নিজেকে পরিবর্তন করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

পরিবর্তন মানেই একটি ভীতিকর পরিস্থিতি।তবে নিজেকে পরিবর্তন করার উপায় গুলো জেনে নিলে নিজেকে পরিবর্তন করা অসম্ভব কিছুই না। তাই ভয় না পেয়ে নিজেকে পরিবর্তন করা কঠিন কেন? নিজের পরিবর্তন কিভাবে নিজেই করবেন? সময়ের সাথে নিজেকে পরিবর্তন করা জরুরি কেন? ও নিজেকে পরিবর্তন করার উপায়? এই ধরনের প্রশ্ন নিয়ে অনেকেই দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ও ভয়-ভীতির মধ্যে থাকেন। তাহলে এই ধরনের প্রশ্নের সমাধান পেতে এই পোস্টটি আপনার জন্য।
নিজেকে পরিবর্তন করার উপায়
আপনি যদি নিজেকে পরিবর্তন করার উপায় গুলো জেনে উন্নতির সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছাতে চান চান। তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই কার্যকরী ও গুরুত্বপূর্ণ এবং ফলপ্রসূ। তাই এই আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়ে নিজেকে পরিবর্তন করার উপায়  সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
পেজ সূচিপত্রঃ
.

ভূমিকা

পরিবর্তন একটি অতি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এটি প্রত্যেকের জীবনেই বিদ্যমান রয়েছে। যদি আপনার জীবনে নিজেকে পরিবর্তন করা নিয়ে নানাবিধ ভয়-ভীতি ও দিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে   থাকেন। তাহলে নিজেকে পরিবর্তন করার উপায় এই পোস্টটি ধৈর্য সহকারে বিস্তারিত ভাবে পড়ুন! আশা করি আপনার যাবতীয় দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ও ভয়-ভীতি দূর হয়ে যাবে!

নিজেকে পরিবর্তন করা কঠিন কেন

আপনি হয়তো নিজের জীবনে কিছু পরিবর্তন আনতে চাচ্ছেন ? কিন্তু কিছুতেই পারছেন না! কারণ এমন কিছু অভ্যাস যা আপনাকে একটি নির্দিষ্ট সীমাবদ্ধতাই আটকে রেখেছে। পরিবর্তন সর্বদাই যে সুখকর হবে এমনটি নয় । হ্যাঁ তবে নিজেকে পরিবর্তনের ফলে জীবন সুখকর হয়ে ওঠে। এটাই স্বাভাবিক যে

একটি পরিবেশ-পরিস্থিতির সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিয়ে সে মোতাবেক লাইফ লিড করে মানিয়ে নেয়ার পর আত্ম উন্নতি সাধনের লক্ষ্যে সেই পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে এসে নিজেকে পরিবর্তন করার জন্য জীবনের কিছু ভুল কিছু বদ অভ্যাস পরিবর্তন করা আবশ্যক হয়ে পড়ে।আর হুট করেই সে
পরিস্থিতি থেকে নিজেকে বের করে এনে পরিবর্তন করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। তাই আমরা অনেকেই নিজেকে পরিবর্তন করতে বড্ড বেশি ভয় পাই। পরিবর্তন বলতে গেলেই সবার মনেকয়েকটি প্রশ্ন জেগে ওঠে? পরিবর্তন করতে গিয়ে যদি নিজের সত্তাকে তকে হারিয়ে ফেলি? লোকে কি বলবে?ভবিষ্যতে কি

হবে? এই নানাবিদ প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে একটি ভীতি কাজ করে। আর এইজন্য আমরা অনেকেই নিজেকে পরিবর্তন করতে গিয়ে নিজের জন্য সময় বের করতে পারিনা, নিজেকে পরিবর্তন করার জন্য যেকোন সিদ্ধান্ত নিতে গেলে ভয় পাই, আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলি। আর তখনই আমাদের নিজেকে পরিবর্তনকরা কঠিন হয়ে পড়ে! এজন্য নিজেকে পরিবর্তন করার উপায় গুলো জানা প্রত্যেকেরই আবশ্যক।

নিজের ভিতরকে কিভাবে পরিবর্তন করা যায়

নিজের ভিতরকে সুন্দরভাবে পরিবর্তন করতে শরীরচর্চাা,ধ্যান,যোগব্যায়াম,সাধারণ ব্যায়াম,খেলাধুলা ইত্যাদির কোন বিকল্প নেই। এই ধরনের যাবতীয় কার্যকলাপের মাধ্যমে আপনি আপনার মনের ভিতর দিয়ে চলাচল করা নেতিবাচক ধ্রুবক চিন্তা-চেতনা গুলিকে খুব সহজেই অনায়াসে দূর করতে পারবেন।

এই মাধ্যমগুলি আপনার জীবনের প্রতি আপনার নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিগুলো পরিবর্তন করবে। এবং জীবনের নানান উত্থান-পতনের উপর আরো বেশি ও মননশীল নিয়ন্ত্রণ অর্জনের একটি শক্তিশালী উপায় হিসেবে পরিণত হবে। আপনি যখন আপনার নিজের ভিতরকে পরিবর্তন করার জন্য প্রতিদিন

নিয়মিত অনুশীলনের জন্য সময় নির্ধারিত করবেন ঠিক তখনই আপনার মননশীলতা,মনের প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও কাজ করার একাগ্রতা সবচেয়ে ভালো কাজ করবে। আর এভাবেই আপনি আপনার নিজের ভিতরকে পরিবর্তন করতে সক্ষম হবেন। এছাড়াও নিজের ভিতরেকে পরিবর্তন করার আরোও কয়েকটি
কার্যকরী মাধ্যমও রয়েছে। তন্মধ্যে অন্যতম হলো মহাগ্রন্থ আল কুরআন অর্থসহ ও ব্যাখ্যাসহ জেনে বুঝে তেলাওয়াত করা। কেননা পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে প্রতিটি ব্যক্তির অন্তর বা নিজের ভিতর নিষ্কলুষ ও অহংকার মুক্ত হয়ে যায়। পবিত্র কুরআন বেশি বেশি গবেষণা করতে হবে আর এর

ফলে আপনার ভিতরে নতুন নতুন ইতিবাচক চিন্তার উদ্ভব হবে। এবং ইতিবাচক প্রভাবের ফলে নিজেকে নতুন ভাবে আবিষ্কার করতে সক্ষম হবেন।  আর এই জন্যই পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কুরআন বেশি বেশি তেলাওয়াত করতে হবে। আর এছাড়াওবিশুদ্ধ ইসলামিক জ্ঞান গবেষণামূলকবিভিন্ন ধরনের

বই,পেপার-পত্রিকা বিশুদ্ধ হাদীছের গ্রন্থ ও আর্টিকেল বেশি বেশি অধ্যয়ন করতে হবে।  আর এর ফলে আপনার ভিতরে নেতিবাচক চিন্তাগুলি দূরভীত হবে। ও  নিজের ভিতরে ইতিবাচক চিন্তাভাবনাগুলি প্রভাব বিস্তার করবে । আপনার অন্তরকে কলুষিত করে এমন নেতিবাচক দিকগুলো এড়িয়ে চলতে

হবে। এবং আপনার জীবনকে উন্নত করবে এমন ইতিবাচক বিষয়গুলি মনের ভিতর চিন্তাভাবনা করতে হবে। এবং সে অনুযায়ী চলার চেষ্টা করতে হবে। যে মানুষগুলি সর্বদা নেতিবাচক বিষয়াদি নিয়ে আলাপ-আলোচনা করে ও সেগুলো নিয়েই মগ্ন থাকে তাদের সঙ্গ ত্যাগ করতে হবে। এবং সদা চেষ্টা করতে হবে

যারা নিজের জীবনকে উন্নত করার লক্ষ্যে ইতিবাচক বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করে ও সে মোতাবেক জীবন-যাপন করে তাদের সঙ্গ লাভ করতে হবে। আবেগের বর্ষবর্তী হয়ে কোন কাজ করা যাবে না। বরং বুদ্ধিমান মানুষের মতো সকল কাজ বিবেকের উপর নির্ভর করেই করতে হবে। নিজের ভিতর থেকে
নেতিবাচক বিষয়গুলির প্রভাব দূর করতে হবে। ও বেশি বেশি ইতিবাচক বিষয়গুলির চর্চা করতে হবে। আর এভাবেই মূলত নিজের ভিতরকে পরিবর্তন করা যায়। 

নিজের পরিবর্তন নিজেকেই করতে হবে

নিজেকে পরিবর্তন করা মানেই নিজের পুরো জীবন থেকে নিজেকে চিরতরে দূরে সরিয়ে ফেলা বিষয়টি মোটেও এমন নয়! মূলত নিজের জীবনকে উন্নত ও আরো গতিময় করে তোলার জন্য জীবন থেকে অপ্রয়োজনীয় কিছু কাজ,কিছু বদ অভ্যাস, একেবারেই সরিয়ে ফেলে সম্পূর্ণ নতুন কিছুর সঙ্গে নিজেকে

পরিচিত করে তোলা।পৃথিবীর সূচনা লগ্ন থেকেই সবকিছুই পরিবর্তনশীল। নিজেকে পরিবর্তন করতে হলে ভালো মন্দের মাঝে তফাৎ করতে শিখতে হবে। আর এর জন্য সুশিক্ষা অর্জন করা অতীব জরুরী। কেননা সুশিক্ষা ব্যতীত ভালো মন্দের মাঝে তফাৎ করা অসম্ভব ! কথিত আছে যে, মূর্খতা হলো একটি

বিরাট অপরাধ।আরোও বলা হয়ে থাকে, জ্ঞানহীন মানুষ প্রদীপ হীন। আলো ছাড়া মানুষ যেমন অন্ধকার কে দূর করতে পারে না ঠিক তেমনি সুশিক্ষার আলো ব্যতীত ভালো মন্দের তফাৎ করাও যায় না। এজন্য নিজেকে পরিবর্তন করাও সম্ভব হয় না। পৃথিবীর প্রায় সকল ধর্মেই জ্ঞান অর্জনের প্রতি অনেক গুরুত্ব

দিয়েছে। আর বিশেষ করে ইসলাম ধর্মে এটিকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যুগের পরিক্রমায় সময়ের সাথে সাথে মানুষের চাহিদা মাফিক সবকিছুই পরিবর্তন হচ্ছে শুধুমাত্র উন্নতি সাধনের লক্ষ্যে। আর এই পরিবর্তন-পরিবর্ধনের ফলে মানুষের দৈনন্দিন জীবন যাত্রারও উন্নতি সাধন হচ্ছে। তাই নিজেকে
পরিবর্তন করার বিষয়টিও এর ব্যতিক্রম নয়। সুতরাং নিজের পরিবর্তন নিজেকেই করতে হবে। পৃথিবীতে এমন কোন ব্যক্তি নেই যে নিজেকে বিজয়ী হিসেবে দেখতে চায় না! দিনশেষ ব্যর্থ মানুষটিও শত চেষ্টার মাধ্যমে নিজেকে বিজয়ী হিসেবে সবার সামনে উপস্থাপন করতে চাই।আর এই জন্য নিজের দুর্বলতা গুলিকে কাটিয়ে উঠতে হবে।
নিজেকে পরিবর্তন করার উপায়
এবং নিজের শক্তির জায়গা বা উৎস গুলোকে বুঝতে হবে । আর এই জন্যই মূলত নিজের পরিবর্তন নিজেকেই করতে হবে। তাইতো পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে, মহান আল্লাহ ঐ জাতির ভাগ্য কখনোই পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেরা তা পরিবর্তন করার চেষ্টা করে।

নিজেকে কি পুরোপুরি পরিবর্তন করা যায়

নিজেকে পুরোপুরি পরিবর্তন করা একটি কষ্টসাধ্য ও উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ। তবে দুঃসাধ্য কিছু নয়। নিজেকে পুরোপুরিভাবে পরিবর্তন করার জন্য আত্ম-পরিবর্তন বা আত্ম-প্রতিফলন, দৃঢ় সংকল্প এবং ধারাবাহিক কিছু প্রচেষ্টা ও পদক্ষেপ অতীব প্রয়োজন। যা আপনার নিজেকে পুরোপুরি পরিবর্তনের যাত্রায় অত্যন্ত সহযোগিতা করবে। এখানে কিছু বাস্তবিক পদক্ষেপ আলোচনা করা হলো যা আপনি বিবেচনা করতে পারেনঃ
  • আপনি আপনার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অন্যদের সাথে আলাপ-আলোচনা  একেবারেই বন্ধ করে দিন। নিজের গোপনীয়তা নিজেই রক্ষা করুন। 
  • আপনার নিজের কোন কোন দিকগুলি পরিবর্তন করতে হবে এবং কেন তা আপনার জীবনে প্রতিফলিত হয়েছিল এ বিষয়গুলি সময় নিয়ে ভাবুন। 
  • আপনি আপনার নিজের অনুপ্রেরণাগুলি বুঝার চেষ্টা করুন। এবং নিজের জীবনে যে পরিবর্তনগুলো করতে চান সেগুলোর জন্য স্পষ্টভাবে লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। 
  • নিজের উন্নতির জন্য ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করুন। আপনি যেই নির্দিষ্ট আচরণ,অভ্যাস বা বৈশিষ্ট্যগুলি পরিবর্তন করতে চান তার জন্য একটি তালিকা তৈরি করে ফেলুন। 
  • আপনার জীবনে আপনি কি কি অর্জন করতে চান এবং আপনার জীবন থেকে কি কি বর্জন করতে চান সে সম্পর্কে নির্দিষ্ট হন। 
  • সঠিক লক্ষে পৌঁছাতে আপনার লক্ষ্যগুলিকে ছোট এবং পরিচালনাযোগ্য ধাপে ভাগ করে নিন। এতে করে আপনি আপনার লক্ষ্যে খুব সহজেই পৌঁছাতেপারবেন। 
  • আপনি আপনার পরিবর্তনের অগ্রগতি ট্র্যাক করার জন্য বাস্তবসম্মত সময়সীমা এবং মাইল ফলক নির্ধারণ করুন। 
  • নিজেকে পুরোপুরি পরিবর্তন করা অনেক চ্যালেঞ্জিং হতে পারে তাই আপনি আপনার নিজের আত্মীয়স্বজন বা পরিবার-পরিজন বা একজন থেরাপিস্টের কাছ থেকে সহায়তা নিতে পারেন। 
  • প্রতিদিন নিয়মিত নতুন নতুন অভ্যাস গড়ে তুলুন। যে অভ্যাসগুলো আপনাকে নির্দিষ্ট একটা গণ্ডির মধ্যে আটকে রাখছে সেগুলোকে শনাক্ত করুন। এবং সেগুলোর নেতিবাচক দিকগুলোকে ইতিবাচক অভ্যাস দিয়ে পরিবর্তন ও প্রতিস্থাপনের জন্য যথাযথভাবে চেষ্টা করুন। 
  • একটি বিষয় ভালোভাবে মনে রাখবেন ধারাবাহিকতাই হলো নতুন অভ্যাস গঠনের মূল চাবিকাঠি। তাই নিজেকে পরিবর্তন করার সময় ধৈর্যের সাথে কাজ করুন। 
  • নিজেকে একজন দক্ষ ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হন। ইতিবাচক বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। কেননা জ্ঞান আপনাকে বিভিন্ন জ্ঞাত সিদ্ধান্ত নিতে এবং আপনার পরিবর্তনের দিকগুলো বজায় রাখার ক্ষমতা দিতে পারে। আপনি নিজের পরিবর্তনের জন্য যে ক্ষেত্রগুলি পরিবর্তন করতে চান সে বিষয়ে কোর্স করুন।  যা আপনাকে সেগুলো বাস্তবায়নে সাহায্য করতে পারে। 
  • আত্ম-সহানুভূতি অনুশীলন করতে শিখুন। কেননা নিজেকে পরিবর্তন করার জন্য অনেক সময় লাগে। আর এটিই হল পরিবর্তন প্রক্রিয়ার একটি সাধারণ নীতি। নিচের প্রতি সদায় মনোভাব বজায় রাখুন এবং আপনার লক্ষ্য পূরণের জন্য স্ব-সহানুভূতি অনুশীলন করতে থাকুন। 
  • নিজেকে পরিবর্তন করার জন্য দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকুন। কেননা এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া যার জন্য আপনি অঙ্গীকার করেছেন। নিজেকে একটু করে স্মরণ করিয়ে দিতে থাকুন কেন আপনি এই পরিবর্তনের যাত্রা শুরু করেছিলেন? 
  • ভবিষ্যতে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছাতে হলে অতীতে কি কি ভুল করেছেন সেগুলো জানুন এবং তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন। 
  • সবাইকে খুশি করতে হবে এমন মনোভাব বা চিন্তা-চেতনা মন থেকে সরিয়ে ফেলুন। নিজেকে ভালোবাসুন। আপনি আপনাকে না ভালোবাসলে অন্য কেউ আপনাকে ভালোবাসবে না। 
  • নিজের জন্য যথাযথ সময় ব্যায় করুন। ও নিজেকে গুরুত্ব দিতে শিখুন নইলে কেউ আপনাকে গুরুত্ব দিবে না। 
  • সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত সময় ব্যয় না করে নিজের পরিবারের সাথে পর্যাপ্ত সময় কাটান। 
  • আপনি আপনার নিজের জন্য কিছু রুলস বা নিয়ম-নীতি তৈরি করুন যেগুলোর মধ্যে আপনি সীমাবদ্ধ থাকবেন এবং অন্য কাউকে সেগুলো ভাঙতে দেবেন না। 
  • আপনি নিজেকে সবসময় প্রফুল্ল রাখার চেষ্টা করুন। যারা আপনাকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করে বা যারা আপনার কথা চিন্তাও করে না তাদের জন্য আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করবেন না।
  • আপনি নিজেকে পরিবর্তন করার জন্য যে পথ ধরে অগ্রগতি,উন্নতি সাধন করছেন তা স্বীকার করুন। আপনার পরিবর্তনের ছোট ছোট সাফল্যগুলিকে উদযাপন করুন। কেননা আপনারা এই ছোট ছোট কৃতিত্বগুলি যতই ছোট হোক না কেন এগুলিই আপনাকে অনুপ্রাণিত,উৎসাহিত এবং উজ্জীবিত রাখতে সাহায্য করবে। 

নিজেকে নয় নিজের অবস্থান কে পরিবর্তন করতে হবে

নিজেকে নয় বরং নিজের অবস্থানকে পরিবর্তন করুন। কেননা আপনি যদি আপনার নিজেকেই পরিবর্তন করে ফেলেন তাহলে আপনি আপনার নিজের সত্বাকে হারিয়ে ফেলবেন। তখন আপনার নানাবিধ পরিবর্তন কোন কাজে আসবেনা। যে স্থানগুলোতে অবস্থান করলে আপনার জীবনে উন্নতি
সাধন করতে ব্যাঘাত ঘটায় সেই কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে আসুন। যে সকল বিষয় আপনাকে সামনে অগ্রসর হতে দিচ্ছে না বা আপনার লক্ষ্য পুরনে দমিয়ে রাখছে সেগুলির মুখোমুখি হন। হয়তো দেখবেন আপনার মনে হবে এ বিষয়গুলো সুখকর হচ্ছে না তবুও মোকাবেলা করুন। আপনার

দীর্ঘমেয়াদি সুখের জন্য স্বল্পমেয়াদি কমফোর্ট জোন বা আরামের স্থান ত্যাগ করতে হবে। নিজেকে নয় বরং নিজের অবস্থানকে পরিবর্তন করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। এবং ধৈর্যের সাথে অপেক্ষার প্রহর গুনতে হবে। দেখবেন শেষ পর্যন্ত সফলতা আপনার হাতের মুঠোয় ধরা দিবে।

সময়ের সাথে নিজেকে পরিবর্তন করা জরুরি কেন

সময়ের সাথে নিজেকে পরিবর্তন মানেই নিজের অস্তিত্বকে বলি দান করা নয়। বরং নিজের উন্নতির লক্ষ্যে যা অতি প্রিয় ও প্রয়োজনীয় সেগুলোকে নতুন পরিবেশ-পরিস্থিতির সাথে মানানসই করে নেয়া। পরিবর্তন হলো একটি অনিবার্য বিষয়। জীবনের চড়াই উতরাই বিভিন্ন সময়ে পরিবর্তন আসবেই এটাই

স্বাভাবিক। এর জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যা স্বাভাবিক এবং এটি নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। তবে এই প্রক্রিয়ার সাথে নিজেকে পরিবর্তন করে খাপ খাইয়ে নেয়া যায়। প্রতিটি নতুন পরিবর্তন এক একটি চ্যালেঞ্জ যা আপনার নতুন দিগন্তের সূচনা করে। সময়ের পরিক্রমায় পৃথিবীর

সবকিছুই পরিবর্তন হচ্ছে। একটা সময় মানুষ কুড়ে ঘর ঘরে বাস করত, যানবাহনে হিসেবে শুধুমাত্র গাধা, ঘোড়া ও গরু-মহিষের গাড়ি ব্যবহার করত । কিন্তু বর্তমানে সময়ের সাথে পরিবর্তনের তাল মিলিয়ে মানুষ অট্টালিকায় বসবাস করছে, যানবাহন হিসাবে মোটরসাইকেল, বিমান, পানিজাহাজ, রকেট ও
আরো উন্নত যানবাহন ব্যবহার করছে। মানুষ অতীতকালে নানাবিদ সুবিধা ভোগ করা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় পরিবর্তনের মাধ্যমেই এত উন্নতি সাধিত হয়েছে ।এবং এসবকিছুই সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র পরিবর্তনের ফলে। এছাড়াও ইন্টারনেটের বদৌলতে মানুষ অনেক

সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে। সুতরাং সময়ের সাথে সাথে নিজেকে পরিবর্তন না করলে অনেক পিছিয়ে যাবেন। এইজন্য বলা হয়ে থাকে, নিজেকে পানির মত করে গড়ে তুলুন যাতে করে যে পাত্রেই রাখা হোক না কেন সে পাত্রের আকার ধারণ করতে কোন সমস্যা হবে না। মনে রাখা আবশ্যক নিজেকে আরো উন্নত ও বেগমান করার জন্য সময়ের সাথে সাথে নিজেকে আরো এগিয়ে নিতে হলে আরাম-আয়েশের জীবনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেকে পরিবর্তন করা অতিব জরুরী!

আপনি কি সত্যিই আপনার জীবন পরিবর্তন করতে পারেন

অবশ্যই হ্যাঁ। আপনি চাইলেই যে কোন মুহূর্তেই সত্যি সত্যিই আপনার জীবনকে পরিবর্তন করতে পারবেন। মানুষ পারে না এমন কোন কাজ নেই।  শুধুমাত্র কয়েকটি কাজ ব্যতীত পৃথিবীর সকল কাজ বাস্তবায়ন করতে মানুষ সক্ষম। এই কয়েকটি কাজ মানুষের আওতার বাইরে রয়েছে যেমন মানুষ কখন

জন্মগ্রহণ করবে? কখন মৃত্যুবরণ করবে? এবং তার তাকদিরে ভালো-মন্দ কি কি বিষয় লিপিবদ্ধ আছে? কিয়ামত কবে সংঘটিত হবে? এই ধরনের বিষয়গুলি শুধুমাত্র মহান আল্লাহ তাআলাই একমাত্র ভালো জানেন। চেষ্টা করলে সবকিছুই করা সম্ভব। তবে এটি একটি কঠিন সিদ্ধান্ত দিয়ে শুরু হয়। এর জন্য

প্রয়োজন দৃঢ় সংকল্প, দৃঢ়  প্রত্যয়, গভীর ধৈর্য, আর  বাস্তবসম্মত কাজগুলো একাগ্রতার সাথে করার দৃঢ় মনোবল । আর এই কঠিন সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র আপনি নিজেই নিতে পারেন। কেননা অন্য যে কেউ আপনার জন্য এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করতে পারবে না। এই সিদ্ধান্তটি আপনার জন্য এমন
একটি বোঝা যা আপনি বহন করে চাইলে হালকা করতে পারেন। আবার বহন না করে ভারী করেও রেখে দিতে পারেন। এটি একান্তই আপনার  আপনার উপর নির্ভর করবে। অন্য কেউ এটি বহন করে হালকা বা ভারী করে দিতে পারবে না। সুতরাং জীবন আপনার, জীবন পরিবর্তনের সিদ্ধান্তও আপনার,

আপনি চাইলে আপনার জীবনে ইতিবাচক প্রভাবগুলির বিস্তার লাভ করে আপনার জীবনকে সুন্দর পরিপাটি ও সুশৃঙ্খলভাবে গড়ে তুলতে পারেন। আবার আপনি চাইলে আপনার জীবনে নেতিবাচক প্রভাবগুলির দূর না করে আপনার জীবনকে এলোমেলো ভাবে কাটিয়ে দিতে পারেন। তবে পরামর্শ

হচ্ছে জীবন যেহেতু একটাই সুযোগও একটাই তাই আপনি আপনার জীবনকেপরিবর্তনের মাধ্যমে এমন ভাবে গঠন করুন যাতে করে প্রবাদ বাক্যের মতো অবিস্মরণীয় হয়ে থাকে চিরকাল। “এমন জীবন তুমি করিবে গঠন মরিলে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভুবন। “

নিজেকে পরিবর্তন করার উপায়

নিজেকে পরিবর্তন করার উপায় গুলো মোটেও কোন ভারী কাজ নয়। এজন্য প্রথমেই ঠান্ডা মাথায় কয়েকটি বিষয় ভেবে নিন!
নিজেকে পরিবর্তন করার উপায়
নিজের মধ্যে কি কি পরিবর্তন করা প্রয়োজনঃ
  • নিজের মধ্যে কোন ধরনের বদ অভ্যাস ও দুর্বলতা আছে এগুলোর একটি লিস্ট তৈরি করে ফেলুন। ও নিজের মধ্যকার যাবতীয় দুর্বলতা, বদ অভ্যাস ও অলসতা ধীরে ধীরে পরিহার করুন।
  • নিজের মধ্যে কি কি ভালো অভ্যাস ও শক্তির উৎস আছে সেগুলো বের করুন। ও প্রয়োজনে ভালো অভ্যাসগুলোকে আরো বৃদ্ধির চেষ্টা করুন।
  • সুন্দর ও নম্র ভদ্রভাবে সাধারণ ও সাবলীল ভাষায় হাসিমুখে কথা বলুন।
  • প্রয়োজনে বিভিন্ন বিষয়ে বেশি বেশি অধ্যায়ন করুন। সর্বদা আশাবাদী ও ইতিবাচক ধারণা রাখুন। এবং সাথে সাথে গ্রহণযোগ্য মনোভাব তৈরি করুন।
  • সব সময় সকল পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করার চেষ্টা করুন।
  • অতীত থেকে বা অন্যের ভুল থেকে বা নিজের করা ভুল থেকে শিক্ষা নিন। কেননা বুদ্ধিমান ও জ্ঞানী ব্যক্তিরাই ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে।
  • নিজের জীবনের লক্ষ্য কি সেটা নির্ণয় করুন। তারপর দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যের দিকে খেয়াল রেখে পরিকল্পনা করুন। যে নিজেকে ভবিষ্যতে কোথায় দেখতে চান!
  • নিজের লক্ষ্য অনুযায়ী কি কি করতে হবে সেটা হোক সপ্তাহব্যাপী, এক মাস ব্যাপী, ছয় মাস ব্যাপী, কিংবা বছরব্যাপী এ অনুযায়ী একটি রুটিন তৈরি করে ফেলুন। ও সে অনুযায়ী সামনে আগাতে থাকুন।
  • প্রতিদিনের কাজগুলোকে আলাদা আলাদা ভাবে আলাদা সময়ের জন্য ভাগ করে নিন। ২৪ ঘন্টা কিভাবে কাজে লাগাবেন সেটিরও একটি রুটিন তৈরি করে নিন।
  • প্রতিদিন ঘুমের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে রাখুন ও খেয়াল রাখবেন ঘুমের সময় যেন প্রতিদিন একই থাকে।
  • আপনার নিজেকে পরিবর্তন করার জন্য পারফেক্ট রোড ম্যাপ বা রুটিন তৈরি হয়ে গেছে এখন শুধু সে অনুযায়ী নিজেকে চলতে হবে। নিজের জীবনে পরিবর্তন হবেই। ইনশাআল্লাহ!

মাত্র ৫ মাসে আপনার জীবন পরিবর্তন করবেন যেভাবে

  • নিজের কাজে আরও বেশি মনোযোগী হোন। কারণ নিজেকে আরও সফল সংস্করণ করে তুলতে নিজের দৈনন্দিন কাজে মনোযোগী হওয়া আবশ্যক। কারণ আপনার জীবন পরিবর্তনে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • দৈনন্দিন নতুন কিছু শিখুন।
  • নিজের কাজে ও যেকোন বিষয়ে কৃতজ্ঞ থাকার চেষ্টা করুন।
  • নিয়মিত ডিজিটাল ডিটক্স নিন।
  • মানুষের জন্য কাজ করুন।
  • জীবনে নেতিবাচক প্রভাবগুলো দূর করুন।
  • প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
  • প্রতিদিন নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন।
  • নিজের ভিতরে থাকা আত্ম-অহংকার ও দাম্ভিকতা দূর করুন।
  • লৌকিকতা বা লোক দেখানো কাজ করা থেকে বিরত থাকুন।
  • হীন মন-মানসিকতা পরিহার করুন।
  • আত্ম-সমালোচনা করুন।
  • ধীরে ধীরে নিজের ভিতরে থাকা বদ অভ্যাসগুলো পরিত্যাগ করুন।
  • অন্যের পরনিন্দা করা বিরত থাকুন।
  • সর্বদা ভালো করার প্রতি আগ্রহী ও উদগ্রীব থাকুন।

আল্লাহর জন্য নিজেকে পরিবর্তন

মহান আল্লাহ বলেন, আমি জ্বিন এবং মানুষকে শুধুমাত্র আমার দাসত্ব করার জন্যই সৃষ্টি করেছি। সুতরাং বান্দার ভালো-মন্দ যাবতীয় কর্মের জন্য জবাবদিহিতা প্রদান করতে হবে। মহান স্রষ্টা যেহেতু আমাদেরকে আশরাফুল মাখলুকাত তথা সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে সৃষ্টি করেছেন এই জন্যই তার

কৃতজ্ঞতা স্বরূপ।নিজেকে যাবতীয় অন্যায়, অশ্লীল, কুকর্ম থেকে বিরত রেখে ও অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করে শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে। অন্যত্র তিনি বলেন, নিশ্চয় ছালাত মানুষকে যাবতীয় অন্যায় ও অশ্লীল কর্ম থেকে বিরত রাখে। সুতরাং যিনি আমাদেরকে তাঁর শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে

পাঠিয়েছেন। তাঁর আনুগত্যের মাধ্যমে ও তার সাথে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমেই নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে। কেননা তাঁর অবাধ্যতা করে নিজেকে পরিবর্তন করে কোন লাভ নেই। মহান আল্লাহ বলেন, দুনিয়াবী এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে মানুষ যদি অণু পরিমাণ খারাপ কাজ করে থাকে তাহলে সেটা সে
দেখতে পাবে এবং সে অনুযায়ী কিয়ামতের কঠিন দিনে শাস্তি ভোগ করবে। সেদিন বাড়তি কোন সাক্ষ্য প্রমাণের প্রয়োজন হবে না। স্বযত্নে প্রতিপালিত নিজের অঙ্গ-প্রতঙ্গ গুলিই সাক্ষী হিসেবে মহান আল্লাহর নিকটে উপস্থিত হবে। আবার যদি তাওবার মাধ্যমে নিজেকে পরিবর্তন করার জন্য সে সামান্যতম ভালো

কাজ করে তাহলে সে এর জন্য মহান আল্লাহর কাছে সম্মানিত ও পুরস্কৃত হবে। পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহকে কেয়ামতের দিন সাক্ষাৎ লাভের আকাঙ্খা রাখে সে যেন পার্থিব জীবনে যাবতীয় অন্যায়, অশ্লীল, কুকর্ম, বদভ্যাস ও অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করে এবং সৎ কাজ সম্পাদনের মাধ্যমে নিজেকে পরিবর্তন করে। আর এটিই হচ্ছে আল্লাহর জন্য নিজেকে পরিবর্তন করার সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার। এর থেকে শ্রেষ্ঠ প্রতিদান আর কি হতে পারে?

লেখকের ইতি কথাঃ নিজেকে পরিবর্তন করার উপায় সম্পর্কে

অতএব সম্মানিত পাঠক সংক্ষিপ্ত জীবনের এই ক্ষুদ্র পরিসরের একদিন সমাপ্তি ঘটবেই। জীবনের অন্তিম সূর্যটি অস্তমিত হবেই। আমার যাবতীয় কৃতকর্মের জবাবদিহিতা আমাকেই প্রদান করতে হবে। নিজের প্রতি জুলুম করেছি কিনা? ভালো-মন্দের মধ্যে তারতম্য করেছি কিনা? আমি ভালো কিংবা মন্দ

কাজ করি বা নিজেকে পরিবর্তন করি আর নাই করি মৃত্যু নিশ্চিত হবেই। এই সব কিছু গভীরভাবে ভাবুন তাহলে বুঝতে পারবেন নিজেকে কতটুকু পরিবর্তন করা উচিত! সুতরাং সংক্ষিপ্ত জীবনের ভুল ত্রুটি গুলো শুধরে নিয়ে সর্বদাই তাওবার মাধ্যমে নিজেকে পরিবর্তন করতে সচেষ্ট হন। কেননা সময় ফুরালে সাধন হবে না। এজন্য বলা হয়ে থাকে, আজকের কাজ কালকের জন্য রেখে দিও না। তাই নিজেকে পরিবর্তনের সময় এখনই।

আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনার নিজেকে পরিবর্তন করতে অত্যন্ত সহায়ক হয়েছে। আর্টিকেলটি পড়ে কিভাবে নিজেকে পরিবর্তন করবেন সেটা বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এতক্ষণ সঙ্গে থেকে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের আরো গুরুত্বপূর্ণ ও তথ্যবহুল আর্টিকেল নিয়মিত পড়তে এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। আবার কথা হবে নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে। ততক্ষণ পর্যন্ত নিরাপদ ও সুস্থ থাকুন!

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কনফিডেন্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url