৮টি পদ্ধতিতে চিরতরে মেয়েদের মুখের ব্রণ ও কালো দাগ দূর করার উপায়
প্রতিটি মেয়েরাই তাদের মুখের ব্রণ ও কালো দাগ দূর করা নিয়ে চিন্তিত থাকেন।
প্রতিটি মেয়েই চাই যে তার মুখের ত্বক সবসময় উজ্জ্বল হয়ে থাকুক। এইজন্য আর
আপনার চিন্তার কোন কারণ নেই। কারণ আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটির মূল আলোচনায় হচ্ছে
মেয়েদের মুখের ব্রণ ও কালো দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে। এ বিষয়ে বিস্তারিত
তথ্যবহুল ও কার্যকরী আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক!
আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটির মাধ্যমে মেয়েদের মুখের ব্রণ ও কালো দাগ দূর
করার উপায় সম্পর্কে এমন কিছু ইউনিক ও কার্যকরী তথ্য সম্পর্কে জানাবো, যেগুলিকে
কাজে লাগিয়ে আপনি খুব সহজেই আপনার মুখের ব্রণ ও কালো দাগ দূর করতে সক্ষম হবেন।
অনেক মেয়েরাই হয়তো জানেন না যে, কিছু কার্যকরী উপায় অবলম্বন করলে নিমিষেই
মুখের ব্রণ ও কালো দাগ দূর করা সম্ভব। তাই আপনি যদি মেয়েদের মুখের ব্রণ ও কালো
দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো জানতে চান তাহলে আজকের এই
আর্টিকেল শুধুমাত্র আপনার জন্যই। এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
তাহলে আশা করি আলোচ্য বিষয়ে বিস্তারিতভাবে নির্ভুল সব তথ্যগুলো জানতে পারবেন।
ইনশাআল্লাহ!
পেজ সূচিপত্রঃ
.
ভুমিকা
বর্তমান সময়ে আধুনিকতার স্পর্শে এসে বিশ্বের প্রায় অধিকাংশ মানুষ তাদের
স্বাস্থ্য-সুরক্ষা নিয়ে খুব সচেতন থাকেতে চান। এজন্য অনেকেই বিভিন্ন ধরনের
চিকিৎসা সেবার বই পড়ে থাকেন ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে মেয়েদের মুখের
ব্রণ ও কালো দাগ দূর করার চেষ্টা করে থাকেন। তাই আজকের এই আর্টিকেলের আলোচ্য
বিষয় হচ্ছে মেয়েদের মুখের ব্রণ ও কালো দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে।
তাই এ বিষয়টি মেয়েরা যদি সম্পূর্ণ ভালোভাবে জেনে নেন তাহলে খুব সহজেই মেয়েদের
মুখের ব্রণ ও কালো দাগ দূর করার উপায় গুলো এপ্লাই করে তারা নিজেদেরকে আরো
সুন্দর, আকর্ষণীয়, নজর কাড়া ও সুশ্রী চেহারার অধিকারী করে তুলতে পারবে। এছাড়াও
মেয়েদের মুখে ব্রণ কেন হয়? ব্রনের দাগ দূর করব কিভাবে? ব্রণ দূর করার জন্য কি
খাওয়া উচিত? কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয়?
আরো পড়ুনঃ দ্রুত মাথা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
ঘরোয়া উপায়ে ত্বক থেকে ব্রণ এবং ব্রনের দাগ ছোপ দূর করতে কিছু কার্যকরী সমাধান,
বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়, টমেটো দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়, লেবু দিয়ে
ব্রণ দূর করার উপায়, বেসন দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়, মেয়েদের ব্রণের দাগ দূর
করার ক্রিম, মেয়েদের মুখের ব্রণ দূর করার ঔষধের নাম, ঔষধের দাম এবং ব্যবহারবিধি
সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই মেয়েদের মুখের ব্রণ ও কালো দাগ দূর করার
জন্য এই পোস্টটি খুবই কার্যকরী।
মেয়েদের মুখে ব্রণ কেন হয়?
সাধারণত বয়সন্ধিকালে মেয়েদের মুখের ত্বকে ব্রণ বেশি দেখা যায়। ব্রণের সমস্যায়
ভোগে নাই এমন মেয়ে পাওয়া ভার। মূলত হোয়াইটহেডস, ব্ল্যাকহেইডস এবং বিভিন্ন রকম
সিস্ট ইত্যাদির কারণে মুখে ব্রণ বের হয়। সাধারণত ত্বকের নিচের তৈল গ্রন্থি থেকে
এক ধরনের সেবেসিয়াস থেকে নিশ্রিত তেল আমাদের ত্বককে ভালো রাখে এবং প্রাকৃতিকভাবে
ময়েশ্চারাইজার এর কাজ করে। কিন্তু এই গ্রন্থির মুখ
যদি কোন ভাবে বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজারের কাজ বন্ধ হয়ে
যায়। তখন মেয়েদের মুখে বিভিন্ন রকম ব্রণ সৃষ্টি হয়। সাধারণত মেয়েদের মুখে
ব্রণ হওয়ার বিশেষ কারণ হলো অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, বাইরের তেল মশলাযুক্ত খাবারের
প্রতি বেশি ঝুঁকে পড়া, অনিয়মিত খাওয়া দাওয়া করা, বাইরের খাবারের প্রতি বেশি
আসক্ত, পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করা, ত্বকের প্রতি পর্যাপ্ত যত্নশীল না
হওয়ার কারণে এবং যদি মেয়েদের ত্বক বেশি তৈলাক্ত হয় তাহলে তাদের বেশি ব্রণ
হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ ত্বক তৈলাক্ত হওয়ার কারণে বিভিন্ন রকম ব্যাকটেরিয়ার
আক্রমণেই মুখে মূলত ব্রণ বের হয়। সাধারণত গালে, থুতনিতে, কপালে, ব্রণে বেশি
আক্রান্ত হয়। বিভিন্ন সময় বেশি মিষ্টি জাতীয় খাবার গ্রহণের ফলে মুখে ব্রণ হয়।
আবার হরমোনের ভারসাম্যতে ব্যাঘাত ঘটলেও মুখে ব্রণের আবির্ভাব হয়।
বিভিন্ন ডাক্তারগণ বলে থাকেন, ক্যাফিন জাতীয় পানি বেশি পান করলে মুখে ব্রণ
সৃষ্টি হয়। পরিসংখ্যান বলছে সারা বিশ্বে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ টিনেজার ব্রণের
সমস্যায় আক্রান্ত হয়। প্রায় ৬৫০ মিলিয়ন তরুন তরুণী প্রতিবছর সারা বিশ্বে
আক্রান্ত হয় ব্রণের সমস্যায়। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, নানা কারণে ব্রনের
ফুসকুড়ির সৃষ্টি হয় যেমন ঘাম, ময়লা গ্রন্থির মুখে আটকে গেলে, বিভিন্ন রকম
সিস্ট জমে
ব্রণের সৃষ্টি হয়। মেকআপ, ময়লা, দূষণ, এবং বিভিন্ন রকম টক্সিন থেকে নিয়মিত
ত্বক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না রাখলে এগুলো ত্বকের ছিদ্রে আটকে যায় তখন ব্রণর
সৃষ্টি হয়। তাই সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা খুবই জরুরী। ফেসওয়াশ ত্বকের
জন্য সব সময় যথেষ্ট হয় না, কারণ বিভিন্ন রকম সংক্রামন হলে ভালো ডাক্তারের
এপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে এবং ব্রণ কমাতে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে
হবে।
বিভিন্ন সময় হরমোনের তারতম্য দেখা দেয় তখন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে
হবে, না হলে ব্রণ সৃষ্টি হবে। সিঙ্গারা,, ভাজা-ভুজি, পাকোড়া, পিজা, বার্গার,
মিষ্টি জাতীয় খাবার, কোল্ড ড্রিংকস, ক্যাডবেরি, যত ধরনের খাবার খাবেন ততই আপনার
মুখে ব্রণের হামলা বৃদ্ধি পাবে। এইসব ভাজা-ভুজি খাবার হজমের সমস্যা করে। সেটি
ব্রনের একটি অন্যতম কারণ। অতিরিক্ত টেনশন করা, কম ঘুমানো,
অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, সঠিক মেকআপ প্রোডাক্ট ব্যবহার না করা ইত্যাদির কারণে ব্রণ
সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন সময় মেয়েদের ক্ষেত্রে দেখা যায় অতিরিক্ত ওজন, অনিয়মিত
পিরিয়ড, অবাঞ্ছিত লোম এই ধরনের সেন্ট্রোমের কারণেও মুখে ব্রণ বের হয়।
ব্রনের দাগ দূর করব কিভাবে?
সাধারণত বয়সন্ধিকালে এন্ড্রোজেন নামক হরমোনটি বেশি বেড়ে যায় এবং এই এন্ড্রোজেন
হরমোন সেবাসিয়াস গ্লান্ডস্টিমুলেশন দেয়, ফলে অতিরিক্ত সেবাম নিঃসরণ হয়। ফলে এই
অতিরিক্ত সেবাম মৃত কোষ ও ব্যাকটেরিয়ার সাথে রিঅ্যাকশন করে ব্রণ তৈরি করে। ব্রণ
দূর করতে চাইলে ক্যাফিন জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। কার্বোহাইড্রেট খাবার
এর মাত্রা কমাতে হবে এবং প্রচুর পরিমাণে
শাকসবজি গ্রহণ করতে হবে। নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে দৈনিক
কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ প্লাস পানি পান করতে হবে। বিভিন্ন ধরনের তৈলাক্ত প্রসাধনী
ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। মুখে ব্রণ বের হলে খোটানো যাবে না এবং চিকিৎসকের
পরামর্শ অনুযায়ী জীবন-যাপন করতে হবে। এতে ত্বকের ব্রণ দ্রুত সেরে যাবে এবং ত্বক
স্বাস্থ্যজ্জল হবে। সাধারণত দেখা যায় অনেকে ফর্সা
হওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের নাইট ক্রিম ব্যবহার করে এটা সাইড এফেক্ট হিসেবেও
ব্রণের সৃষ্টি হতে পারে। তাই এগুলো ব্যবহার করা যাবে না। ব্রণের দাগ দূর করার
জন্য বিভিন্ন ধরনের মেডিটেশন এর পাশাপাশি সাবসেশন, মাইক্রোনিডিলিং এই পদ্ধতিগুলি
খুবই উপকারী।
- সাধারণত ক্লিনজার আপনার ত্বক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখে এবং ময়লা যেন সেভাবে আটকে ব্রণের সৃষ্টি না করে সেদিকে লক্ষ্য রাখে। হারবাল ও একটিভ উপাদান থাকে ক্লিনজারে এটি ত্বককে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি জ্বালাপোড়া ও চুলকানিও কমায় এবং স্কিনকে রাখে সতেজ ও প্রাণবন্ত। স্ক্রিনের ময়লা দূর করতে এবং ফ্রেশ রাখতে আপনারা বায়োজিনের (NOVACLEAR ACNE CLEANSER ) ব্যবহার করতে পারেন।
- সাধারণত সপ্তাহে এক থেকে দুই বার মাস্ক ব্যবহার করলে ত্বক ভালো থাকে। বিভিন্ন সময় মাস্ক ত্বকের এক্সফোলিয়েটর হিসাবে কাজ করে । মাস্ক মেয়েদের ত্বকের ময়লা দূর করে এবং মৃত কোষগুলো দূর করে, ফলে ত্বক থাকে স্বাস্থ্যজ্জ্বল। মেয়েদের ত্বকের জন্য বায়োজিনের ( BIOCARE TURMERIC BRIGHTENING AND ACNE CLAY MASK) খুবই কার্যকরী।
- ফেসওয়াশ ব্যবহার করা নিয়মিত এন্টিবায়োটিরিয়াল ফেসওয়াশ ব্যবহার করা। সাধারণত ব্যাকটেরিয়া আক্রমণে ব্রণ সৃষ্টি হয়। তাই ব্রণ দূর করার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ফেসওয়াস খুবই কার্যকরী। এতে ব্যাকটেরিয়া নির্মূল করে এবং ব্রণ দূর করে। এন্টিব্যাকটেরিয়াল একটি ফেসওয়াস এর নাম হল (NORMACNE CLEANSING FACE WASH GEL)। এই এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ফেসওয়াশ মেয়েদের ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করে ও ব্রণ দূর করে এবং মেয়েদের ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে ত্বক থাকে প্রাণবন্ত।
- ব্রণ মুক্ত স্ক্রিনের জন্য পোরস সিরাম একটি কার্যকারী সমাধান। সাধারণত পোরস সিরাম ত্বককে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি পোরসের মুখ বন্ধ করে ত্বকের কার্যকারী স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনে ফলে ব্রণ দূর হয়ে যায় এবং পরবর্তী সময়ে ব্রণের আর কোনরকম সংক্রমণ হয় না। মেয়েদের ত্বকের জন্য একটি কার্যকরী সিরাম হলো ( NORMACNE PORE MINIMISING SERUM )।
- সাধারণত সিবাম অয়েলের কারণে বেশিরভাগ সময় ব্রণের সৃষ্টি হয়ে থাকে। এটি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনাদের কাছে একটি কার্যকারী সলিউশন হতে পারে সিবাম অয়েল নিয়ন্ত্রণ। সিবাম অয়েল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি সবচেয়ে ভালো কার্যকরী প্রোডাক্ট হলো ( LAUREL DERMOSOFT CLEANSING )।
ব্রণ দূর করার জন্য কি খাওয়া উচিত?
মেয়েদের মুখের ব্রণ শুধু তাদের সৌন্দর্য নষ্ট করে না পাশাপাশি যথেষ্ট পরিমাণে
অস্বস্তির কারণ হয়। তাহলে চলুন ব্রণ দূর করার জন্য কি খাওয়া উচিত নিচে জেনে
নেওয়া যাক।
- পানিঃ পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি গ্রহণ করতে হবে কারণ পানি মেয়েদের শরীরে পুষ্টি এবং অক্সিজেন বহন করে এবং ব্রণের ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পানের ফলে বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পদার্থ মূত্রের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। তাই পানি ব্রণ দূর করার জন্য খুবই কার্যকারী একটি সলিউশন।
- তরমুজঃ ব্রণের কারণে মেয়েদের মুখে বিভিন্ন ধরনের দাগ ছোপের সৃষ্টি হয়। সেই দাগ ছোপ দূর করার জন্য তরমুজ একটি কার্যকারী সমাধান। তরমুজে রয়েছে ভিটামিন এ, বি এবং সি যা ত্বককে রাখে সতেজ এবং প্রাণবন্ত। নিয়মিত তরমুজ খাওয়ার ফলে ত্বকের দাগ ছোপ দূর হবে।
- লেবুঃ লেবুতে বিদ্যমান রয়েছে সাইট্রিক এসিড যা লিভারকে পরিষ্কার রাখে। রক্তে বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পদার্থ নির্মূল করে এবং নতুন নতুন এনজাইম তৈরি করে। ফলে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। লেবু একটি এন্টিব্যাকটেরিয়াল ফল যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
- আপেলঃ পুষ্টিরগুন সমৃদ্ধ ফলের কথা মনে করতে গেলে আপেলের নাম আমাদের মনে পড়ে। আপেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পেকটিন। যা মেয়েদের ব্রণের সমস্যা অতি দ্রুত দূর করে। তাই ব্রণ মুক্ত থাকতে চাইলে নিয়মিত আপেল খেতে পারেন।
- দইঃ সাধারণত অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুন এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল। যা ত্বককে পরিষ্কার করতে সহায়তা করে এবং ত্বকে থাকা বিভিন্ন ধরনের ছিদ্রগুলোকে পরিষ্কার করে, ফলে ব্রণ থেকে অনেকাংশে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই নিয়মিত প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় দই যুক্ত করতে পারেন।
- আখরোটঃ ত্বকের নমনীয়তা রক্ষা করতে এবং কমলতা বজায় রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আখরোট। আখরোটের তেলে বিদ্যমান রয়েছে লিনোলিক অ্যাসিড। যা মেয়েদের ত্বক গঠেন সহায়তা করে এবং ত্বককে ভেতর থেকে আদ্র রাখে ফলে ত্বক থাকে সুস্থ ও প্রাণ উজ্জ্বল।
- দুগ্ধ জাত খাদ্যঃ ত্বককে সুস্থ ও প্রাণজ্জ্বল রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি জাতীয় খাবার খেতে হয় তার মধ্যে দুগ্ধজাত খাবার অন্যতম। দুগ্ধজাত খাদ্য মেয়েদের শরীরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কম চর্বিযুক্ত দুধ জাত খাদ্যে বিদ্যমান রয়েছে ভিটামিন এ। এটি ত্বককে ভিতর থেকে সুস্থ রাখে এবং বিভিন্ন ধরনের ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় অনায়াসে।
- তৈলাক্ত মাছঃ ত্বক ভালো রাখতে দৈনিক প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় তৈলাক্ত মাছ রাখা আবশ্যক। বিশেষজ্ঞদের মতে, মাছের মধ্যে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বককে ভালো রাখতে ম্যাজিকের মত কাজ করে। সাধারণত এটি ব্রনের দাগ দূর করে এবং ব্রণ কে একেবারে নির্মূল করে।
- রঙিন শাক-সবজিঃ বাঁধাকপি, পালংশাক, ব্রকলি, লালশাক, পুঁইশাক ত্বককে সুস্থ রাখতে একটি কার্যকরী সমাধান। এতে বিদ্যমান রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফোলেট, আয়রন, আশঁ এবং বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন। যা মেয়েদের শরীরে ভারসাম্য রক্ষা করতে খুবই কার্যকরী। নিয়মিত শাকসবজি গ্রহণের ফলে ব্রণ থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। তাই নিয়মিত খাদ্য তালিকায় বিভিন্ন রং এর বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি যুক্ত করতে পারেন।
কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয়?
সাধারণত বিভিন্ন সময় শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন না পেলে, ভিটামিনের ঘাটতি হলে, মুখে
ব্রনের সৃষ্টি হয়। তাই দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় বিভিন্ন রকম ভিটামিন যুক্ত করা
খুবই প্রয়োজনীয়। ত্বককে ব্রণ মুক্ত রাখতে চাইলে প্রত্যেকদিন ভিটামিন যুক্ত
খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। সাধারণত ভিটামিন-এ এর অভাবে মুখে ব্রনের আবির্ভাব হয়।
ভিটামিন-এ হলো এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা বিভিন্ন ধরনের
ব্যাকটেরিয়া থেকে ত্বককে রক্ষা করে। যাদের শরীরে ভিটামিন-এ এর অভাব রয়েছে তারা
নিয়মিত টমেটো, কাঁচামরিচ, গাজর এবং বিভিন্ন ধরনের দুগ্ধজাতীয় খাবার নিয়মিত
খেতে পারেন। ভিটামিন বি-৩ এর অভাবেও মুখোমন্ডলে ব্রণ বের হয়। এই ভিটামিনের
অ্যান্টিনফ্লামেটরি গুনাবলী বিদ্যমান রয়েছে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সহায়তা
করে। ব্রণ হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হলো ভিটামিন ডি এর অভাব।
ভিটামিন ডি সাধারণত শরীরে ইমিউনিটি বাড়াতে সহযোগিতা করে এবং ব্রণ নির্মূল করে।
সাধারণত দুগ্ধ জাতীয় খাবার। ডিম ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণের অন্যতম মাধ্যম।
ত্বককে সবসময় সুস্থ রাখতে ভিটামিন-ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে বিদ্যমান
রয়েছে অ্যান্টিনফ্লামেটারি গুনাগুন। যা কোলাজেন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
করে ও ত্বকের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
মেয়েদের মুখের ব্রণ ও কালো দাগ দূর করার উপায়
মেয়েদের ত্বকে বিভিন্ন ধরনের যেসব সমস্যা রয়েছে তার ভিতরে অন্যতম হচ্ছে মুখে
ব্রণ ওঠা। বিশেষ লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, মেয়েদের ত্বক অতিরিক্ত অয়েলি স্কিন এবং
বিভিন্ন ধরনের নিম্নমানের স্কিন প্রোডাক্ট মুখের ত্বকে ব্যবহারের কারণে ব্রণ জনিত
বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণত অনেক সময় বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, ব্রণ
দূর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন
সেগুলো আপনারা আপনাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যুক্ত করতে পারেন, ফলে আপনার
ব্রনের সমস্যা দূর হবে এবং আপনার হারানো উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে। ব্রণের দাগ দূর
করতে আপনাকে ত্বককে ভেতর থেকে সুস্থ রাখতে হবে এবং প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে
পানি পান করতে হবে। প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করতে হবে। ফলে
আপনার মুখের ব্রণ দূর করার পাশাপাশি
একনির বিরুদ্ধে লড়াই করবে। সাধারণত লেবুতে রয়েছে সাইট্রিক এসিড। এটি শরীরের
বিষাক্ত পদার্থ গুলো ইউরিন এর মাধ্যমে বের করে দেয় এবং এনজাইম তৈরি করতে সহায়তা
করে ফলে আপনার শরীর থাকে উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত। তরমুজে রয়েছে ভিটামিন এ,
ভিটামিন বি এবং ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান রয়েছে। তরমুজ ত্বককে
হাইড্রেশন রাখতে সহায়তা করে। ফলে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা
অনেকটা কমে যায় এবং ব্রণের দাগ ছোপ দূর করে। আপনারা যদি আপনাদের ত্বকের ব্রণ দূর
করতে চান, তাহলে খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন দই যুক্ত করতে পারেন। কারণ ব্রণ এবং
ব্রণের দাগ ছোপ প্রতিরোধ করার জন্য দই খুবই কার্যকরী একটি সলিউশন। দই এ বিদ্যমান
রয়েছে এন্টিফাঙ্গাল এবং আন্টি ব্যাকটেরিয়াল গুন। যা ত্বক পরিষ্কার করে এবং
ত্বকে আটকে থাকা বিভিন্ন ধরনের ছিদ্র কে অবরুদ্ধ করে।
নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের বাদাম খেলে ত্বকের কোমলতা ও মসৃণতা বৃদ্ধি পায়। এগুলো
ত্বক গঠনে ভালো কাজ করে এবং ত্বককে সুস্থ রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে, ত্বকে
সেলেনিয়ামের মাত্রা বেশি হলে, সূর্যের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার মাত্রা
অনেকটাই কমে যায়। কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাদ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ
বিদ্যমান থাকে যা ত্বকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ত্বক থেকে ব্রণ দূর করতে
খুবই সাহায্য করে।
তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধ জাতীয় খাবার যুক্ত করুন এবং
ভাজাপোড়া খাবার, অতিরিক্ত অয়েলি খাবার, ফাস্টফুড, লিকুইড জাতীয় খাবার এবং
প্রসেস ফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকুন এই খাবারগুলো পরিহার করুন। আপেলে বিদ্যমান
রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পেকটিন, যা ব্রণ দূর করতে এবং ব্রনের দাগ চোখ দূর করতে
খুবই কার্যকরী। তাই জন্য ত্বক ভালো রাখতে ও ব্রণের হাত থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন
খাদ্য তালিকায় কমপক্ষে একটি করে হলেও আপেল যুক্ত করুন। করলা ত্বকের জন্য
খুবই উপকারী। করলা তিতাজাতীয় খাবার হওয়ার কারণে ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে
যায়। প্রতিদিন খাবারের পর নিয়মিত মৌসুমী ফল খাবার অভ্যাস গড়ে তুলুন। আর যতবার
বাইরে থেকে আসবেন বাসায় আসা মাত্র আপনার ফেস ওয়াশ করুন। ত্বকে লেগে থাকা
ধুলোবালি দূর হবে, ত্বক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবে ফলে ত্বক সুস্থ থাকবে।
ঘরোয়া উপায়ে ত্বক থেকে ব্রণ এবং ব্রনের দাগ ছোপ দূর করতে কিছু কার্যকরী সমাধান
- মধু ও দারচিনিঃ প্রথমে ত্বক ভালোভাবে ফেসওয়াশ দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। তারপর আপনার ত্বকে যেসব জায়গায় ব্রণ উঠে আছে , প্রথমে মধু ও দারুচিনি একসাথে মিক্স করার পর, এবার ব্রনের উপরে লাগিয়ে দিন, তারপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। এক থেকে দেড় ঘন্টা পর আপনার মুখ ভালোভাবে ওয়াশ করে নিন।
- ত্বক থেকে নখকে দূরে রাখুনঃ আপনার মুখমন্ডলের ত্বককে সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। আপনার ত্বকে কখনো নখ লাগাবেন না, কারণ নখ দিয়ে ব্রণ খোটলালে নখের বিষ লেগে যাবে। ফলে ব্রণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আরো বেড়ে যায়। তাই জন্য ব্রণ থেকে আপনার নখকে দূরে রাখুন।
- এলোভেরাঃ এলোভেরা ব্রণ এবং ব্রনের দাগ দূর করতে খুবই কার্যকরী। তাই প্রতিদিন নিয়মিত আপনার ত্বকে এলোভেরা জেল ব্যবহার করুন দিনে দুইবার। প্রথমে এলোভেরা জেল ত্বকে লাগানোর পর আলতো করে মাসাজ করুন দুই মিনিট। তারপর ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ৩০মিনিট পর আপনার মুখ ভালোভাবে ওয়াস করে নিন।
- কমলার খোসা গুড়া এবং কাঁচা দুধঃ প্রথমে একটা পাত্রে চার চামচ কাঁচা দুধ নিন তারপর কমলার খোসা গুড়া এক চামচ নিন। এবার দুইটা উপকরণকে একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তারপর আলতোভাবে ত্বকে মাসাজ করুন। শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এই প্যাকটি সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাবেন।
- চন্দন গুড়া এবং গোলাপজলঃ পরিমাণ মতো চন্দন গুড়া এবং গোলাপজল একটা পাত্র নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন তারপর আপনার মুখের ত্বকে আলতোভাবে মাসাজ করুন। কিছুক্ষণ রাখার পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
- পাকা টমেটো এবং শসার রসঃ একটি পাকা টমেটো প্রথমে ব্লেন্ড করে নিন। তারপর কয়েক চামচ শসার রস সেই টমেটোতে মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি ভালোভাবে মুখে লাগান, ১০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে তিন দিন নিয়মিত ব্যবহার করুন। ফলে আপনার ত্বক থেকে ব্রণ এবং ব্রনের দাগ দূর হবে এবং আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে এবং প্রাণবন্ত হবে।
- পাকা কলাঃ সাধারণত ব্রনের দাগ দূর করতে পাকা কলা খুবই উপকারী ত্বকের জন্য। তাই জন্য আপনারা নিয়মিত প্রতিদিন পাকা কলার পেস্ট আপনার ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।
- কাঁচা হলুদ এবং মধুঃ কাঁচা হলুদ এবং মধুর মিশ্রণ ত্বকে ম্যাজিকের মত কাজ করে। প্রথমে কাঁচা হলুদ পেস্ট করে নিন। তারপর কাঁচা হলুদ এবং দুই চামচ মধু ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি আপনার ত্বকে ভালোভাবে মাসাজ করুন। এবার দশ মিনিট অপেক্ষা করুন। ১০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে আপনার মুখমন্ডল ধুয়ে ফেলুন।
- কাঁচা দুধ চালের গুড়া এবং মধুঃ ২ চামচ চালের গুড়া ২ চামচ মধু এবং পরিমাণমতো কাঁচা দুধ এই সব কয়টি উপকরণ একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর মিশ্রণটি ভালোভাবে আপনার মুখে লাগিয়ে নিন। শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে আপনার মুখ ধুয়ে ফেলুন। আধা ঘন্টা প্যাকটি আপনার মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন সপ্তাহে দুইবার।
- মুলতানি মাটিঃ সাধারণত অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বক হলে ব্রণের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে মুলতানি মাটিতে পানি মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে নিয়মিত ব্যবহার পাবেন, অনেক উপকার পাবেন। কারণ সাধারণত মুলতানি মাটি ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব দূর করে।
- রক্ত চন্দন পাউডার, আনারের খোসার গুঁড়া এবং টক দইঃ রক্তচন্দন পাউডার, আনারের খোচার গুঁড়া এবং টক দই ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। তারপর এই মিশ্রণটি আপনার মুখে ভালোভাবে আলতো করে মাসাজ করুন। কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখার পর আপনার মুখ ভালোভাবে ওয়াশ করে নিন সপ্তাহে দুইবার। এই প্যাকটি নিয়মিত আপনার ফেইসে ব্যবহার করুন। ফলে আপনার ত্বকে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে, ত্বক হবে প্রাণবন্ত এবং আপনার ত্বকের ব্রণের দাগ ছোপ দূর হবে।
- পুদিনা পাতাঃ অতিরিক্ত গরমের কারণে বিভিন্ন সময় মুখে অতিরিক্ত ব্রণ দেখা যায়। এই ব্রণগুলো দূর করতে পুদিনাপাতা খুবই কার্যকরী। প্রথমে পুদিনাপাতা ভালোভাবে ধুয়ে নিন, তারপর ভালোভাবে বেটে নিন, এবার বাটা পুদিনাপাতা ব্রনের উপরে লাগান। কমপক্ষে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর আপনার ফেস ওয়াশ করে ফেলুন।
- নিম পাতা ও গোলাপজল এবং মুলতানি মাটিঃ কিছু নিমপাতা নিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে বেটে নিন। এবার বাটা নিম পাতার ভিতরে এক চামচ মুলতানি মাটি দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন, তারপর এই প্যাকের ভিতরে এক চামচ গোলাপজল মিশিয়ে নিন। সবকয়টি উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তারপর আপনার মুখে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এবার ঠান্ডা পানি দিয়ে আপনার মুখ ধৌত করে ফেলুন।
- চালের গুঁড়ো এবং পাকা পেঁপেঃ ত্বককে সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। কারণ ব্রণ হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে অয়েলি স্কিন এবং অপরিষ্কার ত্বক। এক কাপ পাকা পেঁপে প্রথমে ব্লেন্ড করে নিন। তারপর এক চামচ চালের গুড়া এবং এক চামচ পাতি লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এই মিশ্রণটি আপনার পুরো মুখের ত্বকে ভালোভাবে লাগান এবং কিছুক্ষণ আলতো করে মাসাজ করুন। আধাঘন্টা পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।
- ডিমের সাদা অংশঃ রাতে শোয়ার আগে নিয়মিত ব্রণে আক্রান্ত জায়গা গুলোতে ডিমের সাদা অংশ আধা ঘন্টা ম্যাসাজ করুন। আধা ঘন্টা পর মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বকের খসখসে ভাব দূর হবে।
- গোলাপজল এবং দারুচিনি গুঁড়াঃ নিয়মিত মুখে গোলাপজল ব্যবহার করার ফলে ব্রণের দাগ ছোপ দূর হয়। প্রথমে দারুচিনি গুড়া করুন, এরপর এতে পরিমাণ মতো গোলাপজল নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তারপর মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ আলতোভাবে মাসাজ করুন। ১০ মিনিট পর আপনার ফেস ওয়াশ করে ফেলুন। ফলে আপনার ত্বকের চুলকানি ভাব, ত্বকের ব্রণ, অনেকটা কমে যায়।
- তুলসি পাতারঃ সাধারণত তুলসী পাতায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের আয়ুর্বেদিক গুণ। এটি ব্রণ ভালো করার জন্য খুবই কার্যকরী। প্রথমে তুলসী পাতা ভালোভাবে ধুয়ে বেটে নিন, এরপর রসগুলো আলাদা করে নিন। তুলসী পাতার রস ব্রণ আক্রান্ত জায়গা গুলোতে লাগিয়ে রাখুন। শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর হালকা কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
- আপেল ও মধুর মিশ্রণঃ ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ দূর করার একটি জনপ্রিয় কার্যকরী উপকরণ হচ্ছে আপেল ও মধুর মিশ্রণ। প্রথমে আপেলটি ভালোভাবে ধুয়ে পেস্ট করে নিতে হবে। আপেলের পেস্টে দুই চামচ মধু মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর মিশ্রণটি মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে নিতে হবে, কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এটি প্রতিদিন একবার করে ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার ত্বকের টানটান ভাব আসবে। ত্বকের রং সুন্দর হবে। আপনি এই প্যাক টা নিয়মিত ব্যবহার করলে, পরিবর্তন নিজেই বুঝতে পারবেন।
বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়
সুপ্রিয় পাঠক, আপনারা ইতিমধ্যেই ব্রণ সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। এবার
আমি আপনাদের সামনে বরফ দিয়ে কিভাবে ব্রণ দূর করবেন, সে বিষয়ে উপস্থাপন করব।
সর্বপ্রথমে আপনার ব্রণ আক্রান্ত স্থান ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। তারপর একটি
পরিষ্কার সুতি কাপড় সংগ্রহ করুন এবার কয়েকটি বরফের টুকরা সুতি কাপড়ের ভিতরে
ভালোভাবে পেচিয়ে নিন। এরপর ব্রণ আক্রান্ত স্থানে,
আরো পড়ুনঃ লটকনের উপকারিতা-লটকন খেলে সারবে যেসব রোগ
বরফ পেঁচিয়ে নেওয়া কাপড়টি আলতো ভাবে ৮ থেকে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এবং দুই
মিনিট পর পর বিরতি নিন। ফলে আপনার ব্রনের আকার ছোট হবে ও ব্রণ আক্রান্ত স্থানের
লালচে ভাব দূর হবে এবং ব্রণের জ্বালাপোড়া অনেকটা কমে যাবে। মুখ ফুলে গেলে
তাৎক্ষণিক ফোলা স্থানে বরফ ব্যবহার করুন। ফোলা ভাব কমাতে বরফ খুবই কার্যকরী একটি
সমাধান। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ত্বককে
প্রাণবন্ত করতে বরফ মিশ্রিত পানি ব্যবহার করতে পারেন। ব্ল্যাকহেডস এর কারণে
বিভিন্ন সময় ত্বক নিস্তেজ হয়ে পড়ে, ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে বরফ মেশানো
পানি খুবই কার্যকরী। চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল দূর করতে সাহায্য করে। মুখের
স্কিন কেয়ার এর জন্য নিয়মিত মুখে বরফ আলতো ভাবে ম্যাসাজ করতে পারেন।
টমেটো দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়
গরমের সময় ত্বকে বেশি তৈলাক্ত ভাব দেখা দেয়, তখন ব্রণ দেখা দিতে পারে এবং
ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যেতে পারে। রূপচর্চায় তখন আপনারা নিয়মিত টমেটো ব্যবহার
করতে পারেন। প্রথমে আপনার ত্বকের সমস্যা নির্বাচন করুন। সে অনুযায়ী টমেটোর সাথে
অন্যান্য উপকরণ মিশিয়ে নিতে হবে। হিন্দুস্তান টাইমস এর তথ্য অনুসারে, ত্বক ভালো
রাখতে টমেটো ম্যাজিকের মত কাজ করে। টমেটো দিয়ে ত্বকের যত্ন নিলে দাগ ছোপ দূর
হয়ে যায়। টমেটোে থাকা ভিটামিন সি ও পটাশিয়াম উজ্জ্বল ত্বক পেতে সাহায্য করে
এবং টমেটো ত্বককে মসৃণ রাখে।
- সাধারণত তৈলাক্ত ভাব কমাতে প্রথমে টমেটো দুই ভাগে ভাগ করে কেটে নিন তারপর মুখে আলতোভাবে মাসাজ করুন। মাসাজ করার পর ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর আপনার ফেইস পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ওয়াশ করে নিন।
- টমেটো এবং অ্যালোভেরা ভালোভাবে ধুয়ে অ্যালোভেরার ভিতরে অংশ এবং টমেটো পেস্ট করে নিন। তারপর মিশ্রণটি ত্বকে ভালোভাবে মশ্চারাইজ করে প্রয়োগ করুন। অপেক্ষা করুন ১০ মিনিট এরপর পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকবে।
- টমেটো ও বাদাম এবং চিনি একসাথে পেস্ট করে নিন। তারপর আপনার ত্বকে আলতো ভাবে মাসাজ করুন। ১০ মিনিট রাখার পর পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিন। এই মিশ্রণটি আপনার ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সহায়তা করবে।
- টমেটো এবং শসা ভালোভাবে ধুয়ে নিন তারপরে পেস্ট করে নিন। এবং এ মিশ্রণটি আলতোভাবে মাসাজ করে আপনার ত্বকে প্রয়োগ করুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে আপনার মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণটি আপনার ত্বকের প্রয়োগের ফলে আপনার ত্বকের জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করবে।
- টমেটো রস বের করে নিন এরপর টমেটোর রসের সাথে দুই চামচ মধু মিশিয়ে নিন। প্রতি সপ্তাহে একবার করে পুরো মুখে আলতো ভাবে মাসাজ করুন। শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এই মিশ্রণটি ত্বকে প্রয়োগের ফলে, আপনার ত্বক থেকে অনায়াসে ব্রণ এবং সব দাগ ছোপ দূর হয়ে যাবে।
- প্রথমে টমেটোর রস বের করে নিন এরপর টমেটোর রসের সঙ্গে দুই তিন ফোঁটা টি ট্রিয়ের তেল মিশিয়ে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করুন। তারপর সেই মিশ্রণটি আপনার ত্বকে মেসাজ করুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর মুখ ভালোভাবে ওয়াশ করে নিন। এই মিশ্রণটি ত্বকে ব্যবহারের ফলে, আপনার ত্বক থেকে ব্রণ চিরতরে দূর হবে।
থাকলে, হাতের কনুইতে এবং পায়ে তুলা বা পরিষ্কার সুতি কাপড় ওই মিশ্রণটিতে ভিজিয়ে
আলতো করে চিপে আপনার শরীরের যে স্থানগুলোতে কালচে ভাব রয়েছে ও গুলোতে লাগিয়ে
নিন। এভাবে নিয়মিত সপ্তাহে চার দিন লাগাতে পারেন। শুকিয়ে যাওয়ার পর পরিষ্কার
পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। দেখবেন আস্তে আস্তে আপনার ত্বক থেকে কালচে ভাব দূর হয়ে
গেছে। নিয়মিত ব্যবহারের ফলে আপনি পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন।
লেবু দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়
লেবুর রসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি বিদ্যমান রয়েছে। যা ত্বকের কোলাজেন তৈরি
করে ও ত্বককে মসৃণ রাখে এবং ত্বককে সুস্থ রাখে। প্রথমে আপনারা একটি লেবু থেকে রস
চিপে বের করে নিন তারপর পরিষ্কার সুতি কাপড় বা তুলোর সাহায্যে ব্রণ আক্রান্ত
স্থানে লেবুর রস লাগান। ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন, তারপর পরিষ্কার ঠান্ডা
পানি দিয়ে আপনার ত্বক ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
নিয়মিত প্রতিদিন একবার করে ব্যবহার করতে পারেন। লেবুর রসের বিদ্যমান রয়েছে
সাইট্রিক এসিড। প্রাকৃতিক এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং ইনফ্লেমেটরি উপাদান। যা ব্রনের
কারণে বিভিন্ন ধরণের ব্যাকটেরিয়া এবং প্রদাহ থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে।
- লেবুর রস ও মধুঃ ২ টেবিল চামচ লেবুর রসের সাথে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। তারপর মিশ্রণটি আলতোভাবে আপনার ত্বকে মাসাজ করুন। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর আপনার মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণটি আপনার মুখের ব্রণ দূর করবে পাশাপাশি ব্রণের দাগ ছোপ এবং কালচে ভাব দূর করতে ম্যাজিক এর মত কাজ করবে।
- লেবুর রস ও শসার রসঃ প্রথমে একটি লেবু থেকে ভালোভাবে রস চিপে বের করে নিন। তারপর সমপরিমাণ শসার রস লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। ভালোভাবে মেশানোর পর মিশ্রণটি আপনার ত্বকে ভালোভাবে আলতো ভাবে মাসাজ করুন। তারপর ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখার পর ভালোভাবে পরিষ্কার পানি দিয়ে আপনার মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণটি ত্বকে প্রয়োগের ফলে আপনার ত্বক থেকে ব্রণের দাগ ছোপ দূর হবে, পাশাপাশি ত্বক মসৃণ এবং নরম রাখবে।
- লেবুর রস ও কমলার রসঃ একটি লেবুর রস চিপে বের করে নেন। তারপর সমপরিমাণ কমলার রস লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে আপনার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে আপনার মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বকের ব্রণ দূর হবে এবং পাশাপাশি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে।
- লেবুর রস ও ভিটামিন ই ক্যাপসুলঃ ১ চা চামচ লেবুর রসের সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল একটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দাগের জায়গাগুলোতে লাগিয়ে নিন। তারপর ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর আপনার মুখ পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ফল পেতে হলে নিয়মিত প্রতিদিন অন্তত একবার করে আপনার ত্বকের প্রয়োগ করতে হবে।
বেসন দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়
- ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত মুখে বেসন ব্যবহার করুন। কারণ এতে বিদ্যমান রয়েছে জিংক ও প্রাকৃতিক খনিজ, যা ব্রণ দূর করতে খুবই কার্যকরী। একটি পাত্রে বেসন নিন, সাথে সমপরিমাণ হলুদের গুঁড়া নিন ও দুই চা চামচ মধু এবং এক চা চামচ লেবুর রস। এরপর সবগুলো উপকরণ দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। ফেসপ্যাকটি তৈরি হয়ে গেলে, প্রথমে আপনার মুখ ভালোভাবে ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে নিবেন। তারপর ভেজা অবস্থায় ফেসপ্যাকটি আপনার মুখের ত্বকে প্রয়োগ করবেন। শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন এরপর হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে আপনার মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাকটি আপনারা সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন।
- নিয়মিত রোদে বের হলে মুখের ত্বকে সৃষ্টি হয় পোড়া ভাব এবং ত্বক অনেক জ্বালাপোড়া করে ও অনেক দাগ ছোপের ও সৃষ্টি হয়। এগুলো থেকে সমাধান পেতে চাইলে নিয়মিত ত্বকে বেসন ব্যবহার করুন। প্রথমে একটি পাত্রে দুই চামচ বেসন নিবেন তারপর এক চামচ লেবুর রস এবং এক টেবিল চামচ টক দই ভালোভাবে ফেটিয়ে নিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করবেন। এরপর ব্রণ আক্রান্ত জায়গাগুলো এবং পোড়া ভাব রয়েছে সেই জায়গাগুলো ও জ্বালাপোড়া করে সেই স্থানগুলোতে মিশ্রণটি ব্যবহার করতে হবে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে, মুখের ত্বকে ফেসপ্যাকটি শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। নিয়মিত প্রতিদিন গোসলের আগে ব্যবহার করতে পারেন, ফলে আপনারা অনেক উপকার পাবেন।
- ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব দূর করতে বেসন খুবই কার্যকরী। বেসন, গোলাপজল কয়েক ফোটা মধু এবং তিন চা চামচ কাঁচা দুধ এই সব উপকরণ দিয়ে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করুন। তারপর আপনার মুখে আলতোভাবে মাসাজ করুন। ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে আপনার মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বক থেকে তৈলাক্ত ভাব দূর হবে।
- ২ টেবিল চামচ বেসন, ২ টেবিল চামচ শসার রস, পাঁচ ফোঁটা লেবুর রস, সব কয়টি উপকরণ ভালোভাবে একসাথে মিশিয়ে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করুন। তারপর আপনার মুখে মাসাজ করুন। শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর আপনার ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাকটি লাগানোর ফলে, আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে তখন প্রাণবন্ত এবং আপনার ত্বককে সতেজ ও সুন্দর রাখতে সাহায্য করবে।
- এক টেবিলস্পুন বেসন, এক টেবিলস্পুন হলুদ, এক টেবিল স্পুন দই সবকয়টি উপকরণ একসাথে ভালোভাবে মেশিয়ে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করতে হবে। ভালোভাবে মেশানোর পর যে স্থানগুলোতে ব্রণ এবং ব্রনের দাগ ছোপ রয়েছে, সেই স্থানগুলোতে এই ফেসপ্যাকটি প্রয়োগ করতে হবে। সম্পূর্ণ শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ফেইস ধুয়ে নিতে হবে। এই ফেসপ্যাকটিভ প্রয়োগের ফলে ব্রণ এবং ব্রণের দাগ ছোপ ম্যাজিকের মতো দূর করবে।
মেয়েদের মুখে ব্রণ দূর করার ফেসওয়াস ভালো কোনটা
ফেসওয়াশ জিনিসটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এবং ব্রনের
দাগ চিরতরে দূর করার জন্য। আজকে এই আর্টিকেলটিতে বলবো কোন ত্বকের জন্য কোন
ফেসওয়াশ টি সবচেয়ে বেস্ট। মনে রাখবেন ফেসওয়াশ কিন্তু আপনার ত্বক বুঝে ব্যবহার
করতে হবে। তাহলে চলুন নেচে ফেসওয়াস এর নাম হল জেনে নেই।
- আপনার যদি নরমাল এবং ড্রাই স্কিন হয় তাহলে আপনি ব্যবহার করবেন CERAVE HYDRATING CLEANSER, THE BODY SHOP TEA TREE.(NORMAL TO DRY SKIN)
- আর যদি আপনার অয়েলি স্কিন মানে তৈলাক্ত ত্বক হয় তাহলে আপনি ব্যবহার করবেন TEEN DERM GEL, ACNE AID BAR SOAP, NEUTROGENA OIL FREE ACNE WASH, COSRX LOW PH GOOD MORNING CLEANSER, BIODERMA SEBIUM PURIFYING CLEANSING FOAMING GEL.( FOR PIMPLE PRONE AND OILY SKIN ).
মেয়েদের ব্রণের দাগ দূর করার ক্রিম
বিভিন্ন গবেষণা, জার্নাল, বইপত্র, আর্টিকেলে, বিভিন্ন সেমিনার, সিম্প্রোজিয়াম
এবং বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব মেয়েদের মুখে ব্রণ রয়েছে তাদের জন্য
মশ্চারাইজার খুবই প্রয়োজন। শুধু প্রয়োজন বললে ভুল হবে অতিব প্রয়োজনীয়। যেসব
মেয়েদের মুখে ব্রণ নেই, তাদের জন্য ময়েশ্চারাইজার এবং যেসব মেয়েদের মুখে ব্রণ
রয়েছে, তাদের জন্য মশ্চারাইজার ব্যবহার ভিন্ন রকম এবং উপাদানও আলাদা হয়।
নরমাল ত্বকের উপরিভাগ অংশকে এপিডার্মিস্ট বলা হয়। এপিডার্মিস্ট সাধারণত
মুখমন্ডলের বর্ডার হিসেবে কাজ করে। স্কিনের ভিতরে যে ওয়াটার কনটেন্ট থাকে সেই
ওয়াটার কন্টেন্ট বাইরে যেতে বাঁধা দেয়। এই বাধা দেওয়ার কারণে বাইরের অংশে
এপিডার্মাল বেরিয়ার তৈরি করে। ফলে ত্বক অনেক বেশি মশ্চারাইজ থাকে এবং ত্বকের
ভিতরে উজ্জ্বলতা আসে ও সেবাম কনটেন্ট ভালো থাকে। এটি হলো
বাইরের লেয়ারের প্রাকৃতিক কাজ। যখন একটা মানুষের ব্রণ হয়, ব্রণ হওয়ার কারণে এই
এপিডার্মাল অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এবং এপিডার্মাল বেরিয়াস সিস্টেম যখন
ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখন দেখা যায় যে ত্বক থেকে পরিমাণের চেয়ে বেশি পানি বের হয়ে
যায়। সেটা পরিবেশগত কারণে বা ন্যাচারাল বেরিয়ালের ডিসফাংশন এর কারণে এটাকে
সাধারণত বলা হয় ট্রান্স এপিডার্মাল ওয়াটার লস। সাধারণত মেয়েরা
ব্রণের জন্য বিভিন্ন রকম ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন, যেমন রেটিনয়েস জাতীয় ক্রিম
ব্যবহার করে থাকে,বেঞ্জোয়েল জাতীয় ক্রিম ব্যবহার করে থাকে, অনেক সময় বিভিন্ন
ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করে থাকে, যেটার সাথে অ্যালকোহল ইন্ড্রিয়েন্ট
থাকে, এগুলোর বিশেষত্ব না জেনে ব্যবহারের ফলে চামড়াকে বা এপিডার্মিস্টকে
ক্ষতিগ্রস্ত করে, ফলে এপিডার্মাল ডিসফাংশন হয়। তখন অধিক
পরিমাণে ত্বক থেকে পানি বের হয়ে যায় ফলে ত্বকের ওয়াটারলস আরো বেশি হয়। এজন্য
ব্রণ হলেও এপিডার্মিস্ট এর ডিসফাংশন হবে। আবার ব্রণের ক্রিম ব্যবহার করলেও
এপিডার্মিস্ট এর ডিসফাংশন হবে। ব্রনের ক্রিম ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন সময় ত্বক
জ্বালাপোড়া করে, ত্বকের চামড়া উঠে, আবার মুখমণ্ডল লাল হয়ে যায়, আবার কখনো
কখনো চুলকায়, বিভিন্ন সময় সুঁই ফোটানোর মত অস্বস্তি হয়।
এগুলো হলে বুঝবেন আপনার স্কিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ত্বক ভালো রাখার জন্য
এপিডার্মিসকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এজন্য তাকে প্রথমে মশ্চারাইজার ব্যবহার করতে
হবে। তারপর সানস্ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। যেন রোদে গেলে চামড়া কোনভাবে
ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তারপর শেষে ব্রণ যেন আর না বের হয় মুখে এজন্য সবকিছু
মেন্টেন করতে হবে। বিভিন্ন ধরনের মশ্চারাইজার যেমন শরীরে ব্যবহার করা হয়,
তেমন সব ধরনের মশ্চরাইজার মুখে ব্যবহার করা যাবে না, সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে
হবে। মুখমণ্ডলে মশ্চারাইজার ব্যবহারের ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে,
এমন কোন উপাদান বা এমন কোন ইনগ্রিডিয়েন্ট ব্যবহার করতে হবে, যেটার দারায় মুখ খুব
বেশি যেন অয়েলি না হয়ে যায়। কমেডোজেনিক মশ্চারাইজার ব্যবহার করা যাবে না।
এক্ষেত্রে সাধারণত বিভিন্ন ধরনের মিনারেল
অয়েল উপেক্ষা করতে হবে, এগুলো দিয়ে মশ্চারাইজড করা যাবে না। এক্ষেত্রে আপনারা
সিলিকন বেস্ট মশ্চারাইজ ব্যবহার করতে পারেন, যেমন ডাইমেটিকন, গ্লিসারিন লো
কনসেনটেশন ব্যবহার করতে পারেন। হারবাল উপাদান যেমন অ্যালোভেরা। বিভিন্ন ধরনের
মিনারেল যেমন জিংক ব্যবহার করতে পারেন। যেগুলোতে অয়েল কন্ট্রোল থাকবে না এবং
হাইকনসেটেশন সাবোসটেশেষ এগুলো
ব্যবহার করা যাবে না। এবং বিশ্বের বিভিন্ন মশ্চারাইজার এর গায়ে ব্র্যান্ডে লেখা
থাকে, ফর আ্যাকনি প্রেসেন্ট, ফর অয়েলি ফেস পেশেন্ট এসব বিষয় লেখা থাকে। এজন্য
মশ্চারাইজার যখন ব্যবহার করবেন তখন নিজেরা বুঝতে পারেন যেন কোন মশ্চারাইজার টা
ফেসের জন্য ব্রণ এবং অয়েলি স্কিনের জন্য কোন প্রোডাক্টটা ভালো হবে আপনারা নিজেরা
কিনবেন। আর যদি না কিনতে পারেন, তাহলে
নিকটস্থ কোন স্পেশালিস্টের সাথে যোগাযোগ করে তার মতামত নিয়ে অয়েলি ফেসের এর জন্য
স্পেসিফিক মশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে,
মুখমণ্ডল থেকে ব্রণ দূর করার জন্য অতিরিক্ত অয়েলি করেও ফেস রাখা যাবে না, আবার
ফেস খুব বেশি ড্রাই করেও রাখা যাবে না। তাই জন্য ওয়েল ব্যালেন্স মশ্চারাইজার
মেইন্টেন করতে হবে। তাহলে ব্রণ চিরতরে দূর হবে এবং অনায়াসে ব্রণ জনিত অস্বস্তিও
চিরতরে দূর হয়ে যাবে।
মেয়েদের মুখের ব্রণ দূর করার ঔষধের নাম, ঔষধের দাম এবং ব্যবহারবিধি
যেসব মেয়েদের মুখে অতিরিক্ত ব্রণ বের হয়, যা একেবারেই ভালো হতে চাই না, তাদের
জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি এই আর্টিকেল থেকে ব্রণ
একেবারে নির্মূল করার, উপযুক্ত সমাধান পাবেন ইনশাআল্লাহ। তাহলে চলুন নিচে জেনে
নেওয়া যাক মেয়েদের ব্রণ দূর করার ঔষধের নাম, ঔষধের দাম এবং ব্যবহারবিধি
সম্পর্কে।
ক্রমিক নং | ঔষধের নাম | কোম্পানীর নাম | ব্যবহার-বিধি | ঔষধের দাম |
---|---|---|---|---|
০১ | Akno 10mg ক্যাপসুল | Drug International Limited. | মারাত্মক আকারের ব্রণের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। | ৫৫ টাকা পিস। |
০২ | Aknill 10mg ক্যাপসুল | Incepta Pharmaceuticals Ltd. | এটিও মারাত্মক আকারের ব্রণের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। | ৪০ টাকা পিস। |
০৩ | Isotretinoin 20mg ক্যাপসুল | Les Laboratoires Servier Industrie France. | অতিরিক্ত ব্রণ দ্রুত ভালো করে। | ১৩০ টাকা পিস। |
০৪ | Isotretinoin 10mg ক্যাপসুল | Les Laboratoires Servier Industrie France. | অতিরিক্ত ব্রণ দ্রুত ভালো করে। | ১২০ টাকা পিস। |
০৫ | Roaccutane 10mg ক্যাপসুল | UniMed UniHealth Pharmaceuticals Ltd. | এটিও মারাত্মক আকারের ব্রণের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। | ৪০ টাকা পিস। |
০৬ | Reticap 10mg ক্যাপসুল | Roche Pharmaceuticals Ltd. | এটিও মারাত্মক আকারের ব্রণের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। | ৯৭.৩৩ টাকা পিস। |
উপরোক্ত ঔষুধগুলো প্রতিদিন আপনারা যদি নিয়ম অনুযায়ী সকালবেলা একটি করে এবং
রাত্রিবেলা একটি করে গ্রহণ করেন, তাহলে আপনারা অনায়াসে আপনাদের মুখের ব্রণ এবং
দাগ ছোপ সহজেই দূর করতে পারবেন। যখন আপনারা দেখবেন কালো দাগ ছোপ আস্তে আস্তে কমতে
লেগেছে বা ব্রণ অনেকটা কমছে, তখন প্রতিদিন নিয়মিত একটি করে ঔষধ খাবেন। তাহলে
দেখবেন আপনার মুখের ব্রণ এবং ব্রণের দাগ ছোপ একসময় নিমেষেই ভ্যানিশ হয়ে যাবে।
লেখকের ইতি কথাঃ মেয়েদের মুখের ব্রণ ও কালো দাগ দূর করার উপায়
সুপ্রিয় পাঠক, আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে মেয়েদের মুখের ব্রণ ও কালো দাগ দূর
করার উপায় সম্পর্কে পুরোপুরি ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। মেয়েদের মুখে ব্রণ ও কালো
দাগ দূর করার উপায় গুলো ভালোভাবে জেনে নিয়ে সঠিক গাইডলাইন ও নিয়মমাফিক প্রয়োগ
করলে, অবশ্যই আপনি আপনার মুখের কালো দাগ ও ব্রণ দূর করতে সক্ষম হবেন। মেয়েদের
মুখের ব্রণ ও কালো দাগ দূর করার
উপায় গুলো ভালোভাবে জেনে নিয়ে কতটুকু ব্রণ ও কালো দাগ দূর করতে সক্ষম হবেন সেটা
আপনার সঠিক গাইডলাইন ও নিয়মমাফিক ফর্মুলা প্রয়োগের উপর নির্ভর করছে। সম্ভব হলে
একজন ভালো চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে মেয়েদের মুখের ব্রণ ও কালো দাগ দূর করার
উপায় সম্পর্কে একটি কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। ইনশাআল্লাহ তাহলে দেখবেন অতি
শীঘ্রই আপনার মুখের ব্রণ ও কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।
সম্মানিত পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থেকে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগের সাথে
পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে এ ধরনের তথ্যবহুল ও
কার্যকরী আর্টিকেল নিয়মিতই পোস্ট করে থাকি। তাই আপনি যদি এ ধরনের আরও তথ্যবহুল ও
উপকারী পোস্ট পড়তে চান, তাহলে এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ফলো করুন। সাথে সাথে এ
আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে আপনার নিকট আত্মীয় বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজনদের
কাছে তাদের উপকারার্থে শেয়ার করে দিন।
যেন তারা মেয়েদের মুখের ব্রণ ও কালো দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে
নিতে পারে। মেয়েদের মুখের ব্রণ ও কালো দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে আপনার যদি
কোন মতামত বা প্রশ্ন থাকে, তাহলে অবশ্যই নিচে দেয়া মতামত বক্সে কমেন্ট করতে
ভুলবেন না। আবার আপনাদের সাথে কথা হবে, নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত
নিরাপদ ও সুস্থ থাকুন।
কনফিডেন্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url