দ্রুত মাথা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
দ্রুত মাথা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় গুলো বিস্তারিতভাবে জেনে রাখলে দৈনন্দিন
জীবনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ অধিকাংশ মানুষেরই কমবেশি মানুষেরই
মাথা ব্যথা বা মাথা যন্ত্রণা হয়ে থাকে। সাধারণত অনেকেরই হঠাৎ করে ঘুম থেকে ওঠার
পর মাথার বাম বা ডান পাশে প্রচন্ড ব্যথা শুরু হয়ে যায় এবং মাইগ্রেনের সমস্যা
থাকলে বমি পর্যন্ত হয়ে যায়। তাই আপনি কি আপনার অসহ্য মাথা যন্ত্রণা নিয়ে
চিন্তিত?
তাহলে আর কোন চিন্তা নেয়। কারণ আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি সঠিক পরামর্শ
গ্রহণ করে আপনার অসহ্য মাথা যন্ত্রণা নিমিষেই শেষ করে দিতে পারবেন। এছাড়াও আরো
জানতে পারবেন মাথা ব্যথা কোন কোন রোগের লক্ষণ? মাথা ব্যথা করলে কি করা উচিত? মাথা
ব্যথা দ্রুত সারাতে এরোমাথেরাপি, হিটথেরাপি ও মাথাব্যথা দ্রুত সারানোর কার্যকরী
১২ টি ঔষধের নাম। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক দ্রুত মাথা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া
উপায় সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন!
পেজ সূচিপত্রঃ
.
ভুমিকা
দ্রুত মাথা ব্যাথা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে সম্মুখ ধারণা রাখলে নিমিষেই মাথা
ব্যাথা দূর করা যায়। অনেকেই অনেক ভাবে জানার চেষ্টা করে থাকেন কিন্তু দ্রুত মাথা
ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে সঠিক তথ্য বিস্তারিতভাবে জানতে পারেন না।
আপনি যদি আপনার অসহ্য মাথা যন্ত্রণা নিয়ে চিন্তিত থাকেন তাহলে আজকের এই
আর্টিকেলটি আপনার জন্য কার্যকরী সমাধান। আপনি যদি এই
আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ বিস্তারিতভাবে পড়েন তাহলে জানতে পারবেন দ্রুত
মাথা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আলোচ্য
বিষয়গুলি বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করার চেষ্টা করব। তাহলে চলুন জেনে দেরি না করে
নেওয়া যাক!
ঘন ঘন মাথা ব্যাথার কারণ কি
নিত্যদিনের একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই মাথাব্যথা। মাথাব্যথা ভোগে কষ্ট
পাই না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। দৈনন্দিন জীবনে এ মাথাব্যথা গুরুত্বপূর্ণ
সমস্যা সৃষ্টি করেছে। প্রায় প্রত্যেকেরই মাথা ব্যথার সমস্যা রয়েছে। মাথা ব্যথা
কোন রোগ নেই এটিকে রোগের উপসর্গ হিসেবে ধরা হয়। মাইগ্রেন আর টেনশন এই দুইটি
প্রকারভেদ মাথাব্যথার জন্য খুবই সুপরিচিত। বিভিন্ন ডাক্তারদের মতে, ৭০%
মাথাব্যথা অতিরিক্ত টেনশন টাইপ বা হেডেক বলে গন্য করা হয়। বিভিন্ন ধরনের টেনশন
দুশ্চিন্তা এবং অস্থিরতা থেকেও মাথা ব্যথা হয়ে থাকে তার পরিমাণ সব থেকে বেশি
প্রায় ৬৯% এবং ১১ শতাংশ মাথাব্যথার প্রধান কারণ হচ্ছে মাইগ্রেন। সাধারণত
অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবন করা, পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমের অভাব হওয়া, মদ্যপান করা,
ধূমপান করা, অতিরিক্ত টিভি দেখা, অতিরিক্ত মোবাইল আসক্তি,
বিরতিহীন কাজ করলে, সাইনোসাইটিস , জেনেটিক কারণে মাথাব্যথা হয়,পারিপার্শ্বিক
কোলাহল, বেশি মাদকাসক্তিতে আসক্ত হওয়া, শারীরিক-মানসিক চাহিদার থেকে পরিশ্রম
বেশি করা, মানসিক চাপ বেশি হলে, সাইনাস সমস্যা হলে, শরীরে হরমোনের পরিবর্তন
হলে,অধিক সময় ধরে ক্ষুধার্ত থাকলে, আবহাওয়া গরম এমন পরিবেশে কাজ করলে, চোখের
সমস্যা থাকলে, বেশি বেশি চিন্তাভাবনা করা
এগুলো হলো মাথা ব্যথার মূল কারণ। বলা বাহুল্য যে, ঘনঘন মাথা ব্যথার কারণ হিসেবে
উপরের উল্লেখিত বিষয়গুলো সর্বোপরি দায়ী আমরা সেই বিষয়টি খুবই ভালো করে লক্ষ্য
করতে পারছি। সুতরাং আপনারা যদি মাথাব্যথা থেকে পরিত্রাণ পেতে চান তাহলে অবশ্যই
উপরের বিষয়গুলো এড়িয়ে চলতে হবে এবং ঘরোয়া উপায়ে মাথাব্যথা কমে এ রকম টোটকা
গুলো জেনে রাখতে হবে। ফলে আপনারা
সবাই মাথাব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন। সাধারণত মাথা ব্যথা বিভিন্ন ধরনের রয়েছে যেমন
যাদের মাইগ্রেনে ব্যথা তাদের মূলত মাথার কোন একটা অংশ নিয়ে চিনচিন করে, নরমাল
জ্বর যদি হয় তাহলে তাছাড়া শরীরের ছড়িয়ে যায়, প্রেশার বা অন্যান্য কারণে যদি
মাথা ব্যথা হয় তাহলে ঘাড়ের নিচে ব্যথা হয়।
মাথা ব্যথা যখন প্রকট আকার ধারণ করে তখন রোগীর স্থির হয়ে থাকা বেশ কঠিন হয়ে
পড়ে। যেকোনো মাথাব্যথা সাধারণত স্থায়িত্ব হয় ৩০ মিনিট থেকে সাত দিন
পর্যন্ত।তারপর মাথা ব্যাথার কারন শনাক্ত করতে হবে সেই অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে।
এইজন্য অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
মাথা ব্যাথা করলে কি করা উচিত
সাধারণত মাথাব্যথা কেন হয়, কি কারনে হয় সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে মোটামুটি ভালোই
ধারণা পেয়েছি। অতিরিক্ত টেনশন কে মাথা ব্যথার মূল কারণ হিসেবে দায়ী করা হয়।
ঘুমের কারণেও যেহেতু মাথা ব্যথা হয় তাই জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো খুবই
প্রয়োজন। মাথা ব্যথা ভালো করতে চাইলে ঘুমের কোনরকম ঘাটতি রাখা যাবে না। একজন
পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তিকে দৈনিক ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো হলো
আদর্শ সময়। তাই যদি আপনারা সবাই মাথা ব্যথা দূর করতে চান তাহলে অবশ্যই দৈনিক
কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন। পাশাপাশি যে কারণগুলোর জন্য মাথাব্যথা
হয় সেগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে। দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন রকম টেনশন বা সমস্যা
দেখা দিতে পারে সেহেতু সেগুলো বিচক্ষণতার সহিত সমাধান করতে হবে, নিজেকে বিচলিত
করা চলবে না, নিজেকে শান্ত রাখতে হবে।
যখন মাথা ব্যথা হবে তখন অবশ্যই কিছু টিপস এবং ট্রিকস মনে রাখতে হবে। সেগুলো হলো
একটি নরম পরিষ্কার কাপড় গরম পানিতে ভালোভাবে ভিজিয়ে নিন তারপর তা আলতো করে চিপে
নিন তারপর চোখের ওপর ধরে রাখুন। অতিরিক্ত টেনশনের কারণে বেশিরভাগ সময় মাথা ব্যথা
হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে যখন মাথা ব্যথা হবে তখন হালকা কুসুম গরম পানিতে গোসল করলে
অনেকটা মাথা ব্যথা
উপশম হয়। সাধারণত প্রদাহনাশক মসলা জাতীয় খাবার হল আদা। এই আদা খালি মুখে
চিবিয়ে খেলেও মাথা ব্যথা দূর হয়। কিংবা আদা চা পান করলেও খুবই তাড়াতাড়ি
মাথাব্যথা উপশমিত হয়। আর যদি মাথা ব্যথা ডানে কিংবা বামে হয় তাহলে হালকা
নারিকেল তেল হাতে নিয়ে আলতো করে মাথায় ম্যাসাজ করুন। তাহলে অনেকটা আরাম পাবেন
তারপর আস্তে আস্তে দেখবেন মাথা ব্যথা দূর হয়ে গেছে।
অনেক সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না খাওয়ার কারণে মাথাব্যথা অনেক সময় হয়ে
থাকে। তাই প্রতিদিন নিয়মিত অন্ততপক্ষে ৩ থেকে ৪ লিটার পানি খাওয়া আবশ্যক।
নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে শুধু মাথাব্যথা নয় শরীরের অনেক রোগ দূর
হয়। আমরা কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম কাজ করে থাকি কাজ করার সময়
মানসিক টেনশন অনেকটাই বেড়ে যায়। তখন যদি কাজের
উপর বেশি ফোকাস দিয়ে মনোযোগ সহকারে কাজ করা যায় তাহলে অনেকটাই টেনশন কমে যায়
এবং কাজও ভালো হবে। মাথা ব্যথা কমে যাবে এবং নিমিষেই টেনশন ও ভ্যানিস। সম্মানিত
পাঠকগণ তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক এবার দ্রুত মাথা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
গুলো কি কি হতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করা যাক।
দ্রুত মাথা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
প্রতি ১০০ জনের ভিতরে ৭৮ জন মানুষ এই মাথা ব্যথায় ভোগে। বিভিন্ন সময় ঘুম ভালো
না হওয়া, সময়মতো খাবার না খাওয়া, পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করা, অতিরিক্ত
দুশ্চিন্তা এবং অবিশাদগ্রস্থ হওয়া ইত্যাদি কারণে মাথাব্যথা হয়ে থাকে। উপরের
বিষয়গুলোতে ইতিমধ্যেই ঘন ঘন মাথা ব্যথার কারণ? কেন মাথা ব্যথা হয় মাথাব্যথা
সময় কি করা উচিত এ সম্পর্কে ভালোভাবে অভিভূত হয়েছি। তাই
এবার দ্রুত মাথাব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় গুলো সম্পর্কে আমাদের বিস্তারিত জানা
উচিত। সাধারণত মাথা ব্যথা কোন রোগ নয়,এটি একটি উপসর্গ মাত্র। মাথা ব্যথা যদি
আমরা দ্রুত ঘরোয়া উপায়ে কমাতে পারি তাহলে ভালো নয় কি? দ্রুত মাথা ব্যথা ও
কমবে, মাথাব্যথা দূর হবে। ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া লাগবে না। অসুস্থ হলে ঔষধ
খাওয়া লাগে তাই বাধ্য হয়ে খেতে হয় স্বাস্থ্যের পক্ষে কোন ঔষধি ভালো না।
ওষুধ সেবন না করেই যদি আমরা এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারি কোন পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়া ছাড়া তাহলে তো ভালো একটা বিষয়। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানোর
অভ্যাস করুন। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।দৈনিক
৭ থেকে ৮ ঘণ্টার বেশি ঘুমানো থেকে বিরত থাকুন। চা,কফি,কোলা, পেপসি, কোমল পানীয়
খাওয়া কমিয়ে দিন কারণ এগুলোতে ক্যাফিন রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ লটকনের উপকারিতা-লটকন খেলে সারবে যেসব রোগ
যা মাথাব্যথা সৃষ্টি পড়তে পারে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। শরীরকে
ডিহাইড্রেশন রাখতে হবে। দৈনিক কমপক্ষে ২ লিটার পানি পান করতে হবে। নিয়মিত খাবার
গ্রহণ না করলেও মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে কারণ আমরা যে খাবার গ্রহণ করি সেই
খাবার মাথায় গিয়ে এক ধরনের চিনি তৈরি করে যেটা ব্রেনের খাদ্য। খাবার না খেলে
রক্তে চেয়েছে চিনির পরিমাণ কমে যায় তখন মাথা ব্যথা করে।
তাই কোন বালার খাবার স্ক্রিপ্ট করা যাবে না। সারাদিন শুয়ে বসে থাকলেও মাথা ব্যথা
করে তাই নিয়মিত শরীর চর্চা করতে হবে। উপরোক্ত বিষয়গুলো মাথায় রেখে চললে দ্রুত
ঘরোয়া উপায়ে মাথা ব্যথা উপশমিত হয়।
স্বাস্থ্য সম্মত খাবার গ্রহন করা
সাধারণত সকল রোগের মূল কারণ হলো ও অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং বিশৃঙ্খলভাবে জীবন যাপন
করা। অনেকের কাছে এটা শুনতে অবাক লাগলেও এটাই বাস্তব কথা। এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন
জাগতেই পারে এটার সাথে মাথা ব্যথার আবার কি সম্পর্ক? তাহলে চলুন আলোচনা করা যাক।
ধরুন আপনি রেগুলার বাইরের অস্বাস্থ্যকর প্রসেস ফুড খাচ্ছেন। ফলে সর্বপ্রথম আপনার
এসিডিটির সমস্যা হবে এবং
বিভিন্ন রকম আপনার অসুখ হবে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মতে, অনেক সময় গ্যাসের কারণেও
মাথা ব্যথা হয়। দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট,ক্যালরি, প্রোটিন,
ম্যাগনেসিয়াম,পটাশিয়াম এবং বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন সমৃদ্ধ পুষ্টিগুনে ভরপুর
খাবার খাদ্য তালিকায় রাখা। যেমন ফাইবার স্টার্চি কার্বোহাইড্রেট খাওয়া, তৈলাক্ত
মাছ খাওয়া, প্রতিদিন ফলমূল এবং সবজি খাওয়া, স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম খাওয়া,
সকালের নাস্তা বাদ না দেওয়া ও লবণ কম খাওয়া।
পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমানো
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম দেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দৈনিক একজন প্রাপ্তবয়স্ক
ব্যক্তির গড়ে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো দরকার। ঘুম মানুষের প্রতিদিনের ক্লান্তি ভাব
দূর করে এবং শারীরিক নানা রকম শূন্যস্থান পূরণ করে। এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমালে স্মৃতিশক্তি ভালো থাকে। ঘুমের
মাধ্যমে মস্তিষ্কের কোষগুলো স্মৃতিকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে নেই এবং মানুষের
মস্তিষ্ক শীতল করে রাখে ফলে সবকিছু খুব সহজেই মনে থাকে। পর্যাপ্ত ঘুমের ফলে আবেগ
গত সমস্যা
দূরীভূত হয়। ঘুমের মাধ্যমে দেহের হরমোনের মাত্রা ঠিক থাকে। পর্যাপ্ত ঘুমের
মাধ্যমে যৌনতার উন্নতি হয়। একজন ব্যক্তির দৈনিক ৮ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে যারা ছয় ঘন্টার কম ঘুমাবে তাদের আয়ু যারা ৬ ঘন্টা বেশি
ঘুমায় তাদের চেয়ে কমে যায়। পর্যাপ্ত ঘুম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এবং
মস্তিষ্কের সৃজনশীলতা বাড়ায়, ওজন নিয়ন্ত্রণ করে , মানসিক চাপ কমায়। ঘুম
মানুষকে বিশ্রাম এবং মানসিক স্বস্তি দেয়। তাইতো সকলের পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো
উচিত।
পর্যাপ্ত পানি পান করা
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। মানবদেহে প্রায়
৭০% থেকে ৭৫% পানি।শরীরকে সুস্থ সকল রাখতে দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করা
প্রয়োজন। পানির মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পরিচালিত হয়ে থাকে।
ডিহাইড্রেশনে সমস্যা দেখা দিতে পারে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করার কারণে।
এতে করে কোষ্ঠকাঠিন্য খিচুনি মাথা ব্যথা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
নিয়মিত পানি পান করলে হজম খুব সহজেই হয়। ত্বককে সুস্থ সবল সুন্দর,উজ্জ্বল রাখতে
পর্যাপ্ত
পরিমাণে পানি পান করা অপরিহার্য। পর্যাপ্ত পানি পান না করলে ত্বকে ব্রণ ও রাশের
মত সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই সৌন্দর্য বজায় রাখতে বেশি বেশি পানি পান করুন।
শরীর থেকে ক্লান্তি ভাব দূর করে, দূষিত পদার্থ বের করে, মস্তিষ্কের গঠন এবং
কার্যকারিতা ঠিক রাখে, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে, ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে,
সমস্যা দূরীভূত করে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন পৌঁছানোর কাজ করে। তাই
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন এবং শরীরকে সুস্থ রাখুন।
আদা চা পান করা
ভিটামিন মিনারেল ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন সি এর অন্যতম উৎস হল আদা। আদা হজমে
খুব ভালো কাজ করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, লিভার পরিষ্কার করে, অ্যাজমা
এবং হৃদরোগ থেকে ঝুকি কমায়। প্রতিদিন সকালবেলা এক কাপ করে আদা চা খেলে অনেক রোগ
থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বহু শতাব্দী থেকে আদাকে স্বাস্থ্যকর এবং বহুগুণ সমৃদ্ধ
ভেষজ উদ্ভিদ হিসেবে গণ্য করা হয়।
আদার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রকম ব্যাকটেরিয়ারোধী ও ভাইরাসরোধী উপাদান। ওজন এবং
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে, রয়েছে ব্যাথানাশক ক্ষমতা, আদা ক্যান্সার
প্রতিরোধেও খুবই কার্যকরী। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আদা চা শরীরের মেদ ঝরাতেও খুব
কার্যকরী কাজ করে। আদা চা পান করলে মাথা ব্যথা নিমিষের ভিতরে ভ্যানিশ হয়ে যায়।
আদা এমন একটা ভেষজ উপাদান যা ম্যাজিক এর মত কাজ করে। তাই প্রত্যেকের উচিত
প্রত্যেক দিন কয়েক কাপ আদা চা পান করা।
আ্যরোমাথেরাপি দেওয়া
সাধারণত পেপার মিন্ট, ইউক্যালিপটাস, ল্যাভেন্ডার ইত্যাদি তেল মাথায় এপ্লাই করে
মাথাব্যথা থেকে স্বস্তি পাওয়া যায়। মাথা ব্যথার সময় এই তেল গুলো আপনারা এপ্লাই
করতে পারেন। শপিংমলে গিয়ে কসমেটিকের দোকানে গিয়ে এই তেলগুলোর নাম বললে সহজে
আপনারা হাতের নাগালে পেয়ে যাবেন। প্রথমে তেলগুলো হাতে নিবেন আলতো করে মাথাতে
মাসাজ করবেন। আর এই পদ্ধতিকে
অ্যারোমাথেরাপি বলা হয়। ঘরোয়া পদ্ধতিতে মাথা ব্যথা কমানোর একটি কার্যকরী সলিউশন
এই উপরোক্ত অ্যারোমাথেরাপিটি। অ্যারোমাথেরাপি শরীরের পাশাপাশি মন ও মস্তিষ্কে
প্রফুল্ল রাখে। অ্যারোমাথেরাপি তেলটি বিভিন্ন রকম ভেষজ উপাদান, বিভিন্ন রকম
সুগন্ধি দিয়ে প্রস্তুত করা হয়। সারাদিন পরিশ্রম করার পর অ্যারোমাথেরাপি দিয়ে
ঘুম দিলে ঘুম খুব ভালো হয়। মন মস্তিষ্ক রিফ্রেশ
হয়ে যায়। অ্যারোমাথেরাপি অনিদ্রা সমস্যা দূর করে, মাথা ব্যথা দূর করে, স্ট্রেস
দূরে রাখতে সাহায্য করে, অবসাদ দূর করে, টেনশনের সমস্যা দূর করে, উচ্চ রক্তচাপের
সমস্যা দূর করে, বিভিন্ন রকম ব্যথা দূর করে যেমন মাথাব্যথা।
হিট থেরাপি দেওয়া
সাধারণত হিট থেরাপি দেওয়ার পদ্ধতি সম্পূর্ণরূপে কোল্ড কম্প্রেশন পদ্ধতির বিপরীত।
এই পদ্ধতিতে ঠান্ডার পরিবর্তে হালকা কুসুম গরম পানিতে হালকা করে কাপড় ভিজিয়ে
এমন ভাবে চিপতে হবে যেন সেই কাপড়ে হালকা হালকা পানি থাকে সেটি নিয়ে কপালে এবং
চোখের উপরে দিয়ে রাখতে হবে।
আবার মাঝে মাঝে হালকা কুসুম গরম পানিতে গোসল করলেও মাথা ব্যথা কমে যায়। সাধারণত
মাথা ব্যথা টেনশন এর মত অবসাদের কারণে হয়ে থাকে সেই জন্য ঠান্ডা পানি অথবা হালকা
কুসুম গরম পানিতে গোসল করলে অবশ্যই মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
কোল্ড কমপ্রেশন পদ্ধতি করা
কোল্ড কম্প্রেশন থেরাপি এটা হিলোথেরাপি নামেও পরিচিত। শরীরের নরম টিস্যুতে যেকোনো
ধরনের আঘাত থেকে ব্যথা এবং ফোলা ভাব দূর করতে কোল্ড কম্প্রেশন থেরাপি দেওয়া হয়।
মাঝে মাঝে যখন হঠাৎ করে মাথা বথা শুরু হয়ে যায় তখন আমরা অনেক কষ্টের মধ্যে পড়ে
যায় মাথা ব্যথার এই সমস্যা থেকে দ্রুত পরিত্রাণ পাওয়ার জন্যই কোল্ড কম্প্রেশন
পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতিটি শরীরে এপ্লাই করার জন্য কপাল বা মাথার উপরে
পরিষ্কার কাপড়ের ভিতরে কিছু বরফের টুকরো নিয়ে
কপালের চেপে ধরে রাখতে হবে। আল্লাহর রহমতে কিছুক্ষণ পরে ধীরে ধীরে ব্যথা উপশম
হয়ে যাবে। ঠান্ডা পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে নিলেও মাথা ব্যথা অনেকটা কমে যায়।
ঠান্ডা পানি দিয়ে কিছুক্ষণ মাথা ধোয়ার পরে পরিষ্কার গামছা অথবা তোয়ালে দিয়ে
মাথা ভালোভাবে মুছে নিতে হবে। এরপর ঘন্টাখানেক বিশ্রাম নিলেই ধীরে ধীরে মাথা
ব্যথা কমে যাবে। দ্রুত মাথা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে কোল্ড
কম্প্রেশন পদ্ধতি হলো একটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য পদ্ধতি।
পর্যাপ্ত পরিমানে বিশ্রাম নেওয়া
আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সাফল্যের পিছনে ছুটতে ছুটতে বিশ্রাম নেওয়ার কথা ভুলে
যাই। তাই সকল কাজের শেষে একটু সময় বের করে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিতে হবে।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম গ্রহণে শরীরে যে উপকার সমূহ পাওয়া যায় তা নিচে আলোচনা করা
হলোঃ
শরীরে টিস্য মেরামত করে ও মাংসপেশী তৈরি করে। দীর্ঘ সময় ধরে পরিশ্রম করলে
শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমে শক্তি ক্ষয় হয়। সেই শক্তি ফিরিয়ে আনার জন্য
শুধুমাত্র পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খেলেই হবে না সাথে সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম
নিতে হবে। মানুষ যখন বিশ্রাম নেই ঘুমন্ত অবস্থায় থাকে তখন শরীর থেকে এক ধরনের
গ্রোথ হরমোন নিঃসরণ হয়। যা আমাদের শরীরের টিস্যু মেরামত ও
বিভিন্ন অংশের মাংস বেশি পুনর্গঠনে সাহায্য করে। অনেক গবেষণায় পাওয়া গেছে মানুষ
যখন বিশ্রাম নেয় তখন তাদের হজম প্রক্রিয়া অন্যদের থেকে বেশি সক্রিয় হয়।
সংক্রমণ এবং অসুস্থতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। দীর্ঘক্ষণ কাজ করার ফলে ঘুম শরীরের
মাংসপেশি গুলোতে গ্লাইকোজেন এর মাত্রা ঠিক রাখে এবং এলার্জি লেভেল কে নিয়ন্ত্রণে
রাখে। ফলে শরীরের হারানো শক্তি ফিরে পাই। নিয়মিত বিশ্রাম
হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের মত বড় বড় রোগের
ঝুঁকি কমায়। পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম আবেগ নিয়ন্ত্রণে ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। শরীরের বিভিন্ন
হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে এবং মানসিক স্বচ্ছতা আনে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে
বিশ্রাম মানুষের শরীরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ
সাধারণত টেনশন টাইপের মাথা ব্যথা হলে হালকা থেকে মাঝারি টাইপের ব্যথা হয়। খুব
তীব্র ব্যথা হয় না। প্রতিদিনের স্বাভাবিক কাজকর্ম চালিয়ে যাওয়া যায়। সাধারণত
এ ধরনের মাথাব্যথার সাথে বমি ভাব বা বমি হয় না। আলো কিংবা আওয়াজে অস্বস্তিকরবোধ
হয় না। হাঁটাচলা করলে মাথা ব্যথা বৃদ্ধি পায় না। যদি এগুলো হয় তাহলে এগুলো
মাইগ্রেনের কারণে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এই ধরনের ব্যথা মাথার
আলাদা আলাদা জায়গায় দেখা দেয়। টেনশন টাইপের ব্যথা সাধারণত মাথার দুই পাশেই
দেখা দেয়। মনে হয় মাথাটা চাপটিয়ে ধরে আছে। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে মনে হয়
ব্যথাটা একটা টুপির মত মাথায় টাইট হয়ে বসে আছে। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে মনে
হয় মাথার উপর কোন ভারী ওজন রাখা আছে। অনেকেরই আবার মনে হয় ব্যথাটা মাথার বাইরে
থেকে আসছে। সামনে থেকে মাথার পেছনে
এবং তারপর ঘাড়ে যাই। তবে কিছু ক্ষেত্রে মাথার অন্য যে কোন জায়গায় ব্যথা হতে
পারে। পরোক্ষভাবে মাইগ্রেনের ব্যথাটা অন্যরকম ভাবে হয়। সাধারণত মাথার একপাশে
ব্যথা হয়। ব্যথাটা টনটন করতে থাকে। মনে হয় একটা রক্তনালি সংকুচিত এবং প্রসারিত
হচ্ছে। এই ধরনের মাথাব্যথা নির্বিষ জীবনের জন্য কোনরকম হুমকির নয়।
নিচের মাথা ব্যথাগুলো হলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবেঃ
ঘনঘন মাথা ব্যথা হলে মাথাব্যথার তীব্র হলে। ব্যথা নাশক ওষুধ খেয়েও মাথা ব্যথা না
কমলে আর ক্রমশ খারাপ হতে থাকলে। মাথার সামনে দিকে বা একপাশে তীব্র টনটনে ব্যথা
হলে এই ব্যথাটি মাইগ্রেন হতে পারে বা কিছু ক্ষেত্রে ক্লাস্টালারীক হতে পারে। মাথা
ব্যথার সাথে বমি ভাব বা বমি হলে এবং আলো বা আওয়াজ যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠলে।
আপনার বয়স যদি 40 হয়ে থাকে আগে কখনো মাথা ব্যথা হয়নি
কিন্তু এখন নতুন করে মাথা ব্যথা শুরু হলে সেটা ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। আপনার
সাধারণত যেমন মাথা ব্যথা হয় তার ধরন অনেক পাল্টে গেলে এটাও সাধারণত ক্যান্সারের
লক্ষণ হতে পারে। লাস্টের যে দুইটা বললাম এগুলো দেখা দিলেই যে ক্যান্সার হবে সেরকম
কিন্তু না আরো অনেক কারণে হতে পারে। তবে ডাক্তার দেখিয়ে দুশ্চিন্তা মুক্ত হওয়া
জরুরি।
নিচের মাথাব্যথা হলে অতি দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। কোনক্রমে দেরি করা
যাবে নাঃ
মাথা ব্যথা হঠাৎ শুরু হলে এবং শুরুতেই ব্যাথার তীব্রতা অনেক বেশি হলে। অথবা মাথা
ব্যথায় এত তীব্র হলে যা আপনার জীবনে আগে কখনো হয়নি। এগুলো ব্রেনের রক্তক্ষরণের
লক্ষণ। মাথায় গুরুতর আঘাত পেলে যেমন কোন দুর্ঘটনার ফলে, কোথাও পড়ে যাওয়ার ফলে।
প্রচন্ড মাথা ব্যথার সাথে আরো লক্ষণ থাকবে যেমন কথা বলতে কিংবা কিছু মনে করতে
অসুবিধা হবে অথবা হাত বা পা দুর্বল অবশ
হয়ে আসলে এগুলো স্টোকের লক্ষণ। ঝিমিয়ে পড়লে বা স্বাভাবিক আচরণ করলে কিংবা
গায়ে জ্বর আসলে, কাঁপুনি হলে, ঘাড় শক্ত হয়ে গেলে অথবা চামড়ায় রাস উঠলে,
এগুলো ব্রেনের ইনফেকশন এর লক্ষণ। খিঁচুনি হলে বা অজ্ঞান হয়ে পরলে ব্রেনে
রক্তক্ষরণের লক্ষণ। চোখের সাদা অংশ লাল হয়ে আসলে, চোখের ঝাপসা দেখলে বা
দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেললে এখানেও দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন। এছাড়াও
প্রচন্ড মাথা ব্যথা থাকলে, খাওয়ার সময় চোয়ালে ব্যথা হলে, চোখে ঝাপসা দেখলে
অথবা একটার জায়গায় দুটো দেখলে মাথার তালুতে চাপ দিলে ব্যথা অনুভব করলে দ্রুত
হাসপাতালে যাবেন। এই ব্যথাগুলো রক্তনালীর প্রদাহের কারণে দেখা দিতে পারে এক বা দু
চোখই অন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই অতি দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
মাথা ব্যথার ১২টি ঔষধের নাম
আপনি যদি সব সময় তীব্র মাথা ব্যথায় ভোগেন তাহলে দ্রুত মাথা ব্যথা কমানোর জন্য
বারটি ঔষধের নাম জেনে রাখুন। কারণ দূরে কোথাও বেড়াতে গেলে, জ্বর, আঘাত, ঠান্ডা
বা ইত্যাদির কারণেও প্রায় সময়ই মাথাব্যথা লেগেই থাকে। বর্তমান সময়ে মাথাব্যথা
একটি কমন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রত্যেকেই তাদের জীবনে কোনো না কোনো কারণে
একবার হলেও মাথা ব্যথার যন্ত্রণা অনুভব করেছে।
বর্তমান আধুনিক বিশ্বে অত্যাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও ২০০ টিরও বেশি
মাথাব্যথার ধরন রয়েছে। প্রতিটি মাথাব্যথা ভিন্ন ভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। একটি
গবেষণায় দেখা গেছে বিশ্বের প্রায় ৪৫ থেকে ৫২ শতাংশ মানুষ বছরে মাথা ব্যথায়
ভোগেন। প্রায় প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৬৫ থেকে ৭৮ জন মানুষের যে কোন কারণে যে কোন
সময় মাথাব্যথা হয়, যেটা খুবই কষ্টদায়ক। বিশেষ করে মস্তিষ্কের
রক্তক্ষরণ, মস্তিষ্কের টিউমার ইত্যাদির কারণে মাথাব্যথার যন্ত্রণা প্রকট আকার
ধারণ করে থাকে। তাই দ্রুত মাথাব্যথা কমাতে ঔষধ ও ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করলে খুব
দ্রুত পরিত্রাণ পাওয়া যায়। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক মাথাব্যথা কমানোর ১২ টি
ঔষধের নাম!
মাথা ব্যথা কমানোর ১২টি ঔষধের নাম | ঔষধের কোম্পানির নাম |
---|---|
Napa extra (নাপা এক্সট্রা) | Beximco Pharmaceuticals Ltd. |
Paracetamol (প্যারাসিটামল) | Seema Pharmaceuticals Ltd. |
Tufnil (টাফনিল) ২০০এমজি | Eskayef Bangladesh Ltd. |
Tolfem (টলফেম) ২০০এমজি | Eskayef Bangladesh Ltd. |
Arain (এ্যারেইন) ২০০এমজি | Opsonin Pharma Ltd. |
Anilic (এনিলিক) ২০০এমজি | Drug International Ltd. |
Migratol (মাইগ্রেটল) ২০০এমজি | Beacon Pharmaceuticals Ltd. |
pizo-a 1.5 (পিজো – এ) | ACME Laboratories Ltd. |
Namitol (নেমিটল) ২০০এমজি | ACI Limited. |
Ibuprofen (আইবুপ্রোফেন) | Gonoshasthaya Pharma Ltd. |
Lograin(লজরিন) ২০০এমজি | Opsonin Pharma Ltd. |
Migrex(মিগরেক্স) ২০০এমজি | Incepta Pharmaceuticals Ltd. |
লেখকের ইতি কথাঃ দ্রুত মাথা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে
সম্মানিত পাঠক আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে দ্রুত মাথা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
সম্পর্কে খুবই কার্যকরী ও ইউনিক ভাবে সব তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
একজন সচেতন মানুষ হিসাবে আপনি যদি দ্রুত মাথা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় গুলো
সম্পর্কে ও পাশাপাশি অন্যান্য ছোট ছোট রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা গুলোর পদ্ধতিগুলো
সঠিকভাবে অবলম্বন করেন তাহলে অবশ্যই মাথাব্যথা সহ অন্যান্য রোগ থেকে খুব সহজেই
মুক্তি পাবেন এবং এটি আপনার ভোগান্তির কারণও হবে না।
আপনি যদি দ্রুত মাথাব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় গুলোর মাধ্যমে আপনার দুর্বিষহ মাথা
যন্ত্রণা সারাতে না পারেন। তাহলে অবশ্যই আপনি একজন ভালো চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন।
কারণ ডাক্তারের পরামর্শের ভিত্তিতে ইমারজেন্সি সময়ে আপনার যদি ঔষধ সেবনের
প্রয়োজন হয় তাহলে উপরে বর্নিত ১২ ঔষধের মধ্যে যেকোনো একটি ওষুধ গ্রহণ করবেন।
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আমাদের সাথে থেকে এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য
ধন্যবাদ। আমাদের ওয়েবসাইট এ ধরনের তথ্যবহুল আর্টিকেল আমরা নিয়মিত পোস্ট করে
থাকি। তাই আপনি যদি এই ধরনের আরও তথ্যবহুল উপকারী পোস্ট পড়তে চান তাহলে এই
ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ফলো করুন। সাথে সাথে আপনার নিকটাত্মীয়-স্বজনদের উপকারের
জন্য এই পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন।
দ্রুত মাথা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আপনার যদি কোন মতামত বা প্রশ্ন
থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে দেয়া মতামত বক্সে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আবার কথা হবে
আপনাদের সাথে নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত নিরাপদ ও সুস্থ থাকুন!
কনফিডেন্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url