কাজে মনোযোগী হওয়ার উপায় - কাজে মনোযোগ ধরে রাখার যত কৌশল

আপনি কি কাজে মনোযোগী হওয়ার উপায় গুলো ভালোভাবে না জেনেই কাজ করছেন? তাহলে আপনি আপনার কাজে কিভাবে সম্পূর্ণ ফোকাস করবেন? আর কিভাবেইবা জীবনে সফলতা অর্জন করবেন? আশা করছি এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়লে কাজে মনোযোগী হওয়ার উপায় গুলো সম্পূর্ণভাবে জেনে যে কোন কাজে খুব সহজেই সফলতা অর্জন করতে পারবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক!
কাজে মনোযোগী হওয়ার উপায়-কাজে মনোযোগ ধরে রাখার যত কৌশল
এ আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাকে এমন কিছু ইউনিক ও কার্যকারী উপায় সম্পর্কে অবহিত করব যেগুলিকে কাজে লাগিয়ে আপনি খুব সহজেই আপনার কাজে সম্পূর্ণভাবে মনোনিবেশ করতে পারবেন। খুব অল্প সময়েই দ্রুততার সাথে জীবনে সফলতা অর্জন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে পুষ্টি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন!
পেজ সূচিপত্রঃ
.

ভুমিকা

কাজে মনোযোগী হওয়ার উপায় গুলো না জানার কারণে অনেকেই তাদের জীবনে পুরোপুরিভাবে সফলতা অর্জন করতে পারেনা। এজন্য অবশ্যই এই বিষয়ে সম্মুখ ধারণা রাখা অতীব জরুরী। অনেকেই কাজে মনোযোগী হওয়ার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে থাকেন কিন্তু তেমন কার্যকরী ও ফলপ্রসূ হয় না। তাই আপনি কি কাজে মনোযোগী হওয়ার উপায় গুলো না জানার কারণে নিজের কাজে
মনোনিবেশ করতে পারছেন না? তাহলে আপনার আর কোন চিন্তা নেই কারণ আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই কার্যকরী ও বেস্ট সলিউশন। এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি বিস্তারিত জানতে পারবেন কাজে মনোযোগী হওয়ার উপায় সম্পর্কে।

কাজে মনোনিবেশ করতে সমস্যা হয় কেন

আপনি যেকোন কাজ করে সফলতা অর্জন করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে সেখানে পুরোপুরি ভাবে মনোযোগ দিতে হবে। না হলে সেই কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে পারবেন না। প্রথমে মনকে স্থির করুন এবং যে কাজটি করবেন কেবল সে কাজটিতেই পুরোপুরি সুন্দরভাবে মনোযোগ দিন। নাহলে সফলতা পাওয়া যাবে না। আমরা সবাই জানি মনোযোগ ধরে রাখা বেশ একটা কঠিন কাজ। কিন্তু অসম্ভব কিছু

না। কারণ আমরা মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। মনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে মনোযোগ ধরে রাখা সম্ভব না। কাজ শুরু করার আগে আপনার সর্বপ্রথম কাজ হবে কাজের পরিবেশ নির্ধারণ করা। কারণ কাজের পরিবেশ ঠিক না থাকলে সেখানে কাজে মনোনিবেশ করতে সমস্যা হয়। অনেক সময় একটানা কাজ করলে তখন অনীহা চলে আসে কাজের প্রতি। তখন কাজে মনোযোগ দিতে সমস্যা হয়।
কাজ করতে করতে অনেক সময় আমাদের ক্ষুধা লেগে যায় তখন আমাদের মনে হয় খাবারটা পরে খায়, কাজটা শেষ করে নেই আগে। এটা করা যাবে না। এতে কাজের মনোনিবেশ নষ্ট হয়। যেমন: কাজের প্রতি আগ্রহ না থাকলে, আনমনা হয়ে কাজ করলে, মনোযোগী হতে সমস্যা হয় । তারপর কাজের প্রতি ভালোবাসা না থাকলে সে কাজ করতে ভালো লাগেনা। নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে কাজগুলো পর্যায়ক্রমে

ভাগ করে না নিলে কাজের প্রতি মনোনিবেশ থাকে না। একসাথে অনেক কাজ জমা হয়ে গেলেও কাজে মনোযোগ ধরে রাখা যায় না। একটানা দীর্ঘক্ষণ কাজ করলে তখন কাজের প্রতি একটা বিরক্তিকর ভাব প্রকাশ পায় তখন কাজে মনোযোগ থাকে না। একটি নির্দিষ্ট কাজ করার সময় যখন বিভিন্ন রকম চিন্তাভাবনা মাথায় ঘুরপাক খায় তখন সেই কাজে আর মনোযোগ থাকে না। মনোযোগ নষ্ট হয়ে যায়।

যেমন ধরেন, আপনি কাজ করছেন আপনার পাশে আরেকজন ফোন টিপছে বা টিভি দেখছে কিংবা আপনার আশেপাশে উচ্চ শব্দে হইহুল্লোড় করছে এমন অবস্থায় কাজের প্রতি ব্যাঘাত ঘটে মনোযোগ নষ্ট হয়। তাই কাজের প্রতি মনোযোগ ধরে রাখতে উপরের বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে তাহলে কাজের প্রতি মনোনিবেশ করতে সমস্যা হবে না।

কিভাবে মনোযোগ বৃদ্ধি করা যায়

কোন কাজ সফলতার সাথে করতে চাইলে অবশ্যই সেই কাজে পুরোপুরি মনোযোগ দিতে হবে। মনোযোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা বেশ কঠিন কাজ বটেই। কিন্তু অসম্ভব কিছু না। মনকে স্থির করতে হবে তারপর কাজের লক্ষ নির্ধারণ করতে হবে। অনেক সময় দীর্ঘক্ষণ কাজ করার ফলে মনোযোগ হারিয়ে যায় সে ক্ষেত্রে একটু পর পর বিরতি নিয়ে কাজ করতে হবে। সব সময় আপনার নিজের কাজের প্রতি

অ্যালার্ট থাকতে হবে। এবং কাজ শুরু করার আগেই একটি সুষ্ঠ লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। আপনার কাজে বাঁধা দেই মনোনিবেশ করতে সমস্যা হয় এ ধরনের বিষয়গুলো এড়িয়ে চলুন। আপনি যখন কাজ করবেন তখন ফোন ব্যবহার করবে না। অনেক সময় কাজ সুষ্ঠুভাবে করতে সবচেয়ে বাঁধা দেয় মোবাইল ফোন। জার্নাল অফ বিহেভিয়ারাল অ্যাডিকশনের সাম্প্রতিক একটি স্টাডিতে প্রকাশিত হয়েছে,
যখন আপনি কোন কাজ মনোযোগ সহকারে করেন সেই মুহূর্তে কাজ করার পাশাপাশি যখন আপনি ফোন ব্যবহার করেন তখন আপনার কাজের প্রতি মনোযোগ অনেকটাই কমে যায়। তাই কাজ করার সময় মোবাইল ফোন কিছু সময় দূরে রাখুন। অনেক সময় পেটে ক্ষুধা লেগে থাকলেও কাজে মনোযোগ থাকে না। তাই কাজ করার আগে খাওয়া দাওয়া করে পরিপাটি হয়ে কাজ করা উচিত। কাজ করার সময়

অবশ্যই লক্ষ রাখতে হবে যেন আপনার কাজের স্থানটি কমফটর্জন হয়। এতে কাজে মনোযোগী হওয়ার উপায় বৃদ্ধি পায়। কাজের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী একটি তালিকা তৈরি করুন একটু পরপর বিরতি নিন মাঝেমধ্যে হাঁটাহাঁটি করতে পারেন বা চা,কফি খেতে পারেন এবং বেশি চাপ না নিয়ে ঠান্ডা মাথায় ধীর স্থির ভাবে কাজ করুন। মাথা থেকে টেনশন স্ট্রেস দূরে রাখুন এবং পুরোপুরি ফোকাস কাজের উপরে দিন। তাহলে দেখবেন মনোযোগ বৃদ্ধিতে কোনরকম ব্যাঘাত ঘটবে না।

কাজে মনোযোগী হওয়ার উপায় \কাজে মনোযোগ ধরে রাখার যত কৌশল

কাজ করার সময় অনেক ক্ষেত্রে আমরা অমনোযোগী হয়ে থাকি। কাজে ভালোভাবে মনোনিবেশ করতে পারিনা তখন কাজ করতে ও ভালো লাগে না। তাই আপনাদের জন্য আজকে কাজে মনোযোগী হওয়ার উপায় গুলো কিছু ইউনিক কৌশলে নিচে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হলঃ
কাজে মনোযোগী হওয়ার উপায়-কাজে মনোযোগ ধরে রাখার যত কৌশল
  • মনকে কাজের প্রতি আগ্রহী হতে শেখানোঃ সাপোজ আপনি একটি নির্দিষ্ট কাজ করছেন কিন্তু সেই কাজে আপনার আগ্রহ নেই ,মনোযোগ নেই, তাহলে কি আপনি সেই কাজে সফল হবেন? কখনোই না কারণ অনীহা নিয়ে কাজ করলে যে কাজটা করবেন সেটাও ভালো হবে না আর আপনি সফলও হবেন না। তাই যেই কাজই করুন কাজের প্রতি ভালোবাসা রাখবেন আগ্রহ দিয়ে কাজটা করবেন, মনকে সেই কাজের প্রতি আগ্রহী করে তুলবেন, সেই কাজটিতে আগ্রহ নিয়ে ফোকাস করবেন।
  • কাজের প্রতি ভালোবাসা তৈরি করাঃ আর কাজ করার সময় মনকে প্রফুল্ল রাখবেন। একটি নির্দিষ্ট কাজ করার সময় বিভিন্ন রকম চিন্তাভাবনা মাথায় ঘুরপাক খায়। যে কাজটা করবেন কাজের প্রতি ভালবাসা রাখবেন। কাজ ছোট হোক কিংবা বড় সেটা যদি আপনি মন দিয়ে ভালোবেসে সুশীল ভাবে করেন তাহলে সে কাজে সফলতা পাবেন এবং কাজেও ভালোভাবে মন বসবে।
  • নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে কাজ করাঃ মন হলো এমন একটা জিনিস যা সব সময় চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করে। কাজ শুরু করার আগে প্রথমে লক্ষ নির্ধারণ করবেন। লক্ষ নির্ধারণ করে কাজ করলে আপনার মনোনিবেশ কাজের উপরেই থাকবে যতক্ষণ না কাজটা শেষ হবে। লক্ষ্য নির্ধারণ করে কাজ করলে কাজের মাঝখানেও আপনি বুঝতে পারবেন কতটা আপনার কাজ হল এবং আরো কতটুকু কাজ বাকি রয়েছে । আর একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল কাজ করার সময় বারবার ফোনে ঘড়ি দেখবেন না,এতে করে কাজের মনোনিবেশ নষ্ট হয়। সময় খুবই মূল্যবান জিনিস তাই নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে কাজ করলে যেমন কাজটাও তাড়াতাড়ি হবে তেমনি সময় অনেক সাশ্রয়ী হবে।
  • কাজকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে নেওয়াঃ একসাথে অনেকগুলো কাজ করবেন না। কাজকে আলাদা আলাদা করে ভাগ করে নিবেন যেমন ধরেন ২ ঘণ্টা কাজ করলেন কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে আবার কাজ করলেন এরকম। একটানা যদি আপনি কাজ করে যান তাহলে ব্রেনে অনেক চাপ পড়ে। তাতে কাজের পরিধিও ভালো হয় না। যেমনঃ আপনার খাবার সময় হলো তিন বেলা সময়বেলা দুপুরবেলা রাত্রেবেলা কিন্তু আপনি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শুধু খেয়ে যাচ্ছেন তাহলে কি হবে? সবকিছুর একটি নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে।
  • কাজে কিছুক্ষণ পরপর বিরতি নেওয়াঃ একটানা দীর্ঘক্ষণ কাজ করলে সেই কাজে অনীহা চলে আসে। তখন আর কাজে মনোনিবেশ করা যায় না। তাই কাজ করার সময় কিছুক্ষণ পরপর ৫-১০ মিনিট করে বিরতি নিতে পারেন। এতে করে মন প্রফুল্ল হয়। কাজে অনীহা আসে না। যেমন: একটু হাঁটতে পারেন, চা কিংবা কফি খেতে পারেন, এতে করে ব্রেন সার্ভ থাকে এবং ক্লান্তি ভাব দূর হয়ে যায়।
  • নিজের পছন্দ অনুযায়ী কাজকে পর্যায়ক্রমে সাজিয়ে নেওয়াঃ আমাদের একসাথে যখন অনেকগুলো কাজ জমা হয়ে যায় তখন কোন কাজটি আগে করব, কিভাবে করব, মাথায় আসেনা। তখন বিভ্রান্ত না হয়ে যে কাজটা আগে প্রয়োজনীয় সেগুলোকে পর্যায়ক্রমে সাজিয়ে নিয়ে আপনি আপনার কাজের পরিধি ঠিক রাখতে পারেন। কাজ যদি নিয়মমাফিক এবং গোছানো হয় তাহলে সেই কাজে মনোযোগ ভালো থাকে।
  • কাজের পরিবেশ ঠিক করাঃ কাজের ফলাফলের উপর বিভিন্ন সময় কাজের পরিবেশের প্রভাব থাকে। শান্তশিষ্ট পরিবেশ না হলে সেখানে কাজে মনোনিবেশ করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। তখন কাজ ভালো হয় না। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র একবারে গুছিয়ে নিয়ে বসুন যাতে করে বারবার উঠতে না হয়। চেষ্টা করুন কাজের জায়গাটা যেন গোছানো ও মনোরম পরিবেশের হয়। এতে করে কাজে মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে।
  • প্রয়োজনীয় ব্যাপারে একটা নোটবুক তৈরি করুন এবং তাতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো লিখে রাখুনঃ অনেক সময় আমরা যখন একটা কাজ করি তার ভিতরে বিভিন্ন রকম চিন্তাভাবনা কিংবা বিভিন্ন রকম গুরুত্বপূর্ণ কাজের কথা মনে হয়ে যায়। তখন বুদ্ধি করে একটি নোটবুকে কথাগুলো লিখে রেখে দিবেন। তাহলে এটা হবে কি পরবর্তীতে ওগুলো আপনি ভুলে যেতে পারেন তখন নোটবুক দেখে কাজগুলো করে নিলেন। ফলে অন্য কাজ নিয়ে দুশ্চিন্তাও হবে না এবং কাজে মনোনিবেশ নষ্ট হবে না।
  • নিয়মিত শরীরচর্চা এবং ইয়োগা করুনঃ শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা এবং ইয়োগার বিকল্প নেই। শরীর ও মন ভালো থাকলে কাজ করতেও ভালো লাগে। তাই প্রত্যেকদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ইয়োগা করুন এবং হালকা নাস্তা করে শরীর চর্চা করুন তাহলে শরীর ভালো থাকবে সুস্থ থাকবে। স্থায়ীভাবে মনোযোগের সমস্যা দূর করতে এবং সব সময় কাজের প্রতি মনোযোগী রাখতে শরীরচর্চা এবং ইয়োগা গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এতে করে মন প্রফুল্ল থাকে। কাজের মনোযোগ নষ্ট হয় না। বরং কাজের প্রতি আরোও মনোযোগী করে তোলে।

মনোযোগ বৃদ্ধির খাবার

সাধারণত বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায়। ফলে ডিমেনশিয়া বা অ্যালজাইমার্সের এর মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই মস্তিষ্কের ক্ষমতা যেন না কমে সেই দিকে খেয়াল রাখা খুবই জরুরী। মনোযোগ বৃদ্ধির কয়েকটি খাবার হলঃ
  • চর্বিযুক্ত মাছঃ সাধারণত চর্বিযুক্ত মাছে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাট মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কে উন্নত করে। এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে সাথে সাথে মনোযোগ ও বৃদ্ধি পায়।
  • ব্রকলিঃ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ একটি সবজি হল এই ব্রকলি। অনেকগুলো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান পাবেন এই ব্রকলিতে। এই সবজি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি জন্য এবং মনোযোগ বৃদ্ধির জন্য খুবই কার্যকরী একটি সলিউশন। তাইতো প্রতিদিনের খাদ্য খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন।
  • কুমড়া বীজঃ আয়রন, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, কপার এর উৎস হল কুমড়া বীজ। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই কুমড়া বীজ।
  • ডার্ক চকলেটঃ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যাফেইন, ফ্ল্যাভোনয়েড এ ভরপুর এই ডার্ক চকলেট। ফলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
  • বাদামঃ বাদাম সাধারণত অনেকেরই পছন্দ। এ বাদাম স্মৃতিশক্তি বাড়াতে খুবই ভালো কাজ করে। বাদামে রয়েছে ওমেগা-৩, ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ই, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি। নিয়মিত আখরোট, চিনাবাদাম, কাজুবাদাম,কাঠবাদাম খেলে মস্তিষ্কের কার্যকারী ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পায়।
  • ডিমঃ ডিম হল কোলন সমৃদ্ধ একটি খাবার। কোলন হলো এক ধরনের পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার যা এসিটাইলোকোলিন অগ্রদূত হিসাবে খুব ভালো কাজ করে। স্মৃতিশক্তি নিয়ন্ত্রণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো একটি নিউরোট্রান্সমিটার। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য একটি করে ডিম বরাদ্দ করতে পারেন।
  • কমলাঃ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার হল কমলা। এটি মানুষের মানসিক অবক্ষয় এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এবং মনোযোগ বৃদ্ধি করে।
  • হলুদঃ ব্রেনের কার্যকারিতা বাড়াতে হলুদ ম্যাজিক এর মতো কাজ করে। হলুদ যেমন মস্তিষ্কের প্রদাহ কমাই তেমনই বুদ্ধির বিকাশেও খুব ভালো কাজ করে এবং কাজের প্রতি মনোযোগ বৃদ্ধি করে।
  • পালংশাকঃ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, লুটেইন,ফলেট এবং ভিটামিন কে, প্রচুর পরিমাণে পালংশাকে রয়েছে। তই পালংশাক ব্রেনের কর্মক্ষমতা দ্রুত বৃদ্ধি করে এবং কাজে মনোযোগী করে তোলে।
  • টমেটোঃ বিটা-ক্যারোটিন, লাইকোপেন এবং ক্যারোটিনয়েড প্রচুর পরিমাণে টমেটোতে। তাই জন্য ব্রেনে উপস্থিত টক্সিন উপাদান গুলোকে বার করে দেয়। তখন স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং মনোযোগ বৃদ্ধি করে।
  • নারিকেল তেলঃ নিউরনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে নারিকেল তেল। এবং শরীরে উপস্থিত বিভিন্ন রকম উপাদান যেন ব্রেনের কোন ক্ষতি করতে না পারে সেদিকে লক্ষ রাখে।

মনোযোগ বৃদ্ধির মেডিটেশন

মনোযোগ বৃদ্ধি করতে মেডিটেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দৈনিক হাতে সময় বের করে আধা ঘন্টা মেডিটেশন করলে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত মনোযোগ বৃদ্ধি করা যায়। নিয়মিত মেডিটেশন করলে শরীরের ক্লান্তি ভাব এবং অবসাদ দূর হবে। নিয়মিত মেডিটেশন করলে উচ্চ রক্তচাপের মত রোগ থেকেও রেহাই পাওয়া যায়। মেডিটেশন হল এমন একটি জিনিস যা শারীরিকভাবে যেমন সুস্থ রাখে তেমন মানসিকভাবেও সুস্থ রাখে।
  • মেড়িটেশন করার জন্য প্রথমে খোলা জায়গা নির্বাচন করতে হবে। যেমন: নিজের ঘর হতে পারে, ছাদ, বারান্দা,বাগান ইত্যাদি। যেখানে মেডিটেশন করবেন সেখানে একটি মাদুর বিছিয়ে নিন।
  • আপনি নিজেকে comfort মনে করেন এরকম ঢিলে ঢালা পোশাক পরিধান করুন।
  • মেডিটেশনের সময় ফোন বন্ধ রাখুন। এবং মনোযোগ নষ্ট হয় এরকম যাবতীয় কাজ থেকে দূরে থাকুন। সম্পূর্ণ মনোযোগ মেডিটেশন এর উপরে রাখুন।
  • যে মাদুরটা বিছিয়েছেন সেটির উপরে বসুন। যেভাবে নিজেকে আরামদায়ক মনে করেন সেভাবেই বসুন। তারপর মেরুদন্ড সোজা করুন। ধীরে ধীরে এবং গভীর ধ্যানের মাধ্যমে যাবতীয় চিন্তা থেকে নিজেকে সরিয়ে আনুন। এবং আপনার মনোযোগ মেডিটেশনের উপর রাখুন।
  • প্রথম দিন মেডিটেশন করতে ভালো নাও লাগতে পারে। নিয়মিত ধৈর্য ধরে মেডিটেশন করতে থাকুন তাহলে আপনার মন নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে ইনশাআল্লাহ।

মনোযোগ বৃদ্ধির ঔষধ

মনোযোগ বৃদ্ধির জন্য অনেক সময় ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। সাধারণত যে সকল মানুষ কোন কিছু পড়ে জানার পরও তা ভুলে যায় তাদের মনোযোগ বৃদ্ধির জন্য হোমিও ঔষধ খুবই কার্যকরী। তবে মনোযোগ বৃদ্ধি করার জন্য এই হোমিও ঔষধ সেবনের কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। আমাদের মস্তিষ্কের যে স্নায়ু গুলি মনোযোগ ধরে রাখতে বা বৃদ্ধিতে দুর্বল হয়ে যায় সেগুলিকে সুস্থ সবল করতে
মনোযোগ বৃদ্ধির ঔষধ হিসেবে হোমিও ঔষধ খুবই কার্যকরী। মনোযোগ বৃদ্ধির ঔষধ হিসেবে প্রসিদ্ধ এবং কার্যকরী ঔষধের নাম হচ্ছে অ্যানাকার্ডিয়াম (Anacardium)। এই ঔষধ সেবন করার জন্য নির্দিষ্ট কোন ডোজ নেই। তবে এই ঔষধ সপ্তাহে মাত্র একদিন দুই ফোঁটা করে সেবন করতে হয়। এটি ডাক্তারের পরামর্শে নিয়মিত সেবনে আপনার স্মৃতিশক্তি বা মনোযোগ দিন দিন বৃদ্ধি হতে থাকবে।

মনোযোগ বৃদ্ধির দোয়া

পবিত্র কুরআনের আয়াতগুলো মানুষের জন্য ঔষধ, শিফা বা রোগ-মুক্তির কারণ হিসেবে হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কুরআনের এমন কতগুলি আয়াত রয়েছে যেগুলি নিয়মিত আমলের মাধ্যমে নিজের মস্তিষ্ক বা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মনোযোগ বৃদ্ধির দোয়া গুলো হলোঃ
  • ربي زدني علما উচ্চারণঃ রব্বী ঝিদনী ইলমা (৩ বার) অর্থঃ হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দিন। ( সূরা ত্বহা-২০/১১৪ আয়াত )
  • ربي اصرح لي صدري ويسر لي امري واحلل عقده من لساني يفقه قولي উচ্চারণঃ রাব্বিশ রহলী ছদরী ওয়া ইয়াসসিরলী আমরী ওহালুল উকদাতাম মিল্লিসানী ইয়াফক্বহূ ক্বওলী। অর্থঃ হে আমার প্রভু! আমার বক্ষ প্রশস্ত করে দাও। আমার করণীয় কাজ আমার জন্য সহজ করে দাও। আমার জিহ্বা থেকে জ্বরটা দূর করে দাও, যেন তারা আমার কথা বুঝতে পারে। ( সূরা ত্বহা-২০/২৫-২৮আয়াত )
  • اللهم اني اسالك علما نافعا وعملا متقبلا ورزقا طيبا উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা ইলমান নাফিআন ওয়া আমালাম মুতাক্বব্বালান ওয়া রিঝকন ত্বইয়েবা। অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকটে উপকারী জ্ঞান, কবুলযোগ্য আমল ও পবিত্র রূযী প্রার্থনা করছি। ( ইবনে মাজাহ, মিশকাত হা/২৪৯৮ )
  • سبحانك لا علم لنا الا ما علمتنا انك انت العليم الحكيم উচ্চারণঃ সুবাহা নাকা লা ইল মালানা ইল্লা মা আল্লামতানা ইন্নাকা আংতাল আলীমুল হাকীম। অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি পবিত্র! আমরা কোন কিছুই জানিনা বা আমাদের কোন কিছুরই জ্ঞান নেই, তবে তুমি যেগুলো আমাদেরকে শিখিয়েছো সেগুলো ছাড়া, নিশ্চয়ই তুমি প্রজ্ঞাবান ও হেকমতওয়ালা। ( সূরা বাকারা-২/৩২ আয়াত )

মনোযোগ বৃদ্ধি করা আবশ্যক কেন

কোন কাজে সফলতা অর্জন করতে চাইলে পুরোপুরি মনোযোগ সেই কাজের উপরে দেওয়া আবশ্যক না হলে সফলতা পাওয়া যাবে না । দীর্ঘক্ষণ একটি কাজের উপর মনোযোগ ধরে রাখা বেশ কঠিন। এখন আধুনিক যুগটা এমন হয়ে গেছে যে মনোযোগ সহকারে কাজ না করলে সে কাজে সফলতা পাওয়া যায় না। ধরুন যে, কোন কাজ করতে করতে আপনি একটু অমনোযোগী হয়ে গেছেন, তাহলে অন্যদের

থেকে আপনি অনেক পিছিয়ে পড়বেন। অন্যরা এগিয়ে যাবেন বর্তমান যুগটা এখন এরকম হয়ে গেছে। তাই মনোযোগী হয়ে কাজ করা অতি আবশ্যক। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে আপনাকে অবশ্যই মনোযোগী হয়ে কাজ করে এগিয়ে যেতে হবে। এবং সফলতায় আরোহন করতে হবে। ধরুন যে, আপনি মন দিয়ে কাজ করছেন আপনার পাশে একজন ফোন টিপছে, কয়েকজন মিলে আড্ডা দিচ্ছে,

আবার আশেপাশে কিছু বাচ্চা মিলে হইহুল্লোড় করছে তখন আপনার কাজে মন থাকবে না। তখন আপনি এগুলো এড়িয়ে চলবেন। কাজের জন্য আরামদায়ক কোলাহলমুক্ত জায়গা নির্বাচন করবেন।নইলে কাজে মনোযোগ আসবেনা। চেষ্টা করবেন যে কাজটি করবেন সেটি মনোযোগ দিয়ে করার এবং সেটি সুন্দরভাবে শেষ করার পর পরবর্তীতে আরেকটি কাজ করতে লাগবেন। একসাথে অনেকগুলো
কাজ করবেন না এতে করে কাজও ভালো হয় না, সফলতাও পাওয়া যায় না। ঠিকমতো মনোনিবেশ করে কাজ না করলে সেই কাজে সফলতা পাওয়া যায় না সবাই ব্যর্থ হয়। সেই জন্য চেষ্টা করতে হবে কাজের প্রতি আগ্রহী হয়ে ভালোবাসা দিয়ে মনোযোগ সহকারে কাজগুলো সম্পূর্ণ করা। তাই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে কাজে মনোযোগী হওয়ার উপায় গুলো রপ্ত করে সামনে অগ্রসর হতে হবে। যেমন

ধরুন, শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম বা মেডিটেশন করা এবং যে কাজটা করবেন সে কাজটা ধীরে ধীরে সম্পন্ন করবেন ভুলেও তাড়াহুড়া করা যাবে না। পর্যায়ক্রমের সাজিয়ে একটি একটি করে কাজ সম্পন্ন করতে হবে। নিজের ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে মনোযোগ সহকারে কাজ করতে হবে। খেয়াল রাখবেন যেন নিয়মিত ঘুম ভালো হয় সাথে সাথে স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন তাহলে মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে। কারণ আপনি সুস্থ থাকলে কাজের প্রতি মনোযোগ ভালোভাবে দিতে পারবেন।

শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বৃদ্ধির কৌশল

শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বৃদ্ধির কৌশল গুলো আগে ভালভাবে জেনে নিতে হবে। পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার জন্য অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পড়ালেখা করতে হবে। কিন্তু দেখা যায় পড়তে বসলেই রাজ্যের যত কথা মাথায় ঘুরপাক খায়। তখন মনোযোগ পড়ায় থাকে না। তাহলে চলুন পড়ালেখা মনে রাখা যাই এমন কিছু কৌশল জেনে নেওয়া যাক!
কাজে মনোযোগী হওয়ার উপায়-কাজে মনোযোগ ধরে রাখার যত কৌশল
  • পড়ালেখার জন্য সঠিক আরামদায়ক কক্ষ নির্ধারণ করাঃ পড়ালেখায় মনোযোগী হতে চাইলে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে কক্ষটা যেন আলো বাতাস পূর্ণ হয়। এতে করে আমাদের মস্তিষ্কের কার্যকারী ক্ষমতা ঠিক থাকে এবং চোখের উপর চাপ কম হয়। যে কক্ষটা পড়ালেখার জন্য নির্ধারণ করা হবে সেই স্থানটা যেন নিরিবিলি হয়, তাহলে পড়ালেখায় মনোনিবেশ করতে খুব ভালো হবে। সেই কক্ষ এবং পড়ার টেবিল সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখতে হবে এবং লক্ষ্য রাখতে হবে পড়তে বসার আগে যা যা প্রয়োজনীয় জিনিস তা সাথে নিয়ে পরিপাটি হয়ে পড়তে বসতে হবে।
  • একটু পরপর বিরতি নিয়ে পড়ালেখা করাঃ তার কারণ যখন আপনি একটানা অনেকক্ষণ পড়ালেখা করবেন তখন পড়ালেখায় মনোযোগ থাকে না অনীহা চলে আসে, তাই জন্য পড়ালেখার মাঝে মাঝে একটু পরপর বিরতি নিতে পারেন যেমন ধরেন একটু হাঁটাহাঁটি করা তারপর মাঝেমধ্যে চা,কফি কিংবা মুখরোচক খাবার খেতে পারেন। তারপর মন মাইন্ড ফ্রেশ হয়ে গেলে, আবার পড়ালেখায় ফিরে যান।
  • কিছু কিছু কৌশল মেনে চলাঃ যেমন ধরুন যে, সাবজেক্টগুলো আপনাকে পড়তে ভালো লাগে সেগুলো আগে পড়ুন। কোন বইটি কতক্ষণ পড়বেন সেটার সময় নির্ধারণ করুন এবং নিজে নিজে প্রশ্ন তৈরি করুন। বারবার ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে প্রশ্ন তৈরি করুন। তারপর নিজে নিজে উত্তর লিখুন। তাহলে দিন দিন দক্ষতা বাড়তে থাকবে।
  • পড়ালেখার সময় ফোন থেকে নিজেকে দূরে রাখুনঃ ফোন যদি সামনে থাকে তাহলে পড়ালেখায় মন বসে না। পড়ালেখার সবচেয়ে বড় শত্রু হলো ফোন। সাধারণত দৈনিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী গড়ে প্রায় তিন ঘণ্টার মতো অ্যাপ ইসক্রল করে ব্যয় করে থাকে। অথচ এই সময়টুকু অযথা নষ্ট করে। সময় খুবই মূল্যবান। অযথা নষ্ট না করে যদি পড়ালেখায় সময়টুকু দিত তাহলে কতইনা ভালো হতো। তাই খেয়াল রাখবেন পড়ালেখার সময় মনোযোগ যেন শুধুমাত্র পড়ালেখায় থাকে।
  • নিজেই নিজেকে পুরস্কৃত করুনঃ নিজেকে বাহবা দিন। যদি লক্ষ্য অর্জন করতে না পারেন তাহলে ভেঙে পড়বেন না, হতাশ হবেন না। কথায় তো আছে একবার না পারিলে দেখো শতবার।
  • যেগুলো আপনার মনোযোগ নষ্ট করে সেগুলো এড়িয়ে চলাঃ যে কাজগুলো আপনাকে ক্লাসে মনোযোগী হতে বাঁধা দেয় সেগুলো এড়িয়ে চলুন। সব সময় স্মরণ রাখতে হবে, যেন ক্লাসে অমনোযোগী না হয়ে যায়। যদি অমনোযোগী হয়েও যান তাহলে তা পুনরায় ফিরিয়ে আনতে হবে । ক্লাসে যে পড়াটি হচ্ছে সেটি মনোযোগ সহকারে করা এরকম অভ্যাস গড়ে তুলুন। প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন সম্পন্ন করুন। পড়াই ফাঁকি না দেওয়া। এটি বারবার স্মরণ রাখতে হবে যেন ক্লাসের বাইরের বিষয়ে যেন মনোযোগ না যায়। সব সময় ক্লাসেই মনোযোগ থাকে। লক্ষ্য রাখতে হবে একসাথে অনেকগুলো পড়া যেন না জামে থাকে।
  • শিক্ষকের সাথে ক্লাসে কথা বলাঃ একেক জনের ধারণা একেক রকম। অনেকেই পড়া বুঝতে না পারলে লজ্জায় শিক্ষককে প্রশ্ন করেনা। কিন্তু এটা করা ঠিক না।পড়ায় কোন বিষয় বুঝতে না পারলে সাথে সাথে শিক্ষককে প্রশ্ন করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ক্লাসের পড়া কিংবা এসাইনমেন্ট বুঝতে সমস্যা হলে শিক্ষকের সাথে কথা বলার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

লেখকের ইতি কথাঃ কাজে মনোযোগী হওয়ার উপায়-কাজে মনোযোগ ধরে রাখার যত কৌশল সম্পর্কে

সম্মানিত পাঠক আপনি যদি দ্রুততম সময়ে সাফল্যের শিখরে পৌঁছাতে চান তাহলে একটি মানদন্ড অবশ্যই আপনাকে মনে রাখতে হবে। সেই মানদন্ডটি হলো কাজের প্রতি ভালোবাসা রেখে গভীরভাবে মনোনিবেশ করে কাজে মনোযোগী হওয়া। আমরা আমাদের কাজে মনোযোগ হারিয়ে ফেলার কারণে অনেক কাজ করার পরও সফলতা অর্জন করতে পারিনা। তাই সংক্ষিপ্ত জীবনে সফলতা অর্জন করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে কাজে মনোযোগী হওয়ার উপায় গুলো ভালোভাবে জেনে রাখতে হবে। কাজে মনোযোগী হওয়ার উপায় গুলো জেনেই আপনাকে সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে।

অতএব সুপ্রিয় পাঠক আশা করি এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনার কাজে মনোযোগী হওয়ার উপায় গুলো ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থেকে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগের সাথে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের ওয়েবসাইটে এই ধরনের তথ্যবহুল আর্টিকেল আমরা নিয়মিতই পোস্ট করে থাকি। এই ধরনের আরো গুরুত্বপূর্ণ ও তথ্যবহুল

আর্টিকেল নিয়মিত পড়তে এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। কাজে মনোযোগী হওয়ার উপায় সম্পর্কে আপনার যদি কোন মতামত বা প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে দেয়া মতামত বক্সে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আবার কথা হবে নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত নিরাপদ ও সুস্থ থাকুন!

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কনফিডেন্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url