ফেসবুক আইডি হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় কি?
বর্তমান সময়ে কে না ফেসবুক আইডি হ্যাক থেকে বাঁচানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত
জানতে চাই? কারণ ফেসবুক হচ্ছে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যম। সারা বিশ্বে প্রায় অধিকাংশ মানুষই ফেসবুক ব্যবহারের মাধ্যমে ঘরে বসেই
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে যাওয়া সব খবর সম্পর্কে খুব সহজেই জানতে পারেন।
ফেসবুক ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু ভুল হওয়ার কারণে ও কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ না করার
কারণে আমাদের ব্যবহৃত ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক হয়ে যায়। তাই আমাদের আজকের এই
আর্টিকেলটির মূল আলোচনায় হচ্ছে ফেসবুক আইডি হ্যাক থেকে বাঁচানোর উপায় কি? সেই
সম্পর্কে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যবহুল ও কার্যকরী পদক্ষেপ সম্পর্কে আলোচনা করা
হবে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক!
আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে ফেসবুক আইডি হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় কি? এই বিষয়
সম্পর্কে এমন কিছু ইউনিক ও কার্যকরী তথ্য এবং পদক্ষেপ সম্পর্কে জানাবো যেগুলিকে
কাজে লাগিয়ে আপনি খুব সহজেই আপনার ব্যবহৃত ফেসবুক আইডিটি হ্যাক হওয়া থেকে
বাঁচাতে পারবেন। অনেকেই হয়তো এ বিষয়গুলো ভালোভাবে জানেন না যে, কিছু কার্যকরী
পদক্ষেপ গ্রহণ করলে ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়া থেকে বাঁচানো সম্ভব। তাই আপনি যদি
ফেসবুক আইডি হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় কি? এ বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যগুলো
জানতে চান, তাহলে আজকের আর্টিকেলটি শুধু আপনার জন্যই। এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ
মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আশা করি আলোচ্য বিষয়ে বিস্তারিতভাবে নির্ভুল সব তথ্য
ও কার্যকরী পদক্ষেপগুলো জানতে পারবেন। ইনশাআল্লাহ!
পেজ সূচিপত্রঃ
.
ভুমিকা
বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মানুষের সামান্যতম ভুলের কারণে তাদের ফেসবুক একাউন্ট বা
ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়ে থাকে। কিন্তু কার্যকরী কিছু উপায় ও পদ্ধতির না জানার
কারণে অনেকেই তাদের হ্যাক হয়ে যাওয়া আইডিটি রিকভার করতে পারেন না। তাই আজকের এই
আর্টিকেলটির আলোচ্য বিষয় হচ্ছে ফেসবুক আইডি হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে।
আপনি যদি ফেসবুক আইডি হ্যাক থেকে
বাঁচার উপায় সম্পর্কে বিষয়টি সম্পূর্ণ ভালোভাবে জেনে নেন, তাহলে আপনি নিজেই
আপনার ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়া থেকে বাঁচাতে পারবেন বা আপনার ফেসবুক আইডি হ্যাক
হয়ে গেলে রিকভার করতে পারবেন। তাই আপনি যদি এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ
সহকারে পড়েন তাহলে ফেসবুক আইডি হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় কি? এ বিষয়ে সম্পূর্ণ
ধারণা পেয়ে যাবেন। এছাড়াও ফেসবুক কি
ধরনের ওয়েবসাইট ও ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা কে? ফেসবুক একাউন্ট খোলার নিয়ম কি?
ফেসবুক আইডি হ্যাক হলে কিভাবে বুঝবো? ফেসবুক হ্যাক হওয়ার কারণ কি কি? ফেসবুক
আইডি হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় কি? ফেসবুক হ্যাক হলে করণীয় কি? কি করলে ফেসবুক
আইডি হ্যাক হবে না, কিভাবে ইমেইল
ছাড়া হ্যাক হওয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার করা যায়? ফেসবুক আইডি হ্যাক
করলে শাস্তি কি? এই বিষয়গুলোর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আপনি যদি ফেসবুক
আইডি হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় কি? এ বিষয়ে সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি
আপনার জন্য খুবই কার্যকরী।
ফেসবুক কি ধরনের ওয়েবসাইট ও ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা কে?
ফেসবুক কি ধরনের ওয়েবসাইট?-ফেসবুক হচ্ছে বর্তমান সময়ে অনলাইনের জগতে
সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এই প্লাটফর্মে অনলাইনের মাধ্যমে
আপনি আপনার আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী, বন্ধু-বান্ধব ও বিশ্বের বিভিন্ন
প্রান্তের অপরিচিত ব্যক্তিদের সাথে চ্যাটিং, ভিডিও, অডিও কলের মাধ্যমে আপনার
জীবনে ঘটে যাওয়া হাসি-কান্না, দুঃখ, আনন্দ, বেদনা অর্থাৎ প্রতিটা মুহূর্ত শেয়ার
করতে পারবেন।
তাছাড়াও আপনি চাইলেই অনলাইনের জগতে ফেসবুকের মাধ্যমে সারা বিশ্বের বিভিন্ন
প্রান্তে থাকা পরিচিত ও অপরিচিত মানুষদের সাথে নতুন নতুন বন্ধুত্ব তৈরি করতে
পারবেন খুব সহজেই। আপনার নিজের বিভিন্ন ধরনের ইনফরমেশন বা তথ্য শেয়ার, আপনার
নিজের ইমেজ বা ছবি আপলোড, বিভিন্ন ধরনের ভিডিও কনটেন্ট ও অনলাইনের মাধ্যমে লাইভ
চ্যাটিং করতে পারবেন। এই জনপ্রিয় সোশ্যাল
আরো পড়ুনঃ ফেসবুক মনিটাইজেশন শর্ত - ফেসবুক থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় এবং ফেসবুক থেকে কত টাকা আয় করা যায়?
মিডিয়া নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইটে আপনি ফ্রিতে খুব সহজেই আপনার একটি ফেসবুক
একাউন্ট ক্রিয়েট বা প্রোফাইল তৈরি করতে পারবেন। যেহেতু এই ওয়েবসাইটটি অনলাইন
ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয় এজন্য ফেসবুক ইউজ করতে ইন্টারনেটের প্রয়োজন হয়।
ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা কে?- মার্ক জুকারবার্গ কে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা
বা ফেসবুকের জনক বলা হয়। এছাড়াও মার্ক জুকারবার্গের কিছু বন্ধু বা সহপাঠী মিলে
জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক উদ্ভাবন করেন। “Ken Eduardo Saverin”
“Chris Hughes” ও “Dustin Moskovitz” এরা সকলে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে
কম্পিউটার বিজ্ঞানের স্বনামধন্য ছাত্র এবং মার্ক জুকারবার্গ এর ঘনিষ্ঠ বন্ধু
ছিলেন।
এদের সকলের চিন্তার ফলশ্রুতিতে ফেসবুকের উদ্ভাবন হয়েছিল । কিন্তু ফেসবুক কিভাবে
গঠন করতে হবে ও এর অস্তিত্ব কি করে মানুষের সামনে উপস্থাপন করা যাবে এর পিছনে
মার্ক জুকারবাগ এর অক্লান্ত পরিশ্রম ছিল। এজন্যই মূলত মার্ক জুকারবার্গ কে
ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা বা জনক বলা হয়ে থাকে।
ফেসবুক একাউন্ট খোলার নিয়ম কি?
আপনি যদি ফেসবুক একাউন্ট খোলার নিয়ম সঠিকভাবে না জানেন তাহলে এই আর্টিকেলটি
সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে নির্ভুলভাবে নিজের ফেসবুক একাউন্ট নিজেই
তৈরি করতে পারবেন। তাহলে চলুন খুব সহজে স্টেপ বাই স্টেপ ফেসবুক একাউন্ট খোলার
নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেই।
- প্রথমে আপনাকে কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা মোবাইলের স্ক্রিনে যেকোনো একটি ব্রাউজার ওপেন করে সার্চ অপশনে “www.Facebook.com” লিখুন বা ফেসবুক অ্যাপে প্রবেশ করুন।
- এরপর নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরির জন্য “Create a new account” লেখাতে ক্লিক করুন।
- এরপর আপনাকে একটি পেজে ফরম পূরণ করার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে আপনি আপনার জরুরী সব তথ্য যেমন ধরুন নাম, মোবাইল নাম্বার বা ইমেইল এড্রেস ও নতুন পাসওয়ার্ড দিয়ে “Sing up” লেখা বাটনে ক্লিক করতে হবে।
- “Sing up” করার পরে আপনাকে একটি নতুন পেজে নিয়ে যাওয়া হবে, সেখানে একটি ভেরিফিকেশন বক্স দেখতে পাবেন তাতে আপনার ভেরিফিকেশন কোড দিতে হবে।
- ফেসবুক একাউন্ট খোলার সময় আপনি যে ইমেইল এড্রেস বা মোবাইল নাম্বার দিবেন তাতে ফেসবুক থেকে ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হবে সেই কোড ভেরিফিকেশন বক্সে দিয়ে “Continue” বাটনে ক্লিক করতে হবে।
- তারপর আপনি দেখতে পাবেন যে, আপনার ফেসবুক আইডি বা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে গেছে। এবার আপনি আপনার ফেসবুক একাউন্ট বা ফেসবুক আইডির প্রোফাইলে গিয়ে প্রোফাইলকে নিজের মত সুন্দর করে সাজিয়ে নিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন।
ফেসবুক আইডি হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় কি?
ফেসবুক আইডি হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিয়ে প্রথমত আপনাকে কয়েকটি পদক্ষেপ নিতে হবে। তা নিম্নে বর্ণিত হলোঃ- আপনার ফেসবুক আইডি বা ফেসবুক একাউন্টের পাসওয়ার্ডটি অনেক স্ট্রং বা শক্তিশালী হতে হবে। খুব সাধারন ও অতি সহজেই যে শব্দগুলো সবাই আন্দাজ করতে পারবে যেমনঃ (আপনার নিজের নাম আপনার নিজের জন্ম তারিখ কিংবা পার্সোনাল ফোন নাম্বার) এই ধরনের নরমাল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা থেকে সম্পূর্ণভাবে বিরত থাকতে হবে। আপনার ফেসবুক আইডি বা ফেসবুক একাউন্টের পাসওয়ার্ড সর্বনিম্ন আট শব্দের হতে হবে ও পাসওয়ার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের স্পেশাল ক্যারেক্টার ব্যবহার করতে হবে।
- আপনার ফেসবুক আইডি বা ফেসবুক একাউন্টের পাসওয়ার্ড অন্য কোথাও বা কোন সাইটে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। জিমেইল, টুইটার, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম ও অন্যান্য সকল একাউন্টের জন্য ভিন্ন ভিন্ন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।
- ভিন্ন ভিন্ন একাউন্টের জন্য আলাদা আলাদা পাসওয়ার্ড মনে রাখা খুব কঠিন। এইজন্য আপনাকে ভিন্ন ভিন্ন একাউন্টের পাসওয়ার্ড স্মরণ রাখার জন্য "LastPass", "Dash lane" এই ধরনের পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করতে হবে। এই গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপটির মাধ্যমে আপনার পাসওয়ার্ড সুরক্ষিত ও নিরাপদ থাকবে।
- প্রতি ৫ বা ৬ মাস পর পর বা বছরে দুইবার আপনার ব্যবহৃত সকল ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে হবে।
- আপনি যদি কখনো অন্য কারো ল্যাপটপ ফোন বা কম্পিউটারে আপনার ফেসবুক আইডি বা অ্যাকাউন্ট ও অন্যান্য সকল সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টগুলো “Log in” করলে সেখান থেকে “Remember Password” এই অপশনটি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। যদি একান্ত জরুরি কোন প্রয়োজনে অন্যের ডিভাইসে আপনার ফেসবুক আইডি বা ফেসবুক একাউন্ট “Log in” করতেই হয় তাহলে আপনার প্রয়োজন সেরে তার ডিভাইস থেকে “Log out” করে দিন। তারপর আপনার পার্সোনাল ডিভাইস থেকে সেই একাউন্টের পাসওয়ার্ডটি পরিবর্তন করে নিন।
ফেসবুক আইডি হ্যাক হলে কিভাবে বুঝবো?
সম্মানিত পাঠক আপনার ব্যবহৃত ফেসবুক একাউন্ট বা ফেসবুক আইডিটি হ্যাক হলে কিভাবে
বুঝবেন? ফেসবুক আইডি বা ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক হলে কিছু উল্লেখযোগ্য কার্যকরী
উপায় রয়েছে। এ পোষ্টটি সম্পূর্ণ পড়লে তা বিস্তারিত জানতে পারবেন।
- আপনার ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি বা ফেসবুক একাউন্ট থেকে “Log in history” চেক করলে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন যে, এই মুহূর্তে কোন কোন স্থান থেকে ও কোন কোন ডিভাইস থেকে আপনার ব্যবহৃত ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি Log in করে ব্যবহার করা হচ্ছে। সাথে সাথে এটাও জানতে পারবেন যে, কোন তারিখে কখন কোন ডিভাইসে আপনার ব্যবহৃত ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি “Log in” করা হয়েছে। আপনি যদি দেখেন যে, এই ধরনের ক্ষতিকর ও সন্দেহজনক কোন ডিভাইসে আপনার ব্যবহৃত ফেসবুক একাউন্টটি “Log in” করা আছে তাহলে আপনি "Log Out Of All Sessions" অপশনে গিয়ে ক্লিক করে সেই সকল ক্ষতিকর ও সন্দেহজনক ডিভাইস থেকে ফেসবুক একাউন্টটি দ্রুত “Log out” করে ফেলুন। এই “Log in history” চেক করার জন্য আপনাকে আপনার ফেসবুক আইডির উপরে সার্চ বারের পাশে থাকা থ্রি ডট মেনু বারে ক্লিক করুন।
- এরপর আপনাকে “Settings and privacy” অপশনে ক্লিক করতে হবে।
- এবার আপনাকে “Settings” অপশনে ক্লিক করতে হবে।
- এরপর আপনাকে ”Settings” অপশন থেকে “Security and log in” অপশনে ক্লিক করতে হবে। ক্লিক করার সাথে সাথেই দেখতে পাবেন কোন কোন ইলেকট্রিক ডিভাইসে আপনার ফেসবুক আইডি বা ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি “log in” করা আছে।
- আপনার ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়া থেকে নিরাপদ রাখতে ও সতর্কতার জন্য যদি দেখেন যে, যেটা আপনি চেনেন না এমন কোন অপরিচিত ডিভাইসে “log in” করা আছে, তাহলে দেরি না করে “Log out of all sessions” অপশনে ক্লিক করে সকল অপরিচিত ডিভাইস থেকে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি “Log out” করে নিন।
- আপনি যদি থার্ড পার্টি টুল ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি বা ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হয়েছে কিনা তা নিমিষেই জানতে পারবেন। “Have I Been Pwned” নামের এই থার্ড পার্টি টোল্টি সব ধরনের প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সংরক্ষণ করে রাখে। “Have I Been Pwned” একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমৃদ্ধ ওয়েবসাইট। আপনি খুব সহজেই এই ওয়েবসাইট টি ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি বা ফেসবুক অ্যাকাউন্টের যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য কোথাও ফাঁস হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে জানতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই “Have I Been Pwned” নামের এই তথ্যসমৃদ্ধ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে এবং সেখানে আপনার ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি বা ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি যে ইমেইল এড্রেস বা ফোন নাম্বার দিয়ে খুলেছেন সেই ইমেইল এড্রেস ফোন নাম্বার প্রদান করে “Pwned” লেখা অপশনে ক্লিক করতে হবে। তাহলে আপনি আপনার ফেসবুক আইডিটি বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে কেউ হ্যাক করছে কিনা তা জানতে পারবেন।
ফেসবুক হ্যাক হওয়ার কারণ কি কি?
সারা বিশ্বে ফেসবুক হলো সবচাইতে জনপ্রিয় ও অধিক ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশেও ফেসবুক ব্যবহারের সংখ্যা ব্যাপক হারে
বেড়েই চলছে। আর তার সাথে সাথে ফেসবুক আইডি বা ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করার প্রতি
হ্যাকারদের প্রবণতাও বাড়ছে।
তাই আপনি যদি ফেসবুক হ্যাক হওয়ার কারণ কি কি না জানেন তাহলে আপনার ফেসবুক
অ্যাকাউন্ট বা ফেসবুক আইডিটি হ্যাক হতে পারে। এইজন্য সতর্কতা হিসেবে চলুন জেনে
নেওয়া যাক ফেসবুক হ্যাক হওয়ার কারণ কি কি?
- আপনি যদি আপনার ফেসবুক আইডি বা ফেসবুক একাউন্ট তৈরীর সময় ইমেইলের পরিবর্তে আপনার পার্সোনাল ফোন নাম্বার ব্যবহার করেন।
- আপনি যদি আপনার ফেসবুক আইডি বা ফেসবুক অ্যাকাউন্টে “টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন” চালু না করে রাখেন।
- আপনার ফেসবুক আইডি বা ফেসবুক একাউন্টে আপনি যদি দুর্বল পাসওয়ার্ড হিসেবে নিজের নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, ফোন নাম্বার, জন্ম তারিখ, ডাক নাম ইত্যাদি। এই ধরনের যাবতীয় তথ্যগুলো পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
- আপনি যদি একই রকমের পাসওয়ার্ড ইমেইল, ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ও অন্যান্য সকল একাউন্টে ব্যবহার করেন।
- আপনার ফেসবুক আইডি বা ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আপনার জন্ম তারিখ ওপেন করে রাখলে বা পাবলিক করে রাখলে।
- আপনার ফেসবুক আইডি বা ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ফেক কোন নাম ও জন্ম তারিখ ব্যবহার করলে।
- উপরে আলোচিত এই সকল বিষয়গুলোর কারণে আপনার ফেসবুক আইডি বা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।
ফেসবুক হ্যাক হলে করণীয় কি?
আপনার ফেসবুক আইডি বা ফেসবুক একাউন্টটি যদি হ্যাক হয়ে যায় তাহলে সবার প্রথমে
আপনাকে যে পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে হবে সেগুলো নিচে বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করা
হলো। ইনশাআল্লাহ নিচের বর্ণনা অনুযায়ী সাবধানতার সাথে পদক্ষেপ নিলে আপনার ফেসবুক
আইডি বা ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি শতভাগ নিরাপদ থাকবে।
- নিতান্তই যদি আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বা ফেসবুক আইডিটি হ্যাক হয়ে যায় তাহলে আপনাকে সবার প্রথমে যে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে সেটা হল হ্যাকার যদি আপনার ব্যবহারিত ফেসবুক একাউন্ট বা ফেসবুক আইডিটির পাসওয়ার্ড পরিবর্তন না করে থাকে তাহলে আপনাকে সাথে সাথে পাসওয়ার্ডটি পরিবর্তন করতে হবে। পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করার জন্য আপনাকে যা করতে হবে সেটা হল, আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বা ফেসবুক আইডির মেনু অপশন থেকে সেটিংসে ক্লিক করতে হবে। এরপর Security & Login অপশন থেকে Change Password অপশনে গিয়ে নিউ ও কনফার্ম পাসওয়ার্ড দিয়ে Save Changes অপশনে ক্লিক করে আপনার ফেসবুক পাস আইডি বা ফেসবুক একাউন্টের পাসওয়ার্ডটি পরিবর্তন করে নিন।
- দ্বিতীয় পদক্ষেপ হিসেবে যা করতে হবে তা হল যদি দেখেন যে, হ্যাকার আপনার ফেসবুক আইডি বা ফেসবুক একাউন্টের পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করে ফেলেছে তাহলে আপনার জন্য সব থেকে কার্যকরী উপায় হচ্ছে আপনার ব্যবহৃত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বা ফেসবুক আইডির পাসওয়ার্ড রিসেট করে নিতে হবে। পাসওয়ার্ড রিসেট করার জন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হলো, আপনার ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি বা ফেসবুক একাউন্টে প্রবেশ করে Forgot your password লিখা অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর আপনাকে আপনার ব্যবহৃত বা হ্যাক হয়ে যাওয়া ফেসবুক আইডিটি খুঁজে বের করতে হবে। ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি খোঁজার জন্য সেখানে ব্যবহৃত ইমেইল এড্রেস বা ফোন নাম্বার দিয়ে একাউন্টটি খুজে বের করতে হবে। এরপর আপনার ফেইসবুক একাউন্টটি দেখা গেলে Reset Your Password অপশনে ক্লিক করে পাসওয়ার্ড রিসেট করে নিতে হবে।
- তৃতীয় পদক্ষেপ হলো, নিতান্তই যদি আপনার ফেসবুক আইডি বা ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই আপনাকে এ বিষয়টি সাথে সাথে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে জানানোর জন্য facebook.com/hacked এই ঠিকানায় লিংকে প্রবেশ করে My Account is compromised ক্লিক করতে হবে। তারপর আপনার ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি বা ফেসবুক অ্যাকাউন্টের যাবতীয় তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে। সাথে সাথে ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়ার বিষয়টি ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে রাখতে হবে।
- হ্যাকাররা সাধারণত ফেসবুক আইডি বা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে থাকে তাদের নিজেদের ব্যক্তিগত কোন স্বার্থ হাসিল করতে বা উদ্দেশ্য পূরণ করার জন্য। যেমন ধরুন, হ্যাকার আপনার ফেসবুক আইডি বা ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি হ্যাক করে আপনার প্রোফাইলে বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল পোস্ট করতে পারে। এছাড়াও আপনার ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি বা ফেসবুক একাউন্ট এর ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা ফ্রেন্ডদের কাছে নানান ধরনের বাজে ও অশ্লীল এসএমএস পাঠানোর মাধ্যমে আপনার সম্মান কে সবার সামনে নিঃশেষ করে দিতে পারে। এইজন্য চতুর্থ পদক্ষেপ যেটি আপনাকে গ্রহণ করতে হবে সেটি হল, ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক হয়ে গেলে আপনার ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা ফ্রেন্ডদেরকে অন্য কোন উপায়ে আপনার ব্যবহৃত অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হয়ে গেছে সে বিষয়ে জানাতে হবে।
- বেশিরভাগ সময়ই বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট বা ওয়েব আপগুলোর মাধ্যমে ফেইসবুক একাউন্ট হ্যাক হওয়ার জন্য অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। ভাইরাস যুক্ত website, বিভিন্ন ধরনের ম্যালওয়্যার ও ওয়েব অ্যাপের কারণেও অনেক সময় আপনার ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি বা ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হতে পারে। এইজন্য পঞ্চম পদক্ষেপ হিসেবে আপনাকে যেটি করতে হবে সেটি হল, অনেক সময় আমাদের ফেসবুক একাউন্ট বা ফেসবুক আইডিটি বিভিন্ন ধরনের ওয়েব অ্যাপ বা বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার কারণে ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক হয়ে থাকে। তাই এই ধরনের যাবতীয় ভাইরাসযুক্ত ম্যালওয়্যার অ্যাপে বা ওয়েবসাইটে আমাদের ফেসবুক একাউন্টটি বা ফেসবুক আইডিটি ব্যবহার করা উচিত নয়। কেননা এই কারণেই ফেসবুক আইডি বা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে যেতে পারে। তাই এই ধরনের ভাইরাসযুক্ত ম্যালওয়্যার অ্যাপ বা ওয়েবসাইট গুলোতে প্রবেশ করেছেন কিনা তা জানার জন্য আপনাকে আপনার ফেসবুক আইডি বা ফেসবুক অ্যাকাউন্টের Settings অপশনে প্রবেশ করুন। এরপর সেখানে Apps and Websites লেখা অপশনে ক্লিক করলে আপনি এমন কিছু ভাইরাস যুক্ত ম্যালওয়্যার অ্যাপ বা ওয়েবসাইটের লিস্ট দেখতে পাবেন। সেগুলোকে পুরোপুরি দেখতে হলে আপনাকে See more অপশনে ক্লিক করতে হবে। আপনি যদি এই লিস্টে থাকা কোন ক্ষতিকর ও সন্দেহজনক ওয়েব অ্যাপ ও ওয়েবসাইট দেখতে পান তাহলে পাশে থাকা Remove অপশনে ক্লিক করে আপনার ফেসবুক আইডি বা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সেটি ডিলিট করে দিন।
কি পদক্ষেপ গ্রহন করলে ফেসবুক আইডি হ্যাক হবে না?
অনেক সচেতন ব্যক্তি আছেন যারা ফেসবুক আইডি হ্যাক থেকে বাঁচার উপায়গুলো কি কি তা
জেনে নিয়ে তাদের ফেসবুক আইডি বা ফেসবুক একাউন্ট কে নিরাপদ রাখেন। কিন্তু অনেকে
অসচেতন ব্যক্তি রয়েছেন যারা ফেসবুক আইডি হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় কি কি তা
স্পষ্টভাবে না জানার কারণে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন না। তাই আমাদের
ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়া থেকে বাঁচার
উপায় কি তা পুরোপুরিভাবে জেনে নিয়ে কিছু কার্যকরী জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা
উচিত। আজকে আমরা ফেসবুক আইডি হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা করব।চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কি করলে ফেসবুক আইডি হ্যাক হবে না।
- ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়া থেকে বাঁচানোর উপায় গুলোর মধ্য সবথেকে সহজ ও কার্যকরী পদ্ধতি হলো ফেসবুক আইডি বা ফেসবুক একাউন্টে স্ট্রং বা শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা। আমরা অনেকেই রয়েছি যারা নিজেদের ফেসবুক আইডি বা ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পাসওয়ার্ড হিসেবে জন্ম তারিখ, নিজের নাম, ফোন নাম্বার, ব্যবহৃত ইমেইল এড্রেস ব্যবহার করে থাকি, কিন্তু আমাদের ফেসবুক আইডি বা ফেসবুক একাউন্টের জন্য এ বিষয়টি একেবারেই নিরাপদ নয়। আপনার ফেসবুক আইডি বা ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হওয়া থেকে বাঁচানোর জন্য অবশ্যই আপনাকে কঠিন ও শক্তিশালী বিভিন্ন স্পেশাল ক্যারেক্টার এর মাধ্যমে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। পাসওয়ার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি বিষয় খুব ভালো করে মনে রাখতে হবে যেন আপনার ব্যবহৃত পাসওয়ার্ডটি বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড় হাতের letter, number বা সংখ্যা ও বিভিন্ন ধরনের স্পেশাল ক্যারেক্টার বা চিহ্নগুলোর সমন্বয়ে গঠিত হয়। খেয়াল রাখবেন আপনার পাসওয়ার্ডটি যেন আপনার মনে রাখার মত হয় আবার একই ধরনের পাসওয়ার্ড যেন সব ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে ব্যবহৃত না হয়। আপনার ব্যবহৃত সকল সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট গুলো নিরাপদ রাখার জন্য প্রয়োজনে প্রতি ছয় মাস পর পর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করবেন। আপনার ব্যবহৃত প্রতিটি অ্যাকাউন্টের জন্য ভিন্ন ভিন্ন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন এতে করে আপনার ব্যবহৃত সকল সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট গুলো হ্যাক হওয়ার মত ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকবে।
- অধিকাংশ সময় হ্যাকাররা বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে মেসেজের ফিশিং লিংক ছড়িয়ে দিয়ে সবার ব্যক্তিগত তথ্যগুলো হাতিয়ে নেয়। তাই ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের লিংকে প্রবেশ করার পূর্বে সতর্কতা অবলম্বন করুন। হকাররা মূলত বিভিন্ন ধরনের জনপ্রিয় সব ওয়েবসাইটের মতো করে তাদের ওয়েবসাইট জাকজমক ভাবে তৈরি করে থাকে। আর সেখানে ডমেইনের নাম একই নামের নিয়ে থাকে ও পুরো ওয়েবসাইটটি হুবহু মূল বা আসল ওয়েবসাইটটির মতোই তৈরি করে রাখে। যাতে করে আপনি খুব সহজেই বুঝতে না পারেন যে আপনি হ্যাক হওয়ার মতো প্রতারণায় পড়ছেন কিনা। এক্ষেত্রে করণীয় হলো আপনার ব্যবহৃত ফেসবুক আইডিতে বা ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেখানো যাবতীয় ধরনের লিংকে প্রবেশ করার পূর্বে আপনাকে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে এবং সব ধরনের স্প্যাম লিংক পরিহার করতে হবে।
- আপনি যদি আপনার ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি বা ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি অন্যের ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা স্মার্টফোনে Log in করে থাকেন, তাহলে প্রয়োজন শেষে অবশ্যই সেই ইলেকট্রিক ডিভাইস থেকে আপনার একাউন্ট বা আইডিটি Los out করে নিবেন। আমাদের মাঝে অনেক ব্যক্তিরাই রয়েছেন যারা এ বিষয়টিকে তোয়াক্কা করে না, যার ফলে সে সকল ব্যক্তির ফেসবুক আইডি বা একাউন্ট হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই আপনার অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হওয়া থেকে নিরাপদ রাখার জন্য এই ধরনের সাবধানতা অবশ্যই অবলম্বন করুন।
- আমরা সবাই প্রায় ফেসবুকে নানান ধরনের লিংকে প্রবেশ করে থাকি। কিন্তু আমরা একটা বিষয় সম্পর্কে একটুও ভেবে দেখি না যে, এই ধরনের বিভিন্ন লিংকে প্রবেশ করলে আমাদের ব্যবহৃত অ্যাকাউন্টটি সুরক্ষিত থাকবে কিনা! তাই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন যে, গ্রাহকদের ফেসবুক আইডি হ্যাক থেকে বাঁচানোর জন্য Safe Driving একটি অপশন বা ফিচার চালু করেছেন। তাই আপনি যদি আপনার ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়া থেকে বাঁচাতে চান তাহলে আপনার প্রোফাইলে Setting অপশনে ক্লিক করে Password and Security অপশন থেকে Browsing অপশন বা ফিচারটি চালু করে রাখুন। তাহলে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আপনাকে একটা নির্দিষ্ট ওয়ার্নিং এর মাধ্যমে জানিয়ে দিবে যে, কোন কোন লিংকে প্রবেশ করা আপনার ফেসবুক আইডির জন্য ক্ষতিকর।
- আপনার ফেসবুক আইডি বা ফেসবুক অ্যাকাউন্টের Setting অপশনে ক্লিক করে Two-factor authentication অপশনটি চালু করে রাখুন। কারণ এটি ফেসবুক আইডি হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম। এতে করে আপনার ফেসবুক আইডিটি হ্যাকার হ্যাক করতেও পারবেনা, আর আপনার ফেসবুক আইডিটিও সুরক্ষিত থাকবে। কারণ যদি আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বা ফেসবুক আইডিতে Two-factor authentication অপশনটি চালু থাকে তাহলে অন্যান্য যেকোনো নতুন ডিভাইসে আপনার ফেসবুক আইডিটি Log in করতে গেলে, আপনার ফেসবুক আইডির পূর্বের Log in approve বা মোবাইলে আপনার নম্বরে অথবা ইমেইল আইডিতে অথবা হোয়াটসঅ্যাপে ভেরিফিকেশন কোড চলে আসবে। আর তখন সেই ভেরিফিকেশন কোড দিয়েই আপনার ফেসবুক আইডি বা একাউন্টটি Log in করা সম্ভব হবে। এতে করে আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন যে, আপনার ফেসবুক আইডিটি অন্য কোন ডিভাইসে হ্যাকার বা অন্য কেউ Log in করার চেষ্টা করছে কিনা।
কিভাবে ইমেইল ছাড়া হ্যাক হওয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার করা যায়?
আমাদের সামান্য ভুলের কারণে ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়ে যায়। ফেসবুক আইডি
হ্যাক হওয়ার পর হ্যাকাররা সাধারণত আপনার ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি বা অন্যান্য সব
সোশ্যাল মিডিয়ার প্রদানকৃত তথ্য যেমন ইমেইল এড্রেস, ফোন নাম্বার ও যাবতীয় তথ্য
পরিবর্তন করে দেয়। তাই হ্যাক হয়ে যাওয়া ফেসবুক আইডি বা ফেসবুক একাউন্ট ফিরে
পেতে অবশ্যই আমাদের কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। তাই আজকের এই
আর্টিকেলে কিভাবে ইমেইল ছাড়া হ্যাক হওয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার করা
যায়? এই সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী সব তথ্য বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
আরো পড়ুনঃ ৯টি উপায়ে টাইগার মুরগি পালন পদ্ধতি
চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক কিভাবে ইমেইল ছাড়া হ্যাক হওয়া ফেসবুক
অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার করা যায়? আপনার ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়ার পরে যখন
আপনি সেই ফেসবুক আইডিতে প্রবেশ করার চেষ্টা করবেন। তখন দেখতে পাবেন যে,আপনার
ব্যবহৃত অ্যাকাউন্টটি Log out হয়ে আছে। তখন আপনি যদি হ্যাক হয়ে যাওয়া সেই
ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি ফিরে পেতে চান তাহলে আপনাকে কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ
করতে হবে তা হলোঃ
- অন্য কারো ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি বা ফেসবুক একাউন্ট থেকে আপনার আইডিটি সার্চ করে খুঁজে বের করতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে আপনি যেই ফেসবুক আইডি থেকে আপনার হ্যাক হয়ে যাওয়া ফেসবুক আইডিটি সার্চ করবেন সেই ফেসবুক আইডির সাথে আপনার ফ্রেন্ডশিপ আছে কিনা।
- আপনার ব্যবহৃত হ্যাক হয়ে যাওয়া ফেসবুক আইডিটি সার্চ করে খুঁজে পাবার পরে সেই ফেসবুক আইডিতে প্রবেশ করে পাশে থাকা থ্রি ডট মেনুতে ক্লিক করতে হবে।
- সেখানে আপনি আপনার ফেসবুক আইডির একটি লিঙ্ক দেখতে পাবেন, সেই লিংকটি সাবধানতার সাথে কপি করে নিতে হবে।
- এরপর আপনার ডিভাইসে থাকা গুগল ক্রোম ব্রাউজারে “facebook.com” লিখে সার্চ করে নিবেন। তারপর গুগল ক্রোম ব্রাউজারের উপরে থাকা থ্রি ডট মেনুতে ক্লিক করে ডেক্সটপ সাইজ অপশন চালু করে নিতে হবে। কিংবা সার্চ অপশনে ”web.facebook.com” সার্চ করতে হবে, তাহলে সহজেই আপনি ডেক্সটপ সাইজ মুড পেয়ে যাবেন।
- সেখানে আপনার হ্যাক হয়ে যাওয়া ফেসবুক আইডিটি ওপেন করার জন্য “Email And phone number” অপশনে কপি করে রাখা সেই লিংকটি পেস্ট করে দিতে হবে ও পেস্ট করা সে লিংকটির https://www.facebook.com/ লেখা পর্যন্ত কেটে দিতে হবে ও শেষের নাম টুকু রেখে দিতে হবে, কারণ এটা আপনার হ্যাক হয়ে যাওয়া আইডি বা অ্যাকাউন্টের ইউজার নেম হিসেবে কাজ করবে। এরপর পাসওয়ার্ড দেওয়ার স্থানে আপনার ইচ্ছামত পাসওয়ার্ড বসিয়ে দিয়ে ”Log in” করার চেষ্টা করতে হবে।
- সেখানে আপনার হ্যাক হয়ে যাওয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি ”Log in” হবে না তারপরেও সেখানে সেই হ্যাক হয়ে যাওয়া ফেসবুক আইডিটি শো করবে। ঠিক তখনই আপনাকে “Forgotten password” অপশনে ক্লিক করতে হবে।
- আপনার হ্যাক হয়ে যাওয়া ফেসবুক আইডির পাসওয়ার্ড ফরগেট করলে সে ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি ওপেন না হয়ে সেখানে ব্যবহৃত কোন ইমেইল এড্রেস দেওয়া আছে সেটা শো করবে। তখন যদি আপনি আপনার ইমেইল এড্রেস দেখতে পান তাহলে খুব সহজেই হ্যাক হয়ে যাওয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বা ফেসবুক আইডিটি রিকভার বা পুনরুদ্ধার করতে পারবেন। আর যদি সেখানে অন্য কোন অপরিচিত ব্যক্তির ইমেইল এড্রেস সো করছে তাহলে “No longer have access to these?” লেখা অপশনে ক্লিক করতে হবে।
- “No longer have access to these?” লেখা অপশনে ক্লিক করলে আরো একটি নতুন অপশন বের হয়ে আসবে। তখন সেখানে নতুন আরেকটি ইমেইল এড্রেস বসিয়ে কনফার্ম মেইল দিতে হবে। (তবে এক্ষেত্রে এই অপশনটি সবার আসবেনা, শুধুমাত্র যারা তাদের একাউন্টে ট্রাস্টেড কন্টাক্ট যুক্ত করে রেখেছিল তাদের কাছে এই অপশনটি প্রদর্শিত হবে।) তখন অবশ্যই সেখানে একটি নতুন ইমেইল এড্রেস দিতে হবে যেটা আগে কখনো কোন ফেসবুক আইডি বা ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ব্যবহৃত হয়নি। এরপর “Continue” লেখা বাটনে ক্লিক করতে হবে।
- এরপর আপনাকে একটি নতুন পেজে নিয়ে যাওয়া হবে। আর সেখানে আপনার ট্রাস্টেড কন্ট্রাক্ট একাউন্ট এর মাধ্যমে সহযোগিতা নিতে হবে। সেখানে “Reveal Your Trusted Contacts” অপশনে ক্লিক করে একটি নতুন নাম দিতে হবে যেটার মাধ্যমে আপনি আপনার ট্রাস্টেড কন্ট্রাক্ট রেখেছেন। এরপর আপনাকে ”Continue” লেখা অপশনে ক্লিক করতে হবে।
- ”Continue” লেখা অপশনে ক্লিক করা মাত্রই কাকে আপনি ট্রাস্টেড লিস্টে রেখেছেন সেটা স্পষ্টভাবে দেখতে পাবেন। সেখান থেকে তিনটি ফেসবুক একাউন্ট বা ফেসবুক আইডির কোডের প্রয়োজন হবে। এজন্য আপনাকে আগে থেকেই আপনার ট্রাস্টের লিস্টে থাকা ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করে কোড গুলো সংগ্রহ করে রাখতে হবে।
- ট্রাস্টেড কোড গুলো পেতে আপনাকে অবশ্যই এই এড্রেসে “https://www.facebook.com/recover” প্রবেশ করে লিংকটি কপি করে নিয়ে আপনার ট্রাস্টেড কন্টাক্টে থাকা ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করে সেই লিংকটি দিয়ে তাদের কাছ থেকে কোড কালেক্ট করতে হবে। এভাবে ট্রাস্টেড লিস্টে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে তিন জনের থেকে তিনটি কোড সংগ্রহ করে নিতে হবে।
- “Each friend will give you a code enter there” অপশনে সেই কোডগুলো বসিয়ে দিয়ে ”Continue” লেখা বাটনে ক্লিক করতে হবে।
- “Each friend will give you a code enter there” এই অপশনে বসানো কোডগুলো ঠিক থাকলে আপনাকে একটি নতুন পেজে নিয়ে যাওয়া হবে এবং সেখানে আপনাকে নতুন পাসওয়ার্ড দিতে বলা হবে। তখন সেখানে আপনি নতুন একটা স্ট্রং পাসওয়ার্ড দিয়ে ”Continue” লেখা বাটনে ক্লিক করতে হবে।
- ”Continue” লেখা বাটনে ক্লিক করার পরে আপনাকে যে পেজে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে আপনি একটি মেসেজ দেখতে পাবেন। সেখানে আপনার হ্যাক হয়ে যাওয়া ফেসবুক একাউন্ট রিকভার করা হয়েছে তা লেখা থাকবে ও আপনাকে আপনার ইমেইলটি চেক করতে বলা হবে। কারণ এই ইমেইল এড্রেসে ফেসবুক থেকে আপনার সাথে একটি মেইলের মাধ্যমে কন্ট্রাক্ট করা হবে।
- তখন আপনি আপনার জিমেইল একাউন্টে প্রবেশ করলে ফেসবুক থেকে পাঠানো একটি মেসেজ দেখতে পাবেন। মেসেজে একটি লিঙ্ক দিয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আপনাকে ফলো করতে বলবে।সেই লিংকে ক্লিক করলে আপনার হ্যাক হয়ে যাওয়া ফেসবুক আইডি সম্পূর্ণরূপে ফিরে পাবার জন্য আপনাকে ২৪ ঘন্টা অপেক্ষা করতে বলবে।
- ২৪ ঘন্টা পার হলে পুনরায় আপনি আপনার জিমেইল একাউন্টে প্রবেশ করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের পাঠানো মেসেজের লিংকটা ওপেন করবেন। তাহলে আপনার হ্যাক হয়ে যাওয়া ফেসবুক আইডিটি সফলভাবে ফিরে পাবেন।
- এরপর ফিরে পাওয়া সেই ফেসবুক আইডিটি আপনার যেকোনো পার্সোনাল ডিভাইসের Facebook অ্যাপে একাউন্টটি ”Log in” করতে আপনি যে ইমেইল এড্রেস ব্যবহার করে আপনার হ্যাক হয়ে যাওয়া আইডিটি রিকভার করেছেন সেই ইমেইল এড্রেস ও পাসওয়ার্ড বসিয়ে ”Log in” করুন। তাহলে আপনার ফেসবুক আইডিটি খুব সহজেই ”Log in” করতে পারবেন।
- হ্যাক হয়ে যাওয়া ফেসবুক আইডিটি রিকভার করে ”Log in” করার পর প্রথমেই আপনাকে “Settings” অপশনে ক্লিক করে “Personal and account information” অপশন থেকে “Contact” থাকা হ্যাকারের যে ফোন নাম্বার ও ইমেইল এড্রেস থাকবে সেটা রিমুভ করে দিতে হবে। এরপর যদি আপনার ফেসবুক আইডি বা ফেসবুক একাউন্টে অন্য কোন পরিবর্তন দেখতে পান তাহলে সেটা ঠিক করে নিতে হবে।
ফেসবুক আইডি হ্যাক করলে শাস্তি কি?
ICT বা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক আইন ২০০৬ বা পরবর্তীতে সংশোধিত ২০১৩ এর
৫৪ ধারা মোতাবেক কম্পিউটার সিস্টেমের মাধ্যমে ইমেইল পাঠানো, বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস
ছড়ানো, হ্যাকিং বা অনাধিক প্রবেশ সিস্টেমে প্রবেশ করে সব ধরনের সোশ্যাল মিডিয়ার
আইডি বা একাউন্ট গুলোর যেকোনো ধরনের ক্ষতি সাধন করাজঘন্যতম অপরাধ। এই জঘন্যতম
অপরাধের জন্য তথ্য ও
যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক আইন ২০০৬ বা পরবর্তীতে সংশোধিত ২০১৩ এর ৫৪ ধারা
অনুযায়ী অপরাধীকে শাস্তি হিসেবে সর্বোচ্চ ১৪ বছরের কারাদণ্ড এবং সর্বনিম্ন ৭
বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ বা এক কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা প্রদান করতে হয়। আবার
কখনো যদি কেউ কম্পিউটারের রিসোর্স মাধ্যম অবলম্বন করে যেকোনো ধরনের তথ্য পরিবর্তন
করে বাতিল বা বিনাশ করার চেষ্টা করে কিংবা
কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সার্ভার ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের ইলেকট্রিক সিস্টেমে
অবৈধভাবে প্রবেশ করার চেষ্টা করে তাহলে এই ক্রিয়া-কলাপটি বা কাজটি আইন অনুযায়ী
হ্যাকিংয়ের মতো জঘন্যতম অপরাধ বলে গণ্য হবে। তখন হ্যাকিং এর মত জঘন্যতম অপরাধ
করার কারণে অপরাধীকে সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদন্ড এবং সর্বনিম্ন ৭ বছরের কারাদন্ডে
দণ্ডিত হবে। অথবা ১ কোটি টাকা জরিমানা
প্রদান করতে হবে। এছাড়াও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক আইনের ৫৭ ধারা
অনুযায়ী বর্ণিত হয়েছে প্রথমবার যদি কোন ব্যক্তি স্বেচ্ছায় অন্য ব্যক্তিদের
ওয়েবসাইট বা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট গুলোতে হ্যাকিং বা অবৈধভাবে
প্রবেশের মাধ্যমে বানোয়াট, মিথ্যা কিংবা অশালীন ও অশ্লীল কিছু প্রচার করে তাহলে
তার সর্বোচ্চ ১৪ বছর ও সর্বনিম্ন ৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে অথবা ১ কোটি টাকা
পর্যন্ত জরিমানা প্রদান করতে হবে। আবার যদি কেউ হ্যাকিং এর মত এই জঘন্যতম অপরাধটি
দ্বিতীয়বার করে তাহলে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে অথবা ৫ কোটি টাকার
বা তার চাইতে বেশি জরিমানা প্রদান করতে হবে।
লেখকের ইতি কথাঃ ফেসবুক আইডি হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় কি? সম্পর্কে
সুপ্রিয় পাঠক, আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে ফেসবুক আইডি হ্যাক থেকে বাঁচার উপায়
সম্পর্কে পুরোপুরি ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। ফেসবুক আইডি হ্যাক থেকে বাঁচার উপায়
সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সব তথ্যগুলো পুরোপুরি ভালোভাবে জেনে নিয়ে আর্টিকেলে
উল্লেখিত পদক্ষেপ গুলো গ্রহণ করলে আপনার ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি বা ফেসবুক
অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হবে না। তাই এই আর্টিকেলে উল্লেখিত পদক্ষেপ গুলো গ্রহণ করবেন
কিনা তা পুরোপুরি আপনার ওপর নির্ভর করছে।
সম্মানিত পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থেকে এই আর্টিকেলটির সম্পূর্ণ মনোযোগের সাথে
পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে এ ধরনের তথ্যবহুল ও
কার্যকরী আর্টিকেল নিয়মিতই পোস্ট করে থাকি। তাই আপনি যদি এ ধরনের আরো তথ্যবহুল ও
উপকারী আর্টিকেল পড়তে চান তাহলে অবশ্যই এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ফলো করুন। সাথে
সাথে এই আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে আপনার নিকট আত্মীয় বন্ধু-বান্ধব ও
পরিবার-পরিজনদের কাছে তাদের উপকারার্থে শেয়ার করে দিন। যেন তারা ফেসবুক আইডি
হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে পুরোপুরি ভালোভাবে জেনে নিতে পারে।
ফেসবুক আইডি হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে আপনার যদি কোন মতামত বা প্রশ্ন
থাকে, তাহলে অবশ্যই নিচে দেয়া মতামত বক্সে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আবার আপনাদের
সাথে কথা হবে নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত নিরাপদ ও সুস্থ থাকুন।
কনফিডেন্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url