মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করার ১৫টি ইউনিক উপায়
আমরা অনেকেই রয়েছি যারা মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করার জন্য অনেকগুলো
ভিন্ন ভিন্ন উপায় খুঁজে থাকি। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে
খুব সহজে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করা যায়। বর্তমান সময়ে টাকা ইনকাম
করার স্মার্ট অনেকগুলো উপায় রয়েছে যেগুলো না জানার কারণে আমরা অনেকেই ইনকাম
করতে পারিনা। আপনি যদি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে মাসে লক্ষ
লক্ষ টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাকে এমন কিছু ইউনিক বা কার্যকরী উপায় সম্পর্কে জানাবো
যেগুলিকে কাজে লাগিয়ে আপনি অনলাইন এবং অফলাইনের মাধ্যমে প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০
হাজার টাকা বা তার থেকে অনেক বেশি পরিমাণে আয় করতে পারবেন। তবে কোন উপায়টি সব
থেকে ভালো হবে সেটি নিতান্তই আপনার দক্ষতা বা অভিজ্ঞতার উপর সম্পূর্ণ নির্ভর
করবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করার উপায় গুলো কি কি?
পেজ সূচিপত্রঃ
.
ভূমিকা
বর্তমান সময়ে প্রতিযোগিতামূলক এই জীবনে আমরা অনেকেই আমাদের ভবিষ্যৎ কে আর্থিক
নিরাপত্তা-নিশ্চয়তা ও স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করার জন্য অন্তত প্রতি মাসে ৩০ থেকে
৪০ হাজার টাকা আয় করার জন্য অনেক কঠোর পরিশ্রম করে থাকি। আবার অনেকেই লক্ষ লক্ষ
টাকা আয় করার স্বপ্নও দেখেন। যাতে করে এই আয়ের মাধ্যমে বর্তমান ও ভবিষ্যতে একটি
মোটামুটি ভালো জীবন যাপন করার
আরো পড়ুনঃ লটকনের উপকারিতা-লটকন খেলে সারবে যেসব রোগ
সুযোগ তৈরি করতে পারেন। এজন্যই আমরা অনেকেই অনেক চাকরি করি। কিন্তু চাহিদা
অনুযায়ী খুব একটা মানসম্মত বেতন না পাওয়ার কারণে আমাদের দৈনন্দিন জীবন অনেক
কষ্টে পার করতে হয়। তাই চাকরির পাশাপাশি আপনিও যদি এই আর্টিকেলটি পড়ে অনলাইন ও
অফলাইন থেকে আয় করার উপায় গুলো জানার মাধ্যমে যেকোনো একটি নিয়ে কাজ শুরু করেন।
তাহলে আপনিও প্রতি মাসে ৩০
থেকে ৪০ হাজার টাকা বা তার থেকে অনেক বেশি পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন। এইজন্যই
সম্মানিত পাঠক আপনাকে এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে সম্পূর্ণ শেষ পর্যন্ত মনোযোগ
সহকারে পড়তে হবে। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক কি কি উপায়ে ঘরে বসেই অনলাইন থেকে
মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করা যায়?
অনলাইন থেকে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করার ইউনিক উপায়
সম্মানিত ও সুপ্রিয় পাঠক বর্তমান যুগটি হচ্ছে অনলাইন ভিত্তিক ডিজিটাল বা আধুনিক
যুগ। এই বিষয়টি আমাদের কারোর অজানা নয়। সুতরাং ইন্টারনেট ব্যবহারের বদৌলতে আজ
আমরা অনলাইন ভিত্তিক এই আধুনিক যুগে বসবাস করছি। বর্তমান সময়ে অনলাইন ব্যবহারের
ক্ষেত্রে আমরা অনেকেই অনেক ভাবে এটি ব্যবহার করে থাকি। আবার আমরা অনেকেই টাইম পাস
করার জন্য এই অনলাইন
মাধ্যমগুলি ব্যবহার করে থাকি। এতে করে আমরা নিজেদের অজান্তেই আমাদের অনেক
মূল্যবান সময় অপচয় করার মাধ্যমে নষ্ট করে ফেলি। কিন্তু এর থেকে আমরা কোন ধরনের
ফায়দা বা উপকারিতা হাসিল করতে পারি না। কিন্তু বিষয়টি যদি এমন হতো যে, অনলাইন
থেকে প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করা যাচ্ছে খুব সহজেই। তাহলে বিষয়টি
কেমন হতো? প্রিয় পাঠক মজার ব্যাপার
হচ্ছে আপনি যদি অল্প পরিশ্রমের মাধ্যমে আপনার মেধাকে কাজে লাগিয়ে কিছু স্কিল বা
দক্ষতা ভালোভাবে শিখে নেন। তাহলে আপনিও অনলাইন থেকেই প্রতি মাসে থেকে ৩০ থেকে ৪০
হাজার টাকা আয় করতে সক্ষম হবেন ইনশাআল্লাহ। কিন্তু একটি লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে
আমরা অনেকেই সামান্য বা অল্প কিছু স্কিল বা দক্ষতা শিখেই অনলাইন থেকে ইনকাম করতে
চাই। আবার আমরা অনেকেই অনেক
স্কিল বা দক্ষতা অর্জন করার পরেও অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারছিনা। এর অন্যতম কারণ
হচ্ছে আমরা কোন স্কিল বা দক্ষতা শিখার পর কাজ করতে গিয়ে খুব অল্প সময়ে সেই
কাজের ফলাফল পাওয়ার জন্য অধৈর্য হয়ে পড়ি। অনলাইন ইনকামে সফলতা পেতে হলে
আমাদেরকে প্রচুর পরিমাণে ধৈর্য ধরতে হবে। এবং সঠিক গাইডলাইন নির্বাচন করে তার
পরামর্শ অনুযায়ী বা তার শিখানো পদ্ধতিতে কাজ করতে হবে। তাহলে আপনিও অনলাইন থেকে
অন্তত প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা বা এর চাইতেও অনেক বেশি ইনকাম করতে সক্ষম
হবেন।
১। ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করা যায়
বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে সবথেকে ডিমান্ডেবল বা চাহিদা
সম্পন্ন জনপ্রিয় ও উন্মুক্ত পেশা। এবং অল্প সময়ে অনেক টাকা আয় করার অন্যতম
মাধ্যম। বর্তমান সময়ে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে। যদি
আপনি চান তাহলে প্রতি মাসে অন্তত ফ্রীলান্সিং করে প্রাথমিক অবস্থায় ৩০ থেকে ৪০
হাজার ইনকাম করা কোন ব্যাপারই না। কারণ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর বা মার্কেটপ্লেস
এতটাই বড় যে এখানে কোন ধরনের কাজের অভাব নেই। ফ্রিল্যান্সিংকে কাজের সমুদ্র বলা
হয়ে থাকে। সঠিক দিক নির্দেশনা মেনে দক্ষতা অর্জন করলে এখানে কাজের কোন অভাব হবে
না। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থেকে ইনকাম করতে হলে প্রথমত আপনাকে ফ্রান্সিং বিষয়ে যে
কোন একটি স্কিল বা দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তাহলে আপনিও ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর বা
মার্কেটপ্লেস থেকে খুব সহজেই টাকা আয়
করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং হলো সম্পূর্ণরূপে নিজের ইচ্ছাধীন উন্মুক্ত পেশা।
এখানে আপনি নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তি বা কোন কোম্পানির আওতায় না থেকে বা কারো
অধীনস্থ হওয়া ছাড়াই আপনার নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন।
আপনি আপনার নিজের সময়সূচি অনুযায়ী আপনার দক্ষতার ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরনের কাজ
নিতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং করার বিশেষ কয়েকটি সুবিধা রয়েছেঃ
- আপনি আপনার নিজের খেয়াল খুশি মত কোন বস বা কোন সহকর্মী বা কারো হুকুম মানা ছাড়াই কাজ করতে পারবেন। আপনাকে কারো বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী কাজ করতে হবে না। বরং নিজের পছন্দ মত সময় অনুযায়ী স্মার্ট ভাবে কাজ করতে পারবেন।
- আপনাকে নির্দিষ্ট কোন অফিসে যেতে হবে না। বরং নিজের বাড়ি থেকে বা যেকোনো জায়গা থেকে খুব সহজেই কাজ করতে পারবেন।
- আপনি আপনার স্কিল বা দক্ষতা অনুযায়ী যে কোনো ধরনের কাজ বেছে নিতে পারবেন। আপনি যে কাজগুলো করতে বেশি আগ্রহী বা যে কাজগুলো আপনার পছন্দের এবং নিখুঁতভাবে করতে পারেন সে কাজগুলোই খুব সহজেই নিতে পারেন।
- আপনি আপনার পছন্দমত বায়ার বা ক্লায়েন্ট বেছে নিতে পারবেন। এবং যে বায়ার বা ক্লাইন্টদের সাথে আপনি কাজ করতে আগ্রহী বা স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন তাদেরকে আপনার পছন্দের তালিকায় রাখতে পারবেন।
- আপনি আপনার কাজে যত গভীর মনোযোগ দিবেন এবং যত বেশি কাজ করবেন দিনে দিনে আপনার ইনকাম ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতেই থাকবে। তখন আপনার ইনকাম শুধুমাত্র ৩০ থেকে ৪০ হাজারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। বরং আরো বেশি হবে।
- আর সব থেকে ইন্টারেস্টিং বিষয় হল আপনি প্রতিদিন বা সপ্তাহে বা মাসে বা বছরে কত উপার্জন করছেন সেটা দেখতে পাবেন। আর নিজের উপার্জিত ইনকাম নিজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি সেক্টর যেখানে আপনার কাজ করার জন্য কোন ডিগ্রী বা
সার্টিফিকেটের কোন প্রয়োজন হবে না। তবে হ্যাঁ আপনার যদি কোন স্কিল বা দক্ষতা
থাকে। তাহলে আপনিও ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর বা
মার্কেটপ্লেসের অন্যতম কাজগুলো হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, কনটেন্ট
রাইটিং, লোগো ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডেভেলপার, ইত্যাদি আরো অনেক অনেক
বিষয় রয়েছে।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর বা মার্কেটপ্লেসে কাজ শুরু করার জন্য আপনাকে যা যা করতে
হবে তা হলঃ
- একজন সফল ফ্রিল্যান্সারের গাইডলাইন বা দিকনির্দেশনা মেনে আপনি আপনার স্কিল বা দক্ষতা চিহ্নিত করে নিন। তারপর আপনি কোন কোন ধরনের কাজগুলো ভালোভাবে করে করতে পারবেন সেই কাজগুলোকে চিহ্নিত করে ফেলুন। এবং সে অনুযায়ী স্কিল বা দক্ষতা অর্জন করে নিন।
- আপনার নিজস্ব কাজ করার জন্য একটি পোর্টফলিও বা তালিকা তৈরি করুন। এবং আপনার পোর্টফোলিওতে বা তালিকায় আপনার কাজের ধরন গুলো লিপিবদ্ধ করে রাখুন।
- তারপর ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর বা যেই মার্কেটপ্লেস গুলো রয়েছে সেগুলোতে যোগদান করে আপনি আপনার স্কিল বা দক্ষতা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের কাজ খুঁজে পাবেন।
- এরপর আপনি আপনার পছন্দমত ক্লায়েন্টদের সাথে যোগাযোগ করুন। এবং তাদের কাজগুলো করার জন্য আপনার প্রস্তাব দিন বা আবেদন করে ফেলুন।
- আপনার বায়ার বা ক্লায়েন্টের দেওয়া কাজগুলো নির্ভুল এবং নিখুঁতভাবে করুন। এবং তাদের দেয়া সময় অনুযায়ী কাজগুলো ডেলিভার করুন। তাহলে আপনি আপনার কাজের রিভিউগুলি অনেক ভালো পাবেন। আর এইভাবে পজিটিভ রিভিউ পেতে থাকলে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা দিন দিন বাড়তেই থাকবে। আর এই ভাবে আপনি প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা অনায়াসে আয় করতে পারবেন।
একটি বিষয়ে স্মরণ রাখবেন ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সফলতা পেতে হলে কিছুটা সময়
লাগতে পারে। কিন্তু ঠিক তখনই আপনি ধৈর্য সহকারে কাজ করুন আপনি অবশ্যই সফল হবেন।
২। ব্লগিং করে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করা যায়
আপনি যদি প্রয়োজনীয় যে কোন টপিক নিয়ে লেখালেখির বিষয়ে পারদর্শী হয়ে থাকেন। তাহলে অনলাইনে খুব সহজেই ব্লগিং শুরু করে অন্তত প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন অনায়াসে। অল্প সময়ে ব্লগিং করে প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করার এটি হলো একটি অন্যতম শর্টকাট মাধ্যম। কারণ অনলাইন থেকে ইনকাম করার সবচাইতে সহজ উপায় হলো
ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করা। ব্লগিং শুরু করার জন্য প্রথমেই আপনার একটি ওয়েবসাইটের প্রয়োজন হবে। প্রথমে আপনি গুগলের ব্লগার অথবা ওয়ার্ডপ্রেস সাইটে গিয়ে একটি সুন্দরভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করে নিন। তারপর আপনি সেখানে নিয়মিত ভাবে মানুষের চাহিদা মাফিক যেকোনো বিষয়ে আর্টিকেল লিখে পাবলিস্ট করুন। আপনি আজকে যে আর্টিকেল বা লিখাটি পড়ছেন আমি এইভাবে ব্লগিং করেই
গুগল থেকে প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করি। আবার কখনো কখনো এর থেকে অনেক বেশিও ইনকাম করে থাকি। তাই আপনিও যদি চান তাহলে অযথা সময় নষ্ট না করে ঘরে বসে থেকে ব্লগিং করে অনলাইন থেকে ইনকাম করুন।
৩। কনটেন্ট বা আর্টিকেল রাইটিং করে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করা যায়
বর্তমান সময়ে গুগোল কে সমৃদ্ধ করার জন্য কন্টেন্ট বা আর্টিকেল রাইটিং একটি
অন্যতম চাহিদা সম্পন্ন কাজ। এবং ঘরে বসেই প্যাসিভ ইনকাম করার সবচাইতে সেরা একটি
মাধ্যম। এটি এত গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয় হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে গুগল মূলত যে
কোন ধরনের ডাটা বা তথ্য কালেক্ট করে থাকে এ আর্টিকেল বা কনটেন্ট রাইটিং এর উপর
নির্ভর করে। বর্তমান সময়ের সবথেকে জনপ্রিয়
মাধ্যম এ আই শুধুমাত্র কনটেন্ট বা আর্টিকেল রাইটিং এর উপর নির্ভর করেই ডাটা
কালেক্ট করতে পারে। কোন প্রকার ভিডিও বা অডিও থেকে ডাটা কালেক্ট করতে পারে না।
এজন্যই মূলত গুগল এই বিষয়টিকে এত প্রায়োরিটি দিয়ে থাকে। তাই আপনি চাইলে ব্লগিং
করে অথবা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের মার্কেটপ্লেসগুলোতে কনটেন্ট রাইটিং করে খুব
সহজেই প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয়
করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের মার্কেটপ্লেস গুলিতে কনটেন্ট রাইটিং এর
ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই আপনিও অপওয়ার্ক, ফাইবার, ফ্রিল্যান্সার ডটকম এই সকল
মার্কেটপ্লেস গুলিতে ক্লায়েন্টদের কাছে আপনার কন্টেন সেল করতে পারবেন। এছাড়াও
বর্তমান সময়ে কন্টেন্ট রাইটারদেরও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই আপনি আপনার
মূল্যবান সময় নষ্ট না করে যে কোন একটি নিস সিলেকশন করে আর্টিকেল রাইটিং বা
কনটেন্ট রাইটিং শুরু করুন। এবং অন্যদের মতো আপনিও মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয়
করুন। অথবা তার থেকে বেশি ইনকাম করুন।
৪। এফিলিয়েট মার্কেটিং করে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করা যায়
বর্তমান সময়ে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করার জন্য এফিলিয়েট মার্কেটিং একটি
জনপ্রিয় উপায়। এবং ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করার একটা সেরা মাধ্যম হলো এফিলেট
মার্কেটিং। আপনি যদি কোন প্রতিষ্ঠান বা কোন কোম্পানির এফিলেট প্রোগ্রামে যুক্ত
হতে পারেন। তাহলে আপনিও অনায়াসে ঘরে বসেই প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন। আমি
কয়েকটি কোম্পানির এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রামে
জয়েন করে কাজ করার মাধ্যমে মাসে লক্ষাধিক টাকা বা তার চাইতেও বেশি পরিমাণে ইনকাম
করে থাকি। আপনার যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা থাকে তবে আপনিও
মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বরং আপনি চাইলে এই ইনকামের মধ্যে
সীমাবদ্ধ না থেকে এর চাইতেও অনেক বেশি পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন। তাই আপনিও যদি
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে চান তাহলে এই বিষয়ে আপনাকে পরিপূর্ণ ধারণা
রাখতে হবে।
৫। ইউটিউব থেকে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করা যায়
বর্তমান সময়ে মানুষ তাদের অবসর সময় গুলোর মধ্যে বেশিরভাগ সময়ই বিভিন্ন ধরনের
সোশ্যাল মিডিয়ায় বা ইউটিউব এর বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখে সময় পার করে থাকে।
এইজন্য আপনি অন্যদের ভিডিও না দেখে নিজে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করুন। তারপর
আপনি আপনার পছন্দমত বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের মানসম্মত ভিডিও তৈরি করে সেখানে
নিয়মিতভাবে আপলোড করতে থাকুন। আপনি
আপনার অবসর সময় গুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনিও প্রতি মাসে একটা
হ্যান্ডসাম এমাউন্ট ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। কেননা অনেকেই ইউটিউবিং করেই প্রতি
মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। তাই আপনি যদি ভেবে থাকেন যে খুব সহজেই মাসে ৩০
থেকে ৪০ হাজার টাকা ইনকাম করবেন তাহলে খুব দ্রুতই ইউটিউবিং শুরু করতে পারেন।
৬। ফেসবুক থেকে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করা যায়
বর্তমান সময়ে সবথেকে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হলো ফেসবুক। এটি শুধুমাত্র
একটি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নয় বরং শর্টকাট ইনকামের প্রধান মাধ্যম
হিসেবে বর্তমান সময়ে পরিচিতি লাভ করেছে। এই আধুনিক যুগে মানুষ তাদের অবসর সময়
ছাড়াও তাদের সিংহভাগ সময় ফেসবুকেই ব্যয় করে থাকে। আর এই সুযোগটি কে কাজে
লাগিয়ে অনেক মানুষ বিভিন্ন উপায়ে
ফেসবুক থেকে খুব সহজেই মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ইনকাম করছে। অনেকে এর চাইতেও
অনেক বেশিও আয় করছে। তাই আপনি যদি অন্যের আওতাধীন না থেকে নিজেই সচ্ছল বা
স্বাবলম্বী হতে চান তাহলে ফেসবুকের নানাবিদ ব্যবহার বিধি জেনে নিন। তাহলে আপনিও
ফেসবুককে কাজে লাগিয়ে অনলাইন থেকেই নিজের ব্রাইট ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারবেন।
এইজন্য আপনি যে কোন
বিষয়ে পারদর্শী হন না কেন সে বিষয়গুলোর উপর ভিডিও ধারণ করে, বিভিন্ন
প্রোডাক্টের ব্যবসা করে, ফানি ভিডিও, ইন্টারটেইনমেন্ট ভিডিও, ব্লক ভিডিও বা নিত্য
দিনের কাজের ভিডিও করে সেগুলো ফেসবুকে আপলোড করে মনিটাইজেশন এর মাধ্যমে অনায়াসে
মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা বা তার থেকে অনেক বেশি পরিমাণে আয় করতে পারবেন।
৭। অনলাইন টিউটরিং করে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করা যায়
আপনি যদি পড়াশোনার কোন বিষয়ে পারদর্শী হয়ে থাকেন। এটা হতে পারে ইংরেজি, বাংলা,
গণিত, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, বিশুদ্ধ ভাবে কুরআন শিক্ষা কিংবা
অনলাইন ইনকামের যে কোন স্কিল বা দক্ষতা আপনার থাকে। তাহলে আপনিও সহজেই অনলাইন
টিউটরিং করে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে অধিকাংশ
ইয়াং জেনারেশনরা গুগল মেট, ইউটিউব
এবং ফেসবুকের মাধ্যমে উল্লেখিত যেকোন বিষয়ের উপর ক্লাস নিয়ে অনলাইন থেকে
অনায়াসে প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে। তাই আপনার কোন বিষয়ে স্কিল বা
দক্ষতা থাকলে আপনিও সেটিকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে টিউটরিং করে মাসে ৩০ থেকে ৪০
হাজার টাকা আয় করতে পারেন।
৮। ইনস্টাগ্রাম থেকে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করা যায়
ফেসবুকের মতোই ইনস্টাগ্রামও একটি অন্যতম জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এবং
সহজেই ইনকাম করার অন্যতম সেরা মাধ্যম। ফেসবুকের মত করে ইনস্টাগ্রাম আইডি খুলে
সেখানে বিভিন্ন কনটেন্ট, ভিডিও বা শর্ট ভিডিও আপলোড করে মনিটাইজেশন এর মাধ্যমে
অনায়াসে প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। তাই আপনি আপনার
স্কিল বা দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ইনস্টাগ্রাম থেকে ইনকাম করুন।
অফলাইন থেকে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করার ইউনিক উপায়
সুপ্রিয় পাঠক মন্ডলী আমরা উপরের আলোচনা থেকে অনলাইনে কিভাবে মাসে ৩০ থেকে ৪০
হাজার টাকা আয় করা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। এখন আপনাদেরকে অফলাইন
থেকে কিভাবে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করা যায় সে সম্পর্কে কয়েকটি
কার্যকরী ধারণা দিবো। নিচের সম্পূর্ণ আলোচনা গুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন । তাহলে
অবশ্যই আপনিও ধারণা পেয়ে যাবেন
কোন কোন উপায়ে অফলাইন থেকে প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করে নিজেকে সচ্ছল
ও সাবলম্বী করবেন। এবং ভবিষ্যতে আর্থিক নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তার মাধ্যমে
স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করার জন্য স্থায়ী সমাধান পাবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
৯। টাইপিং করে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করা যায়
মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করা যায় এমন অনেকগুলি পদ্ধতি আমরা জেনেছি। তার
মধ্যে অন্যতম হলো টাইপিং করে আয় করা। আপনার যদি টাইপিং স্কিল বা লেখালেখির
দক্ষতা ভালো থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই টাইপিং করে প্রচুর পরিমাণে ইনকাম করতে
পারবেন। টাইপিং দক্ষতাটি বিভিন্ন স্থানে প্রয়োজন হয় যেমন আদালতের বিভিন্ন ধরনের
কাগজ পত্রে লেখা, জমির দলিল পত্র লেখা
আরো পড়ুনঃ ফেসবুক মনিটাইজেশন শর্ত - ফেসবুক থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় এবং ফেসবুক থেকে কত টাকা আয় করা যায়?
ইত্যাদি আরও অনেক বিষয়ে টাইপিং এর প্রয়োজন হয়ে থাকে। এইজন্য আপনাকে নির্ভুল
ভাবে টাইপিং শিখতে হবে। এবং আপনার টাইপিং স্কিল বা টাইপিং স্পিড অনেক দ্রুত করতে
হবে। এক্ষেত্রে আপনি প্রতি মাসে আপনার টাইপিং এর উপর নির্ভর করে একটা হ্যান্ডসাম
এমাউন্ট ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। তাছাড়াও আপনার টাইপিং দক্ষতা কে কাজে লাগিয়ে
অনলাইন থেকেও প্রচুর পরিমাণে অর্থ
উপার্জন করতে পারবেন। এমন কতগুলো ওয়েবসাইট রয়েছে যারা লেখালেখির কাজ করিয়ে
নিয়ে প্রতি মাসে অন্তত ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা প্রদান করে থাকে। আপনার টাইপিং
স্কিল যদি ভাল থাকে তাহলে আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইটের হয়ে তাদের বিভিন্ন বিষয়ে
লিখে দিবেন। এবং এর বিনিময়ে আপনাকে তারা বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রদান করবে।
১০। রেস্টুরেন্ট বা রেস্তোরার ব্যবসা করে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় যায়
অল্প সময়ে খুব দ্রুত লাভজনক হওয়ার একটি কার্য করি উপায় হল রেস্টুরেন্ট বা
রেস্তোরার ব্যবসা। বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মানুষই জাঙ্ক ফুড বা ফাস্টফুড বেশি
পছন্দ করে। পিজা, বার্গার, গ্রিল, চিকেন চপ, নান রুটি, তান্দুর রুটি এগুলো খেতে
খুবই পছন্দ করে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের খাবার যেমন কাচ্চি বিরিয়ানি, তেহরি, মোরগ
পোলাও, মাটান, বিফ, এই ধরনের খাবার মানুষ খেতে অনেক পছন্দ করে।
আর এছাড়া অনেক মানুষ রয়েছে যারা হোটেল বা রেস্তোরায় বিভিন্ন খাবার খেতে পছন্দ
করে। এইজন্য আপনি যদি অল্প সময়ে একটি লাভজনক ব্যবসা করতে চান তাহলে কোন জনবহুল
স্থান বা জায়গাতে একটি ভালো মানের হোটেল বা রেস্টুরেন্ট তৈরি করুন। এবং সেখানে
উল্লেখিত খাবার ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের খাবার খুব ভালোভাবে সরবরাহ করুন। তাহলে
দেখবেন প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় তো হবেই পাশাপাশি দিন দিন এই ইনকাম
অনেক বৃদ্ধি হতে থাকবে।
১১। নিজস্ব ব্যবসা করে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করা যায়
আপনি যদি একজন সফল উদ্যোক্তা হতে চান তাহলে যে কোন যেকোনো ধরনের ব্যবসার সুস্পষ্ট
ধারণা নিয়ে সে দিকনির্দেশনা অনুযায়ী নিজস্ব ব্যবসা শুরু করতে পারেন। নিজস্ব
ব্যবসা এটি অনেক ঝুঁকিপূর্ণ তবে এটি অত্যান্ত লাভজনক ব্যবসা। আপনি যদি ব্যবসার
বিষয়ে যাবতীয় টেকনিকগুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করে নিতে পারেন তাহলে মাসে ৩০ থেকে ৪০
হাজার টাকা আয় করার এটি একটি দুর্দান্ত উপায় হবে আপনার জন্য। তবে নিজস্ব ব্যবসা
প্রতিষ্ঠান বা নিজস্ব ব্যবসা করার জন্য কয়েকটি বিষয় আপনাকে খুব ভালোভাবে লক্ষ্য
রাখতে হবে। সেগুলো হলোঃ
- আপনার নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসা শুরু করার আগে সবথেকে যে বিষয়গুলি গুরুত্বপূর্ণ সেগুলো আপনাকে বিবেচনা করতে হবে।
- আপনি যে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে মজা পান বা আনন্দ উপভোগ করেন এমন কিছু বিষয় নিয়ে আপনাকে কাজ করতে হবে।
- আপনি যে বিষয়গুলো নিয়ে ব্যবসা করতে চান সে বিষয়ে আপনার দক্ষতা আছে কিনা সেটা যাচাই করতে হবে।
- আপনি যেই সমস্ত পণ্য নিয়ে ব্যবসা করতে চান সেই পণ্যগুলোর বাজারে কেমন চাহিদা রয়েছে সেটি আপনার জানা আবশ্যক।
উল্লেখিত বিষয়গুলো ভালো করে চিন্তা ভাবনা করুন। তারপর নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
বা নিজস্ব ব্যবসা শুরু করুন। অবশ্যই সফল হতে পারবেন। ও আপনি অনায়াসে আপনার
ব্যবসা থেকে প্রথম পর্যায়ে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন । এবং
ক্রমাগত আপনার ইনকাম দিন দিন আরো বাড়তে থাকবে।
১২। টাকা ইনভেস্ট করে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করা যায়
আআপনার কাছে যদি জমানো কিছু টাকা থাকে কিংবা আপনার ব্যাংক একাউন্টে যদি টাকা থাকে
তাহলে আপনি খুব সহজেই সেই টাকা ইনভেস্ট বা বিনিয়োগ করে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার
টাকা আয় করতে পারবেন। আর এই ইনভেসমেন্ট বা বিনিয়োগ করলে আপনি শারীরিক কোন
পরিশ্রম ছাড়াই অনায়াসে ইনকাম করতে পারবেন। ইনভেস্ট বা বিনিয়োগ এর ব্যবসা গুলোর
মধ্যে যেগুলো সব
থেকে জনপ্রিয় সেগুলো হচ্ছে আপনি মৌসুমী সবজি যেমন আলু, মসলা জাতীয় ফসল যেমন
পিঁয়াজ, রসুন, আদা, শুকনা মরিচ ইত্যাদি বা ধান গম থেকে শুরু করে এই জাতীয় সকল
কিছুর স্টক ব্যবসা, রিয়েল এস্টেট বা জমিতে বিনিয়োগ করে খুব সহজেই আয় করতে
পারবেন। এই ধরনের ব্যবসা গুলিতে ইনভেস্ট করলে সেখান থেকে আপনার ব্যবসার লভ্যাংশ
অধিক পরিমাণে বের হয়ে আসবে। এবং খুব অল্প সময়ে আপনি আশানরূপ ফলাফল পাবেন।
১৩। বিভিন্ন ধরনের খামার করে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করা যায়
আপনার যদি একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার ইচ্ছা থাকে তাহলে আপনিও বিভিন্ন ধরনের খামার
করে সহজে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। এইজন্য আপনাকে কৃষি বিষয়ক
বা খামার বিষয়ক অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে হবে এবং সে অনুযায়ী
কাজ করতে হবে। খামার করার জন্য আপনাকে উপযুক্ত একটি স্থান নির্বাচন করে নিতে হবে
। এরপর আপনি সেখানে বিভিন্ন ধরনের খামার করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে খামারের যে
ধরণগুলো সবথেকে জনপ্রিয় সেগুলো হচ্ছেঃ
মাছ চাষ, ছাগল পালন, গরু পালন, হাঁস-মুরগি পালন, বিভিন্ন ধরনের ব্রয়লার ও লেয়ার
মুরগি পালন, বিভিন্ন ধরনের পাখি পালন, ডিম উৎপাদন ইত্যাদি। উল্লেখিত এই ধরনের
দেশি-বিদেশি প্রজাতির সবকিছু পালন করে আপনি একজন সফল উদ্যোক্তা হতে পারবেন সাথে
সাথে অন্যদেরও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবেন।
১৪। মুদিখানার দোকান করে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করা যায়
বর্তমান সময়ে চাকরির বাজার শূন্য । তাই অযথা বসে না থেকে আপনি চাইলে আপনার বাসার
আশেপাশে বা কোন জনবহুল এলাকায় মুদিখানার দোকান শুরু করতে পারেন। কারণ মুদিখানার
দোকানের জিনিসগুলো হচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস। মানুষ একদিন পোশাক না পরে
থাকতে পারে । কিন্তু মুদিখানার নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো না খেয়ে জীবন যাপন
করতে পারে না । সুতরাং এটি
অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় একটি কাজ। সুতরাং আপনি চাইলে মুদিখানার দোকান
থেকে অনায়াসে প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। তবে এই
ব্যবসায় আপনার সব থেকে যেটা প্রয়োজনীয় সেটি হচ্ছে আপনার ন্যায়নিষ্ঠা এবং
বিশ্বস্ততা।
১৫। টিউটরিং বা টিউশনি করে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করা যায়
বর্তমান সময়ে টিউটরিং বা টিউশনি পেশা হচ্ছে বিনা পুঁজিতে সবথেকে বেশি টাকা আয়
করার জনপ্রিয় পেশা। বর্তমান সময়ের শিক্ষার্থীরা স্কুল কলেজ ইউনিভারসিটি এগুলোর
প্রতি যতটা না নির্ভর করে, ততটাই তাদের অধিকাংশই কোচিং টিউশনি টিউটর এগুলোর উপর
বেশি নির্ভর করে থাকে। এছাড়াও যারা অ্যাডভান্স বা সচেতন অভিভাবক তারা নিজেদের
সন্তানের পড়াশোনা আরো উন্নতি করার জন্য
আরো পড়ুনঃ ফেসবুক আইডি হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় কি?
এটির ওপর নির্ভর করে থাকেন। এইজন্য বর্তমান সময়ে টিউটরিং বা টিউশনি পেশাটি একটি
ডিমান্ডেবল বা চাহিদা সম্পন্ন একটি পেশা। তাই আপনি যদি একজন ভালো শিক্ষক বা ভালো
ছাত্র/ছাত্রী হয়ে থাকেন তাহলে বাসা বাড়িতে টিউশনি করে অথবা নিজস্ব কোচিং
সেন্টার খুলে সেখান থেকে অনায়াসে প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করতে
পারবেন।
লেখকের ইতি কথাঃ মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করার ১৫টি ইউনিক উপায় সম্পর্কে
সুপ্রিয় পাঠক আমরা ইতিমধ্যে উল্লেখিত আলোচনার মাধ্যমে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার
টাকা আয় করার কিছু ইউনিক ও কার্যকরী উপায় আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। উপরে
উল্লেখিত সেরা উপায় গুলির মধ্য থেকে যে বিষয়ে আপনি অভিজ্ঞ বা পারদর্শী সে
বিষয়ে আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী একটি কাজ করতে শুরু করুন ইনশাআল্লাহ
দেখবেন আপনি সফলতার অর্জন করতে সক্ষম
হয়েছেন। তবে এর জন্য আপনাকে নিষ্ঠার সহিত কাজ করতে হবে এবং কাজের প্রতি ভালবাসা
রেখে আত্মবিশ্বাস ও দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে কাজ করতে হবে। একটি বিষয় মনে রাখবেন
ধৈর্য নিয়ে কাজ করলে দিন দিন আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বাড়তে থাকবে ও দিন দিন
আপনার ইনকামও বাড়তে থাকবে এবং সফলতা আপনার দ্বার প্রান্তে পৌঁছে যাবে।
ইনশাআল্লাহ।
সম্মানিত পাঠক আশা করি আপনারা এই আর্টিকেলটির ১৫ টি ইউনিক উপায় পড়ে মাসে লক্ষ
লক্ষ টাকা ইনকাম করার জন্য বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম সম্পর্কে জানতে
পেরেছেন। যদি খুব সহজেই প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করতে চান তাহলে এই
কাজগুলো শুরু করতে পারেন। আশা করছি আপনি অনায়াসে উপার্জন করতে পারবেন। এতক্ষণ
আমাদের সাথে থাকার জন্য
এবং আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার কোন মতামত বা প্রশ্ন
থাকলে এই পোস্টের নিচে দেওয়া মন্তব্য বক্সে কমেন্ট করে জানান। আর এইরকম আরো অনেক তথ্য বহুল নতুন নতুন আর্টিকেল পড়তে এই ওয়েব সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। আবার কথা হবে নতুন
কোন আর্টিকেল নিয়ে। ততক্ষণ পর্যন্ত নিরাপদ ও সুস্থ থাকুন!
কনফিডেন্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url