদের মুখের ব্রণ দূর করার উপায়

প্রতিটি ছেলে-মেয়েই তাদের মুখের ব্রণ দূর করা নিয়ে চিন্তিত থাকে। প্রতিটি ছেলেই চাই যে, তার মুখের ত্বক সব সময় উজ্জ্বল হয়ে থাকুক এবং তাকে ফিট, আকর্ষণীয় ও স্মার্ট দেখাক। কিন্তু আপনার চিন্তার কোন কারণ নেই। কারন আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটির মূল আলোচনায় হচ্ছে ছেলেদের মুখের ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যবহুল ও কার্যকরী আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক!
৭টি পদ্ধতিতে নিমিষেই ছেলেদের মুখের ব্রণ দূর করার উপায়
আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটির মাধ্যমে ছেলেদের মুখের ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে এমন কিছু ইউনিক ও কার্যকরী তথ্য সম্পর্কে জানাবো, যেগুলিকে কাজে লাগিয়ে আপনি খুব সহজেই আপনার মুখের ব্রণ দূর করতে সক্ষম হবেন। অনেক ছেলেরাই জানে না যে, কিছু কার্যকরী উপায় অবলম্বন করলে ও একটু স্কিন কেয়ার করলে নিমিষেই মুখের ব্রণ দূর করা সম্ভব। তাই আপনি যদি ছেলেদের মুখের ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্যই। এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আশা করি তাহলে আলোচ্য বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। ইনশাআল্লাহ!
পেজ সূচিপত্রঃ
.

ভুমিকা

বর্তমান সময়ে আধুনিকতার সংস্পর্শে এসে বিশ্বের প্রায় অধিকাংশ মানুষ তাদের স্বাস্থ্য-সুরক্ষা নিয়ে খুব সচেতন থাকতে চান। এই জন্য অনেকেই বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা সেবার বই পড়ে থাকেন সাথে সাথে অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে ছেলেদের মুখের ব্রণ দূর করার চেষ্টা করে থাকেন। তাই আজকের এই আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে ছেলেদের মুখের ব্রণ দূর করার উপায়-কিভাবে ব্রণ দূর করব? সেই সম্পর্কে। তাই এ বিষয়টি ছেলেরা যদি সম্পূর্ণ ভালোভাবে জেনে নেন তাহলে খুব সহজেই ছেলেদের মুখের ব্রণ দূর করার উপায় গুলো এ্যাপ্লাই করে আরো সুন্দর, আকর্ষণীয়,
নজর কারা ও সুদর্শনী চেহারার অধিকারী করে তুলতে পারবে। এছাড়াও ছেলেদের ব্রণ উঠে কেন / ব্রণ কেন হয়? ছেলেদের মুখের ব্রণ দূর করার উপায়-ব্রনের দাগ দূর করব কিভাবে? কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয়? ব্রণ দূর করার জন্য কি খাওয়া উচিত? ছেলেদের মুখে ব্রণ দূর করার ফেসওয়াস, ছেলেদের ব্রণ দূর করার ঔষধের নাম, ছেলেদের ব্রণ উঠে কেন? এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই ছেলেদের মুখের ব্রণ দূর করার উপায়গুলো জানার জন্য এই পোস্টটি খুবই কার্যকরী।

ছেলেদের ব্রণ উঠে কেন / ব্রণ কেন হয়?

বয়সন্ধিকালে মূলত ব্রনের সমস্যা ছেলেদের ত্বকে বেশি দেখা দেয়। ত্বকের সৌন্দর্য নিমিষেই নষ্ট করে দেয় ব্রণ। সাধারণত ছেলেদের হরমোনাল সমস্যার কারণের জন্য মুখে বেশি ব্রণ উঠে। ছেলেরা মেয়েদের মত তাদের স্কিন নিয়ে অতো সচেতন না। সাধারণত অনিয়মিত খাওয়া - দাওয়া, অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন, বাইরের তেল মশলাযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া, সবশেষে ত্বকের যথেষ্ট পরিমাণে যত্ন না

নেওয়া এরকম বিভিন্ন কারণে ছেলেদের ত্বকে ব্রনের সৃষ্টি হয়ে থাকে। ছেলেদের ত্বক যদি তৈলাক্ত হয় এই কারণেও মুখে ব্রনের দেখা মেলে। তবে ত্বক তৈলাক্ত হওয়ার ফলে ত্বকে ব্রণের পরিমাণ যেন আরো দিন দিন বৃদ্ধি পায়। ছেলেদের ত্বক তৈলাক্ত হলে গালে ব্রণ হওয়া স্বাভাবিক কম বয়সে। ক্ষতিকর প্রসাধনী ব্যবহারের ফলেও মুখে ব্রন দেখা যায়। বিভিন্ন সময় ধূমপান করার ফলে ফুসফুসের বিভিন্ন

রকম সমস্যা দেখা দিলেও তা থেকে কিন্তু গালে ব্রণ বের হয়। মিষ্টি জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খেলেও মুখে ব্রণ উঠে। সাধারণত ছেলেদের হরমোনের ভারসাম্য ব্যাহত হলে বিভিন্ন সময় থুতনিতে ব্রনের সৃষ্টি হয়। চিকিৎসকেরা বলেছেন, ক্যাফেন জাতীয় পানীয় বেশি পান করলে, কপাল ব্রণে ভরে উঠবে। যেসব ছেলেদের লিভার জনিত সমস্যা রয়েছে, তাদের ভ্রুর মধ্যে ব্রণ হতে পারে। আবার যেসব ছেলেদের মাথায় খুব খুশকি রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রেও এমনটা হতে পারে। খাবারে অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ফলে নাকের উপরেও ব্রণ হয়।

পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করলে, পরিমাণের চেয়ে কম ঘুমালে, অতিরিক্ত স্ট্রেসের ফলে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণেও ব্রণ হয়। ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে ত্বকের আদ্রতা হারিয়ে যায় এ কারণেও বিভিন্ন সময় ব্রণ দেখা যায়। সাধারণত টিনএজ ছেলেমেয়েদের ব্রনের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের ত্বকে ব্রনের তীব্রতা অনেকাংশ বেশি। টিনএজ বয়স পেরিয়ে গেলেও ব্রণের সমস্যা দীর্ঘদিন থেকে যায়।

ছেলেদের মুখের ব্রণ দূর করার উপায়-ব্রনের দাগ দূর করব কিভাবে?

ব্রণ ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ও সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। তারুণ্য কিংবা কৈশোর বয়সে ব্রণ হতেই পারে। এটা কোন চিন্তার বিষয় নয়। মুখের যে জায়গা গুলোতে ব্রণ বের হবে সেই সব স্থান খোঁটানো যাবে না। খোঁটানোর ফলে দিন দিন ত্বকে সংক্রমন বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন সময় ব্রণ এমনিতেই ভালো হয়ে যায়, আবার একটু সচেতন হয়ে জীবন - যাপন করলে ব্রণ সারিয়ে তোলা সম্ভব।
চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন,ব্রণ কমে গেল বিভিন্ন সময় মুখে দাগ ছোপ থেকে যায়, এটি আসলে হাইপারপিগমেন্টেশন নামে পরিচিত। ব্রণের থেকেও এ দাগ ছোপ গুলি বেশি জেদি হয়। নিয়মিত ত্বকের যত্ন নিলে এইসব সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে। ছেলেদের ব্রণের দাগ দূর করার নিচে কিছু কার্যকরী উপায় উল্লেখ করা হলোঃ
  • নিয়মিত ত্বকের যত্ন নিতে হবে। শুধু যে ত্বকে ব্রণ বেরোলেই যত্ন করবেন, আর যখন ব্রণ ভালো হয়ে যাবে, তখন আর ত্বকের যত্ন করবেন না, এরকম ভুল কোনোভাবেই করা যাবে না। ব্রণের সমস্যা দূর হওয়ার পরেও ত্বকের যত্ন নিয়মিত ভাবে করা আবশ্যক। মূলত টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং ও ক্লিনজিং নিয়মিত ভাবে ত্বকের যত্নে এগুলো করে যেতে হবে।
  • এক্সফোলিয়েট নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে। সাধারণত স্ক্রাব ত্বকের মৃত কোষকে দূর করতে সহায়তা করে। ত্বকে জমে থাকা ময়লা বাইরে বের করে দেয় এবং দাগ ছোপ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমিয়ে দেয়। এইজন্য বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দেন, বিটা হাইড্রোক্সি অ্যাসিড ও আলফা হাইড্রোক্সি যুক্ত করা এক্সফোলিয়েট ব্যবহার করার।
  • রোদ থেকে ত্বককে ভালোভাবে সুরক্ষা করতে হবে। সাধারণত দাগ ছোপ যুক্ত মুখে রৌদ্রের সান্নিধ্য লাগলে ত্বকের দাগ ছোপ দূর করা মুশকিল হয়ে পড়ে। তাই জন্য রোদে বেরোনোর আগে নিয়মিত প্রতিদিন ত্বকে সানস্ক্রিম ব্যবহার করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তাই জন্য বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দিচ্ছেন, এসপিএফ -৩০ যুক্ত সানস্ক্রিম বাড়িতে থাকলেও ব্যবহার করার।
  • ভিটামিন সি ত্বকের দাগ ছোপ দূর করতে খুবই কার্যকরী সলিউশন। এটি ত্বকে পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে এবং ত্বকের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি ও দাগ ছোপ দূর করতে সাহায্য করে। ত্বকের যত্নে উচ্চ ঘনত্বের সিরাম কিংবা আপনি ঘরে নিজেই তৈরি করুন ভিটামিন সি সিরাম। তারপর আপনার ত্বকে ব্যবহার করুন।
  • আপনার ত্বকের দাগ ছোপ খুব বেশি গভীর হলে, ত্বকের অবস্থা দিন দিন খারাপ হলে, আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
  • আপনার ত্বকে যদি খুব বেশি অ্যাকনি থাকে তাহলে, আপনার ত্বকে কোন ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
  • ব্রণ থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে ঔষধ ও মেডিকেটেড ফেসওয়াস নিয়মিত আপনারা আপনাদের তকে ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে ব্রণ দ্রুত দূর হবে।
  • যদি আপনাদের তাকে অতিরিক্ত ব্রণ থাকে, তাহলে অবশ্যই সেভ করা থেকে বিরত থাকবেন। কারণ এতে সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকাংশেই বেড়ে যায়।
  • প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। আর পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। তাহলে দেখবেন আস্তে আস্তে আপনার ব্রণের সমস্যা দূর হয়ে যাচ্ছে।
  • ভাজাপোড়া খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। রাত জাগা একটি মূল কারণ মুখে ব্রণ হওয়ার তাই জন্য কোনোভাবেই রাত বেশি জাগা যাবে না। চা , কফি ক্যাফিন জাতীয় তরল খাবার খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। রোদে বের হওয়ার আগে অবশ্যই ত্বকের ধারণা অনুযায়ী সানস্ক্রিম ব্যবহার করে বের হওয়া উচিত।
  • প্রতিদিন কমপক্ষে ৬ - ৭ বার মুখ ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুতে হবে, ফলে আপনার ত্বকে ধুলো ময়লা জমে থাকবে না, ধুলো - ময়লা দূর হয়ে যাবে এবং তৈলাক্ত ভাব কমবে।
  • চুলের ধরন অনুযায়ী তেল নির্বাচন করতে হবে। সাবধানতার সাথে মাথায় তেল দিতে হবে, যেন তেল মুখে না লাগে।
  • যদি আপনার মুখের ব্রণ ফাঙ্গাল জাতীয় ব্রণ হয় তাহলে অবশ্যই যেসব খাবারে ইস্ট রয়েছে সেসব খাবার এড়িয়ে চলুন যেমন পিজা , বার্গার, পেডিস ইত্যাদি।
৭টি পদ্ধতিতে নিমিষেই ছেলেদের মুখের ব্রণ দূর করার উপায়

কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয়?

মুখের দাগ ছোপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে ঢেকে দেয়। ফলে আপনার আত্মবিশ্বাস ধীরে ধীরে কমতে থাকে। তখন আপনি বুঝতে পারেন না আপনার কি করা উচিত? এর পেছনের মূল কারণ কি? আপনি লোকজনের সাথে দেখা করতে লজ্জা বোধ অনুভূত হয়। বয়সন্ধিকালে যদি মুখে ব্রণ বের হয়, তাহলে এটা স্বাভাবিক বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ এই সময় শরীরের বিভিন্ন ধরনের হরমোনাল পরিবর্তন ঘটে। যা প্রথমে আপনার ত্বকের উপর প্রভাব ফেলে এবং পরবর্তী সময়ে সেটা সেরেও যায়।
কিন্তু আবার বিভিন্ন সময় দেখা যায়, বয়সন্ধিকাল পার হলেও অনেকের আবার এই ব্রণের সমস্যা থেকেই যায়। এর মূল কারণ আপনি স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করছেন না, ডায়েট মেনে চলছেন না, তার জন্যই এই সমস্যা আপনার পিছু ছাড়ছে চাচ্ছে না। আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের ঘাটতি হলে সাধারণত এই ব্রণের সমস্যাগুলো দেখা দেয়, তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন ভিটামিনের অভাবে মূলত ব্রণের সমস্যা সৃষ্টি হয়।
  • ভিটামিন ডি এর অভাবে মূলত অনেক সময়ই মুখে ব্রণ হয়। ভিটামিন ডি শরীরের ইমিউনিটির মাত্রা অনেকাংশে বাড়াই। সাধারণত ভিটামিন ডি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ত্বকের প্রদাহ কমায়। ভিটামিন ডি যুক্ত একটি খাবার হল ডিম। তাই জন্য নিয়মিত খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার যুক্ত করতে হবে।
  • ভিটামিন এ ত্বকের ব্রণ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ভিটামিন এ হলো এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ত্বককে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে আমাদের ত্বককে রক্ষা করে। তাই প্রতিদিন ভিটামিন এ যুক্ত খাবার নিয়মিত খেতে হবে।
  • সাধারণ ভিটামিন ই এর অভাবে মুখে ব্রণ দেখা দেয়। ভিটামিন ই প্রদাহরোধী বা ইনফ্লেমেটরি গুণে ভরপুর। তাই জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ভিটামিন ই যুক্ত খাবার যুক্ত করতে হবে। ব্রণ কে চিরতরে দূর করতে চাইলে অবশ্যই ভিটামিনযুক্ত খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে হবে।
  • ভিটামিন বি-৩ অভাবেও মুখে ব্রনের দেখা মেলে। তাই খাদ্য তালিকায় অল্প হলেও ভিটামিন বি-৩ যুক্ত করুন।

ব্রণ দূর করার জন্য কি খাওয়া উচিত?

নিত্যদিনের জীবনে প্রায় প্রত্যেক মানুষের একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে মুখে ব্রণ উঠা। ব্রণ উঠার ফলে মুখের সৌন্দর্য ম্লান হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লাইফস্টাইলের কিছু পরিবর্তন এবং খাদ্যাভ্যাসের কিছু পরিবর্তনে পাওয়া যেতে পারে ব্রণ অ্যাকনি মুক্ত ত্বক। আরো বলছেন বিশেষজ্ঞরা, ব্রণ মুক্ত ত্বক পাওয়ার জন্য খাবারের তালিকায় স্বাস্থ্যকর খাবার যুক্ত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

যেন আমাদের শরীরে রক্ত সবসময় পরিশুদ্ধ থাকে এবং পাশাপাশি ধুলো ময়লার হাত থেকে আমাদের ত্বককে রক্ষা করে। তাই জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্বকের যত্ন নেওয়া উচিত। প্রতিদিন কমপক্ষে ১০-১২গ্লাস পানি পান করা উচিত। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পানের ফলে শরীর থেকে বিষাক্ত টক্সিন বের হয়ে যায়। ভিটামিন ই, জিংক ওমেগা-৩ ফাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যুক্ত করা অতী জরুরী।

ডিম, কমলা, সূর্যমুখীর বীজ, কিউই ইত্যাদি ব্রণ দূর করার জন্য খুবই কার্যকরী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, স্বাস্থ্যকর ত্বক পেতে সপ্তাহে কমপক্ষে অন্তত দুইদিন টুনাফিস জাতীয় মাছ খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। এই ধরনের মাছে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ওমেগা-৩ ওমেগা-৬ যা সুস্থ ত্বকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ পাশাপাশি ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আপেল, টমেটো এগুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে লাইকোপেন। যা আমাদের ত্বককে পিগমেন্টেশন এর হাত থেকে রক্ষা করে।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় পাশাপাশি ত্বককে হাইড্রেশন রাখতে সহায়তা করে। ত্বকের যত্নে নিয়মিত ডাবের পানি, নারিকেল এগুলো খেতে পারেন এগুলো ত্বককে ভিতর থেকে সুস্থ রাখে। লাল আঙ্গুরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান রয়েছে যা ত্বকে ব্রনের প্রবণতা অনেকটাই কমিয়ে দেয়। রসুনে প্রচুর পরিমাণে ঔষধি গুনাগুন বিদ্যমান রয়েছে। ত্বকের জন্য রসুনের উপকারিতা অনেক। শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে দেয় এই রসুন পাশাপাশি ত্বকের নানা সমস্যা নির্মূল করে।
  • কমলালেবুঃ কমলা তে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি বিদ্যমান রয়েছে। ভিটামিন সি ব্রণ দূর করার জন্য খুবই কার্যকরী একটি সলিউশন। এতে বিদ্যমান রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের কোষকলার ভারসাম্য রক্ষা করে, ফলে ত্বক থাকে সুস্থ।
  • পেঁপেঃ পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে কায়ম্যাপোপেইন, এনজাইম এবং প্যাপাইন বিদ্যমান রয়েছে। যা ব্রণ দূর করতে সহায়তা করে। পেঁপে খাওয়ার ফলে ব্রনের যে দাগ ছোপ থাকে সেগুলো নির্মূল করে পাশাপাশি ত্বককে পরিষ্কার রাখে এবং ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। পেঁপে হল ভিটামিন এ সমৃদ্ধ একটি ফল যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
  • তিসি ও আখরোটঃ তৈলাক্ত মাছ, তিসি ও আখরোটে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড বিদ্যমান রয়েছে। যা ত্বকের প্রদাহ কমায় পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া এবং বাড়তি সিবাম উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটায়। হরমোনের বিভিন্ন ধরনের ভারসাম্যহীনতার কারণে ত্বকে ব্রনের আক্রমণ বেড়ে যায়। তাই জন্য প্রতিদিন ফাটি অ্যাসিড জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করা খুবই প্রয়োজনীয়।
  • মাশরুমঃ জিংকের খুবই ভালো উৎস হল এই মাশরুম। জিংক ব্যাকটেরিয়ার সাথে লড়াই করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে কমে যায়। তাই জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে জিংক জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করা উচিত।
  • বেরিজাতীয় ফলঃ ব্লুবেরি, চেরি, স্ট্রবেরির মত ফলে এক ধরনের বিশেষ অ্যাসিড রয়েছে যা আমাদের দেহের রক্তকে পরিশুদ্ধ করতে সহায়তা করে। ফলে রক্তের চলাচল স্বাভাবিক থাকে। এই ফল গুলোতে ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান রয়েছে পাশাপাশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।ত্বকের কালো দাগ ছোপ দূর করে দেয়।
  • কুমড়োঃ জিংক এ বিদ্যমান রয়েছে আলফা হাইড্রিক অ্যাসিড, জিংক। ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য রক্ষা করে। কুমড়ো ত্বকের মৃত কোষ গুলোকে দূরীভূত করে। ত্বকের সমস্যা দূর করতে চাইলে কুমড়ো নিয়মিত খান খাদ্য তালিকায় যুক্ত করেন।
  • রঙিন শাক-সবজিঃ পুঁইশাক, লালশাক, পালংশাক, বাঁধাকপি, ব্রকলি প্রভূতি ত্বককে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এতে বিদ্যমান রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফোলেট, আশঁ ও নানা ধরনের ভিটামিন। ত্বকের ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত শাক সবজি খেলে ব্রণ চিরতরে দূর করা যায়। তাই জন্য ত্বককে সুস্থ রাখতে চাইলে, প্রতিদিন শাক-সবজি খাওয়া আবশ্যক।

ছেলেদের মুখে ব্রণ দূর করার ফেসওয়াস

আপনারা তো জানেন ফেসওয়াশ কত গুরুত্বপূর্ণ আমাদের ত্বকের জন্য। এটা আমাদের স্কিনকে অনেক ভালোভাবে পরিষ্কার করে আমাদের ত্বককে গ্লোয়িং বানায়। সাথে আমাদের ত্বককে অ্যাকনি আর পিম্পল ফ্রী বানিয়ে ত্বকের ভারসাম্যতা বজায় রাখে। এবার আপনি মার্কেটে তো বিভিন্ন রকম ফেসওয়াশ পেয়ে যাবেন। কিন্তু আপনার ত্বকের জন্য কোন ফেসওয়াস টি বেস্ট হবে ওই ব্যাপারে আমি কথা বলব।

আজকে আমি আপনাকে সাতটি বেস্ট ফেসওয়াস সম্পর্কে বলব। যেটা আপনার স্কিনের জন্য সবচেয়ে বেস্ট হবে। যেটাকে ব্যবহার করে আপনি আপনার স্কিনের অনেক পরিবর্তন দেখতে পাবেন। প্রথমে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়মের কথা বলি যেটা আপনি সব সময় ফলো করবেন। 

ফেসওয়াস কেনার সময় কোন ফেসওয়াশ কিনবো? এবং কোন ফেসওয়াশ ব্যবহার করবো?

প্রথম নিয়মঃ যেটা আপনাকে সবসময় ফলো করতে হবে সেটা হল সব সময় আপনাকে কেমিক্যাল ফ্রী ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে হবে।মার্কেটে আপনি বিভিন্ন ধরনের ফেসওয়াস পেয়ে যাবেন যেটাতে অনেক বেশি পরিমাণে কেমিক্যাল যুক্ত থাকে। আপনি যখনই মার্কেট থেকে কোন ফেসওয়াশ নিতে যাবেন তো আপনাকে দেখতে হবে ওই ফেসওয়াশের ভেতর যেন উচ্চ কেমিক্যাল যুক্ত ইনগ্রেডিডেন্ট না থাকে যেমন PARABENS, SULPHATE, ALCOHOL, FRAGRANCE, যদি এইসব কোন একটি ইনগ্রেডিয়েন্ট আপনার ফেসওয়াশ এর মধ্যে থাকে তাহলে আপনার স্কিন অতিরিক্ত ড্রাই হয়ে যাবে।
আপনার স্কিনকে ইরিটেশন করতে পারে তার সাথে স্কিনে এলার্জি ও হতে পারে।যদি এ সকল কেমিক্যাল আপনার ফেসওয়াশ এর ভিতরে থাকে আর যদি আপনি হাই কোয়ালিটি গ্লো স্কিন পেতে চান তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো অপশন হবেআপনি একটি কেমিক্যাল ফ্রী ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন।যেটা আপনার স্কিনকে ভালো রাখবে ত্বকের কোনো ক্ষতি করবে না। সেটি ব্যবহার করলে আপনি নিজেই আপনার স্কিনের পরিবর্তন বুঝতে পারবেন।

দ্বিতীয় নিয়মঃ আপনি আপনার স্কিনের ধরন অনুযায়ী ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন। যদি আপনার ফেসওয়াশ অন্য স্কিনের জন্য হয় তাহলে সেটা আপনার ত্বকে ব্যবহার করা ঠিক হবে না।যেমন আপনার স্কিন যদি বেশি ড্রাই হয় তাহলে আপনি এমন একটি ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন যেটা অয়েলি স্কিনের লোকেদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে আপনার স্কিন আরো বেশি ড্রাই হয়ে যায়।
 
আর এর কারণে আপনার স্কিনখিচে খিচে থাকা বা আঁকড়ে ধরে রাখার মতো লাগে সাথে স্কিনে চুলকানিও হয়। তাই জন্য আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে আপনি এমন একটি ফেসওয়াস কিনুন আর ব্যবহার করুন যেটা আপনার স্কিনের জন্য পারফেক্ট হয়। যেটাকে আপনি লম্বা সময় ধরে ব্যবহার করতে পারেন।সাধারণত আমাদের স্কিন চার ধরনের হয় যেমন NORMAL, OLAY, DRY,

COMBINATION,এখন কথা হচ্ছে আপনি কিভাবে বুঝবেন আপনার স্কিনের জন্য কোন ফেসওয়াশ টি উপযুক্ত।তাহলে চলুন আমি আপনাকে বলি কিভাবে বুঝবেন কোন ফেসওয়াশটা আপনার জন্য উপযুক্ত।প্রথমে আপনি যে কোন একটি ফেসওয়াশ দিয়ে আপনার মুখ ওয়াশ করুন তারপর ২-৩ ঘন্টা আপনার ত্বককে এমনি ছেড়ে দেন। তারপর আপনার পুরো মুখ আপনার আঙ্গুল দিয়ে ছুঁয়ে দেখুন।

আঙ্গুলে যদি কোন রকম অয়েল দেখতে না পান আপনার স্কিন প্রথমের মতোই রয়েছে তাহলে ওটি হলো নরমাল। যদি আপনার ফেস এবং আঙ্গুলে তেল দেখতে পান তাহলে আপনার স্কিন অয়েলি আছে। এর বিপরীত যদি আপনার স্কিন দুই থেকে আড়াই ঘন্টা পর অনেক রুক্ষ শুষ্ক এবং খিচাখিচা হয়ে থাকে তাহলে আপনার স্কিন ড্রাই আছে। আর যদি আপনার শুধু কপালে ও নাকে অয়েল দেখতে পান আর বাকি ফেস আপনার ড্রাই মানে শুকনো থাকে তাহলে আপনার স্কিন কম্বিনেশন আছে।

কোন ৭ টি টপ ফেসওয়াশ খুব স্বল্প মূল্যে পেয়ে যাবেন ?

তাহলে চলুন এবার জেনে নেয়া যাক সেই টপ ৭ টি ফেসওয়াশ সম্পর্কে। যেটা আপনি খুব স্বল্প মূল্যে পেয়ে যাবেন। আপনি আপনার স্কিনের ধরন অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারেন।
  • নরমাল স্কিনের জন্যঃ URBAN BOTANICS ( NEEM AND TEA TEA ) FACE WASH.যদি আপনার নরমাল স্কিন হয় তাহলে এই ফেসওয়াশ টি আপনার জন্য পারফেক্ট। এই ফেসওয়াশে কোন ধরনের কেমিক্যাল নেই। এই ফেসওয়াশে রয়েছে TEA TREE, BASIL, NEEM এমন ইনগ্রিডিয়েন্ট পাওয়া যায় যেটা আপনার ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে আর সাথে পিম্পল কন্ট্রোল করে। এছাড়াও আপনি এই ফেসওয়াস টি ব্যবহার করার ফলে অনেক ফ্রেস ফিল করবেন।
  • সব ধরনের স্কিনের জন্যঃ WOW VITAMIN C FACE WASH. এই ফেসওয়াশ সব স্কিনের জন্যই উপযোগী নরমাল, ড্রাই, অয়েলি, কম্বিনেশন। এই ফেসওয়াশে কোনরকম ক্ষতিকর কেমিক্যাল পাবেন না যেটা আপনার স্কিনকে ড্যামেজ করতে পারে। MULBERRY LIQUORICE VITAMIN C সাথে সাথে ওয়ারেন্জ এবং লেমনের এর এসেন্সিয়াল ওয়েল পাওয়া যায় যেটা আপনার স্কিনকে হাইড্রেট রাখে। আর সাথে আপনার ডালস্কিনকে ব্রাইট আর উজ্জ্বল বানিয়ে দেয়।
  • অয়েলি স্কিনের জন্যঃ MINIMALIST SALICYLIC ACID FACE WASH.যাদের অয়েলি স্কিন তাদের জন্য এই ফেসওয়াস টি সবচেয়ে ভালো হবে। কারণ তাদের ত্বকে অ্যাকনি ও পিম্পলসের প্রবলেম বেশি হয়। এই ফেসওয়াশ টিতে আপনি SALICYLIC ACID এর সাথে সাথে ZINC ও পেয়ে যাবেন। এটি আপনার স্কিনকে নরম ও সফট বানাতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি আপনার অয়েল প্রোডাকশন কেউ কন্ট্রোল করবে। যেটা থেকে আপনার অ্যাকনি ও পিম্পলের প্রবলেম ধীরে ধীরে দূর হয়ে যায়। যদি আপনার অয়েলি স্কিন হয় এবং অ্যাকনির অনেক প্রবলেম থাকে তাহলে এই ফেসওয়াস টি আপনার ত্বকের জন্য পারফেক্ট।
  • অয়েলি স্কিনের জন্যঃ MAMA EARTH CHARCOAL FACE WASH. এটিও অয়েলি স্ক্রিন লোকেদের জন্য অনেক ভালো ফেসওয়াশ। যেটা আপনি গরমকালে প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারেন। এই ফেসওয়াশে আপনি ACTIVATED CHARCOAL পেয়ে যাবেন। এটি আপনার ত্বককে DARK, POLLUTION, SWEAT, EXCESS OIL. অতিরিক্ত তেল পরিষ্কার করে আপনার ত্বককে চকচকে ঝকঝকা করে দিবে। এছাড়াও এই ফেসওয়াশে আপনি কফি ও পাবেন। যা স্কিনের মৃত কোষ দূর করে। স্কিনের আসল কালার কে গ্লো করে।
  • খিচাখিচা স্কিনের জন্যঃ CETAPHIL ( GENTLE SKIN ) FACE WASH.যদি আপনার স্কিন অনেক খিচাখিচা হয়ে থাকে, আর শুকনো রুক্ষ হয়ে থাকে এবং আপনার স্কিন অনেক সেনসিটিভ হয় তাহলে এই ফেসওয়াশটি আপনার জন্য উপযুক্ত। এই ফেসওয়াস টি আমাদের স্কিনকে জেনুয়ালি পরিষ্কার করে। এই ফেসওয়াশ PARABEN, SULPHATE, FRAGRANCE ফ্রি। এই ফেসওয়াশটি আপনি প্রতিদিন আপনার ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এই ফেসওয়াশটিতে NIACINAMIDE, PANTHENOL, GLYCERINE অনেক ভালো ইনগ্রিডিয়েন্ট পাওয়া যায়। যেটা আপনার ড্রাই স্কিনকে মশ্চারাইজ করে। আর পুরো দিন আপনার ত্বককে ভালো রাখে।
  • ড্রাই স্কিনের জন্যঃ MCAFFINE MILK AND COFFEE FACE WASH. ড্রাই স্কিন যুক্ত লোকেদের জন্য এই ফেসওয়াশটি খুবই ভালো। এই ফেসওয়াশটি আপনি সকাল সন্ধ্যা প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারবেন। এই ফেসওয়াসটিতে আপনি কফির সাথে সাথে ALMOND MILK সিবাট এর মত ইনগ্রিডিয়েন্ড পাওয়া যায়। যেটা আপনার ড্রাই স্কিনকে পুরো দিন হাইড্রেট রাখে।
  • কম্বিনেশন স্কিনের জন্যঃ AROMA MAGIC NEEM AND TEA TREE FACE WASH.যদি আপনার কম্বিনেশন ফেস হয় তাহলে এই ফেসওয়াশ টি আপনার ত্বকের জন্য উপযুক্ত।এই ফেসওয়াশ টি তে TEA TREE, NEEM এর মতো ইনগ্রিডিয়েন্ট আপনার স্কিনের অয়েল প্রোডাকশন কে কন্ট্রোল করে। আপনার স্কিন কে পুরো দিন ফ্রেশ রাখে। 
ছেলেদের মুখের ব্রণ দূর করার ক্রিম,ফেসওয়াশ ও ঔষধের নাম
উপরের এই ফেসওয়াশ গুলো ছিল সবচেয়ে বেস্ট ফেসওয়াশ। যেটা আপনি ব্যবহার করে আপনার ত্বকের অনেক পরিবর্তন বুঝতে পাবেন।

ছেলেদের মুখে ব্রণ দূর করার ক্রিম

সাধারণত ত্বকে ব্রণ হওয়ার ফলে ত্বকের প্রাকৃতিক গুলো নষ্ট করে দেয়। একসময় ব্রণ ঠিকই ভালো হয়ে যায় কিন্তু ব্রণ হওয়ার ফলে যে দাগ ছোপ এবং গর্তে সৃষ্টি হয় সেগুলো থেকে যায়। তাহলে কি এ দাগ গুলো কখনোই দূর হবে না? অবশ্যই হবে। সেজন্য দরকার ত্বকের পর্যাপ্ত পরিমাণে যত্ন এবং ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে, সে অনুযায়ী স্কিন প্রোডাক্ট বেছে নিতে হবে। চলুন তাহলে ছেলেদের মুখের ব্রণ দূর করার ক্রিমের নাম জেনে নেওয়া যাক!
  • নোভা ক্লিয়ার একনি ক্রিমঃ ইউরোপিয়ান ব্র্যান্ডেড এবং ডার্মাটোলজিস্ট স্বীকৃত এই নোভাক্লিয়ার একনি ক্রিম। সাধারণত এই ক্রিমটি কম্বিনেশন, অয়েলি, একনি স্কিনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। এই ক্রিমে বিদ্যমান রয়েছে প্যানথেনল, স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ও স্কুয়ালেন। এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে স্যালিসাইলিক এসিড এবং ত্বকের ব্রণের দাগ ছোপ ও ব্রণের গর্ত দূর করে। ত্বককে হাইড্রেট রাখতে সহায়তা করে স্কুয়ালেন। এছাড়াও এতে থাকা বিভিন্ন ধরনের ইনগ্রেডিয়েন্ট ত্বককে ব্রণমুক্ত সতেজ ও প্রাণউজ্জ্বল রাখে।
  • নোভাক্লিয়ার একনি ক্লিনজারঃ ক্লিনজার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ত্বকের পরিচর্যা। কারণ ত্বক যত বেশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে তত ত্বকের লাবণ্যতা ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্বকের যত্ন না করলে বেশি ব্রণের সৃষ্টি হয়। ব্রণ থেকে পরিত্রাণ পেতে আপনারা নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন NOVA CLEAR ACNE CLEANSER.যা গভীরভাবে আপনার স্কিনকে পরিষ্কার করবে পাশাপাশি সিবাম কন্ট্রোল করবে। ফলে ত্বকের ভারসাম্য বজায় থাকে। এতে বিদ্যমান থাকা টি ট্রি এবং ব্রেন টিয়ের নির্যাস ত্বকের জ্বালাপোড়া দূর করে। এই ক্রিমটি কম্বিনেশন ও একনি পিম্পল স্কিনের জন্য খুবই উপকারী।
  • নরম্যাকনে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ক্লিনজিং ফেসিয়াল জেলঃ ক্লিনজার স্কিন পরিষ্কারের জন্য ম্যাজিকের মত কাজ করে। মার্কেটে বিভিন্ন ধরনের ক্লিনজার পাওয়া যায় ত্বক পরিষ্কার হলেও মুখের জ্বালাপোড়া দূর হয় না। এটা থেকে মুক্তি পেতে হলে আপনারা নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন NORMACNE ANTIBACTERIAL CLEANSING FACIAL GEL.যা ত্বকের জ্বালাপোড়া ম্যাজিকের মতো দূর করবে পাশাপাশি আপনার ত্বকের সিবাম নিয়ন্ত্রণ করবে এবং ব্রণ নিয়ন্ত্রণ করবে আর ত্বকে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনবে। গ্রিন টি এর নির্যাস এবং জিংকিডোন ত্বকের ধুলো ময়লা দূরীভূত করে। ব্রণের ব্যাকটেরিয়া সাথে লড়াই করে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে পাশাপাশি ব্রনের হাত থেকে রক্ষা করে। অ্যান্টিসেপটিক প্রোপারটিজ ত্বককে রক্ষা করা ইনফেকশন হওয়া থেকে।
  • নরম্যকনে একনি স্পট ট্রিটমেন্টঃ ব্রণ দূর হলেও ব্রণের দাগ, ছোপ, গর্ত থেকে যায়া। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে চাইলে আপনারা চোখ বন্ধ করে ব্যবহার করতে পারেন NORMACNE ACNE SPOT TREATMENT. যা ত্বকে এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে পাশাপাশি ব্রণের দাগ, ছোপ, গর্ত, দূর করে। ত্বককে পরিষ্কার রাখে মৃত কোষ দূর করে এবং স্কিনের বন্ধ পোরসের লোমকূপ খুলে দেয়। স্কিনের গর্ত দাগ ছোপ দূর হয় ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বলতা ফিরে পায়। স্কিন এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে SALICYLIC ACID.এটি বন্ধ পোরসের মুখ খুলতে সহায়তা করে। আর এটি LAURIC ACID, OLE ACID ও MYRISTIC ACID.এর সমন্বয়ে তৈল গ্রন্থি মৃত কোষ দূরীভূত করতে সহায়তা করে পাশাপাশি স্কিনের তৈলাক্ত ভাব দূর করে এবং ত্বকে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। TRANSPARENT FORMULA এই প্রেমের সারাদিন ব্যবহারের ফলেও কোন সমস্যা সৃষ্টি হবে না।
  • ডার্মাডিক্সস আন্টি একনি সিরামঃ DERMEDICS এর ANTI ACNE SERUM ROLL ON.ব্রণের সমস্যা দূর করার জন্য খুবই ভালো একটি সলিউশন। এটি ব্রনের সমস্যা অনায়াসে দূর করে। এটি সাধারণত অনেক দাগ ছোপ, ত্বকের জ্বালাপোড়া, ত্বকের চুলকানি এবং ত্বকের লালচে ভাব অনায়াসে দূর করে। ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস, একটিভ ফর্মুলা ব্রণ, ইম্পারফেকশন ও পিগমেন্টেশন প্রভুতি থেকে রক্ষা করে। নিয়মিত ব্যবহারের ফলে আপনি আপনার ত্বকের পরিবর্তন বুঝতে পারবেন।
  • ওয়ান নাইট একনি প্যাচঃ ONE NIGHT ACNE SOLUTION PATCH.এটি সাধারণত রাতের বেলা ঘুমোতে যাওয়ার আগে ব্রনে আক্রান্ত জায়গা গুলোতে লাগিয়ে রাখতে হয়। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ ওয়াশ করে নিতে হয়। এতে বিদ্যমান রয়েছে MAGNESIUM, MAGNESIUM OXIDE, HYDROCOLLOID.এটি ম্যাজিকের মত এক রাতেই অনেকাংশে কমিয়ে ফেলে। ত্বকের অয়েলি ভাব, ত্বকের জ্বালাপোড়া, ত্বকের পিএইচ মান ভারসাম্য রক্ষা করে পাশাপাশি ত্বকের গর্ত, দাগ, ছোপ, নিমেষে দূর করে।

ছেলেদের ব্রণ দূর করার ঔষধের নাম

যেসব ছেলেদের মুখে অতিরিক্ত ব্রণ বের হয় কিন্তু যা একেবারে ভালো হতে চাই না, ব্রণ নিয়ে অনেক সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকরী। আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে আপনি আপনার মুখের ব্রণের সমস্যা চিরতরে দূর করার সলিউশন পাবেন ইনশাআল্লাহ। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ছেলেদের মুখের ব্রণ দূর করার ঔষধের নাম ঔষধের দাম এবং ব্যবহারবিধি সম্পর্কে নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
ক্রমিক নং ঔষধের নাম কোম্পানীর নাম ঔষধের দাম ব্যবহার-বিধি
০১ Isotretinoin 20mg ক্যাপসুল Les Laboratoires Servier Industrie France. ১৩০ টাকা পিস। অতিরিক্ত ব্রণ দ্রুত ভালো করে।
০২ Isotretinoin 10mg ক্যাপসুল Les Laboratoires Servier Industrie France. ১২০ টাকা পিস। অতিরিক্ত ব্রণ দ্রুত ভালো করে।
০৩ Reticap 10mg ক্যাপসুল Roche Pharmaceuticals Ltd. ৯৭.৩৩ টাকা পিস। এটিও মারাত্মক আকারের ব্রণের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
০৪ Akno 10mg ক্যাপসুল Drug International Limited. ৫৫ টাকা পিস। মারাত্মক আকারের ব্রণের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
০৫ Aknill 10mg ক্যাপসুল Incepta Pharmaceuticals Ltd. ৪০ টাকা পিস। এটিও মারাত্মক আকারের ব্রণের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
০৬ Roaccutane 10mg ক্যাপসুল UniMed UniHealth Pharmaceuticals Ltd. ৪০ টাকা পিস। এটিও মারাত্মক আকারের ব্রণের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।

লেখকের ইতি কথাঃ ছেলেদের মুখের ব্রণ দূর করার উপায়-ব্রনের দাগ দূর করব কিভাবে?

সুপ্রিয় পাঠক, আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে ছেলেদের মুখের ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে পুরোপুরি ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। ছেলেদের মুখের ব্রণ দূর করার উপায় গুলো ভালোভাবে জেনে নিয়ে সঠিক গাইডলাইন ও নিয়ম মাফিক প্রয়োগ করলে, অবশ্যই আপনি আপনার মুখে ব্রণ দূর করতে সক্ষম হবেন। ছেলেদের মুখের ব্রণ দূর করার উপায় গুলো ভালোভাবে জেনে নিয়ে কতটুকু ব্রণ ভালো করতে

সক্ষম হবেন সেটা আপনার সঠিক গাইডলাইন ও নিয়ম মাফিক ফর্মুলা প্রয়োগের উপর নির্ভর করছে। সম্ভাব হলে একজন ভালো চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে ছেলেদের মুখের ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে একটি কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। ইনশাল্লাহ তাহলে দেখবেন অতি শীঘ্রই আপনার মুখের ব্রণ দূর হয়ে যাবে।

সম্মানিত পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থেকে এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগের সাথে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে এ ধরনের তথ্যবহুল ও কার্যকরী আর্টিকেল নিয়মিতই পোস্ট করে থাকি। তাই আপনি যদি এ ধরনের আরও তথ্যবহুল ও উপকারী আর্টিকেল পড়তে চান, তাহলে এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ফলো করুন। সাথে সাথে এই আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে আপনার নিকট আত্মীয় বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজনদের কাছে তাদের উপকারার্থে শেয়ার করে দিন।

যেন তারা ছেলেদের মুখের ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে পারে। ছেলেদের মুখের ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে আপনার যদি কোন মতামত বা প্রশ্ন থাকে, তাহলে অবশ্যই নিচে দেওয়া মতামত বক্সে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আবার আপনাদের সাথে কথা হবে নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত নিরাপদ ও সুস্থ থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কনফিডেন্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url